আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
হাটহাজারী থেকে গত রাত গুম হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া এবং নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে আটক হওয়া হেফাজতের সহ-অর্থ সম্পাদক মুফতী ইলিয়াস হামিদি সহ সারা দেশে গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন আমীরে হেফাজত, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
আজ ( ১২ ই এপ্রিল২১) সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত বলেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বীগ্ন ও চিন্তিত। গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর কোন খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের একজন বড় আলেম ও সচেতন নাগরিক হিসেবে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকার, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিলো। অনতিবিলম্বে আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ শরীরে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। এবং দক্ষ আলেম মুফতী ও খানকার পীর,মারকাজুল কুরআন মাদরাসার মোহতামীম মুফতি ইলিয়াস হামিদি সহ আটককৃত হেফাজতের সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নিরপরাধ মানুষকে এভাবে গ্রেফতার ও হামলা মামলা বরদাশত করা হবে না।
আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন,কিছুদিন আগে
পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদেরকে শহীদ করেছে,রক্তাক্ত করেছে। এরপরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে। এতো জুলুমের পরও হেফাজতে ইসলাম অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। সরকার প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হেফাজতে ইসলামের সরলতাকে দূর্বলতা মনে করলে এর চরম মাশুল দিতে হবে। হেফাজতে ইসলাম দেশে শান্তি শৃঙ্খলা চায়। তবে জুলুমবাজদের জুলুমে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে দেয়বাসীকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমাদের নিকট খবর এসেছে,
গভীর রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস চায় না। হেফাজত ইসলাম শান্তি চায়। হেফাজতে ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপ্রিয় সংগঠন। তবে নেতাকর্মীদের উপর এভাবে জুলুম চলতে থাকলে আমরা নিশ্চুপ ঘরে বসে থাকবো না। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।






নেতৃবৃন্দ আরও বলেছেন, গত ২৬, ২৭, ২৮ মার্চ বাইতুল মুকাররম, হাটহাজারী, বি-বাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জসহ সারাদেশে হেফাজত কর্মী ও প্রতিবাদী মানুষের উপর হামলা করা হয়েছে। এতে বি-বাড়িয়া ও হাটহাজারীতে ২০ জন শাহাদাৎ বরণ করেছে। এসব হত্যাকান্ড ও হামলার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের অসংখ্য কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। হেফাজত নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হয়রানি এবং মাদরাসা সমূহে হামলা ও হায়রানির ঘটনা ঘটছে, তা বন্ধ করতে হবে। শহিদ পরিবার ও আহতদের খোঁজ খবর নিতে হেফাজতের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি টিম শীঘ্রই বি-বাড়িয়া ও হাটহাজারীতে সফর করবে এবং হতাহতের একটি প্রতিবেদন তৈরি করবেন।



