Category: স্বাধীনতা

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

    কজল আইচ,উখিয়া।

     

    মহান ২১শে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়।

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বচিত সফল চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র নেতৃত্বে বিশাল মিছিল সহকারে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পুষ্প মাল্য অর্পণের মধ্যেদিয়ে এদিবস পালন করা হয়।

    এতে অংশগ্রহণ করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র লীগের নেতৃবৃন্দ সহ সহযোগি সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থককারি নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশের ইসলাম পন্থীদের নিয়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়ার’ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হেফাজতের প্রতিবাদ

    বাংলাদেশের ইসলাম পন্থীদের নিয়ে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়ার’ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে হেফাজতের প্রতিবাদ

     

    মোঃরাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    ভারতের নামকরা ও বহুল প্রচারিত পত্রিকা “টাইমস অব ইন্ডিয়ায়” গত ১৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থানে উদ্বিগ্ন ভারত’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে হেফাজতের হেফাজতে ইসলাম প্রতিবাদপত্রটি টাইমস অব ইন্ডিয়ার এডিটর-ইন-চীফ জয়দীপ বোস বরাবর পাঠিয়েছে।

    হেফাজতে ইসলামের টাইমস আব ইন্ডিয়াকে পাঠানো মূল ইংরেজি প্রতিবাদপত্রটি হবহু নিচে দেওয়া হলো :

    Date: 17 Dec, 2020

    To
    Editor-in-Chief
    Mr. Jaideep Bose
    The Times of India

    Subject: Rejoinder to the report titled “Rise of Islamist extremism in Bangladesh worries India” that was published in your esteemed newspaper.

    Dear Mr. Bose, The report titled “Rise of Islamist extremism in Bangladesh worries India” published in the Times of India on December 17, 2020 caught our attention. Sadly, the report is not only full of baseless and inaccurate assertions, but also misleading and slanderous, hence this rejoinder.

    On the outset, it would be clear to anyone –informed about the politics and public life of Bangladesh– that this report was written with an ulterior motive and could not hide its prejudice against the most popular civico-religious platform in Bangladesh, i.e., Hefazat-E-Islam. To our great dismay, it was claimed that Allama Junaid Babunagri, the newly elected Chief of Hefazat-E-Islam, ‘vandalized statues of Sheikh Mujibur Rahman’. This motivated claim made in the report is nowhere near true and has no factual basis or any credible reference. If it were the case, one would wonder why such news was not reported in any form in Bangladesh mainstream media. On the contrary, the fact on the ground is quite the opposite. Soon after a statue of Sheikh Mujibur Rahman was vandalized in Kustia district of Bangladesh on December 5, 2020, Mawlana Mamunul Haque, the current joint-secretary of Hefazat-E-Islam condemned the act in the strongest possible way. In addition, he reiterated his respect towards Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman as an illustrious figure in our struggle for liberation and an accomplished Muslim persona.

    It’s very unfortunate to see your esteemed newspaper is being used to propagate misinformation, lies and malicious propaganda against Hefazat-E-Islam in Bangladesh. Knowing that the Times of India is one of the leading newspapers in India, we expect it to be more professional, objective and balanced in its reporting and coverage to earn trust and credibility in order to be able to influence a people-to-people relationship between Bangladesh and India in the most positive direction.

    Hefazat-E-Islam neither supports nor approves of such vandalism by taking law at hands. Rather, in our opinion, it has ample indication to consider this as an act of sabotage to put blame on us. Reportedly, another such incident of vandalism took place in Kustia a few days ago, with three perpetrators arrested by the law enforcing agencies on the charge of the vandalisation of Bagha Jatin’s bust. It’s quite revealing to know that one of the perpetrators’ identities has been reported in the media to be the leader of Jubo League– a wing of the current ruling party of Bangladesh (The Daily Star, Dec 20, 2020).

    In addition, your report labelled our organization as an extremist group. This is the language of dehumanization and directly borrowed from the vocabulary of “war on terror” at work. We are protesting in the strongest possible term against such a misnomer used to vilify Hefazat-E-Islam. We are a nonpolitical civico-religious organization working to safeguard public morality, articles of faith and principles in peaceful ways to fight against colonial domination and Islamophobia.

    Therefore, we would like to request you to publish this rejoinder in full to correct the perception of your readers about us which was damaged due to the aforementioned report published in your newspaper.

