Category: সারাদেশ

  • গণবিচ্ছিন্ন ১১ নাগরিকের বিবৃতি অমানবিক ও উস্কানিমূলক! -হেফাজতে ইসলাম

    গণবিচ্ছিন্ন ১১ নাগরিকের বিবৃতি অমানবিক ও উস্কানিমূলক! -হেফাজতে ইসলাম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    সম্প্রতি ১১ জন বিশিষ্ট নাগরিক হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে যে-বিবৃতি দিয়েছে তা ‘অমানবিক ও উস্কানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ গণমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন।

    বিবৃতিতে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, দেশপ্রেমিক ও ধর্মপ্রাণ প্রতিবাদী জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে একদল গণবিচ্ছিন্ন তথাকথিত বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিকে আমরা অমানবিক, উস্কানিমূলক ও গণবিরোধী বলে সাব্যস্ত করছি। এই বিবৃতি স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের নির্লজ্জ দালালির প্রমাণ বহন করে।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের আহ্বানে দেশব্যাপী পালিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও হরতালের কর্মসূচি চলাকালীন প্রতিবাদকারী আলেমসমাজ, মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মানুষদের ওপর বিনা উস্কানিতে পুলিশ কর্তৃক নির্বিচারে গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে ওঠে। পুলিশের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা না জানিয়ে একতরফাভাবে প্রতিবাদী জনতার গণপ্রতিরোধকে আপনারা তথাকথিত ‘তাণ্ডব’ আখ্যা দিয়ে গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। ইসলামবিদ্বেষ ও সেকুলার মতাদর্শে আপনারা এতই অন্ধ যে, আপনাদের বিবৃতিতে পুলিশের গুলিতে শহিদ হওয়া ১৭ জন নাগরিকের প্রতি কোনো ধরনের মানবিক সমবেদনা প্রকাশ পায়নি। বরং আপনারা বিবেকবুদ্ধি জলাঞ্জলি দিয়ে দালালির নজরানা পেশ করতে প্রতিবাদী ধর্মপ্রাণ গণমানুষের ওপর ‘সর্বশক্তি প্রয়োগে’র আহ্বান জানিয়ে প্রকারান্তরে জালিম ক্ষমতাসীনদেরকে মানুষ হত্যায় উৎসাহ দিয়েছেন। এজন্য ভবিষ্যতে আপনাদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি আরো বলেন, যখন সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক ফেলানীসহ বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করা হয়, তখন আপনাদের বিবৃতি কোথায় থাকে? নিবর্তনমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তার হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদ সম্প্রতি কারান্তরীণ অবস্থায় মারা যাওয়ার পর আপনাদের কোনো বিবৃতি বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন কর্তৃক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী নিরীহ ছাত্রদের ওপর নৃশংস হামলা হলে আপনাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেলেও আপনাদের টু শব্দও শোনা যায় না। জনগণের কোনো ইস্যুতেই আপনাদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় না। তাহলে আপনারা কোন মুখে নিজেদের ‘বিশিষ্ট নাগরিক’ দাবি করেন? ক্ষমতাসীনদের দালালি ও মতাদর্শিক গোঁড়ামিতে বুঁদ হয়ে থাকতে থাকতে আপনারা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর হয়ে গেছে। পাকিস্তান এখন অতীত ইস্যু। আপনারা চিন্তা ও বুদ্ধিতে এতই পশ্চাদপদ যে, আজও পাকিস্তানি জুজু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আছেন। ফলে পাকিস্তানি জুজুকে অতিক্রম করে সামনে এগোতে পারছেন না। বরং পাকিস্তান জুজুকে ছদ্মভাবে আপনারা ইসলামবিদ্বেষের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। এই গণবিরোধী বিবৃতি আপনাদের ইসলামবিরোধী মুখোশ খুলে দিয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এদেশ কখনোই পাকিস্তানের পথে যাবে না; কিন্তু আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসী ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করার চক্রান্ত আমরা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে নস্যাৎ করে দিবো, ইনশাআল্লাহ।

    আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরো বলেন, ভারত মূলত তার ভূরাজনৈতিক স্বার্থেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহায়তা করেছিল। তাই বলে কি গোলামি ও তাঁবেদারি করে ভারতের ঋণ শোধ করতে হবে আমাদের? আমাদের জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা দিল্লির গোলামি করার জন্য এদেশ স্বাধীন করেনি। আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, সার্বভৌমত্ব ও ইনসাফ কায়েম করার জন্যই তারা রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক হতে হবে সম-সার্বভৌমত্বের মর্যাদার ভিত্তিতে। গোলামি ও তাঁবেদারি করলে আমাদের জাতিগত আত্মমর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়—এই অবিসংবাদিত সত্য কথাটি আপনারা উপলব্ধি করার চেষ্ট করুন। এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে লড়াই করতে আপামর জনগণ সর্বদা প্রস্তুত আছে। কোন অপশক্তির হুমকি-ধমকিকে নায়েবে রাসূল ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা পরোয়া করেনা।

  • জাতীয় ওলামা মশায়েখ ও আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠিত

    জাতীয় ওলামা মশায়েখ ও আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    গতকাল ৩০.০৩.২১ রোজ মঙ্গলবার, রাত ৯ টায় চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদীর সভাপতিত্বে জাতীয় ওলামা মশায়েখ ও আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    কমিটির পুর্নাঙ্গ তালিকাঃ-

    সভাপতি
    আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন
    নির্বাহী সভাপতি
    মাওলানা হাফেজ মনসুরুল হক জিহাদী
    সিনিয়র সহ সভাপতি
    মুফতি হাসান মোরাদাবাদী
    সহ সভাপতি
    মাওলানা জসীম উদ্দিন ফারুকী
    মাওলানা গোলাম কিবরিয়া শরিফী
    মাওলানা বুরহানুদ্দীন আল বারী
    মাওলানা ইমদাদুল্লাহ চাঁদপুরী
    মাওলানা নজরুল ইসলাম
    সাধারণ সম্পাদক
    মাওলানা শেখ আমজাদ হোসাইন
    যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
    মাওলানা শাহেদুর রহমান
    মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম
    সহসাধারণ সম্পাদক
    মাওলানা কামাল উদ্দীন সাকী
    সাংগঠনিক সম্পাদক
    মাওলানা এমদাদুল্লাহ কবির
    সহ সাংগঠনিক সম্পাদক
    মুফতি আনিসুর রহমান
    প্রশিক্ষণ সম্পাদক
    মুফতি ইবরাহীম আনোয়ারী
    দা’ওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক
    মাওলানা হাফেজ হেলালুদ্দীন রশিদী
    শরীয়াহ বিষয়ক সম্পাদক
    মুফতি রেজাউল হক আমিন
    ফতোয়া বিষয়ক সম্পাদক
    মুফতি আবদুল মান্নান
    আমর বি.ও নাহী আ.সম্পাদক
    মাওলানা সিরাজুল ইসলাম জিহাদী
    মসজিদ বিষয়ক সম্পাদক
    মাওলানা ইলয়াস
    গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
    মাওলানা শিহাবুদ্দীন
    কওমি মাদ্রাসা সম্পাদক
    মুফতি আবদুল আজিজ
    আলিয়া মা. বি. সম্পাদক
    মাওলানা মোবারক করিম
    মহিলা মা. বি. সম্পাদক
    হাফেজ মাওলানা আনোয়ার
    শিক্ষা ও মহিলা বি. সম্পাদক
    মাওলানা জহিরুল ইসলাম
    খানকাহ বি. সম্পাদক
    মাওলানা হাবিবুর রহমান আতিকী
    ওলামা কল্যান বি. সম্পাদক
    হাফেজ মাওলানা আবদুল হামিদ
    ইবতিদায়ী মাদ্রাসা বি. সম্পাদক
    মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ
    সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক
    হাফেজ মাওলানা আবদুর রহমান
    কর্মসংস্থান বি. সম্পাদক
    মাওলানা আরিফুল ইসলাম
    প্রচার সম্পাদক
    হাফেজ মাওলানা আরিফুল্লাহ শাহী
    সহ প্রচার সম্পাদক
    মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম
    দপ্তর সম্পাদক
    মাওলানা শহীদুল ইসলাম
    সহ দপ্তর সম্পাদক
    মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আনসারী
    অর্থ সম্পাদক
    মাওলানা আমিনুল ইসলাম
    সহ অর্থ সম্পাদক
    মাওলানা নেছারুল হক
    খেদমতে খলক বি. সম্পাদক
    মাওলানা আবুল কালাম আযাদ
    মুস্তাদ আফিন বি. সম্পাদক
    মাওলানা ফারুকে আজম
    মিডিয়া সম্পাদক
    মাওলানা আস’আদ বিন হাসনাত
    সদস্য
    মাওলানা আবুল কালাম
    হা. উবাইদুল্লাহ

