Category: সমাজিক

  • বিরামপুরে ৬০ জন অসহায়রা পেলো বন্ধু মহলের সেমাই চিনি

    বিরামপুরে ৬০ জন অসহায়রা পেলো বন্ধু মহলের সেমাই চিনি

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    ঈদ মানেই আনন্দ,ঈদ মানেই খুঁশি। আর কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এই ঈদ-উল ফেতর। আর ঈদে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠবে অনেকেই। তবে গরিব অসহায় ও দুস্থ মানুষদের এই আনন্দ ভাগাভাগী করে নিতে পাশে দাড়িয়েছেন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ”বন্ধু মহল” নামে সেচ্ছাসেবী সংগঠন।

    শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাত্রি সাড়ে ৭টায় বিরামপুর রেল ষ্টেশন চত্বরে বিরামপুর পৌর শহরের রেলকলনী এলাকার নয়ন মিয়ার নেতৃত্বে বন্ধু মহলের সহযোগিতায় ৬০ জন অসহায় ও দুস্থ্যদের মাঝে ঈদ উপহার পোলাইয়ের চাল, সেমাই, চিনি, গুড়াদুধ ভোজ্য তেল ও সাবান বিতরণ করা হয়। এসময় বন্ধু মহলের উদ্যোক্তা নয়ন মিয়া, এবিএম আমিনুল ইসলাম, আনসারুল মিয়া,হাসান আলী স্বর্ণকার, বাবুল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    বন্ধু মহলের উদ্দ্যাগতা নয়ন মিয়া বলেন,যেকোনো আনন্দ উৎসবে গরীব অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে আমাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

  • নওগাঁর মান্দায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর

    নওগাঁর মান্দায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর

    নওগাঁর মান্দায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর

    আকাশ আহমেদ,(নওগাঁ) জেলা প্রতিনিধিঃ
    নওগাঁর মান্দায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর আজ বিলুপ্তির পথে। এক সময় দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে সেই চিরচেনা খড়ের ছাউনির ঘরের প্রচলন ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে।

     

    আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের বিবর্তনে খড়ের তৈরি ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যেখানে প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ২-৪টি ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ত। কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়ন মিলেও সেই সময়ের খড়ের তৈরি ঘর তেমনটা আর চোখে পড়েনা।

    বর্তমানে টিনের অত্যাধুনিক ব্যবহারের ফলে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর বিলুপ্ত হচ্ছে। তবে নওগাঁর মান্দা উপজেলার গ্রাম – গঞ্জে মাঝে মাঝে ২/১টি খড়ের ছাউনির ঘর দেখা যায়।

    ভালাইন ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও গ্রামের প্রায় অধিকাংশ বাড়ীতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল। গ্রাম-গঞ্জের অধিকাংশ মানুষ খড় দিয়ে ঘরের ছাউনি দিত।গরমের দিনে ঠান্ডা আর শীতের দিনে গরম, তাই তারা এই ঘরকে এসি ঘর বলে। উচ্চবিত্তরা শখের বসে কখনও কখনও পাকা ঘরের চিলকোঠায় ছন অথবা টিন ব্যবহার করতো।

    সরেজমিনে দেখাগেছে,যে, মান্দা উপজেলার ২ নং ভালাইন ইউনিয়নের বৈলশিং গ্রামে বছর খানেক আগেও তাদের এলাকায় অনেকের বাড়ীতে খড়ের ছাউনি ছিল। আধুনিকতার ছোঁয়ায এখন আর নেই। কিছুদিন আগে খড়ের ছাউনি ফেলে টিনের ছাউনি দেন তারা । শীত ও গরমে উভয় দিনে ছনের ছাউনির ঘর বেশ আরামদায়ক। এছাড়াও বছর বছর খড় পরিবর্তন করতে হয়। এ কারণে অনেকে খড়ের ঘরকে ঝামেলা মনে করেন।একারণে খড়ের ছাউনির ঘরের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

    মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি। হয়তো সেই দিন আর বেশি দুরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। আগামী প্রজম্ম রূপকথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে। তবে আবার কেউবা পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে ২-১ টি খড়ের ছাউনির ঘর টিকিয়ে রেখেছেন।

