Category: সারাদেশ

  • আজহারীর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী

    আজহারীর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী

    ইসলামিক ডেস্ক ও মিডিয়া

    বাংলাদেশের সুপরিচিত ইসলামিক স্কলার, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও মুফাচ্ছির, বাংলার কোটি যুবকের হৃদয়ের স্পন্দন= আল্লামা ডঃ মিজানুর রহমান আল আজহারী সাহেব-এর পেইজ থেকে

    আলহামদুলিল্লাহ.. অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সংক্রান্ত আমার গত স্ট্যাটাসটিতে ষাট হাজারেরও বেশী কমেন্টস এসেছে। আমি উল্লেখযোগ্য প্রায় সবগুলো কমেন্টসই পড়ার চেষ্টা করেছি। সুবহান আল্লাহ! আপনাদের চমৎকার ও কন্স্ট্রাক্টিভ পরামর্শগুলো আমায় আবেগাপ্লুত করেছে। অসাধারণ এই পরামর্শগুলোর জন্য আন্তরিক শুকরিয়া। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দিন। আপনাদের দেয়া সুন্দর পরামর্শগুলো আমরা মাথায় রাখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

    আসন্ন চ্যানেলটির ব্যাপারে ইতিমধ্যে যে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি:

    ১- সম্ভাব্য “Mizanur Rahman Azhari-Official” নামে চ্যানেলটি যাত্রা শুরু করবে। চ্যানেলটি ক্রিয়েট করার পর, চ্যানেলটির প্রকৃত নাম এবং চ্যানেলটির লিংক শীঘ্রই আপনাদেরকে জানানো হবে।

    ২- চ্যানেলটিতে মনিটাইজেশন করা হবে না এবং এডস্যান্স থাকবে না। ফলে আলোচনার মাঝখানে কোন এড শো করবে না, যা কিনা বিরক্তির এবং শ্রোতাদের মনোযোগ নষ্ট করে।

    ৩- চ্যানেলটি নিছক দা’ওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে।

    ৪- জানুয়ারি থেকে কিছু বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর দিয়ে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক সিরিজ গুলো আমরা শুরু করবো বলে আশা রাখছি।

    ৫- ইউটিউবার ভাইয়েরা যারা মাহফিলের রেকর্ডিং করে থাকেন, তাদের কেউ কেউ ম্যাসেজ করে জানতে চেয়েছেন যে— “তাহলে এখন থেকে আমরা কি দেশে আপনার কোন আলোচনা রেকর্ডিং এর সুযোগ পাব না”?

    ইনশাআল্লাহ, মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর এই নগন্য গোলামকে দেশে এসে আবার কথা বলার সুযোগ করে দিলে, আপনারাও রেকর্ডিং এর সুযোগ পাবেন। তবে সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে, প্রফেশনাল ম্যানারে এবং দা’ওয়াহ উদ্দেশ্যে যারা কাজ করবেন শুধু তারাই। আর, বারবার সতর্কতা প্রদানের পরও বিভিন্ন অশ্লীল, অশালীন, সামঞ্জস্যহীন এবং মানহীন থাম্বনেইল দিয়ে ভিডিও আপলোড করে, দ্বীন প্রচারের এই উর্বর ময়দানটিকে যারা কলুষিত করছেন তাদেরকে শুধু একটি কথাই বলব— ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া কামাতে গিয়ে চিরস্থায়ী আখিরাত বর্বাদ করবেন না।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাঁর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন। আমিন।

    Let’s work for Islam in a professional manner.

