Category: সারাদেশ

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে মাওলানা আনাস মাদানীর শোকপ্রকাশ

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে মাওলানা আনাস মাদানীর শোকপ্রকাশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত পরিচালক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে শোকপ্রকাশ করেছেন, আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যা বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মেহেরিয়া মুঈনুল ইসলাম সরফভাটা রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের সম্মানিত মহাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী সাহেব দাঃ বাঃ।

    আজ (১৩ ডিসেম্বর ২০) রবিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশের ইসলামী রাজনীতির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন, কোরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্রের মুকাবিলা করতে তিনি প্রথম সারিতেই থাকতেন।

    তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে আল্লামা কাসেমীর সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। দেশে ইসলামি শিক্ষা বিস্তার এবং দ্বীনি আন্দোলনে প্রায় সময় হযরত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি আমার বাবা মরহুম শাইখুল ইসলাম রহঃ এর আস্থাবান ব্যক্তি ছিলেন।

    তিনি আরো বলেন, এলমে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে হযরতের ভূমিকা কওমি অঙ্গনে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন সংগঠন এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। দেশের এই অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে হযরতের মাগফিরাত কামনা করছি।

    দেশজুড়ে আল্লামা কাসেমীর রুহানি সন্তান, শোকসন্তপ্ত পরিবার,সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    উল্লেখ্য, আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার বেলা ১ টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ হযরতের কবরকে জান্নাতের বাগান করে দিন। (আমিন)

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

    শোক বার্তা

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিআ মাদনিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত পরিচালক ও বিশিষ্ট আলেমে দীন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

    আজ রবিবার দুপুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম এক যৌথ শোকবার্তায় আল্লামা কাসেমীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লামা কাসেমী এদেশের একজন প্রবীন আলেম এবং ইসলামী রাজনীতিতে একজন অভিভাবকতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির মাঝে ইসলামী ও ইলমী অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো; তা কখনো পূরণ হবার নয়। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং তাঁর কবরকে নূরে রহমত দ্বারা ভরপুর করে দিন। আমীন।

    বার্তা প্রেরক
    কে এম শরীয়াতুল্লাহ
    কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

  • ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

    ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

     

    সাহিদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি।

     

    স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ),
    ভোলা জেলাধীন চরফ্যাসন উপজেলায়
    প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কে আহবায়ক,ইয়াহ ইয়া ইসলাম মনির কে যুগ্ন-আহ্বায়ক, মোঃ নূর হোসেন কে যুগ্ন আহ্বায়ক এবং প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম ভূঁইয়া কে সদস্য সচিব করে ৩১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।

    শনিবার ১২/১২/২০২০ ইং তারিখে জেলা কমিটির আহ্বায়ক সহিদুল ইসলাম শামীম ও সদস্য সচিব মীর মোঃ শরীফ স্বাক্ষরিত এ কমিটি ঘোষণা করেন।

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার শোক

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার শোক

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিআ মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত মুহতামীম ও বিশিষ্ট আলেমে দীন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আজ দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলা শাখা।

    সংগঠনের মুহতারাম জেলা ছদর মাওলানা মোজাম্মেলুল হক, সাধারণ সম্পাদক মু.সাইফুদ্দীন দৌলতপুরী ও যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী এক যৌথ শোকবার্তায় আল্লামা কাসেমীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লামা কাসেমী এদেশের একজন প্রবীন আলেম এবং ইসলামী রাজনীতিতে একজন অভিভাবকতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির মাঝে ইসলামী ও ইলমী অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো; তা কখনো পূরণ হবার নয়। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং তাঁর কবরকে নূরে রহমত দ্বারা ভরপুর করে দিন। আমীন।

    বার্তা প্রেরক
    আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী
    প্রচার সম্পাদকঃ
    বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি
    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা

  • আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ির শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে

    আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ির শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর লক্ষ কোটি তৌহিদি জনতার প্রাণের স্পন্দন শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাফিযাহুল্লাহুকে নিয়ে কটুক্তি ও বিষোদগারের জন্য ফটিকছড়ি আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে দেশবাসী ও ফটিকছড়ির সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা শাহজাহানকে সমুচিত জবাব দিতে বাধ্য হবে।

    আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এদেশের লক্ষ কোটি মুমিন মুসলমানের প্রাণের স্পন্দন। আল্লামা বাবুনগরী হাফিযাহুল্লাহকে নিয়ে শাহজাহানের দেওয়া আক্রমণাত্বক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মতো দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীনকে নিয়ে শাহজাহানের এমন বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি। দেশের শীর্ষ একজন আলেমকে নিয়ে এমন বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্য-ই প্রমাণ করে শাহজাহান কতটা নিম্নশ্রেণীর ও ইতর প্রকৃতির মানুষ। বিবেক বুদ্ধি ও মনুষ্যত্ববোধ থাকলে তার বাবার বয়সের শ্রদ্ধেয় একজন মুরুব্বি আলেমকে নিয়ে কখনো এমন মন্তব্য করতো না এই কুখ্যাত শাহজাহান।

    শাহজাহানের মনে রাখা উচিত-
    আল্লামা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ফটিকছড়ির কৃতি সন্তান হলেও তিনি এশিয়ার গৌরব,গোটা বাংলাদেশের গৌরব। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ইসলামি ব্যক্তিত্ব। সত্যের আহবানে সদাজাগ্রত একজন বীর তিনি। আল্লামা বাবুনগরী একটি ইতিহাস,একটি বিপ্লব। তিনি এদেশের লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতার প্রাণের স্পন্দন,সাহসের প্রতীক ও আশার আলো। ঈমানী চেতনায় বলিয়ান বাতিলের বিরুদ্ধে এক সাহসী বীর আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হকের পক্ষে আপোষহীন একজন বীর সিপাহসালার। ন্যায় ও সত্যের পক্ষে তিনি নির্ভিক। বাতিলের রক্তচক্ষু কখনো ভয় করেন না। মাঠে ময়দানে ঈমানদীপ্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠে হকের কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ লক্ষ কোটি মুমিন মুসলমানের আস্থা বিশ্বাস ও ভালবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। লক্ষ কোটি মুমিনের প্রাণের স্পন্দন আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য অনতিবিলম্বে শাহজাহান যদি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

    কুলাঙ্গার শাহজাহান! মনে রেখো।
    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী যদি আবারো ময়দানে আসার ডাক দেন তাহলে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিলের লংমার্চ আর ৫ ই মে’র ঢাকা অবরোধের মতো লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা জান বাজি রেখে রাজপথে নেমে আসবে। তখন তোমার মতো শাহজাহানের কোন হদিস পাওয়া যাবে না।

    এদেশে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর হাতে গড়া হাজার হাজার ছাত্র,
    ভক্তবৃন্দ,শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী রয়েছে। শাহজাহানের এমন আক্রমনাত্মক বক্তব্যে সকলের মনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আল্লামা বাবুনগরীর ভক্তবৃন্দ ফুঁসে উঠলে চুনোপুঁটি শাহজাহানদের অস্তিত্বও ফটিকছড়িতে খোঁজে পাওয়া যাবে না। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে ফটিকছড়িবাসী শাহজাহানকে বয়কট করবে,এবং তাকে যেখানে পাবে সেখানেই প্রতিহত করবে।

    আমরা শান্তিপ্রিয়,দেশে শান্তির পরিবেশ চাই। আমরা কখনো আগ বাড়িয়ে সংঘাতে জড়াই না। তবে কেহ গায়ে পড়ে সংঘাতে জড়াতে এলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেই। ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ শাহবাগীরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরও আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। তবে ধৈর্যেরও একটা সীমা রয়েছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে আমরা ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেবো।

    সুস্পষ্ট ভাষায় বলছি-অনতিবিলম্বে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সহ শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে অশালীন ও বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্যের এই ঘৃণ্য খেলা বন্ধ না হলে দেশের লক্ষ কোটি তৌহিদি জনতা সমুচিত জবাব দেবে,ইনশাআল্লাহ।

