Category: সারাদেশ
-
রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করুন।। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছেন, সারা বছরের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য আমল করার সেরা সময়। আল্লাহর কাছে আনুগত্য ও গোলামী প্রকাশ করা এবং নেকি বৃদ্ধির জন্য গুনাহগার বান্দার আপন সত্ত্বা ও অহং বিলীন করার মাস এই মাহে রমজান।
-
অহন আমাগোরে ভাত কাপড় দে।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম
লালমোহন প্রতিনিধি :
আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, অহন আমগোরে ভাত কাপড় দে। উক্তিটি জেলে থাকা এক রিক্সাচালকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী পাখি বেগমের। আখি বেগম লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামের রিক্সাচালক বাশারের স্ত্রী । কিছুদিন পূর্বে একই এলাকার প্রভাবশালী আহাদ মাস্টারের ভাই শহীদের করা মামলায় রিক্সাচালক বাশারকে ধরে নিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামে এক টুকরো জমি কিনে সেখানেই দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন রিক্সাচালক বাশার। তার বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ মিথ্যে মামলায় জেল খাটছে বাশার, তাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পাখি বেগম বলছেন, একদিকে করোনা আর লকডাউন। অন্যদিকে স্থানীয় ফয়শালায় না বসে বারবার আমাদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে কখনো ঘরে আগুন দেয়া, কখনো ভাঙচুর করে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন। আবার মিথ্যে মামলা দিয়ে আমার স্বামী কে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনটা সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি।
আর এ সুযোগে পাখিকে ঘরছাড়া করতে গত ১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন পাখি, তার সন্তান ও বসতঘরে হামলা চালিয়েছিল, এমন অভিযোগে তার চাচাতো ভাই বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার সংবাদ পেয়ে প্রতিনিয়ত পাখি বেগম কে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন।
এ বিষয়ে আহাদ মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার ভাই শহীদ কে দেখলেই পাখি বেগম বলে, “আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, আমাগোরে ভাত কাপড় দে”।
অভিযোগ রয়েছে শুধু পাখি বেগমই নয়, এ এলাকার অনেকের জমিই নিজের দাবি করে একের এক মামলা দিয়ে এলাকার মানুষ কে হয়রানী করছেন আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ গংরা। আহাদ মাস্টার ও তার ভাইদের কারণে জায়গা জমি থাকতেও পরের ঘরে থাকতে হচ্ছে এলাকার শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার কে। জমি কিনেও নিজ জমিতে ঘর করতে পারেনি আহাদ মাস্টারের হুমকি ধমকি আর মিথ্যে মামলার ভয়ে। ফলে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, পাখি বেগমের ঘর ভাঙচুরের অভিযোগে তার চাচাতো ভাই দুলাল বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
-
পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক মাস কুরআন নাযিলের মাসে হিফজ বিভাগ অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবী চরমোনাই পীর
সারাদেশ
এই মাস পবিত্র মাস কুরআন নাযিলের মাসে হিফজ বিভাগ অবিলম্বে খুলে দিন: চরমোনাই পীর
কুরআন নাযিলের মহান এ মাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজুল কুরআন মাদরাসা ও মকতবগুলোকে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
চরমোনাই পীর বলেন, রমাযান মাস কুরআন নাযিলের মাস। কুরআন নাযিলের এ মাসে বাচ্চারা যেন কুরআন চর্চা করতে পারে সে জন্য হাফিজিয়া মাদরাসা ও মকতবগুলো খুলে দেওয়া জরুরি। বাচ্চারা কুরআন পড়ে দেশ, ইসলাম ও মানবতার জন্য বিশেষ দুআ করবে। মহান রব্বুল আলামিন যেন কুরআনের উসিলায় আমাদের দেশসহ বিশ্ববাসীকে মহামারি থেকে রক্ষা করেন।
মুফতী রেজাউল করীম বলেন, বিগতদিনগুলোতে মাদরাসার হিফজ বিভাগ ও মকতব বিভাগ খুলে দেয়া হয়েছিলো। ফলে কুরআনের উসিলায় আমাদের এ দেশ অন্য দেশ থেকে অনেক ভালো ছিল। এখনও যদি কুরআন চর্চার জন্য কুরআন নাযিলের মাসে কুরআনী মাদরাসাগুলোকে খুলে দেওয়া হয়, তাহলে কুরআনের উসিলায় আমাদের দেশে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে, ইনশাআল্লাহ। এতে কোন সন্দেহ নেই।
