Category: রামু

  • কচ্ছপিয়ায় বৈধভাবে পালিত গবাদিপশু বাজারে উঠাতে পারছে না ৪ খামারী, যাতাকলে পড়ে কিস্তি পরিশোধ বন্ধ ২ মাস

    কচ্ছপিয়ায় বৈধভাবে পালিত গবাদিপশু বাজারে উঠাতে পারছে না ৪ খামারী, যাতাকলে পড়ে কিস্তি পরিশোধ বন্ধ ২ মাস

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    ককসবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নস্থ গর্জনিয়া বাজারে গবাদিপশু বিক্রির জন্যে আনতে পারছে না ৪ বৈধখামারী। তারা নানা জটিলতায় পড়ে
    তাদের পালিত এ সব গরু খামারেই রেখে দিয়ে শুধু ৪ বেলা খাওয়াচ্ছে আর সেবা দিচ্ছে।
    তারা বলেছেন,সীমান্তরক্ষী ও পুলিশের অতিরিক্ত তদারকিতে তারা এসব গরু-মহিষ বাজারে উঠিয়ে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা এক ধরণের যাতাকলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছে। আবার অনেকে বলছেন,ঋণের টাকায় গড়ে তোলা তাদের খামারের বিপরীতে নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তারা দারুণ দূঃচিন্তায় দিন কাটাচ্ছে বর্তমানে । এভাবে বাকীদের দাবী ও একই। বর্মী গরুর চাপাচাপিতে দেশীয় গরু-মহিষ এখন বাজারে আকাল।

    বালুবাসা গ্রামের খামারী জাফর আলম
    এ প্রতিবেদককে বলেন,তার মোট গরু আছে ৭০ টি। তার ছেলে জমিম উদ্দিনের ছাগল আছে শতাধিক। আবার এ সব পশুর জন্য ধান ক্ষেত আবাদ করেছে প্রায় ৪০ কানি। এভাবে গবাদিপশু পালন ও রোপা আমনের আবাদ করতে অন্তত ৫০ /৬০ লক্ষ টাকা তার খরচ হয়েছে । যার যোগান দিতে তিনি ঋণগ্রস্থ হয় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। তার মূলধন ১৫ লাখ টাকাসহ সব টাকা এখন মালে আর আমনে পড়ে রয়েছে।
    তিনি আরো বলেন,মাল বলতে সেই পালিত গবাদিপশুকেই বুঝিয়েছেন তিনি।
    আর আমনে বলতে রোপা আমন।
    অপর ব্যবসায়ী আলী সওদাগর বলেন,তিনি গরীর ব্যবসায়ী। অনেক কষ্টে এবং ধারে এ গরুর খামার গড়ে তুলেন তিনি। কিন্ত মিয়ানমার থেকে চোরাই পথের গরু আসার অজুহাতে তার গরু গুলো খামারের বাইর করতে পারছেন না তিনি। হয় বিজি্বি নয় তো পুলিশ। তারা এখন মিয়ানমারের গরু ধরছে গর্জনিয়া বাজরের আশপাশে। সে কারণে খামারিরা বিপাকে পড়েছে। যদি ভূল বশতঃ তাদের বাড়িস্থ সে গরু বিজিবি আটক দেখায়।
    তখন তার মূলধন শেষ।
    তিনি আরো বলেন, অনেক ব্যবসায়ী
    বিজিবির জব্দ করা গরু-মহিষ নিলামে ক্রয় করলেও তার মেয়াদ থাকে ৭ দিন। কিন্তু সে পশু গুলো উক্ত সময়ে বিক্রি করতে না পারলে আবারো সে পশু গুলো বিজিবি বা পুলিশ জব্দের চেষ্টা করে। যাতে বিপাকে তারা।
    কেননা বিজিবির সামনে কেউ সুপারিশ করে না। কথাও বলার সাহস পায় না।

