Category: Uncategorized

  • রংপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

    রংপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    আজ থেকে ৭০ বছর আগে মাতৃভাষার আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙ্গালী জাতির সূর্যসন্তানেরা অঙ্গীকারে জীবন উৎসর্গঃ করেছিলেন।এদেশের দামাল ছেলেরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসের পথ ধরে আজ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।অপমানে সারাদেশ জ্বলে উঠেছিলো সেদিন।বর্নমালা সেইদিন থেকে শুরু সেইসাথে শুরু হয়েছে দিন বদলের পালা।

    বাংলাদেশের মানুষ প্রথম ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মাতৃভাষার রক্ষার আন্দোলনে।১৯৫২ সালের ঐক্যের ভিত্তিমূল ছিল অধিকার রক্ষা। ঐ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারী তদানীন্তন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে আত্মত্যাগের নজির সৃষ্টি করেছিলো বাংলাদেশ।মাতৃভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার রাজপথে মিছিল নামে ছাত্র জনতার।সেই মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন সালাম জব্বার, রফিক,বরকত, শফিউল্লাসহ বীর সন্তানেরা।এ অমর বীরত্বগাধা শুধু এ ভূখন্ডে সীমাবদ্ধ নেই। বাঙ্গালীর আত্মত্যাগের স্মরণে একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভায়ায় অভিবিক্ত।তাইতো এই গৌরবময় ২১ শে ফেব্রুয়ারী আমাদের অহংকার। একুশের আত্মত্যাগের মাধ্যমে উম্মেষ ঘটে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের।সেই জাতীয়তাবাদী চেতনার পথ ধরে ১৯৭১ সালের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।সারাদেশের ন্যায় বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।২১/০২/ ২১ ইং সকালে শ্রদ্ধা জানায় বাংলেদশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলা ও মহানগর,মানবতায় মানুষ রংপুর,রংপুর মেট্রোপলিট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রংপুর জেলা, রংপুর পদাতিক নাট্য সংসদ,রংপুর রিপোটার্স ইউনিটি,রংপুর সিটি প্রেসক্লাব,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,বিভাগীয় লেখক পরিষদ রংপুর,লায়ন্স ক্লাব রংপুর মহানগর।

  • মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষে যা বললেন -বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

    মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষে যা বললেন -বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

    সাংবাদিক আবির আহমেদ হামিদ,

    মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বায়ান্ন’র ২১ ফেব্রুয়ারির সকল শহিদদের। রক্তস্নাত ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এটি ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার অভয়বার্তা।

    মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে রাজপথে বুক চিতিয়ে নেমে এসে পুলিশের গুলিকে পরোয়া না করে নিজের দাবিতে সোচ্চার থাকে। নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে তারা মাতৃভাষার মহিমা প্রতিষ্ঠায় যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম পর্যায়। বায়ান্ন সালের ২১’শের পথ ধরেই এদেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়ে অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, আমরা পাই স্বাধীনতার স্বাদ। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সরকারী স্বীকৃতি না দিয়ে তৎকালীন পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এদেশের উপর নিজেদের সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল-এদেশকে স্থায়ীভাবে পরাধীন রাখার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তা প্রতিরোধ করে।

    দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এদেশের উপর সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে নানা কারসাজী চালিয়ে যাচ্ছে। ভিন্ন কায়দায় আমাদের ভাষা সংস্কৃতির ওপর বিদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য। যাতে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারি।

    আর এইজন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারো একদলীয় দু:শাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রকে আরও কঠিনভাবে লৌহ শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতেই মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে এদেশের বারবার বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুক্তির দিশারী বেগম খালেদা জিয়াকে। একদলীয় নির্দয় অপশাসনে উৎপীড়িত জনগণকে অন্ধকার খাঁচায় চিরদিনের জন্য আটকে রাখতে বাক, ব্যক্তি, লিখন, চিন্তার স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এই অপহরণকারিদের পরাজিত করতে হবে। অবিরাম সংগ্রামের মাধ্যমে দল, মত নির্বিশেষে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাই এ মূহুর্তে আমাদের প্রধান কর্তব্য দেশনেত্রীর পূর্ণাঙ্গ মুক্তির জন্য সর্বব্যাপী সংগ্রাম গড়ে তোলা।

    ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে। মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদ ভাষা সৈনিকদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি সমবেদনা। পাশাপাশি ভাষা সৈনিকদের জানাই শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন।

    তাঁদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি।

  • রংপুরে শহীদদের প্রতি তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার শ্রদ্ধা নিবেদন

    রংপুরে শহীদদের প্রতি তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার শ্রদ্ধা নিবেদন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

