Category: সারাদেশ

  • শখের বেশে এবার চাঁদে জমি কিনলেন কুমিল্লার কবি সবুজ

    শখের বেশে এবার চাঁদে জমি কিনলেন কুমিল্লার কবি সবুজ

    নিউজ ডেস্কঃ

    এবার চাঁদের দেশে জমি কিনেছেন কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার কবি মু. সবুজ হোসেন। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ শনিবার তিনি এ জমি ক্রয় করেন।

    সবুজ জানান, মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে ৯৯.৯৯ ডলারের বিনিময়ে পাঁচ একর জমি কেনেন সবুজ।

    সবুজ কে জমি কেনার চুক্তিনামা, স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া কেনা জমির একটি ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও ‘মৌজা-পর্চার’ নথিও ওই প্রতিষ্ঠান হস্তান্তর করেছে।

    সবুজ আরো বলেন, মানুষ স্বপ্ন ও শখ থাকেই। শখ থেকেই আমি এই জমি কেনেছি।

    চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ অনেক জনপ্রিয় কোম্পানি।

    তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম প্রতি একর ২৪ দশমিক ৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ হাজার ১২৫ টাকা থেকে ৪২ হাজার ৪৩৭ টাকা।

    যদিও পৃথিবীর বাইরে চাঁদ কিংবা মহাকাশের অন্য কোনো গ্রহ পুরো মানবজাতির সম্পদ। কোনো ব্যক্তি বা জাতি এটি কিনতে পারেন না।

    তবে কিছু কিছু ওয়েবসাইট উপহার দেওয়ার জন্য চাঁদে জমি বিক্রি করে থাকেন। এমনকি সার্টিফিকেটও দেন।

    এর আগে খুলনায় ষষ্ঠ বিবাহবার্ষিকীতে ভালোবেসে স্ত্রী ডা. ইসরাত টুম্পার হাতে চাঁদের জমির দলিল তুলে দেন তার স্বামী এম ডি অসীম। স্ত্রীকে চাঁদ এনে দিতে না পারলেও চাঁদের বুকে এক টুকরো জমি কিনে দিতে পেরে নিজের খুশির কথা ব্যক্ত করেছিলেন অসীম। এবার কুমিল্লার সবুজ চাঁদে এক খণ্ড জমি কিনলেন।

  • শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমুলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা ২০২১

    শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমুলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা ২০২১

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়া ধারার প্রবর্তক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭২তম জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রি. সোমবার হোটেল লা মেরিডিয়ানের স্কাইবল-রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং বিদেশী পুরস্কার প্রাপ্তদের ভার্চুয়ালি পুরস্কার প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান দাবা কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) ও সাইফ পাওয়াটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি জনাব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম এবং এশিয়ান দাবা ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক মিঃ আবুন্দ কাসটো। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি কে এম শহিদউল্যা, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক দিপু, কার্যকরি সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান পলাশ, কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ আলাউদ্দিন সাজু, জাকির আহমেদ, আন্তর্জাতিক অর্গানাইজার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি, সজল মাহমুদ।

    প্রতিযোগিতায় চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার লি ডি অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ৯ খেলায় ৮ পয়েন্ট পেয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ান হন শিরোপা জয় করেন। সাড়ে সাত পয়েন্ট নিয়ে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার অভিমান্যু পৌরনিক রানার-আপ হয়েছেন।

    সাড়ে ছয় পয়েন্ট করে অর্জন করেন ৫ জন খেলোয়াড়, টাইব্রেকিং পদ্ধতিতে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার কার্তিক ভেঙ্কাটারামান তৃতীয়, ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার আমিন তাবাতাবেই চতুর্থ, বেলেরুশের গ্র্যান্ড মাস্টার ভাদিশ্লাভ কোভলেভ পঞ্চম, ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার শ্যাম সুন্দর ষষ্ঠ ও ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার মাকসুদলো পারহাম সপ্তম হন। ছয় পয়েন্ট করে নিয়ে টাইব্রেকিংয়ে অষ্টম হতে একাদশ লাভ করেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার আলী মোহাম্মদ লুতফি, রাশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার মুরজিন ভোলোদার, চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার ঝু ইয়াংলুন, ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক মাস্টার গার্সিয়া জেন ইমানুয়েল।

    বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার, সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব দ্বিতীয় ও আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান তৃতীয় হয়েছেন। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান চতুর্থ এবং পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া পঞ্চম ও শওকত হোসেন পল্লব ষষ্ঠ স্থান লাভ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পুরস্কার লাভ করেন।

    বিশেষ বালক পুরস্কার লাভ করেন সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ ও বিশেষ বালিকা পুরস্কার লাভ করেন মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম।

    চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ড মাস্টার লি ডি দুই হাজার মার্কিন ডলার, রানার-আপ গ্র্যান্ড মাস্টার অভিমান্যু পৌরনিক পনেরো শত ডলার, তৃতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার কার্তিক ভেঙ্কাটারামান এক হাজার মার্কিন ডলার, চতুর্থ গ্র্যান্ড মাস্টার গ্র্যান্ড মাস্টার আমিন তাবাতাবেই ছয় শত মার্কিন ডলার, পঞ্চম- বেলেরুশের গ্র্যান্ড মাস্টার ভাদিশ্লাভ কোভলেভ পাঁচ শত শত মার্কিন ডলার, ষষ্ঠ- ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার শ্যাম সুন্দর চার শত শত মার্কিন ডলার, সপ্তম গ্র্যান্ড মাস্টার মাকসুদলো পারহাম চার শত শত মার্কিন ডলার, অষ্টম হতে দশম পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার আলী মোহাম্মদ লুতফি, আন্তর্জাতিক মাস্টার মুরজিন ভোলোদার ও চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার ঝু ইয়াংলুন প্রত্যেকে তিন শত মার্কিন ডলার করে, একাদশ ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক মাস্টার গার্সিয়া জেন ইমানুয়েল দুই শত মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার পান। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার আ্ট শত মার্কিন ডলার, প্রথম, গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ছয় শত শত মার্কিন ডলার, তৃতীয় আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান চার শত মার্কিন ডলার, চতুর্থ গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান তিন শত মার্কিন ডলার , পঞ্চম ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও ষষ্ঠ শওকত হোসেন পল্লব প্রত্যেকে দুই শত শত মার্কিন ডলার করে এবং বিশেষ পুরস্কার হিসেবে স্কালাইন মোস্তফা সাজিদ ও মহিলা ফিদে মাস্টার দশ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার পান।

    তিন দিন ব্যাপী ৯ রাউন্ড সুইস-লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে ১৫ টি দেশের ২১ জন গ্র্যান্ড মাস্টার ও ১৩ জন আন্তর্জাতিক মাস্টারসহ মোট ৮০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মোট নগদ দশ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।

  • হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর উদাত্ত আহবান

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর উদাত্ত আহবান

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, কক্সবাজার।

    আলেম ওলামা ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর (দাঃবাঃ) এর উদাত্ত আহবান

