Category: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • জামিয়া পটিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রামুতে আঞ্চলিক ইত্তেহাদুল মাদারিসের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

    জামিয়া পটিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রামুতে আঞ্চলিক ইত্তেহাদুল মাদারিসের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি- ২৯ অক্টোবর-২০২৩ ইং

    দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র আল-জামিয়া আল- ইসলামিয়া পটিয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা পরিচালিত ধ্বংসযজ্ঞ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছে ইত্তেহাদুল মাদারিস ঈদগাঁও, রামু-কক্সবাজার সদর (কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আঞ্চলিক শাখা)। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আয়োজিত সংগঠনের জরুরি সভা থেকে এ নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।
    রবিবার (২৯ অক্টোবর ) বাদ আছর রামু চাকমারকুল জামিয়া দারুল উলুম অফিস কক্ষে জামিয়া দারুল উলুম চাকমারকুল এর মুহতামিম ও আঞ্চলিক বোর্ডের সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম ও ইত্তেহাদুল মাদারিস ঈদগাঁও, রামু- কক্সবাজার সদর এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ মোহছেন শরীফ।

    সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে মুখোশধারী সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র আল-জামিয়া আল- ইসলামিয়া পটিয়ায় মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও চরম নিন্দনীয়। প্রখ্যাত বুযুর্গ মনীষী আল্লামা মুফতি আজিজুল হক সাহেব রহ. এর তাকওয়া ও ইখলাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত উপমহাদেশের এই বহুল সমাদৃত দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্রে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এভাবে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা জামিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন এবং আমাদের আকাবির ও আসলাফের সম্পূর্ণ নীতি ও আদর্শ বিরোধী । এতে করে মাকবূল ও স্বনামধন্য এ মারকাযী দ্বীনি শিক্ষাঙ্গনের সুনাম ও মর্যাদা চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে । যা এদারার ফাজেলানসহ লক্ষ লক্ষ শুভাকাঙ্ক্ষীদের হৃদয়কে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
    আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি জামেয়ার সুযোগ্য মুহতামিম, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল, তাহফিজুল কুরআন সংস্থা বাংলাদেশের মাহাসচিব মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বৈধ শুরা কর্তৃক তাঁর ওপর অর্পিত জামিয়া পরিচালনার দায়িত্বকে সবধরনের ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা মুক্ত করণে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ওলামায়ে কেরামের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন, ধাউনখালী মাদ্রাসার মুহতামিম ও জেলার প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা মোহাম্মদ মুসলিম, হ্নীলা জামিয়া দারুচ্ছুন্নাহর পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী, জামিয়া এমদাদিয়া আজিজুল উলুম পোকখালীর মুহতামিম মাওলানা আজিজ উদ্দিন, কক্সবাজার রহমানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি সোলাইমান কাসেমী, রামু মাজহারুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ হারুন, খুরুশকুল তালিমুদ্দিন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা এমদাদুল্লাহ, ঈদগাঁও বোয়ালখালী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নুরুল হাকিম, লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচাালক মাওলানা মুহাম্মদ আলী , রামু জামেয়াতুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ শামসুল হক , ধলিরছড়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শাহেদ নুর কুতুবি, নাইক্ষ্যংছড়ি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

    এছাড়াও মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক, মাওলানা আব্দুচ সত্তার, মাওলানা রিদওয়ানুল কাদির, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ দেলাওয়ার হোছাইন, মাওলানা ছৈয়দ নুর, মাওলানা নুর মুহাম্মদ, মাওলানা ইকবাল তাওহীদি, মাওলানা কফিল উদ্দিনসহ সদর রামু, ঈদগাঁও, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর উত্তীর্ণ ৭২জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সনদ ও ক্রেস্টসহ পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়

    বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর উত্তীর্ণ ৭২জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সনদ ও ক্রেস্টসহ পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়

