Category: Uncategorized

  • যেভাবে ভারতে হিজাব আন্দোলনের’ বীর প্রতীক হয়ে উঠলেন মুসকান খান

    যেভাবে ভারতে হিজাব আন্দোলনের’ বীর প্রতীক হয়ে উঠলেন মুসকান খান

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    মুসকান খান গেরুয়া উত্তরীয় পরা তরুণদের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেন।

    হিজাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান তীব্র বিতর্কের মাঝে নিজের অজান্তেই ভারতীয় মুসলিম তরুণীদের’ প্রতিরোধের প্রতীক ‘হয়ে উঠছেন মুসকান খান। ভাইরাল একটি ভিডিওতে ১৯ বছর বয়সী এই ছাত্রীর কলেজে প্রবেশ করার সময় একদল তরুণকে তার দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। হিন্দুত্ববাদ এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সংশ্লিষ্ট রঙ’গেরুয়া ‘ শাল পরা যুবকরা ওই ছাত্রীকে ঘিরে’জয় শ্রী রাম’বা ‘ভগবান রামের জয়’স্লোগান দিতে থাকেন।
    মুসকান খান সেই সময় কালো দীর্ঘ গাউনের সঙ্গে হিজাব এবং মাস্ক পরে ছিলেন; গেরুয়া শাল পরা লোকজন অনবরত হেনস্তা করতে থাকায় ওই ছাত্রী দাঁড়িয়ে যান এবং পাল্টা ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে সেখান থেকে দ্রুত ভেতরে সরিয়ে নিয়ে যায়।

    কর্ণাটকের মান্দিয়া শহরে বসবাস করেন মুসকান খান। এখানেই ভিডিওটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি যা চাই, তা হলো আমার অধিকার এবং শিক্ষা। তারা যা পরেন তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। কলেজে শিক্ষার্থীরা গেরুয়া উত্তরীয় অথবা পাগড়ি পরতে পারেন, যেমন আমি হিজাব পরেছিলাম।’

    ভারতে প্রত্যেকদিন মুসকান খানের মতো লাখ লাখ মুসলিম নারী হিজাব এবং বোরকা পরেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে তাদের এই পোশাক বিতর্কে রূপ নিয়েছে। আর এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে গত মাসে কর্ণাটকের উদুপি জেলার একটি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করার পর।

    এই কলেজের ছয় ছাত্রী হিজাব পরার অনুমতির দাবিতে তখন থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে হিজাব পরতে পারবেন, কিন্তু ক্লাসরুমে নয়।’

    ৩০-৪০ জন তরুণ তার দিকে এগিয়ে আসেন এবং ‘জয় শ্রী রাম’ বলে চিৎকার করেন

    অন্যান্য স্কুলেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পর এই বিতর্কের ডালপালা ছড়াতে থাকে; হিজাব নিষিদ্ধের সমর্থনে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলো আন্দোলন শুরু করায় বিষয়টি সাম্প্রদায়িক রূপ নেয়।

    কিছু কিছু এলাকায় প্রতিবাদ সহিংস হয়ে ওঠায় কর্ণাটকের সরকার হাই স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে এবং বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের হাই কোর্টের তিন সদস্যের বিচারিক বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, হিন্দু শিক্ষার্থীরা গেরুয়া উত্তরীয় পরে রাজ্যের কলেজ ও হাই স্কুল ক্যাম্পাসগুলো মেরুকরণ করছে বলে মনে হচ্ছে।

    মান্দিয়ার স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কন্যা মুসকান খান। তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেই বিষয়ে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, ‘পরিস্থিতিটি বহিরাগতদের সাজানো ছিল। যাদের বেশিরভাগই পুরুষ এবং তারা শিক্ষার্থী কিংবা তার সহপাঠীও নন।’

    তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য কলেজে পৌঁছাই এবং দেখতে পাই, সেখানে অনেক তরুণ গেরুয়া উত্তরীয় পরে আছেন। তারা আমার পথ আটকে দেন এবং বলেন, আমি কলেজ চত্বরে প্রবেশ করতে পারবো না।’

