Category: সারাদেশ

  • সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    www.ukhiyavoice24.com

    সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    কেন এই কর্মসূচী? আপনারা জানেন, ২০০৭-০৮ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় একটি নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে ৮ কোটি ১০ লক্ষ নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এক সুবিশাল ভোটার ডেটাবেইজ যা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য নজির। সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে এই ডাটাবেজে প্রায় ১২.৫০ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। UNDP-র সমীক্ষা অনুসারে ভোটারদের এই সংগৃহীত ডাটা ৯৯.৭% সঠিক মর্মে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ভোটার তালিকার এই তথ্যভান্ডার থেকেই উপজাত (byproduct) হিসেবে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) প্রদান করা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে NID সেবা নির্বাচন কমিশনের আওতা থেকে স্থানান্তরের বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। এ প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন নিম্নলিখিত বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে চায়:

    ০১. সাংবিধানিক ম্যান্ডেট: সংবিধান-এর ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। ভোটার তালিকার তথ্যভান্ডার একটি সংবিধানিক দলিল, যা কারও কাছে হস্তান্তর করার সুযোগ নেই।

    ০২. ভোটার তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়া: উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে, ভোটার তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি একটি সংবিধানসম্মত ও সুরক্ষিত প্রক্রিয়া, যা NID কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

    ০৩. জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা: জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকার উপজাত (byproduct)। প্রকৃতপক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আলাদা কোনো তথ্যভান্ডার নেই, এটি শুধুমাত্র ভোটার তালিকা থেকে উদ্ভূত।

    ০৪. ডাটাবেজের নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি: NID সেবা অন্য সংস্থার অধীনে গেলে data duplication ও database manipulation এর আশংকা দেখা দিতে পারে। এতে বিদ্যমান check & balance ব্যবস্থা বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।

    ০৫. গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা: নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমানত হিসেবে সংরক্ষিত। সাংবিধানিকভাবে কমিশন এই তথ্য অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারে না। এটি নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষার প্রশ্নেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    ০৬. জনগণের বিপুল অর্থের সাশ্রয়: জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনে থাকায় এবং কমিশনের একই জনবল দ্বারা এই কার্যক্রম সম্পাদনের ফলে দেশ ও সরকারের জন্য এটি একটি সাশ্রয়ী সেবায় পরিণত হয়েছে। আলাদা কোন কর্তৃপক্ষ তৈরি করা হলে জনবল, স্থাপনা ও অন্যান্য অবকাঠামো তৈরিতে জনগণের বিপুল অর্থের অপচয় হবে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

    ০৭. ভোটার নিবন্ধনে নেতিবাচক প্রভাব: জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন হতে অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে শুধুমাত্র ভোটার হওয়ার জন্য জনগণের আগ্রহ ও উদ্দীপনায় নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে যা ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। উপরন্তু নির্বাচন কমিশন নিজস্ব উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হারালে নতুন কোন উদ্ভাবনে (innovation) প্রতিষ্ঠানিকভাবে নিরুৎসাহিত হবে।

    ০৮. ভোটার তালিকার শুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ: নির্বাচন কমিশন থেকে NID কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়া হলে ভোটার তালিকার নির্ভুলতা নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হতে পারে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়বে।

    ০৯. রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত: অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ২০২৩ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল করে NID কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে। এতে স্পষ্ট যে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে NID কার্যক্রম পরিচালিত হওয়াই সর্বজনস্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা।

    আমরা মনে করি, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকাই সংবিধানসম্মত, নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবস্থা। আমরা সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে।

  • ইত্তেফাক ও ইত্তেহাদ ঐক্যের ডাক রোহিঙ্গা শিবিরে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

    ইত্তেফাক ও ইত্তেহাদ ঐক্যের ডাক রোহিঙ্গা শিবিরে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ উখিয়া।