  • দু’ বছর পর বিরামপুরের ইফতার বাজারে ব্যস্ততা

    দু’ বছর পর বিরামপুরের ইফতার বাজারে ব্যস্ততা

    দু’ বছর পর বিরামপুরের ইফতার বাজারে ব্যস্ততা


    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

    প্রথম রোজা ছিলো রোববার (৩ এপ্রিল)। ইফতার বেচাকেনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের বিরামপুর রোজাদার ও হোটেল ব্যবসায়ীরা। আজ রোজার দ্বিতীয় দিন সোমবার

    করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ইফতার বেচাকেনা তেমন জমেনি। এবার জমেছে বেচাকেনা।

    শহরের বিভিন্ন হোটেল এবং রাস্তার পাশে ইফতারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, মানুষ ইফতার নিতে দোকানে ভিড় করেছে। দোকানেও সাজানো আছে বুট, বুন্দিয়া, বেগুনের চপ, রসুনের চপ, ধনাপাতার চপ ও পিয়াজুসহ নানা আইটেমের ইফতার। অনেক হোটেলে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ইফতার দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

    করোনা মহামারির মধ্যে দুই বছর ইফতারি বেচাকেনা একপ্রকার বন্ধ ছিল। মানুষের মনে বিরাজ করছিল আতঙ্ক। আজ নেই সেদিনের মতো আতঙ্ক। ইফতারির আনন্দ রোজাদাররা ভাগাভাগি করতে পারছে।
    বিরামপুর নতুন বাজারে ইফতার দোকানে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আজ রোজার দ্বিতীয় দিন। বাড়িতে সবাই রোজা আছে। তাই ইফতার নিতে এসেছেন। তবে ইফতারির দামটা একটু বেশি। তবে যেহেতু সব জিনিসের দাম বেশি, তাই এই বেশি দামটা মেনে নিয়েছেন। গত দুই বছর এভাবে বাজার থেকে ইফতার কেনার সুযোগ ছিল না। এবার ইফতারের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছেন।

    বিরামপুর বাজারের ইফতার ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন বলেন, আজ রোজার দ্বিতীয় দিন। বুট ১০০ টাকা, বুন্দিয়া ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। বিক্রি ভালো হচ্ছে। তিনি আশা করছেন, আগামীতে আর ভালো ব্যবসা করতে পারবেন।

  • স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পুরুষ্কার বিতরণ

    স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পুরুষ্কার বিতরণ

    ইমরান তাওহীদ রানাঃ- বার্তা সম্পাদক,

    জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন (জেসিএফ) এবি এ এল ৩৭ ও ৩৮নং সেন্টারে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়,  রাকিব উল্লাহ বাহার সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলাশ চন্দ্র রায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ঈদগাহ পথ শিশু ব্লাড এসোসিয়েশনের এডমিন জাহেদ খান, শিক্ষিকা রুনা ইয়াছমিন শিপু, রেশমা আক্তার,লাকী আক্তার,খুরশিদা আক্তার চুমকি।

    এই সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় প্রাই ১৫ অধিক ছাত্র ছাত্রী হাতে পুরস্কার তুলে দেন, জাহেদ খান জানান আরু কিছু খেলা বাকি রয়েছে, তাহাদের খেলার শেষ করে আরু কিছু পুরুষ্কার বিতরণ করবে বলে জানিয়েছে।

    উল্লেখ ছাত্র ছাত্রীরা পুরস্কার পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল

  • শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার আপনাদের পাশে রয়েছেঃ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল

    শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার আপনাদের পাশে রয়েছেঃ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল

    ইসমাইল হোসেন সোহাগঃ- বিশেষ প্রতিনিধি,

    বান্দরবানের লামা উপজেলার ৫নং সরই ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ৩৪০জন দুঃস্থ ও অসহায় শীর্তাত মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র উপহার শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।

    আজ ৩০ জানুয়ারী”২০২২ইং রবিবারে সকাল ১২টার দিকে সরই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে এ শীর্তাত অসহায় মানুষের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।

    ৫নং সরই ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস কোম্পানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জননেতা মুহাম্মদ মোস্তাফা জামাল মহোদয়।

    কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় দেশ এবং দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন। কোনো মানুষ যেন শীতে কষ্ট না পাই সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ কম্বর বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশ এবং দেশের মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    জন-সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে করোনার চাপ বেড়ে গেছে। সবাই সাবধানে থাকবেন এবং মাস্ক পরিধান করবেন। মাস্ক ছাড়া বাড়িতে হতে অযথা বাহির হবেন না। করোনার দুঃসময়েও প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবে। এদিকে ২য় বারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয় সহ পরিবারের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া/আশির্বাদ কামনা করেছেন।

    কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে, ৫নং সরই ইউনিয়ন আওয়ামী- লীগের সভাপতি মোঃ নুরুল আলম, সাবেক সরই ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, ইউপি সচিব মোঃ মুসা, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ডলার, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য আহমেদ আলী, মোঃ বাবুল, মোঃ নাছির উদ্দীন, মোঃ হোসেন, মোঃ জব্বার, মোঃ জয়নাল আবেদীন (জানু), ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী- লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য খালেদা বেগম, সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য অংজারুং ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শিরু আক্তার সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়ার হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সীরতুন্নবী(সাঃ)মাহফিল সম্পন্ন

    উখিয়ার হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সীরতুন্নবী(সাঃ)মাহফিল সম্পন্ন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সু পরিচিত একটি অরাজনৈতিক সামাজিক বৃহত্তর সংগঠন, হাতিমোড়া ইসলামী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদ এর উদ্যোগে সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়নের তিন তিন বারের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জনাব ইকবাল মেম্বার, মাওলানা সৈয়দ আকবর সাবেক মেম্বার, জনাব মাষ্টার ফজলুল করিম।

    প্রধান আলোচক
    মাওলানা আবুল বশার হেলালী, ঢাকা।
    মাওলানা আবুল ফজল সাহেব, সিনিয়র আরবী প্রভাষক রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা উখিয়া।

    সম্মানিত ধর্মপ্রাণ তৌহীদি জনতা- আসসালামু আলাইকুম।
    ২৩ শে জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ রবিবার হাজারো মানুষের প্রিয় সংগঠন হাতিমোরা ইসলামী শিশু কিশোর ও যুব কল্যাণ পরিষদ কতৃক আয়োজিত প্রতি বছরের ন্যয় এই বছরও ঐতিহাসিক সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল হাজার হাজার মুসলিম তৌহীদি জনতার উপস্থিতিতে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে সফল হয়েছে।

    আমাদের সংগঠনকে দেশ বিদেশ থেকে যারা আর্থিক সহযোগিতা করেছেন,যারা মাহফিলকে সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ, যারা দূর দূরান্ত থেকে কনে কনে শীতের মধ্যে আমাদের মাহফিলে এসে সুশৃঙ্খল ভাবে বয়ান শুনেছেন তাদেরকে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাই, সকলের সহযোগিতা দোয়া এবং ভালবাসায় ১০ তম সীরতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল সম্পন্ন করতে পেরে আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

    আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের রহমে করম না থাকলে আমাদের এত দূর আসা সম্ভব হতনা, তাই আগামীতেও আমাদের সংগঠনকে সহযোগিতা করে পাশে থাকবেন বলে আশা করি, যদি মাহফিলে এসে কোন প্রকার অসুবিধা বা মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী, আগামীতে আপনাদের আরও মনের মত কোরআন সুন্নাহর আলোচনা উপহার দেওয়ার জন্য আমাদেরকে মতামত পেশ করতে পারেন, আপনাদের মতামত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

    কৃতজ্ঞতা, মাওলানা আবুল বাশার হেলালী সাহেব, জনপ্রিয় নেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ও
    ইকবাল বাহার মেম্বার, এবং যারা আমাদের সব ভালো নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা আপনাদের কে আমাদের সংগঠনের পক্ষে থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ, এবং আমাদের সংগঠনের সকল সদস্য ও উপদেষ্টাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা সফল হয়ে ধন্য মনে করি
    মহান রাব্বেকারীমের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি,,, আলহামদুলিল্লাহ।

  • মহান বিজয় দিবস ও পালং জেনারেল হাসপাতালের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি খৎনা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

    মহান বিজয় দিবস ও পালং জেনারেল হাসপাতালের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি খৎনা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী পূর্তি উপলক্ষে ফ্রি খৎনা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচীর আয়োজন করেন উখিয়ার কুতুপালং এর পালং জেনারেল হাসপাতাল।

    উক্ত কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় জননেতা, জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত মেম্বার ৯ নং ওয়ার্ড, ইন্জিনিয়ার জনাব হেলাল উদ্দিন, স্বাগত বক্তব্য প্রদান পালং জেনারেল হাসপাতালের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব জিয়াউর হক আজাদ এবং সঞ্চলনা করেন কুতুপালং পালং জেনারেল হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ জহির আহম্মেদ।