    “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি” ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা জীবন বাজী রেখে জীবনের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছে তাদের স্বরণে রংপরে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সোমবার প্রথম প্রহরে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন নারী উদ্যোক্তা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মা সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাহমিনা আহমেদ বিউটি , এস এ জি ডি এফ’র রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ হিল কাফি, তৃনমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির সদস্য তাসমিনা আহমেদ তমা, পুতুল, শরিফা বেগম শিউলী, অফিস সহকারী শাহনাজ বেগম সান্তনাসহ অনেকে।

    উল্লেখ্যঃ একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ১৯৫২সালের একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।

    মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জববার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও শাসকগোষ্ঠির প্রভূসুলভ মনোভাবের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং ভাষার ভিত্তিতে বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।

  • রোটারী ক্লাব অফ রংপুর পায়রাবন্দের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

    রোটারী ক্লাব অফ রংপুর পায়রাবন্দের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রোটারী ক্লাব অফ রংপুর পায়রাবন্দের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। সোমবার প্রথম প্রহরে রংপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রোটারী ক্লাব অফ রংপুর পায়রাবন্দের নেতৃবৃন্দ। মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

    ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা জীবন বাজী রেখে নিজের জীবনের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছে তাদের স্বরণে রোটারী ক্লাব অফ রংপুর পায়রাবন্দ৷ সংস্হার আয়োজনে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন রোটারী ক্লাব অফ রংপুর পায়রাবন্দের প্রেসিডেন্ট নাফিসা সুলতানা, স্নেহা নার্সিং কলেজ লিমিটেড ও স্নেহা জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান মনোয়ারুল কাদির মাসুম, রংপুর জেলা স্কুলের শিক্ষিকা শাহিনা সুলতানা, রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শিমুল ইসলাম প্রমূখ।

  • রংপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সমাজ কল্যাণ সংস্থার শ্রদ্ধা

    রংপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সমাজ কল্যাণ সংস্থার শ্রদ্ধা

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রংপুরে সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। সোমবার প্রথম প্রহরে রংপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সমাজ কল্যাণ সংস্থা। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা জীবন বাজী রেখে নিজের জীবনের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছে তাদের স্বরণে রংপুরে সমাজ কল্যাণ৷ সংস্হার আয়োজনে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
    শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন স্নেহা নার্সিং কলেজ লিমিটেড ও স্নেহা জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান মনোয়ারুল কাদির মাসুম, সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক খালেদ আনোয়ার পাশা, অর্থ সম্পাদক মানিক চন্দ্র সাহা, দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শিমুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হক, সদস্য সচিব সাইফুর রহমানসহ প্রমূখ।##

  • শহীদদের প্রতি রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন

    শহীদদের প্রতি রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?? আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং সকাল ৯টা ৩০মিনিটে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রংপুর বিভাগীয় রিপোর্টার্স ইউনিটির

    একুশে ফেব্রুয়ারি “মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”। এই দিনেই রাজপথে বাংলার বীর সৈনিকরা বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছে নিজেদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। বাঙালির স্বাধীনতা, মুক্তি, সাম্য, গণতন্ত্র ও আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা এবং মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জাতীয় চেতনার দিন মহান ভাষা আন্দোলনের এই “অমর একুশে ফেব্রুয়ারি”। মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের মহান ইতিহাস আজ ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে আমাদের এনে দিয়েছে সুমহান মর্যাদা। সকল আন্দোলনের চালিকা শক্তির প্রেরণা এই মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ।

    পুষ্পস্তবক অর্পণ কালে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হোসেন বাবলু , সাধারণ সম্পাদক শিমুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দাস, সহ সাধারণ সম্পাদক আসরাফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মেহেবুব পারভেজ সুমন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক শরিফা বেগম শিউলী, দপ্তর সম্পাদক সুমন ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সিয়াম হোসেন,সদস্য জুয়েল আহমেদ, রবিন চৌধুরী রাসেল, লিতু সরকার, কাব্য, দীপ প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন স্নেহা নার্সিং কলেজ লিঃ ও স্নেহা জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মনোয়ারুল কাদির মাসুম।

    উল্লেখ্যঃ একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ১৯৫২সালের একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জববার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও শাসকগোষ্ঠির প্রভূসুলভ মনোভাবের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং ভাষার ভিত্তিতে বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।

  • শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেন উখিয়া উপজেলা প্রশাসন

    শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেন উখিয়া উপজেলা প্রশাসন

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২০২২ উদযাপন উপলক্ষে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা, ক্ষুদ্র নু-গোষ্টীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং, সোমবার বেলা সাড়ে ১০ টায় উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, ক্ষুদ্র নু-গোষ্টীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতির বক্তব্যে রাখেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ সঞ্জুর মোর্শেদ। উপজেলা একাডেমির সুপারভাইজার বদরুল আলম। উপজেলা মেডিকেল অফিসার মিল্টন সেন গুপ্ত। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ইরফান উদ্দিন। বীর মুক্তিযুদ্ধা পরিমল বড়ুয়া।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিত তালুকদার। শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজি শফিউল আলম। উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবী, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন সিরাজী। উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌলভী হারুন অর রশিদ ও পুরো অনুষ্টান সুন্দর ভাবে যিনি সঞ্চালনা করেছেন উখিয়া মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মেধু কুমার বড়ুয়া ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ সহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ

    ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ

    কাজল আইচ:- উখিয়া কক্সবাজার,

    মহান ২১শে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস/ ২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে এক বিশাল মিছিল সহকারে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পুষ্প মাল্য অর্পণের মধ্যেদিয়ে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ৫৩ এর আন্দোলনের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করে দিবস পালন করা হয়।

    মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে
    অংশগ্রহণ করেছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র লীগের নেতৃবৃন্দ সহ সকল সহযোগি সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থককারি নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • হানী পেস্ট্রি এন্ড ক্যাফে এর শুভ উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    হানী পেস্ট্রি এন্ড ক্যাফে এর শুভ উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    PASTRY & CAFE আধুনিক আঙ্গিকে, মনোরম পরিবেশে উখিয়ায় বি হানী পেস্ট্রি এন্ড ক্যাফে এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।
    ২০ফেরুয়ারী ২০২২ ইং,বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়া ফলিয়া পাড়া রাস্তার মাথা, হাজ্বি মার্কেটে বি হানী পেস্ট্রি এন্ড ক্যাফে এর
    শুভ উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ইসহাক, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ,উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন মোহামুদ, ছাত্রনেতা জুলহাস উদ্দিন টিপু ওসমান সওদাগর, ছাত্রনেতা মোঃ ইব্রাহিম, আনিসুর রহমান জুয়েল,আজম এবং উদ্বোধনী প্রতিষ্টানের প্রোপ্রাইটর মোঃ আলম।

  • রংপুরে দেশীয় সিগারেট শিল্প রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    রংপুরে দেশীয় সিগারেট শিল্প রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রোববার ২০ ফেব্রয়ারী দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন, দেশীয় সিগারেট শিল্প রক্ষায় সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারী এবং তামাক চাষিরা।