    কাজল আইচ, উখিয়া প্রতিনিধি

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ ৭২জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সনদ ও ক্রেস্টসহ পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    অদ্য ২৩ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ সোমবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকার দিকে উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হল রুমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ ইং, এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজীব। এসময় তিনি বলেন, উখিয়ার শিক্ষা প্রসারে মেধাভিত্তিক এই বৃত্তি পরীক্ষা ভূমিকা রাখবে।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর আয়োজিত অনুষ্ঠানের
    উদ্বোধন ঘোষণা করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি কক্সবাজার সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফজলুল করিম। নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার পৃষ্টপোষক কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী, এবং উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    এছাড়াও সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নুরুল হুদা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কন্ট্রাক্টর ফরিদ আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব কবির আহমদ সওদাগর, উখিয়া স্টেশন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি একরামুল হক, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌলভী হারুন অর রশিদ, মাস্টার কামাল উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সালাহউদ্দিন মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক এটিএম রশিদ, ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, উখিয়া অনলাইন ক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ, উখিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, প্রধান শিক্ষক মাস্টার আশিষ বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক বদিউর রহমান, প্রধান শিক্ষক হাসান জামাল রাজু, প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, অভিভাবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃ বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন পোষ্ট মাস্টার এসএম জসিম।এসময় উত্তীর্ণ উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদ ও এককলীন বৃত্তির অর্থ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি ফাউন্ডেশন ২০০৪ সাল থেকে এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে আসছে, যার মাধ্যমে গত ১৭ বছর ধরে উখিয়া উপজেলার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি লাভ করেছে।

  • জামিয়া পটিয়ায় যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিত্তেই মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়- ড. মাহমুদুল হাসান আল-আযহারী

    জামিয়া পটিয়ায় যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিত্তেই মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়- ড. মাহমুদুল হাসান আল-আযহারী

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    এই দোয়াটা আমাদের করে যেতে হবে আল্লাহ পাক যেন জামিয়ার যে ঐতিহ্য, সেটাকে আমাদের প্রচেষ্টার সবটুকু দিয়ে রক্ষা করার তাওফিক দেন। হযরত মুফতি আযীযুল হক সাহেব রহ. কখনোই নিজের কোনো সন্তানকে দায়িত্বে বসান নি। পটিয়া মাদরাসার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে তিনি খুঁজে এনেছেন সেই হাটহাজারির ইছাপুর থেকে হযরত হাজী ইউনুস সাহেব রহ.-কে।

    হাজী সাহেব হুজুর এ দায়িত্বে অনেকদিন ছিলেন। পটিয়াকে অনেক বড় করে তোলার জন্য মেহনত অব্যাহত রেখেছেন। এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেবামূলক কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় খ্রিষ্টান মিশনারী তৎপরতা রোধে নানামুখী দাওয়াতী কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এত সুন্দর মেহমানখানা তখন কোথাও ছিলোনা, পটিয়াতে তিনি চমৎকার কলেবরে একটি মেহমানখানা নির্মাণ করেছেন।

    তারপর যখন দায়িত্বের একদম শেষলগ্নে পৌঁছে গিয়েছেন, খুঁজে এনেছেন আরেকজন মহারত্ন-কে। দায়িত্বের আসনে বসিয়েছেন হযরত হারুন ইসলামাবাদী রহ.-কে। তিনি চাইলে নিজের ছেলের জন্য এ চেয়ারটি বরাদ্দ দিতে পারতেন, তা করেননি। বরং জামিয়ার কল্যাণের কথা ভেবে, উম্মতের উপকারের কথা মাথায় রেখে, যাকে এখানে বসানো উপযুক্ত মনে করেছেন, তাকেই এনে বসিয়েছেন। হযরত হারুন ইসলামাবাদী রহ. তো অনেক অল্পসময় পেয়েছেন এই জামিয়ায়। একদম অকস্মাৎ তিনি আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন আল্লাহর কাছে।

    তারপরও দায়িত্ব অর্পণে তিনি এত সতর্ক ছিলেন যে, যখন অসুস্থ হয়ে পড়লেন, চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে যাচ্ছেন, তিনি বললেন—’আমার অবর্তমানে তিনজন মিলে মাদরাসা পরিচালনা করবে। গাজী সাহেব হুজুর, কদীম সাহেব হুজুর এবং বুখারী সাহেব হুজুর রহ.।

