Category: সারাদেশ

  • অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জাতিকে মেধাশূণ্য হওয়া থেকে রক্ষা করুন -ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জাতিকে মেধাশূণ্য হওয়া থেকে রক্ষা করুন -ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ ৪৩৭ দিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দরুন প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। গণ পরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টসসহ কি খোলা নেই বাংলাদেশে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই শুধু এদেশে করোনা বাড়বে! এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে।

    আজ (২৮ মে’২১) শুক্রবার সকাল ১০ টায় দেওয়ানহাটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর আইএসসিএ মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর-এর উদ্যোগে শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে “ঈদ পূনর্মিলনী” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সংগ্রামী সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    তিনি আরো বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই তিনি শিক্ষা নামক জাতির এই মেরুদণ্ডকে রক্ষা করার জন্য অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোর দাবী জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, কিছুদিন পূর্বেই করোনার দরুন দুঃসহ সময়ের মধ্যেই আমরা পালন করলাম এক বেদনা চাপা ঈদ-উল ফিতর। হাজারো গ্লানি নিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে আমাদের মত শিক্ষার্থীদের জীবন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলেই সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য বারংবার তাগিদ দিয়ে আসলেও কারো কথায় কর্ণপাত না করে সরকার একগুঁয়ে আচরণ করে যাচ্ছে।

  • ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল ৭০পার্সেন্ট বিলীন সমুদ্রগর্ভে।

    ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল ৭০পার্সেন্ট বিলীন সমুদ্রগর্ভে।

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ-

    ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে কুয়াকাটা সৈকত এলাকার জাতীয় উদ্যানের ঝাউবাগানের শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে।
    ঝাউবাগান এলাকাও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে। মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে কুয়াকাটার ৪৮ নম্বর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাঝিবাড়ি পয়েন্ট ও পশ্চিম খাজুরা এলাকা। এখানকার বাঁধের বাইরের পাশের ঢালে যে সিমেন্টের ব্লকগুলো ফেলা হয়েছিল, তা পুরোনো হয়ে যাওয়ায় পানির চাপে ধসে পড়ছে, এবং অনেক দিন বেরিবাদের নতুন মাটি ফেলে রাখায় কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বড় বড় ঢেউ ছুঁয়ে নিচ্ছে বেরিবাধ ঝুঁকির মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে, জেলেপল্লী, শুটকি মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, ক্যামেরা পট্টি, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, ডিসি পার্ক, পাবলিক টয়লেট সহ গুরুত্বপূর্ণ দোকানপাট। ইতিমধ্যে আবাসিক হোটেল কিংস ৭০পারসেন্ট সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়েছে। উপকূলীয় কলাপাড়া উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে করণীয় নির্ধারণ করতে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি এম সরফরাজ কলাপাড়ায় এসেছেন।
    তিনি উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের হাফেজ প্যাদার হাটে ‘দুর্যোগে করণীয় এবং জানমাল রক্ষায়’ মানুষকে সচেতন করতে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় মানুষজনকে নিয়ে সভা করেছেন। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, সাগর থেকে ফুঁসে ওঠা জোয়ারের পানি, জেলেপাড়া গুলো নিজেদের মালামাল যত্ন সহকারে উপরে উঠে রাখা হয়েছে, আমাদের পৌরসভা থেকে মাইকিং করা হচ্ছে, এবং সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে ,একই সাথে কাউন্সিলর, মনির শরীফ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবেলায় কুয়াকাটা পৌরসভা থেকে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, আমরা বেরিবাদের বাহির সাইডে থাকা সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিচ্ছি এবং তাদের মালামাল যত্নসহকারে রাখার জন্য সাহায্য করছি। এই নিবন্ধটি যোগ্যতাসম্পন্ন উপর বিনামূল্যে শিপিং প্রস্তাব Face mask পণ্য, অথবা অনলাইনে কিনুন এবং আজই মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টে দোকানে বাছাই করুন
    ধানখালী ইউপির চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার বলেন, তাঁর ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রাম থেকে ৩০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছুটে যাওয়ার কারণে নিশানবাড়িয়া, লোন্দা, মরিচবুনিয়া, দাসের হাওলাসহ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতির মুখে পড়েছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের চাপলীবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল হাসান বলেন, ঘের ও পুকুরের রুই, কাতল, সিলভার কার্প, পাঙাশ, গলদা চিংড়ি ভেসে গেছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের তাণ্ডবে গঙ্গামতি এলাকার পুরো সৈকত ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সৈকত-সংলগ্ন গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের ঘরের মেঝেতে পানি উঠে গেছে। সাগরের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে সৈকতে যাতায়াতের পিচঢালা সড়কের ওপর। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া এলাকা থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার ভেঙে গেছে।
    কলাপাড়া পৌরশহরের মাছ বাজার, হ্যালিপ্যাড মাঠ, ফেরিঘাট, বাদুরতলী জলকপাট এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোকানপাট ও কাঁচা বাজার রাবনাবাদ পাড়ের লালুয়া ইউনিয়নের চর চান্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মুন্সিপাড়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকার জলকপাট এলাকা আগে থেকেই ভাঙা ছিল। রাবনাবাদ নদের জোয়ারের প্রবল চাপে সেখান থেকে আরও দেড় থেকে ২০০ ফুট মাটি ভেঙে গেছে। এর ফলে পূর্ব চর চান্দুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, বুড়োজালিয়া, মুন্সিপাড়া, নাওয়াপাড়া গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। রান্না করার চুলা পানিতে ডুবে গেছে। এখানকার স্থানীয় লোকজন হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘আমরা কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় শুকনো খাবার কেনার জন্য ২৫ হাজার করে টাকা, শিশুখাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউপি ও পৌরসভার চেয়ারম্যানদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের ভয়াবহতা বাড়লে উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