    প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি মহোদয়গণ ফ্রি খৎনা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচীর কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে পরিদর্শন করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, পালং জেনারেল হাসপাতাল বিজয়ের এই মহান মাসে, বিজয়ের ৫০ বছরে এই কর্মসূচী আয়োজন করে মানবতার দৃষ্টান্ত স্হাপন করছেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যহত রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, এই হসপিটাল অল্প সময়ের মধ্যে যেসব সেবা ও চিকিৎসা প্রদান করে নজির স্হাপন করেছেন এবং এই সুনাম ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন।

  • শেডের আয়োজনে উখিয়ায় সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

    শেডের আয়োজনে উখিয়ায় সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    সম্প্রীতির সমাজ গড়ি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করি” এই স্লোগানকে ধারণ করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে শেড এর আয়োজনে এবং কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় অদ্য ২২ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে শুরু হয়ে বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

    উক্ত সমাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা শেডের সিনিয়র অফিসার মোঃ নাজিমুজ্জামান এর সঞ্চালনায় ও শেডের এজিডিআরআর প্রকল্পের আওতায় গঠিত রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা জনাব নুরুল কবির মেম্বারের সভাপতিত্বে শুরু হয়।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা পরিদর্শন ও উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তিন তিন বারের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শেড এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মুহাম্মদ উমরাহ, শেডের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব আব্দুল মান্নান, এজিডিআরআর প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনাব আব্দুল মান্নান, কেয়ার বাংলাদেশের অফিস ম্যানেজার জনাব আব্দুস সালাম, কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প কর্মকর্তা মিল্টন কুমার সাহা, উখিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জনাব মোহাম্মদ ইমদাদুল হক সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বৃন্দ।
    উল্লেখ্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মেলার স্টলে সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়নের উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। মেলার সকল স্টল পরিদর্শন করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ শেড ও কেয়ার বাংলাদেশকে এ ধরণের আয়োজনের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। শেডের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ উমরাহ বলেন, “সমাজের সকল স্তরে আমরা যদি সম্প্রীতির বন্ধনকে জোড়ালো করতে পারি তাহলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের দিকে আমরা অনেকাংশেই এগিয়ে যাব।”
    মেলায় প্রদর্শনী স্টলের পাশাপাশি এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সমাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
    রাজাপালং ইউনিয়নের সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা মহোদয় এর বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

  • শেডের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব চিত্রাংকন প্রদর্শনী

    শেডের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব চিত্রাংকন প্রদর্শনী

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর উদ্যোগে এবং কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগীতায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে
    অদ্য ৩১ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য চিত্রাংকন প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।
    চিত্রাংকনের বিষয় ছিল “জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব এবং সামাজিক সম্প্রীতি”।
    উক্ত বিষয়ের আলোকে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অঙ্কিত চিত্রের মধ্য থেকে বাছাইকৃত চিত্রের সমন্বয়ে এই প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়, রহমতের বিল দাখিল মাদ্রাসা, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আবুল কাশেম নুরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাজাপালং শাহ জাব্বারিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এই চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
    এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীর সভাপতিত্ব করেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার জনাব মোঃ ইমামুল হক, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আতিকুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, কেয়ার বাংলাদেশ এবং জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, শেড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শেড ও কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তাবৃন্দ, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধি এবং ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
    উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী বলেন “জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বব্যপী আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের কারণে আমরা দিন দিন আমাদের ঋতু বৈচিত্র হারাচ্ছি। আমাদের একটুখানি সচেতনাতাই পারে আমাদের প্রকৃতিকে তার ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে। এছাড়াও সামাজিক বৈষম্য দূর করে সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলতে পারলে আমাদের দেশ ধাপে ধাপে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌছাতে সক্ষম হবে। এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস”।
    কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার জনাব মোঃ ইমামুল হক বলেন “আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণই বলে দেয় যে তারা তাদের মেধার বিকাশের জন্য এই ধরণের অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী। আমরা ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও অনেক অনুষ্ঠান আয়োজন করার চেষ্টা করব যেখানে এই শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবে।”


    পরিশেষে কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আতিকুর রহমান এবং সিনিয়র টিম লিডার মোঃ ইমামুল হক অনুষ্ঠানে উপস্হিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী, উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    রচনায়: মুঃ আমির কাসেম

    ইমাম সাহেব এশার নামায পড়াচ্ছিলেন, প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। এই বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটাই ইমাম সাহেবের চাকরি যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।

