Category: সারাদেশ

  • মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ আসলেই বন্ধ করে দেওেয়া হবে মাহফিল

    মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ আসলেই বন্ধ করে দেওেয়া হবে মাহফিল

    উখিয়া ভয়েস ডেস্ক

     

    ওয়াজ মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ পেলেই ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে মাহফিলে উচ্চ শব্দ করলে সরকারি নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কোথাও ওয়াজ মাহফিলের উচ্চশব্দের অভিযোগ পেলেই বন্ধ করে দেয়া হবে মাহফিল।

    সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার ইন্দ্রজিত সাহার স্বাক্ষরিত পত্রে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

    সহকমিশনার ইন্দ্রজিত সাহা জানান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি রেজুলেশনের সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৫ নভেম্বর এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কোথাও যদি ওয়াজ মাহফিলে উচ্চশব্দ ব্যবহার করা হয় আর সে বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে সেই মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার, ইউএনও এবং ওসিদের এ সম্বন্ধে চিঠি দেয়া হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, ওয়াজ মাহফিল মূলত রাতে হয়। উচ্চশব্দ ব‍্যবহার করার কারণে রাতে মানুষের ঘুমে সমস্যা হয়, জনদুর্ভোগ হয়। সেজন্য যদি কেউ অভিযোগ করে তবে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। উচ্চশব্দ ব্যবহার করা ছাড়া মাহফিল পরিচালনা করায় কোনো বাধা নেই।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক স্ট্যাটেজি সহজে সবাই বুঝে না।অনেকে সন্দেহের চোখে দেখে। অথচ রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা সহজেই বুঝতে পারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পদ্ধতি,কৌশল এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। তাদের একটি দীর্ঘমেয়াদী প্লান রয়েছে।কোন একটি ইস্যুতে Do or die নীতি অবলম্বন করে শক্তি নিঃশেষ করে দেয়না। আচ্ছা মূর্তি ইস্যুতে যদি ডু অর ডাই নীতি অবলম্বন করে তাহলে লাভটা কাদের হবে? অনেকেই এই বিশ্লেষণে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে যায়।চরমোনাইর পীর কদম বাড়ানোর অাগে হাজারবার ভাবে এই কদমের রিয়েকশন কি হতে পারে। সেই জন্যে রাজনীতিতে তারা ঠান্ডা মাথায় খেলে দিতে পারে। কোন একটি ইস্যু পেলেই তাকে চূড়ান্তভাবে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যাওয়া ইসলামী আন্দোলনের কাজ নয়।বিএনপি চেয়ে আছে পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাবে বলে।২০১৩ সালের সেই স্বপ্ন যখন পূরণ হয়নি এখনো তারা সুযোগের সন্ধানে।

    একটি ইস্যু হলেই সরকার বিরোধি এজেন্সি গুলো ইসলামী দলগুলোর মাধ্যমে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখে। যেমন ডক্টর জাফরুল্লাহ গতকালই বলেছেন একটু ধাক্কা দিলেই সরকার কিনারায় পড়ে যাবে। এটা মূর্তি ইস্যুতে ইসলামপন্থীদের কঠিন অবস্থানকে পূজি করে বলেছেন। নিজেদের শক্তি ক্ষয় করে,ধর্মপ্রাণ মানুষের অাবেগকে কাজে লাগিয়ে কোন বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে সুযোগ দিতে চায়না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যারা বিএনপির জোটে এবং হেফাজতে আছে তাদের নীতিতে,মননে মস্তিকে বিএনপি প্রীতি কাজ করে। যার ফলশ্রুতিতে কোন একটা ইস্যু পেলেই মাঠ গরম করে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এই একটি জায়গায় এসে ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে অন্যান্য ইসলামী দলের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি ফেইল করে। কারণ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা ক্ষমতায় উঠানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিশ্বাসী নয়। সময় হলে তারা শক্তি কাজে লাগিয়ে ইসলামকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে। মূর্তি ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান স্পষ্ট। তা স্বত্বেও অনেকে পাগলের প্রলাপ বকছেন। এদের পলিটিক্যাল নলেজ যে হাঁটুর নিচে তা স্পষ্টই প্রমাণিত।