    মুসকান কলেজের ফটকে পৌঁছানোর পর তিন অথবা চারজন শিক্ষার্থীকে দেখতে পান; যারা বোরকা পরেছেন এবং তাদেরকে গেরুয়া উত্তরীয় পরা যুবকরা ফিরিয়ে দিয়েছেন।

    ‘তারা তরুণীদের হিজাব ধরে টানা-হেঁচড়া করছেন এবং ‘জয় শ্রী রাম’ বলে চিৎকার করছেন। তারা আমাকে হিজাব খুলে ফেলতে বলেন এবং হিজাব খুললেই তারা কেবলমাত্র আমাকে কলেজের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেবেন বলে জানান। তারা আমাকে হুমকিও দেন।’

    মুসকান খান গেরুয়া উত্তরীয় পরা তরুণদের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেন। কলেজ চত্বরে নিজের স্কুটার নিয়ে ঢুকে পড়েন তিনি এবং শ্রেণিকক্ষের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। তিনি বলেন, এ সময় ৩০-৪০ জন তরুণ তার দিকে এগিয়ে আসেন এবং ‘জয় শ্রী রাম’ বলে চিৎকার করেন।

    তিনি বলেন, ‘‘তারা আবারও আমাকে বলেন, আমি যদি ভেতরে যেতে চাই, তাহলে হিজাব খুলে ফেলতে হবে। হ্যাঁ, আমি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চিৎকার করি। আমি যখন ভয় পেয়ে যাই, তখন আল্লাহকে স্মরণ করি আর এটা আমাকে শক্তি দেয়।’’

    এমন পরিস্থিতিতে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা এগিয়ে আসেন এবং তাকে শ্রেণিকক্ষের ভেতরে নিয়ে যান। মুসকান খান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি যে প্রশংসা পেয়েছেন, তা দেখে তিনি অনেক খুশি। ‘তারা আমাকে অনেক অনেক ভালোবাসা দিচ্ছেন। এটা আমাকে অনেক শক্তি দেয়। আমি তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।’

    মুসকান এটাও পরিষ্কার করেছেন যে, তিনি হিন্দু এবং মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য করছেন না। মান্দিয়ার এই তরুণী বলেন, ‘আমি হিজাব পরার কারণে এই তরুণরা আমাকে শিক্ষার অনুমতি দিচ্ছে না। যে কারণে আমি নিজের অধিকারের জন্য দাঁড়িয়েছি।’

  • রংপুরে স্নেহা জেনারেল হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন

    রংপুরে স্নেহা জেনারেল হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রংপুরে স্নেহা নার্সিং কলেজ লিমিটেড এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্নেহা জেনারেল হাসপাতালে দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে শুভ সুচনা অনুষ্ঠিত। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে আর কে রোডস্থ পর্যটন মোটেলের পাশে স্নেহা জেনারেল হাসপাতালের দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে শুভ সুচনা অনুষ্ঠিত হয় ।

    দোয়া মাহফিল ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্নেহা নার্সিং কলেজ লিমিটেড ও স্নেহা জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মনোয়ারুল কাদির মাসুম। চন্দনপার্ট ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আম্বিয়া পারভীন, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর কাজী মোহাম্মদ আতাউর রহমান, নার্সি ইন্সট্রাক্টর আয়শা সিদ্দিকা শিলা, আসিবা মাসুমা তাসনিম, চীফ ফাইন্যান্স অফিসার শিমুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র সাহা, মনিটরিং অফিসার এবিএম জাকির হোসেন, কাস্টমার রিলেশনশিপ অফিসার মনিকা জাহান কুইন, হিসাব কর্মকর্তা রাতুল, ম্যানেজার মিজানুর রহমান, মেডেকেল এসিস্ট্যান্ট ডাক্তার মীরজামান হক পিয়াল, অফিস সহায়ক মশিউর রহমান, সমীর কুমার পাল, রাওশানুল ইসলাম রাজু প্রমূখ।

