Category: রংপুর

  • তিল তিল করে জমানো অর্থ নিয়ে উধাও রুহুল আমিন: গ্রাহকদের আহাজারি

    তিল তিল করে জমানো অর্থ নিয়ে উধাও রুহুল আমিন: গ্রাহকদের আহাজারি

    আবির আহমেদ হামিদ – রংপুরঃ

    পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়ন পরিষদের মনুরছড়া গ্রামের আমান উল্লহের পুত্র রুহুল আমিনের (৪০) উদ্যোগে ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে একটি এনজিও *এমআরএ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ*। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের ০৯ তারিখে যা সরকারীভাবে নিবন্ধিত – যার নিবন্ধন নং – গভঃ রেজিঃ নং – ৬৫/২০১৬। শর্তানুসারে সদস্যগণ সর্বোচ্চ দুই কিস্তিতে ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা বা তার বেশি জমা রাখিলে প্রতি মাসে লাখে-১৫০০/- (পনেরশত) টাকা মুনাফা পাওয়ার চুক্তিতে ১৭ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন সদস্য মিলে প্রায় ১৮২৬৪০০/- (আঠারো লক্ষ ছাব্বিশ হাজার চার শত) টাকা জমা করলে – কিছুদিন চুক্তি অনুসারে মাসিকভাবে মুনাফা প্রদান করিলেও পরবর্তীতে আর মুনাফা পরিশোধ করে নাই। অতপর সদস্য গণ টাকা উত্তোলনের জন্য অফিসে বার বার ধর্না দিলেও কোন প্রকার সুরাহা পান নি। আজ কাল আগামী তারিখ বলিয়া কাল ক্ষেপণ করিতে থাকিলে সদস্যগণ কুল কিনারা না পাইয়া তাহারা বিগত ০৪/০৭/২২ইং তারিখে স্থানীয় পারু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। চেয়ারম্যান সাহেব অভিযোগ আমলে নিয়ে সমাধানের জন্য উদ্যোক্তা এবং তাহার সহযোগীগণকে ডাকিয়া নোটিশ পাঠাইলে তাহারা চেয়ারম্যানের নিকট উপস্থিত হন নাই। অবশেষে কুল-কিনারাহীণ হয়ে সদস্যগণ গত ০৮/১০/২২ ইং বিজ্ঞ আদালতের স্মরনাপন্ন হয় এবং মোঃ আফজাল হোসেন (৪৫) বাদী হইয়া অন্যান্য সদসগণকে সাক্ষী মানিয়া উদ্যোক্তা রুহুল আমিন গং কে আসামী করে দঃবিঃ ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় মামলায় করেন – যার মামলা নং – সিআর -৪৩৮/২০২২ইং।

    আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করিলে – উদ্যোক্তা অর্থাৎ ১নং আসামী রুহুল আমিনে বড় ভাই ২ নং আসামী জহুরুল ইসলাম (৫০) জানান – উদ্যোক্তা রুহুল আমিন ব্যবসায় লোকসান করিয়া প্রায় ছয়মাস যাবত ঢাকায় অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় সদস্যগণ নিয়মিত হুমকি ধামকি দিচ্ছেন – অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের করার অভিযোগ করেন উদ্যোক্তার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন – “আমাকে তারা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েন। কারন আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন প্রকার সম্পৃক্ত ছিলাম না।”

    জহুরুল ইসলাম আরও বলেন – তারা অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতেছে – যে কোন সময় মামলা করা হতে পারে।

    (বাদী এবং সাক্ষীগণও স্বীকার করেন যে – জহুরুল ইসলাম ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন ভাবেই যুক্ত ছিলেন না। তবে রুহুল আমিনের নিকট পাওনা অর্থ আদায় করতে গেলে জহুরুল ইসলাম তাদেরকে নানান প্রকার আক্রমনাত্মক কথা বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে – আর সেজন্যই তাহাকে আসামি করেছেন। তবে লুটপাটের বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বলিয়া দাবী করেন সদস্যগণ।)