    কোন একটা ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলন আগে মাঠে নামে। প্রথমেই জনমত সৃষ্টি করে। দলের আমির, নায়েবে আমিরের বক্তব্যগুলো শুনলে বুঝতে পারবেন তাদের প্রজ্ঞা। প্রথমে তারা জনতাকে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবে। জনতা বিষয়টি বুঝতে পারার পর তারা একটি ঝাকুনি দেয়।এতেই সাধারণ জনতা ঐ বিষয়ে সিরিয়াস হয়ে উঠে। পরীক্ষায় প্রথম প্রশ্ন কমন না পড়লে সেটা নিয়ে বসে থাকা কোন মেধাবি শিক্ষার্থীর কাজ হতে পারেনা। অংক একটি না পারলেও পরীক্ষার হলে বার বার সেটা চেষ্টা করতে গিয়ে কাল ক্ষেপন করে বাকি অংকগুলো করার সময় থাকেনা। সুতরাং একটি অংক ভুল হলে সেটা বাদ রেখে বাকিগুলোতে মনোযোগ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
    । একবার না পারিলে দেখ শতবার থিউরি পরীক্ষার হলে কাজে আসেনা। হিতে বিপরীত হয়। মূর্তি ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকাটাও কোন রাজনৈতিক কৌশল নয়। ইসলামী আন্দোলন যেহেতু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে রাজনীতি করছে তাদের একটি ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকার মানেই হয়না। যেমন আজ আরেকটি ইস্যুতে সরব চরমোনাইর পীর সাহেব। বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিমধ্যে চলে এসেছে বিষয়টি। আগামী ২০২২ সাল থেকে এস এস সিতে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা সাবজেক্টটি রাখছে না শিক্ষামন্ত্রণালয়। এটার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই। একটি রাজনৈতিক দল শুধু একটি ইস্যুতে ডুর অর ডাই নীতি অবলম্বন করতে পারেনা। কিছু কাজ করতে হয় রাজপথে, আবার কিছু কাজ করতে হয় ঠান্ডা মাথায় কূটনীতিকভাবে। ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশ ঠান্ডা মাথায় রাজনীতির পুতুলটা নিয়ে হাঁটছে।

  • কোরআনে উল্লেখিত তামাসিলা ও আসনাম বনাম ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে বিতর্কের অবসান

    কোরআনে উল্লেখিত তামাসিলা ও আসনাম বনাম ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে বিতর্কের অবসান

    ইসলামি ডেস্ক

     

    আমরা সকলেই জানি যে, পবিত্র কোরআনের সুরা সাবা’র ১৩ নম্বর আয়াতে বর্ণিত ‘তামাসিলা’ শব্দের বিকৃত ব্যাখ্যা করে ইতিমধ্যে সব ধরনের ভাস্কর্য বৈধ প্রমাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। তারা বলতে চাইছে, “তামাসিলা অর্থাৎ ভাস্কর্যের কথা কোরআনে আছে এবং কুরআনে কারীমে মূর্তি বুঝাতে আসনাম শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়।

    এমতাবস্থায় সাধারণ মুসলমানের ঈমান হেফাজতের জন্য শব্দদ্বয়ের যথাযথ ব্যাখ্যা উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
    পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত সূরা সাবা’র ১৩ নং আয়াত হচ্ছে-
    يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاءُ مِن مَّحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَّاسِيَاتٍ …

    “তারা তাঁর (সুলাইমান আ. এর) ইচ্ছানুযায়ী মেহরাব, প্রতিকৃতি বা ভাস্কর্য , হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত…।”

    কতিপয় জ্ঞানপ্রতিবন্ধি এ আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ভাস্কর্য হলো মানুষসহ কোন প্রাণী বা কোনো কিছুর প্রতিকৃতি যাকে মানুষ রাখে সম্মান দেখাতে বা সৌন্দর্যবর্ধন করতে, যার আরাধনা বা উপাসনা করা হয় না।

    অথচ পবিত্র কোরআনে সূরা আল আম্বিয়া ৫২ নম্বর আয়াতে তামাসিলা বলতে এমন কিছু কে বোঝানো হয়েছে মানুষ যার পূজা করত। এরশাদ হয়েছে-
    إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا هَٰذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ

    “যখন তিনি তাঁর পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বললেন, এই মূর্তিগুলো কী? যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছো।”
    উক্ত আয়াতে তামাসিলা শব্দটি মূর্তির অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

    একাধিক হাদীসেও তামাসিলা শব্দটি মূর্তি বা প্রতিমা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন-
    عَنْ أَبِي الْهَيَّاجِ الْأَسَدِيِّ ، قَالَ : قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ : أَلَا أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ أَنْ لَا تَدَعَ تِمْثَالًا إِلَّا طَمَسْتَهُ ، وَلَا قَبْرًا مُشْرِفًا إِلَّا سَوَّيْتَهُ‏.‏