  • জাতীয় শীর্ষ তিন আলেমকে হয়রানির অপচেষ্টা তৌহিদী জনতা প্রতিহত করবে: মাওলানা মুসা বিন ইযহার

    জাতীয় শীর্ষ তিন আলেমকে হয়রানির অপচেষ্টা তৌহিদী জনতা প্রতিহত করবে: মাওলানা মুসা বিন ইযহার

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেছেন, নাস্তিক্যবাদের দোসর, ব্রাহ্মণ্যবাদী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারী, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ভুঁইফোড় সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্তৃক হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানীত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ষড়যন্ত্র করে হয়রানির অপচেষ্টা দেশের আপামর তৌহিদি জনতা প্রতিহত করবে, ইনশাআল্লাহ।

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    মাওলানা মুসা বিন ইযহার আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম দিয়ে ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ভুঁইফোড় এই সংগঠনটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার ঘৃন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশপ্রেমিক বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের একের পর এক সন্ত্রাসমূলক জঙ্গি তৎপরতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

    তিনি বলেন, মানুষকে ভ্রান্তি, কুফর শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব। সেই দায় থেকে মানুষের প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য নির্মাণের মত একটি জঘন্য গুনাহের কাজের বিরোধিতা করায় ওলামায়ে কেরামের মানহানি এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও সমালোচনা করার মাধ্যমে একটি মহল কোরআন সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিধান এর বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে খোদাদ্রোহিতায় লিপ্ত হয়েছে। জাতীয় জীবনে ও সাম্প্রদায়িক ক্ষেত্রে উস্কানিমূলক অপতৎপরতার মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি কারি এই মহলের ঘৃন্য কর্মকাণ্ড দেশের আপামর তৌহিদী জনতা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।

    পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারীর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দফতর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী, সহকারী অর্থ সচিব মাওলানা আনোয়ারুল কবীর, ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, তসলীমুদ্দীন আহমদ, ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব ইহতিশামুল হক সাখী এবং ছাত্রনেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

    সভায় আগামী ২৮ জনুয়ারি ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য পার্টির জাতীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে জাতীয় সম্মেলন কে সফল করার জন্য পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

  • কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    কোরআন এবং হাদিসের আলোকে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ হারাম বলে দাবি করেছেন দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিরা। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, এসব মূর্তি-ভাস্কর্য ভাঙার দায়িত্ব সরকারের।

    গতকাল ৩ ডিসেম্বর ( বৃহস্পতিবার) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে জনমনের বিভ্রান্তি নিরসনে দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিদের ফতোয়া প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঐ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের শীর্ষ আলেমরা।

    উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি উদ্যোগে ভাস্কর্য নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ভাস্কর্য নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

    কেউ বলছেন ভাস্কর্যের পক্ষে আবার কেউ বলছেন ভাস্কর্যের বিপক্ষে। এ নিয়ে পাল্টা পাল্টিভাবে জবাব চলছে। ফলে জাতীয়ভাবে এ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে।

    ভাস্কর্য ও মূর্তির ব‍্যাপারে শরীয়াহ বিধান নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি।
    “ তবে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মূর্তি ও ভাস্কর্য জায়েজ-নাজায়েজ হালাল-হারাম সংক্রান্ত ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ক যে কেউ যেখান থেকে পারছেন মন্তব্য করছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন।

    তাই এভাবে ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ে সম্যক অবগত না হয়ে যত্রতত্র এ জাতীয় বক্তব্য প্রদান করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় এবং একটি উদ্বেগজনক বিষয়। সেই বিষয়ের উপর লক্ষ রেখে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও মুফতি সাহেবদের পক্ষ থেকে ভাস্কর্য ও মূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়ে একটি সম্মিলিত ফতোয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ”

    শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ফতোয়াটি উপস্থাপন করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি এনামুল হক কাসেমী।

    লিখিত ঐ সম্মিলিত ফতোয়ায় তিনি বলেন, “মানুষ বা অন্য যে কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোনো পার্থক্য নেই। পূজার জন্য তৈরি করা না হলেও তা সন্দেহাতীতভাবে নাজায়েজ ও স্পষ্ট হারাম কাজ এবং কঠিন আজাবযোগ্য গুনাহ। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধানকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে বানোয়াট পার্থক্য তৈরি করে প্রাণীর ভাস্কর্যকে বৈধতা দিয়ে সত্য গোপন করা স্পষ্টভাবেই কোরআন ও সুন্নাহর বিধান অমান্য করার নামান্তর। ”

