Category: রংপুর

  • মানববন্ধনে শত শত মানুষের অভিযোগ, স্কুলছাত্র নাহিফুল হত্যাকারীদের বাঁচাতে চাইছে পুলিশ

    মানববন্ধনে শত শত মানুষের অভিযোগ, স্কুলছাত্র নাহিফুল হত্যাকারীদের বাঁচাতে চাইছে পুলিশ

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    রংপুরের পীরগঞ্জে ষষ্ঠশ্রেণির ছাত্র নাহিফুল হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ রক্ষার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে নিহত স্কুলছাত্রের গ্রাম চৈত্রকোলে শত শত নারী-পুরুষ সোমবার দুপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের মাধ্যমে জড়িত সকলের কঠোর শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন করেন তারা।

    ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, হত্যার পর ৪ দিন ধরে নাহিফুলের লাশ গুমের জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে অবশেষে নিজের বাড়ির একটি গভীর নলকূপের ঘরে পুঁতে রাখা হয়। এই অপরাধে সামিউল নামে ১২ বছরের আরেকটি ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে একা একাজ করতে পারে না বলে সবাই বিশ্বাস করলেও পুলিশ অন্যদের বাঁচাতে সামিউলকে একমাত্র আসামী করে দ্রুত চার্জশিট দিয়ে অন্যদের বাঁচাতে চাইছে বলে অভিযোগ করছেন তারা।

    মামলায় অন্যদের আসামী করতে পুলিশ বাঁধা দিয়েছে এমনকী রক্তমাখা বস্তাসহ বিভিন্ন আলামত নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের বিরুদ্ধে আলামত হিসেবে সেসব গ্রহণ না করার অভিযোগ তাদের। লাশের সঙ্গে একটি মোবাইলফোন পাওয়া গেছে, সেই মোবাইলটি কার সেকথাও পুলিশ গোপন করছে বলে অভিযোগ করছেন নাহিফুলের বাবা-মাসহ তার পরিবার।
    গত ২৩ এপ্রিল নাহিফুল ইসলামকে প্রতিবেশী আব্দুস সালামের ছেলে সামিউল ইসলাম বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেদিন থেকেই নাহিফুল নিখোঁজ ছিল। ২৬ এপ্রিল রাতে সামিউলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল ভোরে উপজেলার চৈত্রকোলের পালগড়গ্রামে একটি গভীর নলকূপের ঘরের মাটি খুঁড়ে নাফিউলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্কুলছাত্র নাহিফুল হত্যা ও গুমের অভিযোগে গ্রেফতার সামিউলকে বুধবার (২৭ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ঐদিন নিহত নাফিউলের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করা হয়। আদালতে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন সামিউল।
    পুলিশ জানায়, নিখোঁজ হওয়ার দিন নাহিফুল ও সামিউল পালগড় মাদরাসায় গিয়ে গল্পগুজব করে। এরপর তারা দুজন মিলে কলোনি বাজারে যায় এবং খিচুড়ি খায়। খিচুড়ি বিল দেওয়ার সময় নাহিফুলের মানি ব্যাগে অনেক টাকা দেখে সামিউল। টাকা দেখে তা কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। রাত ১১টার দিকে নাহিফুলকে তার শ্যালো মেশিন ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সে কৌশলে নাহিফুলকে চেতনানাশক খাইয়ে অজ্ঞান করে।
    সামিউল জানায়, এরপর সে ঘরে থাকা ফিতা দিয়ে নাহিফুলের গলায় পেঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার পকেটে থাকা ৮৯০ টাকা ও হাতঘড়ি লুট করে নেয়। এরপর শ্যালো মেশিনের কোদাল দিয়ে গর্ত করে এবং মরদেহ গর্তের মধ্যে পুঁতে রাখে। পরে মাটি চাপা দিয়ে সে হাত মুখ ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ৮টার দিকে সে বাসায় ফিরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে।
    পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সামিউলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নাহিফুল হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। সামিউলের তথ্যর ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তার নিজের বাড়ির অগভীর নলকূপ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা নাহিফুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তৌহিদুল ইসলাম উপজেলার শাল্টি পশ্চিমপাড়ার নুর আলমের ছেলে। সে স্থানীয় শাল্টি শমস দীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।


    এ ব্যাপারে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রমেক (রংপুর মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।##

