Category: ব্রেকিং নিউজ

  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি রাজপথে নয়; আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি রাজপথে নয়; আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি রাজপথে নয় আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আজ ১৬ মে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের প্রথম সারীর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণ ও ক্যাম্পাস নির্মাণের মতো বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে; এর মতো লজ্জাজনক বিষয় আর হতে পারে না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অপশাসনের ফলে দেশের সকল খাতের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর সম্ভাবনা নষ্ট করে ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এখন এর একটা বিহিত হওয়া আবশ্যক তবে তা রাজপথে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ও সরকারের সামর্থ্য পর্যালোচনা করে আলোচনার টেবিলে এর সমাধান করতে হবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, বর্তমান সরকার অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান কাজ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় নীতি ও কাঠামোগত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা। বিগত ৫৪ বছরের অনিয়মের ফলে সৃষ্ট জঞ্জাল দুর করার দাবী এই সরকারের ওপরে চাপিয়ে দেয়া বেইনসাফি হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের অর্থনীতিকে যে পর্যায়ে রেখে গেছে তাতে করে মানুষের প্রাথমিক মৌলিক চাহিদা পূরণেই সরকারকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এই বাস্তবতায় বিগত সরকারগুলোর সৃষ্ট সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিকভাবে এই সরকারের কাছে চাওয়া যৌক্তিক হবে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট অবর্ননীয়। ঢাকার মতো উচ্চ আবাসন ব্যয়ের শহরে তাদের নিজ দায়িত্বে আবাসন ব্যবস্থা করতে হয়। এটা একজন শিক্ষার্থীর ওপরে প্রচন্ড আর্থিক চাপ তৈরি করে। সেই চাপে শিক্ষার্থীরা টিউশনি, খণ্ডকালীন চাকুরী করতে বাধ্য হয়;যা তাদের একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের পথে বাঁধা তৈরি করে। সেজন্য তাদের আবাসন বৃত্তি ও ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবী খুবই যৌক্তিক। তাই সরকারকে আহবান করবো, অতি দ্রুত সম্ভব্য যেকোন পন্থায় তাদের দাবী পূরণের ব্যবস্থা করুন।

    পীর সাহেব চরমোনাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের শক্তি প্রয়োগ এবং তাদের সমাবেশ থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপরে বোতল নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেন, পতিত স্বৈরাচার রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা যৌক্তিক আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে সুযোগ নিতে পারে। সেজন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তাই এই আন্দোলন রাজপথে না বরং আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন।

  • টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের সময় সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য সিপাহি বেলালের মরদেহ উদ্ধার

    টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের সময় সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য সিপাহি বেলালের মরদেহ উদ্ধার

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের সময় সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ বেলালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৩ মার্চ) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিজিবির পক্ষ থকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেলাল এই সীমান্ত ফাঁড়িতেই কর্মরত ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা একটি রাইফেলস ও চারটি ম্যাগাজিনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় বিজিবি।  এর আগে, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গা বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবির নিখোঁজ হন বেলাল। পরবর্তীতে, শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও দমদমিয়াস্থ নাফনদীর মোহনায় ৪ রোহিঙ্গার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে এক শিশু ও ৩ জন নারী। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবি।

  • সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে- ইসলামী আন্দোলন।

    সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে- ইসলামী আন্দোলন।

    নিউজ ডেস্ক:

    সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিন প্রতিনিধি।

    অদ্য ১৫ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ খ্রি: শনিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপস্থিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

    রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের পরে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে।

    বৈঠকে কমিশনসমূহের প্রতিবেদন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকা’র ৯ম বর্ষপূতি উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাশেল সাবরিন

    জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকা’র ৯ম বর্ষপূতি উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাশেল সাবরিন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    পেশাগত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও বিশেষ কৃতিত্বের জন্য এবছরও জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকা’র বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে প্রতিষ্ঠান। এই অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সম্পাদককে সম্মাননা প্রদান করেন অতিথি বৃন্দরা।

