Category: সারাদেশ

  • বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়, ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে= আল্লামা মামুনুল হক

    বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়, ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে= আল্লামা মামুনুল হক

    ইসলামি ডেস্কঃ

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, আইনি, নৈতিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সামর্থ্য হলে সব ভাস্কর্যই এই জনপদ থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তাদের অবস্থান ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়।

    আজ রোববার দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন মরহুম মুসলিম নেতা হিসেবে পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা করি এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কখনো কোনোভাবেই এমন একজন মরহুম জাতীয় নেতার বিরুদ্ধাচরণ করি না এবং করাকে সমীচীনও মনে করি না।’

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য স্থাপনের চেষ্টা করা হলে সামর্থ্যের মধ্যে এর বিরুদ্ধে তিনি বলেই যাবেন। তবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে জড়াবেন না। এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না যেটা হঠকারী হয় বা জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে।

    এক প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া বা এ ধরনের কোনো বক্তব্য দিইনি। আমি বলেছি, আদর্শিক জায়গা থেকে কোনো ভাস্কর্য রাখা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘যখন থেকে ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছি, তখন থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, ভাস্কর্য যাঁরই হোক, জিয়াউর রহমানের হোক অথবা অন্য যাঁরই হোক, আমি ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে। সব ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছি।

    আমাদের আইনগতভাবে, নৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সামর্থ্য থাকলে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যসহ সব ভাস্কর্যই আমরা মুসলমানদের জনপদ থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ নেব।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, কোরআন–সুন্নাহর আলোকে পূর্বসূরিদের অনুসৃত পথে স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লক্ষ অর্জনের চেষ্টা চালানোই তাঁর ব্রত। কোনো ষড়যন্ত্র অথবা গোপন আঁতাতের মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র কিংবা সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি তাঁদের নেই।

    অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জোটবদ্ধ রাজনীতিতে ভূমিকা রাখলেও বর্তমানে তাঁদের সংগঠন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনো রাজনৈতিক জোটে যুক্ত নন। একটি মহল ষড়যন্ত্র মূলকভাবে তাঁকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।

    ধর্মভিত্তিক দলটির নেতা বলেন, কিছুদিন ধরে ঢাকার দোলাইর পাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ধর্মীয় অঙ্গন। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ কিংবা প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ অনৈসলামিক সংস্কৃতি হওয়ায় আলেমসমাজ এর প্রতিবাদ করছেন।

    সেই সূত্রে তিনিও ভাস্কর্য, তথা মূর্তি নির্মাণের বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কিন্তু সুকৌশলে একটি মহল ভাস্কর্য নির্মাণের এই বিরোধিতাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছে।

    মামুনুল হক বলেন, সারা পৃথিবীতে ধর্মীয় যতগুলো স্কুল অব থট রয়েছে, ভাস্কর্যের পক্ষে কোনো কথা বলার অবকাশ নেই। এ জন্য সবাই ভাস্কর্য-মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলছে এবং বলবে। সেই জায়গা থেকে তিনিও বলছেন। এখানে অন্য সবাইকে উপেক্ষা করে শুধু তাঁকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সাব্যস্ত করে এবং কথার বিকৃতি ঘটিয়ে, মূল বক্তব্যকে পাশ কাটিয়ে সরকারদলীয় অঙ্গসংগঠনগুলোকে তাঁর বিরুদ্ধে ময়দানে নামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

    কারা ষড়যন্ত্রকারী, এমন প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘যারা এ দেশে ইসলামকে এবং ইসলামি শক্তিগুলোকে দুর্বল করতে চায়, তারা প্রধানত এর পেছনে রয়েছে। আর তাদের সঙ্গে আলেমসমাজ থেকে বিচ্যুত কিছু ব্যক্তির জড়িত থাকার আলামত রয়েছে।

    সূত্র,   প্রথম আলো

  • আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফয়জুল করিম ও মামুনুল হককে গ্রেফতার করতে হবে : দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

    আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফয়জুল করিম ও মামুনুল হককে গ্রেফতার করতে হবে : দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

    Mohammad Rakib, Bishesh Protinide

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে এই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

    শনিবার ( ২৮ শে নভেম্বর ) বিকাল ৪টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে মহানবীর (সা.) অবমাননা ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপের হুমকি দেয়ায় উক্ত ব‍্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

    এই প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন।

    সমাবেশের আগে, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে শাহবাগ চত্বর মোড়ে আসেন তারা। এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয় মঞ্চের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও নায়ায়ণগঞ্জ শাখার কিছু নেতাকর্মী।

    সমাবেশে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশের যে সাম্প্রদায়িক শক্তি রয়েছে তাদের রুখে দিতেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। মাওলানা মামুনুল হক মহানবীকে (স.) অবমামনা করেছে। নবীজি কীভাবে ঠোঁট নাড়াতেন তা দেখিয়েছে। কিন্তু কোনো মুসলমান তার বিরুদ্ধে মাঠে নামেনি।

    তিনি বলেন, ফয়জুল করিমের বাবা ছিলেন রাজাকার। সেই অঞ্চলের মা-বোনেরা তার মাদ্রাসায় আশ্র‍য় নিতে চেয়েছিল। তার বাবা তাদের গণিমতের মাল হিসেবে পাকিস্তানি রাজাকার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল। তাদের রক্তে এখন পাকিস্তানের বীজ।

    আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আমরা তাদের যেখানে পাব, সেখানেই গণধোলাই দিয়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেব।

  • বায়তুল মোকাররম থেকে আটককৃতদেরকে মুক্তি দিতে হবে=হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

    বায়তুল মোকাররম থেকে আটককৃতদেরকে মুক্তি দিতে হবে=হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

    হেফাজতের প্রতিবেদক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্বীনি মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত তাওহীদি জনতার মিছিলে লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
    শুক্রবার ২৭ নভেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

    বিবৃতিতে হেফাজতের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত তাওহিদী জনতা মসজিদের নগরী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ এ প্রতিবাদকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ইসলামী নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিভিন্ন মাহফিল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আজ বাদ জুমা তাওহিদী জনতা বায়তুল মোকাররম উত্তরগেট থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। এই মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে নির্বিচার লাঠিচার্জ সহ প্রায় ত্রিশ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সবাই সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনতা। আজ রাতের মধ্যে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে।
    সেই সঙ্গে ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ সহ দ্বীনি মাহফিলের অনুমতি দিতে হবে। ইসলামী নেতৃবৃন্দের নামে কটূক্তি ও বিষোদগার বন্ধ করতে হবে।

     

  • ঢাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ,  বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    ঢাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    ঢাকার বায়তুল মোকাররম গেটে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রধান সড়ক টি.এ রোড বিক্ষোভে উত্তাল ছিল। সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।

    বিক্ষোভ চলাকালীন সময় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যানার ও ফেস্টুনে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলে।

    এসময় ব্রাম্মনবাড়িয়া থানা ব্রিজের সামনে এক প্রতিবাদী সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। তানাহলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।

  • মামুনুল হক আপনার ভয় নাই পাশে আছি আমরা সবাই= আল্লামা হাসান জামিল

    মামুনুল হক আপনার ভয় নাই পাশে আছি আমরা সবাই= আল্লামা হাসান জামিল

    UkhiyaVoice24.Com

     

    আল্লামা মামুনুল হক এগিয়ে চল আল্লাহ আছেন তোমার সাথে।  আল্লামা মামুনুল হক এগিয়ে চল আমরা আছি তোমার সাথে।

     

    প্রিয় বন্ধু, প্রিয় রাহবার! আপনি আমাদের অহঙ্কার। চামচিকার ঔদ্ধত্য দেখে আপনি হতবিহ্বল-হতোদ্যম হবেন না। আপনি আমাদের মুখপাত্র। আপনি দমে গেলে ওরা জিতে যাবে। এ লড়াই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে নয়, এ লড়াই হক-বাতিলের। এ লড়াইয়ে আপনি একা নন, গোটা দেশের তাওহীদি ও দেশপ্রেমিক জনগণ আপনার সহযোদ্ধা।

    এ লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটা ঈমানী লড়াই। আমাদের প্রতিপক্ষ কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তি।
    ওরা মূলত আপনাকে রুদ্ধ করতে চায় না। ওদের টার্গেট ইসলাম।
    হক-বাতিলের চলছে লড়াই চলবে…….!!