  • প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় করােনা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিঃএমপি শাওন

    প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় করােনা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিঃএমপি শাওন

    সাহিদুর রহমান

     

    ভােলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনার ফলে আমরা দেশে মহামারি করােনার প্রকোপ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে এ মহামারিতে মূতের হার অনেক কম। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে থেকেই করােনা মােকাবিলা সঠিক সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনা দিয়ে রেখেছিলেন।

    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে করােনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, আমরা সরকার কর্তৃক নির্দেশিত, মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সকল নিয়ম মেনে চললে করােনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবাে ইনশাআল্লাহ। তাই সকলকে সরকার ঘােষিত সকল নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল সকালে লালমােহন থানা পুলিশের আয়ােজনে করােনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মােকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ‘প্রচারণা র্যালিতে অংশগ্রহণপূর্বক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি শাওন। পরে পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমােহন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান মুরাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদারসহ লালমােহন থানার সকল পুলিশ সদস্যরা।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সম্পন্ন, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সম্পন্ন, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির

    কাজল আইচ, উখিয়া

     

    রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আলী হোছাইন খানের সভাপতিত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ দিবসটি পালন করা হয়।

    রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আয়োজনে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে “শুভ শুভ শুভদিন,বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ” এ স্লোগানকে ধারণ করে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কেক কাটা হয়, এর আগে বিকাল তিন টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়,

    উক্ত অনুষ্ঠান সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের
    চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
    ফরিদ আলম কনট্রাকটর, রাজাপালং ইউনিয়ন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজুল হক রিয়াজ, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, বাবু মৃদুল আইচ, এডভোকেট রবীন্দ্র দাস রবি, ইকবাল বাহার মেম্বার প্রমুখ।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সদস্য আব্দুল হক, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার খুরশিদা বেগম, রাজাপালংয়ের বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক আব্দুল আলম ফকির, মফিদ আলম, সোহেল বিএ, রাজাপালং ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল মোহাম্মদ, শ্রমিকলীগ নেতা জয়নুল আবেদীন, সহ কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    উখিয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচ, উখিয়া

    উখিয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
    বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে উখিয়া থানা পুলিশের আয়োজনে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার (৭ই মার্চ) উখিয়া থানা প্রাঙ্গনে বেলা ৪ টায় কেক কেটে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমদ সঞ্জুর মোরশেদ।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাকিল আহমদ।

    এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি নুরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন,
    আরো উপস্থিত ছিলেন
    পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম মঞ্জুর, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ, রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিন, ইউপি মেম্বার খুরশিদা বেগম প্রমূখ।

    সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র বাঙ্গালী জাতি’কে একত্রিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ মুক্তিকামী মানুষকে জাগ্রত করেন। যার ফলে ৯মাস যুদ্ধের বিনিময়ে আমরা একটি লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। ৭ই মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বাঙ্গালীর মুক্তির সনদ ও স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

    সন্ধ্যায় বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

  • রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি’র উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

    রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি’র উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

    কাজল আইচ, উখিয়া।

     

    আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ-২০২১ উপলক্ষে রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

    আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।
    ৭ই মার্চের ভাষণেই বাঙালিকে মুক্তি সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    এসময় সম্মানিত নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল আলম, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড.জমির উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আলী হোছাইন খান, যুগ্ম আহবায়ক রিয়জুল হক রিয়াজ, সদস্য কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, বাবু মৃদুল আইচ, মোস্তফা কামাল পাশা, সাবেক উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেত্রী তসলিমা আক্তার রোমানা সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সদস্য এইচ টি ইমাম চির বিদায় (ইন্না-লিল্লাহ)

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সদস্য এইচ টি ইমাম চির বিদায় (ইন্না-লিল্লাহ)

    রাশেদ মাহমুদ আলীর প্রতিবেদক

     

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম চির বিদায় নিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন । ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন ।
    তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

    মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের আহ্বানে পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রশাসনের পদে থেকে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে যোগদান করেন এইচ টি ইমাম। ১৯৭৫ সালের ২৬শে আগষ্ট পর্যন্ত তিনি এই পদে আসীন ছিলেন।

    বিজয়ের অব্যবহিত পর বাংলাদেশের বিপর্যস্ত প্রশাসন-ব্যবস্থা সচল করে তোলা এবং দেশ পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অন্যান্য সহকর্মী এবং মন্ত্রীবর্গের সাথে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। এই দায়িত্বে সাড়ে চার বছরে তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের নতুন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, করপোরেশন ইত্যাদির রূপরেখা তৈরি ছাড়াও পাকিস্তান আমলের পুরাতন নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতির আমূল সংস্কারে মুখ্য ভূমিকা রাখেন।

    তাঁর এই চলে যাওয়া জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশ এক মেধাবী সন্তানকে হারালো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হারালেন তাঁর এক বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।

    মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

  • চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় নতুন ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় নতুন ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ২০১৯ সালে নতুনভাবে হওয়া ভোটারদের স্মার্টকার্ড বিতরন শুরু করেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়।

    আজ মঙ্গলবার (০২ মার্চ ২১)থেকে (১৬ মার্চ ২১)পর্যন্ত বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয় এবং ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদে একদিন করে পর্যায়ক্রমে এসব স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। মোট বিতরণ করা হবে ১৮ হাজার ৬৪১ টি স্মার্টকার্ড। আজ সকাল ৯ টা থেকে পৌর কার্যালয়ে নতুন ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরন করেন পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী।এসময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল আলম সহ নির্বাচন অফিস ও পৌরসভা কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আজ ২ মার্চ বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ে, ৩ মার্চ পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে, ৪ মার্চ সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদে, ৫ মার্চ খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে, ৬ মার্চ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে, ৭ মার্চ কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদে, ৮ মার্চ বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে, ৯ মার্চ কাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে, ১০ মার্চ সরল ইউনিয়ন পরিষদে, ১১ মার্চ শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদে, ১১ মার্চ গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদে, ১৩ মার্চ চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদে, ১৪ মার্চ শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদে, ১৫ মার্চ পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে এবং ১৬ মার্চ ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসব স্মার্টকার্ড বিতরণ করবে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল আলম বলেন, ২০১৯ সালে যারা নুতুন ভোটার হয়েছেন শুধু তাদেরকে এসব স্মার্টকার্ড প্রদান করা হচ্ছে । তাদের উভয় হাতের দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়েছে। আপাতত মোট ১৮ হাজার ৬৪১ টি স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।

    ২০০৮ সালের আগে যারা ভোটার হয়েছে পযার্য়ক্রমে তাদের কে ও দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।

  • ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

    কওমি প্রতিবেদক

     

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা
    মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ
    অনুবাদ: ইবনে নাজ্জার
    সূত্র: “শাহ রাহে ইলম”

    (এই লেখাটা মুফতি তাকি উসমানী সাহেব হাফি. কওমি মাদ্রাসার বর্তমান এই দুরাবস্থা দেখে, নিজের শত শত তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। মনের গভীরে চেপে রাখা অনেক দিনের কষ্ট আর আফসোস গুলো কলমের ভাষায় প্রকাশ করেছেন। তাই প্রত্যেকটা কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচালনা কমিটির কাছে, এই লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়ার আন্তরিক নিবেদন রইল। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।)

    উনি বলেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর যতোটুকু আমি বুঝতে পারলাম তা হল:

    কওমি মাদ্রাসার অধঃপতনের মূল কারণ হল “আস্তে আস্তে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাটা গতানুগতিক একটি প্রথায় পরিণত হয়েছে। আর এর আসল উদ্দেশ্য আমরা ভুলে গিয়েছি”। যদিও আমাদের মুখে এখনো এ কথাই শোনা যায় যে, “এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল ইসলাম ধর্মের খেদমত করা”। তবে তিক্ত বাস্তবতা হল, এগুলো শুধু মুখেই বলা হয় অন্তরে থাকে অন্য কিছু। কেননা বাস্তবেই যদি আমাদের অন্তরে এই উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে আমাদের সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা এটাই থাকত। আকাবির ও আসলাফদের মত সর্বদা আমাদের মাথায় ঘুরত, আমাদের কোনো কাজে আল্লাহতালা অসন্তুষ্ট হচ্ছেন কিনা?? আমাদের কাজে-কর্মে দ্বীনের কতটুকু খেদমত হচ্ছে?? আমরা আমাদের মূল উদ্দেশ্যে কতটুকু সফল হয়েছি??

    বরং উল্টো আমরা আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ মাদ্রাসার বাহ্যিক উন্নতিতে লাগিয়েছি, যা আমাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। বেশিরভাগ মাদ্রাসার পরিচালকরা সর্বদা এটাই চেষ্টা করেন যে, কিভাবে আমার মাদ্রাসাটা প্রসিদ্ধতা লাভ করবে?? কিভাবে ছাত্রের সংখ্যা বাড়ানো যাবে?? কিভাবে দেশের নামকরা শিক্ষকদের এখানে জমায়েত করা যাবে?? এককথায় কিভাবে জনসাধারণের মাঝে মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ভালোবাসা আর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে?? আর এগুলোর পিছনে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর রাত-দিনের দৌড়ঝাঁপ দেখলে তো মনে হয়, এগুলোই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। আবার এই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য আমরা এমন পন্থাও অবলম্বন করি, যা একজন আলেমের জন্য কখনো সমিচীন নয়। বরং কখনো কখনো তো আমরা স্পষ্ট নাজায়েজ আর অবৈধ-পন্থা অবলম্বনে করতেও দ্বিধাবোধ করি না।

    অন্যদিকে যদি কোনো মাদ্রাসা মোটামুটিভাবে এগুলো অর্জন করে ফেলে, তাহলে মনে করা হয় আসল উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেছে। অথচ আমাদের ছাত্রদের শিক্ষা, চারিত্রিক ও ধর্মীয় অবস্থা কেমন?? আমরা মুসলিম সমাজ পরিচালনা করার জন্য কেমন মানুষ তৈরি করেছি?? আমাদের চেষ্টা ও মুজাহাদার দ্বারা বাস্তবে ইসলামের কতটুকু উপকার হচ্ছে?? সেগুলোর কোন খবরই থাকে না। আর আস্তে আস্তে তো এসব বিষয়ের খোঁজখবর নেওয়া, চিন্তাভাবনা করার মানুষ ও কমে যাচ্ছে।

    মোটকথা এই অধঃপতনের মূল কারন হল, “খিদমতে দ্বীন আমাদের আসল উদ্দেশ্য” এটা একবার মুখে উচ্চারণ করার পর কর্মজীবনে আমরা তা ভুলে যাই। আর এই বাহ্যিক জিনিসগুলো ঘিরেই চলতে থাকে আমাদের মেহনত-মুজাহাদা, শ্রম-সাধনা সবকিছুই। অথচ এগুলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং এগুলোর সাথে তো ইসলামের কোনো সম্পর্কই নেই আর থাকলেও এই শর্তে যে, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ইসলামের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য নিয়ত শুদ্ধ রেখে এগুলোকে শুধু মাত্র মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হল,আমরা এগুলোকেই মূল উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছি।