    Sincerely,
    Mawlana Azizul Haque Islamabadi
    Organisational Secretary (Central)
    Hefazat-E-Islam Bangladesh

  • বুর্জুয়াদের চাপাবাজিতে হারিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের প্রকৃত ইতিহাস: শরিফুল ইসলাম রিয়াদ

    বুর্জুয়াদের চাপাবাজিতে হারিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের প্রকৃত ইতিহাস: শরিফুল ইসলাম রিয়াদ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বুর্জুয়া নেতাদের চাপাবাজিতে হারিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের প্রকৃত ইতিহাস ও আসল মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান। দেশের মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের পীর মশায়েখদের নছীহত ও অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল আপামর জনসাধারণ। দেশের মাদ্রাসাগুলো ছিলো মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প। তাই ইতিহাস বিকৃত করে স্বাধীনতার সোনালী ইতিহাসকে চেপে রাখা যাবে না।

    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম রিয়াদ উপরোক্ত কথা বলেন।

    জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম আজিজির সভাপতিত্বে (আজ ১৬ ডিসেম্বর২০) বুধবার সকাল ৯টা হতে পটিয়া শান্তিরহাট রিলেটিভ পার্ক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিজয়ের এই চেতনা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিতে হবে, তরুণদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। দক্ষিণ জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে আসা প্রতিনিধিদেরকে আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে শপথ নিতে হবে যে, নিজেদের শাখাগুলোকে আরো শক্তিশালী করে দাওয়াতের এই কাজকে আরো বেগবান করা যায়।

    এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব শাখার আহবায়ক মাওলানা নুরুল আলম তালুকদার, সদস্য সচিব হাফেজ আবুল কালাম, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম পূর্ব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু তৈয়ব, মুহাম্মাদ বখতিয়ার, মুহাম্মাদ মোজ্জাম্মেল, মাওলানা জাকারিয়া।

    এতে অন্যান্যদের মত উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি কাজী আবরার হানিফ মারুফ, সাধারণ সম্পাদক মারুফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনাইদুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মীর মুহিব্বুল্লাহ, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ আব্বাস, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ মিফতাহ, কওমী বিষয়ক সম্পাদক এরশাদুল ইসলাম, কলেজ সম্পাদক মুহাম্মদ মনজুর ইসলাম, স্কুল সম্পাদক আরফাত হুসাইন, ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক, সাহিত্য সংস্কৃতিক সম্পাদক আইমন হুসাইন, জেলা সদস্য নেজাম উদ্দিন তালুকদার সহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

  • স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে:সাবেক (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির

    স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে:সাবেক (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে হাজারো মা-বোনের ইজ্জতে এ দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের সকল গোত্রের মানুষ বসবাস করবে এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠী ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাতের সাথে জোট বেঁধে দেশে অরাজকতা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে, দেশ ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না।

    আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সহসভাপতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহসভাপতি শফর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান ,ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. হোসেন, চট্টগ্রাম নগর শ্রমিকলীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দীন খান প্রমুখ।

  • দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

    দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সহ সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫(সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য,প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
    তিনি বলেন, “১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করে নেয়া বাঙালি আর রাজপথ ছাড়েনি। পাকিস্তানি অপশাসনে নিপীড়িত, অত্যাচারিত এদেশের আপামর মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অবশেষে ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    তিনি আরো বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ১৯৭১ সনের ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানের জনসমাবেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাকে হৃদয়ে ধারণ করে দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এ জাতি।

    ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চের কাল রাত্রি থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি তথা স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে। আজ এই মহান বিজয়ের দিনে আমি সশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুইলক্ষাধিক সম্রম হারানো মা-বোনকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের।

  • ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

    ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

     

    মোঃরাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রাণ উজার করা সন্মান ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। ১৯৭১ সাল বাঙালি জাতির মুক্তির বছর। এ বছরের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি শত্রু বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার বুকের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

    ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যার করার ঠিক দুইদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উদয় হয়।

    এই দিবসটি জাতীয় ভাবে ব‍্যাপক আকারে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি অ‍্যাডঃ মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন। তবে এবছর করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।

    কর্মসূচিরগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ইত্যাদি।

  • আবু ইউসুফ এর ২১শে ফেব্রুয়ারী বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছোটদের কাব্য ও গল্পগ্রন্থ

    আবু ইউসুফ এর ২১শে ফেব্রুয়ারী বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছোটদের কাব্য ও গল্পগ্রন্থ

    এইচ এম সাইফুল নূর, স্পেশাল প্রতিনিধি

    সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজের প্রভাষক এবং সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু ইউসুফ-এর ছোটদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কাব্যগ্রন্থ “শিশুবন্ধু মুজিব” ও গল্পগ্রন্থ “খোকাই আজ বাঙালি জাতির পিতা”।। প্রকাশ ২০২১ বইমেলা ২১ ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে। গ্রন্থ দুটি পাওয়া যাবে ২০২১ সালের একুশে বই মেলায় শব্দশিল্প ও ইছামতী প্রকাশনীর স্টলে ।।
    লেখক বলেছেন, বাচ্চাদের ছোট থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে বেড়ে উঠতে হবে এ বাস্তব উপলব্ধি চিন্তা করে বই দুটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
    ছোট সময় থেকে বাচ্চাদের বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস বাঙালি হিসেবে জাতির পরিচয় জানা অপরিহার্য।
    বই দুটিতে ধর্মীয়শিক্ষা, নিয়মানুবর্তিতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক গল্প এবং কাব্য লেখা হয়েছে।
    বই দুটি শীঘ্রই প্রকাশ হচ্ছে লেখক শুভার্থীদের বই দুটি সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • আলেমদের নামে বিষোদ্গার এবং ভাস্কর্যের নামে মানবমূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন= আল্লামা কাসেমী