    ঐ সংবাদ সম্মেলনে মুফতি এনামুল হক কাসেমী বলেন, “উপরন্তু যেখানে কোরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে সেখানে সেই বিধানের সামনে বিভিন্ন দেশের ভাস্কর্য ও মূর্তির উদাহরণ টেনে আনা ইসলামের একটি অকাট্য বিধানের অবজ্ঞা করার শামিল। কোন মুসলিম দেশের শাসক শরিয়ত বিরোধী কাজ করলে সেটা মুসলমান জাতির জন্য অনুসরণযোগ্য নয়। তাদের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় হচ্ছে আল কোরআন, সুন্নাহ এবং ইসলামী শরীয়ত।

    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি আরশাদ রহমানি, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা এনামুল হক কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলামসহ প্রমুখ শীর্ষ আলেমগন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত সম্মিলিত ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৯৫ জন মুফতি ও মাওলানা সহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।

  • ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    ভাস্কর্য ইস্যু সরকারের জন্য উভয়সঙ্কটে পরিণত? = মাওলানা মামুনুল হক

    মামুনুল হকের প্রতিবেদক

     

    ভাস্কর্য ইস্যুটি সরকারের জন্য উভয়সংকটে পরিণত হয়েছে ৷ যেহেতু তারা নিজেরাই ভাস্কর্য ও বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষাকে এক ও অভিন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে ৷ এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা তাদের দলীয় জয়-পরাজয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে ৷ অপরদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য তথা মূর্তি স্থাপন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এমন একটি বিষয় যা মেনে নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই ৷ ফলে ধর্মবেত্তা ইসলামী নেতৃত্বের সামনে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই ৷ হয়তো তারা রাস্ট্র এবং সরকারের সাথে মুখোমুখি সংঘাতে লিপ্ত হবেন না, কিন্তু এটিকে মেনে নিলে ঈমানী আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই ৷ এমন পরিস্থিতি সরকারের জন্য উভয়সংকট ৷ যদি ক্ষমতার জোরে, প্রশাসনের উপর নির্ভর করে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করে তবে ইসলামপন্থী ও আলেম-ওলামাদের সাথে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে যতটুকু দূরত্ব ঘুচিয়েছিল বিষয়টি আবার সেই জায়গায় গড়িয়ে যাবে ৷ আলেমসমাজ বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না ৷ অপরদিকে যদি ভাস্কর্য স্থাপন থেকে পিছিয়ে পড়ে তাহলে দেশী ও আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষীদের রোষানলে পড়তে হবে সরকারকে ৷ তাদের কাছে স্পষ্ট মেসেজ যাবে, সরকার ইসলাম পন্থীদের সামনে নতি স্বীকার করছে ৷ এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়ার মত ঘনিষ্ঠ জায়গাগুলোতে যারা রয়েছে তারাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ ৷ একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য, দেশের মধ্যে একটি সংঘাতমূলক পরিবেশ তৈরি করার জন্য তারাই দায়ী ৷
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতৃত্ব ও অবদানের মাধ্যমে এমন এক আসনে আসীন হয়েছেন যে, তার চেতনা ও কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজন নেই ৷ এমন পরিস্থিতির দিকে একটি পক্ষকে ঠেলে দেয়া মূলত চাটুকার শ্রেণীর কাজ ৷

