Category: মানববন্ধন

  • সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    www.ukhiyavoice24.com

    সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    কেন এই কর্মসূচী? আপনারা জানেন, ২০০৭-০৮ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় একটি নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে ৮ কোটি ১০ লক্ষ নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এক সুবিশাল ভোটার ডেটাবেইজ যা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য নজির। সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে এই ডাটাবেজে প্রায় ১২.৫০ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। UNDP-র সমীক্ষা অনুসারে ভোটারদের এই সংগৃহীত ডাটা ৯৯.৭% সঠিক মর্মে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ভোটার তালিকার এই তথ্যভান্ডার থেকেই উপজাত (byproduct) হিসেবে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) প্রদান করা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে NID সেবা নির্বাচন কমিশনের আওতা থেকে স্থানান্তরের বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। এ প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন নিম্নলিখিত বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে চায়:

    ০১. সাংবিধানিক ম্যান্ডেট: সংবিধান-এর ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। ভোটার তালিকার তথ্যভান্ডার একটি সংবিধানিক দলিল, যা কারও কাছে হস্তান্তর করার সুযোগ নেই।

    ০২. ভোটার তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়া: উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে, ভোটার তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি একটি সংবিধানসম্মত ও সুরক্ষিত প্রক্রিয়া, যা NID কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

    ০৩. জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা: জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকার উপজাত (byproduct)। প্রকৃতপক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আলাদা কোনো তথ্যভান্ডার নেই, এটি শুধুমাত্র ভোটার তালিকা থেকে উদ্ভূত।

    ০৪. ডাটাবেজের নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি: NID সেবা অন্য সংস্থার অধীনে গেলে data duplication ও database manipulation এর আশংকা দেখা দিতে পারে। এতে বিদ্যমান check & balance ব্যবস্থা বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।

    ০৫. গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা: নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমানত হিসেবে সংরক্ষিত। সাংবিধানিকভাবে কমিশন এই তথ্য অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারে না। এটি নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষার প্রশ্নেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    ০৬. জনগণের বিপুল অর্থের সাশ্রয়: জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনে থাকায় এবং কমিশনের একই জনবল দ্বারা এই কার্যক্রম সম্পাদনের ফলে দেশ ও সরকারের জন্য এটি একটি সাশ্রয়ী সেবায় পরিণত হয়েছে। আলাদা কোন কর্তৃপক্ষ তৈরি করা হলে জনবল, স্থাপনা ও অন্যান্য অবকাঠামো তৈরিতে জনগণের বিপুল অর্থের অপচয় হবে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

    ০৭. ভোটার নিবন্ধনে নেতিবাচক প্রভাব: জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন হতে অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে শুধুমাত্র ভোটার হওয়ার জন্য জনগণের আগ্রহ ও উদ্দীপনায় নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে যা ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। উপরন্তু নির্বাচন কমিশন নিজস্ব উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হারালে নতুন কোন উদ্ভাবনে (innovation) প্রতিষ্ঠানিকভাবে নিরুৎসাহিত হবে।

    ০৮. ভোটার তালিকার শুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ: নির্বাচন কমিশন থেকে NID কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়া হলে ভোটার তালিকার নির্ভুলতা নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হতে পারে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়বে।

    ০৯. রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত: অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ২০২৩ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল করে NID কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে। এতে স্পষ্ট যে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে NID কার্যক্রম পরিচালিত হওয়াই সর্বজনস্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা।

    আমরা মনে করি, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকাই সংবিধানসম্মত, নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবস্থা। আমরা সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে।

  • খাগড়াছড়ি’তে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    খাগড়াছড়ি’তে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক খাগড়াছড়ি,

    বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে গণ অধিকার পরিষদ এর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলার রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনা ও জেলা যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ইব্রাহিম খলিল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং চাক ও ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং চাক বলেন, বর্তমান সরকারের নৈরাজ্য ও লাগামহীন দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি দ্রুত কমিয়ে না আনলে গণঅধিকার পরিষদ দেশের আপামর জনসাধারণকে নিয়ে আগামীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন। প্রধান বক্তা লোকমান হোসেনের বক্তব্যে বলেন তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বর্তমান সরকার যে হারর বৃদ্ধি করছে তা অনতিবিলম্বে কমাতে হবে। আরো বলেন তিন পার্বত্য জেলায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশে ন্যায়বিচার ও বৈষম্য মূলক বাংলাদেশ গড়ার জন্যে গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিন। আগামীর বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের বাংলাদেশ।

    বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন যুব অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সচিব ইব্রাহিম খলিল, ছাত্র অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ও ছাত্র অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার জাতি-গোষ্ঠী বিষয়ক সম্পাদক পাইশিখই মারমাসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • বিরামপুরে ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    বিরামপুরে ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    এম এ মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- বিরামপুর উপজেলার দিঘলচাঁদ গ্রামে খ্রীষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর,

    বাইবেল ও ক্রুশ অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার (১১ সেপ্টে:) বিরামপুর
    প্রেসক্লাব মোড়ে মহাসড়কের পাশে খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের লোকজন মানববন্ধন করেছে।

    দুপুর ১২টায় ঐ এলাকার নারী-পুরুষদের নিয়ে মানববন্ধনে দিঘলচাঁদ
    ইউনাইটেড বেথানী চার্চের সভাপতি ও পালক ইলিয়াস সরেন বলেন, ২০০৬ সালে
    দিঘলচাঁদ গ্রামের মুচিয়া মার্ডি ও তার ছেলেরা খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণের আবেদন করে।

    সেই মোতাবেক ২০০৬ সালের ৩০ জুন তারা খ্রীষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হন। মুচিয়া
    মার্ডি গ্রামে গির্জা নির্মানের জন্য ৩৩ শতক জমি দান করেন। ২০১৪ সালে
    মুচিয়া মার্ডি মারা গেলে তার ছেলেরা জমি দখলের চেষ্টা করে।

    চলতি বছর ২১ এপ্রিল বিবাদিরা গির্জার দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং ১০ জুন ঘরের টিন ও
    আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এসময় তারা বাইবেল অবমাননা ও ক্রুশ ভাংচুর করে। এঘটনায়
    মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিষান মার্ডিসসহ ১১জনকে আসামী করে গির্জার
    সেক্রেটারী জোহান হাঁসদা ২০ জুলাই আদালতে মামলা করেছে।

    তিনি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে খ্রীষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর, বাইবেল ও ক্রুশ অবমাননাকারী
    প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এসময় একই দাবিতে আরো বক্তব্য
    রাখেন, পারগানা কেরোবিন হেমরম, আলেকসিউস হেমরম প্রমূখ। এতে গির্জার
    সেক্রেটারী জোহন হাঁসদাসহ এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।

  • মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জামেয়া দারুল মা’আরিফে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা সম্পন্ন

    মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জামেয়া দারুল মা’আরিফে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা সম্পন্ন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং দিল্লি ইউনিটের প্রধান নাভিন জিন্দালর কটূক্তির প্রতিবাদে আজ ১৪ জুন বাদ যোহর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে জামেয়ার শিক্ষকমণ্ডলী, সর্বস্তরের ছাত্র ও এলাকার সর্বসাধারণ নবী প্রেমিকদের ব্যাপক সমাগম ঘটে।

    জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়ার শিক্ষা পরিচালক শায়খ শহিদুল্লাহ কাউসার সাহেবের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জামেয়ার সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা নুরুল আলম, ছাত্রাবাস পরিচালক মাওলানা নুরুল আমিন মাদানি, মুফতি মাসুম এহসান, মাওলানা এনামুল হক মাদানী, মাওলানা আফীফ ফুরকান মাদানী, মাওলানা মুহাম্মদ নুর আনোয়ারী, মাওলানা এনামুল হক ছফা মাদানী, মাওলানা মিসবাহ উদ্দিন মাদানিপ্রমুখ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সর্বকালের সেরা মানব মহানবী (সা.) ও তার স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে বিজেপির দুই নেতা মুসলমানদের হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই এ কর্মকাণ্ডে নিন্দা জানাতে হবে এবং ভারত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানাতে হবে। বক্তারা অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার দাবীও জানানো হয়।