    আবুল হাইয়ায আল-আসাদী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদা হযরত আলী রা. আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কাজে প্রেরণ করবো যে কাজে আমাকে রাসুলুল্লাহ সা. পাঠিয়েছিলেন? তা হলো, কোন মূর্তি দেখলে চূর্ণ-বির্চূন না করা ব্যতীত এবং কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমতল না করে নিভৃত হবে না। -মুসলিম শরীফ-৯৬৯

    ابْن عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبُوْ طَلْحَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ صَاحِبُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَلَا صُوْرَةٌ يُرِيْدُ التَّمَاثِيْلَ الَّتِيْ فِيْهَا الْأَرْوَاحُ

    ইব্‌নু আব্বাস রা. বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ সা. -এর সঙ্গে বদ‌র যুদ্ধে যোগদানকারী সাহাবী আবূ ত্বল্‌হা রা. আমাকে জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ সা. বলেছেন, যে ঘরে কুকুর কিংবা ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশেতা প্রবেশ করেন না। ইব্‌নু আব্বাসের মতে ছবির অর্থ তামাসিলা বা প্রাণীর ছবি। বুখারী শরীফ (আ.প্র. ৩৭০৫, ই.ফা. ৩৭০৯)
    চলবে

     

    সূত্র,,,, মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজি (হাফিজাহুল্লাহ)

  • বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়, ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে= আল্লামা মামুনুল হক

    বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়, ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে= আল্লামা মামুনুল হক

    ইসলামি ডেস্কঃ

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, আইনি, নৈতিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সামর্থ্য হলে সব ভাস্কর্যই এই জনপদ থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তাদের অবস্থান ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়।

    আজ রোববার দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন মরহুম মুসলিম নেতা হিসেবে পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা করি এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কখনো কোনোভাবেই এমন একজন মরহুম জাতীয় নেতার বিরুদ্ধাচরণ করি না এবং করাকে সমীচীনও মনে করি না।’

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য স্থাপনের চেষ্টা করা হলে সামর্থ্যের মধ্যে এর বিরুদ্ধে তিনি বলেই যাবেন। তবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে জড়াবেন না। এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না যেটা হঠকারী হয় বা জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে।

    এক প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া বা এ ধরনের কোনো বক্তব্য দিইনি। আমি বলেছি, আদর্শিক জায়গা থেকে কোনো ভাস্কর্য রাখা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘যখন থেকে ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছি, তখন থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, ভাস্কর্য যাঁরই হোক, জিয়াউর রহমানের হোক অথবা অন্য যাঁরই হোক, আমি ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে। সব ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছি।

    আমাদের আইনগতভাবে, নৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সামর্থ্য থাকলে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যসহ সব ভাস্কর্যই আমরা মুসলমানদের জনপদ থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ নেব।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, কোরআন–সুন্নাহর আলোকে পূর্বসূরিদের অনুসৃত পথে স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লক্ষ অর্জনের চেষ্টা চালানোই তাঁর ব্রত। কোনো ষড়যন্ত্র অথবা গোপন আঁতাতের মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র কিংবা সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি তাঁদের নেই।

    অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জোটবদ্ধ রাজনীতিতে ভূমিকা রাখলেও বর্তমানে তাঁদের সংগঠন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনো রাজনৈতিক জোটে যুক্ত নন। একটি মহল ষড়যন্ত্র মূলকভাবে তাঁকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।

    ধর্মভিত্তিক দলটির নেতা বলেন, কিছুদিন ধরে ঢাকার দোলাইর পাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ধর্মীয় অঙ্গন। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ কিংবা প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ অনৈসলামিক সংস্কৃতি হওয়ায় আলেমসমাজ এর প্রতিবাদ করছেন।

    সেই সূত্রে তিনিও ভাস্কর্য, তথা মূর্তি নির্মাণের বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কিন্তু সুকৌশলে একটি মহল ভাস্কর্য নির্মাণের এই বিরোধিতাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছে।

    মামুনুল হক বলেন, সারা পৃথিবীতে ধর্মীয় যতগুলো স্কুল অব থট রয়েছে, ভাস্কর্যের পক্ষে কোনো কথা বলার অবকাশ নেই। এ জন্য সবাই ভাস্কর্য-মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলছে এবং বলবে। সেই জায়গা থেকে তিনিও বলছেন। এখানে অন্য সবাইকে উপেক্ষা করে শুধু তাঁকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সাব্যস্ত করে এবং কথার বিকৃতি ঘটিয়ে, মূল বক্তব্যকে পাশ কাটিয়ে সরকারদলীয় অঙ্গসংগঠনগুলোকে তাঁর বিরুদ্ধে ময়দানে নামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