  • রংপুরে চাকুরী সরকারি করনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    রংপুরে চাকুরী সরকারি করনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রংপুরে সরকারি কলেজে বেসরকারি ভাবে কর্মরত কর্মচারীদের চাকুরী সরকারি করনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে
    বেসরকারি ভাবে কর্মরত ৩২ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর চাকুরী সরকারি করনের দাবিতে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে রংপুরে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মচারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কারমাইকেল কলেজের ভুক্তভোগী কর্মচারী রশিদুল ইসলাম বাবু।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে কর্মরত মাস্টারোল কর্মচারীগণ ২০১৩ এবং ২০১৭ সালের দুইদফা লিখিত পরিক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তির্ন হয়ে ২০১৭ সালের মৌখিক পরীক্ষাতেও উত্তির্ন হন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের চাকুরী সরকারিকরণ করা হয়নি। তারা বর্তমানে ৪০০০ থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত সামান্য বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

    বয়স বেশি হওয়ায় অন্যত্র চাকুরী করার সুযোগ আর নেই, তাই মানবিক বিবেচনায় এই অসহায় কর্মচারীদের চাকুরী সরকারিকরণ করে পরিবার গুলোকে বাঁচানোর লক্ষে কার্যকর ব্যাবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজু আহমেদ, রেজাউল করিম, রবিউজ্জামান, ওমর, রফিকুল ইসলাম, নাসির আলী, রওশন আলী, নুরুল হুদা, জাকির হোসেন, রওশন, ইব্রাহিম, সোহরাব, শহিদুল, রাজু সরদার প্রমূখ।

  • যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদগাঁও’তে

    যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদগাঁও’তে

    ইমরান তাওহীদ রানাঃ- বার্তা সম্পাদক,

    বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ,ঈদগাঁও ইউনিয়নের বর্ধিত সভায় সকল ওয়ার্ড়ের কমিটি গঠন করার নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে।
    ৬ ফ্রেরুয়ারী রাত ৮টার দিকে ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরীর হলরুম প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনাম রনির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক রাশেদ উদ্দিন রাশেদের পরিচালনায়
    বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন,সদর উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল উদ্দিন শাম,

    সভায় অন্যদের মাঝে অংশ নেন- সদর যু্বলীগ ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তৈয়ব হাসান জয়,যব নেতা হারুনুর রশিদ আকাশ,কাদের,নুরুল হুদা,জাবেদ,রিয়াদ এবং রফিকসহ ওয়ার্ড় যুবলীগ নেতা শাহীন-মুফিজ, মোরশেদ-রাসেল-মনজুর, শাহাদাত-সাদ্দাম মোস্তাক, মিজান, আনছার-সেলিম,ছৈয়দ নূর- ইমরান তাওহীদ রানা।

    সভায় ওয়ার্ড যুবলীগে সমস্যার কারণ দর্শানোর নির্দেশ,ইউনিয়ন যুবলীগের বার্ষিক বনভোজনের বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়

  • ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মোঃ সালাহউদ্দিন

    ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মোঃ সালাহউদ্দিন

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টানা তৃতীয় বারের মত ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে, ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের টানা তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয়ের আন্তরিকতায় ও সকল ইউপি সদস্য সদস্যাবৃন্দদের সহযোগিতায় প্যানেল চেয়ারম্যান (১) নির্বাচিত হলেন মোঃ সালাহ উদ্দিন।

    মঙ্গলবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২, বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী সভাপতিত্বে ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃনাল বড়ুয়ার সঞ্চালনায়, ইউপি উদ্যোক্তাগনদের উপস্থিতিতে সভা সিদ্ধান্তের আলোকে ৫নং ওয়ার্ড থেকে টানা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত ইউপি সদস্য সরোওয়ার কামাল পাশা প্যানেল চেয়ারম্যান (২), এবং ৪,৫ ও ৬ সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত ইউপি সদস্য (৩) খুর্শিদা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।

    রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নুরুল কবির, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সালাহউদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সৈয়দ হামজা, ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরোওয়ার কামাল পাশা, ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল হক, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইকবাল বাহার, ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, মহিলা ইউপি সদস্যাদের মধ্যে রোকসানা বেগম, খুর্শিদা বেগম ও শামসুন্নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।

    পরিশেষে মোঃ সালাহউদ্দিন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত
    চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয় সহ সকল ইউপি সদস্য সদস্যাবৃন্দদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

  • পশ্চিম রত্না ও পূর্ব পান্যাশিয়া সেতু সড়কের ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের পরিদর্শন করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    পশ্চিম রত্না ও পূর্ব পান্যাশিয়া সেতু সড়কের ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের পরিদর্শন করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলাধীন
    পশ্চিম রত্নাপালং ৯নং ওয়ার্ড হইতে পূর্ব পান্যাশিয়া বড়ুয়া পাড়া সেতু সড়ক হয়ে জালিয়াপালং ১নং ওয়ার্ডের সড়কের যাতায়াত রাস্তার মাঝেকালে ঝুঁকিতে ব্রীজটির উপর ব্যপক চলাচলের ব্রীজটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে দাবি দিয়ে আসছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষরা।

    ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ইং, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পশ্চিম রত্নাপালং ৯নং ওয়ার্ড হইতে পূর্ব পান্যাশিয়া বড়ুয়া পাড়া সেতু সড়ক জালিয়াপালং ১নং ওয়ার্ডের সড়কের ব্রীজ নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন করেন, এবং দুই ইউনিয়নের দুই পারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    তিনি বলেন এই ব্রীজের কাজ গুনগত ও সুন্দর ভাবে কাজ করতে হলে, আপনাদের দুই পারের লোকজনদের সহযোগিতা অপরিহার্য, আর ব্রীজের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজের জন্য রাস্তাটি সৌজা করতে আপনাদের (৩)ফুট করে জায়গা ছেড়ে দিয়ে হবে, তাছাড়া এই ব্রীজের আগে পরে রাস্তাটি সুন্দর ভাবে হলে দুই ইউনিয়ের চলাচলের ক্ষেত্রে, এবং সবচেয়ে আপনাদেরই সবার ভাল আর সৌন্দর্য লাঘব হবে বলে আমি মনে করি। তখন এলাকাবাসীরা খুশীতে বলে, ঠিক আছে আপনি যে ভাবে বলবেন আমরা সেই ভাবে রাজি আছি।
    প্রকৌশলী মহোদয় বলেন আমরা অতি শীঘ্রই ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তুতি হাতে নিয়ে আগামী (১৫) দিনের মধ্যে মাঠি সয়েল টেস্ট করবে বলে সিদ্ধান্ত নিব।

    পশ্চিম রত্না ও পূর্ব পান্যাশিয়া সেতু সড়কের ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, রত্নাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম কায়ছার, এত্র এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক দিনেস বড়ুয়া সহ ব্রীজের দুই পাড়ের অসংখ্য স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

  • দারুল উলূম হাটহাজারীর দাওরায়ে হাদীসের ‘নাসায়ী শরীফ’-এর আখেরি দরস শেষে বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) উপদেশ

    দারুল উলূম হাটহাজারীর দাওরায়ে হাদীসের ‘নাসায়ী শরীফ’-এর আখেরি দরস শেষে বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) উপদেশ

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী’র দাওরায়ে হাদীস (আরবী-মাস্টার্স) সমাপনী বর্ষের তরুণ আলেমদের ‘নাসায়ী শরীফ”-এর আখেরী দরস আজ (৩০ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    দরস পরিচালনা করেছেন জামিয়ার মুহাদ্দিস ও মুঈনে মুহতামিম মুবাল্লিগে ইসলাম হযরত আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.)। এ সময় পুরো দারুল হাদীস মিলনায়তন কানায় কানায় ভরপুর ছিল।