তিনি অবিলম্বে ধর্মমন্ত্রণালয়কে হাফিজিয়া মাদারাসা ও মকতবগুলোকে খুলে দেওয়ার কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।
-
আল্লামা মামুনুল হক সাহেব এর ইতিহাস হয়ে থাকবে আত্মবিশ্বাস
আইন আদালত
আল্লামা মামুনুল হক আমি আদালতের কাছে আবেদন জানাই, আমাকে যেন এবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হয়’
বিচারকের সামনে আজ এটাই ছিলো আপনার মূল কথা। অসংখ্য মামলার বোঝা আর রিমান্ডের নিশ্চিত ঝুঁকি চোখের সামনে দেখার পরেও যার আকুতি থাকে কেবল এবাদতের সুযোগ চেয়ে। সফলতা তাকে ছেড়ে আর কার পদচুম্বন করবে? প্রকৃত ঈমানদার এমনই হয়।
বিশ বছর আগে ২০০১ সালে আল্লাহর একান্ত প্রিয় কিছু বান্দাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে কিউবায় অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হয়। দিনের পর দিন বন্দি থাকার কারণে তাদের পক্ষে দিন, তারিখ, সময় এবং কেবলা নির্ধারণ করার উপায় ছিলো না। তারা সেখানে পৌঁছার পর কারারক্ষীদের নিকট সরবপ্রথম জানতে চেয়েছিলেন- ‘এখন কোন সময়? কেবলা কোনদিকে?’
সর্বপ্রথম অনুরোধ জানিয়েছিলেন- ‘আমাদেরকে একটু নামাজের সুযোগ দাও!প্রিয় শায়েখ! আজ আদালতে ওঠার পর বিচারকের কাছে আপনার আরজি প্রমাণ করে দেয় যে, আপনি দ্বীনের পথে আত্মোৎসর্গী, আপোষহীন সেইসব মহামানুষদের কাতারেই রয়েছেন। ইতিহাস হয়ে থাকবে আপনার আত্মবিশ্বাস। শতশত পুলিশ বেষ্টনীর ভেতরে থেকেও আপনার প্রত্যয়দীপ্ত মুচকি হাসি ইসলামপ্রেমীদের প্রেরণা যোগাবে।
-
আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।। আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী
আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিহাটহাজারী থেকে গত রাত গুম হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া এবং নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে আটক হওয়া হেফাজতের সহ-অর্থ সম্পাদক মুফতী ইলিয়াস হামিদি সহ সারা দেশে গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন আমীরে হেফাজত, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
আজ ( ১২ ই এপ্রিল২১) সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত বলেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বীগ্ন ও চিন্তিত। গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর কোন খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের একজন বড় আলেম ও সচেতন নাগরিক হিসেবে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকার, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিলো। অনতিবিলম্বে আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ শরীরে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। এবং দক্ষ আলেম মুফতী ও খানকার পীর,মারকাজুল কুরআন মাদরাসার মোহতামীম মুফতি ইলিয়াস হামিদি সহ আটককৃত হেফাজতের সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নিরপরাধ মানুষকে এভাবে গ্রেফতার ও হামলা মামলা বরদাশত করা হবে না।
আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন,কিছুদিন আগে
পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদেরকে শহীদ করেছে,রক্তাক্ত করেছে। এরপরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে। এতো জুলুমের পরও হেফাজতে ইসলাম অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। সরকার প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হেফাজতে ইসলামের সরলতাকে দূর্বলতা মনে করলে এর চরম মাশুল দিতে হবে। হেফাজতে ইসলাম দেশে শান্তি শৃঙ্খলা চায়। তবে জুলুমবাজদের জুলুমে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে দেয়বাসীকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমাদের নিকট খবর এসেছে,
গভীর রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস চায় না। হেফাজত ইসলাম শান্তি চায়। হেফাজতে ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপ্রিয় সংগঠন। তবে নেতাকর্মীদের উপর এভাবে জুলুম চলতে থাকলে আমরা নিশ্চুপ ঘরে বসে থাকবো না। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। -