  • অবিলম্বে মহানবী সা.এর অবমাননার প্রতিবাদে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে,ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    অবিলম্বে মহানবী সা.এর অবমাননার প্রতিবাদে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে,ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    চলমান সংসদ অধিবেশনে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে কটূক্তির প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার কে ডেকে এর প্রতিবাদ জানাতে হবে। না হয় আন্দোলন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে ইনশাআল্লাহ। এদেশের সাধারন মানুষ, রাসূল সা. এর কটুক্তি অতীতেও কখনো সহ্য করেনি বর্তমানেও করবে না। অবিলম্বে, বিজেপি সরকারের মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও দিল্লি মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

    আজ (১০জুন ২২) শুক্রবার,বাদ জুমা ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ বিশ্ব মসজিদের সামনে ওয়াসা চত্বরে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম।

    সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতাব্বর, নগর জয়েন সেক্রেটারি, মীর আহমদ, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, ইমদাদুল কবির ভূঁইয়া, নগর উপদেষ্টা মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি তানভীর হোসেন জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদীসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ভারতীয় পণ্য বয়কট করা এখন ঈমানের দাবী, আরব দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য বয়কট করে রসূল সা. কে কটূক্তির প্রতিবাদ জানাচ্ছে, আমরাও বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় পণ্য বয়কট করে উচিত শিক্ষা দিব, যেন ভবিষ্যতে মানবতার নবী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে কটুক্তি করার কেউ সাহস না পায়। নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে ভারতীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের সামনে ওয়াসা চত্বর থেকে লালখানবাজার হয়ে জিইসির মোড় গিয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মিছিল সমাপ্ত করা হয়।

  • ভারতে মহানবী(সাঃ)কে অবমাননার প্রতিবাদে বিরামপুরে বিক্ষোভ মিছিল

    ভারতে মহানবী(সাঃ)কে অবমাননার প্রতিবাদে বিরামপুরে বিক্ষোভ মিছিল

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    ভারতে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি ও চরম অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১০ জুন) বাদ জুম্মা ঢাকা মোড় থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা মোড় বঙ্গবন্ধুর চত্বর সম্মুখে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

    ওলেমা মাসাহেক শুরা সদস্য আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মুফতি তারিক মাসুদ, মাওলানা আনিসুর রহমান, ডাক্তার নুরে আলম সিদ্দিক, মাওলানা সরোয়ার হোসেন, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা কামাল আহমেদ, হাফেজ বেলাল, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাস্টার হারুনুর রশিদ, মাওলানা আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন প্রমুখ

    বক্তারা বলেন,মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,যার শান ও মান আকাশচুম্বী, যার চরিত্র সমগ্র পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য আদর্শ,স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাঁর চরিত্র সম্পর্কে সার্টিফিকেট দিয়েছেন।তাঁর এমন মহান চরিত্রের উপর অবমাননাকর বক্তব্য যে সকল কুলাঙ্গাররা প্রদান করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় ভাবে নিন্দা প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

    মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল মুসলমানদের প্রাণ ও ঈমান,অনতিবিলম্বে এর উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া না আসলে আরও তীব্র বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক আসবে বলে বক্তারা আশ্বস্ত করেছেন,এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা প্রকাশ জন্য আহবান করেন।

  • মহানবী (স.)ও আয়েশা সিদ্দিকা(র.) এর প্রতি কটুক্তির প্রতিবাদে ১৬ জুন ঢাকা ভারতীয় দূতাবাস গেরাও কর্মসূচি,বিক্ষোভ সমাবেশে ফয়জুল করিম।