    নাসায়ী শরীফের সিলেবাসের শেষ হাদীসের দরস শেষে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) বিদায়ী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনা ও উপদেশমূলক প্রায় ঘন্টাব্যাপী বয়ান করেন। এ সময় পুরো দারুল হাদীস মিলনায়তন জুড়ে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছিল এবং আড়াই হাজার তারুণ আলেম আবেগঘন পরিবেশে গভীর মনোযোগের সাথে বয়ান শুনছিলেন।

    দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বলেন, আপনারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উম্মুল মাদারিসের হাবিবী কাননে এসেছেন ইলমে নববীর জ্ঞান আহরণের মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। জ্ঞান আহরণের ধারাবাহিকতায় বিদায় লগ্ন প্রায় সমুপস্থিত। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা-সমাপনের পর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আপনারা নিজ নিজ অবস্থানে কর্মমুখর জীবনে ফিরে যাবেন। জীবন চলার পথ বড়ই কঠিন ও সংকটপূর্ণ। আমাদের সন্তানদের মতোই আপনারাও আমাদের অত্যন্ত স্নেহ ও ভালবাসার পাত্র। তাই জীবন চলার পথে উপদেশ মূলক কিছু কথা বলছি, মনোযোগের সাথে শুনুন।

    হিদায়াতী বয়ানে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবন চলার পথে আপনারা সর্বক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সুন্নাতের পূর্ণ অনুসরণ করে চলবেন। গুরুত্বের সাথে জামাআতের সাথে নামায আদায় করবেন। দৈনিক কুরআন তিলাওয়াত করবেন। সকল উম্মতে মুহাম্মদীর ইহ-পরকালীন কল্যাণে নিজেদেরকে সদা নিয়োজিত রাখবেন। ইলমে ওহী এবং হুযূর (সা.)এর তরীক্বার প্রচার-প্রসারকে আল্লাহ তাআলার বিরাট এক নিয়ামত হিসাবে ধারণ করবেন, যে নিয়ামতের বিপরীতে জগতের সব কিছু নগন্য ও তুচ্ছ। সাধ্যমতো দেশ, জাতি ও উম্মাহর কল্যাণে কাজ করে যাবেন। পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, সমাজের কল্যাণে সজাগ থাকবেন। যেখানেই থাকুন না কেন, দ্বীনি ইলমের প্রচার-প্রসারে কাজ করে যাবেন এবং দাওয়াত ও তাবলীগে সময় লাগাবেন। সুস্থির ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে দ্বীনি কাজ আঞ্জাম দিবেন।

    এ পর্যায়ে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন তরুণ আলেমদের উদ্দেশে রাসূল (সা.)এর অন্তিম অসিয়তের উল্লেখ করে বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সাহাবায়ে কেরামের প্রতি শেষ অসিয়ত ছিল তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্কে ভয় করার এবং (তোমাদের আমিরের কথা) শোনার ও তাঁর অনুগত থাকার উপদেশ দিচ্ছি, হোক না সে ইমাম একজন হাবশী গোলাম। আমার পর তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তাদের মধ্যে অল্প দিন পরই মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার হিদায়াত প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে এবং তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে রাখবে। অর্থাৎ- সুন্নাতের উপর খুব অটল ও অবিচল থাকবে। নবাবিষ্কৃত বিষয় থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা, প্রত্যেক নবাবিষ্কৃত কাজই বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী”।

    আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন রাসূল (সা.)এর আরেকটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সাহাবী আবু যর (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার হুযূর (সা.)এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমাকে কিছু নসীহত করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহ্কে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি। কেননা, তাঁর ভয়ই সকল কাজের সৌন্দর্য। আমি বললাম, আরও কিছু নসীহত করুন। তিনি বললেন, “কুরআন তিলাওয়াত ও আল্লাহর যিকরকে তোমার জন্য আবশ্যক করে নাও। কেননা, এর দ্বারাই আকাশে তোমার ব্যাপারে আলোচনা হবে এবং পৃথিবীতে হবে তোমার জন্য নূর”। প্রিয় নবী (সা.)এর এই নসীহতই আপনাদের জীবন পরিচালনার জন্য পথনির্দেশিকা হিসেবে যথেষ্ট মনে করি।

    আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন বিদায়ী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই আপনারা কর্মমুখর জীবনের দিকে পা বাড়াবেন। মনে রাখবেন, আপনারা যে পথের পথিক, সে পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কণ্টকাকীর্ণ ও অতি পিচ্ছিল। তাই অত্যন্ত সাবধানে এই পথ অতিক্রম করে পদে পদে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। কারণ, আজ সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। দেশে-বিদেশে সর্বত্রই ইসলাম ও মুসলমানগণ নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ছেন। অন্যদিকে পাশ্চাত্য অপসাংস্কৃতিতে যেন সমাজ ডুবে আছে। বাতিল নানা রূপে, নানা ছদ্মবেশে, নানা পন্থায় ইসলামের প্রজ্বলিত প্রদীপকে নির্বাপিত করার নিমিত্তে প্রতিনিয়ত হীন অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এহেন দুর্দিনে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় আপনাদের মতো সুযোগ্য একদল আলেমের বৃহৎ একটি জামাত মুসলিম সমাজকে উপহার দিতে পেরে গর্ব ও আনন্দ অনুভব করছি। আপনারাই জাতির ধারক-বাহক ও কর্ণধার।

    তিনি বলেন, আপনারা সাহাবা, তাবেয়ী, তবে-তাবেয়ী, মুহাদ্দেসীন, মুজতাহিদীন, আউলিয়ায়ে কেরাম, আকাবিরে দেওবন্দ ও আকাবিরে হাটহাজারী’র মাসলাকের সাথে গভীরভাবে জড়িত হওয়ায় আপনাদের কাঁধেও দাওয়াতের মহান দায়িত্ব এসে পড়েছে। এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের উদ্দেশ্যে এ ক্ষেত্রে আপনাদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আদর্শকে আক্বীদা ও আমল, তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে শক্ত হাতে ধারণ করে চলতে হবে। আপনারা এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে শিক্ষা সমাপন করে কর্মক্ষেত্রের দিকে এগিয় যাচ্ছেন, যে যুগের মানুষ কি বৈষয়িক কি আধ্যাত্মিক; সর্বোপরি অস্থিরতার শিকার। তাই জাতি ছাতক পাখির ন্যায় আপনাদের জন্য অপেক্ষমান। আপনারা ইলমী দক্ষতা, খোদাভীতি, একনিষ্ঠতা, আল্লাহর উপর ভরসা ও সুন্নাত অনুসরণের মজবুত হাতিয়ার নিয়ে দেশ ও জাতির পথপ্রদর্শনে আত্মনিয়োগ করবেন। এবং তালিম, তাবলীগ, দাওয়াতি-জিহাদ, ইমামত, বক্তৃতা-বিবৃতি, ওয়াজ-নসীহত ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে পথহারা এই জাতিকে পথে

  • দেশব্যাপি নূরানী বোর্ডের কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষা শুরু,কেন্দ্র পরিদর্শনে- মহাসচিব মুফতি জসিম উদ্দীন

    দেশব্যাপি নূরানী বোর্ডের কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষা শুরু,কেন্দ্র পরিদর্শনে- মহাসচিব মুফতি জসিম উদ্দীন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    নুরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ এর অধীনে পরিচালিত দেশব্যাপি নুরানী মাদরাসা সমুহের ৩য় শ্রেণির কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আজ(০৫ ডিসেম্বর২১) রোজ রবিবার সকাল ০৮টায় শুরু হয়েছে ।