  • পুকুর থেকে মহিলার লাশ উত্তোলন-

    পুকুর থেকে মহিলার লাশ উত্তোলন-

    সাংবাদিক জিহাদ পীরগাছা, রংপুর।

    পীরগাছা উপজেলার তাম্বূল পুর ইউনিয়নের রমজান আলী মুন্সী কলেজ এর পুর্ব পরশে মাইক ওয়ালা রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী মাসুদা বেগমের লাশ অদ্য সকাল ৯ ঘটিকার দিকে মরহুমার ছোট মেয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে থাকতে দেখে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। এর পর আশেপাশের লোক জন এসে পীরগাছা থানায় সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয় পুলিশ ফোর্সসহ এসে পুকুর থেকে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্টের পর লাশের ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর উদেশ্য পাঠিয়ে দেন। এসময় তাম্বুলপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রশিদ মুকুলসহ স্থানীয় কয়েক জন মেম্বার ও গন্যমাণ্য ব্যক্তি ছাড়াও এলাকার শতশত নারীপুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
    খোজখবর নি জানাজায় মরহুমার স্বামী রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মাসুদা ওদুই সন্তান থাকার পরেও দিতীয় বিবাহ করে সংসার চালাতেন। সাইকেল রিক্সার মেকারী ও মাইক ভাড়া দিয়ে সামান্য আয়ে দুই স্ত্রীর ভরন পোষন চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বড় স্ত্রীর সাথে ঝগরাঝাটি ও ডাংমার করতেন। এরপরেও বড় স্ত্রীর খরচ চালাতেন না। এমতাবস্থায় শুধু সন্তানের দিকে চেয়ে মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সামীর সংসারে পরেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
    আরো খোজখবর নিয়ে জানাজায় মরহুমার স্বামী রফিকুল ও তার বড় ভাই শফিকুল গতকাল সন্ধ্যা থেকে পলাতোক।লোকজন বলাবলি করছে মাসদাকে মেরে ফেলে ধামাচাপা দেয়ার জন্য লাশ পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে। কেহ কেহ রফিকুল কে সেফ করতে মিরকী রোগের কথাও বলছেন। যেটাযাই হোক এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবী করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

  • পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ রিপোর্ট।

    পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَ مَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ * إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ * لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ পশু কুরবানী করার পূর্বে দোয়াটি পাঠ করে পশুর ঘাড়ের নিকটতম বাহুর উপর নিজের ডান পা রেখে

    اللَّهُمَّ لَكَ وَ مِنْكَ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُ أَكْبَر
    দিয়ে দ্রুত জবেহ করুন। কুরবানী যদি নিজের পক্ষ থেকে হয় তাহলে জবেহ করার পর এই দোয়া পাঠ করুন।

    اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ وَخَلِيْلِكَ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ
    وَحَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم

    আর যদি অন্য কারো পক্ষ থেকে পশু কুরবানী করা হয় তবে জবেহকারী বক্তি তাঁর শব্দের স্থলে ওর বলে যার কুরবানী তার নাম উচ্চারণ করবেন।

  • কোরবানির ইতিহাস ও ঈব্রাহিম (আ:) এর স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ মহান রবের সন্তুষ্ট লাভ করা

    কোরবানির ইতিহাস ও ঈব্রাহিম (আ:) এর স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ মহান রবের সন্তুষ্ট লাভ করা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ কক্সবাজার।

    কোরবানির ইতিহাস ও কোরবানি ইবাদত হিসেবে স্বীকৃত হওয়া যদিও হজরত আদম (আ.) এর যুগ থেকেই সাব্যস্ত। কিন্তু এর বিশেষ তাৎপর্য হজরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আ.) এর ঘটনা থেকে শুরু হয়েছে। প্রভু প্রেমের বিরল এ ঘটনার স্মরণার্থেই শরীয়তে মুহাম্মদিয়ায় কোরবানিকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করা হয়েছে।
    পৃথিবীর ইতিহাসে এ ঘটনা নজিরবিহীন ও শিক্ষণীয়। পবিত্র কোরআনে সূরা সাফ্ফাতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে কোরবানির বিষয়টি বোঝার একমাত্র উপায় শিক্ষণীয় ঘটনা হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর ঘটনা। কোরআন ও নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েত দ্বারা ঐতিহাসিক এ ঘটনার যতটুকু অংশ সাব্যস্ত তা বর্ণনা করা হচ্ছে।