    পরবর্তীতে হযরত বুখারী সাহেব হুজুরের উপর সে দায়িত্ব এককভাবে আসে। তেমনিভাবে হযরত বুখারী সাহেব হুজুরও যখন একদম জীবনের শেষ সময়গুলো পার করছিলেন, তিনি অনেক ইস্তিখারা এবং চিন্তাভাবনা শেষে একজন যোগ্য এবং জামিয়ার জন্য উপযোগী একজন কর্ণধারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। নিজ সন্তানদেরকে সামনে আনেননি। এটাই হচ্ছে কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য, স্বকীয়তা এবং বৈশিষ্ট্য।

    অন্যান্য সব জায়গায় কমবেশি স্বজনপ্রীতি হয়ে থাকে। কিন্তু পটিয়া মাদরাসা এটা প্রমাণ করেছে, যেমনি আল্লাহর রাসূল খিলাফত প্রদানের সময় ‘আমার পর আবু বকর হক্ব’ বলে প্রমাণ করেছিলেন ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। পটিয়া মাদরাসাও এ শিক্ষাকে ধারণ করে সবসময়ই উম্মতের কল্যাণচিন্তাকে অগ্রে রেখে দৃষ্টান্ত রেখেছে এবং রাখছে।

    সেইসাথে এ বিশ্বাসও আমাদের আছে, এগুলো সবই আমাদের আকাবিরের ইলহামী সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশ। পটিয়ার সকল মুরব্বিদের উপর আমাদের সে আস্থা আছে। আমরা আশা করবো, এমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের জামিয়াতে ঘটবেনা, যেটা আমাদের সোনালী ইতিহাসকে ধুয়েমুছে বিলীন করে দেয়। আমাদের মর্যাদাময় অতীতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

    তাই আমাদের উচিত তাদের জন্য দুআ করা। আল্লাহ আমাদেরকে সু-পরামর্শ প্রদানের তাওফিক দান করেন। জাতিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করার তাওফিক দান করেন। তাঁদের হাত ধরে যেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ জামিয়া পৌঁছে যেতে পারে। ইখলাসের মাধ্যমে, চোখের পানির মাধ্যমে এ জামিয়া ইনশা আল্লাহ অনেক দূর পৌঁছে যেতে সক্ষম হবে।

    পরিশেষে আমি আরও একটি দুআ আল্লাহর দরবারে করতে চাই, আল্লাহ যেন আমাদের মুরব্বীদের ছায়া আমাদের উপর আরও দীর্ঘায়িত করেন। জামিয়ার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইখলাসের উপর অবিচল থেকে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জামিয়াকে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যেতে ভরপুর সাহায্য করেন। আমিন।

    পূর্ণ বক্তব্যটি নিম্নের লিঙ্ক থেকে পড়তে পারেন–

  • রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডিবির প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডিবির প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    নিউজ ডেস্ক

    কক্সবাজার জেলার রামুর সর্ববৃহৎ বালিকা বিদ্যালয় রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক( এডিবি) প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেন।
    বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই পরিদর্শক দল রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছান।
    পরিদর্শক টিম বিদ্যালয়ে পৌঁছালে স্কুলের ছাত্রীগণ গানের তালে তালে পরিদর্শক টিমদের বরণ করে নেন।
    স্কুলের ছাত্রীরা এসময় বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন।
    পরে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ ঘুরে দেখেন ও বিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন। এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজনীন সরওয়ার কাবেরি বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পাওয়ার অনুরোধ জানান।
    পরিদর্শনকালে মাউশির অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাটি সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেন।
    প্রধান শিক্ষক এম জয়নাল আবেদীন ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজনীন স্যারের কাবেরী বিগত অর্থ বছরের এডিবি বরাদ্দকৃত বাজেটের তদারকি করেন।

    মাউশির অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকে বিদ্যালয়ে এসে, বিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখে বেশ ভাল লেগেছে। স্কুলের যেসব সমস্যা রয়েছে তা ক্রমান্নয়ে সমাধান করা হবে।
    এবং এই স্কুল থেকে যে সকল শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

    এসময় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের মিশন লিডার শামসুল আরেফিন,মাউশি অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম খান, যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক ডঃ শামসুন নাহার উপপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপ পরিচালক ডঃ মোঃ আতাউর রহমান, মাধ্যমিক স্কুলের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক গোলাম গাজী মওলা, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানুরাগী সদস্য তানভির সরওয়ার রানা, দাতা সদস্য ইউনুস রানা, সাংবাদিক মোঃ নেজাম উদ্দিন,ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষা উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।