    মহানবী (স.)ও আয়েশা সিদ্দিকা(র.) এর প্রতি কটুক্তির প্রতিবাদে ১৬ জুন ঢাকা ভারতীয় দূতাবাস গেরাও কর্মসূচি,বিক্ষোভ সমাবেশে ফয়জুল করিম।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    ১৬ জুন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস অভিমূখে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ
    ক্ষমতাপাগল সরকারকে ভারতও রক্ষা করতে পারবে না
    নবীজির ওপর কটূক্তিতে সরকারের নীরবতা মেনে নেয়া যায় না
    –লাখো জনতার সমাবেশে মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার ক্ষমতার পাগল। ক্ষমতার নেশায় তারা ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারছে না। সরকার যতই ভাবুক মোদি সরকার তাদের ক্ষমতা ও গদি রক্ষা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে (আওয়ামীলীগকে) ক্ষমতায় রাখবে না। তিনি বলেন, চলতি জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে যদি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব পাস করা ও ভারতীয় হাই কমিশনারকে যদি ডেকে নিন্দা জানানো ও জবাব চাওয়া না হয়, কটূক্তিকারীদের যদি বিচার করা না হয়, তাহলে আগামী ১৬ জুন ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

    ভারতে বিজেপি মুখপাত্র কর্তৃক রাসূল (সা.) এবং উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ ১০ জুন শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত বিশাল বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশ নবীপ্রেমিক জনতার জনসমূদ্রে রূপ নেয়। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, পশ্চিম প্লাজা, দৈনিকবাংলা, গুলিস্তান, বিজয়নগর নাইটেঙ্গেল এলাকায় নবীপ্রেমিক লাখো জনতার ঢল নামে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দিন, আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নাঈম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।

    মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, কোনো সভ্য জাতি বা নেতা কারো মৌলিক বিশ্বাসের ওপর এভাবে আঘাত হানতে পারে না। বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের এহেন অসভ্য কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে নিন্দা প্রস্তাবের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
    তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভারত সরকারকে মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে ভারতকে অঙ্গীকার করতে হবে।
    কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ বাদ জুমা সারাদেশের জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সফল করায় তিনি সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার ছাত্ররা নবীপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপনে ময়দানে নেমে আসায় তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

  • নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক আবদুর রশিদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

    নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক আবদুর রশিদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

    কপিল উদ্দিন (জয়) নাইক্ষ্যংছড়ি ই-রিপোর্টার

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য দৈনিক মানব কন্ঠ ও দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক আবদুর রশিদের উপর হামলা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার প্রতিবাদে ১০ জুন জুমাবার নামাজের পর বাইশারী পেঠান আলী পাড়া জামে মসজিদের পুকুর পাড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সিনিয়র সাংবাদিক আ্দুর রশিদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ,আহবায়ক আবদুল হামিদ,যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম,সদস্য সচিব জাহাঙ্গিল আলম কাজল,সদস্য যথাক্রমে জয়নাল আবেদীন টুক্কু,মোহাম্মদ ইউনুস ও মোহাম্মদ শাহীন, পেঠান আলী পাড়া জামে মসজিদ সহ-সভাপতি সব্বির আহমদ,শামশুল আলম,সমাজ কমিটির সর্দার ও মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসা কমিটির সভাপতি একরামুল হক রাজু,প্রমূখ। বক্তারা বলেন যদি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হয় আরও কটুর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এবিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন সাংবাদিক আবদুর রশিদের উপর হামলার বিষয়ে বাইশারী প্রবাসী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে আমাকে স্মারক লিপি দিয়েছেে তিনি বাইশারী প্রবাসী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের উপদেষ্টা তাই সকল প্রবাসীর পক্ষ থেকে স্মারক লিপি দিয়েছে আমি সেই বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপন করব।এ দিকে বাইশারীতে আইন-শৃংখলার ও চেইন অব কমান্ড নেই দাবী বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন বলেন শুধু পুলিশ অপরাধ দমন করবে তা তো না। ইউনিয়ন পরিষদ, গ্রাম পুলিশ,আনসার ভিডিপি সহ অনেকে আছে,তারা কেউ তৎপর না। এ কারণে এ অবস্থা। এসব থেকে উত্তোরণ দরকার।