    #হকের দাওয়াত:

    নবীদের পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন নবিওয়ালা দায়িত্ব ও হকের দাওয়াত শুরু করলেন তখন সর্ব প্রথম স্বীয় পিতা আযরকে অত্যন্ত আদবের সঙ্গে মূর্তি পূজা বর্জনের দাওয়াত দিলেন। কিন্তু তিনি এতো বেশিই ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন যে, অকথ্য নির্যাতন করা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরিশেষে ফলাফল এই দাড়াঁয় নিজের পূর্ব পুরুষের প্রতিমা পূজা ছেড়ে দেয়া এবং এক অদ্বিতীয় মহান আল্লাহর পথে আহ্বান করার কারণে আপন পিতাসহ সম্প্রদায়ের সবাই হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর বিরোধিতা করা শুরু করলো।

    #স্বজাতির শত্রুতা ও আগুনে নিক্ষেপ করা:

    জালেমরা এই মহান ব্যক্তিকে আগুনে নিক্ষেপ করে জালানোর জন্য এক হয়ে যায়। তারা যখন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করছিল তখন হজরত জিবরাঈল আমিন আসলেন এবং বললেন যে, আমার সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমি উপস্থিত তখন ইব্রাহিম (আ.) বললেন সাহায্য যদি আপনার পক্ষ থেকে হয় তাহলে প্রয়োজন নেই। যেই মহান সত্তার জন্য আমার এই অবস্থা হচ্ছে তিনি ‘আলিম, খাবির’। তিনি আমাকে দেখছেন তিনি আমার জন্য যা কিছু করবেন তাতে আমি সন্তুষ্ট আছি।

    #ইরাক থেকে হিজরত:

    আল্লাহ তায়ালা আগুনকে بردا وسلاما (অর্থাৎ ঠান্ডা ও আরামদায়ক) হওয়ার নির্দেশ দিলেন। মুহূর্তে আকাশচুম্বি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য বাগানে পরিণত হলো।

    হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর প্রকাশ্য মুজিযা দেখে ঈমান আনার পরিবর্তে শত্রুতা আরো প্রকট হলো। মা-বাবা, বংশ এবং মাতৃভূমি আল্লাহ তায়ালা থেকে বিমুখ হওয়ার কারণে সব কিছুকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তখন তিনি বললেন انى ذاهب الى ربى سيهدين (আমি আমার রবের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল তিনি আমাকে তাঁর প্রিয় জায়গার পথ দেখাবেন)। উদ্দেশ্য হলো আমি এমন এক জায়গায় যাব যেখানে প্রতিপালকের আহকাম সমূহ নির্দ্বিধায় পালন করা যাবে।

    হজরত লূত (আ.) যিনি তাঁর ওপর ঈমান এনেছেন তাকে নিয়ে স্বীয় মাতৃভূমি ইরাক ত্যাগ করলেন এবং ফিলিস্তিনের কেনয়ানে অবস্থান করলেন। ছিয়াশি বৎসর বয়সে নিজের মাতৃভূমি, মা-বাবা পরিবার-পরিজন সবাইকে আল্লাহ তায়ালার জন্য ছেড়ে দিয়ে অপরিচিত জায়গায় বন্ধু-বান্ধব ও সাহায্যকারী ছাড়া বসবাস করতে লাগলেন।

    #সন্তানের জন্য প্রার্থনা:

    সন্তান মহান আল্লাহর সেরা নেয়ামত। সন্তানের মাধ্যমেই বংশ পরম্পরা যুগ যুগ জিইয়ে থাকে পৃথিবীর বুকে। ধরণীর মাঝে আল্লাহর একাত্ম কায়েম রাখার মাধ্যমও বটে। হজরত ইব্রাহিম (আ.) এ দুরবস্থার সময় মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া করলেন,