  • জামিয়া পটিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার; মজলিসে ইলমির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    জামিয়া পটিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার; মজলিসে ইলমির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    ডেস্ক রিপোর্ট।

    আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’ আন্তর্জাতিক মানের একটি দীনী শিক্ষালয়। ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষা ও ছাত্রদের উন্নত চরিত্র গঠনে জামিয়ার ভূমিকা অবিস্মরণীয় ও ঈর্ষণীয়।

    কুতবে যামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহ. ১৩৫৮ হিজরী সালে নিষ্ঠা ও এখলাছের উপর ভিত্তি করে ‘জমীরিয়া কাসেমুল উলূম’ নামে এটির ভিত্তি স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনিই মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। ১৩৭৭ হিজরী সনে তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে তিনি নিজেই হযরত আল্লামা আলহাজ্ব শাহ মুহাম্মদ ইউনুছ (হাজী সাহেব হুজুর) রহ.-এর নিকট মাদরাসা পরিচালনার গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও নিজ দূরদর্শী কর্মতৎপরতার মাধ্যমে মাদরাসাটিকে পরিণত করলেন বৃহত্তর জামিয়ায়। ১৪১২ হিজরী সালে তিনি তাঁর প্রভুর দরবারে গমন করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর এ গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয় হযরত আল্লামা শায়খ হারুন ইসলামাবাদী রহ. এর উপর। তাঁর জ্ঞান ও প্রতিভা, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে জামিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতির নতুন ধারা সূচিত হয়। ১৪২৪ হিজরী সালে তাঁর ইন্তেকালের পর আল্লামা নুরুল ইসলাম কদীম সাহেব রহ.-এর নিকট অর্পিত হয় জামিয়া পরিচালনার মহান দায়িত্ব। তাঁর শারীরিক দুর্বলতার দিকে লক্ষ্য করে ১৪২৯ হিজরী সনে তিনি নিজেই মজলিসে শোরার মাধ্যমে বিশিষ্ট ইসলামী বুদ্ধিজীবি, হাকীমুল ইসলাম আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী (রহ.)-এর হাতে সোপর্দ করেন এ গুরুদায়িত্ব।

    তিনি ২০২০ সালে প্রথমতঃ মজলিসে আমেলার; অতঃপর মজলিসে শোরার মাধ্যমে আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ (হাফি.)-কে নায়েবে মুহতামিম মনোনিত করেন এবং তাঁর মাধ্যমে দীর্ঘ দুই বছর যাবত জামিয়ার আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিষয়াদির আঞ্জাম দিয়ে যান। বিগত ২২ শে জুন ২০২২ সালে আল্লামা বোখারী (রহ.) ইন্তিকাল করেন। তাঁর ইন্তিকালের পর জামিয়ার সংবিধান অনুযায়ী প্রথমতঃ তিনি ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হন, অতঃপর ৭ই জুলাই ২০২২ ইংরেজী তারিখের মজলিসে শোরার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে তাঁর হাতে মুহতামিমের এই গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়।

    বর্তমানে আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ (হাফিজাহুল্লাহ) এর সুষ্ঠু পরিচালনায় জামিয়া তার লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলছে। তিনি তাঁর চিন্তা ও চেষ্টা, নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞা, মনোবল ও তাকওয়া দ্বারা জামিয়াকে শিক্ষা-দীক্ষায় বহুমুখী উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সুন্দর ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো সুদৃঢ়করণ, আর্থিক খাতের উন্নতি সাধন ও দেশব্যাপী সুনাম অর্জনে এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন আলহামদুলিল্লাহ ।

    আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযা (হাফি.) মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তিনি জামিয়া পটিয়ার গৌরবোজ্জ্বল অতীত সংরক্ষণের পাশাপাশি বর্তমানকে সমৃদ্ধ ও ভবিষ্যৎকে বর্ণিল করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নিষ্ঠাপূর্ণ সুষ্ঠু ও সুদক্ষ পরিচালনায় জামিয়া পটিয়ায় বহুমুখী উন্নয়ন-উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর সফলতার একটি বড় রহস্য হলো, তিনি যে কোন কাজে ‘মজলিসে এন্তেজামিয়া’ ও ‘মজলিসে ইলমির’ পরামর্শক্রমেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।
    তাই তাঁর হাতে সুচিত হচ্ছে জামিয়ার গৌরবোজ্জল ইতিহাসের সিলসিলা। জামিয়া এখন উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা জগতে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। আমরা তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

    অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, একটি মহল জামিয়ার উন্নতি ও অগ্রগতির প্রতি ঈর্ষাণ্বিত হয়ে জামিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন ধরে অনলাইন/ অফলাইনে স্বার্থপরতার বশীভূত হয়ে জামিয়ার সম্মানিত মুহতামিম সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, অবাস্তাব ও ভিত্তিহীন লিফলেট প্রকাশ করছে।
    তাতে জামিয়ার ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং হিতাকাঙ্খীদের মাঝে জামিয়া সম্পর্কে সন্দেহ ও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন অজ্ঞাত ব্যক্তি পরিচয় গোপন করে ফেকআইডি ব্যবহার করে জামিয়া সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। এসবকে গুরুত্ব দেওয়ার কোন যৌক্তিক ও নৈতিক ভিত্তি নেই।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন এমন অপপ্রচার দ্বারা আমরা মজলিসে ইলমির সকল সদস্য চরমভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছি। তাই আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সর্বসম্মতিক্রমে এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জামিয়া প্রধানের নিকট সুপারিশ করছি।
    প্রয়োজনে দেশীয় আইনে এসব নোংরামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ করছি।

    মজলিসে ইলমির সদস্যগণের নাম ও স্বাক্ষর

    ১.আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ দা.বা.
    মহাপরিচালক- অত্র জামিয়া
    ২. হযরতুল আল্লামা মুফতি হাফেজ আহমদুল্লাহ দা.বা.
    শাইখুল হাদিস – অত্র জামিয়া
    ৩. হযরতুল আল্লামা মাওলানা আমীনুল হক দা.বা.
    সদরে মুহতামিম – অত্র জামিয়া
    ৪. হযরতুল আল্লামা মাওলানা আবু তাহের নদভী দা.বা.
    নায়েবে মুহতামিম – অত্র জামিয়া
    ৫. হযরতুল আল্লামা মুফতি জসীমুদ্দিন সাহেব দা.বা.
    নাযেমে তালিমাত- অত্র জামিয়া
    ৬. হযরতুল আল্লামা মাওলানা যাকারিয়া আজহারী দা.বা.
    সহকারি নাযেমে তালিমাত- অত্র জামিয়া

  • উখিয়ার ডেইলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পূনরায় নিয়োগ দিতে হবে

    উখিয়ার ডেইলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পূনরায় নিয়োগ দিতে হবে

    নিজস্ব প্রতিবেদন।

    আমাদের দাবি মানতে হবে।
    ষড়যন্ত্রকারী জালাল আহমদ চৌধুরী নিপাতযাক, গফুর আলম স্যার জিন্দাবাদ, স্যারকে পূনরায় নিয়োগ দিতে হবে, এই স্লোগান ধারণ করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডেইলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গফুর আলম কে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জালাল আহমদ চৌধুরী ষড়যন্ত্র ও ১২ লাখ টাকা ঘোষ দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব থেকে প্রত্যহার করে অন্য একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।

    ডেইলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ২০০৭ ইংরেজি হইতে শুরু হয়ে ২০২৩ ইংরেজি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোঃ গফুর আলম, ২০২২ ইংরেজিতে অত্র বিদ্যালয় এমপিওভূক্ত হওয়ার পর পরেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জালাল আহমদ চৌধুরী ১২ লাখ টাকা ঘোষ চেয়েছেন, ঘোষ দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছেন বলে জানান অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী। শুধু তাই নয়, এমপিওভূক্ত হওয়ার পর পরেই জালাল আহমদ চৌধুরীর ছেলে ও পুত্রবধুকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, অন্য শিক্ষকদের থেকেও ঘোষ নিয়েছেন বলে প্রমাণ করতে চান তারা, পরবর্তী পাস হয়ে যাওয়ার পর মাওলানা আব্দু শুক্কুরকে টাকা ফেরত দিতে রাজি হয় বলে জানান।