  • আজহারীর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী

    আজহারীর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী

    ইসলামিক ডেস্ক ও মিডিয়া

    বাংলাদেশের সুপরিচিত ইসলামিক স্কলার, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও মুফাচ্ছির, বাংলার কোটি যুবকের হৃদয়ের স্পন্দন= আল্লামা ডঃ মিজানুর রহমান আল আজহারী সাহেব-এর পেইজ থেকে

    আলহামদুলিল্লাহ.. অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত আমার গত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী কমেন্টস এসেছে। আমি উল্লেখযোগ্য প্রায় সবগুলো কমেন্টসই পড়ার চেষ্টা করেছি। সুবহান আল্লাহ! আপনাদের চমৎকার ও কন্স্ট্রাক্টিভ পরামর্শগুলো আমায় আবেগাপ্লুত করেছে। অসাধারণ এই পরামর্শগুলোর জন্য আন্তরিক শুকরিয়া। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দিন। আপনাদের দেয়া সুন্দর পরামর্শগুলো আমরা মাথায় রাখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

    আসন্ন চ্যানেলটির ব্যাপারে ইতিমধ্যে যে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি:

    ১- সম্ভাব্য “Mizanur Rahman Azhari-Official” নামে চ্যানেলটি যাত্রা শুরু করবে। চ্যানেলটি ক্রিয়েট করার পর, চ্যানেলটির প্রকৃত নাম এবং চ্যানেলটির লিংক শীঘ্রই আপনাদেরকে জানানো হবে।

    ২- চ্যানেলটিতে মনিটাইজেশন করা হবে না এবং এডস্যান্স থাকবে না। ফলে আলোচনার মাঝখানে কোন এড শো করবে না, যা কিনা বিরক্তির এবং শ্রোতাদের মনোযোগ নষ্ট করে।

    ৩- চ্যানেলটি নিছক দা’ওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে।

    ৪- জানুয়ারি থেকে কিছু বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর দিয়ে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক সিরিজ গুলো আমরা শুরু করবো বলে আশা রাখছি।

    ৫- ইউটিউবার ভাইয়েরা যারা মাহফিলের রেকর্ডিং করে থাকেন, তাদের কেউ কেউ ম্যাসেজ করে জানতে চেয়েছেন যে— “তাহলে এখন থেকে আমরা কি দেশে আপনার কোন আলোচনা রেকর্ডিং এর সুযোগ পাব না”?

    ইনশাআল্লাহ, মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর এই নগন্য গোলামকে দেশে এসে আবার কথা বলার সুযোগ করে দিলে, আপনারাও রেকর্ডিং এর সুযোগ পাবেন। তবে সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে, প্রফেশনাল ম্যানারে এবং দা’ওয়াহ উদ্দেশ্যে যারা কাজ করবেন শুধু তারাই। আর, বারবার সতর্কতা প্রদানের পরও বিভিন্ন অশ্লীল, অশালীন, সামঞ্জস্যহীন এবং মানহীন থাম্বনেইল দিয়ে ভিডিও আপলোড করে, দ্বীন প্রচারের এই উর্বর ময়দানটিকে যারা কলুষিত করছেন তাদেরকে শুধু একটি কথাই বলব— ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া কামাতে গিয়ে চিরস্থায়ী আখিরাত বর্বাদ করবেন না।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাঁর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন। আমিন।

    Let’s work for Islam in a professional manner.