    رب هب لى من الصالحين
    বঙ্গানুবাদ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নেককার সন্তান দান করুন।’ মহান আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন।

    ইসমাঈল (আ.) এর জন্মের সুসংবাদ:
    মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে সন্তানের সুসংবাদ এই শব্দের মাধ্যমে দেন,

    فبشرناه بغلم حليم
    বঙ্গানুবাদ : ‘আমি ইব্রাহিমকে সহনশীল সন্তানের সুসংবাদ দিলাম।’

    কোরআনের ইশারা ও হাদিসের দিক নির্দেশনা তার সাক্ষী যে غلم حليم দ্বারা হজরত ইসমাঈল (আ.) উদ্দেশ্য। হজরত ইসমাঈল (আ.) এর ব্যাপারে غلم حليم বলে তার বিশেষ গুণের দিকে ইশারা করা হয়েছে, কোরবানির সময় যার যথার্থতা প্রকাশ পেয়েছে। কেননা حليم অর্থ সহনশীল। যে কঠিন মসিবতের সময় বিচলিত হয় না।

    আহলে কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী ছিয়াশি বৎসর বয়সে হজরত ইসমাঈল (আ.) এর জন্ম হয়। আর এ সময় হজরত ইসমাঈল (আ.)-ই হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর প্রথম ও একমাত্র সন্তান ছিলেন। আহলে কিতাবের জবাইয়ের বর্ণনায় এসেছে, যে সন্তানকে জবাইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল সে একক ছিল। তাহলে তিনি শুধু মাত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-ই। আহলে কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ীই নিরানব্বই বৎসর বয়সে দ্বিতীয় সন্তান হজরত ইসহাক (আ.) এর জন্ম হয়।

    #ভালবাসার নির্মম পরীক্ষা:

    হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর বৃদ্ধ বয়সে অনেক দোয়া ও আকাক্সক্ষার পরে জন্ম নেয়া এক মাত্র সন্তান হজরত ইসমাঈল (আ.)। কে জানত! বহু সাধনা ও আকাক্সক্ষার পর জন্ম নেয়া এ সন্তান হজরত ইব্রাহিম (আ:) এর জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষার কারণ হবে?

    প্রথম পরীক্ষা এই ছিল, মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)-কে হুকুম দিলেন, আদরের সন্তান ও সম্মানিত স্ত্রী হাজেরা (আ.)-কে নিয়ে শাম থেকে হিজরত করে হিজাযের মধ্যবর্তি স্থান যা বালুময় ছিল যেখানে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোনো মানুষ, প্রাণী এমনকি গাছপালাও ছিল না সেখানে তাদের আবাস বানানোর। মহান আল্লাহর প্রিয় বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) বিন্দু মাত্র ভাবনা-চিন্তা ছাড়াই মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন করলেন। প্রিয় সন্তান ও প্রেয়সী হজরত হাজেরা (আ.)-কে ধ্বংসাত্মক মরুস্থানে রেখে যান। যা এক সময় তাদের মাধ্যমে ‘মক্কা মুকারমা’ ও ‘উম্মুল কোরা’ হিসেবে আবাদ হয়।

    শুধু এটুকুই নয়। এবার হুকুম আসল আরো কঠিন মা ও ছেলেকে এখানে রেখে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে শাম দেশে চলে যাওয়ার। মহান আল্লাহর বন্ধু ইব্রাহিম (আ.) এর ত্যাগ লক্ষ্য করুন, যে স্থানে এ হুকুম পান সে স্থান থেকেই শাম দেশে রওয়ানা শুরু করেন। এতটুকু সময়ও নষ্ট করেননি যে, হজরত হাজেরা (আ.) এর পাশে বসে একটু সান্তনা দেবেন। এ কথা বলে যাবেন যে, মহান আল্লাহর হুকুমেই এ বিচ্ছেদ।