    অদ্য ২৫ ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: বুধবার কুতুপালং ক্যাম্প-১ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের নেতৃত্বে এক ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল বিষয় ছিল ইত্তেফাক (একমত হওয়া) ও ইত্তেহাদ (ঐক্য)। সভায় রোহিঙ্গাদের গুরুত্বপূর্ণ চারটি সংগঠন RSO, ARSA, ARA এবং Islam Mahaj এর নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। তারা মতবিরোধ দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। নেতারা জনসম্মুখে শপথ করেন যে, তারা নিজের অধিকার এবং মাতৃভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে শাহাদাতের আগ পর্যন্ত একতাবদ্ধ থেকে জিহাদের পথে অটল থাকবেন। তারা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন: “وما توفيق إلا بالله”।

    অংশগ্রহণকারীরা জীবনের মানোন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেন এবং উন্নয়নের পথে যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা চিহ্নিত করেন। একজন বক্তা বলেন, একমত না হলে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো না, আর ঐক্য ছাড়া আমরা চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো না। এই দিনটি উপস্থিত সকলের জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়। সমাবেশটি এতটাই আবেগময় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল যে, এর বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। উপরন্তু, সমাবেশ চলাকালীন আল্লাহর রহমতের বারিধারাও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

    সমাবেশ জুড়ে এ স্লোগান মুখরিত হয়:
    “سبيلنا الجهاد الجهاد، طريقنا الجهاد الجهاد، الله أكبر الله أكبر”
    এই স্লোগানের ধ্বনিতে পুরো পরিবেশ কম্পিত হয়ে ওঠে। ইয়া আল্লাহ, আমাদের এই ঐক্যের প্রচেষ্টা ও সফরকে সফলতা দান করুন। আমিন।

  • পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ রিপোর্ট।

    পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَ مَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ * إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ * لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ পশু কুরবানী করার পূর্বে দোয়াটি পাঠ করে পশুর ঘাড়ের নিকটতম বাহুর উপর নিজের ডান পা রেখে

    اللَّهُمَّ لَكَ وَ مِنْكَ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُ أَكْبَر
    দিয়ে দ্রুত জবেহ করুন। কুরবানী যদি নিজের পক্ষ থেকে হয় তাহলে জবেহ করার পর এই দোয়া পাঠ করুন।

    اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ وَخَلِيْلِكَ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ
    وَحَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم

    আর যদি অন্য কারো পক্ষ থেকে পশু কুরবানী করা হয় তবে জবেহকারী বক্তি তাঁর শব্দের স্থলে ওর বলে যার কুরবানী তার নাম উচ্চারণ করবেন।

  • প্রশ্ন প্রচলিত জমি বন্দক জায়েজ হবে?- মাওলানা হাফেজ দিদার বিন হাসান সাহেব।

    প্রশ্ন প্রচলিত জমি বন্দক জায়েজ হবে?- মাওলানা হাফেজ দিদার বিন হাসান সাহেব।

    দিদার বিন হাসান,খতিব ফলিয়াপাড়া জামে মসজিদ।

    উত্তর

    وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

    بسم الله الرحمن الرحيم

    উক্ত চুক্তিটি জায়েজ হবার দু’টি সূরত রয়েছে। এ দু’টি সূরত অনুসরণ করলে এ চুক্তি জায়েজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

    ১ম সূরত

    যিনি জমীন নিবেন তিনি এ হিসেবে চুক্তি করবেন যে, তিনি জমিটি ভাড়া নিচ্ছেন। নামমাত্র কিছু মূল্য মাসিক ভাড়া হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিবে। যেমন ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা। আর অগ্রিম ভাড়া হিসেবে প্রদান করবে ১/২ লাখ টাকা।

    তারপর যেদিন জমিনটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন আগের নির্ধারণকৃত নামমাত্র ভাড়ার টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দেবে জমিনটি ভোগদখলকারী তথা জমির ভাড়াটিয়াকে।

    যেমন-

    আব্দুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আব্দুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আব্দুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

    এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে ভাড়া দিবে। মাসিক ভাড়া নির্দিষ্ট করে নিল কথার কথা ৫০ টাকা। যতদিন আব্দুর রহমান জমিটি রাখবে ততদিন মাসিক ৫০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করবে। মাসিক ভাড়া অগ্রিম হিসেবে আব্দুর রহমান ৫ লাখ আব্দুল্লাহকে দিয়ে দিবে। ফলে জমিটির ভাড়াটিয়া হিসেবে আব্দুর রহমান ভোগদখল করতে থাকবে। আর আব্দুল্লাহ টাকাটি খরচ করতে পারবে।

    তারপর যেদিন আব্দুল্লাহ তার জমিটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন বিগত দিনের মাসিক ভাড়া বাদ দিয়ে বাকি টাকা প্রদান করে জমিটি ফেরত নিয়ে নেবে। কথার কথা যদি ৫ মাস পর ফেরত নিতে চায়, তাহলে ৫ মাসের ভাড়া ২৫০ টাকা রেখে বাকি এক লাখ নিরান্নব্বই হাজার সাতশত পঞ্চাশ টাকা প্রদান করে আব্দুল্লাহ সাহেব তার জমিটি ফেরত নিয়ে নিবেন। {জাদীদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/১৪৭-১৪৮, মালে হারাম আওর উসকে মাসারেফ ওয়া আহকাম-৮৫}

    وَأَمَّا زَكَاةُ الْأُجْرَةِ الْمُعَجَّلَةِ عَنْ سِنِينَ فِي الْإِجَارَةِ الطَّوِيلَةِ الَّتِي يَفْعَلُهَا بَعْضُ النَّاسِ عُقُودًا وَيَشْتَرِطُونَ الْخِيَارَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي رَأْسِ كُلِّ شَهْرٍ فَتَجِبُ عَلَى الْآجِرِ لِأَنَّهُ مَلَكَهَا بِالْقَبْضِ وَعِنْدَ الِانْفِسَاخِ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ رَدُّ عَيْنِ الْمَقْبُوضِ بَلْ قَدْرُهُ فَكَانَ كَدَيْنٍ لَحِقَهُ بَعْدَ الْحَوْلِ (فتح القدير- كتاب الزكاة، 2/174)

    ২য় সূরত

    দু’টি চুক্তি সম্পাদন করবে। প্রথমে ক্রয় বিক্রয় চুক্তি। তারপর আলাদা আরেকটি চুক্তি নামায় যেদিন টাকা পরিশোধ করতে পারবে সেদিন জমিটি প্রথম জমির মালিক ক্রয় নিয়ে নিয়ে যাবে আর বর্তমান মালিক তা বিক্রি করে দিবে মর্মে চুক্তি সম্পাদিত করবে।

    যেমন-

    আব্দুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আব্দুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আব্দুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

    এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ তার জমিটি ৫ লাখ টাকায় আব্দুর রহমানের কাছে বিক্রি করে টাকা গ্রহণ করে নিবে। এভাবে আব্দুল্লাহ টাকার মালিক ও আব্দুর রহমান জমিটির ভোগ দখলের মালিক হয়ে যাবে।

    তারপর ভিন্ন আরেকটি চুক্তি সম্পাদন করবে। যাতে লিখবে যে, যেদিন আব্দুল্লাহ ৫ লাখ টাকা দিতে পারবে, সেদিন আব্দুর রহমান জমিটি আব্দুল্লাহের কাছে ৫ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিবে।

    এভাবে ভিন্ন দু’টি চুক্তি সম্পাদিত করলে টাকা খরচ করা এবং জমিটি ভোগ দখলের মাঝে অবৈধতার কোন কিছুই বাকি থাকবে না।

    لو ذكرا البيع بلا شرط ثم ذكرا الشرط على وجه العقد جاز البيع ولزم الوفاء بالوعد، إذ المواعيد قد تكون لازمة فيجعل لازما لحاجة الناس تبايعا بلا ذكر شرط الوفاء ثم شرطاه يكون بيع الوفاء؛ (رد المحتار، كتاب البيوع، مطلب فى البيع بشرط فاسد-7/281، 547، البحر الرائق، كتاب البيوع، باب خيار الشرط-6/8)

     