    নব নির্বাচিত আমিরে হেফাজত, মুজাহিদে মিল্লাত, জামিয়া ইসলামিয়া বাবুনগরের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (দাঃ বাঃ) এক বিবৃতিতে বলেনঃ
    ‘গত ৯ ই মুহাররাম ১৪৪৩ হিঃ মোতাবেক ১৯ আগষ্ট ২০২১ ইং রোজ বৃহষ্পতিবার বেলা ১২ টায় চট্টগ্রামের সি এস সি আর হাসপাতালে আমার কলিজার টুকরা ভাগিনা, আমিরে হেফাজত শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ, এর ইন্তেকালের পর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বর্তমান মজলিসে শুরা ও কার্যকরী পরিষদের পরামর্শে আমিরের পদশূণ্যতা পূরণের লক্ষ্যে রাত ১১.২৫ মিনিটে তাঁর জানাযার পূর্ব মুহুর্তে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব আল্লামা নূরুল ইসলাম সাহেবের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের হাল ধরার জন্য বর্তমান আমির হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমার পক্ষে এত মহৎ দায়িত্ব আদায় করা খুবই কঠিন। কারণ আমি অনেক অসুস্থ। তারপরও যেহেতু নাম ঘোষণা হয়েগেছে। তাই আমি যথা সম্ভব আল্লাহর রহমতে দায়িত্ব পালন করা এবং আপনাদের সবার সুপরামর্শে এই ঈমানী সংগঠনকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পুরা চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। তবে আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করছি। বিশেষ করে ভবিষ্যতে হেফাজতে ইসলামের হাল ধরার জন্য আল্লাহ তাআলা যেন সৎ, মুখলিস ও যোগ্য নেতৃত্বের ব্যবস্থা করে দেন, এই জন্য সবাই দোয়া করবেন’।
    তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আকীদা বিশ্বাস, ঈমান আমল, দ্বীনি চিন্তা-চেতনা ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার এই আন্দোলন এবং দল মত নির্বিশেষে সকল মুসলিম জনসাধারণের আস্থা ও ভক্তির আধার, সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ কে ধরে রাখা, বরং ধীরে ধীরে একে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ঘোষিত হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সুন্দরভাবে চেষ্টা করা আমাদের সবার কর্তব্য ও ঈমানী দায়িত্ব। আমাদের কিছু লোকেরা চলে গেছেন বলে হেফাজতে ইসলাম চলে যাবে এটা হওয়া উচিত নয়। মূলতঃ মানুষ পৃথিবীতে আসে ক্ষনিকের জন্য। কেউ এখানে চিরস্থায়ী হয় না। একদিন সবাই কে চলে যেতে হয়। তাই যতক্ষণ আমাদের প্রাণ আছে ততক্ষণ আমাদেরকে ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং রাস্ট্রীয় জীবনে সঠিক আকীদা-বিশ্বাস, ইসলামী চিন্তা-চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মেহনত চালিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করি সবাই মিলে মিশে কুরআন সুন্নাহ মতে সালাফের পদ্ধতি ও আকাবিরের উসূল মেনে কাজ করলে খুব শীঘ্রই আমরা হেফাজতে ইসলাম কে পূণর্বহাল করতে সক্ষম হব। বরং সময়ের সাথে সাথে একে আরো ত্বরান্বিত করতে এবং সমুন্নত রাখতে পারব ইনশা আল্লাহ।
    তাই আসুন! সবাই এক হয়ে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি এবং হেফাজতে ইসলাম এর মতো একটি সর্বস্তরের মুসলিম জনতার সংগঠন থেকে দেশ ও জাতির আশা-আখাঙ্কা পূরণের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করি, যাতে করে মানুষ তাদের দ্বীন-ঈমান ও আমল-আখলাকের ব্যাপারে স্বস্থি ফিরে পায়।
    আমি বাংলাদেশের সকল তৌহিদী জনতার কাছে আকুল আবেদন করছি, আপনারা সব ধরণের ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে মুরুব্বিদের পরামর্শক্রমে পূর্বের ন্যায় সম্মিলিত ভাবে পূর্ণ ইখলাসের সহিত কাজ করে হেফাজতে ইসলামের হাত কে মজবুত করুন। এভাবে কাজ করলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মুসলিম জনতার প্রাণের আশা পূরণে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।
    আমি দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের দেশ ও জাতিকে সবধরণের সংকট ও বালা মুছীবত থেকে রক্ষা করেন। আর যেন সদ্য প্রয়াত আমিরে হেফাজত, শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং তাঁর পূর্বের আমিরে হেফাজত শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী কে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করেন এবং আমাদের সবাইকে তাঁর রেজামন্দির উদ্দেশ্যে দ্বীনের কাজ করার তৌফীক দান করেন। আমীন

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদরাসা খুলে দেয়ার আহ্বান বেফাক সভাপতি ও হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান -মাহমুদুল হাসান

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদরাসা খুলে দেয়ার আহ্বান বেফাক সভাপতি ও হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান -মাহমুদুল হাসান

    বার্তা সম্পাদক,আলমগীর ইসলামাবাদী

    শরিয়া ও সুন্নাহভিত্তিক দেশ চললে অচিরেই করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইয়াতুল উলিয়ার চেয়ারম্যান ও যাত্রাবাড়ি মাদরাসার মুহতামিম মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান।

    গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদরাসা মসজিদে জুমার বয়ানে এসব কথা বলেন তিনি।

    জুমার বয়ানে তিনি আরও বলেন, মাদরাসার পরিবেশ তো ভিন্ন। মাদরাসার ছাত্র তারা রাস্তায় বের হয় না। ঘরে বসে থাকে। তাদের সাথে ওই ছেলেদের তুলনা হয় না। তারা রাত-দিন নামাজ পড়ে। তারা চোখের পানি ফেলে শেষ রাতে। আল্লাহর কাছে দোয়া করে। এই চোখের পানির জন্যই এই দেশ বেঁচে আছে। আর এসব মাদরাসাকে বন্ধ করে রেখেছে। আর কত আলেম জেলের মাঝে চোখের পানি ফেলছে। এ কারণে দেশের উপর আজাব আসতেছে।

    সরকারকে উদ্দেশ করে আল্লামা মাহমূদুল হাসান বলেন, সরকার যদি সত্যিই কল্যাণ চায় তাহলে যেনো ইসলাম সবার জন্য সহজ করে দেয়। অন্তত পরীক্ষামূলক চালু করতে পারে। কেননা ইসলাম শুধু ব্যক্তি জীবনের জন্য নয়। ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত ইসলাম চালু করা জরুরি।

