Category: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • নাজিরহাট মাদরাসার শুরা মিটিংএ হাবিবুর রহমান কাসেমী মুহতামিম হন,সলিমুল্লাহসহ ১৩ জন বহিষ্কার

    নাজিরহাট মাদরাসার শুরা মিটিংএ হাবিবুর রহমান কাসেমী মুহতামিম হন,সলিমুল্লাহসহ ১৩ জন বহিষ্কার

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    নাজিরহাট মাদরাসা থেকে ১৩ জন বহিস্কার, হাবিবুর রহমান কাসেমীকে মুহতামিম নির্ধারণ
    স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশার মাইজভান্ডারীর সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নাজিরহাট বড় মাদরাসার মজলিসে শুরার সিদ্ধান্তক্রমে অবশেষে নাজিরহাট বড় মাদরাসা বিষয়ে সিদ্ধান্তে এসেছেন মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা।

    দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে মজলিসে শুরার বৈঠকের মাধ্যমে মাদরাসাটির মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়েছে মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীকে এবং মাদরাসার সাবেক মুহতামিম দাবিদার ও আল্লামা শফী রহ. এর সময়ে বিতর্কিতভাবে নির্ধারণ করা মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ ও তার সমর্থকসহ সর্বমোট ১৩ জনকে মাদরাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।

    এছাড়াও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদরাসার মুতাওয়াল্লি নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
    আরও পড়ুন : সরকারের কথায়ই আমি জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আছি : এমপি মাইজভাণ্ডারি
    আজ ২৮ অক্টোবর সকাল ১০ টা থেকে প্রশাসনিক কড়া নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত হওয়া শুরা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র।
    সূত্র থেকে জানা গেছে – প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা।

    শুরা বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, নাজিরহাট থানার ওসি বাবুল আকতার সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
    তবে সার্বিক সকল কিছুই তদারকি করছেন স্থানীয় সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। তিনি ঘোষণা দিয়েই আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর সমর্থনের কারণে মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমীর পক্ষে ছিলেন। যদিও তিনি এর আগে মাওলানা সলিমুল্লাহর পক্ষে ছিলেন। নিজের অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন – “সরকার আমাকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে থাকতে বলেছেন বলেই নাজিরহাট মাদরাসা ইস্যুতে আমি জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহিববুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে আছি।”

    আরও পড়ুন : আল্লামা বাবুনগরীর পেছনে সারাদেশ কাতারবন্দি : নজিবুল বশার মাইজভান্ডারী
    নাজিরহাট মাদরাসার শুরা কমিটির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন – আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা নোমান ফয়জী, আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী, মুফতী হাবিবুর রহমান কাছেমী, মুফতী মাহমুদুল হাসান।, মাওলানা হাফেজ কাসেম।, মাওলানা আনোয়ার শাহ, মাওলানা উমর ফারুক।, মুফতী আরশাদ রহমানী, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা খুবাইব, জিরি মাদরাসা।

    আজ মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর ২০২০ সকাল ১০ টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মজলিশে শুরার মিটিং থেকে আরও যেসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে তা হলো –

    মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমীকে মাদ্রাসার মহাপরিচালক নিযুক্তের পাশাপাশি মাওলানা ইয়াহিয়া বিন আবু তাহেরকে সহকারী পরিচালক ও মাওলানা ইসমাইল বিন শামসুদ্দিনকে সহযোগী পরিচালক নির্বাচিত করা হয়েছে।
    মাদ্রসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা হাবিবুল্লাহ নদভীকে শিক্ষা পরিচালক এবং ইফতার জিম্মাদার মাওলানা রবিউল হাসান কে সহকারী শিক্ষা পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।
    এছাড়াও মদরাসার প্রবীণ শিক্ষক ও মুহতামিম দাবিদার মাওলানা সলিমুল্লাহ সহ মোট ১৩ জনকে সর্ব সম্মত ভাবে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
    বহিস্কৃতরা হলেন – মাওলানা সলিমুল্লাহ, মুফতি হাশেম, মাওলানা সালাহ উদ্দীন, মাওলানা নূরুল আলম নছিরী, মাওলানা মিজান, মাওলানা মাহফুজ, হাফেজ আব্দুল কাদের, মাওলানা মামুনসহ মোট ১৩ জন।
    তবে তাদের মধ্যে কাকে কোন দোষে এবং কোন কারণে বহিস্কার করা হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জানা যায়নি। তবে দীর্ঘদিন ধরে মাওলানা সলিমুল্লাহ মাদরাসায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া তার ব্যাপারে অর্থনৈতিক অনিয়মসহ বেশ কিছু অভিযোগও রয়েছে।