    যখন হজরত হাজেরা (আ.) দেখলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.) ক্রমে দূরে চলে যাচ্ছেন, তখন তিনি সজোরে চিৎকার দিয়ে বললেন, আমাদেরকে এ ভয়ঙ্কর জঙ্গলে একা রেখে কোথায় চলে যাচ্ছেন? এ কথা শুনেও মহান আল্লাহর অকৃত্রিম বন্ধু ফিরে তাকাননি এক মুহূর্তের জন্য।

    অত:পর হজরত হাজেরা (আ.) এর মনে হলো, এ মহান ব্যক্তি মহান আল্লাহর হুকুম ছাড়া আমাদেরকে এ জঙ্গলে একা ফেলে চলে যেতে পারেন না। এবার হজরত হাজেরা (আ.) প্রশ্ন করলেন: মহান আল্লাহ কি আপনাকে এখান থেকে চলে যাওয়ার হুকুম দিয়েছেন?

    মহান আল্লাহর রাহে স্ববর্স বিলিয়ে দেয়া বন্ধু জবাব দিলেন,
    : হ্যাঁ।

    একথা শুনে মহিয়সী নারী হজরত হাজেরা (আ.) বললেন, যদি মহান আল্লাহর হুকুমে চলে যান তাহলে মহান রব আমাদের কোনো ক্ষতি করবেন না।

    এখন এ নির্জন মরু প্রান্তর যেখানে খাবার- পানি বলতে কিছুই নেই। প্রচন্ড গরমের উত্তাপ। সব ধরনের কষ্টের উপকরণ এখানে কিন্তু কে জানত, এ মরু প্রান্তর এক সময় পৃথিবীর সবচেয়ে দামী স্থানে পরিণত হবে? এ ঘটনা অনেক দীর্ঘ। কিভাবে হজরত হাজেরা (আ.) ও তার সন্তান এ নির্জন প্রান্তরে জীবন বাঁচায়? এ আলোচনায় না গিয়ে আমরা কোরবানির বিষয়ে আলোচনা শুরু করছি।

    যখন বালক ইসমাঈল বাবার সঙ্গে চলা-ফেরা করার ও বাবাকে সাহায্য করার উপযুক্ত হলো তখন ইব্রাহিম (আ.) তার ছেলেকে বলেন, হে আমার প্রিয় ছেলে! আমি স্বপ্নে দেখেছি, আমি তোমাকে জবাই করছি। এখন বলো, এ বিষয়ে তোমার কি মত? এ কথার উদ্দেশ্য ছিল যে, নবীদের স্বপ্নও ওহির মতো হয়। সুতরাং স্বপ্নে জবাই করা দেখা জবাইয়ের হুকুমের মতোই। এখন তুমি বলো, মহান আল্লাহর এ হুকুম পালনে তুমি কি প্রস্তুত?

    মহান আল্লাহর বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য মহান আল্লাহর নির্দেশের পর কারো সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন ছিল না। মহান আল্লাহর হুকুম পরামর্শের ওপর মওকুফও না কিন্তু এখানে ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো,

    প্রথমত: ছেলের ইচ্ছাশক্তি ও মহান আল্লাহর আনুগত্যের পরীক্ষা হয়ে যাবে।

    দ্বিতীয়ত: যদি সে আনুগত্য বেছে নেয় তাহলে সে সওয়াবের হকদার হবে। কেননা সওয়াবের ভিত্তি ইচ্ছা ও নিয়তের ওপর।

    তৃতীয়ত: জবাই করার সময় মানবিক ও পিতৃ স্নেহের দাবী হলো দুর্ভাবনার আশঙ্কা কোনোভাবে যেন সান্তনা হয়ে যায়।

    #রুহুল বয়ান
    উপর্যুক্ত আয়াতে এ শব্দগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যখন সে বাবার সঙ্গে চলার উপযুক্ত হলো। এ আয়াতে এ দিকে ইশারা পাওয়া যায় যে, এই সন্তান যাকে জবাই করার হুকুম দেয়া হচ্ছে, এমন নয় যে সে অবুঝ বরং সে চলাফেরা করতে পারে। বাবার কাজে সাহায্য-সহযোগিতাও করতে পারে। ঐতিহাসিক রেওয়াতের বর্ণনায় পাওয়া যায়, এ সময় হজরত ইসমাঈল (আ.) এর বয়স হয়েছিল নয় বছর।