    প্রিয় ভাই, আমরা জানি আপনি দমে যাওয়ার পাত্র নন, তারপরও দোয়া-
    الله يعصمك من الناس
    আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করুন; বিচলিত হবেন না-ان لله معنا, আল্লাহ যাদের সঙ্গী, তাদের দমিয়ে রাখার সাধ্য কার?!

    শায়েখ ওমর মুখতার রহ..শত্রুর বোমারুবিমান সম্পর্কে কি বলেছিলেন মনে আছে তো? “বিমানগুলো যদি আরশের নিচে দিয়েই চলে তাহলে ভয় পাওয়ার কী দরকার!” সত্যিই তো যাদের রব আরশের মালিক তাদের আবার ভয় কীসের? নবী ﷺকে দেওয়া সান্ত্বনাই আমাদের সান্ত্বনা :
    فان تولوا فقل حسبي الله. لااله الاهو. عليه توكلت وهو رب العرش العظيم
    অর্থ : “তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করলে আপনি বলুন, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। তাঁকে ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তাঁর উপর ভরসা করছি, তিনিই মহান আরশের মালিক।”

    আল্লাহর দীনের জন্য আজ আপনি হুমকির মুখে, আল্লাহই আপনাকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।

    আপনার ভয় নাই, পাশে আছি আমরা সবাই।

  • আলেমদের নামে বিষোদ্গার এবং ভাস্কর্যের নামে মানবমূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন= আল্লামা কাসেমী

    আলেমদের নামে বিষোদ্গার এবং ভাস্কর্যের নামে মানবমূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন= আল্লামা কাসেমী

    আল্লামা মামুনুল হক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণবিরোধী ঈমানী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ কিছু কু-চক্রী মহল অবিরতভাবে আলেম-উলামার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এমনকি বরেণ্য শাইখুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক (রাহ.) ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রাহ.) সম্পর্কেও চরম আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নিয়ে অবাস্তব ও ভিত্তিহীন প্রশ্ন তুলে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা চলছে। এই অপতৎপরতা সরকারকে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তৎসঙ্গে ইসলামবিরোধী প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।

    ২৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় ঢাকাস্থ শীর্ষ আলেমদের এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন।

    সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা শরীফুল্লাহ, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা মুরশিদুল আলম ও মাওলানা রুহুল আমীন’সহ ঢাকার নেতৃস্থানীয় বহু উলামায়ে কেরাম।
    সভায় উলামায়ে কেরাম বলেন,
    মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানাতে দেওয়া হবে না। তারা বলেন, মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে কূটকৌশলের পার্থক্য তৈরি করে প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

    সভায় আমীরে হেফাজত আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ও হেফাজতের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ উলামায়ে কেরামের মাহফিলে বাধা দানের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

  • পরপারে চলে গেলেন হেফাজতের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমী

    পরপারে চলে গেলেন হেফাজতের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমী

    • মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বাংলাদেশের অন‍্যতম অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সহকারী মহাসচিব, ফেনীর লালপোল সোলতানিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস, গুণকবাবুপুর দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি রহিম উল্লাহ কাসেমী মৃত‍‍্যুবরণ করেছেন। গতকাল বুধবার (২৫ শে নভেম্বর ) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ কথা নিশ্চিত করেন তার ছেলে মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

    মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বৃহস্পতিবার (২৬ শে নভেম্বর ) দুপুর ২টা ৩০মিনিটে তার প্রতিষ্ঠিত গুনকবাবুপুর দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, লালপোল সোলতানিয়ার মুহতামিম মাওলানা ক্বারি মুহাম্মদ কাশেম গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।

    উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার (২৪ শে নভেম্বর ) মুফতি রহিম উল্লাহ কাসেমী নোয়াখালীর হাতিয়ায় মাহফিলের সফরকালে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হওয়ার পর তাকে প্রথমে মাইজদীর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়, পরে সেখান থেকে বনশ্রীতে ইয়ামাগাতা ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাকে আইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। পরবর্তীতে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকা ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

  • ফরিদুল হক খানের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ

    ফরিদুল হক খানের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ

    • মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    নতুন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন জামালপুর-২ আসনের সাংসদ মো. ফরিদুল হক খান দুলাল। আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফরিদুল হক দুলালকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

    এদিকে শপথ গ্রহণের পরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক বলেন, প্রতিমন্ত্রী হয়ে আমি আগের দায়িত্বেই থাকবো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশবাসীর কল্যাণে আগের মতোই নিজের কাজ চালিয়ে যাব।

    কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। তবে করোনা মহামারির কারণে বঙ্গভবনের দরবার হলে ছোট আকারে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন‍্যান‍্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    গতকাল সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল থেকেই শোনা যাচ্ছিলো খালি থাকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নতুন কাউকে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান মন্ত্রিসভার কয়েকজন মন্ত্রীর দপ্তর বদল করা হচ্ছে।

    করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ জুন মৃত্যু বরণ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ। এরপর গত ৫ মাস ধরে পদটি শূন্য ছিল।

  • ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন, মাহফিলে বাধা, একজন মাশরাফি বিন মর্তুজার আলাপন ও আমাদের পরবর্তি ভাবনা= আল্লামা মামুনুল হক

    ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন, মাহফিলে বাধা, একজন মাশরাফি বিন মর্তুজার আলাপন ও আমাদের পরবর্তি ভাবনা= আল্লামা মামুনুল হক

    আল্লামা মামুনুল হক সাহেবের লিখিত  বক্তব্য পোষ্ট।

    চলমান ঘটনাপ্রবাহের গল্প শুরু করি একটু পেছন থেকে । সপ্তাহ তিনেক আগের কথা । সম্ভবত ৩০শে অক্টোবর জুমার দিন । ধোলাইপাড়ের ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বাদ জুমা আমার মসজিদেই আমার সাথে সাক্ষাৎ করলেন । তারা সবাই স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবান । আগে থেকেই যোগাযোগ করে সময় নিয়েছিল্ন তারা । পরিস্থিতির আপডেট জানিয়ে পরবর্তি করণীয় বিষয়ে পরামর্শ করাই ছিল সাক্ষাতের উদ্দেশ্য ।আলাপচারিতায় তারা জানালেন, পদ্মাসেতু মহাসড়কের গোড়ায়, যেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে, সেখানে লাগোয়া দুদিকে রয়েছে দুটি মসজিদ । বিষয়টি তদন্তকারী সরকারী কর্মকর্তাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে । তাই সরকারের দায়িত্বশীল মহল চাইছে না, এখানে ভাস্কর্য নির্মাণ করে তৌহিদী জনতার রোষাণলে পড়তে । তবে একটি মহল তো আছেই যারা সব কিছু গায়ের জোরে বাস্তবায়ন করতে চায় । তবে বিষয়টি যেহেতু সরকারের একটি মেগা প্রজেক্ট, তাই খুব সহজেই এর সমাধান হয়ে যাবে, এমনটি তারাও আশা করতে পারছেন না । এত বড় একটি আন্দোলন, অথচ এর নেতৃত্ব স্থানীয় পর্যায়ের ইমাম-আলেমগণ দিচ্ছেন । আর তাই তারা পড়েছেন প্রচন্ড চাপের মুখে । প্রশাসন ও সরকারী এজেন্সিগুলোর উপর্যপুরি জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অবস্থা নাকাল । এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা নিয়ে তারা শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখের সাথে সলাপরামর্শ করছেন । সেই সুবাদে এসেছেন আমার সাথেও কথা বলতে ।
    আমি তাদের কাছে জানতে চাইলাম, কার কার কাছে গিয়েছেন এবং তারা কী বলেছেন ? তারা শোনালেন তাদের কারগুজারী । বিশেষভাবে বললেন দুজনের কথা । একজন মুহিউসসুন্নাহ হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান । আর অপরজন হলেন আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মসউদ ।