    আলেমদের নামে বিষোদ্গার এবং ভাস্কর্যের নামে মানবমূর্তি নির্মাণ বন্ধ করুন= আল্লামা কাসেমী

    আল্লামা মামুনুল হক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণবিরোধী ঈমানী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ কিছু কু-চক্রী মহল অবিরতভাবে আলেম-উলামার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এমনকি বরেণ্য শাইখুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক (রাহ.) ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রাহ.) সম্পর্কেও চরম আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নিয়ে অবাস্তব ও ভিত্তিহীন প্রশ্ন তুলে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা চলছে। এই অপতৎপরতা সরকারকে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তৎসঙ্গে ইসলামবিরোধী প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।

    ২৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় ঢাকাস্থ শীর্ষ আলেমদের এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন।

    সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা শরীফুল্লাহ, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা মুরশিদুল আলম ও মাওলানা রুহুল আমীন’সহ ঢাকার নেতৃস্থানীয় বহু উলামায়ে কেরাম।
    সভায় উলামায়ে কেরাম বলেন,
    মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানাতে দেওয়া হবে না। তারা বলেন, মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে কূটকৌশলের পার্থক্য তৈরি করে প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

    সভায় আমীরে হেফাজত আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ও হেফাজতের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ উলামায়ে কেরামের মাহফিলে বাধা দানের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

  • আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকন

    আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকন

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন বঞ্চিত সাঈদ খোকনকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

    রবিবার দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ অনুষ্ঠিত দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাঈদ খোকনকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন।

    ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন সাঈদ খোকন। তিনি অবিভক্ত ঢাকার প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে।

    এবারের নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই মেয়র। তবে দল তাকে মনোনয়ন না দিয়ে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে মনোনয়ন দেয়। তখনই ধারণা করা হচ্ছিল, সাঈদ খোকনকে ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেয়া হতে পারে।

  • ফেসবুকে ভুয়া খবরে বাতিল হবে বিজ্ঞাপন

    ফেসবুকে ভুয়া খবরে বাতিল হবে বিজ্ঞাপন

    তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে ভুয়া খবর ঠেকানোর বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে ফেসবুক। যেসব পেজ ও গ্রুপ থেকে ভুয়া খবর ছড়ানো হবে তা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

    গত ১১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে সতর্ক করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোনও পেজ বা গ্রুপের ক্ষেত্রে যদি কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার প্রমাণ না পাওয়া যায় এবং ভুয়া খবর ছড়ালে সক্রিয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফরচুন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    ফেসবুকের পক্ষ থেকে পেজের ব্যবস্থাপকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, ফেসবুক যদি কোনও কনটেন্ট মুছে ফেলে বা সরিয়ে দেয় বা যে পোস্টের কারণে কোনও পেজ বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তা আবার নতুন পেজে পোস্ট করা হয়, তবে সে পেজও বন্ধ করে দেয়া হবে।

    সম্প্রতি ফ্যাক্ট চেকিং কর্মসূচির মাধ্যমে প্ল্যাটফরমে কোনও খবর ভুয়া বলে শনাক্ত হলে সে পোস্টের বিষয়ে সতর্ক করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ভারতে এএফপি ইন্ডিয়া, ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো, ফ্যাক্টলি, নিউজমোবাইল, ইন্ডিয়া টুডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক।

    ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরানোর পাশাপাশি ভুয়া খবর ছড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুয়া পোস্টগুলোকে সরাসরি ‘ভুয়া’, ‘মিশ্র’, ‘ভুয়া শিরোনাম’, ‘মতামত’, ‘বিদ্রুপের’ মতো নানা সংজ্ঞা দেয়া হবে। ১২ ভাষায় পোস্টগুলোকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে।

    ভারতের আগে সিঙ্গাপুর ও নেদারল্যান্ডসে ভুয়া খবর বিষয়ে সতর্ক করার বিষয়গুলো পরীক্ষা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কোনও ভুয়া খবর শনাক্ত করার পর কর্তৃপক্ষ সেই খবর পর্যালোচনা করবে। পোস্টটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হলে তা কারও কাছে পৌঁছাবে না।

    এমনকি, যেসব পেজ থেকে বারবার ভুয়া খবর ছড়ানো হবে, সে পেজের বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের সুযোগ কমিয়ে দেবে।

    ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও রাজনৈতিক নেতাদের পেজ থেকে সরাসরি পোস্ট করা কোনও বক্তব্য, বিজ্ঞাপনের মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলেই জানিয়েছে ফেসবুক।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেসবুকের এ উদ্যোগ ভুয়া খবর ঠেকাতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।