    সদস্য গণের অর্থ জমার একটি নির্ভরযোগ্য প্রমান আমাদের হাতে আসে – সদস্য আবজাল হোসেন (হিসাব নং – ৩২২) দুই কিস্তিতে ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা জমা করে – ২০০০০/- (বিশহাজার) উত্তোলন করে ৮০০০০/- (আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন এবং আরও ৯৯০০/- (নয়হাজার নয়শত) টাকা মাসিক কিস্তিতে জমা রাখেন। আরেক সদস্য আরজিনা (হিসাব নং-৩০০) চার কিস্তিতে মোট ৩০০০০/- (তিনলক্ষ) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য রুমানা (হিসাস নং- ৪০৪) দুই কিস্তিতে মোট ৬৫০০০/- (পয়ষট্টি হাজার) টাকা জমা রাখেন। অন্য এক সদস্য আমির হামজা (হিসাব নং- ১৩৯) ১৭৫০০০/- (একলক্ষ পচাত্তর হাজার) টাকা জমা রাখেন। অন্য এক সদস্য শরিফুল ইসলাম (হিসাব নং – ৪০০) ১৮০০০০/- (একলক্ষ আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য আছিয়া বেগম ( হিসাব নং- ৩৯১) ১০০০০০/- (একলক্ষ) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য নুর জাহানেী (হিসাব নং – ২৮৫) মোট স্থিতি – ৪৮০০০০/- (চারলক্ষ আশিহাজার) টাকা মাত্র। আরেক সদস্য জরিনা ( হিঃ নং – ৩৬৮) ৫০০০০/- (পঞ্চাশহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য মোতালেব হোসেন (হিঃ নং – ৪০৫) ১৮০০০০/- (একলক্ষ আশিহাজার) টাকা জমা রাখেন। আরেক সদস্য নুর হোসেন (হিঃ নং – ২২৬) ৫৫৪৪০/- (পঞ্চান্ন হাজার চারশত চল্লিশ) টাকা জমা রাখেন। মোট ১৭ সদস্যের মধ্যে ১১ সদস্যের মোট জমাকৃত টাকার পরিমান দাঁড়ায় ১৮২৬৪৪০/- (আঠারো লক্ষ ছাব্বিশ হাজার চার শত চল্লিশ) টাকা মাত্র।

    পুরো অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করে উদ্যোক্তা অর্থাৎ রুহুল আমিন পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ সকল সদস্যদের। সদস্যদের দাবী তারা তাদের জমাকৃত অর্থ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফেরত পান। আসামি রুহুল আমিনের সঠিক বিচার দাবি করেন তারা।

  • রংপুরে প্রাণিসম্পদ পরিচালকের ঝুলন্ত মরদেহ

    রংপুরে প্রাণিসম্পদ পরিচালকের ঝুলন্ত মরদেহ

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আকন্দের (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
    মঙ্গলবার (২১ জুন ) দুপুরের দিকে স্টেশন রোডে জামাল মার্কেটের বিপরীতে প্রাণিসম্পদ অফিসের তৃতীয় তলায় একটি রুমের বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আকন্দের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায়। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান বগুড়ায় থাকেন।

    পুলিশ ও অফিসের কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আকন্দ চলতি বছরের মার্চ মাসে এখানে বদলি হয়ে আসেন। এরপর থেকে তিনি তার বিভাগীয় কার্যালয়ের পাশেই জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় একটি রুমে থাকতেন।
    অফিস পিয়ন আরো জানায়, আজ সকালে স্যারের দেরি দেখে তাকে ডাকতে যাই। এ সময় দরজা খোলা অবস্থায় ভেতরে ঢুকে বাথরুমে ঝর্ণার সঙ্গে গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করলে অন্যরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন।

    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। তার মৃত্যুর ব্যাপারে এখন কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবে অফিস এবং পারিবারিক সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

  • পরিশ্রমই এনে দেয় সফলতা পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই, তৌহিদ হোসেন

    পরিশ্রমই এনে দেয় সফলতা পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই, তৌহিদ হোসেন