    #রুহুল বয়ান
    ওই প্রেক্ষাপটে হজরত ইসমাঈল (আ.) কী পরিমাণ ধৈর্য ধারণ করেছিলেন, তা চিন্তা করাও দুস্কর।
    সম্মানিত বাবা মহান আল্লাহর বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। ছেলে বাবার স্বপ্ন শুনে বলেন, হে আমার বাবা! আপনাকে যে কাজের আদেশ দেয়া হয়েছে আপনি সে কাজ করেন। ইনশাল্লাহ! আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।

    এ ঘটনায় যেমনিভাবে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য বয়োবৃদ্ধে জন্ম নেয়া সন্তান কোরবানির মতো মারাত্মক পরীক্ষা অন্যদিকে ছেলে মহান আল্লাহর আনুগত্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করাও ছোট কোনো বিষয় নয় বরং মহান আল্লাহ এ পুরো পরিবারকে তাঁর অগণন পরীক্ষার জন্য বানিয়েছিলেন। এসব ঘটনাই এর প্রমাণ।

    এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, হজরত ইসমাঈল (আ.) এর আনুগত্য তো ঈর্ষণীয় পাশাপাশি হজরত ইসমাঈল (আ.) এর শব্দচয়ন শিক্ষণীয়। তিনি নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর ভরসা করেননি বরং মহান আল্লাহর ওপর ন্যস্ত করেছেন নিজের সর্বস্ব। হজরত ইসমাঈল (আ.) মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করার সময় বলেন, ইনশাআল্লাহ! তিনি এটাও বলেননি আমি ধৈর্যধারণ করবো বরং তিনি বলেছেন, আমাকে ধৈর্যশীলদের মাঝে পাবেন যা বিনয়ের সর্বোচ্চ চূড়া।

    ধৈর্য ও ধীরতার গুণ শুধু মাত্র আমার পূর্ণতা নয় বরং মহান আল্লাহর অগণন বান্দা ধৈর্যধারণকারী ছিলেন। আমিও তাদের অন্তর্গত। নিজেকে এমন সমর্পণ ও বিনয়ের বরকতে হিমালয়ের মতো মহা বিপদের ধাপগুলো পার হয়েছেন অত্যন্ত নিরাপদে।

  • প্রশ্ন প্রচলিত জমি বন্দক জায়েজ হবে?- মাওলানা হাফেজ দিদার বিন হাসান সাহেব।

    প্রশ্ন প্রচলিত জমি বন্দক জায়েজ হবে?- মাওলানা হাফেজ দিদার বিন হাসান সাহেব।

    দিদার বিন হাসান,খতিব ফলিয়াপাড়া জামে মসজিদ।

    উত্তর

    وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

    بسم الله الرحمن الرحيم

    উক্ত চুক্তিটি জায়েজ হবার দু’টি সূরত রয়েছে। এ দু’টি সূরত অনুসরণ করলে এ চুক্তি জায়েজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

    ১ম সূরত

    যিনি জমীন নিবেন তিনি এ হিসেবে চুক্তি করবেন যে, তিনি জমিটি ভাড়া নিচ্ছেন। নামমাত্র কিছু মূল্য মাসিক ভাড়া হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিবে। যেমন ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা। আর অগ্রিম ভাড়া হিসেবে প্রদান করবে ১/২ লাখ টাকা।

    তারপর যেদিন জমিনটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন আগের নির্ধারণকৃত নামমাত্র ভাড়ার টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দেবে জমিনটি ভোগদখলকারী তথা জমির ভাড়াটিয়াকে।

    যেমন-

    আব্দুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আব্দুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আব্দুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

    এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে ভাড়া দিবে। মাসিক ভাড়া নির্দিষ্ট করে নিল কথার কথা ৫০ টাকা। যতদিন আব্দুর রহমান জমিটি রাখবে ততদিন মাসিক ৫০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করবে। মাসিক ভাড়া অগ্রিম হিসেবে আব্দুর রহমান ৫ লাখ আব্দুল্লাহকে দিয়ে দিবে। ফলে জমিটির ভাড়াটিয়া হিসেবে আব্দুর রহমান ভোগদখল করতে থাকবে। আর আব্দুল্লাহ টাকাটি খরচ করতে পারবে।