    ইমাম সাহেব নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার মানে বুঝেন তো, অভাবের কথা কাউকে না পারে বলতে, না পারে সইতে। এই রকম এক পরিবারের সন্তান মাও. মুনিরুল ইসলাম। মাওলানা পড়া শেষ না করলেও সবাই তাকে মাওলানা বলেই ডাকে। কারণ, মাদরাসায় পড়তে পড়তেই বড়ো হয়েছে। মাদরাসায় জামাতে হাশ্তুম শেষ করেই তাকে চাকরির জীবনে পদার্পণ করতে হয়েছে। এছাড়া আর উপায় কী? বাড়ির একমাত্র কর্মক্ষম লোক বাবা পঙ্গু অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করছেন। আগে রিকশা চালাতেন। একদিন চাত্রদলের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলা, অতঃপর ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার মধ্যখানে পড়ে পায়ে সজোরে কিসের যেন আঘাত পড়ে। সেই থেকেই ভাঙ্গা পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে মুনিরুল ইসলাম লেখা-পড়া বাদ দিয়ে চাকরির খুঁজে লেগে যায়।

    দূরে যেতে হলো না। পাশের গ্রামের পঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম সাহেবকে বিদায় দেওয়া হচ্ছে শুনে ঐ মসজিদের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলো মুনিরুল ইসলাম। সভাপতি সাহেব খুশি হলেন। কারণ, ইমামের খুঁজে দূরে যেতে হলো না। চার হাজার টাকা বেতনে রেখে দিলেন মুনিরুল ইসলামকে। বেতন বলবো কী করে? সভাপতি সাহেব বেতন বললেও আমি বলতে পারি না। অন্তত পকেট খরচ বা হাদিয়া বলা যায়। মসজিদের চাকরি যারা করে, তারা বেতন পায় না। বেতন তো সরকারী চাকরি আর বিদেশী চাকরিতে মিলে।

    মনিরুর ইসলাম খুশি। কারণ এই চার হাজার দিয়ে পুরো পরিবারের খরচ আঞ্জাম দেওয়া না গেলেও অন্তত করচটুকু যোগাতে পারবে। শুরু হলো মুনিরুল ইসলামের ইমামতি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযান, নামায পড়ানো আর সকালে ফোরকানিয়া।

    এভাবেই চলছে তার চাকরির জীবন। সপ্তাহ না যেতেই পাঁচ দিনের মাথায় ঝামেলা শুরু হলো। সকালে ফোরকানিয়ার এক ছাত্র টয়লেটে গিয়ে কমেডের উপরেই কাজ সেরে আসলো। ইমাম সাহেব কিন্তু এই খবর জানেন না। কারণ, তার ঐ দিকে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ফোরকানিয়া ছুটি হলো, দুপুর পর্যন্ত ঐ দিকে যাওয়া হলো না। জুহুরের আযানের আগেই মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি সাহেব উপস্থিত। টয়লেট সারতে গিয়ে মাথা হয়ে গেলো গরম। বেটা ইমাম সাব করেটা কী? টয়লেট অপরিস্কার কেন? এভাবে চিল্লাচিল্লি করতে করতে আসতে লাগলেন ইমাম সাহেবের রুমের দিকে। ইমাম সাহেব আযান দেওয়ার জন্য বের হচ্ছিলেন রুম থেকে। দরজার সামনেই পেয়ে গেলেন ইমাম সাহেবকে। ইমাম সাহেব সেক্রেটারিকে দেখে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার আগেই সেক্রেটারির বুম ফাটানো চিৎকারে ইমাম সাহেব পড়ে যেতে যেতে দাঁড়িয়ে গেলেন। সেক্রেটারি চিল্লিয়ে বলতে লাগলেন- ইমাম সাহেব! তুমি করোটা কী? অ্যাঁ! তোমার খাওয়া আর ঘুম ছাড়া আর কোন কাম নাই?
    – কেন সাহেব? কী হয়েছে? কোন ভূল….
    – টয়লেটের এই অবস্থা কেন? কমেডের উপরে কার সারবি তুই আর মুসল্লি এসে পরিস্কার করবে?
    – কী বলেন? আমি আজ ওদিকেই যাইনি। আর….
    – চুপ! মোল্লাদের হত্তর দরজা থাকে। এখন পরিস্কার করে আয়! খাবি আর ওখানে সারবি, এখানে তোর কামলা সবাই…. আরো অনেক কথা বলে গেলো। সব কথা ইমাম সাহেবের কানে গেলো বলে মনে হলো না। কারণ, সে তখন অন্য চিন্তায়। কে এসে উপরে টয়লেট সারলো, আর সমস্ত ক্ষোভ এসে পড়লো আমার উপর।
    সব ভুলেই ইমাম সাহেব টয়লেট পরিস্কার করে আযান দিতে গেলো। আযান দিতে দেরি হওয়ায় আরেক বকা খেতে হলো। এভাবেই চলছে তার চাকরি জীবন। একদিন টয়লেট অপরিস্কারের জন্য বকা শনতে হয়, আরেকদিন ট্যাপে পানি নেই, মসজিদে ময়লা কেন, ঝাড়ু দিতে কষ্ট হলে ইমামের চাকরি নিলে কেন ইত্যাদি। আরো কতভাবে ইমামের দোষ খুঁজে বের করে তার ইয়ত্তা নেই। যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে না, সেও হঠাৎ মসজিদে এসে পায়ে সামান্য বালি লাগলেই ইমাম সাহেবের গুষ্টিশুদ্ধ উদ্ধার করে।