  • রংপুরে এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার ফারুক ও হারুন

    রংপুরে এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার ফারুক ও হারুন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    রংপুরে চতুর্থ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার নির্বাচিত হলেন প্রিন্ট-অনলাইন ক্যাটাগরিতে দৈনিক দাবানল’র প্রধান প্রতিবেদক, আজকালের খবর’এর রংপুর ব্যুরো প্রধান, ঢাকা পোস্ট’র নিজস্ব প্রতিবেদক এবং রংপুর প্রেস ক্লাবের সদস্য ফরহাদুজ্জামান ফারুক এবং ভিজুয়ালে আপডেট টিভি’র নিজস্ব প্রতিবেদক হারুন অর রশিদ হারুন।

    এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্ট প্রিন্ট-অনলাইনে ‘মেয়র কাউন্সিলর হামার লোক, তাও ব্রিজের কাম শেষ হয় না’এবং ভিজুয়ালে ‘ড্রেন আছে শ্লাব নেই, মরণ ফাঁদ পথচারীদের’শিরোনামে রিপোর্ট দুটি দুই ক্যাটাগরীতে সেরা হিসেবে নির্বাচন করেছেন জুরি বোর্ড।

    জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি হালিম আনছারী, সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক রতন সরকার, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক একাত্তর টিভির ব্যুরো প্রধান শাহ বায়েজিদ আহমেদ ও বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বাবলা।

    শনিবার ( ২১ মে) রাত ৮ টায় রিপোর্টার্স ক্লাবের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিযোগিদের মধ্যে থেকে সেরা দুটি রিপোর্ট নির্বাচন করে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের হাতে বিজয়ী প্রাইজবন্ড তুলে দেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।

    রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুর ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম -বিএমএসএফ রংপুর জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিকদের রিপোর্টিং মানোন্নয়নে প্রতি সপ্তাহের সেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ড তাদের রিপোর্টের মধ্য থেকে সেরা নির্বাচিত করেন। এ সপ্তাহে নিজেদের রিপোর্ট সেরা হিসেবে স্থান পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজয়ীরা।

    জুরি বোর্ড ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, রিপোর্টার্স ক্লাব ও বিএমএসএফ এর এই উদ্যোগ গণমাধ্যমের নবীন কর্মীদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশে নিজেদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবে। আশা ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, এই দুই সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে আরও নতুন নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে রংপুরের সাংবাদিকতাকে একটি আরাদ্ধ স্থানে নিয়ে যাবে। এই উদ্যোগে রংপুরে কর্মরত যেকোন সংবাদকর্মী অংশ নিতে পারবেন বলেও জানান তারা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরিফা বেগম শিউলী, বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম জয়,
    বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম জাকির হুসাইন, রিপোর্টার্স ক্লাব, রংপুর এর কোষাধ্যক্ষ এবং বিএমএসএফ রংপুর জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য আমিরুল ইসলাম, বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য মিজানুর রহমান বিপ্লব, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লবসহ রিপোর্টার্স ক্লাব ও বিএমএসএফ এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত, প্রতি সপ্তাহে স্ব স্ব মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের লিঙ্ক ‘সেরা রিপোর্ট’ গ্রুপ অথবা rcrrangpur@gmail.com -এ মাধ্যমে জমা দিয়ে প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পারেন রংপুরের সংবাদকর্মীরা। প্রতি শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় জুরিবোর্ডের সদস্যরা পর্যালোচনা করে সেরা রিপোর্ট নির্বাচিত করবেন।

    উল্লেখ্য, প্রতি শনিবার থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

  • রংপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দাবিয়ে রাখতে পারেনি- জিতু রায়কে

    রংপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দাবিয়ে রাখতে পারেনি- জিতু রায়কে