    খামারী আবদুর রশিদ ও আমানুল্লাহ বলেন, তারা দীর্ঘ দিন ধরে গবাদিপশুর খামার করে আসছে। কখনও কোন সমস্যা হয় নি। সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে দ্বিগুন উৎসাহে গরু-মহিষ ও ছাগল পালন করে আসছে তারা।

    কিন্ত হঠাৎ করে মিয়ানমারে
    যুদ্ধ শুরু হলে কিছু অসাধু ব্যক্তি কম দামে গরু-মহিষ এনে তাদের বাজার নষ্ট করে দিয়েছে। কিছুদিন এভাবে চলার পর বর্তমানে সীমান্তে চোরাইপশু পাচার বন্ধ হয়ে যায় বিজিবির কঠোর নজরদারীতে।
    তারা দাবী জানান,বিজিবি সীমান্তে যা করে অবশ্যই ভাল কাজ করে। কিন্তু
    গর্জনিয়া বাজারের আশপাশে খামারী এলাকায় বা তাদের পালিত পশুগুলো বাজারে আনা-নেয়ার সময় এতো কঠোরতা তা মোটেও কাম্য নয়। দেশের ক্ষতি। এ জন্যে দেশীয় গরুর খামারীদের গবাদিপশু গুলো বিক্রি করতে পারছে না তারা। কারণ বিজিবির সোর্স গুলো দেশী আর চোরাই পথের গরুর বিষয়ে তথ্য কি দেন তারা খামারীদের বোধে আসছে না। এখন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের খামারীদের কয়েকশ গরু আটকে আছে গোয়ালে আর খামারে। এ সবের খাবার জোগান দিতে তারা সব সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে ধাপে ধাপে।

    তারা অভিযোগ করে আরো বলেন,এখন নানা যাতাকলে পড়ে তাদের গবাদিপশু বিক্রি করতে না পারায় তারা ঋণের কিস্তি দিতে পারছে না ২ মাস । ঋণের বোঝা এখন গলায়গলায় গিয়ে ঠেকছে বর্তমানে।
    গবাদিপশুর খামারীরা এ সব থেকে মুক্তি চায়।

  • রামুর গর্জনিয়া বাজারে আদালতের নির্দেশে অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ,

    রামুর গর্জনিয়া বাজারে আদালতের নির্দেশে অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ,

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারের প্রধান সড়কের উত্তর পাশে অবৈধভাবে নির্মাণ করা টিনশেডের ছোট্ট একটি চায়ের দোকান ও অপর একটি সেলুনের দোকানের আংশিক জায়গা আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    বুধবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় কক্সবাজারের রামু আদালতের সহকারী জজ মোঃ মাজেদ হোসেনের নির্দেশে কক্সবাজারের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ’র নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে দোকান ঘর দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়।

    এসময় দোকান ঘর জবরদখলকারী রোপন দাশ এর ছোট্ট একটি চায়ের দোকান ও সুনিল শর্মার সেলুনের দোকানের আংশিক জায়গা উদ্ধার করে লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়।

    এর আগে তাদের ডেকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট ১৫ মিনিট সময় দেয়, এ সময়ের মধ্যে মালামাল না সরায় প্রশাসনের মাধ্যমে সরানো হয়।

    জানা গেছে মোহাম্মদ জামান উক্ত জমি জবরদখলকারিদের হাত থেকে উদ্ধার করতে আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে আসছিল। ওই মামলায় তিনি রায় পেয়ে ফের আদালতে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেন।

    সে অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২ টায় আদালতের নির্দেশক্রমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ বিল্লাহ’র নেতৃত্বে ও রামু থানা পুলিশের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার জমির পরিমাপ করে জমির প্রকৃত মালিককে লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দখল বুঝিয়ে দেন।

    এবিষয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি আদালতের আদেশ অনুযায়ী অবৈধভাবে দখলে থাকা দোকানদারকে উচ্ছেদ করে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন।