  • মহানবী (স.)ও মা আয়েশা সিদ্দিকা(র.) এর প্রতি কটুক্তির প্রতিবাদে-বিক্ষোভ মিছিল,চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা।

    মহানবী (স.)ও মা আয়েশা সিদ্দিকা(র.) এর প্রতি কটুক্তির প্রতিবাদে-বিক্ষোভ মিছিল,চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    ভারতের বিজেপি নেতা কর্তৃক নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও তার সহধর্মিণী আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ ও রাষ্ট্রকর্তৃক তার নিন্দা জ্ঞাপনের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার ইসলাম ও মুসলিমদের উপর খড়গহস্ত হয়। তাদের কাছে গরুর মূল্য থাকলেও মুসলমানদের রক্তে কোন মূল্য নেই। সম্প্রতি মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ ও তার সহধর্মিণী নিয়ে কটুক্তি করে তারা সাম্প্রাদায়িক ও জঙ্গিবাদী আচরন করেছে আমরা এমন নোংরা হস্তক্ষেপের ঘোর নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

    আজ ১০ জুন ২২-শুক্রবার বাদ জুমা সাতকানিয়া কেরানিহাট চত্বরে
    জেলা সিনিয়র সহ- সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুস এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন বিন মনির এর সঞ্চালনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আবুল কালাম উপরোক্ত মন্তব্য করেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

    তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ভারতের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে কোনো ধর্মীয় উস্কানি বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের দাবী বাংলাদেশেও ধর্মীয় সংঘাত এড়াতে অতিসত্ত্বর সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা হোক। এবং মুসলমানদের প্রাণে রক্তক্ষরণ রোধে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করুন।

    সমাবেশে আরো ছিলেন উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল আলম তালুকদার, নুরুল ইসলাম জিহাদী,ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পূর্ব জেলার সহযোগী সংগঠন, বাংলাদেশ মুজহিদকমিটি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

  • টেকনাফের আলোচিত নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    টেকনাফের আলোচিত নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    টেকনাফ প্রতিনিধি

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সদর ইউপি নাজির পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে নিহত নুরুল হক ভুট্টোর হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    (১৯মে) দুপুর বেলা ১২টার সময় এলাকাবাসীর উদ্যোগে উক্ত মানব বন্ধন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনের যাত্রা করেন নিহত নুরুল হক ভুট্টোর নাজির পাড়া এলাকা হয়ে টেকনাফ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। হাজারো নারী- পুরুষের উপস্থিতিতেই একটি মাত্র দাবিতে মুখরিত ছিল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে

    সমাজ সেবক নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের বিচার চাই, বিচার চাই,বিচার চাই।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার,
    নিহত নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের মামলার বাদী ও নিহত নুরুল হক ভুট্টোর ছোট ভাই মোঃ ইসলাম,
    বড় হাবির পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুজ্জামান,
    টেকনাফ সরকারি কলেজের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, নাজির পাড়া বড় জামে মসজিদের খতীব হাফেজ নুরুল হক মোজাহেরী,
    সমাজ সেবক রেজাউল করিম শরীফ, নাজির পাড়া এলাকার রিয়াজুল জন্নাহ বড় জামে মসজিদের সভাপতি মমতাজ মিয়া, ছাত্র নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

