Category: সাংবাদিক press

  • ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    নিউজ ডেস্ক।

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিক্রিয়া-অবস্থান নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম
    পীর সাহেব চরমোনাই’র প্রেস ব্রিফিং অদ্য ০৬ আগস্ট ২০২৫ খ্রি: বুধবার বিকাল ০৩ ঘটিকায় আইএবি মিলনায়তন, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০)

    নাহমাদুহু ওয়ানু সল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মাবাদ।প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল পাঁচ আগস্ট অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন এবং সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ভাষণ আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাই ঘোষণাপত্র এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ গভীর পর্যাবেক্ষণ করেছে এবং তারই ভিত্তিতে আজকে দলের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য এই সংবাদ ব্রিফিং আহবান করা হয়েছে। আপনারা আমাদের আহবানে এসেছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ১৮৫৭ সাল থেকে শুরু করে ৪৭ ও ৭১ এর সকল যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের প্রথম পর্যাবেক্ষণ হলো, ঘোষণার আগে এটা আমরা দেখি নাই। জাতির এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল উপস্থাপনার আগে থেকে না জেনে উপস্থিত থেকে তাতে সমর্থন জানাতে হয়েছে এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর ছিলো। তারপরেও প্রত্যাশিত দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র পঠিত হয়েছে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। তবে জুলাই ঘোষণাপত্রে ৭১, ৭৫ এর সাত নভেম্বর ও ৯০ এর আন্দোলন সহ দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হলেও আমাদের স্বাধীনতার প্রথম অধ্যায় ৪৭ এবং পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের সবচেয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড শাপলা হত্যাকান্ড, পিলখানা হত্যাকান্ড ও আলেম-উলামাদের প্রতি নির্যাতন-নিপীড়নের কথা উল্লেখ না করে ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন মনে করে, এতে ইতিহাসের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন ধারায় হাসিনা ও আওয়ামী অপকর্মের উল্লেখ আছে। ১৭ তম ধারায় জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের উল্লেখ আছে। কিন্তু কোথায়ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাজনৈতিক, সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির উল্লেখ নাই। ইসলামী আন্দোলন মনে করে এটা ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের পথ খুলে দেবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের ধারা ১৯ এ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগের রাজনৈতিক ও আইনী বৈধতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করা হলেও ধারা ২৫ এ জনতা ও তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারকে পরবর্তী জাতীয় সংসদের ওপরে ন্যাস্ত করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এর মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। একই সাথে ধারা ২৭ এ জুলাই অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতিকে “উপযুক্ত” শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে আপেক্ষিক করে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত করে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তার ভাষণ সুলিখিত এবং তার পাঠ আবেগ মিশ্রিত। ভাষণে সরকারের নানা সাফল্যের কথা এসেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি-২৬ এ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা এসেছে। এখানে আমাদের পর্যাবেক্ষণ হলো, জুলাই সনদ এখনো না হওয়া আমাদেরকে সংস্কার নিয়ে অনিশ্চয়তায় নিক্ষেপ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রাও শুরু হয়েছে। তিনিও বারংবার বলছেন, ফেব্রুয়ারি দুরে নয়। কিন্তু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত জুলাই সনদ এখনো হয় নি। সংস্কারের রুপরেখা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় নাই। জনতার প্রত্যাশা অনুসারে সংস্কারকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা না নিয়ে এখনতক সংস্কারকে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত রেখে পুরো সংস্কার কার্যক্রমকে অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনীভিত্তি তৈরী করতে হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুদীর্ঘকাল থেকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবী জানিয়ে আসছে। অভ্যুত্থানের পরে পিআরের পক্ষে ব্যাপক জনমত গঠন হয়েছে এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা বারংবার উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংস্কার কমিশনে কথা বলেছি, লিখিত জানিয়েছি। এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিৎ ছিলো পিআর নিয়ে সংস্কার কমিশনে এজেন্ডা রাখা। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে আমাদের বারংবার প্রচেষ্টা সত্যেও নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোন এজেন্ডাই রাখা হয় নাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।