    মুনিরুল ইসলাম সব শুনেও সহ্য করে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামুননাসের গালি শোনার অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন। ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে গেলে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা হজম করতে হয়। হয়তো এটাই নিয়ম। ইমাম সাহেবও যে মানুষ, তাদেরও কত কাজকাম থাকে, পারিবারিক কাজেও তাদের সময় দিতে হয়, তা কি সব মুসল্লি বুঝে? যারা বুঝে তারা তো অসম্মান করছে না। এটাই এখন ইমাম সাহেবের সান্ত্বনা।

    দু’মাস পরের কথা। মাগরিবের নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের বাড়ি থেকে অযু করে আসতে হলো। কারণ, সারাদিন বিদ্যুৎ নেই। এশার নামাযের আগ মূহুর্তে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসলো। ইমাম সাহেব মটরের সুইচ অন করে আযান দিলেন। মুসল্লিরা অযু করে মসজিদে ঢুকে গেছে। ফরজ নামাযের প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। তখনও মটরের সুইচ অন।

    নামাযের পর কারো স্মরণ নেই মটরের সুইচ বন্ধ করার ব্যাপারে। এমনকি ইমাম সাহেবেরও। চলে গেলো সবাই। ফজরের নামায পড়তে এসে সভাপতি সাহেব দেখে মসজিদের পুরো আঙ্গীনা নদীর মতো হয়ে গেছে। যেন নদীর ঢল নামছে। খোঁজ নিয়ে দেখে, রাতে যাওয়ার সময় মটরের সুইচ বন্ধ করা হয়নি। চটে গেলো ইমাম সাহেবের উপর। যেন এক্ষুনি কেয়ামত নেমে আসবে। না, ইমাম সাহেবকে কিছু বললেন না। ফজর নামযের পর কমিটির সবাইকে ডাকলেন। ইমাম সাহেবকেও। ইমাম সাহেবকে মাসের টাকাগুলো বুঝিয়ে দিয়ে বললেন- ইমাম সাহেব! তুমি তোমার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছো। অনেকদিন ধরে সহ্য করতেছি, আর না। এবার আপনি যেতে পারেন।

    -দায়িত্ব অবহেলা, নাকি খুঁজে খুঁজে দোষ বের করে দোষী সাব্যস্ত করে বিদায় করা হচ্ছে।?
    – বেশি কথা বলা ভালো নয়। সম্মানের সাথে বিদায় করতেছি। তাড়াতাড়ি চলে যান।
    -আমার কিছু কথা আছে জনাব… আবার কথা! বলে তেড়ে উঠে সভাপতি। ইমাম সাহেবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগই দিলো না। ইমাম সাহেব কাকে বোঝাবে দুঃখের কাহিনী। সে যে দোষী নয়, সবাই দোষ খুঁজে খুঁজে বের করে দোষী বানানো হচ্ছে এবং হয়েছে সবসময়। এই তো, রাতে তার স্মরণ ছিলো না মটরের সুইচ বন্ধ করতে। কিন্তু প্রায় বিশজন মতো মুসল্লি, তার মধ্যে দশ/বারোজন কমিটির লোক, তাদেরও কি স্মরণ ছিরররো না? নাকি ইমাম সাহেবকে শায়েস্তা করার জন্য এই ফন্দি? একবার ভেবে দেখুন তো, আজ মুনিরুল ইসলর