    চাটুকারশ্রেণীর মধ্যে নিকৃষ্টতম শ্রেণী হলো তারা যারা সরকারকে খুশি করার জন্য ভাস্কর্যের অনুকূলে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছু উদ্ধৃতি সরবরাহ করছে ৷ কুরআন- সুন্নাহর ন্যূনতম জ্ঞান যাদের আছে তারা একথা বিশ্বাস করবে যে,ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণের কোন অবকাশ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনীত ধর্মের মধ্যে নেই ৷ যে নবীর অন্যতম প্রধান মিশন ছিল মূর্তি নির্মূল করা, যে কুরআনের অন্যতম মৌলিক শিক্ষা হলো মূর্তিকে উৎখাত করা, সেই নবীর আদর্শ ও সেই কুরআনের উদ্ধৃতিতে মূর্তির বৈধতা প্রমাণ করতে যাওয়া কত বড় ধৃষ্টতা, তা কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে অবগত যে কেউই অনুমান করতে পারে ৷ সরকারকে যারা এই ধরনের ধৃষ্টতার কানপড়া দিচ্ছে তাদেরকে বলা হয় ওলামায়ে ছু-নিকৃষ্টতম আলেম ৷ এক্ষেত্রে সরকারের নিকট গ্রহণযোগ্য ও আস্থাভাজন হাক্কানী আলেমদের বড় দায়িত্ব ৷ তাদের দায়িত্ব, সরকারের সম্মুখে বিষয়টি খোলাসা করা ৷ মূর্তি নির্মাণ বিষয়ে ইসলামের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গির কথা বোঝানো ৷ অন্তত একথা তো বোঝাতেই হবে যে, ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ তার ওপর সেটিকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বৈধ প্রমাণের চেষ্টা “চুরির উপর সিনাজুরি” বৈ কিছুই নয় ৷
    তবে সবার আগে সম্মিলিতভাবে সকল মাসলাক- মাশরাবের আলেম সমাজের ঐক্যবদ্ধ একটি মতামত জাতির সামনে আসা উচিত ৷ সরকারকেও জানানো উচিত ৷ আশা করি আলেমসমাজ সেই পদক্ষেপ নিবেন এবং এই আশাও আমরা ছাড়ছিনা যে, সরকারের বোধোদয় হবে এবং তারা এই আত্মঘাতী পথ থেকে যেকোন মূল্যে পিছু হটবে ৷

    সৌজন্যে:
    মাসিক রাহমানী পয়গাম
    নভেম্বর’২০

  • খেলা হবে: মাওলানা মামুনুল হককে নিক্সন চৌধুরী

    খেলা হবে: মাওলানা মামুনুল হককে নিক্সন চৌধুরী

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

    খেলাফত মজলিশের ভারপ্রাপ্ত মাহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

    বরাবরের মতোই স্টাইলিশ ভঙ্গিতে এমপি নিক্সন বলেন, ‘মামুনুল হক কারে চ্যালেঞ্জ করে? শেখ হাসিনারে চ্যালেঞ্জ করে! ব্যাডা কী পাগল…? মাথায় কি বুদ্ধি কম? আরে শেখ হাসিনা তো অনেক উপরের বিষয়। আজ সারাদেশে যুবলীগের সঙ্গে লইড়া দেখেন। আসেন, দেখেন খেলা হবে। এই যুবলীগের সঙ্গে এক মিনিট লড়ার ক্ষমতা আপনার নেই।’

    আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের পুরোনো রেলস্টেশন চত্বরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঐ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলমকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

    যুবলীগ নেতা নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সাথে ফাঁপরবাজি কইরেন না। কোন দেশের টাকা খাইছেন, হঠাৎ কইরা চাঙা দিয়া উঠছেন। ওইসব দেশের দালালি বন্ধ করেন, এটা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশ।’

    নিক্সন আরও বলেন, ‘যুবলীগ যদি মাঠে নামে ওস্তাদ দৌড়াইয়া কূল পাবেন না ওস্তাদ। তাই আমার নেত্রীরে চ্যালেঞ্জ জানানোর আগে নেত্রীর সন্তানদের সঙ্গে একটু বুঝপারা কইরা নেন। তাই এমন ধমক দিয়েন না। দালালি করেন অন্য দেশের। দালালি কইরা মাল খাইছেন, হেই মাল খাইয়া এহন ভাব নেন, চ্যালেঞ্জ করেন।’

    মাওলানা মামুনুল হককে তেলাপোকার সাথে তুলনা করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আরে মিয়া তেলাপোকাও পাখি, আর আপনিও মানুষ। যদি সাহস থাকে তাহলে আসেন মাঠে আসেন। মাঠে খেলা হবে। আমাদের ভয় দেখাবেন না। আমাদের মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত পুরাটাই কইলজা।

  • মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ আসলেই বন্ধ করে দেওেয়া হবে মাহফিল

    মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ আসলেই বন্ধ করে দেওেয়া হবে মাহফিল

    উখিয়া ভয়েস ডেস্ক

     

    ওয়াজ মাহফিলে উচ্চশব্দের অভিযোগ পেলেই ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে মাহফিলে উচ্চ শব্দ করলে সরকারি নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কোথাও ওয়াজ মাহফিলের উচ্চশব্দের অভিযোগ পেলেই বন্ধ করে দেয়া হবে মাহফিল।

    সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার ইন্দ্রজিত সাহার স্বাক্ষরিত পত্রে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

    সহকমিশনার ইন্দ্রজিত সাহা জানান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি রেজুলেশনের সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৫ নভেম্বর এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কোথাও যদি ওয়াজ মাহফিলে উচ্চশব্দ ব্যবহার করা হয় আর সে বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে সেই মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার, ইউএনও এবং ওসিদের এ সম্বন্ধে চিঠি দেয়া হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, ওয়াজ মাহফিল মূলত রাতে হয়। উচ্চশব্দ ব‍্যবহার করার কারণে রাতে মানুষের ঘুমে সমস্যা হয়, জনদুর্ভোগ হয়। সেজন্য যদি কেউ অভিযোগ করে তবে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে মাহফিল বন্ধ করে দেওেয়া হবে। উচ্চশব্দ ব্যবহার করা ছাড়া মাহফিল পরিচালনা করায় কোনো বাধা নেই।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক স্ট্যাটেজি সহজে সবাই বুঝে না।অনেকে সন্দেহের চোখে দেখে। অথচ রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা সহজেই বুঝতে পারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পদ্ধতি,কৌশল এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। তাদের একটি দীর্ঘমেয়াদী প্লান রয়েছে।কোন একটি ইস্যুতে Do or die নীতি অবলম্বন করে শক্তি নিঃশেষ করে দেয়না। আচ্ছা মূর্তি ইস্যুতে যদি ডু অর ডাই নীতি অবলম্বন করে তাহলে লাভটা কাদের হবে? অনেকেই এই বিশ্লেষণে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে যায়।চরমোনাইর পীর কদম বাড়ানোর অাগে হাজারবার ভাবে এই কদমের রিয়েকশন কি হতে পারে। সেই জন্যে রাজনীতিতে তারা ঠান্ডা মাথায় খেলে দিতে পারে। কোন একটি ইস্যু পেলেই তাকে চূড়ান্তভাবে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যাওয়া ইসলামী আন্দোলনের কাজ নয়।বিএনপি চেয়ে আছে পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাবে বলে।২০১৩ সালের সেই স্বপ্ন যখন পূরণ হয়নি এখনো তারা সুযোগের সন্ধানে।

    একটি ইস্যু হলেই সরকার বিরোধি এজেন্সি গুলো ইসলামী দলগুলোর মাধ্যমে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখে। যেমন ডক্টর জাফরুল্লাহ গতকালই বলেছেন একটু ধাক্কা দিলেই সরকার কিনারায় পড়ে যাবে। এটা মূর্তি ইস্যুতে ইসলামপন্থীদের কঠিন অবস্থানকে পূজি করে বলেছেন। নিজেদের শক্তি ক্ষয় করে,ধর্মপ্রাণ মানুষের অাবেগকে কাজে লাগিয়ে কোন বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে সুযোগ দিতে চায়না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যারা বিএনপির জোটে এবং হেফাজতে আছে তাদের নীতিতে,মননে মস্তিকে বিএনপি প্রীতি কাজ করে। যার ফলশ্রুতিতে কোন একটা ইস্যু পেলেই মাঠ গরম করে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এই একটি জায়গায় এসে ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে অন্যান্য ইসলামী দলের পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজি ফেইল করে। কারণ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা ক্ষমতায় উঠানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিশ্বাসী নয়। সময় হলে তারা শক্তি কাজে লাগিয়ে ইসলামকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে। মূর্তি ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান স্পষ্ট। তা স্বত্বেও অনেকে পাগলের প্রলাপ বকছেন। এদের পলিটিক্যাল নলেজ যে হাঁটুর নিচে তা স্পষ্টই প্রমাণিত।