    অভ্যুত্থানের পরে রাজনৈতিক সংস্কার সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পিআর নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই নির্বাচনের মাস নির্ধারণ করা জনদাবীর প্রতি স্পষ্টত উপেক্ষা করা। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এই জনদাবীর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু করবেন না। একই সাথে ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, অতিদ্রুত পিআর নিয়ে এজেন্ডা নির্ধারণ করে আলোচনা শুরু করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু উচ্চকক্ষের ভোট গ্রহণ কিভাবে হবে এবং উচ্চকক্ষের ক্ষমতা, কার্যপরিধি ও মর্যাদা কি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন সিদ্ধান্ত হয় নাই। নির্বাচনের আগে এইসব বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা স্বরণীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছেন। তার ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা, সক্রিয়তা নিয়ে দেশের কেউ-ই আশ্বস্ত হতে পারছে না। আগামী ফেব্রুয়ারির আগে এর সমাধান হবে তেমন আশা করার যৌক্তিক কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, দেশের আইন-শৃংখলা উন্নতি না হলে আগামী নির্বাচনও কলংকিত হতে পারে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আমাদের জন্য কঠিন হবে। তাই বলবো, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য জনপ্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টের অবশিষ্টাংশের ব্যাপারে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিন। দল নিরপেক্ষ পেশাদার জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে কার্যক্রম জোড়ালো করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ফ্যাসিস্টের বিচারের প্রসঙ্গ এসেছে। তবে এর মাত্রা, ব্যাপকতা ও গতি নিয়ে আমাদের অসন্তোষ আছে। সেটা জানিয়ে বিচার কার্যক্রমের পরিধি আরো বিস্তুৃত করে এর গতি বৃদ্ধি করার আহবান জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন। তবে আইন-শৃংখলা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এখনো দৃশ্যমান হয় নাই। কর্মসংস্থানে আশাজাগানিয়া কিছু এখনো দেখা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনতার কষ্ট এখনো বিদ্যমান। এসব বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান করবো।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতিবাচক রাজনীতি করে। আমরা সবসময় সম্ভবনাকে বড় করে দেখি। আমরা নির্বাচনমুখি দল। নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতিও চলমান। আমরা আশা করি, সরকার আমাদের উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে আমলে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই সনদ দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। পিআর নিয়ে একটি যৌক্তিক সমাধান হবে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতির মাধমে প্রত্যাশামাফিক আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই অভ্যুত্থান স্বার্থকতা পাবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীরসাহেব চরমোনাই) আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

    ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    গতকাল খুলনায় ইমামদের এক সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য মিডিয়ায় যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি। সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলে মুসলিম এডিসি বা মুসলিম এসি ল্যান্ড দায়িত্ব পালন করবেন। মহিলা হলেও একই নিয়ম। মডেল মসজিদগুলো নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে। সুতরাং এর নিয়ন্ত্রণভার থাকবে সরকারের হাতে। অপর দিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ বেসরকারি মসজিদের কমিটি, সভাপতি, সেক্রেটারি কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন মুসল্লী, মোতুয়াল্লী ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। ডিসি অথবা ইউএনও সভাপতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এসব মসজিদ তো বেসরকারি। সরকার এসব মসজিদের ব্যয়ভার বহন করে না। তবে কোন কমিটির সাথে ইমাম, খতিব ও মুয়াযযিনের যদি বিরোধ দেখা দেয় বা সংকট তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবেন। এটাই হল মূল প্রতিপাদ্য।

  • রংপুরে এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার ফারুক ও শিউলী

    রংপুরে এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্টার ফারুক ও শিউলী

    শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার

    রংপুরে ‘সেরা রিপোর্ট প্রতিযোগিতায়’ সপ্তম সপ্তাহের সেরা রিপোর্ট নির্বাচিত হয়েছে ভিজুয়াল ক্যাটাগরিতে ঢাকা পোস্টের ফরহাদুজ্জামান ফারুক ও প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে দৈনিক নবচেতনা’র শরিফা বেগম শিউলী।

