Category: Uncategorized

  • আসন্ন পদুয়া ইউপি নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মানিক

    আসন্ন পদুয়া ইউপি নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মানিক

    নিজস্ব প্রতিনিধি,

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী তরুণ প্রজন্মের অহংকার, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক মানবিক, জনবান্ধব, দায়িত্বশীল ব্যক্তি মোঃ মিজানুর রহমান মানিক’কে নিয়ে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় সহ সর্বত্রই তাকে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় তিনি রয়েছেন সবার শীর্ষে।

    মেম্বার পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মানিক বাংলাদেশ আওয়ামী”স্বেচ্ছাসেবকলীগ পদুয়া ইউনিয়ন শাখার বিপ্লবী সভাপতি হিসেবে খুব সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বেপারি পাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা (মন্টু) এর সুযোগ্য পুত্র। তার পিতা ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তার পরিবারের অসংখ্য সুনাম রয়েছে।

    দেখা গেছে, প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় চলছে তার ব্যাপক প্রচারণা। বিশেষ করে তাকে নিয়ে নতুন ভোটারদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। অনেকেই আবার মেম্বার পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মানিক কে নিয়ে প্রার্থনা ও দোয়া চেয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

    সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ছোট-বড় সবার স্নেহের মিজানুর রহমান মানিক সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মন জয় করে নিয়েছে। সবার একটাই চাওয়া আমাদের স্নেহের মিজানুর রহমান মানিক কে এয়ার্ডের মানুষ’রা মেম্বার হিসেবে বিজয় দেখতে চাই। তরুণ প্রার্থী মিজানুর রহমান মানিক দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচনী মাঠে চষে বেড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে তুলেছেন।

    এমন কথা ভেসে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। ওয়ার্ডবাসী মিজানুর রহমান মানিক কে মানবপ্রেমিক ব্যক্তি হিসেবে চিনে। ফলে অর্জন করেছে সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস।

    মিজানুর রহমান মানিক কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কেটে খাওয়া মানুষের সুখ-দুঃখের সময় সবসময় পাশে থাকে। তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছা শক্তি, একাগ্রতা, আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারু ভাবে বাস্তবায়ন করেছে।

    সর্বপরি বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মিজানুর রহমান মানিক। তারুণ্যের প্রতীক এই ব্যাক্তি তার বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছে। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক।

    বর্তমান মহামারি করোনা ভাইরাস সারাবিশ্বে যখন ছড়িয়ে পড়েছে তখনই থেমে থাকেনি তিনি। অনেক অসহায় খেটে-খাওয়া পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছিলো ঠিক সে মুহূর্তে মিজানুর রহমান মানিক তার নিজ অর্থায়নে অসহায় পরিবার পাশে ত্রাণ সামগ্রী, বস্ত্র বিতরণ, শীতকালীন কম্বল বিতরণ করা সহ বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।

    এছাড়াও রাস্তা-ঘাট সংস্করণ হতে ধরে মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, পূজামণ্ডপ সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে আর্থিক অনুদান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে গেছেন এবং বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। নিজের চিন্তা না করে চিন্তা করেছিলেন এলাকার মানুষের জন্য। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মতবিনিময় সভাও করেছেন তিনি।

    স্থানীয় একজন শিক্ষক জানান, মোঃ মিজানুর রহমান মানিক একজন সৎ নিষ্ঠাবান ছেলে। তার মতো যোগ্য ছেলে মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হয় তাহলে ওয়ার্ডের উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারবে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বিভিন্ন ধরনের কাজ করে গেছে এবং বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে, বিপদ-আপদে প্রতিনিয়ত নিবিড় ভাবে কাজ করে গেছে এবং বর্তমানেও যাচ্ছেন। তিনি মেম্বার হিসেবে বিজয়ী হলে এলাকাবাসীর আশা পূরণ হবে বলে আমি আশা করি।

    একান্ত সাক্ষাৎকারে মেম্বার পদপ্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান মানিক বলেন, সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী ও এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা আমার নেশা। আমি সবসময় সাধারণ অসহায় মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকতে চাই।