    ফরিদ মসউদ সাহেবের যে কথাগুলো তারা উদ্ধৃত করলেন, তা আমার কাছে ভালো লেগেছে । তিনি নিজে কী করতে পারবেন, এ বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন, “সরকারের উঁচু পর্যায়ে সম্ভব হলে আমি কথাগুলো পৌছাবো । এজন্য তিনি মাহমুদুল হাসান সাহেবের কথা বলেছেন যে তিনি যেহেতু কওমীর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছ্ন, তাই তিনি পারেন একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে । সেখানে আমিও থাকব এবং প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করব ।
    ফরিদ মসউদ সাহেব দ্বিতীয় যে কথাটি বলেছেন, সেটি হল-শুধু আলোচনা করে সমাধান হবে না । আলোচনা ফলপ্রসু হতে হলে আগে মাঠ তৈরি করতে হবে । মাঠ গরম না হলে টেবিলের আলোচনায় কাজ হবে না । আর মাঠে জনমত তৈরি করতে হলে দুজন ব্যক্তির ভূমিকার কথা তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন । ফয়জুল করিম সাহেব এবং মামুনুল হক ।
    ফরিদ মসউদ সাহেবের কথা তাদের কাছে যুক্তিপূর্ণ মনে হয়েছে বিধায় তারা আমার সাথে কথা বলতে এসেছেন । আমি তাদের দীর্ঘ কারগুজারী শুনলাম । তাদের মনোভাব বুঝলাম । আর তাদের প্রতি আমার সমর্থন ও যে কোনো সহযেগিতার প্রতুশ্রুতি দিলাম । সেমতে প্রাথমিক কথা এমনই সাব্যস্থ হলো যে, আমি এবং ফয়জুল করিম ভাই আমাদের দুজনকে রেখে একটা বড় রকমের মাঠ প্রোগ্রাম করা হবে । এমন একটা খসড়া পরিকল্পনার আলোচনা করে তারা আমার কাছ থেকে বিদায় নিলেন । এরপর ১৩ নভেম্বর বাদজুমা ধুপখোলা মাঠে বড় রকমের সমাবেশ হল ।

    দুই.
    ভাস্কর্যবিরোধী আমাদের কড়া বক্তব্যে একটি মহল বেশ ব্যজার । কিন্তু তারা একটি বিচ্ছিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের বেশি কিছু মনে হচ্ছে না । তারা একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টাও করছে । সেটি হল, ভাস্কর্য তথা মূর্তির বিরোধিতাকে বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা হিসাবে চিত্রিত করা । এরা চাচ্ছে সরকারকে ইসলামের মুখোমুখী দাড় করিয়ে দিতে ।এরা এই সংঘাতকে সারা দেশেও ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে ।

    তিন.
    হেফাজতে ইসলামের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়েও একটি মহল নাখোশ । তাই তারা চটেছে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে ।ভাস্কর্যের বিরোধিতা আর হেফাজতের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্টি উভয়বিধ কারণের প্রভাব পড়ছে আমাদের বিভিন্ন মাহফিলে । অতিউৎসাহী একটি মহল বাগড়া বাধাচ্ছে এতে । সর্বশেষ গতকাল রাতে নড়াইলের লোহাগাড়ার শামুখখোলা মাদরাসায় ছিল মাহফিল । কালনা ঘাটে ফেরি আটকে দিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় । মাহফিলটিকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ব্যপক সাড়া পড়েছিল । জনসমাগমও হয়েছিল প্রচুর । কিন্তু আমি যেতে না পারায় মানুষের মধ্যে জন্ম নিয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ । এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সরকারদলের মধ্যেও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।
    আমি যখন আজ সকালে ঢাকা ফিরছিলাম, আমাকে ফোনকল করে কথা বললেন স্থানীয় সংসদসদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা । তিনি অনাকাঙ্খীত এই ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করলেন । স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ যেন এই ঘটনার জন্য তাকে দায়ী মনে না করে, সে আহ্বান জানালেন । সেই সাথে সময়সুযোগ করে আপ্যায়নের দাওয়াতও দিলেন ।

    চার.
    আমি একটি কথা খুব পরিস্কার ভাষায় তুলে ধরছি যে, হাদীসের আলোকে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধুর মূর্তি/ভস্কর্য তৈরির কারণে তাঁর কবরে আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব হতে পারে । লক্ষ করছি, যারা প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে, তাদের মনে কথাটি দাগ কাটছে । তাদের মন ব্যথাতুর হচ্ছে । তারা সত্য বুঝতে পারছে । এটা মূর্তিপ্রেমীদের কাছে মোটেই ভালো লাগার কথা না ।

    পাঁচ.
    আমরা কখনই হটকারিতার পথে পা বাড়াবো না ইনশাআল্লাহ !! তবে সরকার যদি ভাস্কর্য নামে মূর্তিসংস্কৃতি এভাবেই ছড়িয়ে দিতে থাকে, ক্ষমতার জোরে যদি আমাদের ইসলামী ঐতিহ্যকে এভাবেই ধ্বংস করতে থাকে, তাহলে বহু কাঠখড়ি পুড়িয়ে ইসলামী মহলের সাথে যতটুকু দূরত্ব কমিয়েছে, ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকারের মনোভাব অনড় থাকলে সেই দূরত্ব বাড়বে আবার যোজন যোজন !

  • বিশ্ব পুরুষ দিবস কবে? অনেকের কাছেই নেই এই প্রশ্নের উত্তর

    বিশ্ব পুরুষ দিবস কবে? অনেকের কাছেই নেই এই প্রশ্নের উত্তর

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বিশ্ব নারী দিবস কবে সেটা অনেকেরই মুখস্ত। অনেকটা বড়সর আয়োজন করেই দিবসটি পালিত হয়। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয় এটি।

    তবে পুরুষ দিবসটি কবে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেরই অজানা। কারণ নারী দিবস যতটা আয়োজন করে আসে ততটা আয়োজন নিয়ে এই দিবসটি আসে না। এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি খানিকটা নীরবেই আসে।

    আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। বিশ্বব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান লক্ষ্য নিয়েই প্রতিবছর পালিত হয় এই দিবসটি।

    তবে সর্বপ্রথম পুরুষ দিবস পালনের জন্য ঠিক করা হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করে রেখেছিল রাশিয়া। এ কারণে পরে ১৯ নভেম্বর কে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    সময়টা ১৯২২ সাল। এর অল্প কয়েক বছর আগেই শেষ হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেই সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ । সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

    এই দিবসটি পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে বেশ কতগুলো বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হয়। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলোঃ

    ১. বালক, কিশোর ও পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি।

    ২. নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা।

    ৩. নারী-পুরুষ সমতার প্রচার,

    ৪. পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা।

    ৫. পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা।

    ৬. পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা।

    ৭. সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষদের অবদানকে তুলে ধরাও এই দিবসের অন‍্যতম একটি লক্ষ্য।

    বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে পালিত হয় এই দিবসটি। এই দেশগুলোর মধ্যে – যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন অন‍্যতম।

    নারী-পুরুষ হলো সমাজের দুটি স্তম্ভ, যার ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে থাকে একটা সুস্থ-স্বাভাবিক সমাজ। তবে, নারী দিবসে যতটা উন্মাদনা দেখা যায়, দেখা যায় যতটা ব‍্যাপক আয়োজন। পুরুষ দিবস তা সেরকম কিছুই দেখা যায় না। তবে নারী দিবসের সাথে পুরুষ দিবসটিকেও সমানভাবে উদযাপন করা উচিৎ।