    তিনি আরও বলেন, বিশ্ব মহামারি করোনার এই কঠিন সময়ে খেটে খাওয়া গরিব মানুষের প্রতি করুণা করতে হবে। তবেই আল্লাহর রহমত আসবে। আল্লাহর রহমত ছাড়া এই বিপদ থেকে মুক্তি অসম্ভব। লকডাউনে যাতে কোনভাবে গরিব মানুষ নির্যাতিত না হয়, সেদিকে প্রশাসনকে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, অত্যাচারিতের কান্নায় আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে। এই কঠোর লকডাউনেও যেমনিভাবে শারিরীক রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র, চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট সবকিছু বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হয়েছে, তেমনি মন ও অন্তরের রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ তথা আলেম উলামা ও এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান-মাদরাসাগুলোকেও অবিলম্বে খুলে দিয়ে জনসেবা করার সুযোগ দিতে হবে।

    বেফাকের সভাপতি আরও বলেন, করোনা থেকে মুক্তির আশায় যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিয়ে পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তেমনি কুরআন বিজ্ঞানীদের সাথে নিয়ে যৌথ পরামর্শ সভার আয়োজন করে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

    সারাদেশের আলেম সমাজের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, আমি মাহমূদুল হাসান, সারাদেশের আলেম সমাজের পক্ষে বলছি, করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আমাদের ৪০ দিন সময় দিন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে মানুষের আত্মা পরিষ্কার করে যাবতীয় শারীরিক রোগ-বালাই থেকেও দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ।

    সরকার ও প্রশাসনকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের মহব্বত করি, আল্লাহপাক আপনাদের মহব্বত করেন বলেই দেশ পরিচালনার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আপনাদের বসিয়েছেন। অতএব, আপনারা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করুন।

  • চামড়া শিল্প রক্ষায় স্বার্থান্বেষী সকল সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে-ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    চামড়া শিল্প রক্ষায় স্বার্থান্বেষী সকল সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে-ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    দেশে গবাদি পশুর প্রাচুর্য। পশু উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য এই দেশ। প্রতি বছর কুরবানীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কুরবানী দেওয়া হয়। তারপরও সিন্ডিকেটের কারনে দেশের চামড়া শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর জন্য এই দেশের সকল স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে।

    অদ্য (১৮ জুলাই’২১) রোজ রবিবার বিকাল ৫ টায় দেওয়ানহাট চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে “দেশের সম্মৃদ্ধি অর্জনে ও চামড়া শিল্প রক্ষায় সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর দাবীতে” আয়োজিত এক মানববন্ধনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃবৃন্দ এমন মন্তব্য করেন।

    ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে শাখার সহ-সভাপতি মুহাম্মদ তানভির হোসাইন বলেন,
    ১৯৪০ সাল থেকে শুরু হওয়া চামড়াজাত দ্রব্যের চাহিদা একবিংশ শতাব্দীতে ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি একটি রপ্তানিমূখী শিল্প; যেখানে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান হয়। দেশের বেকারত্ব কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মধ্যদিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে চামড়া শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। দৈনিক যুগান্তর এর প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৩-১৪ সালে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় হয় ১২৫৮ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। পরবর্তী তিন অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল যথাক্রমে ১১৩০, ১১৬১ ও ১২৩৪ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল ১০১৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালের পূর্বে চামড়াজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেলেও এর পর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছর পর্যন্ত এর আয় কমে যায়। যার মূল কারণ হলো চামড়া শিল্পকে নিয়ে সরকারের তালবাহানা ও স্বার্থন্বেষী ব্যবসায়ীশ্রেনীর সিন্ডিকেট। প্রতিবছর কোরবানি আসলে তারাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে তাদের মুনাফার পাল্লা ভারি করে। বিনিময়ে তারা দেশের চামড়া শিল্প উন্নয়নের জন্য কাজ না করে অন্যদেশে পাচার করে।

    তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে চামড়াজাত দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা ও বাংলাদেশে এর পর্যাপ্ত কাঁচামাল থাকা সত্বেও এই দেশের পন্য বিশ্ববাজারে টিকতে পারছে না। বিশ্বমানের পন্য তৈরী ও পন্যের বৈচিত্র্য আনায়নে সরকারের নেই কোন কার্যকরী উদ্যোগ। সরকার বারংবার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে নিয়ে গেছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের দেশ থেকে চামড়া ক্রয় করে তাদের দেশে চামড়াজাত দ্রব্য উৎপাদন করে তাদের রপ্তানি আয় দিনদিন বৃদ্ধি করে চলছে। যেটা আমাদের দেশেও সম্ভব ছিলো। আমাদের বক্তব্য হলো চামড়া শিল্পকে কাজে লাগিয়ে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এ সুযোগকে আর হাতছাড়া করা যাবে না। তাই সকল সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
    একই মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, “সিআরবির শিরীষতলা, নগরবাসীর কাছে ফুসফুসের সমতুল্য। আমরা পরিবেশের ক্ষতি করে কোন হাসপাতাল চাই না। বিকল্প কোন স্থানে হাসপাতাল স্থাপনের দাবী জানাই।”