  • UkhiyaVoice24.Com এর সম্পাদক এমডি এস হামজা ও প্রকাশক এইচ এম তাওহীদের ঈদ শুভেচ্ছা

    UkhiyaVoice24.Com এর সম্পাদক এমডি এস হামজা ও প্রকাশক এইচ এম তাওহীদের ঈদ শুভেচ্ছা

    সম্পাদকীয় বার্তা

    সম্মানিত দেশবাসী আসসালামু আলাইকুম।

    UkhiyaVoice24.Com এর সম্পাদক মুহাম্মদ সৈয়দ হামজা ও নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ এর পক্ষ থেকে সমগ্র দেশবাসীকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন।
    দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় , করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে গণজমায়েত এড়িয়ে ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান তিনি।

    বাণীতে বলেন, ঈদুল ফিতর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহের মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
    মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
    এদিন সব শ্রেণিপেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।

    ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।

    উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে আরো বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম।
    এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোনও স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে।

    বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এ বছর ঈদুল ফিতর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পালিত হবে। এ কঠিন সময়ে আমি সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

    একইসঙ্গে আমরা দেশবাসীর প্রতি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।

    উখিয়া ভয়েস টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে আরো জানান, মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমরা দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।

  • এইচ এম সাইফুল নূরের দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা

    এইচ এম সাইফুল নূরের দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা

     

    পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী সহ বিশ্বের সকল মুসলিমকে ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তরুন সাংবাদিক, সংগঠক, সমাজসেবক ও ছাত্রনেতা এইচ এম সাইফুল নূর।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কলাপাড়া উপজেলার সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক, সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস সরকারি কলেজ ছাত্রদল। তিনি দৈনিক নয়া-আলো.কম ও দৈনিক নববার্তা.কম অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাংবাদিকতা করেন।
    এছাড়াও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বশীল স্থানে আছেন এই তরুন সমাজসেবক।
    তার মধ্যে তিনি কলাপাড়া ফ্রেন্ডস অফ ব্লাড সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, কলাপাড়া ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের অন্যতম সদস্য, বৈদ্যপাড়া ইউনাইটেড ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক, তাছাড়া আমাদের সেতু বন্ধন, ফ্রেন্ডস ইউনিটি, ইচ্ছেঘুড়িসহ আরো সামাজিক সংগঠনের কাজে নিয়োজিত আছেন।
    তিনি আজ এক বিবৃতিতে মিডিয়া কর্মীদের এই শুভেচ্ছা বার্তা নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হলো ঈদ উল ফিতর, অপরটি হলো ঈদ উল আযহা। বাংলাদেশের মত ইসলাম ধর্মবলম্বি দেশ গুলিতেও পালিত হবে ঈদ উল ফিতর।

    কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে পুরো বিশ্ব আজ আতঙ্কিত। তাই নিজের মত করে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারবে না মুসলিম মিল্লাত।

    এই মহামারী করোনা ভাইরাসে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো, তাই বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ আপনাদের আসে-পাশের নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর প্রতি একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ফুটিয়ে তুলুন তাদের মুখেও একটু হাসি,

    পরিস্থিতি খারাপ হলেও সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন ঈদ মোবারক।

    ঈদের সময়টা আপনাদের পরিবারের সঙ্গে কাটান। এই কঠিন সময়েও যেন সবার মুখে হাসি নিয়ে ঈদ উদযাপিত হয় সেই কামনা করি মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে। আপনারা সকলে ঘরে থেকেই ঈদের আনন্দ উদযাপন করুন।

    এখন সময়টা অনেক বেশি ভিন্ন। বিশ্বের সবাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন‍্য আপ্রান চেষ্টা করছে। দোয়া করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাক। সুস্থ থাকুন, সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশায় আপনাদেরকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ঈদ মোবারক।

  • তরুণ আলেম ও যুব নেতার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা

    তরুণ আলেম ও যুব নেতার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা

    ডেস্ক রিপোর্ট

    পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী সহ বিশ্বের সকল মুসলিম এবং ঝালকাঠি ও বরিশাল জেলাবাসী সকলকে ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তরুণ আলেম, সাংবাদিক, সংগঠক, ও যুব নেতা মাওলানা মূফতী মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ আল মনির।

    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, বরিশাল জেলা শাখার সাবেক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী যুব আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার বর্তমান প্রচার সম্পাদক তরুণ আলেম, সাংবাদিক, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বশীল মাওলানা মূফতী মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ আল মনির আজ এক বিবৃতিতে মিডিয়া কর্মীদের এই শুভেচ্ছা বার্তা নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হলো ঈদ উল ফিতর, অপরটি হলো ঈদ উল আযহা। বাংলাদেশের মত ইসলাম ধর্মবলম্বি দেশ গুলিতেও পালিত হবে ঈদ উল ফিতর।

    কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে পুরো বিশ্ব আজ আতঙ্কিত। তাই নিজের মত করে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারবে না মুসলিম মিল্লাত।

    এই মহামারী করোনা ভাইরাসে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো, তাই বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ আপনাদের আসে-পাশের নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর প্রতি একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ফুটিয়ে তুলুন তাদের মুখেও একটু হাসি,

    পরিস্থিতি খারাপ হলেও সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন ঈদ মোবারক।

    ঈদের সময়টা আপনাদের পরিবারের সঙ্গে কাটান। এই কঠিন সময়েও যেন সবার মুখে হাসি নিয়ে ঈদ উদযাপিত হয় সেই কামনা করি মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে। আপনারা সকলে ঘরে থেকেই ঈদের আনন্দ উদযাপন করুন।

    এখন সময়টা অনেক বেশি ভিন্ন। বিশ্বের সবাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন‍্য আপ্রান চেষ্টা করছে। দোয়া করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাক। সুস্থ থাকুন, সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশায় আপনাদেরকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ঈদ মোবারক।

  • কাঠালবাড়ীতে স্পিডবোট ডুবিতে ২৭জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ-পীর সাহেব চরমোনাই

    কাঠালবাড়ীতে স্পিডবোট ডুবিতে ২৭জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ-পীর সাহেব চরমোনাই

    এইচ এম আলমগীর ইসলামবাদী, চট্টগ্রাম।

     

    স্পিডবোট ও বালুর জাহাজ সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপুরণ দিতে হবে
    -মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই

    কাঠালবাড়িতে স্পিডবোট ও নোঙ্গর করা বালুভর্তি জাহাজের সাথে সংঘর্ষে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ২৭ জন মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই।

    আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে মাওয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পিডবোটটি কাঠালবাড়ীতে বালুভর্তি জাহাজের সাথে সংঘর্ষে এমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মাহে রমজানের শেষপ্রান্তে এমন ঘটনায় নিহতদের পরিবারে যাদের কারণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের কারণে বার বার একই ঘটনা ঘটলেও ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটিত না হওয়ায় দোষীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। পীর সাহেব বলেন, মাওয়া ঘাটসহ দেশের সকল নদীবন্দরের স্পিডবোট এবং সকল নৌযান চলাচলে সরকারী বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে পরিচালনার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে জবাবদিহিতামূলক প্রত্যেক যানের ছবিসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

  • কাবিনা লাগেনা কবি নুর আহমেদ সিদ্দিকী

    কাবিনা লাগেনা কবি নুর আহমেদ সিদ্দিকী

    কবিতা

    আমার বাবা কোটিপতি
    কাবিননামা লাগবেনা
    দিন দুপুরে খুন করলেও
    বিচার আমার হবেনা।

    আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা
    বাবার কথায় দেশ চলে
    কোন হারামি বিচার চাইবে
    বিচার চাওয়া যাও ভুলে।

    টাকার জোরে কলম ঘুরে
    চেতনার জোরে সব
    ইচ্ছে হলেই অন্যায় করি
    থাকবে সবাই নিরব।

    হোটেল মোটেল হাতের মুঠোই
    টাকার কাছে সব অচল
    কোন হারামি বিচার চাইবে
    চেতনাই মোর সম্বল।

    দেশের মানুষ চিৎকার করুক
    জনতার দাম দুই আনা
    বঙ্গদেশে মানুষ মরুক
    মানুষ মারতে নেই মানা।

    রিসোর্ট কান্ডে মাওলানার ঐ
    লুঙ্গি খুলে তিরস্কার
    কোটিরপ্রতি ছেলের কথা
    সংসদে বলা কি দরকার?

    কবি নুর আহমেদ সিদ্দিকী
    সাংগঠনিক সম্পাদক
    জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর।
    রচনাকালঃ ২৭/০৪/২০২১

  • হেফাজতে ইসলামের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা।। বাবুনগরী

    হেফাজতে ইসলামের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা।। বাবুনগরী

    হেফাজতে ইসলাম

    চলমান অস্থির ও নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা পরবর্তী উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শেক্রমে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলো।

    বর্তমান হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটি-
    প্রধান উপদেষ্টা – আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী
    আমীর -আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
    মহাসচিব -আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী
    আল্লামা সালাহউদ্দীন নানুপুরী
    অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, পীরসাহেব দেওনা

    এই ৩ সদস্যের আহ্বায়কগন অতি দ্রুত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করিবেন।

  • আজকে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    আজকে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    কওমি ডেস্ক

    কওমি অঙ্গনে বিরাজমান অস্থিরতা থেকে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাব্যবস্থার সুরক্ষা এবং উলামায়ে কেরামের শান ও মান বজায় রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় নানামুখী দীনী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নিতে আজ ২৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখ, রবিবার আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর স্থায়ী কমিটির এক সভা জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।

    কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভা আরম্ভ হয়। তারপর আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি ওয়াক্কাসের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশবাসীসহ বিশ্বমানবতার জন্য দু‘আ করা হয়।
    সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় :
    ১। কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে একমাত্র আল-হাইআতুল উলয়া। আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন এক বা একাধিক বোর্ড কিংবা কোন সংগঠন বা ব্যক্তি আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্ত ব্যতীত পৃথকভাবে কওমি মাদরাসা বিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ বা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে না।
    ২। কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকগণ প্রচলিত সর্বপ্রকার রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকবে মর্মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    ৩। আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য এবং কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ ও তত্ত¡াবধানের জন্য আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন ৫ বোর্ডের ৫ (পাঁচ) জন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া থেকে ৫ জন এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন সমন্বয়ে সর্বমোট ১৫ (পনের) জনের একটি ‘বাস্তবায়ন সাব-কমিটি’ গঠিত হবে।
    ৪। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কওমি মাদরাসার যে সকল নিরীহ ছাত্র, শিক্ষক, আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং মসজিদের ইমাম ও মুসল্লীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, রমাযানের এই রহমতের মাস বিবেচনায় সরকারের নিকট তাদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয় এবং নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হয়রানী না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
    ৫। পবিত্র রমাযান কুরআন তেলাওয়াতের মাস। কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বালা-মুসিবত ও মহামারী দূর হয়। তাই রমাযানের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়ার জন্য এবং রমাযানের পর কওমি মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার জন্য সরকারের কাছে বিশেষভাবে আবেদন করা হয়।
    ৬। আল-হাইআতুল উলয়ার আজকের সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের মাননীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সদস্যগণ হলেন :
    (১) মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন
    (২) মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী
    (৩) মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন।