    দীর্ঘদিন দখলে থাকা রুপন দাশ, সুনিল শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন আমাদের কোন নোটিশ না দিয়ে এভাবে আমাদের দোকান ভাংচুর করতে পারেননা। আমাদের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল মহোদয় এ দোকানের বিচার করেছিল।

    গর্জনিয়া বাজার কালি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক লভা কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন, সুনীল শর্মার সেলুন এর দোকানের জমির মালিক গর্জনিয়া বাজার কালি মন্দির। তিনি মন্দিরে নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা, এসআই মোজাম্মেল হক, এসআই শরিফুল ইসলাম,
    এ এসআই নুরুন্নবী টিপুসহ রামু থানা ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যসহ রামু জর্জ আদালতের নাজির ও সার্ভেয়ার গণ।

  • শ্রেয়সী দে চৈতী এখন সুমাইয়া জান্নাত- বিয়ে করলেন মুসলিম যুবকক ইয়াছিন আরফাতকে

    শ্রেয়সী দে চৈতী এখন সুমাইয়া জান্নাত- বিয়ে করলেন মুসলিম যুবকক ইয়াছিন আরফাতকে

    নিউজ ডেস্ক।

    সুমাইয়া জান্নাত। পূর্বের নাম শ্রেয়সী দে চৈতী। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বই-পুস্তক পাঠ করে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ৬ মাস পূর্বে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও নাম সংশোধন করেন। সম্প্রতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ইসলাম ধর্মের অনুসারী যুবক ইয়াছির আরাফাতের সাথে।
    সুমাইয়া জান্নাত (২৩) বর্তমানে রামু সরকারি কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবা অরুন কান্তি দে রামু রাবার বাগানের গাড়ি চালক। তাদের স্থানী নিবাস চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা হলেও বাবার চাকরি সূত্রে দীর্ঘদিন সপরিবারে রামু রাবার বাগান এলাকায় বসবাস করে আসছেন।

    সুমাইয়া জান্নাত জানান- সম্প্রতি তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার পূর্ব ঘোনার পাড়া এলাকার মো. কামাল হোসেন মজুমদারের ছেলে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইয়াছির আরাফাত অপির সাথে ইসলামী শরিয়াহ ও রেজিস্ট্রি কাবিননামামূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি আরো জানান- গত ২৭ ফেব্রæয়ারি কক্সবাজার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামামূলে সনাতন ধর্মাবলম্বী শ্রেয়সী দে চৈতী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং পূর্বের নাম শ্রেয়সী দে চৈতী এর পরিবর্তে নতুন নাম রাখেন সুমাইয়া জান্নাত।

    ওইসময় সুমাইয়া জান্নাত একটি জামে মসজিদের ইমামের নিকট পবিত্র কালেমা শরীফ পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সুমাইয়া জান্নাত আরো জানান- তাদের বিয়ের থেকে তার পিতা-মাতা সহ পরিবারের সদস্যরা তাদের এ বিয়ে মেনে না নিয়ে তাদের হয়রানি করার জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানা, রামু থানায় অভিযোগ দিয়েছে। যা অনাকাংখিত। তিনি তাদের নতুন দাম্পত্য জীবন এবং ইসলামী রীতিনীতি মেনে আল্লাহ ও রাসূল (স.) এর আদর্শমতে চলতে সবার দোয়া কামনা করেছেন।