    উক্ত মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শাজাহান হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ সহ অন্যান্য নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।

  • জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান

    ডেস্ক রিপোর্ট

    মানবিক বিবেচনায় কওমী মাদরাসা খুলে দিন।
    সকল প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিন।
    ইমাম, মুয়াজ্জিনদের চাকুরীবিধি ও বেতন কাঠামো ঠিক করুন।
    কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করুন।

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে মানবিক বিবেচনায় দেশের সকল কওমী মাদরাসা অবিলম্বে খুলে দেওয়া, মুসলমান সন্তানদের পবিত্র কুরআন এবং ফরজ জ্ঞান শিক্ষার জন্যে সকল প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং দেশের প্রায় ৩ লাখ মসজিদের ১০ লাখ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের চাকুরী বিধি ও বেতন কাঠামো ঠিক করার দাবী জানানো হয়েছে।
    আজ বেলা ১০ টায় ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শায়খুল হাদীস মাওলানা হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মুফতি আশরাফ আলী নূরী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা মোরতুজা কাসেমী, মুফতি আক্তারুজ্জামান, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা রফিকুন্নবী হক্কানী, মাওলানা শাহজাহান হাবিবি, মাওলানা বাসির মাহমুদ প্রমূখ।
    লিখিত বক্তব্যে আল্লামা ফয়েজী বলেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বাংলাদেশের সকল ধারার ওলামায়ে কেরামের সম্মিলিত মঞ্চ। ইসলামী ইতিহাসের চিরন্তন ধারা ও ঐতিহ্য অনুসারে উম্মাহর কল্যাণকামীতা, পথপ্রদর্শন ও জনমানুষের হয়ে শাসক শ্রেণীর সাথে ভারসাম্য রক্ষা করার উদ্দেশ্যে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ গঠিত হয়েছে। আধুনিক পরিভাষায় বললে, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ একটি “সিভিল সোসাইটি” বা নাগরিক সংঘ। যারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থেকে জনতার কন্ঠ হিসেবে কাজ করে।
    তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসা আর সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে চরিত্রগত মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। কওমি মাদ্রাসা- শিক্ষা প্রদানের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। ফলে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে অবদান রাখে। করোনার এই দুঃসময়ে যখন মানুষের খাদ্য সংকট চরমে; এমনি মুহূর্তে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর খাদ্য ও আবাসন ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা অমানবিক।
    তিনি বলেন, সরকার এতিমখানা চালু রাখার নির্দেশনা জারি করেছে। এটা ইতিবাচক। এই নির্দেশনার আওতায় সকল কওমি মাদরাসাও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ, প্রতিটি কওমি মাদ্রাসায় এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-এর ব্যবস্থা আছে। তা সত্বেও কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে হাজার হাজার এতিম ও অসহায় শিক্ষার্থীদের খাদ্যঝুকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। এটা সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি করছে।
    এসকল মানবিক ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে দেশের সকল কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ শিক্ষার্থী, এতিম ও অসহায় মানুষের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
    তিনি আরো বলেন, শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করার মূল লক্ষ্যই হলো, সকল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পাবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্য ধারাগুলো এই লক্ষ্য থেকে অনেকটাই বিচ্যুত।
    প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট ব্যবস্থার দৌরাত্ম্য শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বজন বিদিত ব্যাধি। অপরদিকে কওমি মাদ্রাসা এখনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আদর্শ মান ধরে রেখেছে। একমাত্র কওমী মাদ্রাসাতেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়। এখানে কোন প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট বাণিজ্য হয় না। শিক্ষকগণ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ করেন এবং তাদের আয় উপার্জনও সম্পুর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান প্রদেয় বেতন-ভাতার উপর নির্ভর করে।
    বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে তাদের আয়-উপার্জন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে আছে। উপার্জনের জন্য বারোয়ারি ধান্দা না করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় একনিষ্ঠতার এই শুদ্ধবাদীতাই যেন কওমি শিক্ষকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, নির্ভেজাল শিক্ষানিষ্ঠ শিক্ষকদের শিক্ষানুরাগকে সম্মান করে এবং তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে সকল কওমি মাদ্রাসা খুলে দিন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পর্যায়ক্রমে স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।
    মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রজেক্টকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এমন একটি মহৎ কাজের জন্য বর্তমান সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। একইসাথে মডেল মসজিদগুলোকে সব দিক থেকে মডেল মসজিদে রূপান্তর করা এবং সামাজিক সুফল নিশ্চিত করতে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা পেশ করছি।
     মডেল মসজিদের জনবল নিয়োগে ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করতে হবে। যাতে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন এবং কোনরকম দুর্নীতি ছাড়াই যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করা যায়।
     মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের জন্য যে বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে; তা রীতিমতো অসম্মানজনক ও বৈষম্যমূলক। ইমাম পদের যোগ্যতা হিসেবে হাফেজ, দাওরা/ কামিল, মুফতি, মুহাদ্দিস চাওয়া হয়েছে।
    মাস্টার্স ও উচ্চতর ডিগ্রির বিপরীতে যে বেতন-কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে, তা কিছুতেই সুবিবেচনা প্রসূত নয়। মডেল মসজিদের ইমাম-খতিবদের জন্য প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের মর্যাদা ও বেতন-ভাতা, মুয়াজ্জিনদের জন্য ২য় শ্রেণী এবং খাদেমদের জন্য ৩য় শ্রেণীর মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবী জানাচ্ছি।
     ৫৬০ টি মডেল মসজিদের বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য ওলামাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ মসজিদ নির্মাণে ইতোমধ্যেই দুর্নীতির কথা শোনা যাচ্ছে। যা দুঃখজনক।
     এখানে প্রসঙ্গত: মসজিদ আল্লাহর ঘর। আমরা আশা করতে চাই, এই মসজিদ কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে। সেজন্য আমরা আশা করব, এই মসজিদকে দলীয় রাজনৈতিক প্রচারণার উপাদান বানানো হবে না। যদি ইখলাস থাকে, তাহলে হাজার বছর পরেও মানুষ এর নির্মাতা কে মনে রাখবে। আর রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি থাকলে, মসজিদ এ ‘যেরারের’ ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চাই।
    কুরবানীর চামড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
    এ দেশ মুসলমানপ্রধান হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার সময় প্রচুর গরু, ছাগল কুরবানি হয়। এছাড়া সারা বছরই এসব পশুর গোশত ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। ফলে দেশে চামড়ার উৎপাদন ও সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। ১৯৯০-পরবর্তী সময়ে ওয়েট ব্লু উৎপাদনের সীমিত পরিসর পেরিয়ে ক্রাস্ড ও ফিনিস্ড লেদার, জুতা, ব্যাগ ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে চামড়া খাতের রপ্তানিতে পণ্য বৈচিত্র এসেছে। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বিদেশেও পরিচিতি পায় এবং দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি পণ্য হিসাবে পরিগণিত হয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের ভুল নীতি ও সিদ্ধান্তহীনতায় রপ্তানি আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থান হারিয়ে চামড়া খাত তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠির ওপরে এবং কওমী মাদ্রাসার ওপরে। কুরবানীর চামড়া গরীবের হক। দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর আয়ের বড় একটি খাত এই কুরবানীর চামড়া।
    আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে চামড়া খাতের অব্যবস্থাপনা, সিদ্ধান্তহীনতা দূর করে, চামড়া শিল্পকে শক্তিশালী করুন।
    আর এবারের জরুরী অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কাঁচা চামড়া রপ্তানীর অনুমোদন দিন। একই সাথে কাঁচা চামড়া নিয়ে অবৈধ কারসাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে যাতে ট্যানারীগুলো চামড়া ক্রয় করে, তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
    ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ও চাকুরী বিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
    ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ মানুষের ধর্মীয় অপরিহার্য বিধান আঞ্জাম দেন। অথচ তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে নৈরাজ্যের চূড়ান্ত হয়। কোন নিয়ম নীতি ছাড়া খামখেয়ালি ভাবে তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়। দেশের প্রায় ৩ লাখ মসজিদে কমবেশি ১০ লাখ মানুষের কর্মক্ষেত্র। তাদের বেতন-ভাতা ও পেনশন এমন বিশৃংখল হওয়া দায়িত্বশীল রাষ্ট্র ধারণার খেলাফ। সেজন্য ওলামাদের সমন্বয়ে দেশের সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য অবিলম্বে চাকুরী বিধি ও জাতীয় বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
    আলেমদের মুক্তি প্রসঙ্গে আল্লামা ফয়েজী বলেন, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আটককৃত সকল নিরপরাধ আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি করছে।
    ধর্মীয় ফরজ শিক্ষার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকল মুসলমানদের জন্য কুরআন ও প্রয়োজনীয় মাসআলা শেখা ফরজ। রাষ্ট্রের উচিত নাগরিকদের বিশ্বাসমতে সকল অপরিহার্য বিষয়াবলীর আয়োজন করা। সেই বিবেচনাতে দেশের সকল প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কোরআন ও ফরয ইলম শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে শিক্ষার সকলস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

  • ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ ইসলামের প্রতি সরকারের গভীর মমত্ববোধের পরিচয়ক-ড. আবু রেজা নদভী এমপি

    ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ ইসলামের প্রতি সরকারের গভীর মমত্ববোধের পরিচয়ক-ড. আবু রেজা নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেছেন, ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রতি জেলা ও উপজেলা সদরে একটি করে মোট ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের ইসলামের প্রতি গভীর মমত্ববোধের পরিচয় বহন করে। একসাথে এত সংখ্যক আধুনিক মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ মুসলিম বিশ্বে এই প্রথম। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাটা যেন মানুষ পায় এবং ইসলামী সংস্কৃতি মানুষ যেন ভালভাবে রপ্ত ও চর্চা করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। ড. নদভী এমপি বলেন, মডেল মসজিদ শুধুমাত্র মসজিদই হবে না সেগুলো ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এসব মসজিদে নারী পুরুষের জন্য আলাদা অজু এবং নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। মক্তব, গ্রন্থাগার, গবেষণা কক্ষ, কনফারেন্স রুম, ইমাম ও হাজীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। তিনি বলেন, মডেল মসিজদ থেকে জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা হবে। সেই সাথে মাদক, যৌতুক, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধ বক্তব্য প্রচার করা হবে।
    আজ (১০ জুন ২১) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লোহাগাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সে নির্মিত মডেল মসজিদসহ দেশের ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন শেষে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মসজিদ কমপ্লেক্স আয়োজিত সুধী সমাবেশে ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম কবির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও লোহাগাড়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুচ্ছাফা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিবাস দাশ সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নাজমুল হাসান মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক তৈয়বুল হক বেদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম গনি সম্রাট, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান, লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সদস্য নুরুল আলম জিকু, আমিরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান এসএম ইউনুচ, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, বড়হাতিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চৌধুরী, চরম্বা ইউপির চেয়ারম্যান মাস্টার মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, আধুনগর ইউপির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফজলে এলাহী আরজু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান,উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক নুনু, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আলী আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, স্থানীয় সাংসদের সহকারী একান্ত সচিব এসএম শাহাদাৎ হোসাইন শাহেদ, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফুর রহমান চৌধুরী, বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হারুন সায়দী প্রমূখ।

  • অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জাতিকে মেধাশূণ্য হওয়া থেকে রক্ষা করুন -ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জাতিকে মেধাশূণ্য হওয়া থেকে রক্ষা করুন -ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ ৪৩৭ দিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দরুন প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। গণ পরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টসসহ কি খোলা নেই বাংলাদেশে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই শুধু এদেশে করোনা বাড়বে! এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে।

    আজ (২৮ মে’২১) শুক্রবার সকাল ১০ টায় দেওয়ানহাটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর আইএসসিএ মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর-এর উদ্যোগে শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে “ঈদ পূনর্মিলনী” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সংগ্রামী সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    তিনি আরো বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই তিনি শিক্ষা নামক জাতির এই মেরুদণ্ডকে রক্ষা করার জন্য অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোর দাবী জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, কিছুদিন পূর্বেই করোনার দরুন দুঃসহ সময়ের মধ্যেই আমরা পালন করলাম এক বেদনা চাপা ঈদ-উল ফিতর। হাজারো গ্লানি নিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে আমাদের মত শিক্ষার্থীদের জীবন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলেই সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য বারংবার তাগিদ দিয়ে আসলেও কারো কথায় কর্ণপাত না করে সরকার একগুঁয়ে আচরণ করে যাচ্ছে।

  • ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল ৭০পার্সেন্ট বিলীন সমুদ্রগর্ভে।

    ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল ৭০পার্সেন্ট বিলীন সমুদ্রগর্ভে।