    তারপর যেদিন আব্দুল্লাহ তার জমিটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন বিগত দিনের মাসিক ভাড়া বাদ দিয়ে বাকি টাকা প্রদান করে জমিটি ফেরত নিয়ে নেবে। কথার কথা যদি ৫ মাস পর ফেরত নিতে চায়, তাহলে ৫ মাসের ভাড়া ২৫০ টাকা রেখে বাকি এক লাখ নিরান্নব্বই হাজার সাতশত পঞ্চাশ টাকা প্রদান করে আব্দুল্লাহ সাহেব তার জমিটি ফেরত নিয়ে নিবেন। {জাদীদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/১৪৭-১৪৮, মালে হারাম আওর উসকে মাসারেফ ওয়া আহকাম-৮৫}

    وَأَمَّا زَكَاةُ الْأُجْرَةِ الْمُعَجَّلَةِ عَنْ سِنِينَ فِي الْإِجَارَةِ الطَّوِيلَةِ الَّتِي يَفْعَلُهَا بَعْضُ النَّاسِ عُقُودًا وَيَشْتَرِطُونَ الْخِيَارَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي رَأْسِ كُلِّ شَهْرٍ فَتَجِبُ عَلَى الْآجِرِ لِأَنَّهُ مَلَكَهَا بِالْقَبْضِ وَعِنْدَ الِانْفِسَاخِ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ رَدُّ عَيْنِ الْمَقْبُوضِ بَلْ قَدْرُهُ فَكَانَ كَدَيْنٍ لَحِقَهُ بَعْدَ الْحَوْلِ (فتح القدير- كتاب الزكاة، 2/174)

    ২য় সূরত

    দু’টি চুক্তি সম্পাদন করবে। প্রথমে ক্রয় বিক্রয় চুক্তি। তারপর আলাদা আরেকটি চুক্তি নামায় যেদিন টাকা পরিশোধ করতে পারবে সেদিন জমিটি প্রথম জমির মালিক ক্রয় নিয়ে নিয়ে যাবে আর বর্তমান মালিক তা বিক্রি করে দিবে মর্মে চুক্তি সম্পাদিত করবে।

    যেমন-

    আব্দুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আব্দুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আব্দুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

    এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ তার জমিটি ৫ লাখ টাকায় আব্দুর রহমানের কাছে বিক্রি করে টাকা গ্রহণ করে নিবে। এভাবে আব্দুল্লাহ টাকার মালিক ও আব্দুর রহমান জমিটির ভোগ দখলের মালিক হয়ে যাবে।

    তারপর ভিন্ন আরেকটি চুক্তি সম্পাদন করবে। যাতে লিখবে যে, যেদিন আব্দুল্লাহ ৫ লাখ টাকা দিতে পারবে, সেদিন আব্দুর রহমান জমিটি আব্দুল্লাহের কাছে ৫ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিবে।

    এভাবে ভিন্ন দু’টি চুক্তি সম্পাদিত করলে টাকা খরচ করা এবং জমিটি ভোগ দখলের মাঝে অবৈধতার কোন কিছুই বাকি থাকবে না।

    لو ذكرا البيع بلا شرط ثم ذكرا الشرط على وجه العقد جاز البيع ولزم الوفاء بالوعد، إذ المواعيد قد تكون لازمة فيجعل لازما لحاجة الناس تبايعا بلا ذكر شرط الوفاء ثم شرطاه يكون بيع الوفاء؛ (رد المحتار، كتاب البيوع، مطلب فى البيع بشرط فاسد-7/281، 547، البحر الرائق، كتاب البيوع، باب خيار الشرط-6/8)

     

    والله اعلم بالصواب

  • সোনাইছড়ি আল-ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০২৪ সালের প্রথম অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

    সোনাইছড়ি আল-ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০২৪ সালের প্রথম অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