    সেখান থেকে গত ২০ দিন ধরে প্রধান শিক্ষক মোঃ গফুর আলম স্যারকে বহিষ্কার করা হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে আজকে আমাদের এই মানববন্ধন।

    যদি আমাদের দাবি না মানলে পূনরায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান।

  • উখিয়ার মরিচ্যা বাজার মা”হাদ আল ফুরকানে অভিভাবক সম্মেলন ও সবক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    উখিয়ার মরিচ্যা বাজার মা”হাদ আল ফুরকানে অভিভাবক সম্মেলন ও সবক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ এর রিপোর্ট।

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা বাজার উত্তর স্টেশন ইকবাল টাওয়ারের ৩য় তলায় ইসলামিক ও পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ গড়ার কারখানা মা”হাদ আল ফুরকান

    গত ৯ ফেব্রুয়ারী-২০২৩ ইং বৃহস্পতিবার মা’হাদ আল-ফুরকানের অভিভাবক সম্মেলন, সবক প্রদান ও ২০২২ইং শিক্ষাবর্ষে বার্ষিক পরীক্ষায় A+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।

    উক্ত সবক প্রদান অনুষ্ঠান মা’হাদ আল ফুরকানের প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মুফতি রিদওয়ানুল কাদির সাহেব এর সভাপতিত্বে ও অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাওলানা জায়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত সবক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযাহ সাহেব (দাঃবাঃ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার রহমানিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ক্বারী সোলাইমান কাসেমী, রত্নাপালং বায়তুশ শরফের হিফজ বিভাগীয় প্রধান হাফেজ নুরুল আমিন, ছাদিরকাটা মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ক্বারী আবু নাছের প্রমুখ।

    অভিভাবক সম্মেলন ও ২০২২ইং শিক্ষাবর্ষে বার্ষিক পরীক্ষায় A+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মা’হাদ আল ফুরকানের ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা নুর মুহাম্মদ সাহেব, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা আবুল ফজল, ডিগলিয়াপালং রহমানিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল খালেক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের মাস্টারট্রেইনার মাওলানা আমান উল্লাহ, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন উখিয়া উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার মাওলানা আমিনুল ইসলাম হেলালী ও রত্নাপালং বায়তুশ শরফের হিফজ বিভাগীয় প্রধান হাফেজ নুরুল আমিন প্রমূখসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাওলানা এম জাহাঙ্গীর রফিক, মাওলানা মোহাম্মদ হোছাইন, ও অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।

  • মেধা তালিকায় উত্তির্ণ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার ৭ ছাত্র পটিয়া ৪৩ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায়

    মেধা তালিকায় উত্তির্ণ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার ৭ ছাত্র পটিয়া ৪৩ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায়