    আরও পড়ুন :
    নাজিরহাট মাদরাসায় গোলযোগ : যা বলছেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী
    মাদরাসা রক্ষার জন্যই আমি আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি : মুফতী হাবিবুর রহমান

    আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে মামলা : আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর প্রতিবাদ বিবৃতি
    অপরদিকে শুরা বৈঠক নিয়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ও কঠোরতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো। নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে সবধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় নাজিরহাট বাজারের সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজ বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি মঙ্গলবার বিকালে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়।

    আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মঙ্গলবার রাত থেকে নাজিরহাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে নাজিরহাট বাজারের ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সবধরণের যানচলাচল ও জনচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

    প্রসঙ্গত : নাজিরহাট বড় মাদরাসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটি বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২৭ মে মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ইদ্রিস ইন্তেকাল করলে মাদরাসার মুহতামিম পদ নিয়ে মাওলানা সলিমুল্লাহ ও মুফতী হাবিবুর রহমানের মধ্যে দ্বন্ধও দৃশ্যমান হয় দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি বিষয়টি মামলা ও আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। যে দ্বন্ধে আল্লামা শফীপুত্র আনাস মাদানী মাওলানা সলিমুল্লাহর পক্ষ নিয়েছিলেন এবং আল্লামা শফী রহ. এর স্বাক্ষর নিয়ে মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত দিয়ে তাকে মুহতামিম ঘোষণা করেছিলেন যদিও সেই সিদ্ধান্ত মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী অংশের লোকজন মানেনি। পরবর্তিতে আল্লামা শফীর ইন্তেকালের পর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মুফতী হাবিবুর রহমানের পক্ষে দাড়ান এবং তাকে সমর্থন দেন।

  • আবারও বাড়ানো হচ্ছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

    আবারও বাড়ানো হচ্ছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    আবারও বাড়ানো হচ্ছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। চলমান ছুটি আগামী ৩১ অক্টোবর পযর্ন্ত বহাল থাকলেও সেটা আবারও এক ধাপ বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে।

    দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে চলতি মাসের ২৭ তারিখ শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক হবার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। পূজা উপলক্ষ্যে ছুটি থাকার কারনে এই বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ায় অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (২৯ অক্টোবর)।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আগামীকাল বৈঠক শেষে একটি ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিং করবেন শিক্ষামন্ত্রী ভ.দিপু মনি। এমন তত্থ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন জানান, বর্তমানে যে ছুটি চলমান রয়েছে সেটা বাড়ানো হবে। এমন তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘’বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না। তাই চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হবে।‘’

    সচিব আকরাম আল হোসেন আরও বলেন, ‘’আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা দেয়া আছে। এর আগেই ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। যেহেতু ৩০ ও ৩১ অক্টোবর সরকারি ছুটি। তাই বৃহস্পতিবারেই এই বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।‘’

    চলমান ছুটি ৩১ অক্টোবর থেকে আরও কতদিন বর্ধিত করা হবে সে ব্যাপারে অবশ্য এখনও কিছুই জানাননি কর্মকর্তারা।

    মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়তে পারে। তবে ছুটি কত দিন বাড়তে পারে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে খুব শিগ্রই এ বিষয়ে জানানো হবে।

    উল্লিখিত, মহামারী কোভিড-১৯ এর কারনে গত মার্চ মাস থেকেই দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে দেশের বাকি সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার উপরেই প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া সঠিক ভাবে আদায় করছে না বলে অভিযোগ

    ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া সঠিক ভাবে আদায় করছে না বলে অভিযোগ

    এমদাদুল্লাহ শামসীর প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলার লাইট হাউস মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া কোনটাই সঠিক ভাবে আদায় করছে না।