  • রামুতে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

    রামুতে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ‘সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ০৩ টায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় রামু উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ- পিএফজির উদ্যোগে উক্ত উপজেলার মিলনায়তনে রামুতে বসবাসরত সকল ধর্মের অনুসারীদের অংশগ্রহণে রামুর বিদ্যমান সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ঐক্যকে গতিশীল রাখার লক্ষ্যে এক আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। রামু উপজেলা পিএফজির পিস এ্যাম্বাসেডর ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’র সভাপতি মোহাম্মদ আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রামু ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম। সভায় আগত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, সমগ্র বাললাদেশের মধ্যে রামু উপজেলা তার বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতির জন্য আলাদাভাবে পরিচিত। হাজার বছর ধরে এখানকার মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে চলেছে। কিন্তু ২০১২ সালে কতিপয় দুস্কৃতিকারী এখানকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে হামলা করে রামুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার পায়তারা করে। সাম্প্রতিক সময়েও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরণের সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘূরা। এমতাবস্থায় রামুতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি রামুর উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে সর্ব্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সম্প্রীতি রক্ষায় পাড়ায় পাড়ায় সকল ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করতে হবে। উক্ত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসাইন। অন্যদিকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রামু উপজেলার চেয়ারম্যান হাফেজ আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সুরেশ বরুয়া বাঙ্গালী, বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রামু উপজেলার সভাপতি নুরুল হাকিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রামু উপজেলার আহ্বায়ক সুজন শর্মা, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’র সহ সভাপতি হোসনে আরা বেগম, সোশ্যাল এইডের চেয়ারম্যান প্রসূণ বড়ুয়া, রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নুরুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম মন্ডল, বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নিশাত আক্তার মুন্নি, রামু উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল আলম, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ, প্রমুখ। এছাড়াও সভার মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মাওলানা বখতিয়ার আহমদ ও মাওলানা হেফাজতুর রহমান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সজল ব্রাহ্মণ চৌধুরী ও প্রকাশ শিকদার, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তাপস সেন বড়ুয়াও শরণ সেন বড়ুয়া প্রমুখ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি রামুর সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল ও তরুণ সমাজের নেতৃবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রামুর চলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আরো গতিশীল রাখার বিষয়ে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

  • রামু জোয়ারিয়ানালা রাবার বাগান এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে ১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    রামু জোয়ারিয়ানালা রাবার বাগান এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে ১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    রামু জোয়ারিয়ানালা রাবার বাগান এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে ১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ০২/০৯/২০২২ তারিখ র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল গোপন সূত্রে অবগত হয় যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজারগামী সৌদিয়া পরিবহন নামক বাসে করে যাত্রী বেশে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল একই তারিখ অনুঃ ১৮.০০ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন জোয়ারিয়ানালা ইউপিস্থ রামু রাবার বাগান বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন ব্যবস্থাপক কার্যালয় এর সামনে কক্সবাজার টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। তল্লাশীর একপর্যায়ে বর্ণিত বাসটি চেকপোস্টের সামনে আসলে র‌্যাব সদস্যগণ বাসটি থামিয়ে তল্লাশী শুরু করলে দুইজন যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। ঐ সময় উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে উক্ত ০১নং ধৃত ব্যক্তির হেফাজতে থাকা কাপড়ের ব্যাগ তল্লাশী করে ১০ (দশ) কেজি এবং ০২নং ধৃত ব্যক্তির সাথে থাকা ট্রলি ব্যাগের ভেতর হতে ০৮(আট) কেজিসহ *সর্বমোট ১৮ (আঠারো) কেজি গাঁজা উদ্ধার* করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ১নং ও ২নং আসামী জানায় তাদের পরিচয় ১। মোঃ খোরশেদ আলম @ বাবুল (২৩), পিতা-মোঃ নূরুল আহমদ, মাতা- মোছাঃ মরিয়ম বেগম, সাং- উত্তর ননিয়ারছরা (বিমান বন্দর রোড), ০২ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- সদর মডেল, জেলা- কক্সবাজার এবং ২। মরিয়ম (৪০), পিতা- মৃত সৈয়দ আহমদ, পালক পিতা- মোঃ মমতাজ, স্বামী- মোঃ ফজলু, মাতা- মৃত ফাতেমা বেগম, সাং- ঝরঝরিকুয়া, ০১ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- সদর মডেল, জেলা-কক্সবাজার। ধৃত আসামীরা আরো জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা চট্টগ্রাম থেকে বহন করে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করে আসছে।

    উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

  • রামুর চেইন্দা এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে ১৪,০০০ পিস ইয়াবাসহ ২ গ্রেফতার

    রামুর চেইন্দা এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে ১৪,০০০ পিস ইয়াবাসহ ২ গ্রেফতার

    রামুর চেইন্দা এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে ১৪,০০০ পিস ইয়াবাসহ ২ গ্রেফতার

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলা দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা সাকিনের তৌহিদ স্টোর এর সামনে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ৮ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ শুক্রবার ১০.৩০ ঘটিকার দিকে উক্ত স্থান হতে ১, আব্দুর রহমান (১৩), পিতা-সুরত আলম, সাং-চেইন্দা লাহারপাড়া, ৮ নং ওয়ার্ড। ২, এরশাদুল করিম (১৬), পিতা-নুর মোহাম্মদ, সাং-ফকিরাঘোনা, ৭ নং ওয়ার্ড, উভয় দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউপি, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার’দের আটক করেন। ঐ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তাদের দেহ তল্লাশী করে হাতে থাকা শপিং ব্যাগ হতে সর্বমোট ১৪,০০০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য কক্সবাজার জেলার রামু থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

  • ঈদগাঁও নাসি খালে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু: জানাযা সম্পন্ন

    ঈদগাঁও নাসি খালে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু: জানাযা সম্পন্ন

    ইমরান তৌহিদ রানা, নবম ঈদগাঁও প্রতিনিধি

    কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার দরগাহপাড়া ৭ নং ওয়ার্ডে নাসি খালে ঢলের পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকার দিকে ২জন,পরে আরেক জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্বিসের ডুবুরির দল। এর আগে দুপুরে মোহাম্মদ ফারুক (২৫), মোর্শেদ আলম (১৮) ও দোলোয়ার হোছেন (২০) নামের তিন যুবক নাসি খালে মাছ ধরতে গিয়ে ঢলের পানিতে ডুবে যায়। ঘটনার পর থেকে দমকল বাহিনী ও সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধূরী এবং স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধারের অনেক তৎপরতা চালায়। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা পরও মোহাম্মদ ফারুক, মোর্শেদ আলম ও দোলোয়ার হোছেনকে জীবত বা মৃত উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের ডুবুরির দল ঘটনাস্থলে পৌছে। পৌনে ৫টা থেকে তারা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছিল। এদিকে মাছ ধরতে গিয়ে তিন যুবক ডুবে যাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে হাজারো উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে উদ্ধার কাজ অব্যাহত ছিল। অবশেষে মৃত হলেও তাদের পেয়ে স্থানীয়রা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। অদ্য ২৯ জুলাই সকাল ১১ ঘটিকার সময় ঈদগাঁও ৭ নং ওয়ার্ডের দরগাহপাড়া বারআউলিয়া মসজিদের মাঠ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাযার নামাজ আদায় করা হয়, পরবর্তীতে কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়। উক্ত জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তালেব, ঈদগাঁও ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধূরী, ঈদগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ও ইসলাম পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, সম্পাদক আলমগীর তাজ জনি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানবীর আলহাজ্ব আব্দু শুকুর সহ স্থানীয় লোকজন এবং দুরদুরান্ত থেকে আগত রাজনীতিবীদ ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীর লোকজন। জানাযায় উপস্থিত জনতার সামনে সোহেল জাহান চৌধূরী মৃত্যু ব্যক্তিদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ঈদগাঁও ইউনিয়নের আপামর জনতার পাশে সুখে-দুঃখে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সার্বক্ষনিক পাহারায় ছিলাম,আছি এবং আগামীতেও থাকব ইনশাহআল্লাহ। উক্ত তিন যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় এবং পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানাযা শেষে টানা প্রবল বৃষ্টি কারণে দরগাহপাড়ায় ভেঙ্গে যাওয়া বাড়ীঘর গুলো পরিদর্শন করেন সোহেল জাহান চৌধূরী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে অতি সহসায় ত্রাণের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন, এবং গতকাল কক্সবাজার সদর রামু ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, কউক চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল ফুরকান আহমদ, সদর উপজেলার ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, এবং ঈদগাঁও থানা পুলিশ, রামু ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম থেকে আগত ডুবুরি টিম সার্বক্ষণিক সহযোগিতা এবং খোঁজ খবর রাখেন, এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রতিটি পরিবারের মাঝে ২৫ হাজার করে তিন পরিবারকে উপজেলা চেয়ারম্যান নগদ অর্থ বুঝিয়ে দেন, পরিবার এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে।

