Category: সারাদেশ

  • নির্বাচন কমিশনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি প্রদান।অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোট আয়োজনের আহ্বান।

    নির্বাচন কমিশনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি প্রদান।অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোট আয়োজনের আহ্বান।

    #উখিয়াভয়েস24.ডটকম

    জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও অবিলম্বে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিনিধি দলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। স্মারকলিপি প্রদান শেষে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ব্রিফিং করেন। এর আগে সকাল ১১টায় সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে মিছিল সহকারে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের দিকে যাত্রা করেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ ফয়সাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকী, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, যুব মজলিসের প্রশিক্ষণ সম্পাদক আল আবিদ শাকিরসহ সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও শাসনব্যবস্থা পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে চলেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের আলোকে গঠিত জুলাই জাতীয় সনদকে জনগণের আত্মত্যাগের প্রতীক এবং জাতির ঐক্যের দলিল হিসেবে উল্লেখ করে এতে আইনি ও টেকসই ভিত্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণভোট ব্যতীত জুলাই সনদ আইনি স্বীকৃতি পাবে না। জনগণের দাবি, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, “জুলাই সনদ হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তে লেখা এক ঐতিহাসিক দলিল। এর বাস্তবায়ন শুধু রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, এটি জাতির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার শপথ।” তারা অবিলম্বে গণভোট আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ এবং দেশে ফ্যাসিবাদমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। এছাড়া স্মারকলিপিতে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত ভোট ব্যবস্থা এবং উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR System) চালুর দাবিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়। নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে গণদাবিসমূহ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    বার্তা প্রেরক:
    হাসান জুনাইদ
    প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সমন্বয়ক
    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

  • নির্বাচন কমিশনে স্বারকলিপি প্রদান নভেম্বরে গণভোট আয়োজন, সংশোধিত আরপিও কার্যকর করা ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতেই হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    নির্বাচন কমিশনে স্বারকলিপি প্রদান নভেম্বরে গণভোট আয়োজন, সংশোধিত আরপিও কার্যকর করা ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতেই হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    #উখিয়াভয়েস24.ডটকম

    পিআরসহ ৫ দফা দাবীতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের ৫ম ধাপের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার আগারগাঁও এ নির্বাচন কমিশন অফিসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। স্বারকলিপিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রশংসা করা হয়। নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়, দেশবাসী মনে করে- গণভোট ব্যতীত জুলাই জাতীয় সনদ আইনগত টেকসই ভিত্তি পাবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। পিআরের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে বলা হয়, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল রোধ, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপতৎপরতা বন্ধ, কোয়ালিটি-সম্পন্ন পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট মূল্যায়নের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছি। সংশোধিত আরপিও-র পক্ষে অবস্থান জানিয়ে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনী অনুমোদন করেছে। আমরা লক্ষ্য করছি সরকার কর্তৃক সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য একটি রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছে। আমরা মনে করি এ দাবি কোনো অবস্থাতেই গ্রহণ করার সুযোগ নেই।

    দলের রাজনৈতিক অবস্থান উল্লেখ করে বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, আগামী নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠান ও ফেব্রুয়ারি ২০২৬ এ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ দফা দাবীতে আন্দোলন করে আসছে। আমাদের উত্থাপিত দাবিগুলোর প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদসহ সচেতন নাগরিকসমাজ আন্তরিক সমর্থন জানিয়েছে। দেশের সাধরণ জনগণও এসব দাবির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়ে রাজপথে আন্দোলনে শামিল হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর এসব যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত গণদাবি নির্বাচন কমিশন মেনে নিবেন এবং গণ-মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের অভিযাত্রায় গতিপথ নির্বারণ করবেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত স্বারকলিপিপূর্ব জমায়েতে সভাপতিত্ব করেন, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরেক যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমূখ

  • মুলাদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত।

    মুলাদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত।

    #উখিয়া ভয়েস২৪.ডটকম

    আজ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলার আওতাধীন মুলাদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) ও বরিশাল জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা হাফেজ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ বরকত, বরিশাল জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, বরিশাল জেলা ইমাম সমিতির সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল হোসেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুলাদী উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব এফএম মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কাশেম জিহাদীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