    স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা রংপুর বিভাগের তামাক চাষী, সিগারেট উৎপাদন ও বিপননকারী। উন্নত তামাক চাষে আমাদের রংপুর বিভাগ এর ঐতিহ্য দেশসহ বিশ্বে সমাদৃত। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ষড়ঋতুর বাংলাদেশে কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির এই দেশে অন্যতম শস্য “তামাক”। নদী অববাহিকায় আমরা সুদীর্ঘ কাল হতে উন্নত তামাক হতে সিগারেট উৎপাদন করে আসছি, যা আজ আমাদের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। আমরা তামাক চাষী ও শ্রমজীবিরা তামাক শিল্পের উপর ভিত্তি করে আমাদের স্বপ্ন বুনি ও আমাদের দৈনন্দিন জীবন-জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের জীবন জীবিকা এ শিল্প ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার – আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সিগারেট অর্থাৎ ‘তামাক’ শিল্পের বিশাল বাজার বিদ্যমান। সিগারেট শিল্পের এই বৃহৎ বাজারে আমাদের তামাক চাষিরা উন্নত তামাক উৎপাদন করে এই শিল্পে সরবরাহ করে, ফলে এই শিল্পে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়। যার ফলে বেশি দামে বিদেশ হতে তামাক আমদানী করতে হয়না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি অবগত আছেন যে, জাতীয় বাজেটের বৃহৎ ও একক খাতে অর্থের যোগান আসে এই তামাক শিল্প থেকে। যার পরিমাণ প্রায় ৩২- ৩৩ হাজার কোটি টাকা। যা রাষ্ট্রের ব্যয় মেটাতে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার শত ব্যস্ততার মাঝেও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে তৎকালীন মাননীয় অর্থমন্ত্রী দেশীয় সিগারেট ব্র্যান্ড ও বিদেশী সিগারেট ব্র্যান্ডের সাথে সমমূল্যে প্রতিযোগিতা করে বাজারে বিক্রি করা যাবে না বুঝতে পেরে নিম্নস্লাব এর সিগারেটের জন্য দেশীয় এবং দেশের বাইরে চলে বা চলতো এমন নামীয় সিগারেট ব্র্যান্ড এর জন্য দুইটি পৃথক মূল্য ও কর হার নির্ধারণ করে ছিলেন। এছাড়াও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় মহান জাতীয় সংসদে ঘোষিত নীতিমালায় বলা হয়েছে যে, (১) দেশে ব্যবসারত বিদেশী তামাক কোম্পানির আন্তর্জাতিক ও উন্নতমানের সিগারেট, শুধুমাত্র মধ্যম মূল্যস্তরের এবং উচ্চ মূল্যস্তরই উৎপাদন ও বিক্রয় করা যাবে; (২) নিম্ন মূল্যে স্তরে দেশীয় শিল্পের দেশীয় সিগারেট ব্র্যান্ড উৎপাদন ও বিক্রয় করবে অর্থাৎ এই স্লাব শুধুমাত্র দেশীয় শিল্পের দেশীয় সিগারেট ব্র্যান্ড এর জন্য থাকছে।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ দেশের তামাক শিল্পে শত্রু পরিলক্ষিত! তারা ঐতিহ্যবাহী তামাক শিল্পকে ধ্বংসের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বিভিন্ন সময় বিদেশিদের হয়ে বিভিন্ন অযৌক্তিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত। মূলত দেশের অর্থনীতিতে তাদের কোন অংশগ্রহন নেই। তারা চায় দেশীয় স্বয়ংসম্পূর্ণ সিগারেট শিল্প ধ্বংস করে এ শিল্পকে আমদানি নির্ভর শিল্পে পরিণত করে বিদেশী সিগারেট শিল্পের বাজার সৃষ্টি করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেশন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল প্রভৃতি বিদেশি কোম্পানি, তাদের ব্যবসা এদেশে দিন দিন বৃদ্ধি করতে পারলেও দেশীয় সিগারেট কোম্পানি গুলো আজ নিজ দেশেই প্রতিবন্ধকতা ও বিড়ম্বনার শিকার। ফলে আমাদের উৎপাদিত ফসল তামাক একদিকে ন্যায্যমূল্য হারাচ্ছে অন্যদিকে উচ্চ মূল্যে আমদানির দিকে ঝুঁকছে।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশের তামাক শিল্পের এই ক্রান্তিকালে আপনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা দেশীয় সিগারেট উৎপাদন ও বিপননকারী শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ ও এই শিল্পের প্রান “তামাক চাষীরা”। দেশীয় এই শিল্পকে রক্ষার্থে আপনি “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ৭(ক) ও ৭(খ)” দিয়েছিলেন যা এই শিল্পকে রক্ষার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে আপনার অনুশাসন বাস্তবায়নে সিগারেট শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ গড়িমসি করছে। স্মারকলিপি ও মানববন্ধন থেকে এ শিল্পকে রক্ষার্থে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

    ১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ৭(ক) অথবা ৭(খ) বাস্তবায়ন করা হোক। ২. দেশীয় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শুধুমাত্র দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একটি নির্দিষ্ট স্লাব অথবা নিম্নস্লাব এর সিগারেট শুধুমাত্র দেশি কোম্পানিরা উৎপাদন করতে পারবে। ৩. দেশীয় সিগারেট শিল্প যেন আমদানি নির্ভর শিল্পে পরিণত না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ৪. দেশীয় সিগারেট তথা তামাকের আন্তর্জাতিক বিশাল বাজার ধরতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনা আবশ্যক। ৫. দেশীয় সিগারেট শিল্পের উপর বহুজাতিক কোম্পানির অবৈধ নিয়ন্ত্রণ রোধে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৬. সরকারের পূর্বঘোষিত নিম্নস্তরের সিগারেট কেবলমাত্র দেশীয় কোম্পানির জন্য সংরক্ষণ করতে হবে, তবে তা এখনই সম্ভব না হলে সরকারের পূর্ব-প্রচলিত অনুশাসন অনুযায়ী নিম্নমানের “প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম” বহুজাতিক কোম্পানির দামের তুলনায় ৩-৫ টাকা পার্থক্য করতে হবে কারণ মনোস্তাত্বিক ভাবে আমরা দেশীয় পণ্যের চেয়ে বিদেশী পন্যকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।

    বক্তারা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন দেশীয় স্বয়ংসম্পূর্ণ সিগারেট শিল্পকে বাঁচানোর জন্য এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই শিল্পে জড়িত লক্ষ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার স্বপ্নকে নিশ্চিত করেন। তাহলে আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আপনার কাছে ঋণী থাকব। এবং দেশীয় শিল্প রক্ষায় আপনার এই সাহসী সিদ্ধান্ত দেশের ইতিহাসে মাইফলক হয়ে থাকবে।##