    কারা ষড়যন্ত্রকারী, এমন প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘যারা এ দেশে ইসলামকে এবং ইসলামি শক্তিগুলোকে দুর্বল করতে চায়, তারা প্রধানত এর পেছনে রয়েছে। আর তাদের সঙ্গে আলেমসমাজ থেকে বিচ্যুত কিছু ব্যক্তির জড়িত থাকার আলামত রয়েছে।

    সূত্র,   প্রথম আলো

  • আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফয়জুল করিম ও মামুনুল হককে গ্রেফতার করতে হবে : দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

    আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফয়জুল করিম ও মামুনুল হককে গ্রেফতার করতে হবে : দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

    Mohammad Rakib, Bishesh Protinide

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে এই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

    শনিবার ( ২৮ শে নভেম্বর ) বিকাল ৪টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে মহানবীর (সা.) অবমাননা ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপের হুমকি দেয়ায় উক্ত ব‍্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

    এই প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন।

    সমাবেশের আগে, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে শাহবাগ চত্বর মোড়ে আসেন তারা। এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয় মঞ্চের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও নায়ায়ণগঞ্জ শাখার কিছু নেতাকর্মী।

    সমাবেশে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশের যে সাম্প্রদায়িক শক্তি রয়েছে তাদের রুখে দিতেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। মাওলানা মামুনুল হক মহানবীকে (স.) অবমামনা করেছে। নবীজি কীভাবে ঠোঁট নাড়াতেন তা দেখিয়েছে। কিন্তু কোনো মুসলমান তার বিরুদ্ধে মাঠে নামেনি।

    তিনি বলেন, ফয়জুল করিমের বাবা ছিলেন রাজাকার। সেই অঞ্চলের মা-বোনেরা তার মাদ্রাসায় আশ্র‍য় নিতে চেয়েছিল। তার বাবা তাদের গণিমতের মাল হিসেবে পাকিস্তানি রাজাকার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল। তাদের রক্তে এখন পাকিস্তানের বীজ।

    আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আমরা তাদের যেখানে পাব, সেখানেই গণধোলাই দিয়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেব।

  • বায়তুল মোকাররম থেকে আটককৃতদেরকে মুক্তি দিতে হবে=হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

    বায়তুল মোকাররম থেকে আটককৃতদেরকে মুক্তি দিতে হবে=হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

    হেফাজতের প্রতিবেদক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্বীনি মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত তাওহীদি জনতার মিছিলে লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
    শুক্রবার ২৭ নভেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

    বিবৃতিতে হেফাজতের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত তাওহিদী জনতা মসজিদের নগরী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ এ প্রতিবাদকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ইসলামী নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিভিন্ন মাহফিল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আজ বাদ জুমা তাওহিদী জনতা বায়তুল মোকাররম উত্তরগেট থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। এই মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে নির্বিচার লাঠিচার্জ সহ প্রায় ত্রিশ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সবাই সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনতা। আজ রাতের মধ্যে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে।
    সেই সঙ্গে ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ সহ দ্বীনি মাহফিলের অনুমতি দিতে হবে। ইসলামী নেতৃবৃন্দের নামে কটূক্তি ও বিষোদগার বন্ধ করতে হবে।

     

  • ঢাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ,  বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    ঢাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    ঢাকার বায়তুল মোকাররম গেটে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রধান সড়ক টি.এ রোড বিক্ষোভে উত্তাল ছিল। সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।

    বিক্ষোভ চলাকালীন সময় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যানার ও ফেস্টুনে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলে।

    এসময় ব্রাম্মনবাড়িয়া থানা ব্রিজের সামনে এক প্রতিবাদী সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। তানাহলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।

  • মামুনুল হক আপনার ভয় নাই পাশে আছি আমরা সবাই= আল্লামা হাসান জামিল

    মামুনুল হক আপনার ভয় নাই পাশে আছি আমরা সবাই= আল্লামা হাসান জামিল

    UkhiyaVoice24.Com

     

    আল্লামা মামুনুল হক এগিয়ে চল আল্লাহ আছেন তোমার সাথে।  আল্লামা মামুনুল হক এগিয়ে চল আমরা আছি তোমার সাথে।

     

    প্রিয় বন্ধু, প্রিয় রাহবার! আপনি আমাদের অহঙ্কার। চামচিকার ঔদ্ধত্য দেখে আপনি হতবিহ্বল-হতোদ্যম হবেন না। আপনি আমাদের মুখপাত্র। আপনি দমে গেলে ওরা জিতে যাবে। এ লড়াই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে নয়, এ লড়াই হক-বাতিলের। এ লড়াইয়ে আপনি একা নন, গোটা দেশের তাওহীদি ও দেশপ্রেমিক জনগণ আপনার সহযোদ্ধা।

    এ লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটা ঈমানী লড়াই। আমাদের প্রতিপক্ষ কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তি।
    ওরা মূলত আপনাকে রুদ্ধ করতে চায় না। ওদের টার্গেট ইসলাম।
    হক-বাতিলের চলছে লড়াই চলবে…….!!