    অদ্যকার সভায় উপস্থিত ছিলেন আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন। বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার সভাপতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মহাসচিব মাওলানা শামসুল হক; আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামযাহ; আযাদ দীনী এদারায়ে তা‘লীম এর সভাপতি মাওলানা জিয়াউদ্দীন এর প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীর; তানজীমুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুস এবং জাতীয় দীনী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মহাসচিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।

    এ ছাড়া আরো বিশেষ ব্যক্তিবর্গরাও উপস্থিত ছিলেন।

  • তালিকা দিন, সবাইকে নিয়ে জেলে যাব।। আল্লামা বাবুনগরী

    তালিকা দিন, সবাইকে নিয়ে জেলে যাব।। আল্লামা বাবুনগরী

    আল্লামা বাবুনগরীর আহ্বান

    লকডাউন তুলে দিয়ে দেশের নিম্ন আয়ের গরিব মানুষকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    তিনি বলেন, গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম ওলামাদের গ্রেফতারের জন্য লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে সরকার সমগ্র দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে। দেশের নিম্নআয়ের গরিব মানুষকে আর হয়রানি ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো; একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না। এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন। লকডাউনের অজুহাতে জোর, জবরদস্তি করে যে সকল মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কুরআন-হাদীসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, ওগুলো খুলে দিন। যাতে কুরআন-হাদীসের ব্যাপক চর্চার বরকতে দেশের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়।

    বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

    রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার আহবান জানিয়ে ওই বিবৃতি দেন হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ গৃহে বন্দি জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন জুলুম চলছে মসজিদ, মাদরাসা, হিফজখানা ও এসব প্রতিষ্ঠানের হেফাজতকারীদের ওপর।

    সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে হেফাজত আমির বলেন, এই রমজান মাসে রিমান্ডে নেয়া আলেম ওলামাদেরকে বিধর্মী এবং অবিশ্বাসীদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করাবেন না। তারা এই সকল হযরতদের সাথে খুবই নিষ্ঠুর ও অপমানজনক আচরণ করছে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এসব বরদাস্ত করবেন না।

    হেফাজত আমির বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মাহে রমজান হল সাহায্য সহানুভূতির মাস। বাকি এগারো মাসের তুলনায় রমজান মাসে সকল ধরনের ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অনেক গুণ বেশি। অথচ এই মাসেই বাংলাদেশে শত শত হেফাজত নেতাকর্মী, আলেম ওলামা, ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর জুলুম, গ্রেফতার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, রমজানের এই পবিত্র মাসে ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদেরকে দেয়, তখন সরকার ইসলাম প্রচারকদের বন্দি করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে। আমার এই সকল সহকর্মী হযরতগণ হাজতের নোংরা পরিবেশে সাচ্ছন্দ্যে গোসল করতে, অজু করতে, নামাজ আদায় করতে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে, সেহরী-ইফতারও করতে পারছেন না। এসব জুলুম, বর্বরতা, মানবতার অপমান দেখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাখোশ হবেন।

    দেশবাসীর উদ্দেশে বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলন সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষতেও তাই থাকবে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো সরকারই জনগণের এই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাণ্ডব ও ভাঙচুর’-এর অভিযোগে সারা দেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এই সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দি সকল আলেম ওলামাদেরকে মুক্তি দিন