    এতদিন আমার সাধ্যমতে নিজ উদ্যোগে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ড করে আসছি এখন এলাকার যুবসমাজকে সাথে নিয়ে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রচারনা চালায় যাচ্ছি। কারণ বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় একটি ভোটের মূল্য অপরিসীম। অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সমগ্র সমাজকে তার দায়ভার বহন করতে হয়। তাই আগামী নির্বাচনে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে তাহলে এই ৫নং ওয়ার্ডকে একটি আধুনিক ও উন্নত সমৃদ্ধ একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশা-আল্লাহ্।

    মিজানুর রহমান মানিক ৫নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চকরিয়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চকরিয়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আগামী ২৮ নভেম্বর ২০২১খ্রিঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে চকরিয়া থানাধীন ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী, সাধারন সদস্য পদপ্রার্থীসহ ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অদ্য অদ্য১৭/১১/২০২১ খ্রিঃ বুধবার বিকেল ২ ঘটিকার দিকে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জনাব তৌফিকুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার, চকরিয়া সার্কেল, কক্সবাজার জেলা, জনাব মুহাম্মদ ওসমান গনি, অফিসার ইনচার্জ, চকরিয়া থানা, এবং আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার, (ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন/২০২১) জনাব বেনজির আহমেদ। উক্ত সভায় প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী আচরন বিধি যথাযথ প্রতিপালন, নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচন পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার জন্য বিশেষ ভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ইহাতে প্রত্যেক প্রার্থীগন সহ সর্বস্তরের জনসাধারন নির্বাচন আচরন বিধি যথাযথ প্রতিপালন পূর্বক আগামী ২৮/১১/২০২১ তারিখ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।

  • বিরামপুরে কানে হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত

    বিরামপুরে কানে হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত

    বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    – দিনাজপুরের বিরামপুরে কানে হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় রাজু হোসেন (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কল্যাণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত রাজু হোসেন পৌর শহরের কল্যাণপুর চকপাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে।

    স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে রেললাইনের ওপর বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলছিল রাজু হোসেন। এ সময় একটি ট্রেন এসে তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী থেকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন বিরামপুরে আসছিল। এ সময় স্টেশনের অদূরে চকপাড়া (কল্যাণপুর) এলাকায় রেললাইনের ওপর বসে থাকা এক যুবককে ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন

  • জমকালো আয়োজনে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সম্পন্ন

    জমকালো আয়োজনে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সম্পন্ন

    নিজস্ব প্রতিনিধি,

    ১৬ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মিলনায়তনে জমকালো ও বর্ণিল আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু,এমপি।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতি. সচিব) মো. আজহারুল ইসলাম খান, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতি. সচিব) মো. আতাউর রহমান।

    গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ডা. অনিশ কুমার সরকার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আ. আ. ম. শাহজাহান, রামিসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সোহেল, সফেনের পরিচালক, ব্যাংকার ও সমাজকর্মী এ কে মোহাম্মদ জাওয়াদুল হক। উক্ত জমকালো আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিঃ ডিআইজি (অব.), দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার উপদেষ্টা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া এবং সমন্বয়ক ও সঞ্চালক ছিলেন সফেনের প্রতিষ্ঠাতা, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সম্পাদক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আসাদুজ্জামান।

  • সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে

    সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে

    নিউজ ডেস্ক,

    ‘সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে। সাইবার ঝুঁকি না জেনে সোশ্যাল মিডিয়ার বিশ্বে ঝাঁপ দেবেন না।

    ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) এ কথা বলেছেন। তিনি আজ সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।

    অনুষ্ঠানে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিস থেকে সেবা পাওয়া কয়েকজন নারী উপস্থিত ছিলেন।

    পুলিশ প্রধান বলেন, সাইবার ওয়ার্ল্ড আমাদের জীবন সহজতর করেছে। পাশাপাশি এ কথাও সত্য টেকনোলজি ব্যবহার করে অপরাধীরা এর সুযোগ নিয়ে নানা অপরাধ করছে। তিনি বলেন, এখন শুধু শহরের মানুষ নয়, গ্রামের মানুষও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। এতে করে অনেকে সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। শুধু ব্যক্তি বা সমাজ নয়, অনেক সময় রাষ্ট্রও এর ভিকটিম হচ্ছে।