  • রামুর বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গন : নদী পাড়ের মানুষের করুন আর্তনাদ

    রামুর বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গন : নদী পাড়ের মানুষের করুন আর্তনাদ

    জয়নাল আবেদিন জয়, রামু প্রতিনিধি

    কক্সবাজার রামু বাকঁখালী নদীর ভয়াবহ ভাংগনে বিলীন হচ্ছে বসতঘর, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও চাষের জমি।
    কিছু দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভাংগন আরো তীব্র হয়ে উঠায় আরো নতুন নতুন ঘরবাড়ি ভাংগনের কবলে পড়ে। ফলে চরম আতংকে দিন যাপন করছে এখানকার মানুষ।
    বিগত একযুগে গর্জনিয়া ইউনিয়নের বেলতলী
    ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে মাঝিরকাটা পর্যন্ত এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষজন অনেক কিছু হারিয়েছে। এ সময়ে অন্তত শত শত বসতঘর, দুনকে-দুন চাষের জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এ নদীর ভাংগনে। ফলে এখানকার নদী ভাংগনে ঘরবাড়ি হারানো লোকজন অনন্যোপায় হয়ে বনবিভাগের জমিতে বা আশপাশে চিপা জমিতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এলাকার লোকজন যেভাবে তাদের সহায় সম্পদ হারিয়েছে তা প্রকাশের ভাষা নেই।
    গর্জনিয়ার ৬নং ওয়ার্ড- মাঝিরকাটা বেশির ভাগ এলাকা রামু উপজেলার মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে। মাঝির কাটার ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে মাষ্টার ইসহাক স্যারের বাড়ির মোড় বাঁকখালী নদী এলাকা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, এখানে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ কবর স্তান নদীর ওপারে চলে গেছে, হারিয়ে গেছে গরীব অসহায় মানুষের বাপ দাদার বসত ভিটা। এ নিয়ে স্তানীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে, ভয় আর আতংক নিয়ে মানুষের জীবন কাটছে। সরকার বা স্তানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকে স্বপ্ন দেখিয়েছে এই সব সমাধান করার জন্য, বিএনপি সরকার থেকে বর্তমান আওয়ামীলিগ সরকার দীর্ঘ ১৫
    বছর পর্যন্ত কেউ বাঁকখালী নদী ভাঙ্গনের
    প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ নেয়নি।
    এ বিষয়ে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন- মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র সহযোগিতায় উত্তর মাঝিরকাটা থেকে মরহুম ইসলাম সাহেবের ঘর পর্যন্ত প্রায় ২০টি পয়েন্টে ৫০টি গাছের বল্লী বাঁধ দিয়েছিলো, তা কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছিল। এরপর আর বাঁধ নির্মানে কেউ উদ্যোগ নেইনি আজ পর্যন্ত। আজ গর্জনিয়া নদীর পাড়ের মানুষ গুলো বড়ই হুমকিতে দিন কাটাচ্ছে।
    নদী পাড়ের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামীন এলাকার এ বাঁকখালী নদী ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
  • কক্সবাজার ভারি বর্ষণে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানি বন্দি এলাকায় দেখতে গেলেন এমপি কমল

    কক্সবাজার ভারি বর্ষণে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানি বন্দি এলাকায় দেখতে গেলেন এমপি কমল