    এমনিভাবে কওমি মাদ্রাসার গৌরবময় ইতিহাসের এক উজ্জল বৈশিষ্ট্য হল, এখানের শিক্ষক ছাত্রদের পারস্পরিক সম্পর্কটা গতানুগতিক সাধারণ কোন সম্পর্ক নয় যা, শুধু মাত্র শ্রেণিকক্ষের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বরং এটা পরস্পরের মধ্যে আত্মার পবিত্র সম্পর্ক। যা শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকত। উস্তাদ শুধুমাত্র কিতাব পড়ানোর জন্য নিযুক্ত কোন শিক্ষক ছিল না, বরং নিজ ছাত্রদের জন্য তাঁরা ছিলেন কল্যাণকামী দরদী এক মহান পিতা। আর ছাত্রদের চারিত্রিক ও আধ্যাত্মিক দিক নির্দেশনা প্রদান কারী। ইলম ও আমলের ময়দানে ছাত্রদের শুভাকাঙ্ক্ষী এক অভিভাবক। সাথে সাথে তাঁরা ছাত্রদের নিজস্ব বিষয়গুলো ও দেখাশোনা করতেন। ফলে ছাত্ররা শিক্ষকদের থেকে পুঁথিগত শিক্ষা পাওয়ার সাথে সাথে চারিত্রিক শিক্ষা ও গ্রহণ করত। তাঁদের থেকে জীবন পরিচালনা করা শিখত। শিখত ধার্মিকতা, একনিষ্ঠতা, বিনয়-নম্রতা সহ উত্তম চরিত্রের আরো অনেক গুণাবলী। আর এভাবেই ছাত্ররা শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় শিক্ষকদের সাদৃশ্য হয়ে উঠত।

    বিশেষ করে “দারুল উলুম দেওবন্দ” যেই মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক ভিন্নরকম উচ্চতায় পৌঁছেছে তা হল, এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় বরং আদর্শ মানুষ গড়ার এক বিশাল কারখানা। যেখানে শিক্ষার চেয়ে দীক্ষার পরিমাণই বেশি থাকে। ফলে তৈরি হয় সঠিক শুদ্ধ আকিদায় বিশ্বাসী একনিষ্ঠ একজন পাক্কা মুসলমান। যারা কথার চেয়ে বেশি নিজেদের সুন্দর আচার-ব্যবহার আর উত্তম চরিত্রের মাধ্যমেই ইসলামের প্রচার-প্রসার করে।

    কিন্তু আফসোসের বিষয় হল আস্তে আস্তে এগুলো বিষয় আদিম যুগের ইতিহাসের মতো হয়ে যাচ্ছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষকরা নিজেদের মূল উদ্দেশ্য এটা কে বানিয়েছেন যে, শ্রেণিকক্ষে এমন ভাবে পড়ানো যাতে ছাত্ররা খুশি হয়ে যায। তাঁরা সব সময় ভাবতে থাকে, পড়ানোর জন্য তাঁদেরকে কেমন প্রবন্ধ বা কিতাব দেওয়া হয়েছে?? কিভাবে ছাত্রদের ওপর নিজের জ্ঞানের প্রভাব পড়বে?? কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে ছাত্রদের মাঝে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে?? আর এই গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে গিয়ে কোন পদ্ধতিতে পড়ালে ছাত্রদের বেশি উপকার হবে, সেটা ভুলে যায়। বরং কখনো তো তাঁরা খুঁজতে থাকে যে, কোন পদ্ধতিটা ছাত্রদের প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী হবে?? ফলে শিক্ষকগণ ছাত্রদেরকে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার পরিবর্তে তাদের প্রবৃত্তির অনুগত হয়ে যায়। আর ছাত্ররা শিক্ষকের পিছনে চলে না বরং শিক্ষকরা ছাত্রদের চাহিদার পিছনে দৌড়াতে থাকে।