    আইজিপি বলেন, নারীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এটা দিন দিন বাড়ছে। একজন নারী যখন সাইবার হামলার শিকার হন তখন ওই নারী এবং তার পরিবারে কী বিপর্যয় নেমে আসে তা ভুক্তভোগীই জানেন। তিনি বলেন, আমরা সাইবার অপরাধের শিকার নারীদের সেবা দেয়ার জন্য এ সার্ভিস চালু করেছি। ইতোমধ্যে এ সার্ভিসের মাধ্যমে অনেক নারীকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।

    ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত বা পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কোন ব্যক্তিকে অ্যাকসেস না দেয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বল্প পরিচয়ের সূত্র ধরে কারো সাথে বাইরে বের হলে এর ঝুঁকিও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসের মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীদের সহযোগিতা দেয়ার জন্য ইউনিটকে ধন্যবাদ জানান।

    অনুষ্ঠানে সেবা পাওয়া ভুক্তভোগী নারীরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একজন মেয়ে বা নারী যখন সাইবার হামলার শিকার হয়, তখন ওই পরিবারের কী অবস্থা হয় তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। তারা বলেন, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসে সাপোর্টের জন্য যোগাযোগের পর তারা অনেক দ্রুত সেবা পেয়েছেন এবং তাদের সমস্যার সমাধান হয়েছে। তারা বলেন, এ সার্ভিস থেকে শুধু আইনি সহায়তাই নয়, তাদেরকে মানসিক সহায়তাও দেয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, আইজিপির নির্দেশে গত বছরের ১৬ নভেম্বর পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। সম্পূর্ণ নারী পুলিশ পরিচালিত এ সার্ভিসে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১৭ হাজার ২৮০ জন ভুক্তভোগী নারী যোগাযোগ করেছেন।

    যার মধ্যে ১২ হাজার ৬৪১ জন নারী ভুক্তভোগী হয়রানির শিকার হয়ে যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৮ হাজার ২২১ জনের অভিযোগের বিষয়ে প্রযুক্তিগত ও আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

    প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে হয়রানি করার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি যা মোট অভিযোগের ৪৩ ভাগ।
    নারীর প্রতি সাইবার স্পেসে অপরাধের ধরন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ভুয়া আইডি থেকে মেসেজ/তথ্য প্রকাশ করে হয়রানি, আইডি হ্যাক করে হয়রানি, ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং, মোবাইলে কল করে হয়রানি, আপত্তিকর ছবি/ভিডিও/ মেসেজ পাঠিয়ে হয়রানি ইত্যাদি।

    ভুক্তভোগী নারীদের বয়স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের শতকরা ১৬ ভাগের বয়স ১৮ বছরের কম। শতকরা ৫৮ ভাগ ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী। ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী শতকরা ২০ ভাগ এবং ৬ ভাগ ভুক্তভোগীর বয়স ৪০ বছরের বেশি।
    অভিযোগসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ ভুক্তভোগী পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে মামলার প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে আগ্রহী হননি। তারা শুধু আইডি বন্ধ করে বা মেসেজ ডিলিট করে সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছেন।

    ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাত্র ১২ ভাগ আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে জিডি বা মামলা করেছেন যার মধ্যে মাত্র ১৩ ভাগ ভুক্তভোগী অভিযুক্তের পরিচয় ও অবস্থান শনাক্ত করার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

  • বিরামপুরে নির্বাচনী প্রার্থীদের নিয়ে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

    বিরামপুরে নির্বাচনী প্রার্থীদের নিয়ে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    বিরামপুরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন২০২১ এর নির্বাচনী প্রার্থীদের সমন্বয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার এঁর সভাপতিত্বে প্রশাষনের সাথে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাননে অংশগ্রহনকারী সকল প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বারী-উল করিম খান।

    উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য আব্দুল লতিফ এঁর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অত্র উপজেলার সকল ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিতের বিষয়ে গঠনমুলক বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রমানিক, বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার একেএম ওয়াহিদুন্নবী, থানা অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্ত, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড, নূরল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মেরাজ হোসেন, উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাতিজা খাতুন প্রমূখ।।