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুরে তাজহাট মোল্লাপাড়ার মহেন্দ্র রায়ের প্রতিবন্ধী ছেলে জিতু রায়। তিনি তিন ভাই- বোনের মধ্যে সবার বড়। জিতু রায় ১৯৮৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহন করেন। তিনি তিন বছরের মাথায় পোলিও রোগে আক্রান্ত হন। এরপর পোলিও রোগের কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য তার আর পড়াশুনা করা সম্ভব হয় নাই। জিতুর অনিশ্চিত জীবনের চিন্তায় পরিবারসহ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। জিতু বুঝতে পারে তাকে নিয়ে পরিবারের কষ্টের বিষয়টির কথা। সেজন্য তার মাথায় নিজে কিছু একটা করার জেদ চেপে বসে। আট-দশজনের মত স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে না পাড়া জিতু বাবার সংগে প্রথমেই ভাংরির ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ শুরু করেন। কিন্তু মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান তিনতলায় হওয়ায় পরে সেকাজ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে জিতু ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফ্রিল্যান্সিং করতে প্রথমে একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন। অভাবী পরিবারের সদস্য হিসাবে যা তার ক্রয় করার সামর্থ্য ছিলনা। এমন অবস্থায় তিনি অনেক জায়গায় কম্পিউটার শেখার চেষ্টা করলেও বরাবর ব্যর্থ হন। সেই সময় কেউ তাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখাননি আর শেখানোর সহানুভূতিও দেখাননি। একসময় বাল্যবন্ধু তৌফিক এগিয়ে আসেন। জিতুকে নিজের কম্পিউটার দিয়ে সহযোগিতা করেন। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জেদ থেকে টানা তিন থেকে মাস দিনরাত কম্পিউটারে গুগল ও ইউটিউব দেখে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখেন জিতু রায়। সময়টা ২০১১ সালের শেষের দিকে। পরবর্তীতে মায়ের জমানো টাকা ও কিছু টাকা ধার করে একটি কম্পিউটার কিনেন তিনি। তারপর থেকে শুরু হয় জিতু রায়ের ফ্রিল্যান্সিং যুদ্ধ। সফলতা হিসেবে ২০১২ সালে ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রথম আয় করেন প্রায় ৫০০ ডলারের মতো। তারপর শুধু এগিয়ে যাওয়ার গল্প। এখন জিতু রায়ের প্রতিষ্ঠানে তার তত্ত্বাবধানে ৩৫ থেকে ৪৫ জন কাজ করেন। জিতু রায় ইউএস’র প্রায় ৯৫ জন ক্লাইন্ডারের সাথে নিয়মিত কাজ করছেন । তবে শুরুটা সহজ ছিল না তাঁর। শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে এগিয়ে যাওয়ার পথে হাজারো প্রতিবন্ধকতায়ও দমে যাননি তিনি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নে প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছেন। নিজ হাতে ধরেছেন সফলতার চাবি। এখন তিনি সফল ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা। দেশে আমদানি নির্ভরতা কমাতে ২০২১ সালে উদ্যোক্তা হিসেবে এ ব্যবসার সাথে জড়িত হন তিনি। রকমারি শিশুঘর ডটকম নামে ওয়েবসাইট ও পেজ খুলে শিশুদের পোশাক সামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করছে। জিতুর এই প্রতিষ্ঠানের অনলাইন মার্কেটিং এর কাজের জন্য কয়েকজন তরুণ রয়েছে। যারা অনলাইনে অর্ডার নিয়ে পণ্য ডেলিভারি করেন। শুরুতে বাড়ির আঙ্গিনায় অস্থায়ীভাবে শিশু সামগ্রী তৈরী করা হলো ভালো সাড়া পাওয়ায় বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা থেকে তৈরি করেন স্থায়ী কারখানা। যেখানে কাজ করছেন প্রায় দুই শতাধিক কর্মী। এছাড়াও শিশুদের জন্য নকশি কাঁথা তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। জিতু রায়ের কাছ থেকে নকশি কাঁথার কাজ নিয়ে সেলাইয়ের কাজ করেন প্রায় শতাধিক নারী। নিজ নিজ বাড়িতে তারা কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেলাই করেন সেই নকশি কাঁথা।
    প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলেই সমাজে আর দশ জনের মত প্রতিবন্ধীরাও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তার প্রমাণ দেখিয়েছে জিতু রায়।প্রতিবন্ধী জিতু সমাজের বোঝা না হয়ে নিজেই নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলেননি। নিজের বুদ্ধিমত্তায় অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে না পারা জিতু এখন জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়া একজন সফল উদ্যোক্তা।অনিশ্চিত জীবনের প্রতিবন্ধী জিতুর এখন সফল উদ্যোক্তা। সময় পেলেই এখন ব্যক্তিগত গাড়িতে ঘুরে বেড়ান, রেখেছেন গাড়ির জন্য ড্রাইভার। এছাড়াও আছে দুটি তিন চাকার মোটরসাইকেল। যা তিনি নিজেই চালান। তিন তলার ভিত্তি দেওয়া দুই ইউনিটের বাড়ির প্রথম তলা সম্পন্ন করেছেন। স্ত্রী সহ ছেলে মেয়ে, ভাই বোন বাবা-মা নিয়ে সচ্ছল ও সুখের সংসারে প্রধান এখন জিতু রায়। নিজের পাশাপাশি কাজের মাধ্যমে অসহায় মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনসহ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশীয় স্বনির্ভরতা বাড়াতে সরকারের সহযোগিতা কামনা চান তিনি। জিতু রায় বলেন, আমি ছোট থেকে দেখতেছি বন্ধু- বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া- প্রতিবেশীরা আমাকে অবহেলা ও তাচ্ছিল্য করে। প্রায় লোকেই বাবা- মাকে বলেছে আমাকে দিয়ে ভিক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করা সম্ভব হবে না। মানুষদের ত্রিস্কার মূলক কথা আমাকে কাজ করার প্রেরণা যুগিয়েছে। পরবর্তীতে জিতু রায় নিজের চেষ্টায় এতদূর এসেছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে অনেক কাজ করছেন। আমার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রয়োজন। তাহলে শিশুদের পোশাক সামগ্রী তৈরীর পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, জিতু রায় প্রতিবন্ধী হয়েও সমাজে আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অবশ্যই তা প্রসংশানীয়। জিতু রায়কে সরকারি যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর পাশে থাকবেন। সেক্ষেত্রে জিতু রায়কে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