    কোন একটা ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলন আগে মাঠে নামে। প্রথমেই জনমত সৃষ্টি করে। দলের আমির, নায়েবে আমিরের বক্তব্যগুলো শুনলে বুঝতে পারবেন তাদের প্রজ্ঞা। প্রথমে তারা জনতাকে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবে। জনতা বিষয়টি বুঝতে পারার পর তারা একটি ঝাকুনি দেয়।এতেই সাধারণ জনতা ঐ বিষয়ে সিরিয়াস হয়ে উঠে। পরীক্ষায় প্রথম প্রশ্ন কমন না পড়লে সেটা নিয়ে বসে থাকা কোন মেধাবি শিক্ষার্থীর কাজ হতে পারেনা। অংক একটি না পারলেও পরীক্ষার হলে বার বার সেটা চেষ্টা করতে গিয়ে কাল ক্ষেপন করে বাকি অংকগুলো করার সময় থাকেনা। সুতরাং একটি অংক ভুল হলে সেটা বাদ রেখে বাকিগুলোতে মনোযোগ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
    । একবার না পারিলে দেখ শতবার থিউরি পরীক্ষার হলে কাজে আসেনা। হিতে বিপরীত হয়। মূর্তি ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকাটাও কোন রাজনৈতিক কৌশল নয়। ইসলামী আন্দোলন যেহেতু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে রাজনীতি করছে তাদের একটি ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকার মানেই হয়না। যেমন আজ আরেকটি ইস্যুতে সরব চরমোনাইর পীর সাহেব। বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিমধ্যে চলে এসেছে বিষয়টি। আগামী ২০২২ সাল থেকে এস এস সিতে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা সাবজেক্টটি রাখছে না শিক্ষামন্ত্রণালয়। এটার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই। একটি রাজনৈতিক দল শুধু একটি ইস্যুতে ডুর অর ডাই নীতি অবলম্বন করতে পারেনা। কিছু কাজ করতে হয় রাজপথে, আবার কিছু কাজ করতে হয় ঠান্ডা মাথায় কূটনীতিকভাবে। ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশ ঠান্ডা মাথায় রাজনীতির পুতুলটা নিয়ে হাঁটছে।

  • কোরআনে উল্লেখিত তামাসিলা ও আসনাম বনাম ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে বিতর্কের অবসান

    কোরআনে উল্লেখিত তামাসিলা ও আসনাম বনাম ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে বিতর্কের অবসান

    ইসলামি ডেস্ক

     

    আমরা সকলেই জানি যে, পবিত্র কোরআনের সুরা সাবা’র ১৩ নম্বর আয়াতে বর্ণিত ‘তামাসিলা’ শব্দের বিকৃত ব্যাখ্যা করে ইতিমধ্যে সব ধরনের ভাস্কর্য বৈধ প্রমাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। তারা বলতে চাইছে, “তামাসিলা অর্থাৎ ভাস্কর্যের কথা কোরআনে আছে এবং কুরআনে কারীমে মূর্তি বুঝাতে আসনাম শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়।

    এমতাবস্থায় সাধারণ মুসলমানের ঈমান হেফাজতের জন্য শব্দদ্বয়ের যথাযথ ব্যাখ্যা উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
    পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত সূরা সাবা’র ১৩ নং আয়াত হচ্ছে-
    يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاءُ مِن مَّحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَّاسِيَاتٍ …

    “তারা তাঁর (সুলাইমান আ. এর) ইচ্ছানুযায়ী মেহরাব, প্রতিকৃতি বা ভাস্কর্য , হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত…।”