    শরিফা বেগম শিউলী:- স্টাফ রিপোর্টার,

    স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও গুনীজন সম্মাননা পেলেন তরুন উদ্দোক্তায় সেরা কর দাতা পর পর ৪ বারের মোঃ তৌহিদ হোসেন আশরাফী সোমবার (২০ জুন) রংপুর টাউনহল মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলছিলেন নিজের জীবনের সফলতার গল্প। মোঃ তৌহিদ হোসেন আশরাফী তার ফেলে আসা কষ্টের দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে বলেন, এমনও দিন গেছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই কাজ করতে হয়েছে।

    বাকি সময়টা ঘুমসহ অন্য কাজ করেছি। অসংখ্য নেশাগ্রস্ত লোকের সাথে হেঁটেছি, কিন্তু জীবনে কোনো দিন একটি সিগারেটও মুখে নিইন।চিন্তা করেছি যদি পরিশ্রম করে যাই আর লক্ষ ঠিক রাখি তাহলে সফলতা একদিন আসবেই। কঠোর পরিশ্রম করার কারণে সফলতা আসতে বেশীদিন লাগেনি।

    তিনি বলেন, ছিলাম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মটর সাইকেল পাটস দিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা। গড়ে উঠেছে সুমি অটো সেন্টার, রয়্যালটি মেগামলের কয়েকটি শাখা, তাওহীদ ব্যাটারি ইন্ট্রাটিস, আশরাফী ছাত্র নিবাস, সুমি এন্টারপ্রাইজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।ভাবতে অবাক লাগে এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে প্রায় ৩৫০জনের মত মানুষ। আমার সম্পদ বাড়ার সাথে সাথে তাদের সংসারও চলছে আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।

    তিনি বলেন, সফল হতে হলে প্রথমে দরকার সততা। তারপর সঠিক লক্ষ এবং তা বাস্তবায়ন করার স্পৃহা ও কঠোর পরিশ্রম। যদি কেউ সুশিক্ষিত হয় এবং লক্ষ ঠিক করতে পারে তাহলে অবশ্যই সে সফল হবে। অন্যরা বিশ্বাসঘাতকতা করলেও নিজের কাজ আর পরিশ্রম নিজের সাথে কখোনোই বিশ্বাসঘাতকতা করেনা। পরিশ্রম অবশ্যই সফলতা এনে দেবে।

    বিকাল ৫ থেকে রাত ৮ টা পরযন্ত অনুষ্ঠানে ফরহাদুজ্জামান ফারুকের সঞ্চলনায় ও মাহাবুবার রহমান হাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুল ওহাব মিঞা, বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর বিভাগ, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাহমুদুর রহমান টিটু, প্যানেল মেয়র রংপুর সিটি কর্পোরেশন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উজ্জ্বল কুমার রায় উপ- পুলিশ কমিশনার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ রংপুর, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রংপুর, মোঃ সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রংপুর, মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সভাপতি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ, রংপুর, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নেতৃবৃন্দ।

  • রংপুরে রয়্যালটি টি-২০ কাপের উদ্বোধন

    রংপুরে রয়্যালটি টি-২০ কাপের উদ্বোধন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন ও পৃষ্টপোষকতায় রয়্যালটির মতো অন্য প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। রোববার (১২ জুন) বিকেলে রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে রয়্যালটি টি-২০ কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

    সিটি মেয়র বলেন, আমাদের রংপুর এগিয়ে যাচ্ছে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সব ক্ষেত্রে আমাদের ছেলেমেয়েদের একটা অবস্থান তৈরি হচ্ছে। আজকে বাংলার চোখ, রয়্যালটি মেগামল ও রংপুর ক্রিকেট একাডেমি যেভাবে খেলাধুলার মানোন্নয়নসহ তরুণদের বিকশিত করতে এগিয়ে এসেছে, এটা প্রসংশার দাবি রাখে। শুধু দু-একজন নয়, ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন ও পৃষ্টপোষকতায় রয়্যালটির মতো অন্য প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আমি আহ্বান করছি। সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করতে পারলে রংপুর আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলার পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ আজাদ, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক চায়না চৌধুরী, রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু।

    আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ হিরু, আইজিএস একাডেমির চেয়ারম্যান সেরাফুল ইসলাম হিমেল, রংপুর ক্রিকেট একাডেমির চেয়ারম্যান শাকিল রায়হান, বাংলার ও তানবীর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তানবীর হোসেন আশরাফী, রয়্যালটি মেগামল ও তাওহিদ ব্যাটারী ইণ্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান তৌহিদ হোসেন আশরাফী, রূপকথা থিম পার্ক ও ফুড কর্ণার মোস্তাক হোসেন শিমুল, রংপুর মহানগর দোকান মালিক সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল হালিম বুলু। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলার চোখের সহ সভাপতি মাহমুদুন নবী বাবুল।

    বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রয়্যালটি টি-২০ কাপের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পীরা।

    প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া র‌য়্যালটি টি-২০ কাপে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার দল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দলসহ মোট ৩৬টি দল অংশ নিচ্ছে। সোমবার উদ্বোধনী দিনে চারটি ম্যাচ রয়েছে। এর মধ্যে উদ্বোধনী খেলায় সকাল নয়টায় মাঠে নামবে বরিশাল একাদশ বনাম বিশ্ব একাদশ। ##

  • রংপুরে এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার ফারুক ও শিউলী

    রংপুরে এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার ফারুক ও শিউলী

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুরে ‘সেরা রিপোর্ট প্রতিযোগিতায়’ সপ্তম সপ্তাহের সেরা রিপোর্ট নির্বাচিত হয়েছে ভিজুয়াল ক্যাটাগরিতে ঢাকা পোস্টের ফরহাদুজ্জামান ফারুক ও প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে দৈনিক নবচেতনা’র শরিফা বেগম শিউলী।

    এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্ট ভিজুয়াল ক্যাটাগরিতে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত ‘তোমরা আমাকে বাঁচাও, আমি তোমাদের শ্যামা’ ও প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে নবচেতনা ও প্রথম খবরে প্রকাশিত ‘প্রতিদিন বাড়ছে ঔষধের দাম ভোগান্তিতে রোগিরা’ শিরোনামে রিপোর্ট দুটি দুই ক্যাটাগরীতে সেরা হিসেবে নির্বাচন করেছেন জুরি বোর্ড।

    জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি হালিম আনছারী, সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক রতন সরকার, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক একাত্তর টিভির ব্যুরো প্রধান শাহ বায়েজিদ আহমেদ ও বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বাবলা।

    শনিবার ( ১১ জুন) রাত ৮টায় রিপোর্টার্স ক্লাবের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিদের মধ্যে থেকে সেরা দুটি রিপোর্ট নির্বাচন করে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের হাতে বিজয়ী প্রাইজবন্ড তুলে দেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।

    রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুর ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম -বিএমএসএফ রংপুর জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিকদের রিপোর্টিং মানোন্নয়নে প্রতি সপ্তাহের সেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ড তাদের রিপোর্টের মধ্য থেকে সেরা নির্বাচিত করেন। এ সপ্তাহে নিজেদের রিপোর্ট সেরা হিসেবে স্থান পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজয়ীরা।

    জুরি বোর্ড ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, রিপোর্টার্স ক্লাব ও বিএমএসএফ এর এই উদ্যোগ গণমাধ্যমের নবীন কর্মীদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশে নিজেদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবে। আশা ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, এই দুই সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে আরও নতুন নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে রংপুরের সাংবাদিকতাকে একটি আরাদ্ধ স্থানে নিয়ে যাবে। এই উদ্যোগে রংপুরে কর্মরত যেকোন সংবাদকর্মী অংশ নিতে পারবেন বলেও জানান তারা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরিফা বেগম শিউলী, বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম জয়, রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুর এর কোষাধ্যক্ষ এবং বিএমএসএফ রংপুর জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য আমিরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য এসএম ইকবাল সুমন, সাংবাদিক বর্ণালী জামান বর্ণা, রবিন চৌধুরী রাসেল, মাহমুদুর রহমান বিপ্লবসহ রিপোর্টার্স ক্লাব ও বিএমএসএফ এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।##

  • প্রতিদিন বাড়ছে ঔষধের দাম,ভোগান্তিতে ক্রেতা ও দোকানদার

    প্রতিদিন বাড়ছে ঔষধের দাম,ভোগান্তিতে ক্রেতা ও দোকানদার

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুরে ঔষধের পাতার গায়ে নির্ধারিত মূল্য না থাকায় দোকানদার ও ক্রেতাদের মাঝে ভোগান্তি বেড়ে গেছে। জীবন বাঁচাতে ঔষুধের প্রয়োজন অপরিহার্য। কিন্তু ঔষধ কিনতে গেলে বিভিন্ন ভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের। ঔষুধের মূল্য তালিকা না থাকায় ক্রেতা ও সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না, কোনটার দাম কতো ।

    এদিকে যে কোন মানুষের রোগ হলেই চিন্তার শেষ থাকে না। একটু শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ ফি সর্বনিম্ন ৭শ থেকে ১হাজার টাকা পযর্ন্ত দিতে হয়। ডাক্তাররা বিভিন্ন টেস্ট করিয়ে প্রেসক্রিপশন ভর্তি করে ঔষধ লিখে দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করে দেন। আর সেই প্রেসক্রিপশন দিয়ে ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনতে গেলে, একেক সময় একেক রকম বিল দেওয়া লাগে । যা কোন দোকানের সাথে অন‍্য কোন দোকানের বিলের মিল থাকে না।

    কয়েকজন ঔষুধের দোকানদারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রায় প্রতিদিন ওষুধের দাম বাড়াতে আমাদের ও জনসাধারণের মাঝে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। কেন বা কি কারণে ঔষধের দাম বাড়াচ্ছে আমরা দোকানদার’রা কেউ কিছুই জানিনা । নোটিশ ছাড়াই আমাদের কাছে ঔষধের দাম বেশি নিচ্ছে কোম্পানি। ক্রেতারা ঔষুধ কিনতে এসে দাম শুনে বলে গতকাল কিনলাম একদাম আজকে আর এক দাম কেন?? কাল ছিলো ৭টাকা আর আজ হইলো ৮টাকা তর্কে জড়িয়ে পড়ায়, প্রায় সময় লস করে ওষুধ বিক্রি করতে হয় আমাদের। কোম্পানিগুলো ঔষদের দাম বাড়িয়ে কখন বন্ধ করে আর কখন সাপ্লাই দেয় বোঝা বড় দায়।

    কোন কোন কোম্পানি আছে বন্ধ হইলে নোটিশ প্রদান করে, আবার কিছু কোম্পানি আছে অনেক দিন বন্ধ রেখে আবার ওষুধ সাপ্লাই দেয়। তাতে করে ক্রেতাদের সাথে আমাদের ঝগড়া লেগে যায়। যেমন করোনাকালীন সময় থেকে প্যারাসিটামলসহ আরো কিছু ওষুধ আমাদের প্রয়োজন যদি হয় ১০ প্যাকেট কিন্তূ কোম্পানি দেয় এক প্যাকেট। ক্রেতাদের ওষুধ দিতে না পারলে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ থাকলেও কোম্পানি আমাদেরকে দেয়না। সেক্ষেত্রে আমরা বার বার ভোগান্তির শিকার হই ক্রেতাদের কাছে। বিক্রি করলেও দোষ আমাদের, না করলেও দোষ আমাদের। আমাদের দেশে কোন আইন নাই, ঊর্ধ্বগতি জিনিসের দাম বাড়তেই পারে, পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর কমে না। তাতে করে দ্বিগুণ লাভবান হয় কোম্পানি।