  • রংপুরে এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার মানিক ও জিএম জয়

    রংপুরে এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার মানিক ও জিএম জয়

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুরে তৃতীয় সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার নির্বাচিত হলেন ভিজুয়াল ক্যাটাগরিতে দৈনিক করতোয়া হুমায়ুন কবির মানিক এবং প্রিন্ট-অনলাইন ক্যাটাগরিতে দৈনিক দাবানল’র বার্তা সম্পাদক এবং বেনিউজ২৪’র রংপুর ব্যুরো প্রধান জিএম জয় । এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্ট ভিজুয়ালে “‘রংপুরে কমছে তামাক চাষ’ এবং প্রিন্ট ও অনলাইনে ‘তিস্তাচরে দৃষ্টিনন্দন পার্ক, পর্যটনশিল্পে সমৃদ্ধির প্রত্যাশা’ শিরোনামে রিপোর্ট দুটি দুই ক্যাটাগরীতে সেরা হিসেবে নির্বাচন করেছেন জুরি বোর্ড।

    জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি হালিম আনছারী, সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক রতন সরকার, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক একাত্তর টিভির ব্যুরো প্রধান শাহ বায়েজিদ আহমেদ ও বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বাবলা।

    শনিবার ( ১৪ মে) রাত ৮ টায় রিপোর্টার্স ক্লাবের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিদের মধ্যে থেকে সেরা দুটি রিপোর্ট নির্বাচন করে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের হাতে বিজয়ী প্রাইজবন্ড তুলে দেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।

    রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুর ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম -বিএমএসএফ রংপুর জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিকদের রিপোর্টিং মানোন্নয়নে প্রতি সপ্তাহের সেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ড তাদের রিপোর্টের মধ্য থেকে সেরা নির্বাচিত করেন। এ সপ্তাহে নিজেদের রিপোর্ট সেরা হিসেবে স্থান পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজয়ীরা।

    জুরি বোর্ড ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, রিপোর্টার্স ক্লাব ও বিএমএসএফ এর এই উদ্যোগ গণমাধ্যমের নবীন কর্মীদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশে নিজেদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবে। আশা ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, এই দুই সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে আরও নতুন নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে রংপুরের সাংবাদিকতাকে একটি আরাদ্ধ স্থানে নিয়ে যাবে। এই উদ্যোগে রংপুরে কর্মরত যেকোন সংবাদকর্মী অংশ নিতে পারবেন বলেও জানান তারা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরিফা বেগম শিউলী, বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম জাকির হুসাইন, বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য মিজানুর রহমান বিপ্লবসহ রিপোর্টার্স ক্লাব ও বিএমএসএফ এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত, প্রতি সপ্তাহে স্ব স্ব মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের লিঙ্ক ‘সেরা রিপোর্ট’ গ্রুপ অথবা rcrrangpur@gmail.com -এ মাধ্যমে জমা দিয়ে প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পারেন রংপুরের সংবাদকর্মীরা। প্রতি শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় জুরিবোর্ডের সদস্যরা পর্যালোচনা করে সেরা রিপোর্ট নির্বাচিত করবেন।

