Category: সারাদেশ

  • আবারও বাড়ানো হচ্ছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

    আবারও বাড়ানো হচ্ছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    আবারও বাড়ানো হচ্ছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। চলমান ছুটি আগামী ৩১ অক্টোবর পযর্ন্ত বহাল থাকলেও সেটা আবারও এক ধাপ বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে।

    দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে চলতি মাসের ২৭ তারিখ শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক হবার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। পূজা উপলক্ষ্যে ছুটি থাকার কারনে এই বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ায় অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (২৯ অক্টোবর)।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আগামীকাল বৈঠক শেষে একটি ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিং করবেন শিক্ষামন্ত্রী ভ.দিপু মনি। এমন তত্থ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন জানান, বর্তমানে যে ছুটি চলমান রয়েছে সেটা বাড়ানো হবে। এমন তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘’বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না। তাই চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হবে।‘’

    সচিব আকরাম আল হোসেন আরও বলেন, ‘’আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা দেয়া আছে। এর আগেই ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। যেহেতু ৩০ ও ৩১ অক্টোবর সরকারি ছুটি। তাই বৃহস্পতিবারেই এই বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।‘’

    চলমান ছুটি ৩১ অক্টোবর থেকে আরও কতদিন বর্ধিত করা হবে সে ব্যাপারে অবশ্য এখনও কিছুই জানাননি কর্মকর্তারা।

    মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়তে পারে। তবে ছুটি কত দিন বাড়তে পারে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে খুব শিগ্রই এ বিষয়ে জানানো হবে।

    উল্লিখিত, মহামারী কোভিড-১৯ এর কারনে গত মার্চ মাস থেকেই দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে দেশের বাকি সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার উপরেই প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • শুক্রবার বাদ জুমা দেশব্যাপী হেফাজতের বিক্ষোভের কর্মসূচি

    শুক্রবার বাদ জুমা দেশব্যাপী হেফাজতের বিক্ষোভের কর্মসূচি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ফরাসি পণ্য বর্জন করা
    সকল মুসলমানের
    ঈমানী দায়িত্ব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী

    ফ্রান্সে মহানবী (সা.)এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখা আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজত মহাসচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন,২০১৫ সালে ফ্রান্সের কুখ্যাত রম্য পত্রিকা শার্লি এবদো কর্তৃক বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মদ(সঃ)এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের পর মুসলমানদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি হয়েছিল তার রেশ কাটতে না কাটতেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আবারো মহানবী(সঃ)কে অবমাননায় বিশ্ব মুসলিম চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। গত ২১ অক্টোবর ফ্রান্সের দক্ষিনাঞ্চলীয় মন্টোপলিস ও ত্বলুস শহরের দুটি সরকারী ভবনে পুলিশী পাহারায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন করা হয়েছে।

    বর্তমানে ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের পর সরকারী ভবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর অবমাননাকর ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন একই সূত্রে গাঁথা। ফ্রান্সের এ ইসলাম বিদ্বেষ ও মহানবী (সা.)এর অবমাননায় বিশ্বের দুইশত কোটি মুসলমান ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। ফ্রান্সকে এহেন জঘন্য কর্মকান্ড বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম ও মহানবী (সা.)এর অবমাননার প্রতিবাদ করতে হবে। বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের হৃদয়ের ক্ষত মুছতে হলে ফ্রান্সকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে সারা দুনিয়ার মুসলমানরা রাজপথে নেমে আসবে।

    বর্তমান পরিস্থিতিতে ফরাসি পণ্য বর্জন করা মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন,প্রতিবাদের প্রথম ধাপ হিসেবে ফ্রান্সের সাথে বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন ও সবধরনের ফরাসি পণ্য বর্জন করতে হবে এবং ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে।
    বাংলাদেশে বর্তমানে ফরাসী ব্র‍্যান্ডের ৬টি পণ্য খুব জনপ্রিয়।তা হলো লাফার্জ সিমেন্ট, টোটাল গ্যাস সিলিন্ডার, বিক রেজর, কসমেটিকস সৌন্দর্যবর্ধক প্রতিষ্ঠান গার্নিয়ার,লরিয়েল ও মেডিসিন প্রোডাক্ট সানোফির পণ্য।
    এসব বর্জন করা এখন আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

    হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জীর সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও হেফাজতের শুরা সদস্য মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির,হাটহাজারী ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাফর আহমদ,হেফাজত হাটহাজারী পৌরসভা শাখার সভাপতি মাওলানা মীর ইদ্রিস,হেফাজত হাটহাজারী উপজেলা যুগ্ন সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ,মাওলানা হাফেজ আলী আকবর,মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ,মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী,মাওলানা মাহমুদ হোসাইন,মাওলানা শফিউল আলম,মাওলানা সায়েম উল্লাহ,মাওলানা কামরুল ইসলাম,মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ,মাওলানা ইকবাল প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ=আবু রায়হান কলরব

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ=আবু রায়হান কলরব

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    গতকাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন লরব শিল্পী আবু রায়হান

    দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের সরকার হয়ে এই বাঁধা দিতে পারেন না। অনতিবিলম্বে ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। আমরা আশা করব ফ্রান্সের সাথে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করে মুসলিম হিসেবে নিজেদেরকে প্রমাণ করবেন। এই দেশ এই মাটি মানুষের ভাষা উপলব্ধি করুন। আমরা আমাদের জীবনের চেয়েও অনেক বেশি ভালোবাসি আমাদের প্রাণের নবীজিকে। আপনারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে পরিচয় দিলে সেটা কাজে কর্মে প্রমাণ করা ঈমানের দাবী।

  • নবী প্রেমিকরা প্রমাণ করল আরব এবং বিশ্ব মিডিয়ায় আজকের গর্বের বাংলাদেশ

    নবী প্রেমিকরা প্রমাণ করল আরব এবং বিশ্ব মিডিয়ায় আজকের গর্বের বাংলাদেশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে আজ উত্তাল ছিলো রাজধানী ঢাকার রাজপথ এবং হেফাজত কেল্লা হাটহাজারী। রাজধানী ঢাকায় আজকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক পূর্বঘোষিত ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও করতে না পারলেও নবী প্রেমিক জনতার বিশাল জনসমুদ্রের দৃশ্য ঠিকই দেশ এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে আরব বিশ্বের সোস্যাল মিডিয়ায় নজর কেড়েছে আজকের ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি।

    আরব বিশ্বের বেশকিছু বড়বড় পেইজে বাংলাদেশে আজকের আন্দোলনের দৃশ্যগুলো শেয়ার হয়েছে। সেই পোস্টগুলোর কমেন্টে আরব মুসলিমরা বাংলাদেশকে বাহবা দিচ্ছে। সাদুবাদ জানাচ্ছে। অন্যান্য দেশকেও বাংলাদেশের মতো রাজপথে নামার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে অনেকেই। এতে করে মুসলিম বিশ্ব নবী প্রেমিক অন্য এক বাংলাদেশকে নতুন করে চিনতে সক্ষম হচ্ছে। এটা গর্বের বিষয়। বাংলাদেশী মুসলিমরা নবী প্রেমে উজ্জীবিত সেই বাস্তবতাটা তেরো সালের হেফাজতের আন্দোলনের পর আরব বিশ্ব নতুন করে জানতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকুক চিরকাল।

    পাশাপাশি নিভুনিভু হেফাজতও আজকে হাটহাজারীতে নব উদ্যমে যেন জেগে ওটেছে। হেফাজতের এই জেগে ওঠা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। আমরা প্রাণ প্রিয় হেফাজতকে নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখি। আমরা চাই হেফাজত রাসূলুল্লাহ ﷺ ইজ্জৎ রক্ষায় ফের পূর্বের ন্যায় জেগে ওঠে বিশ্বব্যাপী কঠিন বার্তা ছড়িয়ে দিক। জানতে পেরেছি হেফাজত আজকের হাটহাজারীর বিশাল বিক্ষোভ মিছিল থেকে আগামী জুমাবার গোটা দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। নবী প্রেমিক জনতা স্বতস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী।