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ-

    ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে কুয়াকাটা সৈকত এলাকার জাতীয় উদ্যানের ঝাউবাগানের শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে।
    ঝাউবাগান এলাকাও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে। মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে কুয়াকাটার ৪৮ নম্বর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাঝিবাড়ি পয়েন্ট ও পশ্চিম খাজুরা এলাকা। এখানকার বাঁধের বাইরের পাশের ঢালে যে সিমেন্টের ব্লকগুলো ফেলা হয়েছিল, তা পুরোনো হয়ে যাওয়ায় পানির চাপে ধসে পড়ছে, এবং অনেক দিন বেরিবাদের নতুন মাটি ফেলে রাখায় কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বড় বড় ঢেউ ছুঁয়ে নিচ্ছে বেরিবাধ ঝুঁকির মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে, জেলেপল্লী, শুটকি মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, ক্যামেরা পট্টি, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, ডিসি পার্ক, পাবলিক টয়লেট সহ গুরুত্বপূর্ণ দোকানপাট। ইতিমধ্যে আবাসিক হোটেল কিংস ৭০পারসেন্ট সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়েছে। উপকূলীয় কলাপাড়া উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে করণীয় নির্ধারণ করতে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি এম সরফরাজ কলাপাড়ায় এসেছেন।
    তিনি উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের হাফেজ প্যাদার হাটে ‘দুর্যোগে করণীয় এবং জানমাল রক্ষায়’ মানুষকে সচেতন করতে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় মানুষজনকে নিয়ে সভা করেছেন। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, সাগর থেকে ফুঁসে ওঠা জোয়ারের পানি, জেলেপাড়া গুলো নিজেদের মালামাল যত্ন সহকারে উপরে উঠে রাখা হয়েছে, আমাদের পৌরসভা থেকে মাইকিং করা হচ্ছে, এবং সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে ,একই সাথে কাউন্সিলর, মনির শরীফ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবেলায় কুয়াকাটা পৌরসভা থেকে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, আমরা বেরিবাদের বাহির সাইডে থাকা সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিচ্ছি এবং তাদের মালামাল যত্নসহকারে রাখার জন্য সাহায্য করছি। এই নিবন্ধটি যোগ্যতাসম্পন্ন উপর বিনামূল্যে শিপিং প্রস্তাব Face mask পণ্য, অথবা অনলাইনে কিনুন এবং আজই মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টে দোকানে বাছাই করুন
    ধানখালী ইউপির চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার বলেন, তাঁর ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রাম থেকে ৩০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছুটে যাওয়ার কারণে নিশানবাড়িয়া, লোন্দা, মরিচবুনিয়া, দাসের হাওলাসহ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতির মুখে পড়েছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের চাপলীবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল হাসান বলেন, ঘের ও পুকুরের রুই, কাতল, সিলভার কার্প, পাঙাশ, গলদা চিংড়ি ভেসে গেছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের তাণ্ডবে গঙ্গামতি এলাকার পুরো সৈকত ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সৈকত-সংলগ্ন গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের ঘরের মেঝেতে পানি উঠে গেছে। সাগরের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে সৈকতে যাতায়াতের পিচঢালা সড়কের ওপর। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া এলাকা থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার ভেঙে গেছে।
    কলাপাড়া পৌরশহরের মাছ বাজার, হ্যালিপ্যাড মাঠ, ফেরিঘাট, বাদুরতলী জলকপাট এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোকানপাট ও কাঁচা বাজার রাবনাবাদ পাড়ের লালুয়া ইউনিয়নের চর চান্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মুন্সিপাড়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকার জলকপাট এলাকা আগে থেকেই ভাঙা ছিল। রাবনাবাদ নদের জোয়ারের প্রবল চাপে সেখান থেকে আরও দেড় থেকে ২০০ ফুট মাটি ভেঙে গেছে। এর ফলে পূর্ব চর চান্দুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, বুড়োজালিয়া, মুন্সিপাড়া, নাওয়াপাড়া গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। রান্না করার চুলা পানিতে ডুবে গেছে। এখানকার স্থানীয় লোকজন হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘আমরা কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় শুকনো খাবার কেনার জন্য ২৫ হাজার করে টাকা, শিশুখাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউপি ও পৌরসভার চেয়ারম্যানদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের ভয়াবহতা বাড়লে উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

  • UkhiyaVoice24.Com এর সম্পাদক এমডি এস হামজা ও প্রকাশক এইচ এম তাওহীদের ঈদ শুভেচ্ছা

    UkhiyaVoice24.Com এর সম্পাদক এমডি এস হামজা ও প্রকাশক এইচ এম তাওহীদের ঈদ শুভেচ্ছা

    সম্পাদকীয় বার্তা

    সম্মানিত দেশবাসী আসসালামু আলাইকুম।

    UkhiyaVoice24.Com এর সম্পাদক মুহাম্মদ সৈয়দ হামজা ও নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ এর পক্ষ থেকে সমগ্র দেশবাসীকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন।
    দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় , করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে গণজমায়েত এড়িয়ে ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান তিনি।

    বাণীতে বলেন, ঈদুল ফিতর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহের মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
    মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
    এদিন সব শ্রেণিপেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।

    ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।

    উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে আরো বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম।
    এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোনও স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে।

    বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এ বছর ঈদুল ফিতর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পালিত হবে। এ কঠিন সময়ে আমি সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

    একইসঙ্গে আমরা দেশবাসীর প্রতি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।

    উখিয়া ভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে আরো জানান, মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমরা দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।