    এব্যাপারে ওষুধ ক্রেতা আজিজার রহমান (৬২) বলেন, ওষুধের দাম তো অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে। যেকোন ঔষধ নিতে যাবেন যে দাম, আমরা গরীব মানুষ, ওষুধের দাম বেশি হওয়ার আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। দুই দিন আগে কিনেছি একদাম আজকে আসি শুনি আর একদাম । দোকানদার বলে কোম্পানি বন্ধ সাপ্লাই কম তাই দাম বেশি।মূর্খ মানুষ পড়াশোনা করেছি অল্প। কোম্পানি দাম বাড়ায় না দোকানী বাড়ায় আমি তো কিছু বুঝি না। সরকারের কাছে আমার আবেদন সব কোম্পানির ঔষধ যদি নির্ধারিত মূল্য তালিকা দোকানে থাকতো তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হইতো।

    ঔষধ কেনার সময় কাজল মিয়া (৩০) বলেন, ওষুধ বিক্রেতা এরা মোটামুটি একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এরা সংঘবদ্ধ গ্রুপের মতো, দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করে, আগে যেমন এমআরপির পরেও আমাদেরকে অনার করে ১০% বা ৫% কম রেটে দিতো। এখন কিন্তু তারা এটা দিচ্ছে না। কারণ দোকানদারদের একটা ইউনিয়ন/সমিতি থাকে কোন দোকানদার যদি কমিশনে ছাড় দিয়ে ঔষধ দেয়। তাহলে সেই দোকানের কর্মচারীদের একটা পানিশমেন্ট হয়। আবার কিছু কিছু পরিচিত লোকের কাছে আড়াল করে কমিশনে দিচ্ছে।তাতেকরে কেউ সুবিধা পাচ্ছে কেউ পাচ্ছে না। আমি চাই আগের মতো কমিশন দিয়ে যদি ক্রেতাদের সহনীয় একটা দামের মধ্যে রাখে তাতে করে সকলের জন্য সুবিধা হবে।

    আরো এক ক্রেতা স্বচল হোসেন (৩২) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইদানিং দেখা যাচ্ছে, ওষুধের দোকান গুলোতে কোন ছাড় দিচ্ছে না। এমআরপি লেখা থাকার পরেও বেশি দাম নিয়ে ঔষধ দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে গ্রাম থেকে সাদামাটা লোকগুলো রংপুর হাসপাতালে আসে কিছু বোঝেনা। তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু দোকানদার ঔষধ ও সার্জিক্যাল জিনিস পত্রের দাম বেশি নিচ্ছে এতে করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দূর দুরন্ত থেকে আসা গরিব মানুষ গুলো।

    বিশেষ করে গরীব অসহায় ক্রেতাদের জন্য খুবই কষ্ট সাধ‍্য হয়ে পড়েছে, অনেক গরীব অসহায় জটিল রোগগ্রস্ত রোগীরা টাকার অভাবে অভিমান করে ওষুধ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকেন। ওষুধের গায়ে মূল্য সংযোজন না করার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। সব ওষুধের গায়ে মূল্য দেওয়া থাকলে, দোকানীরা ইচ্ছে মত বিল নিতে পারবে না। ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের দাবি যেসকল ঔষধের পাতার গায়ে মূল্য লেখা নেই, সেসব ওষুধের গায়ে মূল্য সংযোজন করা হোক।

    বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগস এর কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও রংপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফ এলাহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু ঔষধের দাম বাড়াতে কেমিস্টদের ও ক্রেতাদের মাঝে ভুল বুঝাবুকঝি সৃষ্টি হয়। নোটিশ ছাড়াই ওষুধের দাম বাড়ায় ঔষধ শিল্প সমিতি। তাতে আমাদের মধ্যেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে আমরা দফায় দফায় আবেদন দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঔষধ শিল্প সমিতির সাথে বসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা এখনো কোন সিডিউল দেয়নি। আমরা চেষ্টায় আছি বসে আলোচনা করে দেখি কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

    এদিকে রংপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন ওষুধ কোম্পানির কোন প্রোডাক্ট এর দাম বাড়লে সেটা আমাদের হেড অফিস নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয়ভাবে যদি কোন কেমিস্ট প্রোডাক্টের দাম বাড়ায়। আমরা তাদেরকে করে অভিযানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।##