  • ঈদগাঁওতে রত্নগর্ভা বিদ্যালয়ে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পিং ১৭ নভেম্বর

    ঈদগাঁওতে রত্নগর্ভা বিদ্যালয়ে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পিং ১৭ নভেম্বর

    ইমরান তাওহীদ রানা:- বার্তা সম্পাদক,

    রক্ত দিন,জীবন বাচাঁন শ্লোগানকে সামনে রেখেই ঈদগাঁওর অন্যতম শিক্ষাঙ্গন রত্নগর্ভা রিজিয়া আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    কাল ১৭ই নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তরুন প্রজন্মকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরনের লক্ষে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পিং করতে যাচ্ছে মানবিক সংগঠন বৃহত্তর ঈদগাহ পথ শিশু ব্লাড এসোসিয়েশনের একঝাঁক রক্তযোদ্ধারা।

    সচেতনতামুলক ক্যাম্পিং অনুষ্ঠানে কজন ডাক্তারও উপস্থিত থাকবেন বলে এক সূত্রে জানা যায়।

    এসোসিয়েশনের এডমিন ইমরান তাওহীদ রানা জানান, উক্ত কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে স্বল্প সময়ে বিনামূল্যে জেনে নিতে পারবে রক্তের মূল্য বান গ্রুপ। বর্তমান সময়ে নিজের রক্তের গ্রুপ জেনে রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    রত্নগর্ভা রিজিয়া আহমেদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমিজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে প্রথম বারের মত ব্লাড ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    এ মহতি কার্যক্রমকে সত্যিই সাধুবাদ জানায়। উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরাও উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পিংকে সফল করে তুলবেন।

    উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর ঈদগাহ শাহ জব্বারিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসায় ক্যাম্পিং ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচী করেন বৃহত্তর ঈদগাহ পথ শিশু ব্লাড এসোসিয়েশনের একঝাঁক রক্তযোদ্বারা।

  • মহেশখালীর কালারমারছড়া বাজারে দূর্ধর্ষ চুরি

    মহেশখালীর কালারমারছড়া বাজারে দূর্ধর্ষ চুরি

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি),

    মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া বাজারে এক রাতেই দুটি দোকান, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও দুটি ঘরে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১৫ নভেম্বর (রবিবার) মধ্যরাতে কালারমারছড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পার্শ্ববর্তী আল হামরা হাসপাতাল, সাবেক মেম্বার রশিদ আহমদের বাড়ি, পাশ্ববর্তী এলাকা অফিসপাড়ার আব্দুল হক মেম্বারের বাড়িসহ কালারমারছড়া বাজারে অবস্থিত সাফা মার্কেটের দুটি দোকান চুরি হয়েছে।

    চুরি হওয়া প্রতিটি জায়গা থেকে প্রায় নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও দামী মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।

    এ বিষয়ে আল হামরা হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার জয়নাল আবেদীন জানান, ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখি গ্রিলটি বাহির থেকে লক করা এবং স্টোর রুমের তালাসহ প্লেট লকারটি ভাঙ্গা।

    এসময় স্টোররুমের ড্রয়ার থেকে হাসপাতাল সংলগ্ন ফার্মেসীর ঔষধের মাসিক বিল ৭০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

    অপরদিকে রশিদ মেম্বারের বাড়ি ও তার বড়ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিকের বাড়ির দরজা ভেঙ্গে কিছু দামী মালামাল, অফিসপাড়ার সাবেক আব্দুল হক মেম্বারের পুত্র সাইফুলের রুমের দরজা ভেঙ্গে আলমারিতে রাখা ৩৫ হাজার টাকা, তার স্ত্রীর কাছে থাকা সাড়ে ১৩ হাজার টাকা, বিছানার পাশে রাখা মানি ব্যাগ ও ১ টি এন্ড্রয়েড মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।

    একই রাতে সাফা মার্কেটের টিন কেটে ভিতরে প্রবেশ করে মেহেদীর দোকানের ড্রয়ার ভেঙ্গে ৭০০ টাকা ও মামুনের দোকান থেকে অল্প মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা।