    কিন্তু কিভাবে পড়ালে ছাত্রদের উপকার হবে?? কী কী শেখালে ছাত্ররা ধর্ম, দেশ ও জাতির জন্য আরও উপকারী হিসেবে গড়ে উঠবে?? ছাত্রদের কী ধরনের আগ্রহ-উদ্দীপনা, চাহিদা তাদের জন্য ক্ষতিকর?? কিভাবে ক্ষতিকর জিনিস থেকে তাদের আগ্রহ দূর হবে?? শ্রেণীকক্ষের বাইরে তারা কিভাবে চলা ফেরা করছে?? এগুলো বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা, ছাত্রদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে আসার মতো লোকেরাও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    তাই এখন সর্বপ্রথম আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় কওমি মাদ্রাসার মৃত্যুপ্রায় এই “প্রাণ” পুনরায় তাজা করার প্রয়োজন। কেননা এটি ছাড়া আমাদের কওমি মাদ্রাসাগুলো বেশির থেকে বেশি আক্ষরিক জ্ঞানের “কেন্দ্র” হতে পারবে। ইসলামের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর শত্রু ইউরোপ আমেরিকার মুশরিক প্রাচ্যবিদদের মতো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয় পড়াশোনা করানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে যাবে। আর আস্তে আস্তে একদিন আমরা দ্বীনি শিক্ষার অপরিহার্য ও আবশ্যকীয় এই বৈশিষ্ট্যগুলি হারিয়ে, অবশেষে একদিন দ্বীনহারা হয়ে পড়ব।

    কওমি মাদ্রাসার এই প্রাণ যা সময়ের ঘূর্ণিপাকে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, এটাকে পুনর্জীবিত করতে সবচেয়ে বড় গুরুদায়িত্ব হল প্রত্যেকটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যের উপর। তাদের উচিত হল সর্ব প্রথম তাঁরা নিজেদের আমল-আখলাকের দিকে নজর দিবে। তাঁরা দেখবে ইসলামী শিক্ষা তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি না?? আল্লাহর ভয় আর আখেরাতের চিন্তায় তাঁদের অন্তর কেঁপে ওঠে কি না?? রবের সাথে তাঁদের নৈকট্য বৃদ্ধি পেয়েছে কি না?? ইবাদতের প্রতি তাঁদের আগ্রহ কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে?? আমলের যেই ফজিলত গুলো দিনরাত তাঁরা অন্যকে শোনাচ্ছে, নিজেরা তার উপর কতটুকু আমল করছে?? আল্লাহর রাস্তায় দান সদকা করার জন্য অন্যদেরকে কুরআন হাদীস শুনিয়ে যেই উৎসাহ উদ্দিপনা দেওয়া হয়, নিজেরা তাতে কতটুকু অংশ গ্রহণ করেছে?? ইসলামের জন্য জান ও মালের কুরবানী দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে?? সমাজের এই অধঃপতনে তাঁরা অস্থির হয়ে ছটফট করছে কি না?? সুন্দর সুশীল সমাজ বিনির্মাণের চিন্তা-চেতনা তাদের মন-মস্তিস্কে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে?? যদি এগুলো বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা করি,বাস্তবতা আর সততার সাথে নিজেদের মাঝে এগুলোর উত্তর খুঁজি তাহলে লজ্জায় শরমে মাথা নিচু করে আফসোস আর অনুতাপ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

    তাই এখন সময়ের দাবি, এই আফসোস আর অনুতাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে আর লজ্জা-শরম কে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ সুন্দর করা। তবে এটা সাময়িক হলে, তাতে কোন উপকার হবে না। বরং সর্বদা এটা মনেপ্রাণে ধারণ করে নিতে হবে,আর নিজেদের ভবিষ্যৎকে চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই হয়ত আবার ফিরে যেতে পারি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী অতীতে।

    আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

  • ঘুমধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা

    ঘুমধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা

    এম ডি জসিম উদ্দীন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি

     

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও শোক র‍্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।উক্ত আলোচনা সভা ও র‍্যালীতে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ আহম্মদ শাকিব এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন,সহকারী শিক্ষক নিউটন বড়ুয়া,সহকারী শিক্ষিকা রনু চাকমা অতিথি হবে হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ডি জসিম উদদীন,রিপোর্টার উখিয়া ভয়েস ২৪.কম,অবিভাবক সদস্য মংছিমং চাকমা,ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃরোবেল উদ্দীন,০৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সহ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।উপস্থিত সবাই বীর শহীদ দের স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পমালা অর্পণ শেষে সকল শহিদদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করেন।