    প্রিয় ভাই, আমরা জানি আপনি দমে যাওয়ার পাত্র নন, তারপরও দোয়া-
    الله يعصمك من الناس
    আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুন; বিচলিত হবেন না-ان لله معنا, আল্লাহ যাদের সঙ্গী, তাদের দমিয়ে রাখার সাধ্য কার?!

    শায়েখ ওমর মুখতার রহ..শত্রুর বোমারুবিমান সম্পর্কে কি বলেছিলেন মনে আছে তো? “বিমানগুলো যদি আরশের নিচে দিয়েই চলে তাহলে ভয় পাওয়ার কী দরকার!” সত্যিই তো যাদের রব আরশের মালিক তাদের আবার ভয় কীসের? নবী ﷺকে দেওয়া সান্ত্বনাই আমাদের সান্ত্বনা :
    فان تولوا فقل حسبي الله. لااله الاهو. عليه توكلت وهو رب العرش العظيم
    অর্থ : “তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করলে আপনি বলুন, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। তাঁকে ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তাঁর উপর ভরসা করছি, তিনিই মহান আরশের মালিক।”

    আল্লাহর দীনের জন্য আজ আপনি হুমকির মুখে, আল্লাহই আপনাকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।

    আপনার ভয় নাই, পাশে আছি আমরা সবাই।

  • আলেমদের নামে বিষোদ্গার এবং ভাস্কর্যের নামে মানবমূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন= আল্লামা কাসেমী

    আলেমদের নামে বিষোদ্গার এবং ভাস্কর্যের নামে মানবমূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন= আল্লামা কাসেমী

    আল্লামা মামুনুল হক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণবিরোধী ঈমানী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ কিছু কু-চক্রী মহল অবিরতভাবে আলেম-উলামার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এমনকি বরেণ্য শাইখুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক (রাহ.) ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রাহ.) সম্পর্কেও চরম আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নিয়ে অবাস্তব ও ভিত্তিহীন প্রশ্ন তুলে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা চলছে। এই অপতৎপরতা সরকারকে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তৎসঙ্গে ইসলামবিরোধী প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।

    ২৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় ঢাকাস্থ শীর্ষ আলেমদের এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন।

    সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা শরীফুল্লাহ, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা মুরশিদুল আলম ও মাওলানা রুহুল আমীন’সহ ঢাকার নেতৃস্থানীয় বহু উলামায়ে কেরাম।
    সভায় উলামায়ে কেরাম বলেন,
    মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানাতে দেওয়া হবে না। তারা বলেন, মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে কূটকৌশলের পার্থক্য তৈরি করে প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

    সভায় আমীরে হেফাজত আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ও হেফাজতের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ উলামায়ে কেরামের মাহফিলে বাধা দানের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

  • পরপারে চলে গেলেন হেফাজতের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমী

    পরপারে চলে গেলেন হেফাজতের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমী

    • মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বাংলাদেশের অন‍্যতম অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব, ফেনীর লালপোল সোলতানিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস, গুণকবাবুপুর দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি রহিম উল্লাহ কাসেমী মৃত‍‍্যুবরণ করেছেন। গতকাল বুধবার (২৫ শে নভেম্বর ) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ কথা নিশ্চিত করেন তার ছেলে মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

    মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বৃহস্পতিবার (২৬ শে নভেম্বর ) দুপুর ২টা ৩০মিনিটে তার প্রতিষ্ঠিত গুনকবাবুপুর দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, লালপোল সোলতানিয়ার মুহতামিম মাওলানা ক্বারি মুহাম্মদ কাশেম গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।

    উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার (২৪ শে নভেম্বর ) মুফতি রহিম উল্লাহ কাসেমী নোয়াখালীর হাতিয়ায় মাহফিলের সফরকালে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হওয়ার পর তাকে প্রথমে মাইজদীর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়, পরে সেখান থেকে বনশ্রীতে ইয়ামাগাতা ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাকে আইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। পরবর্তীতে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকা ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।