    উল্লেখ্য, প্রতি শনিবার থেকে শুক্রবার দুপুর ১২ পর্যন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।##

  • রংপুরের কলেজপাড়ায় অলিন্দ ছাত্রী নিবাসে কলেজ ছাত্রী’র রহস্যজনক মৃত্যু,

    রংপুরের কলেজপাড়ায় অলিন্দ ছাত্রী নিবাসে কলেজ ছাত্রী’র রহস্যজনক মৃত্যু,

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুর নগরীর ২৮নং ওয়ার্ড কলেজ পাড়া এলাকার বাইতুস সালাম জামে মসজিদ সংলগ্ন অলিন্দ ছাত্রীনিবাসে কলেজ ছাত্রীর ফ্যানের সাথে ওরনা পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে রংপু্র মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা পুলিশ।

    মৃত ইলমা আক্তার আখি (২২) নামের এই যুবতী পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া ভোজনপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে,এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর অনার্স প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী।

    ঘটনাস্থলে গেলে জানা যায় ছাত্রীনিবাসে বসবাসরত শিক্ষার্থী ও ইলমার সহপাঠীরদের কাছে জানা যায় ছাত্রী নিবাসটির ১১২নং কক্ষে থাকতো ইলমা,১৩মে শনিবার দুপুর নাগাত তার কক্ষ থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়া ইলমা কে বেশ কিছুক্ষণ যাবোতো ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া পায়নি তারা,স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভবনটির পিছনের জানলায় গেলে ইলমাকে ফ্যানের সাথে ওরনা দিয়ে গলা পেছানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

    পরে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ হেল্প লাইন জুরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে স্থানীয়দের বরাতে খবর পেলে তাজহাট থানা মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ইলমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মরদেহটি তাজহাট থানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় থানার তদন্ত ওসি,তিনি জানায়..আমরা ঘটনা স্থলে এসে এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি ও তার সহপাঠীদের কে জিগ্যাসাবাদ করলে তারা জানায় ইলমা কলেজের (সাবজেক্ট) ও হাঠাৎ টেস্ট পরিক্ষার রুটিন প্রকাশ হওয়া নিয়ে কয়েকদিন যাবতো নানা ভাবে দুশ্চিন্তা করে আসছে,কিন্তু আপাতত আমরা এ বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাইনি তবে গুরুত্বের সাথে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা করবো।##

  • রংপুর ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদান শেষ

    রংপুর ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদান শেষ

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুর ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদান শেষ।আগামী ২৯ শে মে, ২০২২ইং অনুষ্ঠেয় রংপুর টাকসেস বার এসোসিয়েশনের নির্বাচন২০২২-২০২৪ এর জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে আগ্রহী প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময় ছিল ১০ মে মঙ্গলবার বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত।

    রংপুর কর আইনজীবিদের আসন্ন নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. মোঃ ফজলুল হক ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, আসন্ন নির্বাচনে মোট ১১টি পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র
    জমা পড়েছে ২২টি।

    এতে সভাপতি পদে এ্যাড. নুরুজ্জামান ও এ্যাড. দীপক কুমার সাহা, সহ-সভাপতি পদে মোঃ আব্দুল মান্নাফ ও মোঃ সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. শফিকুল ইসলাম মুকু ও এ্যাড. কাজী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান (দুলাল), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ জাবেদ চৌধুরী ও হারুনার রশিদ (মনু), কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ জাফর রিয়াজ ও আফরোজা শারমিন কনা এবং কার্যকরী সদস্য পদে সৈয়দ আব্দুর রব বাবুল, এ্যাড. জাকিয়া সুলতানা চৈতী, মোঃ মশিয়ার রহমান, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম মন্ডল, মোঃ মাসুদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ আহসান হাবীব, দেবাশীষ কুমার সাহা, রেজাউল ইসলাম সুজন, সাইদুর রহমান রনি, মোঃ মাজহারুল ইসলাম মারুফ, এ.কে.এম রহমতুল্লাহ অপু, মোঃ লাল মিয়া (রফিকুল) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