    মাওঃ মুহাম্মদ আলী সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করলে ইয়াসিন হাবিব জাতীয় দালালদেরকে সাথে নিয়ে উল্টাপাল্টা,মিথ্যা, বানোয়াট গল্প-কাহিনী সাজাতে বদ্ধ পরিকর।যা আদৌও বাস্তবতার মুখ দেখেনি। আলহামদুলিল্লাহ প্রথমে সেই জাতীয় দালাল চক্র থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসা উদ্ধার করা হয়েছে। হাটহাজারীর পর বর্তমানে দালাল চক্র থেকে উদ্ধার কাজ চলছে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার। এরপরপরই আমাদের লাইট হাউস মাদ্রাসার উদ্ধার কাজ চলবে ইনশাআল্লাহ। সেদিন বেশি দূর নয় যেদিন কক্সবাজারকে ইয়াসিন হাবিব সহ জাতীয় দালালদের থেকে পুত-পবিত্র করা হবে ইনশাআল্লাহ।

    وما توفيقي إلا بالله

  • সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

    সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

    মোঃরাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

     

    নিজেদের নির্দিষ্ট ও যুক্তিযুক্ত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

    কোভিড-১৯ প‍্যান্ডেমিকের কারণে গত ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চলেনি কোনো কার্যক্রম। খুব শিগ্রই যে খুলবে তারও কোনো আলামত পাওয়া যাচ্ছে না মন্ত্রণালয় থেকে।

    দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের কোনো পড়ালেখাই ঠিকমত হয়নি। পড়ালেখা থেকে দূরে থাকার জন্য শিক্ষার্থীরাও অলস হয়ে পরেছে।

    এমতাবস্থায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের পরীক্ষা না নিয়েই অটোপ্রমোশন দেওয়া হবে।

    তবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মূল ক্ষোভ সেখানে না। তাদের ক্ষোভ এইচ এস সি পরিক্ষার্থীদের অটোপাশ নিয়ে। সরকার তাদের কে অটোপাশ দিলেও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কে অটোপাশ দেয়নি।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা। তারা ভবিষ্যতের দেশ গড়ার কারিগর। তাই তাদের কে অটোপাশ দেওয়া যাবে না। এছাড়াও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।

    কিন্তু পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা তা মানতে নারাজ। তাদের প্রশ্ন এইচ এস সি শিক্ষার্থীদের অটোপাশ দিতে পারলে আমাদের কেন না। তবে শিক্ষার্থীরা এমন প্রশ্ন করলেও তাদের মূল দাবি ২য়,৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্বের অটোপাশ এবং ৮ম পর্বের চূড়ান্ত ভাইভা নিয়ে, ১ম,৩য়,৫ম ও ৭ম পর্বের সিলেবাস কমিয়ে দ্রুত ক্লাশ শুরু করা।

    উপরক্ত এবং আরও নানান ধরনের দাবি নিয়ে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করছে।

  • পুলিশি পাহারায় মাদরাসা ছাড়লেন স্বঘোষিত মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ= শূরার বৈঠক কাল সোমবার

    পুলিশি পাহারায় মাদরাসা ছাড়লেন স্বঘোষিত মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ= শূরার বৈঠক কাল সোমবার

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের নাজিরহাট বড় মাদরাসার সৃষ্ট সংকট নিরসনে শূরার বৈঠক চেয়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে মাদরাসায় অবস্থায় গ্রহণ দুপুর থেকে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার আন্দোলনের দাবানল পুরো মাদরাসা সহ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।আন্দোলনের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশি পাহারায় মাদরাসা ছাড়লেন স্বঘোষিত মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহ।তবে ছাত্ররা দ্রুত শূরার বৈঠক আহ্বানের জন্য আন্দোলন তীব্রতর করে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করে।আন্দোলনরত অবস্থায় সন্ধ্যার কিছুপর মাদরাসায় প্রবেশ করেন ফটিকছড়ি সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর, বাবুনগর মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ফটিকছড়ি নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফীন, ইনচার্জ অফিসার বাবুল আক্তার,নাজিরহাট পৌর মেয়র সিরাজুদ্দৌলা সহ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার দাবী মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, হক সব সময় বিজয়ী হয়।যদিও সত্যের বিজয় পেতে দেরী হলেও সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সত্যের বিজয় সুনিশ্চিত। দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তার ধ্বংশ অনিবার্য তা আমরা বিভিন্ন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারি। মাদরাসার অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিরসনে শূরা সর্বোচ্চ নিয়মতান্ত্রিকতা রক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।শূরার বৈঠক সুষ্ঠু এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

    বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত শূরা সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও প্রশাসন সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান। তিনি শূরার আয়োজন সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।।

    মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ফটিকছড়ি সাংসদ দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে এবং আমাদের সংকট নিরসনে এগিয়ে আসায় তাঁর (ফটিকছড়ি সাংসদ) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আন্দোলনরত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের সকল যৌক্তিক দাবী আমরা বিবেচনা করে আগামী শূরার বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।আন্দোলনের তীব্রতা এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বঘোষিত ২৮ তারিখের অনুষ্ঠিতব্য শূরার বৈঠক পরিবর্তন করে বৈঠকের তারিখ আগে নিয়ে আসা হয়েছে।এতে করে আগামী ২৬ তারিখ সোমবার সকাল ১০টায় মাদরাসায় শূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।তিনি ছাত্রদের পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

    স্বঘোষিত মুহতামিম মাওলানা সলিমুল্লাহের রোষানলে এবং তার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে যেসকল সম্মানিত শিক্ষক মাদরাসা ছেড়েছেন সকলে বর্তমানে মাদরাসায় অবস্থান করছেন।তাঁদের স্বাদর অভ্যর্থনা এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন মাদরাসা ছাত্র জনতা। বর্তমানে মাদরাসা পরিবেশ শান্ত রয়েছে।শূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া অবধি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদরাসার বাহিরে-ভেতরে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে।এক্ষেত্রে মাদরাসার ছাত্ররা সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানান ছাত্ররা।

  • বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার উদ্যোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আজ বৃহস্পতিবার ০১ অক্টোবর ২০২০ ইং বিকেলে বাঁশখালী পৌর শহরের গ্রীণ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সভাপতি মাওলানা ফিরোজ আহমদ মসরুর সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা ক্বাজী আখতার সাহেব। বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সেক্রেটারী ও মনকিচর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শাহ আবু বকর সাহেব, বৈলছড়ি মাদরাসার সাবেক পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, দিদারিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইসহাক, জলদী মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা নুরুল হক সুজিশ, বাহারছড়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নুর মোহাম্মদ লোকমান, বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়ার পরিচালক মাওলানা আজিজুল হাছান, বৈলগাও কনজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবু বকর, চাম্বল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিল, মনকিচর মাদরাসার প্রধান মুফতি মাওলানা মুফতি হেলাল উদ্দীন, ছনুয়া মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম, পুকুরিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মনকিচর মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমান, দারুল কারীম মাদরাসার পরিচালক সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আকতার হোসাইন প্রমুখ।

    আলোচনা সভায় বক্তারা আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. এর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা এবং হুজুরের জন্য বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

  • আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

    আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং হাটহাজারী মাদরাসার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত ও সুশৃঙ্খল বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ।

    সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শীর্ষ আসাতাযায়ে কেরামের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দুআয় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। নিয়মিত ক্লাশ চলছে। আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমীয়া’র পরিক্ষাও সুন্দরভাবে চলছে। মাদরাসার শিক্ষকগণ, ছাত্রভায়েরা এবং এলাকাবাসীরা খুবই সন্তুষ্ট।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসার কোনো উস্তাদ এবং বাহিরের কোনো সংগঠন ও ব্যক্তির উস্কানি বা সম্পৃক্ততা ছিলো না। হযরতের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা নির্জলা মিথ্যাচার বৈ কিছুই নয়। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে নিজেদের হিনস্বার্থ উদ্ধারে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর লাশ নিয়ে রাজনীতি করা এবং কওমী অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।

    বিবৃতিতে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.) স্বজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় হাটহাজারী মাদরাসা শূরা কমিটির হাতে দায়িত্ব সোপর্দ করে গেছেন এবং হযরতের ইন্তিকাল স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে এবং হযরতের ওসিয়্যাত অনুযায়ী অত্যন্ত মর্যাদার সাথে মাদ্রাসার বায়তুল আতিক জামে মসজিদের পার্শ্বের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হযরতের ইন্তিকালে আমরা সকলে অত্যন্ত মর্মাহত ও শোকাহত।

    বিবৃতিতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)এর মাগফিরাত কামনা ও দারাজাত বুলন্দির জন্য বিশেষভাবে সকলে দুআ করবেন এবং দারুল উলূম হাটহাজারীর ইতিহাস ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও মাদরাসার উন্নয়ন ও সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।

    তারা আরো বলেন, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)সহ সকল মুরুব্বিয়ানে কেরামের উসূল অনুযায়ী চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা দুআ করবেন, যেনো আল্লাহ তাআলা দারুল উলূম হাটহাজারীসহ পুরো কওমী অঙ্গনকে সকল ধরনের ফিতনা-ফাসাদ থেকে হেফাজত করেন।

    বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- জামিয়া পরিচালনা কমিটির প্রধান মুফতিয়ে আযম আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামী, মজলিসে ইলমির সদস্য আল্লামা মুফতী নূর আহমদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য আল্লামা শেখ আহমদ, শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী, সহকারী শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেয শোয়াইব, পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মজলিসে ইলমির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ওমর কাসেমী, নাজেমে দারুল ইক্বামার প্রধান মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা কবীর আহমদ, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা আশরাফ আলী নেজামপুরী, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেয আহমদ দিদার কাসেমী, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা ফোরকান আহমদ প্রমূখ।

    উল্লেখ্য, গতকাল (রোববার) রাত ৮টায় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সকল উস্তাদবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিনিয়র মুহাদ্দিস, মুফতি ও শিক্ষকগণ লাইভ ভিডিওতে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক ইন্তিকালের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বলেছেন, যারা তাঁর ইন্তিকালের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাচ্ছেন, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এমন অভিযোগ তুলছেন। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

  • হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতুল উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি

    হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতুল উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতলু উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সাংসদ জনাব ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি. মহোদয়

    এ সময় তিনি হাইয়াতুল উলয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন এবং জামিয়ার শিক্ষাপরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাফিজাহুল্লাহুর সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

    মাননীয় এমপি মহোদয় মাদরাসার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ,স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রেখে ছাত্রদের পরীক্ষা দেওয়া ইত্যাদি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    এসময় মজলিসে এদারীর সদস্য আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী হাফিজাহুল্লাহু,আল্লামা ইয়াহইয়া দা.বা. সহ আসাতেযায়ে কেরাম ও হাইয়াতুল উলয়ার পরীক্ষকগণ সহ হাটহাজারী উপজেলার সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনির সাহেব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

  • হাটহাজারী মাদ্রাসায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি, চার জনকে পুনর্বহাল

    হাটহাজারী মাদ্রাসায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি, চার জনকে পুনর্বহাল

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার (হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত) দুই শিক্ষককে অব্যাহতি ও চারজনকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। ছাত্রদের দাবি ছিল কয়েকজন শিক্ষকে অব্যাহতি ও কয়েকজনকে পুনর্বহাল করার।

    অব্যাহতি পাওয়া দুই শিক্ষক হলেন, মাওলানা মোহাম্মদ উসমান ও মাওলানা তকি উদ্দিন আজিজ। মাদ্রাসার প্রয়াত মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী থাকাকালীন ওই দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পুনর্বহাল হওয়া চার শিক্ষক হলেন, আনোয়ার শাহ, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা মোহাম্মদ হাসান ও মাওলানা মনসুর। আহমদ শফী থাকাকালীন তাদের মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়া সাহেব বলেন, বিনা কারণে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া দক্ষ চার শিক্ষককে ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    ছয় দফা দাবিতে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার রাতে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আহমদ শফী। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় শুরা কমিটি। শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন আহমদ শফী। পরদিন শনিবার তার মরদেহ দাফনের পর মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের শুরা কমিটি গঠন করা হয়। এই তিন সদস্য হলেন মুফতি আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ আহমদ ও মাওলানা ইয়াহিয়া। এ ছাড়া জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার প্রধান শায়খুল হাদিস ও নাজিমে তালিমাতের (শিক্ষা পরিচালক) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষা পরিচালক করা হয় মাওলানা মোহাম্মদ শুয়াইবকে।

    এর আগে গত ১৭ জুন আহমদ শফীর সভাপতিত্বে শুরা কমিটির বৈঠকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে সহকারী পরিচালক থেকে অব্যাহতি দিয়ে শেখ আহমদকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

  • বাঁশখালী জলদী বাইঙ্গাপাড়া (বড়) মাদরাসার কি হবে?

    বাঁশখালী জলদী বাইঙ্গাপাড়া (বড়) মাদরাসার কি হবে?

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী জলদী মখজনুল উলুম বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আহমদ শফি সাহেব হুজুর। যেখানে হুজুর নিজে চলতে অক্ষম সেখানে জলদী বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসার কি হবে? নাকি হুজুরের নামের উপর চলবে সব অপকর্ম!
    হাটহাজারীর শুরা কর্তৃপক্ষের উচিত বাঁশখালীসহ আরো যে সকল মাদরাসায় হুজুরকে নামকাওয়াস্তে পরিচালক পদে রেখে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটপাট এবং অনিয়ম চলছে তার খবরা খবর নেয়া।