    এ সপ্তাহের সেরা রিপোর্ট ভিজুয়াল ক্যাটাগরিতে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত ‘তোমরা আমাকে বাঁচাও, আমি তোমাদের শ্যামা’ ও প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে নবচেতনা ও প্রথম খবরে প্রকাশিত ‘প্রতিদিন বাড়ছে ঔষধের দাম ভোগান্তিতে রোগিরা’ শিরোনামে রিপোর্ট দুটি দুই ক্যাটাগরীতে সেরা হিসেবে নির্বাচন করেছেন জুরি বোর্ড।

    জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি হালিম আনছারী, সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক রতন সরকার, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক একাত্তর টিভির ব্যুরো প্রধান শাহ বায়েজিদ আহমেদ ও বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বাবলা।

    শনিবার ( ১১ জুন) রাত ৮টায় রিপোর্টার্স ক্লাবের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিদের মধ্যে থেকে সেরা দুটি রিপোর্ট নির্বাচন করে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের হাতে বিজয়ী প্রাইজবন্ড তুলে দেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।

    রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুর ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম -বিএমএসএফ রংপুর জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিকদের রিপোর্টিং মানোন্নয়নে প্রতি সপ্তাহের সেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ড তাদের রিপোর্টের মধ্য থেকে সেরা নির্বাচিত করেন। এ সপ্তাহে নিজেদের রিপোর্ট সেরা হিসেবে স্থান পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজয়ীরা।

    জুরি বোর্ড ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, রিপোর্টার্স ক্লাব ও বিএমএসএফ এর এই উদ্যোগ গণমাধ্যমের নবীন কর্মীদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশে নিজেদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবে। আশা ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, এই দুই সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে আরও নতুন নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে রংপুরের সাংবাদিকতাকে একটি আরাদ্ধ স্থানে নিয়ে যাবে। এই উদ্যোগে রংপুরে কর্মরত যেকোন সংবাদকর্মী অংশ নিতে পারবেন বলেও জানান তারা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরিফা বেগম শিউলী, বিএমএসএফ এর রংপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম জয়, রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুর এর কোষাধ্যক্ষ এবং বিএমএসএফ রংপুর জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য আমিরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য এসএম ইকবাল সুমন, সাংবাদিক বর্ণালী জামান বর্ণা, রবিন চৌধুরী রাসেল, মাহমুদুর রহমান বিপ্লবসহ রিপোর্টার্স ক্লাব ও বিএমএসএফ এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।##

  • গণমাধ্যম কর্মী আইন সাংবাদিকদের স্বার্থে গড়ে তুলুন: বিএমএসএফ

    গণমাধ্যম কর্মী আইন সাংবাদিকদের স্বার্থে গড়ে তুলুন: বিএমএসএফ

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    মাদারীপুর, শিবচর, সোমবার,২৫ এপ্রিল, ২০২২ প্রস্তাবিত গণমাধ্যম কর্মী আইনটি সাংবাদিকদের স্বার্থে গড়ে তোলার জন্য সরকারের নিকট আহবান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে আইনটির ৩০টির অধিক ধারাই সাংবাদিক বিরোধী। এছাড়া আইনটি দ্বারা সাংবাদিকদের সরাসরি কর্মী বানিয়ে মর্যাদার দিক থেকে খাটো করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে, যা সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবেনা।

    গত ৫১ বছর পর প্রণীত আইনটির খসড়া দেখেই সাংবাদিকদের মাঝে হতাশা আর প্রকট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আইনটি মহান সংসদে পাসের আগে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গোলটেবিল আলোচনা থেকে সুপারিশমালা গ্রহনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে দাযিত্ব দেয়ার দাবি করেছেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর প্রধান বক্তা হিসেবে ২৫ এপ্রিল বিকেলে শিবচর উপজেলা বিএমএসএফের পরিচিতি সভা ও দোয়া ইফতার অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান খান। তিনি সাংবাদিকদের এ আয়োজনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএসএফের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন আহমেদ হীরা, বরিশাল জেলা সম্পাদক আফছার উদ্দিন মৃধাসহ স্থানীয় বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল নেতৃবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের ৪শত লোক অংশ নেন।

    শিবচর শাখার সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী জয়ের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বিএমএমএফ মাদারীপুর জেলা সভাপতি গাউছ উর রহমান, গৌরনদী বিএমএসএফের সভাপতি এসএম মিজান, সম্পাদক হাসান মাহমুদ, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক তারেক মাহমুদ আলী, শিবচর শাখার সম্পাদক হায়দার আলী সহ স্থানীয় শাখার প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতা সুমন তালুকদার।