    উল্লেখ্য যে, সর্বশেষ সভাপতি মোঃ মাসুম খান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতলুব হোসেন পদাধিকার বলে কার্যকর কমিটির সদস্য থাকবেন। নির্বাচন কমিশনার জানান, আগামী ১১ মে মনোনয়নপত্র বাছাই, ১৬ মে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়, ১৭ মে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ২৯মে দুপুর ১২টা হইতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।##

  • রংপুরে গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান

    রংপুরে গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান

    শরিফা বেগম শিউলী:- স্টাফ রিপোর্টার,

    জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বৃহস্পতিবার রংপুরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) রংপুর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    বৃহস্পতিবার ০৫ মে দুপুর ১২ টায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ’র রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বাবলা, সাধারন সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল মহিলা সম্পাদক শরিফা বেগম শিউলীর উপস্থিতিতে রংপুর জেলা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সাংবাদিকদের ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে রংপুর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম রব্বানীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ৬বছর ধরে ১-৭ মে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপন করে আসছে। সপ্তাহটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে প্রতিবছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে আসছে। এবছর গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য/জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    গণমাধ্যম সপ্তাহের প্রবক্তা ও বিএমএসএফ প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আবু জাফর সংগঠনের দেশের সকল শাখা, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনসমুহের প্রতি সপ্তাহটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে জোড়ালো দাবি তোলাসহ স্মারকলিপি প্রদানের আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে বিভিন্ন পেশাজীবিদের জন্য নানামুখী সপ্তাহ এবং দিবস রয়েছে যা রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপিত হয়। পক্ষান্তরে সাংবাদিকদের জন্য কিছুই নেই। বিএমএসএফের পক্ষ থেকে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাওয়া হচ্ছে,আমরা আশা করছি সাংবাদিকদের প্রাণের দাবিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করবেন।##

  • সবুজ বাংলা উন্নয়ন সংস্থার ঈদ উপহার বিতরণ

    সবুজ বাংলা উন্নয়ন সংস্থার ঈদ উপহার বিতরণ

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    সবুজ বাংলা উন্নয়ন সংস্হার আয়োজনে ঈদ উপহার ও সাথে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সোমবার(২মে) বিকেলে কেরানি পাড়া ( নাসিরাবাদ একরামিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন) সবুজ বাংলা উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয়ে অসহায়, দুস্হদের মাঝে ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে সবুজ বাংলা উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আলী রেজা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিমুল ইসলাম উপস্থিত থেকে ঈদ উপহার ও ইফতার বিতরণ করেন সবুজ বাংলা উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আল মুজাহিদ কাব্য, মোঃ ইউসুফ উদ্দিন, আফরোজা বেগম, সদস্য সামিউন আক্তার শান্তা,সানেহা ইসলাম সাহানা,ইশরাত জাহান অবনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রায় ২০০ জন অসহায় ও দুস্হদের মাঝে সংস্হার নিজস্ব অর্থায়নে ঈদ উপহার যেমন আতব চাল, সেমাই, সয়াবিন তৈল, চিনি, পাউডার দুধসহ ইফাতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

  • মিঠাপুকুরে”এইচ এস ফাউন্ডেশন”এর উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

    মিঠাপুকুরে”এইচ এস ফাউন্ডেশন”এর উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

    শরিফা বেগম শিউলী:, স্টাফ রিপোর্টার,

    রংপুরের মিঠাপুকুর ৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়ন সরকার পাড়ায় “এইচ এস ফাউন্ডেশন”র উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ। মানবতার সেবায় এইস এস ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে ২০০ জনের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দিলেন, এইচ এস ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ শামসু্জ্জামান সরকার (মিলন) ও তার মা শামসুন্নাহার বেগম। এলাকার অসহায় গরীব দুঃস্থ পরিবারের সাথে ঈদের অনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে,প্রতেক ঈদেই দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করে।