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থার উদ্যোগে ৪৩তম পটিয়া হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার মেধাবী ছাত্র রহমতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীসহ ৭ জন মেধা তালিকায় উত্তির্ন হয়ে সম্মাননা সনদ ও আকর্ষনিয় পুরস্কার প্রদান করেছেন।
    পরিস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা শাহ্ আহমদ উল্লাহ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ্ সহ জামিয়ার শিক্ষক বৃন্দ। বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দের প্রতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্ নসিহত করেন
    নবীদের উত্তরসূরি হিসেবে কুরআন- সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেয়া আলেম সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কল্যাণের প্রতি আহ্বান জানানো ও অকল্যাণের পরিণতি সম্পর্কে সজাগ করতে আলেমদের স্বয়ং আল্লাহ ও মহানবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ঈমান-আকিদার হেফাজত করা, মানুষকে পরকালমুখী করা, প্রচলিত শিরক-বিদআত ও কুসংস্কারসমূহ রদ করা এবং শরিয়তবিরোধী সব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ভূমিকা পালনের শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেম এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া আলেমদের অন্যতম জিম্মাদারী। তাই কোনো অবস্থাতেই আলেম সমাজের পক্ষে এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁরা বলেন, ইসলামী চিন্তাধারার অনুসারীদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। একে অন্যকে অভিযুক্ত করার প্রবণতা পরিহার করে মতপার্থক্যের যে সব বিষয় রয়েছে সেগুলোকে সংলাপের মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি ও সংশোধন করা গেলে মুসলিম উম্মাহকে কার্যকর ঐক্যবদ্ধ ও স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করে তোলা সম্ভব। ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে সব মুসলিমকে একত্রিত করার দায়বদ্ধতাকে বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে হবে। সংযমের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সাদৃশ্যের বন্ধনকে জোরদার করতে হবে এবং পরিত্যাগ করতে হবে শত্রুতা ও বিভাজনের প্রবণতা। একই সাথে চরমপন্থা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথেও মুসলমানদের সর্বোত্তম পদ্ধতিতে সহযোগিতা করতে হবে।
    চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার মেধাবী প্রতিযোগী ছাত্ররা হলেন যতক্রমে ৩০পারা গ্রুপে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদী ১ম গ্রুপে ১ম বিভাগে উত্তির্ন,মোহাম্মদ হাসান মুহাম্মাদ সাবিত ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মদ সিফাত ৩য় বিভাগে উত্তির্ন, মুহাম্মদ মাহফুজ ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মাদ জুনাইদুল ইসলাম ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মদ হাম্মাদ ৩য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মাদ সাকিবুল হাসান জাওয়াদ১ম গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ, মুহাম্মাদ ফাহাদ১ম গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ, মুহাম্মাদ ফাহিম মুনতাসির ২য় গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ।
    ১৮,১৯,২০ জানুয়ারি ২০২৩ খৃষ্টাব্দ (বুধ, বৃহস্পতি ও জুমাবার) বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ৪৩তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ৬৩৪ টি মাদরাসা থেকে প্রায় ১২৬৮ জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেছে।
    হল বিন্যাস :
    তিনটি হলে ছাত্রদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (১) শিক্ষা ভবন ৩য় তলা (সম্মেলন কক্ষ), সেখানে ৩০ পারা গ্রুপের ১নং সিরিয়াল থেকে ৮৩৯ সিরিয়াল পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (২) আল-জামিয়ার জামে মসজিদ ৩য় তলা, সেখানে ১৫ পারা গ্রুপের ২ নং সিরিয়াল থেকে ৮৪১ সিরিয়াল পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (৩) জামাতে শাশুমের দরসেগাহ, সেখানে ৩০ পারা গ্রুপের ৮৪২ নং সিরিয়াল থেকে ১২৬৮ এবং ১৫ পারা গ্রুপের ৮৪৩ সিরিয়াল থেকে ১২৬৬ পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার সকাল ৮ঘটিকা থেকে প্রত্যেক হলের প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়েছে।

    প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও সনদ প্রদানের পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে সান্ত্বনা পুরস্কার এবং তাদের শিক্ষকমণ্ডলীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

  • নূরানী কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ: পাশেরহার ৯৭.৫৭%

    নূরানী কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ: পাশেরহার ৯৭.৫৭%

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ’র অধীনে দেশব্যাপী নূরানী মাদরাসা সমূহের কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষার ফলাফল আজ ২৫ডিসেম্বর২০২২ রোজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে, বো‌র্ডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

    বোর্ডের মুহতারম চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইয়াহিয়া সাহেব (হাফি.) এর হাতে কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষার ফলাফল তুলেদেন বোর্ডের মুহতারম মহাসচিব আল্লামা মুফতি জসীমুদ্দীন সাহেব (হাফি.) ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতী মুহাম্মাদ আলী সাহেব (হাফি.)।
    ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বোর্ডের মজলিসে আমেলা ও শুরার সদস্যগণ এবং বোর্ডের সিনিয়র কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন সংবাদ কর্মীগণ।

    বোর্ডের অধীনে এবারের কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ৫১৩৫৪০জন। অনুপস্থিত মোট ১০১৩জন। মোট পাশ ৫১০৩২২জন। মোট ফেল ২১১৫জন। মোট জি.পি.এ ২৭৭৩২জন।
    মোট প্রতিষ্ঠান ৭৫৪০টি। মোট কেন্দ্র ২২২৬টি।
    পাশেরহার ৯৭.৫৭%
    আল্লাহ তা’য়ালা সকলকে কবুল করুক।