  • প্রকাশিত সংবাদে সৈয়দ আরিফের ভিন্নমত প্রকাশ

    প্রকাশিত সংবাদে সৈয়দ আরিফের ভিন্নমত প্রকাশ

    প্রকাশিত সংবাদে সৈয়দ আরিফের ভিন্নমত প্রকাশ

    মিজানুর রহমান (লাভলু)সিলেটঃ
    সিলেটে অনিবন্ধিত দুটি অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা, মনগড়া ও উদ্দ্যেশ্য মূলকভাবে প্রকাশিত সংবাদে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন সৈয়দ আরিফ। সৈয়দ আরিফ সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার সৈয়দ তৈমছ আলীর পুত্র। বর্তমানে- সিলভেলী টাওয়ার, বি ১২, তালতলা, সিলেট।

    পাঠানো এক ভিন্নমত বার্তায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবি করে সৈয়দ আরিফ বলেন- আমি মূলত পেশায় একজন এলসি পাথরের ব্যবসায়ী। যাহার এলসি লাইসেন্স আইআরসি নং- ২৬০৩৯১১১০১২৫৫২০, টিন নং- ৮৫৬৯২১৪০৫৭১০। আমার উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা: ২৯ মেলেনিয়াম মাকের্ট নীচ তলা, জিন্দাবাজার সিলেটে অবস্থিত। আর আমি ও আমার পরিবার পূর্ব পুরুষ হইতে সম্পদশালী। এছাড়াও বর্তমানেও আমার ৩ ভাই ও ২ বোন পরিবারসহ লন্ডনের স্থায়ী বাসিন্দা। আমার বাবা ক্যান্সার রোগে আকান্ত হওয়াতে গত (১৩ই মার্চ) ২০২২ইং তারিখ হইতে এ রিপোর্ট প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত ঢাকার ল্যাভেএইড ক্যান্সার হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমিও আমার বাবার সঙ্গে ওই তারিখ হইতে এখনো পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করছি। আমি ঢাকা থাকাকালীন অবস্থায় আমার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে জানতে পারি যে গত বুধবার (২০ এপিল) “ভারতীয় চোরাই মোবাইলের গডফাদার আরিফ, মেকানিক থেকে কোটিপতি” শিরোনামে সিলেটের দুটি অনলাইন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার গর্ভে আমাকে হেওপ্রতিপন্ন করে বলা হয়েছে গত (১৪ এপিল) শাহপরান (রহ.) থানায় ১০০ পিস ভারতীয় চোরাই মোবাইল সহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে। সেই মালামালের মালিক আমাকে আখ্যায়িত করে সংবাদটি প্রকাশিত করা হয় যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও বিত্তহীন। পরবর্তীতে আমি আমার আত্মীয়স্বজন ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি উক্ত ঘটনায় শাহপরান (রহ.) থানায় ৩ জন চোরাকারবারী এবং তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত চোরাই মোবাইলের মালিক খাদিমপাড়া এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেনের পুত্র শিপলুকে (৩০) আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাহার থানার মামলা নং- ১০ তাং- ১৫-০৪-২০২২ইং। তবে এই মামলায় এখনো পলাতক রয়েছে শিপলু (৩০) নামের ওই ব্যক্তি।

    তবে উল্লেখ্য, যে মামলা সুত্রে আমাকে আসামি করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেই মামলার নথিপত্র আদালত হইতে সংগ্রহ করে দেখা গেছে মামলায় আমাকে সনাক্ত করে আসামি করা হয়নি কিংবা এই ঘটনার সঙ্গে বাস্তবেও আমার কোন যোগসুত্র নাই।

    প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়াও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি কুচক্রী মহল আমাকে কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিকভাবে হেয় করতে প্রতিবেদককে উৎকোচের বিনিময়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করাচ্ছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনকি এরকম মিথ্যা সংবাদ আমি অথবা যে কারো বিরুদ্ধে সংগ্রহ কিংবা ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা থেকে প্রতিবেদকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান সৈয়দ আরিফ।