    বোর্ডের মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল্লামা মুফতি জসিম উদ্দীন হাফি; আজ বিভিন্ন মাদ্রাসায় পরিদর্শন করে সামগ্রিক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন,
    এবছর সমগ্র বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন মোট ৭২৭০টি প্রতিষ্ঠানের ৪২৮২৪৪ জন পরীক্ষার্থী। মোট ১৫৩৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।

    অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষা দেশব্যাপি সহস্রাধিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার খাতা প্রশ্নপত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সকল পরীক্ষা কেন্দ্রে কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপদে পৌছিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তা গন ৷

    পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত অভিভাবক ও নুরানী মাদরাসার শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জীবনের প্রথম সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
    আল্লাহ তাআলা সংশ্লিষ্ট সকলকে পরীক্ষার যথাযথ দায়িত্ব পালন এবং পরীক্ষার সফলতা অর্জন করার তাওফীক দান করুক।

  • পলিথিন, অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরী ও বিক্রির বিরুদ্ধে চসিক’র মোবাইল কোর্টের জরিমানা

    পলিথিন, অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরী ও বিক্রির বিরুদ্ধে চসিক’র মোবাইল কোর্টের জরিমানা

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে
    আজ (০৫ ডিসেম্বর ২১) রবিবার মহানগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এই সময় পলিথিন মুক্ত পরিবেশ বান্ধব নগর গড়ার লক্ষ্যে কর্ণফুলী বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে একটি দোকানে পলিথিন ব্যাগ পাওয়ায় দোকানদারের বিরুদ্ধে মামলা রুজুপূর্বক ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা জরিমানা করা হয় এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন বর্জনের জন্য বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা সাধারনকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একই অভিযানে জিইসি মোড় এলাকায় রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরী ও বিক্রির অপরাধে কাজী রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা ও ফুটপাতের ব্যবসা করার দায়ে দুই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ৬,০০০/- (ছয় হাজার ) টাকা জরিমানা করা হয়।

    অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা প্রদান করেন।

  • রংপুরে “দি সিটি প্যালেসের উদ্বোধন

    রংপুরে “দি সিটি প্যালেসের উদ্বোধন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রংপুর দি সিটি প্যালেসের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর জিএল রায় রোডে অবস্থিত নতুন এই চাইনিস রেস্টুরেন্টের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। দি সিটি প্যালেসের স্বত্বাধিকার ফারহান হোসেন তানজিল সভাপতিত্ব করেন।

    দি সিটি প্যালেসের স্বত্বাধিকার ফরহান হোসেন তামজিম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মহিদুল ইসলাম, নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার (ইন সার্ভিস) আব্দুলাহ আল ফারুক, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট মােস্তফা সােহরাব চৌধুরী টিটু, ভাইস প্রেসিডেন্ট মন্জুর আহম্মেদ আজাদ, রসিকের ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর মােঃ জামাল উদ্দিন, কাউন্সিলর, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির রংপুর মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব তানবীর হােসেন আশরাফী ও রংপুর রয়্যালটি মেগামলের চেয়ারম্যান (সেরা করদাতা) তৌহিদ হােসেন প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা বলেন, সিটি কপোরেশনের সকল নাগরিকের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে বদ্ধ পরিকর রংপুর সিটি কর্পোরেশন। কেননা অনিরাপদ খাবার খেয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তাই ভেজালমুক্ত খাবার সরবরাহ করতে হবে। নগরবাসীর নিরাপদ খাবার সরবরাহে সিটি করপোরেশন অঙ্গীকারবদ্ধ। খাদ্যে ভেজালকারীরা যত শক্তিশালী আর ক্ষমতাধর হোন না কেন তাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।

    দি সিটি প্যালেসের স্বত্বাধিকার ফারহান হোসেন তানজিল বলেন, সব সময় খাবারের গুণগতমান নিশ্চিত করাসহ জীবানুমুক্ত খাবার পরিবেশন করা হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দি সিটি প্যালেস খাবারের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে যেন সবাই এই রেস্টুরেন্টের সেবা নিতে পারেন।##