  • রংপুর জেলা বাংলাদেশ কংগ্রেস পক্ষে থেকে গভীর শোক প্রকাশ

    রংপুর জেলা বাংলাদেশ কংগ্রেস পক্ষে থেকে গভীর শোক প্রকাশ

    এম এ হোসেন পাটোয়ারী স্টাফ রিপোর্টার

    চট্রগ্রাম সীতাকুণ্ড ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড়তে হাত, পা, দেহ পুড়ে যাওয়া মানুষ গুলো বিবরণ কান্নায় ভেঙে যায় বুকের পাজর মোঃ সিরাজুল ইসলাম সদস্য সচিব বাংলাদেশ কংগ্রেস রংপুর জেলা কর্মিটি পক্ষে থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

    সরকার শুধু রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তুু অন্যান্য অধিকাংশ ক্ষেএরে উন্নয়নে সরকারের কোন কার্য়কর নেই।যার ফলে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা হচছে সঠিক কারণ তদন্ত করে বের করতে হবে এবং তাদের কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।

  • রংপুর পীরগাছায় প্রধানমন্ত্রী কে হত্যা হুমকি ও কোটুক্তি করা প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

    রংপুর পীরগাছায় প্রধানমন্ত্রী কে হত্যা হুমকি ও কোটুক্তি করা প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

    এম এ হোসেন পাটোয়ারী- স্টাফ রিপোর্টার,

    বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী দেশরন্ত জননেএী শেখা হাসিনাকে নিয়ে হত্যার হুমকি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল হয়

    পীরগাছায় উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান সড়কে সমূহ প্রদক্ষিণ শেষে বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
    সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পীরগাছা উপজেলা সভাপতি জনাব তছলিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক জনাব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ যুবলীগ শুমিক লীগ কৃষক লীগ ছাএলীগ এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।

  • রংপুরে মিথ্যা মামলাবাজ ভূমিদস্যু মিন্টু ও সাফীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    রংপুরে মিথ্যা মামলাবাজ ভূমিদস্যু মিন্টু ও সাফীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    শরিফা বেগম শিউলী -স্টাফ রিপোর্টার,

    রংপুর জেলা গংগাচড়া উপজেলার ৮ নং আলমবিদিতর ইউনিয়নের মিথ্যা মামলাবাজ ভূমিদস্যু আব্দুল রহমান মিন্টু ও তার ছেলে মেহেদী হাসান সাফীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী বৃন্দ।

    সোমবার (৩০ মে ২২) দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় সুমি কমিউনিটি সেন্টারে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করে।

    সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা দুইভাই সােহেল ও জুয়েল, বাড়ি আলম বিদিতর গঙ্গাচড়া রংপুর। আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের আব্দুর রহমান মিন্টু (৫৫)পিতা-মৃত জমসের আলী, ও তার ছেলে মেহেদী হাসান শাফি, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সয়ড়াবাড়ী আলমবিদিতর ফুলবাড়ী চওড়ায়, আমাদের জমির পার্শ্বে তাদের চাষাবাদের জন্য বিএডিসি সেচ পাম্প থাকায় তারা প্রতি মৌসুমে আমাদের আবাদি ক্ষেত নষ্ট করে এবং সেচের পানি দ্বারা ফসলাদি নষ্ট করে ফেলে।

    গত ১৯/০৩/২০২২ তারিখে সকাল বেলা আমাদের জমিতে লাগানো তামাক ক্ষেত আমার বড় ভাই সােহেল মিয়া দেখতে গেলে। সেখানে দেখতে পায় আমাদের ২০ শতাংশ জমির তামাক ক্ষেত পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে তাদের বিষয়টি অবগত করলে। তারা তাৎক্ষণিক ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি, বল্লম, সুরকীসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।