  • জাতীয় শীর্ষ তিন আলেমকে হয়রানির অপচেষ্টা তৌহিদী জনতা প্রতিহত করবে: মাওলানা মুসা বিন ইযহার

    জাতীয় শীর্ষ তিন আলেমকে হয়রানির অপচেষ্টা তৌহিদী জনতা প্রতিহত করবে: মাওলানা মুসা বিন ইযহার

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেছেন, নাস্তিক্যবাদের দোসর, ব্রাহ্মণ্যবাদী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারী, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ভুঁইফোড় সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্তৃক হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানীত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ষড়যন্ত্র করে হয়রানির অপচেষ্টা দেশের আপামর তৌহিদি জনতা প্রতিহত করবে, ইনশাআল্লাহ।

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    মাওলানা মুসা বিন ইযহার আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম দিয়ে ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ভুঁইফোড় এই সংগঠনটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার ঘৃন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশপ্রেমিক বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের একের পর এক সন্ত্রাসমূলক জঙ্গি তৎপরতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

    তিনি বলেন, মানুষকে ভ্রান্তি, কুফর শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব। সেই দায় থেকে মানুষের প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য নির্মাণের মত একটি জঘন্য গুনাহের কাজের বিরোধিতা করায় ওলামায়ে কেরামের মানহানি এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও সমালোচনা করার মাধ্যমে একটি মহল কোরআন সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিধান এর বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে খোদাদ্রোহিতায় লিপ্ত হয়েছে। জাতীয় জীবনে ও সাম্প্রদায়িক ক্ষেত্রে উস্কানিমূলক অপতৎপরতার মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি কারি এই মহলের ঘৃন্য কর্মকাণ্ড দেশের আপামর তৌহিদী জনতা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।

    পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারীর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দফতর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী, সহকারী অর্থ সচিব মাওলানা আনোয়ারুল কবীর, ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, তসলীমুদ্দীন আহমদ, ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব ইহতিশামুল হক সাখী এবং ছাত্রনেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

    সভায় আগামী ২৮ জনুয়ারি ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য পার্টির জাতীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে জাতীয় সম্মেলন কে সফল করার জন্য পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

  • কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    কোরআন এবং হাদিসের আলোকে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ হারাম বলে দাবি করেছেন দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিরা। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, এসব মূর্তি-ভাস্কর্য ভাঙার দায়িত্ব সরকারের।

    গতকাল ৩ ডিসেম্বর ( বৃহস্পতিবার) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে জনমনের বিভ্রান্তি নিরসনে দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিদের ফতোয়া প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঐ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের শীর্ষ আলেমরা।

    উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি উদ্যোগে ভাস্কর্য নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ভাস্কর্য নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

    কেউ বলছেন ভাস্কর্যের পক্ষে আবার কেউ বলছেন ভাস্কর্যের বিপক্ষে। এ নিয়ে পাল্টা পাল্টিভাবে জবাব চলছে। ফলে জাতীয়ভাবে এ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে।

    ভাস্কর্য ও মূর্তির ব‍্যাপারে শরীয়াহ বিধান নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি।
    “ তবে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মূর্তি ও ভাস্কর্য জায়েজ-নাজায়েজ হালাল-হারাম সংক্রান্ত ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ক যে কেউ যেখান থেকে পারছেন মন্তব্য করছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন।

    তাই এভাবে ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ে সম্যক অবগত না হয়ে যত্রতত্র এ জাতীয় বক্তব্য প্রদান করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় এবং একটি উদ্বেগজনক বিষয়। সেই বিষয়ের উপর লক্ষ রেখে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও মুফতি সাহেবদের পক্ষ থেকে ভাস্কর্য ও মূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়ে একটি সম্মিলিত ফতোয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ”

    শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ফতোয়াটি উপস্থাপন করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি এনামুল হক কাসেমী।

    লিখিত ঐ সম্মিলিত ফতোয়ায় তিনি বলেন, “মানুষ বা অন্য যে কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোনো পার্থক্য নেই। পূজার জন্য তৈরি করা না হলেও তা সন্দেহাতীতভাবে নাজায়েজ ও স্পষ্ট হারাম কাজ এবং কঠিন আজাবযোগ্য গুনাহ। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধানকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে বানোয়াট পার্থক্য তৈরি করে প্রাণীর ভাস্কর্যকে বৈধতা দিয়ে সত্য গোপন করা স্পষ্টভাবেই কোরআন ও সুন্নাহর বিধান অমান্য করার নামান্তর। ”