    রবিবার (১লা মে ২০২২) ইং সকাল ১১টার সময় মানবতার সেবার আয়োজনে ২০০ জন অসহায় গরীব দুস্থ পরিবারের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিচ, ঈদ উপহার হিসেবে বিতরণ করা হয়। শামসুন্নাহার বেগম বলেন, আমার স্বামী কিংবদন্তী নেতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আঃলীগের মনোনীত সাবেক এমপি, প্রাদেশিক সরকারের সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মরহুম হামিদুজ্জামান সরকারের মাগফেরাত কামনায় গত (২২ এপ্রিল ২০২২)ইং তারিখে সরকার পাড়ায় ১৫০ পিচ শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেছি।

    এ সময়, মানবতার সেবায় এইচ এস ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামসুজ্জামান সরকার মিলন বলেন, মিঠাপুকুরের প্রথম সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম হামিদুজ্জামান সরকারের পরিবারের সদস্যগণ এইচএস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন ।

    তিনি আরো বলেন এলাকার বিত্তবান যারা আছেন, সকলের উচিৎ অসহায় গরীব দুঃস্থ মানুষদের দান করা। ঈদ মানেই আনন্দ। শুধু নিজেই ভালো থাকলে হবেনা। আশেপাশের অসহায় হতদরিদ্র পিছিয়ে পড়া গরীব মানুষের ও খোঁজ খবর নিতে হবে। জানতে হবে কারো ঘরে খাবার আছে কি না? আসুন আমরা সবাই একটু করে হলেও যার যেমন সামর্থ্য সেই অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।

    তরুন সমাজসেবক শামসুজ্জামান সরকার মিলন বলেন,অসহায় গরীব দুঃস্থদের ঈদ উপহার দিতে পেরে খুব ভালো লাগতেছে। আগামী ঈদে যেন আরো বেশি পরিমাণে ঈদ উপহার দিতে পারি। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করেন।

    উল্লেখ্য মরহুম হামিদুজ্জামান সরকারের দ্বিতীয় সন্তান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি ও পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন’র সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান (রিপন) পিপিএম বার,এবং তৃতীয় সন্তান শাহেদুজ্জামান সরকার লিখন ডাক বিভাগের সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল হিসেবে কর্মরত আছেন।

    ঈদ উপহার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, এইচ এস ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ শামসু্জ্জামান সরকার (মিলন) ও তার মা শামসুন্নাহার বেগম,ভাই আখেরুজ্জামান সরকার রবিন, এবং সরকার পাড়ার মিন্টু সরকার, মনিরুল সরকার, সজল সরকার, মহিদুল সরকার, মুস্তাকিম সরকার, মিজানুর রহমানসহ অনেকে##

  • রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে দুস্থ ও পথ-শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার

    রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে দুস্থ ও পথ-শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    রংপুরে দুস্থ পরিবার ও পথশিশুদের সাথে ঈদের অনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে, দুস্থ পরিবার ও পথ-শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি।

    শনিবার ৩০ এপ্রিল ২০২২ ইং দুপুরে রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে ও পিন্ধন গার্মেন্টস’র সহযোগিতায় রংপুর শহরের ১০০ জন দুস্থ পরিবার ও পথ-শিশুদের মাঝে শাড়ি,লুঙ্গি,ওরনা ও বিভিন্ন বয়সের ছোট বাচ্চাদের জামা কাপড় সেট ঈদ উপহার হিসেবে বিতরণ করা হয়।

    এসময় রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আমরা, রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে ও পিন্ধন গার্মেন্টস’র স্বত্বাধিকারী রাজিকুল ইসলাম রিপন ভাইয়ের সহযোগিতায় ঈদ উপহার দিতে পেরে খুব ভালো লাগতেছে। আগামী ঈদে আমরা যেন আরো বেশি পরিমাণে ঈদ উপহার দিতে পারি। আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন।

    ঈদ উপহার বিতরণে সময় উপস্থিত ছিলেন,রংপুর রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি এ.কে.এম রহমতুল্লাহ অপু,সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেন বাবলু,সাধারণ সম্পাদক-শিমুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক-রঞ্জিত দাস, কোষাধ্যক্ষ -মেহেবুব পারভেজ সুমন,সহ সংগঠনিক সম্পাদক- রবিন চৌধুরি রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক-শরিফা বেগম শিউলী,প্রচার সম্পাদক-সিয়াম হোসেনসহ ইউনিটি অন্যান্য সদস্যবৃন্দ##