Category: সারাদেশ

  • নলছিটির শুরু হলো ইরি ধানের রোপন

    নলছিটির শুরু হলো ইরি ধানের রোপন

    মোঃরাকিব”নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধ

     

    ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা। এই উপজেলাটি প্রাচীনকাল থেকেই বিখ্যাত ছিল ধান চাষের জন্য। তন্মধ্যে আন‍্যতম ছিল রোপা আমন, আউশ ও ইরি ধান। ইরি ধান উৎপাদনে দেশের বিখ্যাত এই অঞ্চলটি।

    তবে এই অঞ্চল বতর্মানে সবচেয়ে বিখ্যাত ইরি ধান চাষে। ইরি ধান রোপন করা হয় বাংলা পৌষ-মাঘ মাসের দিকে এবং ইংরেজি ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে। আর এখনই সেই সময়। ইতোমধ্যেই অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গেছে ইরি ধান রোপন। জমজমাট ভাবে চলছে এই কাজ।

    অত্র অঞ্চলের কৃষকরা ধান উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা যেভাবে মেটায়। ঠিক সেভাবে দেশের অন্য অঞ্চলের বিশেষ করে শহরের চাহিদা মেটাতেও ব‍্যাপক ভূমিকা পালন করে।

    তবে এই অঞ্চলের কৃষকদের অভিযোগ এত করে ধান উৎপাদন করেও শেষ পযর্ন্ত সঠিক মূল্য পাননা তারা। সরকারও তেমন কোনো উদ্যোগ নেননা ধান ক্রয় করার। যা উদ্যোগ নেন তা মুষ্টিমেয় কিছু মহল তাদের পছন্দের লোকদের কাছ থেকে কিনে নেন। যার ফলে বঞ্চিত হয় গরীব কৃষকরা।

    নলছিটি উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের কোকিলা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোঃ নূর ইসলাম জানান, ধান উৎপাদনে যে পরিমান খরচ হয় সে পরিমাণ লাভবান তারা হতে পারেননা।

    তিনি বলেন, বর্তমানে ধান বীজ থেকে শুরু করে সার, কীটনাশক সবকিছুতেই মাত্রাতিরিক্ত দাম। এখন একজন লোককে কাজে নিলে তাকে দিতে হয় কমপক্ষে পাঁচশত টাকা। কখনও কখনও ছয়শত টাকাও দিতে হয়। কিন্তু যখন ধান বিক্রি করতে যাই তখন ধানের কাঠি বিক্রি করতে হয় মাত্র চারশত টাকা বা তার চেয়ে একটু বেশিকম। তাই খরচ সংকুলান হয় ওঠে না তাদের।

    স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা দাবি জানান, সরকার যেন মাঠ পর্যায়ে ধান ক্রয় বাস্তবায়ন করে। যাতে তাদের মতো গরীব কৃষকরা একটু হলেও লাভবান হতে পারেন।

  • আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা : আসামী ৩৬ জন
    হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আমির, বাংলাদেশের সর্বপ্রভাবের আলেম, হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীসহ প্রায় ৩৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০) সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
    বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
    মামলায় বিশেষভাবে আসামী রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্বশীল। এর মধ্যে রয়েছেন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ সহ আরও অনেকে। আসামীদের সবার তালিকা এখনও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
    তবে মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফিকে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা মাইনুদ্দীন রুহী।

    তারা দাবি করে বলেন, ‘হুজুরের জীবদ্দশায় হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়। হুজুরের ওপর নির্যাতন করা হয়। গৃহবন্দী করে উনার খাবার-ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে উনাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে বাধা দেওয়া হয়। এভাবে নির্যাতন করে আহমদ শফী হুজুরকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

    সেই সেমিনারে বক্তারা আল্লামা শফী রহ. এর হত্যা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে রুহী বলেন, ‘আহমদ শফী হুজুরকে হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব। তদন্ত হোক, অসুবিধা কি? তদন্ত হলে কাদের এত ভয় ! সমস্যাটা কোথায়?’

    এ সেমিনারে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীপূত্র মাওলানা আনাস মাদানীসহ আল্লামা শফী রহ. এর অনুসারীদের মধ্যে আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

    দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সহ সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫(সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য,প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
    তিনি বলেন, “১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করে নেয়া বাঙালি আর রাজপথ ছাড়েনি। পাকিস্তানি অপশাসনে নিপীড়িত, অত্যাচারিত এদেশের আপামর মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অবশেষে ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    তিনি আরো বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ১৯৭১ সনের ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানের জনসমাবেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাকে হৃদয়ে ধারণ করে দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এ জাতি।

    ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চের কাল রাত্রি থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি তথা স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে। আজ এই মহান বিজয়ের দিনে আমি সশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুইলক্ষাধিক সম্রম হারানো মা-বোনকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের।

  • আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী স্মরনে নেজামে ইসলাম পার্টির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী স্মরনে নেজামে ইসলাম পার্টির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী স্মরনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির উদ্যোগে আজ এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত এবং দরাজাত বুলন্দী কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার।

    সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে বাংলাদেশের ইসলামী অঙ্গনের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হবার নয়। আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশ জাতির অধিকার এবং ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় যে অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সহকারী মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, পার্টির সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দপ্তর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী প্রচার সম্পাদক মুফতি এবিএম শরীফুল্লাহ, হেফাজত নেতা মাওলানা মাহবুব বিন আনাস, পার্টির মহানগর নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতী মুহিউদ্দীন, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব ইহতিশামুল হক পাখি, ছাত্র নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

  • ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

    ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

     

    মোঃরাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রাণ উজার করা সন্মান ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। ১৯৭১ সাল বাঙালি জাতির মুক্তির বছর। এ বছরের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি শত্রু বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার বুকের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

    ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যার করার ঠিক দুইদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উদয় হয়।

    এই দিবসটি জাতীয় ভাবে ব‍্যাপক আকারে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি অ‍্যাডঃ মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন। তবে এবছর করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।

    কর্মসূচিরগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ইত্যাদি।

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে মাওলানা আনাস মাদানীর শোকপ্রকাশ

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে মাওলানা আনাস মাদানীর শোকপ্রকাশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত পরিচালক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে শোকপ্রকাশ করেছেন, আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যা বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মেহেরিয়া মুঈনুল ইসলাম সরফভাটা রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের সম্মানিত মহাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী সাহেব দাঃ বাঃ।

    আজ (১৩ ডিসেম্বর ২০) রবিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশের ইসলামী রাজনীতির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন, কোরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্রের মুকাবিলা করতে তিনি প্রথম সারিতেই থাকতেন।

    তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে আল্লামা কাসেমীর সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। দেশে ইসলামি শিক্ষা বিস্তার এবং দ্বীনি আন্দোলনে প্রায় সময় হযরত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি আমার বাবা মরহুম শাইখুল ইসলাম রহঃ এর আস্থাবান ব্যক্তি ছিলেন।

    তিনি আরো বলেন, এলমে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে হযরতের ভূমিকা কওমি অঙ্গনে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন সংগঠন এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। দেশের এই অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে হযরতের মাগফিরাত কামনা করছি।

    দেশজুড়ে আল্লামা কাসেমীর রুহানি সন্তান, শোকসন্তপ্ত পরিবার,সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    উল্লেখ্য, আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার বেলা ১ টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ হযরতের কবরকে জান্নাতের বাগান করে দিন। (আমিন)

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

    শোক বার্তা

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিআ মাদনিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত পরিচালক ও বিশিষ্ট আলেমে দীন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

    আজ রবিবার দুপুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম এক যৌথ শোকবার্তায় আল্লামা কাসেমীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লামা কাসেমী এদেশের একজন প্রবীন আলেম এবং ইসলামী রাজনীতিতে একজন অভিভাবকতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির মাঝে ইসলামী ও ইলমী অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো; তা কখনো পূরণ হবার নয়। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং তাঁর কবরকে নূরে রহমত দ্বারা ভরপুর করে দিন। আমীন।

    বার্তা প্রেরক
    কে এম শরীয়াতুল্লাহ
    কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

  • ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

    ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

     

    সাহিদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি।

     

    স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ),
    ভোলা জেলাধীন চরফ্যাসন উপজেলায়
    প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কে আহবায়ক,ইয়াহ ইয়া ইসলাম মনির কে যুগ্ন-আহ্বায়ক, মোঃ নূর হোসেন কে যুগ্ন আহ্বায়ক এবং প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম ভূঁইয়া কে সদস্য সচিব করে ৩১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।

    শনিবার ১২/১২/২০২০ ইং তারিখে জেলা কমিটির আহ্বায়ক সহিদুল ইসলাম শামীম ও সদস্য সচিব মীর মোঃ শরীফ স্বাক্ষরিত এ কমিটি ঘোষণা করেন।

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার শোক

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার শোক

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিআ মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত মুহতামীম ও বিশিষ্ট আলেমে দীন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আজ দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা শাখা।

    সংগঠনের মুহতারাম জেলা ছদর মাওলানা মোজাম্মেলুল হক, সাধারণ সম্পাদক মু.সাইফুদ্দীন দৌলতপুরী ও যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী এক যৌথ শোকবার্তায় আল্লামা কাসেমীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লামা কাসেমী এদেশের একজন প্রবীন আলেম এবং ইসলামী রাজনীতিতে একজন অভিভাবকতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির মাঝে ইসলামী ও ইলমী অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো; তা কখনো পূরণ হবার নয়। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং তাঁর কবরকে নূরে রহমত দ্বারা ভরপুর করে দিন। আমীন।

    বার্তা প্রেরক
    আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী
    প্রচার সম্পাদকঃ
    বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি
    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা

  • আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ির শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে

    আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ির শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর লক্ষ কোটি তৌহিদি জনতার প্রাণের স্পন্দন শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাফিযাহুল্লাহুকে নিয়ে কটুক্তি ও বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ি আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে দেশবাসী ও ফটিকছড়ির সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা শাহজাহানকে সমুচিত জবাব দিতে বাধ্য হবে।

    আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এদেশের লক্ষ কোটি মুমিন মুসলমানের প্রাণের স্পন্দন। আল্লামা বাবুনগরী হাফিযাহুল্লাহকে নিয়ে শাহজাহানের দেওয়া আক্রমণাত্বক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মতো দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীনকে নিয়ে শাহজাহানের এমন বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি। দেশের শীর্ষ একজন আলেমকে নিয়ে এমন বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্য-ই প্রমাণ করে শাহজাহান কতটা নিম্নশ্রেণীর ও ইতর প্রকৃতির মানুষ। বিবেক বুদ্ধি ও মনুষ্যত্ববোধ থাকলে তার বাবার বয়সের শ্রদ্ধেয় একজন মুরুব্বি আলেমকে নিয়ে কখনো এমন মন্তব্য করতো না এই কুখ্যাত শাহজাহান।

    শাহজাহানের মনে রাখা উচিত-
    আল্লামা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ফটিকছড়ির কৃতি সন্তান হলেও তিনি এশিয়ার গৌরব,গোটা বাংলাদেশের গৌরব। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ইসলামি ব্যক্তিত্ব। সত্যের আহবানে সদাজাগ্রত একজন বীর তিনি। আল্লামা বাবুনগরী একটি ইতিহাস,একটি বিপ্লব। তিনি এদেশের লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতার প্রাণের স্পন্দন,সাহসের প্রতীক ও আশার আলো। ঈমানী চেতনায় বলিয়ান বাতিলের বিরুদ্ধে এক সাহসী বীর আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হকের পক্ষে আপোষহীন একজন বীর সিপাহসালার। ন্যায় ও সত্যের পক্ষে তিনি নির্ভিক। বাতিলের রক্তচক্ষু কখনো ভয় করেন না। মাঠে ময়দানে ঈমানদীপ্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠে হকের কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ লক্ষ কোটি মুমিন মুসলমানের আস্থা বিশ্বাস ও ভালবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। লক্ষ কোটি মুমিনের প্রাণের স্পন্দন আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য অনতিবিলম্বে শাহজাহান যদি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

    কুলাঙ্গার শাহজাহান! মনে রেখো।
    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী যদি আবারো ময়দানে আসার ডাক দেন তাহলে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিলের লংমার্চ আর ৫ ই মে’র ঢাকা অবরোধের মতো লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা জান বাজি রেখে রাজপথে নেমে আসবে। তখন তোমার মতো শাহজাহানের কোন হদিস পাওয়া যাবে না।

    এদেশে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর হাতে গড়া হাজার হাজার ছাত্র,
    ভক্তবৃন্দ,শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী রয়েছে। শাহজাহানের এমন আক্রমনাত্মক বক্তব্যে সকলের মনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আল্লামা বাবুনগরীর ভক্তবৃন্দ ফুঁসে উঠলে চুনোপুঁটি শাহজাহানদের অস্তিত্বও ফটিকছড়িতে খোঁজে পাওয়া যাবে না। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে ফটিকছড়িবাসী শাহজাহানকে বয়কট করবে,এবং তাকে যেখানে পাবে সেখানেই প্রতিহত করবে।

    আমরা শান্তিপ্রিয়,দেশে শান্তির পরিবেশ চাই। আমরা কখনো আগ বাড়িয়ে সংঘাতে জড়াই না। তবে কেহ গায়ে পড়ে সংঘাতে জড়াতে এলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেই। ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ শাহবাগীরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরও আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। তবে ধৈর্যেরও একটা সীমা রয়েছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে আমরা ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেবো।

    সুস্পষ্ট ভাষায় বলছি-অনতিবিলম্বে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সহ শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে অশালীন ও বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্যের এই ঘৃণ্য খেলা বন্ধ না হলে দেশের লক্ষ কোটি তৌহিদি জনতা সমুচিত জবাব দেবে,ইনশাআল্লাহ।