    ঐ সংবাদ সম্মেলনে মুফতি এনামুল হক কাসেমী বলেন, “উপরন্তু যেখানে কোরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে সেখানে সেই বিধানের সামনে বিভিন্ন দেশের ভাস্কর্য ও মূর্তির উদাহরণ টেনে আনা ইসলামের একটি অকাট্য বিধানের অবজ্ঞা করার শামিল। কোন মুসলিম দেশের শাসক শরিয়ত বিরোধী কাজ করলে সেটা মুসলমান জাতির জন্য অনুসরণযোগ্য নয়। তাদের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় হচ্ছে আল কোরআন, সুন্নাহ এবং ইসলামী শরীয়ত।

    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি আরশাদ রহমানি, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা এনামুল হক কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলামসহ প্রমুখ শীর্ষ আলেমগন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত সম্মিলিত ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৯৫ জন মুফতি ও মাওলানা সহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।

  • ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    মামুনুল হকের প্রতিবেদক

     

    ভাস্কর্য ইস্যুটি সরকারের জন্য উভয়সংকটে পরিণত হয়েছে ৷ যেহেতু তারা নিজেরাই ভাস্কর্য ও বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষাকে এক ও অভিন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে ৷ এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা তাদের দলীয় জয়-পরাজয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে ৷ অপরদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য তথা মূর্তি স্থাপন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এমন একটি বিষয় যা মেনে নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই ৷ ফলে ধর্মবেত্তা ইসলামী নেতৃত্বের সামনে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই ৷ হয়তো তারা রাস্ট্র এবং সরকারের সাথে মুখোমুখি সংঘাতে লিপ্ত হবেন না, কিন্তু এটিকে মেনে নিলে ঈমানী আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই ৷ এমন পরিস্থিতি সরকারের জন্য উভয়সংকট ৷ যদি ক্ষমতার জোরে, প্রশাসনের উপর নির্ভর করে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করে তবে ইসলামপন্থী ও আলেম-ওলামাদের সাথে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে যতটুকু দূরত্ব ঘুচিয়েছিল বিষয়টি আবার সেই জায়গায় গড়িয়ে যাবে ৷ আলেমসমাজ বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না ৷ অপরদিকে যদি ভাস্কর্য স্থাপন থেকে পিছিয়ে পড়ে তাহলে দেশী ও আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষীদের রোষানলে পড়তে হবে সরকারকে ৷ তাদের কাছে স্পষ্ট মেসেজ যাবে, সরকার ইসলাম পন্থীদের সামনে নতি স্বীকার করছে ৷ এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়ার মত ঘনিষ্ঠ জায়গাগুলোতে যারা রয়েছে তারাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ ৷ একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য, দেশের মধ্যে একটি সংঘাতমূলক পরিবেশ তৈরি করার জন্য তারাই দায়ী ৷
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতৃত্ব ও অবদানের মাধ্যমে এমন এক আসনে আসীন হয়েছেন যে, তার চেতনা ও কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজন নেই ৷ এমন পরিস্থিতির দিকে একটি পক্ষকে ঠেলে দেয়া মূলত চাটুকার শ্রেণীর কাজ ৷