    والله اعلم بالصواب

  • ফেনী জেলা ইত্তেহাদভুক্ত মাদরাসাসমূহের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত

    ফেনী জেলা ইত্তেহাদভুক্ত মাদরাসাসমূহের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত

    নিউজ ডেস্ক

    ১৪৪৫ হিজরি শিক্ষাবর্ষের নির্ধারিত জামাতসমূহের মারকাজি পরীক্ষা বোর্ডকর্তৃক ঘোষিত সময়ে যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। অদ্য ১২-০৬- ১৪৪৫ হিজরি মোতাবেক ২৬- ১২- ২০২৩ ঈসায়ি মঙ্গলবার বাদে মাগরিব ফেনী জামিয়া হোসাইনিয়া মাদরসায় অনুষ্ঠিত ফেনী জেলা ইত্তেহাভুক্ত মাদরাসাসমূহের মুহতামিমদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আমাদের ফেনী জেলার ইত্তেহাদভুক্ত সকল মাদরাসা ১৪৪৫ হিজরি শিক্ষাবর্ষের মারকাজি পরীক্ষায় বোর্ডকর্তৃক ঘোষিত সময়ে যথারীতি অংশগ্রহণ করবে। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষণীয় ও সতর্কতার বিষয় হলো, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ইত্তেহাদের নিয়মতান্ত্রিক দীর্ঘকালীন সভাপতি আল্লামা সুলতান জওক নদভী দা.বা. ও আল্লামা আবদুল হালীম বুখারী রহ.-এর ইন্তেকালের পর শূরা কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত মহাসচিব আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজা দা.বা. কর্তৃক পরিচালিত বোর্ডই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। এর বাইরে ইত্তেহাদ নামে অন্য কোনো বোর্ড নেই।

  • স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

    স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

    ডেস্ক রিপোর্ট

    ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে। এবার টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ারও প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি- এই চারটি ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হচ্ছে। প্রস্তুত হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের রোডম্যাপ। আর রোডম্যাপ চূড়ান্তকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স কাজও শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

    ডিজিটাল বাংলাদেশ উদযাপন অনুষ্ঠানে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাধান্য পাচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার। যা এরই মধ্যে নজর কেড়েছে সবার। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে প্রতিটি নেতাকর্মী তাদের বক্তব্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছেন। কিন্তু সবার মধ্যে প্রশ্ন- কীভাবে হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’? রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষের এই কৌতূহলের জবাব দিতে প্রস্তুত বর্তমান ডিজিটাল প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।

    সূত্র জানায়, স্মার্ট বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের জন্য আগের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’কে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের ১৬ আগস্ট টাস্কফোর্সের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে টাস্কফোর্সের সদস্য সংখ্যা ৩০। এছাড়া সরকারের পাঁচজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী এই টাস্কফোর্সের সদস্য। মন্ত্রীরা হলেন- অর্থ, শিক্ষা, পরিকল্পনা, বাণিজ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীও এর সদস্য। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিযাগোযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, ই-ক্যাব সভাপতি, এটুআই প্রোগ্রামের পরামর্শক আমীর চৌধুরী, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়শেন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই টাস্কফোর্সের সদস্য থাকবেন।

    সূত্র জানায়, গত বছরের ২০ মার্চ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর রূপরেখা তৈরির নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ওই সভায় আত্মকর্মসংস্থানভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের জন্য (ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিম’র আওতায়) ল্যাপটপ সহায়তা, ডিজিটাল সার্ভিস, সব ডিজিটাল সেবাকে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডে নিয়ে আসা এবং ডেটা নিরাপত্তা, ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি স্থাপনসহ স্মার্ট বাংলাদেশের মোট ১৪টি কনসেপ্ট পেপার বা ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।

    টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় ২৬ সিদ্ধান্ত : গত ১৩ নভেম্বর টাস্কফোর্সের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২৬টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় এ অর্জনটি সারাদেশে উদযাপন হবে। যা বাস্তবায়ন করবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা সারাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচার করবে। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার জাতীয় ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদ করা হবে। দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করার উদ্যোগ নেবে বিটিআরসি। বাংলাদেশের আইসিটি খাতের অর্জন আন্তর্জাতিক মণ্ডলে ব্র্যান্ডিং করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য এ আই, ডিজিটাল সিকিউরিটি, ফোর আইআর, বিগ ডাটা, ব্লক চেইন, রোবোটিক্স ও টট ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।

    ফাইভ জি সেবা চালুর পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যান্ডউইথের চাহিদা বিবেচনায় চতুর্থ সাবমেরিন ক্যাবলে সংযোগের ব্যবস্থা নেয়া হবে। পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে উন্নয়ন মূলধারায় নিয়ে আসতে আত্মকর্মসংস্থানভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নেয়া হবে। ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট, মাঝারি ব্যবসাগুলোর জিডিপিতে অবদান বাড়াতে এন্টারপ্রাইজভিত্তিক ব্যবসাগুলোকে বিনিয়োগ উপযোগী স্টার্টআপ হিসেবে প্রস্তুত করা হবে। সার্ভিস এগ্রিগেটর ট্রেনিং মডেলে সরকারি সেবা ও অবকাঠামোনির্ভর উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। সব ডিজিটাল সেবাকে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জাতীয় রাজস্ববোর্ড ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সব সেবা অনলাইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ডিজিটাল বাণিজ্য কর্র্তৃপক্ষ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

    ‘যেভাবে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ’: টাস্কফোর্সের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যম হবে প্রযুক্তি। স্মার্ট বাংলাদেশের সব কাজ হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে যা হবে ক্যাশলেস। মোটকথা, সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে গড়ে তোলা হবে। যার বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করেছে সরকার।
    সূত্র জানায়, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তিকে সমানতালে গুরুত্ব দিয়ে শুরুতে দেশের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে শুরু করা হবে। ধীরে ধীরে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হবে। ২০৪১ এর আগেই ভিশন বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এই চারটি ভিত্তিকে ব্যবহার করে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে তা ভোরের কাগজকে জানান টাস্কফোর্সের একাধিক সদস্য। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তির মধ্যে একটি হলো স্মার্ট সিটিজেন। অর্থাৎ একজন নাগরিক প্রযুক্তিগত জ্ঞানে পারদর্শী হবেন। তাদের মধ্যে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরও এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত করা হবে। প্রান্তিক মানুষদের প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী শিক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে। গ্রামের কাঁচামালের বাজারেও যখন কাগজের টাকার পরিবর্তে ক্যাশলেস পদ্ধতি চালু হবে তখনই ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।
    দ্বিতীয়ত, স্মার্ট ইকোনমির মূল কনসেপ্টই হলো ক্যাশলেস ট্রানজিশন বা টাকাবিহীন অর্থনৈতিক লেনদেন। স্মার্ট ইকোনমির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের আয় ও খরচের স্বচ্ছতা থাকবে। কোনো ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ কতটুকু সেটা সরকারের কাছে তথ্য থাকবে। তার জন্য রাষ্ট্রকে ট্যাক্স বা রাজস্ব দিতে হবে। বর্তমানে লুকোচুরি করে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকলেও স্মার্ট ইকোনমি প্রতিষ্ঠিত হলে সেই সুযোগ চিরতরে বন্ধ হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনিয়মগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটি পাকাপোক্ত হওয়ার পরেও অনিয়ম চলছে। কিন্তু স্মার্ট ইকোনমি বাস্তবায়িত হলে এক্ষেত্রে অনিয়ম করার সুযোগ থাকবে না। ব্যক্তি চাইলেই তার সম্পত্তির হিসাব লুকাতে পারবে না। এটা সবার কাছে স্বচ্ছ হয়ে যাবে। এজন্য অর্থনীতিকে ব্যাংকিং চ্যানেলের অধীন নিয়ে আসতে হবে। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে টাকা নিজের কাছে গচ্ছিত রাখে সেক্ষেত্রে স্মার্ট ইকোনমির বিষয়টি বাস্তবায়ন করা কষ্টসাধ্য হবে।

