Category: সারাদেশ

  • আজ চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দুলাল স্যার এর শেষ কর্মদিবস

    আজ চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দুলাল স্যার এর শেষ কর্মদিবস

    সাহিদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি

     

    দ্বীপজেলা ভোলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ চরফ্যাসন সরকারি কলেজের স্বনামধন্য অধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ দুলাল স্যার এর শেষ কর্মদিবস৷ সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী দীর্ঘ ৩৩ বছর ৪ মাস বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন তিনি৷

    বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) শেষ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের চাকুরী জীবন থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন এক মানুষ গড়ার কারিগর৷ তিনি কর্মদক্ষতা সম্পন্ন অধ্যক্ষ, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সৃজনশীল ও সাদামনের মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন পুরো ভোলা জেলায়৷

    জানা যায়, ডিসেম্বর মাস জুড়ে কলেজের প্রতিটি বিভাগ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে প্রিয় স্যারকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র ছাত্রীগণ৷

    অধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ দুলাল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি একজন আদর্শ শিক্ষকের সন্তান৷ চরফ্যাশন সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মিয়া মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর হাতে ১৯৮৭ সালে প্রভাষক হিসেবে অত্র কলেজে যোগদান করেছি৷ তারই সুযোগ্য পুত্র ভোলা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর সার্বিক সহযোগিতায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পরে দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস, অনার্স কোর্স চালু, অনার্স ভবন, ছাত্রী নিবাস, শহীদমিনার নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন, বর্ষবরণ, নবীন বরন, বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগা, নিয়মিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ক্লাস শুরু করা এবং কলেজের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সহ নানা কর্মকান্ডে নিজেকে প্রতিটা মুহূর্ত যুক্ত রেখেছি৷ এর পরেও বলবো অত্র কলেজ থেকে আমি যা পেয়েছি হয়তোবা এর তুলনায় আমি কিছুই করতে পারিনি আর সে সময়ও সরকারের বিধিমালা আমাকে দেয়নি৷ এ বেলায় সকলের নিকট আমার এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করছি৷

    এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র বলেন, একজন প্রকৃত মানুষ তার মেধা, সততা, দক্ষতা, পরিশ্রম ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করে যে সফল হতে পারে কায়সার আহমেদ দুলাল স্যার তার বড় উদাহরণ৷ তিনি অবসরের কারনে আজ বিদায় নিলেও চরফ্যাশন সরকারি কলেজ তার সকল স্থাপনা, সৃষ্টি ও উদ্যোগের মধ্যে স্মরণ রাখবে অনন্তকাল৷

  • হাটহাজারী মাদ্রাসায় পীর সাহেব চরমোনাই আমীরে হেফাজতের সাথে সাক্ষাৎ

    হাটহাজারী মাদ্রাসায় পীর সাহেব চরমোনাই আমীরে হেফাজতের সাথে সাক্ষাৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    গতকাল ২৩/১২/ ২০২০ ইং বুধবার হাটহাজারীতে মাহফিল স্থলে আসার পূর্বেই পীর সাহেব চরমোনাই দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা তে প্রবেশ করেন, এসময় আমিরে হেফাজত
    আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ এর সহিত সাক্ষাৎ করেন। হযরতের সহিত কৌশল বিনিময়ে আমীরে হেফাজত – হাটহাজারীতে পীর সাহেব চরমোনাইর আগমনে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

    পরে সদ্য জাতির নিকট হইতে বিদায় নেওয়া মাদ্রাসার অভ্যন্তরে অবস্থিত ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রদূত শায়খুল ইসলাম
    আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহঃ) এর
    কবর জিয়ারত দোয়া করেন।

  • আল্লামা শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে, দাবি জুনায়েদ বাবুনগরী

    আল্লামা শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে, দাবি জুনায়েদ বাবুনগরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আল্লামা শফীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, দাবি জুনায়েদ বাবুনগরীর
    হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলন।

    হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে সংগঠনটির বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ‘মরহুম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ওপর কোনো নির্যাতন হয়নি। তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।’

    বুধবার (২৩ ডিসেম্বর ২০) সকাল সাড়ে ১১টায় হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

    আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার, হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হেফাজত নেতাদের জড়িয়ে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আফছার আজাহারী।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ্ বাবুনগরী, দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা নোমান ফয়েজী, মাওলামা ইয়াহিয়া, মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসিম উদ্দিন, হেফাজতের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরিসসহ হেফাজত নেতারা।

    উল্লেখ্য, আহমদ শফী হত্যার অভিযোগে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ হেফাজতের বর্তমান কমিটির ৩৬ জনের বিরুদ্ধে গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

  • হাতে নাও বাঁশের লাঠি ইয়াসিন আমিনী

    হাতে নাও বাঁশের লাঠি ইয়াসিন আমিনী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

    হাতে লও বাঁশের লাঠি
    ভেঙে দাও ওদের ঘাঁটি,
    বুঝিয়ে দাওরে তাদের
    স্বাধীন এই দেশের মাটি।।

    যেখানেই আসবে বাধা
    দাঁড়িয়ে যাও রে সদা
    তোমারই হুংকারে ভাই
    পালাবে শিয়াল গাধা।।

    কোরানের মাঠে আজি
    নেমেছে দুষ্টু পাজি
    চেতনার ব্যবসা নিয়ে
    করছে জীবন বাজি।।

    দিনদিন সাহস বাড়ে
    চড়ছে সবার ঘাড়ে
    ভেঙে দে ওদের পাঁজর
    জোরসে আছাড় মেরে।।

    চলছে হক্কের লড়াই
    বাতিল আজ করছে বড়াই
    হাতে হাত রেখে সবে
    চলো সব শুকর তাড়াই।।

    ওরা নাকি মটকাবে ঘাঁড়
    যেনো তারা পাগলাটে ষাঁড়!
    তাকবির ধ্বনি দিয়ে
    ভেঙে দাও পাঁজরের হাঁড়।।

    হক্বের কথা বলবো আমি
    বাধা দেয়ার কে রে তুমি?
    শহীদের রক্ত দিয়ে
    কিনেছি জন্মভূমি।।

  • স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে:সাবেক (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির

    স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে:সাবেক (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে হাজারো মা-বোনের ইজ্জতে এ দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের সকল গোত্রের মানুষ বসবাস করবে এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠী ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাতের সাথে জোট বেঁধে দেশে অরাজকতা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে, দেশ ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না।

    আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সহসভাপতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহসভাপতি শফর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান ,ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. হোসেন, চট্টগ্রাম নগর শ্রমিকলীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দীন খান প্রমুখ।

  • নলছিটির শুরু হলো ইরি ধানের রোপন

    নলছিটির শুরু হলো ইরি ধানের রোপন

    মোঃরাকিব”নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধ

     

    ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা। এই উপজেলাটি প্রাচীনকাল থেকেই বিখ্যাত ছিল ধান চাষের জন্য। তন্মধ্যে আন‍্যতম ছিল রোপা আমন, আউশ ও ইরি ধান। ইরি ধান উৎপাদনে দেশের বিখ্যাত এই অঞ্চলটি।

    তবে এই অঞ্চল বতর্মানে সবচেয়ে বিখ্যাত ইরি ধান চাষে। ইরি ধান রোপন করা হয় বাংলা পৌষ-মাঘ মাসের দিকে এবং ইংরেজি ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে। আর এখনই সেই সময়। ইতোমধ্যেই অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গেছে ইরি ধান রোপন। জমজমাট ভাবে চলছে এই কাজ।

    অত্র অঞ্চলের কৃষকরা ধান উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা যেভাবে মেটায়। ঠিক সেভাবে দেশের অন্য অঞ্চলের বিশেষ করে শহরের চাহিদা মেটাতেও ব‍্যাপক ভূমিকা পালন করে।

    তবে এই অঞ্চলের কৃষকদের অভিযোগ এত করে ধান উৎপাদন করেও শেষ পযর্ন্ত সঠিক মূল্য পাননা তারা। সরকারও তেমন কোনো উদ্যোগ নেননা ধান ক্রয় করার। যা উদ্যোগ নেন তা মুষ্টিমেয় কিছু মহল তাদের পছন্দের লোকদের কাছ থেকে কিনে নেন। যার ফলে বঞ্চিত হয় গরীব কৃষকরা।