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কক্সবাজারের সদর প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা কবলিত রামু ও নবগঠিত ৯ম ঈদগাঁও উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জননেতা জনাব আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।

    গত ২৮ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বন্যা কবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান।
    পরিদর্শনকালে এমপি কমল রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দুর্গত মানুষের খবরা-খবর নেন এবং দুর্গত মানুষের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। পরে তিনি নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা ও রামু উপজেলার ঈদগড় সংযোগ সড়কের বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। এসময় খবর পেয়ে প্রবল বর্ষন ও কাদা অপেক্ষা করে ঈদগাঁও উপজেলার দরগাহপাড়ার নাসি খালে নিখোঁজ তিন সহোদরের উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনে ছুটে যান এমপি কমল।
    পরিদর্শন কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক দিয়ে ঈদগড়ের বিশ হাজারের অধিক এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের পঁচিশ হাজারের অধিক মানুষের চলাচল। ওই এলাকায় রাবার, পান, বিভিন্ন সবজি ও ফল উৎপাদন হয়। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে চাষীদের ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে না হয় মতো প্রবল বর্ষনে বিধ্বস্ত হওয়া সড়কের অংশ বিশেষ জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট এলজিইডিকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
    এমপি কমল, নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা ও রামু উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সমাজের বিত্তবানদের প্রতি বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এমপি কমল প্রয়োজনে তাঁর সাথে যোগাযোগ করে দুর্গত অনাহারি মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে যারা ইতিমধ্যে দুর্গতদের পাশে দাঁিড়য়েছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বন্যা দুর্গত কোন মানুষ যাতে অনাহার না থাকে আমরা সে ব্যাবস্থা করবো। সকলের কাছে আমরা খাবার পৌঁছে দেব।
    পরিদর্শনকালে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মারুফ আদনান, সহ-সভাপতি মুন্না চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম চৌধুরী, রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ফরিদুল আলম, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির হিমু, ঈদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম, ঈদগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, রামু যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, সদর যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুল হক, যুবলীগ নেতা ওসমান গণি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় মুরুব্বি, ছাত্র ও যুবসমাজের নেতৃবৃন্দ সাথে ছিলেন।
    অন্যদিকে বুধবার বিকেল থেকে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বন্যা দুর্গত অনাহারি মানুষের জন্য রান্না করা খাবার দুর্গতদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। আওয়ামী পরিবারের একদল স্বেচ্ছাসেবক এ খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানান রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক। তিনি জানান, বন্যাকবলিত সকল অসহায় মানুষ যাতে খাবার পায় এমপি কমল মহোদয় সে ব্যবস্থা করেছেন।

  • রামু ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি পরিবারের ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা ও আলোচনা সভা-২১

    রামু ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি পরিবারের ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা ও আলোচনা সভা-২১

    মুহাম্মদ ফয়সাল, রামু কক্সবাজার।

    শুক্রবার ৪জুন ২০২১ কক্সবাজারের রামু ব্লাড ডোনার’স সোসাইটির ঈদ পরর্বতী মিলন মেলা ও আলোচনা সভা-২১ সম্পুর্ণ হয়েছে।
    উক্ত ঈদ পরর্বতী মিলন মেলা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবু প্রণয় চাকমা
    প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব মোস্তাক আহমদ মহোদয়।


    এসময় বক্তারা বলেন একপর্যায়ে বর্তমান যুব সমাজের অধিকাংশ খুন ধর্ষন,ইয়াবা এগুলোর সাথে জড়িত, যারা এই সেচ্ছাসেবী কাজ করে যাচ্ছেন থাদেরকে ধন্যবাদ জানান, প্রধান অতিথি আরো বলেন তিনি যতদিন জীবিত থাকবে এবং রামু উপজেলাতে থাকবে ততদিন প্রর্যন্ত যদি কারো কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে নিঃসন্দেহে বলতে পারবেন।

    পরে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।