    মানববন্ধনে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার জানান,
    আমার ভাই নুরুল হক ভুট্টো কে গেল ইউপি নির্বাচনের জের,এবং আমার এলাকায় একরাম বাহিনীর প্রভাব বিস্তার,অবৈধভাবে মানুষের জায়গা দখল,ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যেতে না পেরে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করেছে একরাম গ্যাংরা।
    কারণ নাজির পড়া ও মৌলভী পাড়ায় একরাম গংদের
    এলাকায় প্রভাব বিস্তার, অবৈধ ইয়াবা ব্যবসা,
    সাধারণ মানুষের জায়গা দখল,সাধারণ মানুষ কে নির্যাতন ও তাদের পেশি শক্তির বিরুদ্ধে সব সময় আমার ভাই নিহত নুরুল হক ভুট্টো সবসময় সোচ্চার ছিলেন।
    টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো জানান,
    আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আমরা সবসময় সহযোগিতা পাচ্ছি,
    ইতি মধ্যে আমার বড় ভাই নুরুল হক ভুট্টোর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়েকজন আসামিকে আটক করেছে বলে শুনেছি।

    স্থানীয় বাসীন্দা ও নিহত নুরুল হক ভুট্টোর ভাগিনা মোহাম্মদ আবছার জানান,
    একরাম বাহীনিরা যখন আমার মামা ভুট্টোকে হত্যার জন্য চার পাশ হতে ঘিরে ফেলেন,তখন আমার মামা নিহত নুরুল হক ভুট্টোর শেষ আকুতিতে বলেছিলেন আমার ভাই একরাম আমিতো তোমাদের কোন ক্ষতি করিনি,
    আমার উপর এই অতর্কিত হামলা কেন, আমার দুই শিশু সন্তানের ধিকে থাকিয়ে হলেও আমার জীবনটা ভিক্ষা দে ভাই। তারপরেও একরাম গ্যাং ওরফে একরাম বাহিনীর হ্যদয় গলেনি।
    আমার মামা নিহত নুরুল হক ভুট্টোর উপর অতর্কিত হামলা করে দা কিরিস দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় একরাম গ্যাং ওরফে একরাম বাহিনীরা।
    সে পা এখনো তারা ফিরিয়ে দেয়নি। নিহত ভুট্টোর পরিবার বিচ্ছিন্ন পা টি ফিরে পেতে চাই।

    টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে নুরুল হক ভুট্টো হত্যা মামলার আসামি জাফর আলমের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম(২০) ইউনুচ আলমের পুত্র মোঃ শাকের (২২) নাফাইংগা প্রকাশ লেডুর পুত্র রমজান আলী (২৮)সহ আরো একজন কে আটক করে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করেছি। তবে এ অভিযান চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
    স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন,
    মূল হত্যা কারিদের আইনের আওতায় আনা না গেলে উক্ত এলাকায় পূণরায় সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে ।

    উল্লেখ্য গেল রবিবার আসরের নামাজের পর সাবরাং ইউনিয়ন এলাকা হতে একটি বিচার সালিশের বৈঠক শেষে ভুট্টোসহ তার আত্মীয়স্বজনরা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
    বড় হাবিবপাড়া আওতাধীন থানার ডেলের মসজিদ
    নামক স্থানে মসজিদের কাছে পৌঁছালে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী একরাম ও আব্দুর রহমান,রিদওয়ানের নেতৃেত্ব সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ঘেরাও করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ আরকান সড়কের উপর তাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
    নিহত নুরুল হক ভুট্টো নিজের প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়লে ও বাঁচতে পারিনি পারিনি নিহত নুরুল হক ভুট্টো।
    প্রথমে তারা নিহত নুরুল হক ভুট্টোকে দা কিরিস দিয়ে কুপিয়ে তার দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
    পরে মাথায় গুলি, বুকে ও দুই হাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তার আত্মীয়স্বজনদের উপর ও এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।
    তখন তারা নিজেদের প্রাণরক্ষার্থে নিহত নুরুল হক ভুট্টো কে একা রেখে পালিয়ে যায়।
    নিহত নুরুল হক ভুট্টোও একরাম বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হওয়া ভুট্টোর আত্মীয়-স্বজনদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে।
    উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে
    যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢেলে পড়ে নুরুল হক ভুট্টো।