Category: সারাদেশ

  • চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় নতুন ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় নতুন ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ২০১৯ সালে নতুনভাবে হওয়া ভোটারদের স্মার্টকার্ড বিতরন শুরু করেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়।

    আজ মঙ্গলবার (০২ মার্চ ২১)থেকে (১৬ মার্চ ২১)পর্যন্ত বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয় এবং ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদে একদিন করে পর্যায়ক্রমে এসব স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। মোট বিতরণ করা হবে ১৮ হাজার ৬৪১ টি স্মার্টকার্ড। আজ সকাল ৯ টা থেকে পৌর কার্যালয়ে নতুন ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরন করেন পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী।এসময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল আলম সহ নির্বাচন অফিস ও পৌরসভা কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আজ ২ মার্চ বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ে, ৩ মার্চ পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে, ৪ মার্চ সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদে, ৫ মার্চ খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে, ৬ মার্চ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে, ৭ মার্চ কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদে, ৮ মার্চ বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে, ৯ মার্চ কাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে, ১০ মার্চ সরল ইউনিয়ন পরিষদে, ১১ মার্চ শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদে, ১১ মার্চ গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদে, ১৩ মার্চ চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদে, ১৪ মার্চ শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদে, ১৫ মার্চ পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে এবং ১৬ মার্চ ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসব স্মার্টকার্ড বিতরণ করবে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল আলম বলেন, ২০১৯ সালে যারা নুতুন ভোটার হয়েছেন শুধু তাদেরকে এসব স্মার্টকার্ড প্রদান করা হচ্ছে । তাদের উভয় হাতের দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়েছে। আপাতত মোট ১৮ হাজার ৬৪১ টি স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।

    ২০০৮ সালের আগে যারা ভোটার হয়েছে পযার্য়ক্রমে তাদের কে ও দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।

  • ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

    কওমি প্রতিবেদক

     

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা
    মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ
    অনুবাদ: ইবনে নাজ্জার
    সূত্র: “শাহ রাহে ইলম”

    (এই লেখাটা মুফতি তাকি উসমানী সাহেব হাফি. কওমি মাদ্রাসার বর্তমান এই দুরাবস্থা দেখে, নিজের শত শত তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। মনের গভীরে চেপে রাখা অনেক দিনের কষ্ট আর আফসোস গুলো কলমের ভাষায় প্রকাশ করেছেন। তাই প্রত্যেকটা কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচালনা কমিটির কাছে, এই লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়ার আন্তরিক নিবেদন রইল। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।)

    উনি বলেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর যতোটুকু আমি বুঝতে পারলাম তা হল:

    কওমি মাদ্রাসার অধঃপতনের মূল কারণ হল “আস্তে আস্তে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাটা গতানুগতিক একটি প্রথায় পরিণত হয়েছে। আর এর আসল উদ্দেশ্য আমরা ভুলে গিয়েছি”। যদিও আমাদের মুখে এখনো এ কথাই শোনা যায় যে, “এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল ইসলাম ধর্মের খেদমত করা”। তবে তিক্ত বাস্তবতা হল, এগুলো শুধু মুখেই বলা হয় অন্তরে থাকে অন্য কিছু। কেননা বাস্তবেই যদি আমাদের অন্তরে এই উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে আমাদের সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা এটাই থাকত। আকাবির ও আসলাফদের মত সর্বদা আমাদের মাথায় ঘুরত, আমাদের কোনো কাজে আল্লাহতালা অসন্তুষ্ট হচ্ছেন কিনা?? আমাদের কাজে-কর্মে দ্বীনের কতটুকু খেদমত হচ্ছে?? আমরা আমাদের মূল উদ্দেশ্যে কতটুকু সফল হয়েছি??

    বরং উল্টো আমরা আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ মাদ্রাসার বাহ্যিক উন্নতিতে লাগিয়েছি, যা আমাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। বেশিরভাগ মাদ্রাসার পরিচালকরা সর্বদা এটাই চেষ্টা করেন যে, কিভাবে আমার মাদ্রাসাটা প্রসিদ্ধতা লাভ করবে?? কিভাবে ছাত্রের সংখ্যা বাড়ানো যাবে?? কিভাবে দেশের নামকরা শিক্ষকদের এখানে জমায়েত করা যাবে?? এককথায় কিভাবে জনসাধারণের মাঝে মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ভালোবাসা আর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে?? আর এগুলোর পিছনে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর রাত-দিনের দৌড়ঝাঁপ দেখলে তো মনে হয়, এগুলোই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। আবার এই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য আমরা এমন পন্থাও অবলম্বন করি, যা একজন আলেমের জন্য কখনো সমিচীন নয়। বরং কখনো কখনো তো আমরা স্পষ্ট নাজায়েজ আর অবৈধ-পন্থা অবলম্বনে করতেও দ্বিধাবোধ করি না।

    অন্যদিকে যদি কোনো মাদ্রাসা মোটামুটিভাবে এগুলো অর্জন করে ফেলে, তাহলে মনে করা হয় আসল উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেছে। অথচ আমাদের ছাত্রদের শিক্ষা, চারিত্রিক ও ধর্মীয় অবস্থা কেমন?? আমরা মুসলিম সমাজ পরিচালনা করার জন্য কেমন মানুষ তৈরি করেছি?? আমাদের চেষ্টা ও মুজাহাদার দ্বারা বাস্তবে ইসলামের কতটুকু উপকার হচ্ছে?? সেগুলোর কোন খবরই থাকে না। আর আস্তে আস্তে তো এসব বিষয়ের খোঁজখবর নেওয়া, চিন্তাভাবনা করার মানুষ ও কমে যাচ্ছে।

    মোটকথা এই অধঃপতনের মূল কারন হল, “খিদমতে দ্বীন আমাদের আসল উদ্দেশ্য” এটা একবার মুখে উচ্চারণ করার পর কর্মজীবনে আমরা তা ভুলে যাই। আর এই বাহ্যিক জিনিসগুলো ঘিরেই চলতে থাকে আমাদের মেহনত-মুজাহাদা, শ্রম-সাধনা সবকিছুই। অথচ এগুলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং এগুলোর সাথে তো ইসলামের কোনো সম্পর্কই নেই আর থাকলেও এই শর্তে যে, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ইসলামের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য নিয়ত শুদ্ধ রেখে এগুলোকে শুধু মাত্র মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হল,আমরা এগুলোকেই মূল উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছি।

    এমনিভাবে কওমি মাদ্রাসার গৌরবময় ইতিহাসের এক উজ্জল বৈশিষ্ট্য হল, এখানের শিক্ষক ছাত্রদের পারস্পরিক সম্পর্কটা গতানুগতিক সাধারণ কোন সম্পর্ক নয় যা, শুধু মাত্র শ্রেণিকক্ষের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বরং এটা পরস্পরের মধ্যে আত্মার পবিত্র সম্পর্ক। যা শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকত। উস্তাদ শুধুমাত্র কিতাব পড়ানোর জন্য নিযুক্ত কোন শিক্ষক ছিল না, বরং নিজ ছাত্রদের জন্য তাঁরা ছিলেন কল্যাণকামী দরদী এক মহান পিতা। আর ছাত্রদের চারিত্রিক ও আধ্যাত্মিক দিক নির্দেশনা প্রদান কারী। ইলম ও আমলের ময়দানে ছাত্রদের শুভাকাঙ্ক্ষী এক অভিভাবক। সাথে সাথে তাঁরা ছাত্রদের নিজস্ব বিষয়গুলো ও দেখাশোনা করতেন। ফলে ছাত্ররা শিক্ষকদের থেকে পুঁথিগত শিক্ষা পাওয়ার সাথে সাথে চারিত্রিক শিক্ষা ও গ্রহণ করত। তাঁদের থেকে জীবন পরিচালনা করা শিখত। শিখত ধার্মিকতা, একনিষ্ঠতা, বিনয়-নম্রতা সহ উত্তম চরিত্রের আরো অনেক গুণাবলী। আর এভাবেই ছাত্ররা শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় শিক্ষকদের সাদৃশ্য হয়ে উঠত।

    বিশেষ করে “দারুল উলুম দেওবন্দ” যেই মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক ভিন্নরকম উচ্চতায় পৌঁছেছে তা হল, এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় বরং আদর্শ মানুষ গড়ার এক বিশাল কারখানা। যেখানে শিক্ষার চেয়ে দীক্ষার পরিমাণই বেশি থাকে। ফলে তৈরি হয় সঠিক শুদ্ধ আকিদায় বিশ্বাসী একনিষ্ঠ একজন পাক্কা মুসলমান। যারা কথার চেয়ে বেশি নিজেদের সুন্দর আচার-ব্যবহার আর উত্তম চরিত্রের মাধ্যমেই ইসলামের প্রচার-প্রসার করে।

    কিন্তু আফসোসের বিষয় হল আস্তে আস্তে এগুলো বিষয় আদিম যুগের ইতিহাসের মতো হয়ে যাচ্ছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষকরা নিজেদের মূল উদ্দেশ্য এটা কে বানিয়েছেন যে, শ্রেণিকক্ষে এমন ভাবে পড়ানো যাতে ছাত্ররা খুশি হয়ে যায। তাঁরা সব সময় ভাবতে থাকে, পড়ানোর জন্য তাঁদেরকে কেমন প্রবন্ধ বা কিতাব দেওয়া হয়েছে?? কিভাবে ছাত্রদের ওপর নিজের জ্ঞানের প্রভাব পড়বে?? কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে ছাত্রদের মাঝে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে?? আর এই গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে গিয়ে কোন পদ্ধতিতে পড়ালে ছাত্রদের বেশি উপকার হবে, সেটা ভুলে যায়। বরং কখনো তো তাঁরা খুঁজতে থাকে যে, কোন পদ্ধতিটা ছাত্রদের প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী হবে?? ফলে শিক্ষকগণ ছাত্রদেরকে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার পরিবর্তে তাদের প্রবৃত্তির অনুগত হয়ে যায়। আর ছাত্ররা শিক্ষকের পিছনে চলে না বরং শিক্ষকরা ছাত্রদের চাহিদার পিছনে দৌড়াতে থাকে।

    কিন্তু কিভাবে পড়ালে ছাত্রদের উপকার হবে?? কী কী শেখালে ছাত্ররা ধর্ম, দেশ ও জাতির জন্য আরও উপকারী হিসেবে গড়ে উঠবে?? ছাত্রদের কী ধরনের আগ্রহ-উদ্দীপনা, চাহিদা তাদের জন্য ক্ষতিকর?? কিভাবে ক্ষতিকর জিনিস থেকে তাদের আগ্রহ দূর হবে?? শ্রেণীকক্ষের বাইরে তারা কিভাবে চলা ফেরা করছে?? এগুলো বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা, ছাত্রদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে আসার মতো লোকেরাও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    তাই এখন সর্বপ্রথম আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় কওমি মাদ্রাসার মৃত্যুপ্রায় এই “প্রাণ” পুনরায় তাজা করার প্রয়োজন। কেননা এটি ছাড়া আমাদের কওমি মাদ্রাসাগুলো বেশির থেকে বেশি আক্ষরিক জ্ঞানের “কেন্দ্র” হতে পারবে। ইসলামের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর শত্রু ইউরোপ আমেরিকার মুশরিক প্রাচ্যবিদদের মতো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয় পড়াশোনা করানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে যাবে। আর আস্তে আস্তে একদিন আমরা দ্বীনি শিক্ষার অপরিহার্য ও আবশ্যকীয় এই বৈশিষ্ট্যগুলি হারিয়ে, অবশেষে একদিন দ্বীনহারা হয়ে পড়ব।

    কওমি মাদ্রাসার এই প্রাণ যা সময়ের ঘূর্ণিপাকে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, এটাকে পুনর্জীবিত করতে সবচেয়ে বড় গুরুদায়িত্ব হল প্রত্যেকটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যের উপর। তাদের উচিত হল সর্ব প্রথম তাঁরা নিজেদের আমল-আখলাকের দিকে নজর দিবে। তাঁরা দেখবে ইসলামী শিক্ষা তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি না?? আল্লাহর ভয় আর আখেরাতের চিন্তায় তাঁদের অন্তর কেঁপে ওঠে কি না?? রবের সাথে তাঁদের নৈকট্য বৃদ্ধি পেয়েছে কি না?? ইবাদতের প্রতি তাঁদের আগ্রহ কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে?? আমলের যেই ফজিলত গুলো দিনরাত তাঁরা অন্যকে শোনাচ্ছে, নিজেরা তার উপর কতটুকু আমল করছে?? আল্লাহর রাস্তায় দান সদকা করার জন্য অন্যদেরকে কুরআন হাদীস শুনিয়ে যেই উৎসাহ উদ্দিপনা দেওয়া হয়, নিজেরা তাতে কতটুকু অংশ গ্রহণ করেছে?? ইসলামের জন্য জান ও মালের কুরবানী দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে?? সমাজের এই অধঃপতনে তাঁরা অস্থির হয়ে ছটফট করছে কি না?? সুন্দর সুশীল সমাজ বিনির্মাণের চিন্তা-চেতনা তাদের মন-মস্তিস্কে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে?? যদি এগুলো বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা করি,বাস্তবতা আর সততার সাথে নিজেদের মাঝে এগুলোর উত্তর খুঁজি তাহলে লজ্জায় শরমে মাথা নিচু করে আফসোস আর অনুতাপ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

    তাই এখন সময়ের দাবি, এই আফসোস আর অনুতাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে আর লজ্জা-শরম কে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ সুন্দর করা। তবে এটা সাময়িক হলে, তাতে কোন উপকার হবে না। বরং সর্বদা এটা মনেপ্রাণে ধারণ করে নিতে হবে,আর নিজেদের ভবিষ্যৎকে চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই হয়ত আবার ফিরে যেতে পারি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী অতীতে।

    আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

  • ঘুমধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা

    ঘুমধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা

    এম ডি জসিম উদ্দীন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি

     

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের অন্তর্গত ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও শোক র‍্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।উক্ত আলোচনা সভা ও র‍্যালীতে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ আহম্মদ শাকিব এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন,সহকারী শিক্ষক নিউটন বড়ুয়া,সহকারী শিক্ষিকা রনু চাকমা অতিথি হবে হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ডি জসিম উদদীন,রিপোর্টার উখিয়া ভয়েস ২৪.কম,অবিভাবক সদস্য মংছিমং চাকমা,ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃরোবেল উদ্দীন,০৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সহ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।উপস্থিত সবাই বীর শহীদ দের স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পমালা অর্পণ শেষে সকল শহিদদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করেন।

  • ভোলার বোরহানউদ্দিনে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায়: আহত-১২

    ভোলার বোরহানউদ্দিনে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায়: আহত-১২

    সাদিকুর রহমান, ভোলা জেলা প্রতিনিধি

     

    ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। রবিবার বিকালে বোরহানউদ্দিন পৌর ৩ নং ওয়ার্ডের বোরহানউদ্দিন হেলিপ্যাড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে ।
    প্রত্যক্ষদর্শী বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র তাওসিন জানায়, ঘটনার সময় পার্শ্ববর্তী মাঠে তারা খেলা করছিল। হঠাৎ ভোলা থেকে চরফ্যাশনে গামী যাত্রীবাহী বাস জুয়েল নাজমুল ঢাকা মেট্রো জ-১১-২৬৭৫ হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পূর্ব পাশে খাদে পড়ে যায় । পার্শ্ববর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করেন। আহতরা হলেন শাহিন, জসিম, জাহাঙ্গীর, তাসলিমা, রাসেল, রাকিব,মমতাজ, রোজিনা ,কালিমুল্লাহ, অভি, সুবর্ণা ও ফেরদৌস
    বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিস এর লিডার শাহাবুদ্দিন জানান, ৮/১০ জন আহত হয়েছে। সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে।
    বোরহানউদ্দিন হাসপাতাল সূত্রে ১২ জন আহতের সংবাদ পাওয়া যায়।
    ওই বাসের লালমোহন এলাকার এক যাত্রী জানায়, আমার সাথে আমার ছেলে ছিল। ওকে উদ্ধার করার পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
    বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান জানান, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরে যায়। ১২ জন আহত হয়েছে। ১১ জন বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। একজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ

    কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ

    প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার,প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ।

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম আমীর হযরত পীরসাহেব হুজুর চরমোনাই এর ঘোষণা মতে দেশের সকল ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে দেশে ইসলামী বিপ্লবের শস্যক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সকল প্রকার নেতা-কর্মীও দায়িত্বশীলদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনী মাঠে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে এদেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার পথ রচনা করতে হবে। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্ব সৃষ্টি করে দেশের সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি ধর্ষণের সংস্কৃতি থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশকে ইসলামী বিপ্লবের দিকে ধাবিত করার ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পথচলা একটি মাইল ফলক সৃষ্টি করবে। গণ দাওয়াতের মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের কাছে ইসলামের হুকুমত প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রতিটি নির্বাচনে হক্কানি, দ্বীনদার দেশপ্রেমিক এবং নিষ্কলুষ ব্যক্তি নির্বাচিত করা গেলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব। তাই নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইসলামী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মী ও সদস্যদের এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সর্বাত্মকভাবে ইসলামী বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণের সময় এখনই। দেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দিকে চেয়ে আছে। সুতরাং উপজেলার সকল দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলার সকল ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে। হাতপাখার প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সকলকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত সমগ্র দেশব্যাপী সকল ইউনিয়নে প্রার্থী নির্ধারণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলায় প্রাথমিকভাবে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
    অদ্য 13 জানুয়ারি 2021 কক্সবাজার এর অভিজাত হোটেল মিশুক এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান তদারকি করেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী

    মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব, প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, আলহাজ্ব নুরুল আমিন, আল্বহাজ বদিউল আলম ও মোঃ আব্দুর রহিম।
    সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল হাশেম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম। জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সেলিম উদ্দীন, মাওলানা ফজলুল করিম, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সেক্রেটারী মুহাদ্দিস মাওলানা আমিরুল ইসলাম, ইশা ছাত্র আন্দোলনে জেলা সভাপতি মোরশেদ কারীমি সহ আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার 28 টি ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
    (রাশেদ কক্স)

  • উম্মুল মাদারিস হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শন করলেন তুরষ্কের দ্বিয়ানত ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা

    উম্মুল মাদারিস হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শন করলেন তুরষ্কের দ্বিয়ানত ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

    আজ ১০ই জানুয়ারী রবিবার হাটহাজারী মাদরাসার পরিদর্শন করেছেন তুরষ্ক ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বিয়ানত ফাউন্ডেশনের উচ্চতর শেখ ওয়াসি কায়া ও মুহাম্মদ ফাতেহ।সকাল ১০টায় শেখ ওয়াসি কায়া এবং মুহাম্মদ ফাতেহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান মাদ্রাসার আরবি সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আনওয়ার শাহ আজহারী।এরপর তাঁরা হেফাজত আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।শেখ ওয়াসি কায়া হেফাজত আমীরকে তুরস্কের বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতি ও মুসলমানদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবিহিত করেন।

    পরে তাঁরা মাদ্রাসার দারুল হাদীস মিলনায়তনে শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর বুখারীর ক্লাসে বসেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

    পরবর্তীতে তাঁরা মাদ্রাসার বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন শেষে মাদ্রাসার পরিদর্শন বইয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দীর্ঘ মন্তব্য লিখেন।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্যানেল মুহতামিম মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী,প্যানেল মুহতামিম আল্লামা শেখ আহমদ,মাওলানা শোয়াইব,মুফতী জসীম উদ্দিন,মুফতী কিফায়াতুল্লাহ,মাওলানা ওমর কাসেমী,মাওলানা ফোরকান আহমদ,মাওলানা,মাওলানা নূরুল আবছার আযহারী, মাওলানা মুহাম্মদ,মাওলানা শফিউল আলম প্রমূখ।

  • কলরবের দুই তারকা এক মঞ্চে বয়ান

    কলরবের দুই তারকা এক মঞ্চে বয়ান

    বদরুজ্জামান কলরব এর পোষ্ট

     

    আজাদ ভাইয়ের মৃত্যুর পরে আলোচনার ময়দানে তার ভক্তদের মাঝে একটা শুন্যতা তৈরি হয়েছিল । ২০১৫ থেকে দোস্ত সাঈদ আলোচনার ময়দানে আসার মাধ্যমে সে শুন্যতা এখন অনেকটা লাঘব হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্‌ ।

    গতবছর প্রিয় মাহফুজুর রহমান জাবেরের অনুপ্রেরণায় হঠাৎ করেই একটি মাহফিলে কিছু আলোচনা করি । সে থেকে আলোচনার ময়দানে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি, প্রতিনিয়তই শিখে চলছি । বলা যায়, শিক্ষানবিশ হিসেবে সবার যে অনুপ্রেরণা আর ভালোবাসা এখন পাচ্ছি তা অকল্পনীয় ।

    গতকাল আলোচনা ছিল কিশোরগঞ্জে । মুফতি সাঈদ আহমাদ এবং আমি, আমরা দুজনেই এ জেলার অন্তর্গত দুটো আয়োজনে অংশ নিয়েছি । এ আয়োজনগুলোতে তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত । কলরব ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল আশাজাগানিয়া ।

    মহান আল্লাহ্‌ আমাদেরকে কবুল করুন । আমিন

  • বরিশালের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকবৃন্দের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বরিশালের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকবৃন্দের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ

     

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালকে খুবই পছন্দ করেন। তিনি বরিশালের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বরিশাল সহ বিভাগের চেহারা পাল্টে যাবে। বরিশালের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী প্রতিনিধি হিসেবে আন্তরিকভাবে কাজ করার কথা বলেছেন বরিশালের নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

    ৩ জানুয়ারী বরিশালের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারি সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন জসীম উদ্দীন হায়দার।

    বরিশাল জেলা প্রশাসনের হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বরিশালে রেল লাইন স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বরিশালবাসী আগামী দিনগুলোতে এর সুফল ভোগ করবে। পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল হবে দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম উন্নত সমৃদ্ধ শহর। এই উন্নয়ন ঘিরে এখানে শিল্পায়ন হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। ঘুড়ে দাড়াবে দক্ষিনের অর্থনীতি। তিনি সরকারের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

    উক্ত মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস, এনডিসি মো. নাজমুল হুদা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল, সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল ও সাবেক সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, সদ্য নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক কাজী মিরাজ, সাবেক সাধারন সম্পাদক মুরাদ আহমেদ ও পুুলক চ্যাটার্জী, ইলেক্ট্র্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরদাউস সোহাগ ও সহসভাপতি রাহাত খান এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ সহ অন্যান্য সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউপি হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রর্থীদের তালিকা প্রকাশ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউপি হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রর্থীদের তালিকা প্রকাশ

    এম এম সাইফুল্লাহ আল মনির, বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলাধীন ইউনিয়ন সমূহে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন।

    গতো ৩০শে ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কতৃক এক অনুষ্ঠানের ম‍াধ‍্যমে এই প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন,

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলটির সিনিয়র নায়েবে আমীর, শায়খুল হাদীস আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মূফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

    এসময় প্রধান অতিথি প্রার্থীদের হাতপাখা খচিত দলের নাম সম্বলিত ব‍্যাচ পরিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করেন।

    এই জেলায় মোট ইউনিয়ন সংখ্যা ৭৭ টি, তবে নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন ৭৬টি হলেও আপাতত তারা প্রার্থী ঘোষনা করেছেন ৭৪ টি ইউনিয়ন পরিশদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম, এবং দুইটি ইউনিয়নে রয়েছে তাদের একাধিক প্রার্থী।

    পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউনিয়ন সংখ্যা ১৪ টি

    ০১.বদরপুর. মাওঃ মোঃ আবুল বাশার জিহাদি
    ০২. মৌকরন-মুহাম্মাদ মামুন আকন
    ০৩. লাউকাঠী-মুহাম্মাদ ইদ্রিস আলী সিপাই
    ০৪. লোহালিয়া- মাও.কাজী গোলাম সরোয়ার
    ০৫. ভূরিয়া-মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান
    ০৬. কমলাপুর -মোঃ শাহজাহান হাওলাদার
    ০৭. জৈনকাঠী- মাও.কাজী সিদ্দিকুর রহমান
    ০৮. কালিকাপুর-আলহাজ্ব হাফেজ কাওছার উল্লাহ্
    ০৯. আউলিয়াপুর- মৌলভী মুহাম্মাদ শাহজাহান
    ১০. মাদারবুনিয়া- স্থগিত
    ১১. মরিচবুনিয়া- মাও.আমিনুল ইসলাম মোশাররফ
    ১২. বড়বিঘাই-মাও.মোঃ জসিম উদ্দিন
    ১৩. ছোটবিঘাই- অধ্যক্ষ মাও.মহিউদ্দিন সিকদার
    ১৪. ইটবাড়িয়া- মাওলানা জাকারিয়া হাওলাদার।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউয়ানের প্রার্থীর নাম : মাওঃ আবুল বাশার জিহাদি, তার পিতার নামঃ মৃত্যু আফসার উদ্দিন।

    তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি ফাযিল(ডিগ্রী) পাশ। তিনি পেশায় একজন ইমাম,ও ইসলামী ওয়ায়েজ।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় :
    তিনি ইসলামী যুব আন্দোলন, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-অর্থ সম্পাদক,

    * উপজেলার মৌকরন (নবগঠিত) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওলানা মুহাম্মাদ মামুন আকন, তার পিতার নামঃ মোঃ ফজলুল হক আকন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি কামিল ( এম, এ) পাশ। তিনি পেশায় মানব গড়ার কারিগর তথা একজন শিক্ষক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নবগঠিত মৌকরন ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মুহাম্মাদ ইদ্রিস আলী সিপাই, তার পিতার নামঃ মৃত্যু রিয়াজ উদ্দিন সিপাহী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, তিনি এস. এস. সি পাশ, তিনি পেশায় একজন দলিল লেখক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, লাউকাঠী ইউনিয়ন সভাপতি, ও সদস্য, পটুয়াখালী সদর।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : আলহাজ্ব মাও.কাজী গোলাম সরোয়ার, তার পিতার নামঃ মোহাম্মদ শামসুল হক। তিনি কামিল( এম. এ) পাশ। তিনি পেশায় একজন মানুষ গড়ার কারিগর তথা শিক্ষক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মো.আরিফুর রহমান, তার পিতার নামঃ শামসুদ্দিন আকন। তিনি এস. এস. সি পাশ। তিনি পেশায় একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী যুব আন্দোলন ভুড়িয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।

    *পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : জনাব মো.শাহজাহান হাওলাদার, তার পিতার নামঃ আফপার আলী হাওলাদার। তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,কমলাপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাও.কাজী সিদ্দিকুর রহমান। তিনি কামিল (এম. এ) পাশ, তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ , জৈনকাঠী ইউনিয়ন এর সভাপতি ও
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলারপ্রশিক্ষণ সম্পাদক,

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপু ইউনিয়নের প্রার্থীর নাম : হাফেজ মোঃ কাওছার উল্লাহ

    তার পিতার নামঃ ফোরকান খন্দকার। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি অষ্টম পাশ, তিনি একজন সফলতার সাথে ব‍্যবসা পরিচালনা করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলার সহ-দপ্তর সম্পাদক।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম :মৌলভী মুহাম্মাদ শাহজাহান হাওলাদার, তিনি এস. এস. সি পাশ।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওলানা আমিনুল ইসলাম মোশাররফ, তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওঃ মুহাম্মাদ জসিম উদ্দিন, তার পিতার নামঃ সিরাজুল হক মাষ্টার। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বড় বিঘাই ইউনিয়ন শাখার সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : অধ্যক্ষ মাও.মহিউদ্দিন শিকদার (সাবেক চেয়ারম্যান)। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি জাতীয় শিক্ষক ফোরাম,পটুয়াখালী জেলার সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলার সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাও. মো. জাকারিয়া হাওলাদার। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের সদস্য।

  • দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২০২১-২২ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

    দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২০২১-২২ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

    ইসলামি রাজনৈতিক

     

    মজলিসে সাদারাত
    * মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)
    * অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী
    * মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)
    * মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী
    * মাওলানা আব্দুল আউয়াল
    * মাওলানা আব্দুল হক আজাদ
    * অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ
    * অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন
    * মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী
    * অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান

    আমীর
    মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

    নায়েবে আমীর
    * মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)
    * মাওলানা আব্দুল আউয়াল
    * মাওলানা আব্দুল হক আজাদ

    মহাসচিব
    অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

    যুগ্ম মহাসচিব
    * মাওলানা গাজী আতাউর রহমান
    * আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম
    * ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম

    সহকারী মহাসচিব
    * মাওলানা আব্দুল কাদের
    * মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ
    * মাওলানা ইমতিয়াজ আলম

    সাংগঠনিক সম্পাদক
    কে এম আতিকুর রহমান

    সহ সাংগঠনিক সম্পাদক
    * অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন
    * মাওলানা খলিলুর রহমান
    * বরকতুল্লাহ লতিফ
    * জি এম রুহুল আমিন
    * মাওলানা শোয়াইব আহমাদ
    * মাওলানা সিরাজুল ইসলাম
    * এডভোকেট মাহমুদুল হাসান

    দফতর সম্পাদক
    * মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী

    প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক
    * মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম
    প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক
    * হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করিম মারুফ

    অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক
    * আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ
    সহকারী অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক
    * আলহাজ্ব মনির হোসেন

    ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক
    * মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের

    শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক
    * মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন

    আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক
    * এডভোকেট লুৎফর রহমান
    সহকারী আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক
    * এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
    * ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইসলাম তালুকদার

    স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক
    * প্রফেসর ডা: মোয়াজ্জেম হোসেন

    তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
    * মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী

    সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক
    * মাওলানা মকবুল হোসেন

    সদস্য
    * আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