    তৃতীয়ত, স্মার্ট গভর্নেন্সের ধারণাটি তখনই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে যখন সরকার দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম হবে। জনগণও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকারকে সহায়তা করবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নে সরকার ঘোষিত বাজেটের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থাকবে। অর্থাৎ সরকার প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত যা বাজেট দেবে সেটা স্বচ্ছ হবে। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ বর্তমান সময়ের মতো বারবার বাড়ানো হবে না। বরং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এজন্য সরকারকে আলাদা কোনো বাজেটও দিতে হবে না। কাজগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তার সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য মনিটরিং করা হবে।

    সবশেষে, স্মার্ট সোসাইটির ধারণাটি স্মার্ট সিটিজেনের ধারণার বৃহৎ পরিসর। যে সমাজে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনাচার প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করেই পার করতে সক্ষম হবে এবং তারা তাতেই অভ্যস্ত হবে সেটা হবে স্মার্ট সোসাইটি। এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। বর্তমানে গবেষণার দিকে সরকারে বাজেট অন্য খাতের তুলনায় কম। কিন্তু, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    গবেষণা ও সংশ্লিষ্ট খাতে বাজেট বাড়াতে হবে উল্লেখ করে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন মো. তারিক ভোরের কাগজকে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে প্রধানত নেতৃত্বের আসনে থাকবেন প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা। তাদের পর্যাপ্ত নার্সিং করতে হবে এবং তাদের জন্য যথাযথ সুযোগ তৈরি করতে হবে, যেন দেশের মেধা বিদেশে পাচার না হয়। বর্তমানে দেশের একটি বড় অংশই তরুণ। তাদের স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে পারলে একেকজন দেশের জন্য সম্পদে পরিণত হবে। তাদের দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া প্রযুক্তি খাতে সরকারের বিনিয়োগ আরো বাড়ানোসহ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ত্বরান্বিত হবে।

    যেহেতু স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। তাই সরকার তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে। তাড়াহুড়ো না করে ঠাণ্ডা মাথায় শুরুতে কিছু কিছু জায়গায় পাইলট প্রোগ্রাম হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তি চালু করবে। ধারাবাহিকভাবে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হবে চারটি ভিত্তিকে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ আর বর্তমানের বাংলাদেশ থাকবে না, সেটা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

    স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে সবার আগে রাজধানী ঢাকাকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। এই স্মার্ট ঢাকা গড়তে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাব) বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। সংস্থাটির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তখনই হবে যখন প্রতিটি নাগরিক ফেস টু ফেস কন্টাক্ট ছাড়াই তার মৌলিক সেবাগুলো নিতে পারবে। তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আর স্মার্ট এগ্রো ইকোনমিতে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি ক্ষেত্রে গবেষণা ও প্রশিক্ষণকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে প্রশিক্ষণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ তখনই হবে যখন সরকারি বেসরকারি যে কোনো সেবা পেতে মানুষকে সশরীরে যেতে হবে না।

    আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটা অবস্থানে চলে এসেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যে প্রযুক্তির প্রয়োজন যেমন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আধুনিক প্রযুক্তিগুলো আমাদের দেশে শুরু হয়েছে। শিল্পকারখানাগুলোতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোবটের প্রচলন শুরু হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রযুক্তিগত পড়াশোনা ও ট্রেনিংয়ের বিকল্প নেই। সেগুলোতে জোর দেয়া হচ্ছে। ২০৪১ সালের আগেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব।

  • হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত, ডিসেম্বরে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন,প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিমটি দেবেন হেফাজত আমির

    হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত, ডিসেম্বরে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন,প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিমটি দেবেন হেফাজত আমির

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ;কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটি সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন
    ডিসেম্বরে উলামা মাশায়েখ সম্মেলন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেবেন হেফাজত আমীর

    আজ ৩১ অক্টোবর (সোমবার) সকাল ১০টায় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় সংগঠনের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, নায়েবে আমীর মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলিল, মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবাহানী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, মাওলানা রাশেদ বিন নূর।

    বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহনগর কমিটি সম্প্রসারণ এবং পুনঃবিন্যাস করা হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

    কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী ও কেন্দ্রীয় দাওয়া সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানীকে যুগ্মসচিব করা হয়।

    এছাড়াও মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারীকে প্রচার সম্পাদক ও মাওলানা রাশেদ বিন নূরকে দফতর সম্পাদক করা হয়।

    মাওলানা তাজুল ইসলামকে আহবায়ক এবং মাওলানা মাওলানা লোকমান হাকিমকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

    বৈঠকে কারাবন্দী হেফাজত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হেফাজতের নামে ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হওয়া সকল মামলা প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আমীরে হেফাজতের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

    এছাড়াও আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    বৈঠকে ব্যক্তি উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ের যে কোনো কাজে হেফাজতের পদ পদবী ব্যবহার না করার জন্য আমীরে হেফাজত সকল দায়িত্বশীলদের সতর্ক করেন।

    জেলা কমিটি গঠন করার জন্য মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সাব কমিটি গঠন করা হয়। এতে আরো আছেন, মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী ও মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারী।

    কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-
    মুফতী আরশাদ রহমানী
    মাওলানা আবদুল বাসির (সুনামগঞ্জ)
    মাওলানা শাহাদত হোসেন রাঙ্গুনিয়া
    মাওলানা খোবাইব
    মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী
    মাওলানা আবদুল কাদের (আমলাপারা)
    মাওলানা ইউনুস (রংপুর)
    মাওলানা শওকত হোসেন সরকার নরসিংদী
    মাওলানা সাঈদ নূর মানিকগঞ্জ
    মাওলানা আকরাম আলী ফরিদপুর
    মাওলানা হেলাল উদ্দিন ফরিদপুর
    ডক্টর নুরুল আবসার আজহারী
    মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আজহারী
    মাওলানা তৈয়ব হালীম
    মুফতী মাসুদুল করীম
    মাওলানা নূরুর রহমান বেগ (বরিশাল)
    মাওলানা নিজামদ্দীন নোয়াখালী
    মাওলানা আবদুল মা’বুদ (বাগেরহাট)
    মাওলানা মুসলিম কক্সবাজার
    মাওলানা বোরহান উদ্দীন কাসেমী (বি-বাড়িয়া)
    মাওলানা আনওয়ার চকরীয়া
    মাওলানা কেফায়েতউল্লাহ টেকনাফ
    মাওলানা ইয়াহহিয়া নাজিরহাট
    মাওলানা শাসমুল ইসলাম জিলানী
    মাওলানা আব্দুল্লাহ পোরশা
    মাওলানা শরিফ ঠাকুরগাঁও
    মাওলানা তাফহিমুল হক হবিগঞ্জ
    মাওলানা জুনাইদ বিন ইয়াহিয়া
    মাওলানা রাশেদ বিন নূর

    ঢাকা মহানগর কমিটিতে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে-
    মাওলানা মুহাম্মদ ফারুক (মুহতামীম, লালমাটিয়া মাদরাসা), মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা লোকমান মাযহারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ (ব্যাংক কলনী মাদরাসা, সাভার), মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা ওয়াহিদুর রহমান (পীরজঙ্গি মাদরাসা), মাওলানা যুবায়ের আহমদ (ওয়াহেদীয়া মাদরাসা, মোহাম্মদপুর), মাওলানা জসীমউদ্দীন (খতীব, চকবাজার ছোট মসজিদ), মুফতী জুবায়ের রশিদ (খতীব, দুদক মাজে মসজিদ)।

    চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি-
    আহবায়ক, মাওলানা তাজুল ইসলাম
    সদস্য সচিব, মাওলানা লোকমান হাকিম

    মাওলানা ফোরকানুউল্লাহ খলীল
    মাওলানা আলী ওসমান
    মাওলানা হারুন (শোলকবহর)
    মাওলানা মুনীর উদ্দিন (হালিশহর)
    মাওলানা ইয়াসিন (লাভলেইন)
    মাওলানা হাসান মুরাদাবাদী
    মুফতি শিহাব উদ্দিন ইসপাহানী
    মাওলানা আনোয়ার রব্বানী
    মাওলানা এনায়েতুল্লাহ (দামপাড়া)
    মাওলানা সায়েমুল্লাহ
    মাওলানা ফয়সাল বিন তাজুল ইসলাম
    মাওলানা জাকারিয়া মাদানী
    মাওলানা জয়নাল কতুবী
    মাওলানা শহিদুল ইসলাম
    মাওলানা মানজুরুল কাদের।

  • বঙ্গবন্ধু ৩৮তম পুরুষ ও ১৫তম মহিলা জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতা ২০২২ এ সেনাবাহিনী ভারোত্তোলন দলের সাফল্য

    বঙ্গবন্ধু ৩৮তম পুরুষ ও ১৫তম মহিলা জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতা ২০২২ এ সেনাবাহিনী ভারোত্তোলন দলের সাফল্য

    নিউজ ডেস্ক।

    গত ৩০ সেপ্টেম্বর হতে ৩ অক্টোবর ২০২২ ইং ভারোত্তোলন জিমন্যাসিয়াম, গুলিস্তান, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ৩৮তম পুরুষ ও ১৫তম মহিলা জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতা ২০২২ এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারোত্তোলন দল মহিলা বিভাগে ০৬টি স্বর্ণ ও ০৩টি রৌপ্য পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন এবং পুরুষ বিভাগে ০৪টি স্বর্ণ, ০৩টি রৌপ্য ও ০১টি তাম্র পদক পেয়ে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ১৪টি দলের ১৩৩ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিল। উল্লেখ্য যে, প্রতিযোগিতায় বিশেষ ক্রীড়া নৈপুণ্যের জন্য সৈনিক মোঃ আশিকুর রহমান তাজ শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন।

  • ড. খান আসাদুজ্জামান রচিত বাংলার মেঘদূত শুভেচ্ছা স্মারকটি প্রধান মন্ত্রীর ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি কে তুলে দেন

    ড. খান আসাদুজ্জামান রচিত বাংলার মেঘদূত শুভেচ্ছা স্মারকটি প্রধান মন্ত্রীর ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি কে তুলে দেন

    হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা-এর ৭৬ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও বাংলাদেশ ডায়েরি পত্রিকার সম্পাদক মহোদয় ড. খান আসাদুজ্জামান রচিত বাংলার মেঘদূত শুভেচ্ছা স্মারকটি সম্পাদক স্যারের পক্ষ থেকে ব্যবস্হাপনা পরিচালনার আবু রাসেল সবরিন তুলে দিলেন মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি মহোদয় কে।

  • বাঁশখালীতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী পালিত

    বাঁশখালীতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী পালিত

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    বাঁশখালীতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোমবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী থেকে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি.। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা আক্তার কাজমী ,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ৪ নং বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম,সরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র এডভোকেট তোফায়েল বিন হোসাইন, কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইবনে আমিন, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক সিকদার,পুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম আকতার,আওয়ামীগ নেতা আকতার হোছাইন,আওয়ামীগ নেতা ভিপি শামসুল আলম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম মনচুর আলী, পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক হামিদ উল্লাহ, বাঁশখালী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র রোজিয়া সোলতানা, কাউন্সিলর প্রণব দাশ, জমশেদ আলম, আক্তার হোসেন, কাঞ্চন বড়ুয়া, বদি আলম,মোঃ ইসহাক, উপজেলা আওয়ামী ওলামালীগের সভাপতি মাওঃআকতার হোছাইন,পুইছড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজুল কবির ফজু, কালিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,যুবলীগ নেতা সেলিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নাঈমুল হক মাহফুজ, ইফতেখার হোসেন বাবু,ফৌজুল কবির, মুজিবুর রহমান, জামাল আহমদ, মোজাফফর আহমদ, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল,কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জামিল, আরজু হায়দার সহ আওয়ামীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ মহিলা আওয়ামী লীগ,যুব মহিলা লীগ নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।