    মাওলানা আবু সুফিয়ান, সোনাইছড়ি নাইক্ষ্যংছড়ি

    পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা কেন্দ্র সোনাইছড়ি আল-ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০২৪ সালের প্রথম অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জনাব নুরুল আজিম চৌধুরী- সভাপতি অত্র মাদ্রাসা, অত্র মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হেলাল উদ্দিন জাফরি সাহেবের সঞ্চালনায় ৯ম শ্রেণির ছাত্র মাসউদ এর কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
    অত্র অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন –
    জনাব বশির আহমদ – উপদেষ্টা সভাপতি অত্র মাদ্রাসা।
    জনাব নুরুল আলম মেম্বার -সাধারণ সম্পাদক অত্র মাদ্রাসা, জনাব আব্দুল করিম সাহেব – সমাজ সরদার বৈদ্যরছড়া।

    জনাব আব্দুল আজিজ -ক্যাশিয়ার বৈদ্যরছড়া কেন্দ্রীয় জামেমসজিদ, জনাব মুফিজ সওদাগর -সাধারণ সম্পাদক বৈদ্যরছড়া কেন্দ্রীয় জামেমসজিদ।
    জনাব আবছার আহমদ- শিক্ষার্থী অভিভাবক সহ আরো অনেক অভিভাবক গন।
    (অনুষ্ঠানটি সাজানোর জন্য সহযোগিতা করেছেন আমার সকল সহযোদ্ধা গন) বিশেষ করে আমি আমার উপস্থিত সকল অভিভাবক গনকে ধন্যবাদ জানালেন পরিচালক, কারণ বছরের শুরুতে এভাবেই ছাড়া দিবেন আমি কল্পনা করি নাই বলও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

    পরিশেষে প্রিয়দের কাছে দোয়ার আরজ প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য।

  • জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্কঃ

    অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবী এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ এই দাবিতে আজ রাজপথে নেমে এসেছে, জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা অবৈধ সরকারের পতন চায়। ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, জুলুম নির্যাতন করে পৃথিবীর কোনো পরাশক্তিও টিকতে পারেনি, আওয়ামীলীগও টিকতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
    ২৮জুলাই শুক্রবার ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি বিদ্যুৎ সংকট, নিরাপত্তাহীনতা এবং জনগণের বাকস্বাধীনতা না থাকায় জীবন এখন বিষিয়ে উঠেছে, অথচ সরকার উন্নয়নের ফাঁকা বুলি আওড়িয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে, একটি স্বাধীন দেশের চিত্র এটা হতে পারে না।
    সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলসমূহের ন্যায্য আন্দোলনে সরকার বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পরিণতি শুভ হবে না। বল প্রয়োগ করে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাইলে তা আরও রুদ্রমূর্তি ধারণ করবে।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ মারুফের উপস্থাপনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসাইন, এ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ।

    অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, দেশের মানুষ এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে, একদল জালেম আরেক দল মাজলুম। অধিকাংশ মানুষ মাজলুম আর কতিপয় সরকারী সুবিধাভোগী দেশবিরোধী লোক জালেম। আওয়ামী সরকারের জুলুম অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ। এই অশুভ শক্তির নাগপাশ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। এই সরকার বারবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের বাজার অশান্ত করে গরীব মেহনতি মানুষের পেটে লাত্থি মেরেছে, মানুষ খুন করেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের অধীনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। কিনি অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার অবৈধ সরকার। ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন প্রমাণ করেছে, আওয়ামীলীগ গণবিচ্ছিন্ন সরকার। সুতরাং বিদেশের কাছে ধর্ণা দিয়ে যদি তারা ফের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, সে স্বপ্ন হবে দিবাস্বপ্ন। স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশে আমরা কোনো বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ বরদাশত করব না।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, সরকার পতনের অভিন্ন দাবিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রতিবাদের যে দ্রোহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তাতে সরকার পতনের আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে। এতেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে কিভাবে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হয় আমাদের তা জানা আছে। পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, নচেৎ সরকার পতন আন্দোলনের যে কোনো কর্মসূচিতে ইসলামী যুব আন্দোলন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।