    নলছিটি উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের কোকিলা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোঃ নূর ইসলাম জানান, ধান উৎপাদনে যে পরিমান খরচ হয় সে পরিমাণ লাভবান তারা হতে পারেননা।

    তিনি বলেন, বর্তমানে ধান বীজ থেকে শুরু করে সার, কীটনাশক সবকিছুতেই মাত্রাতিরিক্ত দাম। এখন একজন লোককে কাজে নিলে তাকে দিতে হয় কমপক্ষে পাঁচশত টাকা। কখনও কখনও ছয়শত টাকাও দিতে হয়। কিন্তু যখন ধান বিক্রি করতে যাই তখন ধানের কাঠি বিক্রি করতে হয় মাত্র চারশত টাকা বা তার চেয়ে একটু বেশিকম। তাই খরচ সংকুলান হয় ওঠে না তাদের।

    স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা দাবি জানান, সরকার যেন মাঠ পর্যায়ে ধান ক্রয় বাস্তবায়ন করে। যাতে তাদের মতো গরীব কৃষকরা একটু হলেও লাভবান হতে পারেন।

  • আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা : আসামী ৩৬ জন
    হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আমির, বাংলাদেশের সর্বপ্রভাবের আলেম, হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীসহ প্রায় ৩৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০) সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
    বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
    মামলায় বিশেষভাবে আসামী রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্বশীল। এর মধ্যে রয়েছেন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ সহ আরও অনেকে। আসামীদের সবার তালিকা এখনও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
    তবে মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফিকে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা মাইনুদ্দীন রুহী।

    তারা দাবি করে বলেন, ‘হুজুরের জীবদ্দশায় হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়। হুজুরের ওপর নির্যাতন করা হয়। গৃহবন্দী করে উনার খাবার-ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে উনাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে বাধা দেওয়া হয়। এভাবে নির্যাতন করে আহমদ শফী হুজুরকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

    সেই সেমিনারে বক্তারা আল্লামা শফী রহ. এর হত্যা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে রুহী বলেন, ‘আহমদ শফী হুজুরকে হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব। তদন্ত হোক, অসুবিধা কি? তদন্ত হলে কাদের এত ভয় ! সমস্যাটা কোথায়?’

    এ সেমিনারে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীপূত্র মাওলানা আনাস মাদানীসহ আল্লামা শফী রহ. এর অনুসারীদের মধ্যে আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

    দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সহ সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫(সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য,প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
    তিনি বলেন, “১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করে নেয়া বাঙালি আর রাজপথ ছাড়েনি। পাকিস্তানি অপশাসনে নিপীড়িত, অত্যাচারিত এদেশের আপামর মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অবশেষে ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    তিনি আরো বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ১৯৭১ সনের ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানের জনসমাবেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাকে হৃদয়ে ধারণ করে দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এ জাতি।

    ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চের কাল রাত্রি থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি তথা স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে। আজ এই মহান বিজয়ের দিনে আমি সশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুইলক্ষাধিক সম্রম হারানো মা-বোনকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের।

  • আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী স্মরনে নেজামে ইসলাম পার্টির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী স্মরনে নেজামে ইসলাম পার্টির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী স্মরনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির উদ্যোগে আজ এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত এবং দরাজাত বুলন্দী কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার।

    সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে বাংলাদেশের ইসলামী অঙ্গনের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হবার নয়। আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশ জাতির অধিকার এবং ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় যে অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সহকারী মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, পার্টির সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দপ্তর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী প্রচার সম্পাদক মুফতি এবিএম শরীফুল্লাহ, হেফাজত নেতা মাওলানা মাহবুব বিন আনাস, পার্টির মহানগর নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতী মুহিউদ্দীন, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব ইহতিশামুল হক পাখি, ছাত্র নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

  • ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

    ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

     

    মোঃরাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রাণ উজার করা সন্মান ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। ১৯৭১ সাল বাঙালি জাতির মুক্তির বছর। এ বছরের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি শত্রু বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার বুকের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

    ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যার করার ঠিক দুইদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উদয় হয়।

    এই দিবসটি জাতীয় ভাবে ব‍্যাপক আকারে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি অ‍্যাডঃ মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন। তবে এবছর করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।

    কর্মসূচিরগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ইত্যাদি।