    কতিপয় জ্ঞানপ্রতিবন্ধি এ আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ভাস্কর্য হলো মানুষসহ কোন প্রাণী বা কোনো কিছুর প্রতিকৃতি যাকে মানুষ রাখে সম্মান দেখাতে বা সৌন্দর্যবর্ধন করতে, যার আরাধনা বা উপাসনা করা হয় না।

    অথচ পবিত্র কোরআনে সূরা আল আম্বিয়া ৫২ নম্বর আয়াতে তামাসিলা বলতে এমন কিছু কে বোঝানো হয়েছে মানুষ যার পূজা করত। এরশাদ হয়েছে-
    إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا هَٰذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ

    “যখন তিনি তাঁর পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বললেন, এই মূর্তিগুলো কী? যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছো।”
    উক্ত আয়াতে তামাসিলা শব্দটি মূর্তির অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

    একাধিক হাদীসেও তামাসিলা শব্দটি মূর্তি বা প্রতিমা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন-
    عَنْ أَبِي الْهَيَّاجِ الْأَسَدِيِّ ، قَالَ : قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ : أَلَا أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ أَنْ لَا تَدَعَ تِمْثَالًا إِلَّا طَمَسْتَهُ ، وَلَا قَبْرًا مُشْرِفًا إِلَّا سَوَّيْتَهُ‏.‏

    আবুল হাইয়ায আল-আসাদী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদা হযরত আলী রা. আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কাজে প্রেরণ করবো যে কাজে আমাকে রাসুলুল্লাহ সা. পাঠিয়েছিলেন? তা হলো, কোন মূর্তি দেখলে চূর্ণ-বির্চূন না করা ব্যতীত এবং কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমতল না করে নিভৃত হবে না। -মুসলিম শরীফ-৯৬৯

    ابْن عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبُوْ طَلْحَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ صَاحِبُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَلَا صُوْرَةٌ يُرِيْدُ التَّمَاثِيْلَ الَّتِيْ فِيْهَا الْأَرْوَاحُ

    ইব্‌নু আব্বাস রা. বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ সা. -এর সঙ্গে বদ‌র যুদ্ধে যোগদানকারী সাহাবী আবূ ত্বল্‌হা রা. আমাকে জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ সা. বলেছেন, যে ঘরে কুকুর কিংবা ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশেতা প্রবেশ করেন না। ইব্‌নু আব্বাসের মতে ছবির অর্থ তামাসিলা বা প্রাণীর ছবি। বুখারী শরীফ (আ.প্র. ৩৭০৫, ই.ফা. ৩৭০৯)
    চলবে

     

    সূত্র,,,, মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজি (হাফিজাহুল্লাহ)

  • বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়, ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে= আল্লামা মামুনুল হক

    বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়, ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে= আল্লামা মামুনুল হক

    ইসলামি ডেস্কঃ

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, আইনি, নৈতিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সামর্থ্য হলে সব ভাস্কর্যই এই জনপদ থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তাদের অবস্থান ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়।

    আজ রোববার দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন মরহুম মুসলিম নেতা হিসেবে পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা করি এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কখনো কোনোভাবেই এমন একজন মরহুম জাতীয় নেতার বিরুদ্ধাচরণ করি না এবং করাকে সমীচীনও মনে করি না।’

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য স্থাপনের চেষ্টা করা হলে সামর্থ্যের মধ্যে এর বিরুদ্ধে তিনি বলেই যাবেন। তবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে জড়াবেন না। এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না যেটা হঠকারী হয় বা জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে।

    এক প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া বা এ ধরনের কোনো বক্তব্য দিইনি। আমি বলেছি, আদর্শিক জায়গা থেকে কোনো ভাস্কর্য রাখা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘যখন থেকে ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছি, তখন থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, ভাস্কর্য যাঁরই হোক, জিয়াউর রহমানের হোক অথবা অন্য যাঁরই হোক, আমি ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে। সব ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছি।