    এ অবস্থায় এলাকাবাসীর হস্তেক্ষেপে আমরা বিপদমুক্ত হয়ে চলে আসি। পরবর্তীতে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা সয়ড়াবাড়ি বাজারে গেলে সোহেল ও তার ছােট ভাই জুয়েলকে বেধড়ক মারপিট করে আব্দুর রহমান মিন্টু, তার ছেলে মেহেদী হাসানসহ তাদের অজ্ঞাত লােকজনেরা। মারামারির এক পর্যায়ে সােহেলকে, মেহেদী হাসান ধারালাে ছোরা দিয়ে মাথা বরাবর মারার উদ্দেশ্যে চোট মারলে সােহেলে ডান হাত দ্বারা নিজেকে বাঁচাতে হাত উঁচু করলে উক্ত ছােরার চোট তার ডান হাতে লেগে যায় এবং গুরুতর আহত হয় এবং একই সংগে জুয়েলের মাথা বরাবর আব্দুর রহমানের ভাগিনা এরশাদুল চোট মারিলে ডান কানের নিচে চোট লেগে গুরুতর আহত হই। এ অবস্থায় উপস্থিত লােকজনের সহায়তায় সােহেল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে,ও কাটা জায়গা সেলাই করে। জুয়েলকে স্থানীয় বাজারে চিকিৎসা নেয়। পরবর্তীতে আমরা গংগাচড়া থানায় গিয়ে এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার করি, যা থানায় গ্রহণ করেননি, ফলে নিরুপায় হয়ে কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেই। পরবর্তীতে কোর্ট আবার থানাকে মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেয়। মামলা নং- সি আর ১১/৭৭

    তিনি আরো বলেন, আমার দুইভাই লিপটন, লিখন ও আমাদের প্রতিবেশি চাচা আশরাফুল আলম রিপন এই ঘটনার সাথে কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকার ফলেও তাদেরকে আব্দুর রহমান মিন্টু গং ওই মামলায় আসামী করেন।

    ঘটনাস্থলে গংগাচড়া সার্কেল ‘এ আরিফজ্জামান আরিফ উপস্থিত হয়ে আশরাফুল আলম রিপন এ ঘটনার সাথে জাড়ত ছিল না মর্মে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়ার পরামর্শ দেন এস আই ফারুক আহম্মেদকে।

    এই আব্দুর রহমান মিন্টু ও তার ছেলে মেহেদি হাসান সাফীর বিরুদ্ধে গংগাচড়া থানায় এবং কোর্টে তারা কখনো বাদী আবার কখনো আসামি এরকম প্রায় ৭২ থেকে ৭৫ টা মামলা আছে।এ বিষয়ে গংগাচড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন মামলাটি আমাদের সিনিয়র স্যার এ সার্কেল দেখতেছেন। আপনি ওনার কাছে ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তবে আমার জানা মতে মামলাটির তদন্ত চলমান আছে।##

  • পীরগাছায় কাচা মাল ব্যবসায়ী কে কুপিয়ে হত্যা আটক ২ জন্য

    পীরগাছায় কাচা মাল ব্যবসায়ী কে কুপিয়ে হত্যা আটক ২ জন্য

    পীরগাছা প্রতিনিধি,

    রংপুরের পীরগাছা কাঁচামাল ব্যবসায়ী কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে১১টায় অনন্তরাম সরকারটারি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম দেলোয়ার হোসেন(৪০)

    নিহত দেলোয়ার সবুর উদ্দিনের ছেলে।ঐ রাতেই পীরগাছা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করে।
    নিহতের পরিবার জানায় শুক্র বার রাতে ১০ টা ৩০ মিনিটে দেলোয়ার কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পাশের বাড়ির মৃত আ.সামাদের ছেলে ফারুক হোসন। হঠাৎ করে দেলোয়ারের চিৎকার শুনে আশেপাশে এবং তার পরিবারের লোকজন ছুটে আসে।তখন ৭থেকে ৮ জন দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    তার পরিবারের থেকে জানা যায় পীরগাছা কাঁচামাল দোকানের জায়গা নিয়ে ফারুকের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দণ্ড চলে আসতেছিলো এবং ফারুক তাকে ডেকে নিয়ে যায়
    আজ শনিবার সকালে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল সি) এবং পিবিআই এর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন।

    রংপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল সি) আশরাফুল আলম পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় বেশ কিছু প্রমান পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত কাজ করছে। শীঘ্রই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা আইনের আওতায় আসবে।