    নবী প্রেম বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাও প্রিয় বাংলাদেশ।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও হবে

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও হবে

    ঘেরাও হবে, দূতাবাস ঘেরাও হবে।

    ফ্রান্সে প্রকাশ্যে বহুতল ভবনে রাসূল সা. এর ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী ২৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ওইদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। দূতাবাস অভিমূখে বিশাল গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন আন্দোলনের সংগ্রামী আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই।

    এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি, দুঃশাসন, নারী নির্যাতন-ধর্ষণ দেশকে চরম সঙ্কটে ঠিলে দিয়েছে। নারী নির্যাতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, সকল অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে ইসলামের অনুশাসনে ফিরে আসতে হবে। ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি সম্ভব নয়।

    গতকাল শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা ১০নং সেক্টর সি শেল কমিউনিটি সেন্টারে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম রহ. ইসলামিক রিচার্স সেন্টার বাস্তবায়ন কমিটি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা। বক্তব্য রাখেন মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাজি আবু সাঈদ, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসাইন, এ্যাড. শওকত হোসাইন প্রমূখ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ সীমাহানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে এর উৎসগুলো আগে বন্ধ করতে হবে। সেইসাথে শিক্ষার সকল স্থরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাড়ায় মহল্লায় ধর্ষণবিরোধী কমিটি গঠন করে ধর্ষণ বন্ধে ইসলামের বিধান তুলে ধরতে হবে।

    পীর সাহেব বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসন দায়সারা দু একটি অভিযান পরিচালনা করেই শেষ। প্রকৃত অর্থে এই খণ্ডকালীন অভিযান বাজারে কোনো প্রভাব ফেলার পরিবর্তে বাজারকে আরও উস্কে দিচ্ছে। ফলে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ একদিকে কর্মহীন, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বেশি হওয়া দিশেহারা। এ অবস্থায় খাদ্য বিভাগের আওতায় বাজারে ওএমএস চালু, টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য-পণ্য বিক্রি বাড়ানো এবং প্রশাসনের সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদারের দাবি জানান তিনি।

  • সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

    সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

    মোঃরাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

     

    নিজেদের নির্দিষ্ট ও যুক্তিযুক্ত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

    কোভিড-১৯ প‍্যান্ডেমিকের কারণে গত ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চলেনি কোনো কার্যক্রম। খুব শিগ্রই যে খুলবে তারও কোনো আলামত পাওয়া যাচ্ছে না মন্ত্রণালয় থেকে।

    দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের কোনো পড়ালেখাই ঠিকমত হয়নি। পড়ালেখা থেকে দূরে থাকার জন্য শিক্ষার্থীরাও অলস হয়ে পরেছে।

    এমতাবস্থায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের পরীক্ষা না নিয়েই অটোপ্রমোশন দেওয়া হবে।

    তবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মূল ক্ষোভ সেখানে না। তাদের ক্ষোভ এইচ এস সি পরিক্ষার্থীদের অটোপাশ নিয়ে। সরকার তাদের কে অটোপাশ দিলেও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কে অটোপাশ দেয়নি।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা। তারা ভবিষ্যতের দেশ গড়ার কারিগর। তাই তাদের কে অটোপাশ দেওয়া যাবে না। এছাড়াও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।

    কিন্তু পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা তা মানতে নারাজ। তাদের প্রশ্ন এইচ এস সি শিক্ষার্থীদের অটোপাশ দিতে পারলে আমাদের কেন না। তবে শিক্ষার্থীরা এমন প্রশ্ন করলেও তাদের মূল দাবি ২য়,৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্বের অটোপাশ এবং ৮ম পর্বের চূড়ান্ত ভাইভা নিয়ে, ১ম,৩য়,৫ম ও ৭ম পর্বের সিলেবাস কমিয়ে দ্রুত ক্লাশ শুরু করা।

    উপরক্ত এবং আরও নানান ধরনের দাবি নিয়ে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করছে।

  • বিশুদ্ধভাবে সালাম করলে কেও জঙ্গি হয় না= ডা. তুহিন মালিক

    বিশুদ্ধভাবে সালাম করলে কেও জঙ্গি হয় না= ডা. তুহিন মালিক

     

    শুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দেওয়া এবং কথার শেষে ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলা নাকি জঙ্গিবাদের লক্ষণ ! টিভি টকশোতে এসে এই ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম অবমাননাকর একটা বক্তব্য ঢাবির একজন শিক্ষক কিভাবে দিতে পারলেন! এই শিক্ষক ক্রিমিনোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান। অথচ এই বিভাগ থেকে পাশ করে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। আর শিক্ষাজীবনে তারা যদি তাদের এই ধরনের শিক্ষকের কাছ থেকে জঙ্গি সনাক্তকরণের অদ্ভুত পদ্ধতির শিক্ষা গ্রহন করে। তাহলে বাংলাদেশের ভাগ্যে জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা লাগতে বেশী দেরি হবে না!

    ‘আসসালামু আলাইকুম’ হচ্ছে আমাদের তাহইয়া। যেটা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। আর ‘আসসালামু আলাইকুম’ এভাবে বলাটাই হচ্ছে আমাদের অভিবাদন। এজন্য কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বললে কেউ জঙ্গি হয়ে যায় না।

    যদি তাই হতো। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া উনার প্রতিটি রাষ্ট্রীয় ভাষণে এভাবে বলতেন না যে- ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম’। আমাদের রাষ্ট্রপতি সংসদে দাড়িয়ে কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রত্যেকটি ভাষণে এভাবে বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম জানাতেন না। আমাদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দরা প্রায় সবাই বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই সালাম জানান। এটা শুধু যে আমাদের ধর্মীয় বিধান, তা নয়। বরং এটা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিরও একটি অংশ।

    তাছাড়া বিশ্ব নেতৃবৃন্দরা পর্যন্ত মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই অভিবাদন জানান। গতবছর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুসলিমদের প্রতি সম্প্রীতি জানিয়ে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই ভাষণ শুরু করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। আর এজন্যে বিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা কেউ কখনও জঙ্গি হয়ে যায়নি!

    যেখানে বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। যেখানে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া কিংবা ধর্মের অবমাননা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেখানে এধরনের অপরাধে ডিজিটাল ও তথ্য প্রযুক্তির একাধিক কঠিনতম আইনও আমাদের আছে। যদিও সেটা শুধুমাত্র ও একমাত্র সরকারের প্রতিপক্ষের বেলায়ই প্রযোজ্য। সেখানে কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বললে কেউ জঙ্গি হয়ে যাবে, এধরনের ধর্ম বিদ্বেষী কথা বলার ধৃষ্টতা কোথায় পায় এরা?

    লক্ষ্যনীয় যে, বাংলাদেশ-বিরোধীরা বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা দিতে উঠেপরে লেগেছে। সেখানে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলাকে জঙ্গি সনাক্তকরণের পদ্ধতি বানিয়ে ফেলাটা স্বয়ং বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই অবস্থানের প্রমান। সংবিধান স্বীকৃত নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থানের প্রমান। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ধর্ম অবমাননার প্রমান। ধর্মীয় ঘৃণার বহিঃপ্রকাশের প্রমান।

    জঙ্গি সনাক্তকরণের অদ্ভুত এহেন অবমাননাকর বক্তব্যের যদি কোন বিচার না হয়। তাহলে স্বয়ং সরকার নিজেই প্রমান করে দিবে যে, বিশুদ্ধভাবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলার কারনে আমাদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও জঙ্গি।

  • বরিশালে শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বরিশালে শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ

    গতকাল ১৮ অক্টোবর রবিবার বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বরিশালের আয়োজনে, শিশু একাডেমি বরিশাল এর কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র সন্তান শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে আবৃতি প্রতিযোগিতা, শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস, এম, অজিয়র রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা পঙ্কজ রায় চৌধুরী, জুম ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আহসান হাবিব, জেলা শিক্ষা অফিসার বরিশাল মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ শিশু একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী শিশুরা এবং তাদের অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

    পরে অতিথিরা শেখ রাসেলের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আলোচনা করেন।

    অনুষ্ঠানের শেষে জেলা প্রশাসক বরিশাল অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

  • ধর্ষণ-ব্যভিচার রোধে বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর নির্দেশনা শীর্ষক সেমিনার

    ধর্ষণ-ব্যভিচার রোধে বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর নির্দেশনা শীর্ষক সেমিনার

    আল্লামা মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজি

     

    ধর্ষণ-ব্যভিচার রোধে বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর নির্দেশনা শীর্ষক সেমিনার
    স্থান : জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স হল (২য় তলা)
    তারিখ : বৃহস্পতিবার ১৫ অক্টোবর ২০২০, সময় : বেলা ২:৩০ মিনিট

    আমন্ত্রিত মেহমান : মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মহাসচিব : তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ। মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, আমীর : ইসলামি কানুন বাস্তবায়ন কমিটি বাংলাদেশ।

    আলোচকবৃন্দ-
    মাওলানা আব্দুল মতিন, বিষয় : রাসূল মুহাম্মদ সা. এর যুগে ধর্ষণ ও ব্যভিচারের শাস্তি
    মুফতী মুজিবুর রহমান, বিষয় : ধর্ষণ-ব্যভিচার রোধে রাসুল মুহাম্মদ সা. এর ওয়াজ ও নসিহত
    মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, বিষয় : বিচারক ও বিচারকের জবাবদিহিতা
    মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, বিষয় : ধর্ষণ রোধে প্রচলিত আইন বনাম ইসলামী আইন
    মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন, বিষয় : ধর্ষণ রোধে সামাজিক সচেতনতা কতটা জরুরি?

    মুফতী রাফি বিন মনির, বিষয় : ধর্ষণ বৃদ্ধির কারণ কী এবং দায় কার?
    মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী, বিষয় : পর্দাহীনতা ও অশালীন পোশাক ধর্ষণের জন্য কেন দায়ী?
    মুফতী রিজওয়ান রফিকী, বিষয় : অশ্লীলতা ও অবাধ মেলামেশা ধর্ষণের জন্য কেন দায়ী?
    মুফতী রেজাউল করীম আবরার, বিষয় : ইসলামের দৃষ্টিতে সাক্ষ্য ও প্রচলিত সাক্ষ্য আইন
    মুফতী আল-আমীন সরাইলি, বিষয় : ফাঁসির বিধান ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
    মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, বিষয় : অপরাধ দমনে প্রচলিত আইন বনাম ইসলামী আইন
    ব্যবস্থাপনায় : রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন

  • ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল

    ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল

    এইচ এম আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

     

    সারাদেশে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন-ধর্ষণসহ নারীর প্রতি বর্বরতা এবং আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে আগামীকাল ৯ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগি সংগঠন সমূহ।

    আজ বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর ২০২০) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই শুক্রবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ সন্ত্রাসীদের ধর্ষণ, গুম, খুন ও চাঁদাবাজি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারী নির্যাতন চলছে।

    তিনি বলেন, ইসলাম নারীদের সমান অধিকার নয়, অগ্রাধিকার দিয়েছে। ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দিন দিন নারী নির্যাতন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষা বা নৈতিকতা শিক্ষা না থাকায় মানুষ ক্রমেই বেপরোয়া ও অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠছে।

    তিনি বলেন, এ সকল ঘটনা ইসলামের বিধান প্রতিষ্ঠার অনিবার্যতাকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলছে। তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসার আহ্বান জানান। সেইসাথে ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির বিধান প্রণয়নের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।