২৯ মে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা এবং গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আল্লামা বাবুনগরীর আহ্বান
আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিহেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের এক বিশেষ জরুরী সভা আজ ১১/৪/২০২১ ইং রবিবার সকাল ১১ টায় দারুল উলূম হাটহাজারী মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, নায়েবে আমীর মাওলানা হাফেয তাজুল ইসলাম (পীর সাহেব ফিরোজশাহ), মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা শোআইব জমীরী, মাওলানা ওমর মেখলী, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতী সাখাওয়াত হুসাইন রাজী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদরীস, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, ড. নূরুল আবসার আজহারী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন. মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী , জনাব মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
আজকের সভায় বলা হয় যে, বিগত ২৬ই মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসুচি ছিলো না। কিন্তু ঢাকা বায়তুল মোকাররম মসজিদে মুসল্লিদের উপর পরিকল্পিতভাবে পুলিশ ও সরকার দলীয় হেলমেট বাহিনী কর্তৃক আক্রমনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষুদ্ধ জনতা মিছিল বের করে। হাটহাজারী ও বি-বাড়ীয়ায় মিছিল বের হলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি করে পাঁচ জনকে শহিদ করে। এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম ২৭ই মার্চ বিক্ষোভ ও ২৮ই মার্চ শান্তিপুর্ণ হরতালের কর্মসুচি ঘোষণা করে। কিন্তু হেফাজতের শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে ২১ জনকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হেফাজত কোনো তাণ্ডব চালায়নি; বরং ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীরদের দিয়ে গুপ্ত হামলার তাণ্ডব চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে এখন হেফাজতকে দোষারোপ করা হচ্ছে। সরকারের লোকজন এবং কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়া এখন আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন।
সভায় আরো বলা হয়, আমরা জানতে চাই, আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালীন কারা তাণ্ডব চালিয়েছিল? কারা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে, নিশ্চয়ই সেখানকার সিসি ক্যামেরাগুলোতে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। কিন্তু নিরিহ আলেম, ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানী করবেন না। অবিলম্বে গণগ্রেফতার বন্ধ করুন। মিথ্যা ও হয়রানী মুলক মামলা প্রত্যাহার করুন। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দিন।
সভায় আরো বলা হয়, করোনার অজুহাতে দেশের ঐতিহ্যবাহী কওমী মাদরাসা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র দেশের তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না। করোনা মহমারী থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কুরআনের তিলাওয়াত, যিকির, তাসবীহ পাঠ ও দুআ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং মহান আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার লক্ষে কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখা সরকারেরেই নৈতিক কর্তব্য। তাই পবিত্র মাহে রমযানে হিফয খানা, নূরানী, মক্তব চালু রাখতে হবে। মসজিদে সুন্নাহ মুতাবেক নামায তারাবীহ, ইতিকাফ চলবে। লকডাউনের নামে শরীয়ত বিরোধী কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে না। যথা নিয়মে তাফসীর, দাওয়াত ও তালীমের কাজ চালু রাখতে হবে।
সভায় দেশের সকল মাদরাসা ও মসজিদে করোনা মহামারী থেকে মুক্তি ও সমকালীন সঙ্কট থেকে উত্তরনের জন্য কুনূতে নাযেলার আমল চালু করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।সভায় যে কোনো সংকটকালীন সময়ে হেফাজতের সর্বস্তরে নেতাকর্মি, ওলামায়ে কেরাম, ও ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
