Category: রোহিঙ্গা কেম্প

  • টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের সময় সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য সিপাহি বেলালের মরদেহ উদ্ধার

    টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের সময় সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য সিপাহি বেলালের মরদেহ উদ্ধার

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের সময় সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ বেলালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৩ মার্চ) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিজিবির পক্ষ থকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেলাল এই সীমান্ত ফাঁড়িতেই কর্মরত ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা একটি রাইফেলস ও চারটি ম্যাগাজিনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় বিজিবি।  এর আগে, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গা বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবির নিখোঁজ হন বেলাল। পরবর্তীতে, শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও দমদমিয়াস্থ নাফনদীর মোহনায় ৪ রোহিঙ্গার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে এক শিশু ও ৩ জন নারী। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবি।

  • ইত্তেফাক ও ইত্তেহাদ ঐক্যের ডাক রোহিঙ্গা শিবিরে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

    ইত্তেফাক ও ইত্তেহাদ ঐক্যের ডাক রোহিঙ্গা শিবিরে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ উখিয়া।

    অদ্য ২৫ ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: বুধবার কুতুপালং ক্যাম্প-১ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের নেতৃত্বে এক ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল বিষয় ছিল ইত্তেফাক (একমত হওয়া) ও ইত্তেহাদ (ঐক্য)। সভায় রোহিঙ্গাদের গুরুত্বপূর্ণ চারটি সংগঠন RSO, ARSA, ARA এবং Islam Mahaj এর নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। তারা মতবিরোধ দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। নেতারা জনসম্মুখে শপথ করেন যে, তারা নিজের অধিকার এবং মাতৃভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে শাহাদাতের আগ পর্যন্ত একতাবদ্ধ থেকে জিহাদের পথে অটল থাকবেন। তারা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন: “وما توفيق إلا بالله”।

    অংশগ্রহণকারীরা জীবনের মানোন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেন এবং উন্নয়নের পথে যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা চিহ্নিত করেন। একজন বক্তা বলেন, একমত না হলে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো না, আর ঐক্য ছাড়া আমরা চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো না। এই দিনটি উপস্থিত সকলের জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়। সমাবেশটি এতটাই আবেগময় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল যে, এর বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। উপরন্তু, সমাবেশ চলাকালীন আল্লাহর রহমতের বারিধারাও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

    সমাবেশ জুড়ে এ স্লোগান মুখরিত হয়:
    “سبيلنا الجهاد الجهاد، طريقنا الجهاد الجهاد، الله أكبر الله أكبر”
    এই স্লোগানের ধ্বনিতে পুরো পরিবেশ কম্পিত হয়ে ওঠে। ইয়া আল্লাহ, আমাদের এই ঐক্যের প্রচেষ্টা ও সফরকে সফলতা দান করুন। আমিন।

  • মহাবিপদ সংকেতের আওতামুক্ত ৫ জেলার মধ্যে ঝুঁকিতে কক্সবাজার

    মহাবিপদ সংকেতের আওতামুক্ত ৫ জেলার মধ্যে ঝুঁকিতে কক্সবাজার

    নিজস্ব প্রতিবেদক।

    ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতিমধ্যেই কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের কাছাকাছি চলে এসেছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে মোখা। পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতামুক্ত ঘোষণা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    শনিবার (১৩ মে) সকালে প্রচারিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ১৩ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বড় ধরনের ঝড় আসছে। তবে উপকূলের কাছাকাছি কিছু জায়গায় আছে যেখানেতেমন প্রভাব পড়বে না। তিনি আরও বলেন, কিছু ছোট দ্বীপ ও এলাকা প্লাবিত হবে না।

    ঘূর্ণিঝড়ে ‘মোখা’ শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

    এ অবস্থায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এসব জেলায় ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

  • টেকনাফ সাবরাং ইউপিস্থ নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৫

    টেকনাফ সাবরাং ইউপিস্থ নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৫

    নিজস্ব প্রতিবেদন।

    র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার জেলাধীন টেকনাফ উপজেলার ক্যাম্পে জয়নাল আবেদীন (২৮) নামক একজন ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করে যে, তার ছোট ভাই জাফর আলম (২৪), পিতা- নুরুল হাকিম, মাতা- ছকিনা খাতুন, সাং- শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া, ০৭ নং ওয়ার্ড, সাবরাং-ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার। ভিকটিম পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী । গত ২৬/০৯/২০২২ তারিখ অনুঃ ১৩.০০ ঘটিকার সময় তার ভাই সুজোকি মটর সাইকেল নিয়ে টেকনাফ বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে দিন শেষে রাত হওয়ার পরও তার ভাই বাড়ি না ফেরায় ভিকটিমের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর হতে তার ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে জানায় জাফর আলম অপহৃত হয়েছে এবং মুক্তিপণ বাবদ ১৫,০০,০০০/- (পনেরো লক্ষ) টাকা দাবি করে। এছাড়া মুক্তিপণ না দিলে ভিকটিমকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদান করে। পরবর্তিতে সে সাবরাং ইউপিস্থ বেইঙ্গা পাড়া সাকিনে অপহরণকারীচক্রের পাঠানো লোকের হাতে ০৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ইসলামী ব্যাংক ও আল আরাফাহ ব্যাংকের দুইটি অলিখিত স্বাক্ষরবিহীন চেক প্রদান করা সত্ত্বেও অপহরণকারীরা ভিকটিমকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্প অবগত হয়ে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করতে র‌্যাব-১৫, টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল বিভিন্ন গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে। অতঃপর ২৮/০৯/২০২২ তারিখ অনুঃ ১৪.৩০ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউপিস্থ নয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