    আমাদের আইনগতভাবে, নৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সামর্থ্য থাকলে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যসহ সব ভাস্কর্যই আমরা মুসলমানদের জনপদ থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ নেব।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, কোরআন–সুন্নাহর আলোকে পূর্বসূরিদের অনুসৃত পথে স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লক্ষ অর্জনের চেষ্টা চালানোই তাঁর ব্রত। কোনো ষড়যন্ত্র অথবা গোপন আঁতাতের মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র কিংবা সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি তাঁদের নেই।

    অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জোটবদ্ধ রাজনীতিতে ভূমিকা রাখলেও বর্তমানে তাঁদের সংগঠন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোনো রাজনৈতিক জোটে যুক্ত নন। একটি মহল ষড়যন্ত্র মূলকভাবে তাঁকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।

    ধর্মভিত্তিক দলটির নেতা বলেন, কিছুদিন ধরে ঢাকার দোলাইর পাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ধর্মীয় অঙ্গন। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ কিংবা প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ অনৈসলামিক সংস্কৃতি হওয়ায় আলেমসমাজ এর প্রতিবাদ করছেন।

    সেই সূত্রে তিনিও ভাস্কর্য, তথা মূর্তি নির্মাণের বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কিন্তু সুকৌশলে একটি মহল ভাস্কর্য নির্মাণের এই বিরোধিতাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছে।

    মামুনুল হক বলেন, সারা পৃথিবীতে ধর্মীয় যতগুলো স্কুল অব থট রয়েছে, ভাস্কর্যের পক্ষে কোনো কথা বলার অবকাশ নেই। এ জন্য সবাই ভাস্কর্য-মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলছে এবং বলবে। সেই জায়গা থেকে তিনিও বলছেন। এখানে অন্য সবাইকে উপেক্ষা করে শুধু তাঁকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সাব্যস্ত করে এবং কথার বিকৃতি ঘটিয়ে, মূল বক্তব্যকে পাশ কাটিয়ে সরকারদলীয় অঙ্গসংগঠনগুলোকে তাঁর বিরুদ্ধে ময়দানে নামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

    কারা ষড়যন্ত্রকারী, এমন প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘যারা এ দেশে ইসলামকে এবং ইসলামি শক্তিগুলোকে দুর্বল করতে চায়, তারা প্রধানত এর পেছনে রয়েছে। আর তাদের সঙ্গে আলেমসমাজ থেকে বিচ্যুত কিছু ব্যক্তির জড়িত থাকার আলামত রয়েছে।

    সূত্র,   প্রথম আলো

  • আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফয়জুল করিম ও মামুনুল হককে গ্রেফতার করতে হবে : দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

    আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফয়জুল করিম ও মামুনুল হককে গ্রেফতার করতে হবে : দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

    Mohammad Rakib, Bishesh Protinide

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে এই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

    শনিবার ( ২৮ শে নভেম্বর ) বিকাল ৪টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে মহানবীর (সা.) অবমাননা ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপের হুমকি দেয়ায় উক্ত ব‍্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

    এই প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন।

    সমাবেশের আগে, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে শাহবাগ চত্বর মোড়ে আসেন তারা। এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয় মঞ্চের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও নায়ায়ণগঞ্জ শাখার কিছু নেতাকর্মী।

    সমাবেশে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশের যে সাম্প্রদায়িক শক্তি রয়েছে তাদের রুখে দিতেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। মাওলানা মামুনুল হক মহানবীকে (স.) অবমামনা করেছে। নবীজি কীভাবে ঠোঁট নাড়াতেন তা দেখিয়েছে। কিন্তু কোনো মুসলমান তার বিরুদ্ধে মাঠে নামেনি।

    তিনি বলেন, ফয়জুল করিমের বাবা ছিলেন রাজাকার। সেই অঞ্চলের মা-বোনেরা তার মাদ্রাসায় আশ্র‍য় নিতে চেয়েছিল। তার বাবা তাদের গণিমতের মাল হিসেবে পাকিস্তানি রাজাকার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল। তাদের রক্তে এখন পাকিস্তানের বীজ।

    আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আমরা তাদের যেখানে পাব, সেখানেই গণধোলাই দিয়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেব।