Category: সাহিত্য

  • কবিতা- সোনার বাংলা জান্নাতুল ফেরদাউস।

    কবিতা- সোনার বাংলা জান্নাতুল ফেরদাউস।

    কবিতা- সোনার বাংলা
    জান্নাতুল ফেরদাউস।

    সুন্দর সকাল সূর্যের মিষ্টি হাসি
    শোনা যায় দূর থেকে-
    ভেসে আসা পাখির বাশি।
    আহা! মন দোলানো কি শীতল বাতাস!
    পাচ্ছি আমি এইখানে যে সুখের আভাস।
    পায়ের তলায় কোমল ঘাস,
    পুকুরে দেখো খেলছে হাস।

    দাদু ওদিকে ঘাসের উপর কি ওটা??
    এ যে সূর্যের আলোয় ঝলমল করা পানির ফোঁটা।
    আচ্ছা দাদু, এত বড় আর বিশাল তা কি??
    জানিস নে বোন? এ যে পদ্মা নদী।
    দাদু মাঝিরে ডাকো আমি চড়াবো নৌকায়
    না লক্ষ্মী , বাড়ি ফিরি চল দেরি হয়ে যায়।
    দাদু, দেখো ঐ বাগানে কতোই না ফুল!!!
    ফুল ছিড়তে যাস না কভু এ যে খুব বড় ভুল।
    ঐ দেখো দাদু গাছে কতোই না ফল ধরেছে!
    আগে চল বাড়ি দেখি গিন্নি কি রেঁধেছে।

    বাহ! কি সুন্দর ঘ্রাণ! কি রেঁধেছো দীদা??
    লক্ষ্মী আমার, এ যে ঐতিহাসিক শীতের পিঠা।
    দীদা, কি সুন্দর এ গ্রাম মুগ্ধ যে আমি
    দাদু ভাই এখনতো অনেক বাকি।
    আরো কিছু আছে!! দেখাবে কি আমায়??
    অবশ্যই, চল এখন মেলা দেখবি আয়।

    দাদুভাই এই নে তোর জন্য হাওয়াই মিঠাই
    ও দাদু , আমি যে নাগরদোলায় উঠতে চাই।
    মেলা দেখা শেষতো দাদু। আর কি আছে গো?
    অভাব নেই বোন বলছি তোকে মন দিয়ে শোন।

    এ দেশে আছে ৬ টি ঋতুর ৬ প্রকার রূপ
    থাকবি যখন দেখবি তখন মজা পাবি খুব।
    এখানে আছে লালন,বাউল সহ নানা গীত ও গান
    এ দেশে আছে ঐতিহাসিক নানান স্থান।
    চারপাশে আছে সবুজের খেলা
    কখনো আসে কৃষ্ণচূড়া ফুলের মেলা।
    এই সবুজ দেশ আর লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া
    মনে করিয়ে দেয়-
    রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সোনার বাংলা

  • তরুণ লেখক কাউসার আহমাদ-এর দুটো বই। “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ”।

    তরুণ লেখক কাউসার আহমাদ-এর দুটো বই। “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ”।

    তরুণ লেখক কাউসার আহমাদ-এর দুটো বই। “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ”।

    মোঃ সেলিম হাসান সরকারি নাজির আখতার কলেজ ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ

    তরুণ লেখক কাউসার আহমাদ-এর দুটো বই। “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ”। বইগুলো ২০২১ এবং ২০২২ বইমেলায় বর্তমান বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রকাশনী “সময়ের সুর প্রকাশন” থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। প্রথমটি ইসলামিক উপন্যাস এবং দ্বিতীয়টি সামাজিক থ্রিলার জনরার উপর রচনা করেছেন তিনি। বইগুলো ইতোমধ্যে পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ! কাউসার আহমাদ—তিনি একই সাথে লেখক কবি এবং সম্পাদক। রিপোর্টার সেলিম হোসেন বলেন—”তরুণ ও তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন লেখক কবি এবং সম্পাদক কাউসার আহমাদ-এর লেখার কোনো তুলনা হয় না! তাঁর লেখা সাদামাটা ও ঝরঝরে। কলমে যেনো অদ্ভুত রকমের জাদু রয়েছে! তাঁর লেখা পড়লে এক জাদুময় ভালো লাগা কাজ করে! তাঁর প্রতিটি লেখা গিয়ে আঘাত হানে মনের অতল গহীনে!”
    রিপোর্টার সেলিম হাসান আরো বলেন—”মেঘলা আকাশ” পড়ে অনেকেই প্রেমনগরী থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে স্রষ্টার প্রেমে চরমভাবে নিমজ্জিত করেছেন! আর “অতঃপর নিখোঁজ” পাঠ্যানুভূতি জানাতে গিয়ে “মানুষ এমনও হয়” বলে অনেক পাঠক/পাঠিকা কেঁদেছেনও!
    কী এমন লুকিয়ে আছে বইগুলোতে? লেখক কী এমন চমক রেখেছেন তাঁর কলমের আঁচড়ে? এমন কী লিখেছেন; যা মানুষকে ভাবতে শেখায়; মানুষকে কাঁদতে বাধ্য করে? এসব রহস্য ভেদ করতে হলে আমাদের পড়তে হবে “মেঘলা আকাশ” এবং “অতঃপর নিখোঁজ।” দেরি না করে আজই সংগ্রহ করুন বই দুটো!
    বিস্তারিতঃ ০১৭১২-০১৮৪১০ এই নাম্বারে।

  • আন্তর্জাতিক সোহাগী সাহিত্য সম্মেলন ২০২২

    আন্তর্জাতিক সোহাগী সাহিত্য সম্মেলন ২০২২

    আন্তর্জাতিক সোহাগী সাহিত্য সম্মেলন ২০২২

    মোঃ সেলিম হাসান সরকারি নাজির আখতার কলেজ ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

    সোহাগী সাহিত্য পরিষদ -এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক গুণীজন সম্মাননা গত ০১ এপ্রিল ২০২২ রোজ শুক্রবার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তন, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাহিত্য ও মানবসেবায় গুণীজনদেরকে সম্মাননা ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। সবাইকে ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করা হয়। গ্রুপের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. জাহাঙ্গীর আলম রুস্তম, বিশ্বসেরা কবি ও পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রধান আলোচক মাহমুদুল হাসান নিজামী, কবি, গবেষক, লেখক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা, উদ্বোধক মোহাম্মদ আলমগীর জুয়েল, কবি ও সংগঠক, আলোচক জাকির হোসেন বিপ্লব, কবি ও সংগঠক, মোঃ খাজা হারুন, প্রধান উপদেষ্টা, সোহাগী গ্রুপ, ডাঃ আব্দুল হাকিম, সভাপতি, সোহাগী গ্রুপ, আল হাবিব, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, সোহাগী গ্রুপ, বিশেষ অতিথি ড. আলহাজ্ব শরীফ সাকি, মনজু খন্দকার, খলিলুর রহমান সজল, শ ম দেলোয়ার জাহান, মোঃ সায়দুল হক, ডাঃ আনসার উদ্দীন ভুঞা, জীবন চক্রবর্তী, সজীম শাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনায়ঃ মোঃ মাহবুবুল আলম, মনিরুজ্জামান হীরা, শেখ আলমগীর হোসেন বাদশা, উপস্থাপনায়ঃ বিবি ফাতেমা, রিক্তা আক্তার ও রবিউল আলম রবি সরকার। অডিশনে ছিলেন নামী দামী গুণীজন। সন্ধ্যার পর শুরু হয় সম্মাননা প্রদান, সনদপত্র প্রদান, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, বিরিয়ানী ও পানি বিতরণ। সবার উপস্থিতি পেয়ে ধন্য হলো সোহাগী সাহিত্য পরিষদ। সফল ও সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। পরিশেষে সবার মঙ্গল কামনা করি।

  • সাফল্যের গল্প স্বপ্ন ছুঁয়েছেন ওঁরা ৩৯ জন,

    সাফল্যের গল্প স্বপ্ন ছুঁয়েছেন ওঁরা ৩৯ জন,

    সাফল্যের গল্প
    স্বপ্ন ছুঁয়েছেন ওঁরা ৩৯ জন
    সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ
    সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

    স্বপ্ন ছুঁয়েছেন ওঁরা ৩৯ জন

    এবার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার একটি সরকারি কলেজ থেকে ৩৯ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে চমক দেখিয়েছে

    গত মঙ্গলবার ২০২১-২২ সেশনের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। এতে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ২৩ জনই ছাত্রী। গত বছর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রতিবছরের মতো এবারও অসাধারণ এই সাফল্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা দারুণ খুশি।
    সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিগত ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি স্কুল। ১৯৭৭ সালে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি বিজ্ঞান কলেজ নামকরণ করা হয়। ২০১৯ সালে নামকরণ করা হয় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ।

    সূত্র জানায়, চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) মোট ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৬৫ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৪৯ জন। এই ব্যাচেরই ৩৯ জন শিক্ষার্থী এবার বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সুযোগ পেলেন।

    আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে গত বছর ৪০ জন, ২০২০ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ শিক্ষার্থী মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
    ৩৯ জন শিক্ষার্থী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির কারণে প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছে শিক্ষার্থীরা।