    চাটুকারশ্রেণীর মধ্যে নিকৃষ্টতম শ্রেণী হলো তারা যারা সরকারকে খুশি করার জন্য ভাস্কর্যের অনুকূলে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছু উদ্ধৃতি সরবরাহ করছে ৷ কুরআন- সুন্নাহর ন্যূনতম জ্ঞান যাদের আছে তারা একথা বিশ্বাস করবে যে,ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণের কোন অবকাশ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনীত ধর্মের মধ্যে নেই ৷ যে নবীর অন্যতম প্রধান মিশন ছিল মূর্তি নির্মূল করা, যে কুরআনের অন্যতম মৌলিক শিক্ষা হলো মূর্তিকে উৎখাত করা, সেই নবীর আদর্শ ও সেই কুরআনের উদ্ধৃতিতে মূর্তির বৈধতা প্রমাণ করতে যাওয়া কত বড় ধৃষ্টতা, তা কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে অবগত যে কেউই অনুমান করতে পারে ৷ সরকারকে যারা এই ধরনের ধৃষ্টতার কানপড়া দিচ্ছে তাদেরকে বলা হয় ওলামায়ে ছু-নিকৃষ্টতম আলেম ৷ এক্ষেত্রে সরকারের নিকট গ্রহণযোগ্য ও আস্থাভাজন হাক্কানী আলেমদের বড় দায়িত্ব ৷ তাদের দায়িত্ব, সরকারের সম্মুখে বিষয়টি খোলাসা করা ৷ মূর্তি নির্মাণ বিষয়ে ইসলামের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গির কথা বোঝানো ৷ অন্তত একথা তো বোঝাতেই হবে যে, ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ তার ওপর সেটিকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বৈধ প্রমাণের চেষ্টা “চুরির উপর সিনাজুরি” বৈ কিছুই নয় ৷
    তবে সবার আগে সম্মিলিতভাবে সকল মাসলাক- মাশরাবের আলেম সমাজের ঐক্যবদ্ধ একটি মতামত জাতির সামনে আসা উচিত ৷ সরকারকেও জানানো উচিত ৷ আশা করি আলেমসমাজ সেই পদক্ষেপ নিবেন এবং এই আশাও আমরা ছাড়ছিনা যে, সরকারের বোধোদয় হবে এবং তারা এই আত্মঘাতী পথ থেকে যেকোন মূল্যে পিছু হটবে ৷

    সৌজন্যে:
    মাসিক রাহমানী পয়গাম
    নভেম্বর’২০

  • খেলা হবে: মাওলানা মামুনুল হককে নিক্সন চৌধুরী

    খেলা হবে: মাওলানা মামুনুল হককে নিক্সন চৌধুরী

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

    খেলাফত মজলিশের ভারপ্রাপ্ত মাহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

    বরাবরের মতোই স্টাইলিশ ভঙ্গিতে এমপি নিক্সন বলেন, ‘মামুনুল হক কারে চ্যালেঞ্জ করে? শেখ হাসিনারে চ্যালেঞ্জ করে! ব্যাডা কী পাগল…? মাথায় কি বুদ্ধি কম? আরে শেখ হাসিনা তো অনেক উপরের বিষয়। আজ সারাদেশে যুবলীগের সঙ্গে লইড়া দেখেন। আসেন, দেখেন খেলা হবে। এই যুবলীগের সঙ্গে এক মিনিট লড়ার ক্ষমতা আপনার নেই।’

    আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের পুরোনো রেলস্টেশন চত্বরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঐ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলমকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

    যুবলীগ নেতা নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সাথে ফাঁপরবাজি কইরেন না। কোন দেশের টাকা খাইছেন, হঠাৎ কইরা চাঙা দিয়া উঠছেন। ওইসব দেশের দালালি বন্ধ করেন, এটা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশ।’

    নিক্সন আরও বলেন, ‘যুবলীগ যদি মাঠে নামে ওস্তাদ দৌড়াইয়া কূল পাবেন না ওস্তাদ। তাই আমার নেত্রীরে চ্যালেঞ্জ জানানোর আগে নেত্রীর সন্তানদের সঙ্গে একটু বুঝপারা কইরা নেন। তাই এমন ধমক দিয়েন না। দালালি করেন অন্য দেশের। দালালি কইরা মাল খাইছেন, হেই মাল খাইয়া এহন ভাব নেন, চ্যালেঞ্জ করেন।’

    মাওলানা মামুনুল হককে তেলাপোকার সাথে তুলনা করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আরে মিয়া তেলাপোকাও পাখি, আর আপনিও মানুষ। যদি সাহস থাকে তাহলে আসেন মাঠে আসেন। মাঠে খেলা হবে। আমাদের ভয় দেখাবেন না। আমাদের মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত পুরাটাই কইলজা।