  • কবে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি ইসলামী ঐক্যমতের মঞ্চ- উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

    কবে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি ইসলামী ঐক্যমতের মঞ্চ- উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

    #UkhiyaVoice24.Com

    আমরা আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে এর চাইতে চমকপ্রদ আয়োজন দেখেছি।এমন কোনো ইসলামিক গুষ্ঠি ছিলনা যারা উপস্থিত হয়নি।জালালি বক্তাদের থেকে শুরু করে জীবনেও রাজনীতি করেনি এমন আলোচকদের আলোচনা করতে দেখেছি একই মঞ্চে- কিন্তু ফলাফল কি এসেছিল?। ফলাফল এসেছিল এমন চমকপ্রদ প্রোগ্রাম শেষ করে রাতের মাহফিলে গিয়েই চরমোনাই পীরের বিরোধিতা করা।কওমীর আলেমদের ঘিরে কটুকথা বলা।আওয়ামিলীগ ও বিএনপির পক্ষে শীতলতা দেখানো। তলে তলে ইসলামী দলগুলোর গোড়ায় গরম পানি ঢালার মতো কতজন আলোচক যে এমন চমকপ্রদ প্রোগ্রামে দেখেছি তার হিসেব নেই। আওয়ামিলীগ হাটাও আন্দোলনের একমাস আগেও এমন মঞ্চ তৈরি হয়েছিল কয়েকবার। মুফতী রেজাউল করিম আবরার হাফিজাহুল্লাহ বহুবার এমন প্রোগ্রাম উপহার দিয়েছেন আমাদের।সেসব প্রোগ্রামে আওয়ামিলীগ সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে কড়া ভাষায় হুশিয়ারী দিলেও জুলাই আন্দোলনে কেবল পীর সাহেব চরমোনাই’র দল ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। একটা বৃহৎ দলের আমীর ও নায়েবে আমীর একাধিকবার রাজপথে হেটে হেটে শ্লোগান দিয়েছিল। প্রশ্ন হলো তাহলে চমকপ্রদ আয়োজিত মঞ্চে যারা গরম বক্তব্য দিয়েছিল তারা কোথায় ছিলো?

    কেন মঞ্চে বলা কথাগুলো সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পীর সাহেব চরমোনাই’র দলের সাথে আন্দোলনে যোগ দিলনা?
    উত্তর আছে কি?। আপনি যদি রাজনীতি বুঝে থাকেন এবং রাজনীতির গভীরে গিয়ে থাকেন তাহলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক দৌড় ১০০ থেকে মাত্র ১০ এ এসে পৌঁছাতে পেরেছে।বাকি নব্বই পার্সেন্ট এখন বিএনপি আওয়ামিলীগ অথবা অন্যান্য দলগুলোর হাতে আছে। আপনি মানেন অথবা না মানেন, একটা মহাসমাবেশ দিয়ে দলের উপস্থিতি নির্ণয় করা গেলেও রাজনৈতিক দৌড় কতদূর পৌঁছেছে তা নির্ণয় করা একেবারেই অসম্ভব। এই-যে জমিয়তের দলের অবস্থা দেখছেন না! নামে আর বক্তাদের জনপ্রিয়তায় এ দলটাকে কে না চিনে?। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম! নামটার অর্থ বুঝেন নিশ্চয়ই!। অথচ আগাগোড়া আর কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?। অথচ রাতের আধারে জেনারেটরের আলোতে এরাই আবার আখেরাতের বয়ান করে। ইনসাফের বয়ান করে। #ঐক্যের বিষয়ে গলাফাটায়। আবার অনেকেই এই দলের লাল দাড়িওয়ালা মুরুব্বীদের কাছে পেলে কাবার গিলাফ ধরার মতো আঁকড়ে ধরে তোলামোশা করে। উপরে কি বলছিলাম মনে আছে?। ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক দৌড় ১০০ থেকে ১০ এ। কারণ এটাই! ইসলামপন্থীদের বারোটা বাজিয়েছে তথাকথিত লেবাসধারী মৌ-লোভীরা। যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় অসম্মানের সহিত লেখা থাকবে ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে মুফতী রেজাউল করীম আবরার হাফিজাহুল্লাহ’র এমন প্রচেষ্টাগুলোকে সাধুবাদ জানাই। চেষ্টার দ্বারা আল্লাহ সফলতা। সেই সফলতা যেন আমরা দেখে যেতে পারি ইনশাআল্লাহ।

    মুহাম্মদ শেখ সাদী খাঁন।

  • দারিদ্র্যের হার ২৮% হওয়া উদ্বেগজনক; চাঁদাবাজী নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে প্রধান অন্তরায়- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    দারিদ্র্যের হার ২৮% হওয়া উদ্বেগজনক; চাঁদাবাজী নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে প্রধান অন্তরায়- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    #ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এসে আজ আমাদের দেখতে হচ্ছে, কমপক্ষে পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। প্রতি চারজনের একজন এখন গরিব। আরও অনেক মানুষ এমন আর্থিক অবস্থায় রয়েছেন যে অসুস্থতা বা অন্য কোনো সংকটে তাঁরা গরিব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এর চেয়ে হতাশাজনক বিষয় আর কি হতে পারে? দারিদ্র্যতার এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে শুধু জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ওপর আলোচনাটা সীমাবদ্ধ না রেখে সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিকের কল্যাণ নিয়ে আলোচনা বাড়াতে হবে। ২৬ আগস্ট,২০২৫ মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বিগত পনের বছরে আমরা উন্নয়নের নানা রকম গল্প শুনেছি। আদতে সেগুলো ছিলো মিথ্যার ফুলঝুড়ি। গণঅভ্যুত্থানের পরে আশা ছিলো অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু অতিতের দীর্ঘ সময়ের সঞ্চিত অব্যবস্থাপনা এবং নতুন করে সৃষ্ট চাঁদাবাজদের উৎপাতের কারণে দেশে নতুন বিনিয়োগ প্রায় থমকে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতি নমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় নাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখন থেকেই জোড়ালো ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং দারিদ্র্যের হার যে কোন মূল্যে শুন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে হবে।

    বৈঠকে দলের মুখপাত্র ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, পিআর নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য আপত্তিজনক। বারংবার “পিআর সংবিধানে নাই” বলে তিনি জনমত প্রভাবিত করতে চাইছেন কিনা সেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এবং কথা কথায় সংবিধানের দোহা্ই দেয়া আমাদেরকে পতিত স্বৈরাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে থেকে আরো সতর্ক ও নিরপেক্ষ আচারণ আশা করি। সাপ্তাহিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মকবুল হোসাইন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, ডা. শহিদুল ইসলাম।

  • আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    #UkhiyaVoice24.Com

    ২০ জুলাই’২৫ রবিবার, সম্মানিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি আমীরে জামায়াতের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান রবের নিকট দো’য়া করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর জনাব ফখরুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের মেডিকেল থানা আমীর ডা. খালিদুজ্জামান।

  • বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জাতীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জাতীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন।

    #UkhiyaVoice24.Com


    জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায়, জনগণের ভালোবাসায় ক্ষমতায় আসে তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে- ডা. শফিকুর রহমান

    অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থাসহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ ১৯ জুলাই বেলা ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অর্থসহ পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যাদের ত্যাগ ও কুরবানীর বিনিময় ফ্যাসিবাদীদের পতন হয়েছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা তাদের কথা চিরদিন স্মরণ করব। তাদের কল্যাণের জন্য যা করা দরকার তাই আমরা করবো। আমরা তাদের যেন অবজ্ঞা না করি। অন্য দলকে যেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করি। আমরা রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষা করবো। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করব। যারা এখানে কথা বলেছেন তারা আমার মনের কথাই বলেছেন। আমাদের আর একটি লড়াই করতে হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ। জামায়াতের এমপি প্রার্থীগণ নির্বাচিত হলে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ী নিবে না, রাষ্ট্রীয় ফ্ল্যাট গ্রহণ করবে না। সাড়া দেশের গণহত্যা,২৪শের গণহত্যা, পিলখানার গণহত্যা, শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় সমাবেশে আসার সমর পথে খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু সাঈদ, পাবনা জেলার ঈশ্বর্দী উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকায় আসার পথে এবং রংপুরের শাহ আলম সমাবেশস্থলে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমীরে জামায়াত তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার- পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। আমীরে জামায়াত নিন্মোক্ত বিষয়গুলোর উপর মূল্যবান বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বক্তৃতা দানকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পক্ষে বক্তব্য রাখা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে নির্যাতিতদের সম্পর্কে, নির্যাতিত প্রবাসী ভাই-বোনদের ব্যাপারে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের গুরুত্ব তুলে ধরে, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের (প্রবাসী) অবদান তুলে ধরে তাদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির বিষয়ে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ সাধনের ব্যাপারে এবং দেশবাসী ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কিছু মূল্যবান কথা বলতে চেয়েছিলেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ ইউনুস আহমাদ, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, খেলাফত আন্দোলনের আমীর আবু জাফর কাসেমী, গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নূরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ডা. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এড. একেএম আনোয়ারুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক, কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা।

    জাতীয় সমাবেশে জামায়াত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি ড.এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. জসীম উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, অন্যতম জুলাই যোদ্ধা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কাইয়ুম।

    সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, এড. মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, জনাব আবদুর রব, অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ ও জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৭ দফা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। আমরা ৭ দফা পূর্ণভাবে সমর্থন করছি। ইসলামী ঝান্ডা নিয়ে যুবকরা এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আওয়ামী লীগ ধ্বংস, অভিসাপ, টাকা পাচার, জুলুম নির্যাতনের নাম। তারা দেশকে জঙ্গলে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদীরা আবার আসলে কারো পিটের চামড়া থাকবে না, সারা বিশ্বে ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। আমাদের একটি দল পিআর পদ্ধতি চায় না। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন বলেন, শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র সুরক্ষা করা যাবে না। সুরক্ষা করতে হলে মৌলিক সংস্কার করতে হবে। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। পিআর যারা চায় না তারা জাতির সাথে প্রতারণা করে। মুসলমানদের ন্যুনতম অধিকার ফ্যাসিবাদীরা দেয়নি। এ দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক জনাব সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশে মুজিববাদের স্থান হবে না। খুনী হাসিনার বিচার হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের স্থান হবে না। বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ হতে হবে। ৭২ সালের সংবিধান এক পাশে রাখতে হবে। নারী অধিকার ও সংখ্যালঘুদের অধিকার পূরণ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য, মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি ১৪ বছর জালেম সরকারের কারাগারে বন্দী ছিলাম। আমাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তাই আমি বলতে চাই যে, দেশ যেমন নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তেমনি আমি নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাকে হত্যার আয়োজন করা হয়েছিলো। আমি অন্তবর্তিকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই, আমাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও জেলে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। যারা তাদের হত্যা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার করতে হবে। তাদের কি অপরাধ ছিলো? তাদের অপরাধ ছিলো তারা এ দেশের জনগণের পক্ষে ও ইসলামের পক্ষে ছিলো।

    আজ কারা পালিয়েছে? জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাকর্মী পালায়নি। আমরা ৫৪ বছর বাংলাদেশ দেখলাম। কিন্তু ৫৪ বছরে বাংলাদেশের কোন পরিবর্তন হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে কুরআনের আইন দ্বারা দেশ পরিচালনা করতে হবে। আমরা আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন চাই।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ইসলাম যেখানে থাকে সেখানে শান্তি থাকে। যেখানে ইসলামী নেই সেখানে শান্তি থাকতে পাবে না। সেখানে দুর্নীতি বাসাবাঁধে। আপনারা কি আর দুঃখ কষ্ট চলতে দিতে চান। না দিতে চাইলে সংসদে চলবে ইসলামী আইন। অন্য কোন আইন সংসদে চলবে না। শক্তি দিয়ে অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে চাই। বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশবাসী সকলের প্রিয় দল। নারী-পুরুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের দল। জামায়াতে ইসলামী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। দেশের জনগণের স্বার্থে জামায়াতের লড়াই অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াতের বৃদ্ধ নেতাদের জেলে বন্দী করে রেখে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। আমীরে জামায়াতের নির্দেশ জামায়াতে ইসলামী শহীদদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সাংবাদিক,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা-সহ সমাবেশ বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতাকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। কষ্ট শিকার করে সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করায় ঢাকাবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।

  • ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

    ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করেছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    গতকাল খুলনায় ইমামদের এক সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য মিডিয়ায় যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি। সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলে মুসলিম এডিসি বা মুসলিম এসি ল্যান্ড দায়িত্ব পালন করবেন। মহিলা হলেও একই নিয়ম। মডেল মসজিদগুলো নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে। সুতরাং এর নিয়ন্ত্রণভার থাকবে সরকারের হাতে। অপর দিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ বেসরকারি মসজিদের কমিটি, সভাপতি, সেক্রেটারি কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন মুসল্লী, মোতুয়াল্লী ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। ডিসি অথবা ইউএনও সভাপতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এসব মসজিদ তো বেসরকারি। সরকার এসব মসজিদের ব্যয়ভার বহন করে না। তবে কোন কমিটির সাথে ইমাম, খতিব ও মুয়াযযিনের যদি বিরোধ দেখা দেয় বা সংকট তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবেন। এটাই হল মূল প্রতিপাদ্য।

  • সেচ্ছায় বিএনপি থেকে পদত্যাগপত্র করলেন- ড. ফয়জুল হক

    সেচ্ছায় বিএনপি থেকে পদত্যাগপত্র করলেন- ড. ফয়জুল হক

    প্রতিবেদন:

    আমি, ড. ফয়জুল হক, আজ গভীর আবেগ ও বিবেচনার সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি। ২০১৫ সালে গঠিত বিএনপির মালয়েশিয়া কমিটির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১৮ সালে ঝালকাঠী-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) এবং ঝালকাঠী-২ (ঝালকাঠী-নলছিটি) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। দেশে ও বিদেশে থেকে বিগত বছরগুলোতে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী ও সামাজিক বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমি সব সময় চেয়েছি একটি স্বাধীন, ন্যায়ভিত্তিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন রাজনীতি করতে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধীরে ধীরে বামঘেঁষা মতাদর্শের প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যেসব ইসলামপন্থী দল ও ইসলামিক চিন্তাবিদরা অতীতে বিএনপির পাশে ছিলেন, আজ তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, যা আওয়ামী লীগের কথার সাথে বিস্ময়করভাবে মিলে যাচ্ছে। এসব অবস্থান আমার বিশ্বাস, চেতনাসম্মত রাজনীতির পরিপন্থী। আমি একজন ডানপন্থী রাজনীতিক হিসেবে আজ স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি, আমাকে দলীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। আমি পাথর দিয়ে মানুষ হ*ত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিকে ন্যূনতম সমর্থন দিতেও রাজি নই। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলার স্পষ্ট সাহস রাখতে চাই।গত ১৬ বছর যেভাবে কথা বলেছি ঠিক তেমনি আমি ন্যায় ও মানবতার পক্ষে কথা বলতে চাই, দলীয় স্বার্থ নয়, দেশ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সাধারণ মানুষের অধিকারই আমার রাজনীতির মূলমন্ত্র। জুলাই বিপ্লবের পরে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমাকে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, যা দলের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। আমি চাই না আমার অবস্থানের কারণে দল বিব্রত হোক। কারণ এখনো অনেক নেতা রয়েছেন, যারা পরিবর্তিত বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছেন না- তারা আজও শেখ হাসিনার দেখানো পথেই হেঁটে চলেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ত্যাগ এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের দেশের প্রতি ভালোবাসা আমি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবো। তাঁদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইলো। আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বিষয়ে বলতে চাই- আমি ঝালকাঠী-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতির সামনে আসতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। দলমত নির্বিশেষে সবার সমর্থন নিয়ে আমি মানবতা, সত্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের পক্ষে সংসদে কথা বলবো। আজ থেকে আমি আর কোনো দলীয় পরিচয়ের ছায়ায় নয়- বরং একজন স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে ভালোকে ভালো ও মন্দকে মন্দ বলার সাহস নিয়ে পথ চলতে চাই। মৃত্যুর আগপর্যন্ত এই নীতিতে অবিচল থাকবো বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দলের বন্ধুবান্ধব, সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইলো।

    ড. ফয়জুল হক
    সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী,
    ঝালকাঠী ১(রাজাপুর- কাঠালিয়া)