এবং আগামী ২৯ মে ২০২১ শনিবার হাটহাজারীতে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। -
লালমোহনে থানা পুলিশের এলারাম প্যারেড ও মহড়া অনুষ্ঠিত
সাহিদুর রহমানঃ-
সারাদেশের ন্যায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং থানা ভবন সহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার নিমিত্তে ভোলার লালমোহনে থানা পুলিশের এলারাম প্যারেড ও কুইক রেসপন্স টিমের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় লালমোহন থানার অফিসার ফোর্সের সমন্বয়ে থানা ভবন থেকে একটি মহড়া বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় থানা ভবনে এসে সমবেত হয়।এর আগে থানা ভবনের নিরাপত্তায় পুলিশের সদস্যদের অংশগ্রহণে এলারাম প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
এলারাম প্যারেড ও মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন-লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদসহ সকল অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ
-
মাওলানা রফিকুল ইসলামকে মুক্তি দিন।।। আজিজুল হক ইসলামাবাদী
আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিহেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ বুধবার (৭ এপ্রিল ২১) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত তরুণ বক্তা (শিশু বক্তা) মাওলানা রফিকুল ইসলামকে গতরাতে নেত্রকোনা জেলার নিজ বাড়ি থেকে র্যাব পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম একজন জনপ্রিয় ওয়ায়েজ। কুরআন হাদিসের আলোকে সমকালীন প্রেক্ষাপট নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন। তার বয়ানে দেশের কল্যানে মানুষের অন্তরে ঈমানী চেতনা জাগ্রত হয়। দেশের প্রতি ভালবাসার তাগিদে জনগণকে অন্যায় জুলুম ও অত্যারের বিরুদ্ধে জাগ্রত হওয়ার আহবান করেন। এটা তার অপরাধ হলে দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় আনতে পরতেন। কিন্তু কোন ধরনের পূর্ব মামলা ছাড়া বিনা কারণে তাকে র্যব ধরে নিয়ে যাওয়া নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের অন্যায় কি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এটা তার জলন্ত প্রমাণ।
মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, অবিলম্বে মাওলানা রফিকুল ইসলাম (শিশু বক্তা) কে মুক্তি দিন।
অন্যথায় এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ও আলেম ওলামার ইজ্জত রক্ষা, এবং মসজিদ মাদরাসা হেফাজতে দল-মত নির্বিশেষে লড়াই করতে আপামর জনগণ সর্বদা প্রস্তুত আছে, ইনশাআল্লাহ। কোন অপশক্তির গুম খুন, হুমকি ধমকিকে নায়েবে রাসূল ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা পরোয়া করেনা। -
কলাপাড়ায় দ্বিতীয় দিনে ঢিলে ঢালা ভাবে লকডাউন পালিত
এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাসের আক্রমণ উল্লেখ যোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ার কারনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পৌরশহরে ঢিলে ঢালা ভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে। সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দোকানীরা বেচা বিক্রি করেছেন।
সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ৬ ই এপ্রিল মঙ্গলবার পৌর শহরের ব্যস্ততম মার্কেট নতুন বাজারের কাপড়িয়া পট্টি, স্বর্নকার পট্রির বিপনি-বিতান গুলো সিমিত পরিসরে খোলা রেখে অনেক ব্যাবসায়ী বেচাকেনা করেছেন। সাপ্তাহিক বাজারের দিন বলে ক্রেতা,বিক্রেতাদের কোলাহলে সামান্য তম মুখরিত হলেও কোন ধরনের সরগরম চোখে পরেনি। রাস্তায় সামান্য কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই রাস্তায় বের হলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরিধান করে বের হতে হয়েছে, না হলে পরতে হচ্ছে পুলিশি ঝামেলায়। পুলিশ প্রশাষন এবার শক্ত অবস্থানে রয়েছে নিয়মের পরিপন্থী হলেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। তাই তাদের পক্ষ থেকে বার, বার বোঝানো হচ্ছে অপ্রয়োজনে বাহিরে ঘোরাফেরা না করার জন্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী কাঁচাবাজার,মুদিপন্যের চাহিদা মিটানোর জন্য সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দোকান খোলা