    ভিকটিমকে উদ্ধার করে হস্তান্তরপূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

  • উখিয়ায় এনজিও শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা

    উখিয়ায় এনজিও শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা

    উখিয়ায় এনজিও শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও মুক্তি কক্সবাজার এর লার্নিং সেন্টারে কর্মরত এক শিক্ষিকাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে রোহিঙ্গা যুবক।

    মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে ক্যাম্প-২ ওয়েস্ট এর ১৮ নম্বর লার্নিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষিকার নাম ডেইজি বড়ুয়া।

    মুক্তি কক্সবাজার এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দে সরকার বলেন, মাদকাসক্ত এক রোহিঙ্গা যুবক হঠাৎ লার্নিং সেন্টারে ঢুকে ডেইজিকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাস্পাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। আপনি যদি বাজারে থাকেন clothes, আমাদের প্ল্যাটফর্ম আপনার সেরা পছন্দ! সবচেয়ে বড় শপিং মল!
    তিনি জানান, ঘটনার পরপরই বিষয়টি ক্যাম্প ইনচার্জকে অবহিত করা হয়েছে। মুক্তি কক্সবাজার এর পক্ষ থেকে আহত শিক্ষিকার চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে৷ এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

  • নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ মিছিল

    নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ মিছিল

    ইব্রাহীম মাহমুদ- টেকনাফ,

    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা রোহিঙ্গা শিবিরে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন রোহিঙ্গারা।
    রবিবার ১৯ জুন সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন, জাদিমুড়া শালবাগানের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উক্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত অধিকাংশ রোহিঙ্গারা অংশ গ্রহন করেন।

    রোহিঙ্গা নেতা ক্যাম্প লিডার জাফর আলম জানান,আমরা বিক্ষোভ মিছিলে দাবি করেছি,বাংলাদেশ আমাদের জন্ম ভুমি নয়,
    তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকার কে ফিরে নিতে হবে।
    মিয়ানমারে ফেরত নিয়ে অন্যান্য জাতিগুলোর মত আমাদের ও স্বাধীন ভাবে চলা ফেরা করার সুযোগ দিতে হবে। মিয়ানমার সরকারকে আমরা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিতে হবে। ১৩৫ প্রকারের মিয়ানমার নাগরিকদের মত শিক্ষা,সরকারি চাকুরি ও চিকিৎসা এবং ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে সমঅধিকার দিতে হবে।
    হ্নীলা জাদিমুড়া শালবাগানের মিছিলের নেতৃন্ত দেন ক্যাম্প লিডার জাফর আলম,বদরুল ইসলাম,হেড মাঝি কামাল উদ্দীনসহ আরো অনেকেই।

    এদিকে স্থানীয় কয়েকজন সচেতন মহল জানিয়েছে,আমরাও চাই রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন। কারণ যাদের আমরা মানবতা দেখিয়ে আশ্রয় দিয়েছিলাম তারা এখন দিন দিন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। নিজেরা নেজেদের মধ্যে মাদক খুন,গুম,অপহরণ ও অস্ত্রবাজিতে মেতে উঠেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে প্রতিনিয়ত দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশী-বিদেশী অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করেছে। যাহার কারণে স্থানীয়দের মাঝে সব সময় আতঙ্কে বিরাজমান। অন্তত সে আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের জোর দাবি জানাচ্ছি ।

    এ বিষয়ে অতিরিক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দোজা জানান,রোহিঙ্গারা আমাদের বলেছিল, তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের ফিরে যাওয়ার দাবিতে ছোট আকারে ক্যাম্পে দাড়িয়ে প্লেকার্ড প্রদর্শনসহ মিছিল করবে মনে হয় তা করেছে।

  • উখিয়ায় বালুখালী ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা মাঝি খুন

    উখিয়ায় বালুখালী ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা মাঝি খুন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী শরণার্থী শিবিরে মো. আজিমুল্লাহ (৩৩) নামে রোহিঙ্গা মাঝিকে (নেতা) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বালুখালী ১৮ ক্যাম্প-বি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন।

    কামরান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সন্ত্রাসীরা এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ক্যাম্পের হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।পরে রোহিঙ্গারা তাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ৮ এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, বালুখালী ক্যাম্পে ভেতরে আজিমুল্লাহ মাঝিকে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।পরে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করায় আগে থেকেই তাদের হুমকি দিয়ে আসছিল সন্ত্রাসীরা।
    উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা মাঝি মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।