ছিল। পুলিশ প্রশাষন সারাদিন ব্যাপি মাঠে তৎপর ছিল। কোন ধরনের লোকসমাগম তৈরী হতে দেয়নি। এদিকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান খোলা রাখার জন্য কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে গায়ে কাপনের কাপড় বেঁধে মানব বন্ধন করেছে ব্যাবসায়ী সমিতির নেতারা, তাদের দাবি স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান খুলে ব্যাবসা পরিচালনা করতে চান তারা। কারন গত বৎসরের লাগাতার লকডাউনের কারনে তারা প্রচন্ড পরিমানে অর্থনৈতিক পিছিয়ে পরেছেন এর কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন লোনের বোঝা। তাদের দোকান বন্ধ থাকলেও সরকারী, বেসরকারী এবং এনজিওর কিস্তি বন্ধ থাকেনা লোনের সুদের হারও কমেনা ফলে তারা মারাত্বক পরিমানে ক্ষতির সম্মুখীন হন। তাই এবারের লকডাউনে তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবিতে মানব বন্ধন করেছেন।
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়ে।
-
সোনারগাঁও রির্সোটে মাওলানা মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে হেনস্তাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। হেফজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ
ডেস্ক রিপোর্ট।
ঢাকা, ৫ এপ্রিল, ২০২১
আজ দুপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের জরুরি বৈঠক জামিয়া রাহমানিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়।নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরীর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মাওলানা মামুনুল হক গত ৩ এপ্রিল তার স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁও রির্সোটে গিয়ে ছিলেন। ইসলামী শরিয়তের আলোকে তার বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ মর্মে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে বিভ্রাতির কোনো অবকাশ নেই। দেশের যে কোনো নাগরিক তার স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যে কোনো স্থানে যাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু মাওলানা মামুনুল হকের মত পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তির উপর সন্ত্রাসীরা যেভাবে ঝাপিয়ে পড়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং অভিযুক্তদেরকে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। জাতীয় সংসদে একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত বিষয়কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এটা জনগণ কখনোই আশা করেনি। আমরা এ বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানাই।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেছেন, গত ২৬, ২৭, ২৮ মার্চ বাইতুল মুকাররম, হাটহাজারী, বি-বাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জসহ সারাদেশে হেফাজত কর্মী ও প্রতিবাদী মানুষের উপর হামলা করা হয়েছে। এতে বি-বাড়িয়া ও হাটহাজারীতে ২০ জন শাহাদাৎ বরণ করেছে। এসব হত্যাকান্ড ও হামলার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের অসংখ্য কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। হেফাজত নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হয়রানি এবং মাদরাসা সমূহে হামলা ও হায়রানির ঘটনা ঘটছে, তা বন্ধ করতে হবে। শহিদ পরিবার ও আহতদের খোঁজ খবর নিতে হেফাজতের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি টিম শীঘ্রই বি-বাড়িয়া ও হাটহাজারীতে সফর করবে এবং হতাহতের একটি প্রতিবেদন তৈরি করবেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেছেন, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান এর মধুপুরে গত হরতালের দিনে সরকার দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ বাহিনী যে তান্ডব চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত। হেফজাতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরীকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। তার পরেও সেখানকার স্থানীয় জনগণকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ কুচিয়ামারাতে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে দেশব্যাপী হত্যা ও হামল