    এ বিষয়ে কালারমারছড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভুক্তভোগী ডাক্তার ইছমত আরা বেগম জিমি বলেন, হাসপাতালের সিকিউরিটি ও গেইট না থাকায় চোর সহজে হাসপাতালে প্রবেশ করে। প্রথমে হাসপাতালের পিছনের গেইটের তালা ভাঙ্গে। পরে ভিতরে গিয়ে আরো দু’টি রুমের তালা ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করে। ঐ সময় হাসপাতালে সরকারি ঔষধ আর ভারি যন্ত্রপাতি ছিল। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালা ভাঙ্গলেও কিছু চুরি হয়নি। চুরের সাথে থাকা তালা ভাঙ্গার তিনটি রড রেখে যায় বলে জানান।

    এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা পেশাদার বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশ কাজ শুরু করেছে। চোর দ্রুতই ধরা পড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

    এবিষয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন- কালারমারছড়ায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প না থাকায় ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির করার জন্য প্রতিনিয়ত হত্যাকান্ড ও চুরির ঘটনা কোন এক অদৃশ্য শক্তি করাচ্ছে। এছাড়াও কে বা কারা চুরির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে তা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

    বাজার কমিটির সভাপতি জানান, আমাদের তিনজন পাহাদার রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বাজারের সম্মুখস্থে পাহারা দিয়ে থাকেন। চুরি হওয়া তিনটি স্থানে চোর পিছনের দিক থেকে প্রবেশ করেছে। তাই প্রত্যেক সওদাগরের উচিত দোকানের পিছনে নিজ দায়িত্বে লাইটের ব্যবস্থা নেওয়া। তবে চুরি হওয়া বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান।

    ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস সিকদার বলেন- যারা চুরি করেছে তারা খুব পরিকল্পিতভাবেই করেছে। বাজারে সবসময় নিরাপত্তাকর্মীরা থাকেন। তারপরও রাতের আঁধারে টিন কেটে দোকান চুরির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনকে গৃহীত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।

    বাজার কমিটির দুয়েকজন সওদাগর খুব আক্ষেপ করে বলেন- বাজারে ৩/৪ জন পাহাদার দ্বারা এত নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে মার্কেটের চালের টিন কেটে তারা ঢুকলো। দায়িত্বে থাকা বাজার পাহাদারদের জিজ্ঞেস করার দাবি জানান তারা।

    স্থানিয় সচেতন মহলের দাবি, সাফা মার্কেটে চলাচলের গলিতে সিসিটিভি লাগানো ছিল। চোর সরাসরি টিন কেটে দোকানে প্রবেশে প্রমাণ হয়, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত চুরি। এবিষয়ে যথার্থ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

    বার্তা প্রেরক-
    মিছবাহ উদ্দীন আরজু
    (মহেশখালী)
    মোবাঃ 01811323339

  • বিরামপুরে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুপস্থিত ৪২

    বিরামপুরে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুপস্থিত ৪২

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    সারাদেশে ন্যায় দিনাজপুর বিরামপুরে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রোববার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয় এ পরীক্ষা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও করোনার কারণে দীর্ঘ প্রায় নয় মাস অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের।

    করোনা সংক্রমণ কমে আসলে পুনর্বিন্যাস করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শেষপর্যন্ত দেড় বছর পর এসএসসি পরীক্ষার আসনে বসতে পারলো শিক্ষার্থীরা।

    মহামারীর কারণে এবারের এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে ভিন্ন আমেজে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের।

    মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কেন্দ্রে।
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম জানান- এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিরামপুর উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা সর্বমোট ২০৯৫জন এদের মধ্যে বিজ্ঞান এবং , ভোকেশনাল বিভাগে বিরামপুর পাইলট হাই স্কুল ২০২ জন কাটলা হাই স্কুল ১১৬ জন একর হাই স্কুল ৩২১জন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ৩৩৫ জন ভোকেশনাল ২৬৪ জন ভোকেশনাল পাইলট ১২৩ জন সর্বমোট ১৩৬০ জন।

    অনুপস্থিত ২৮ জন আজ সোমবার পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে পাইলট হাইস্কুল ২০৫জন ,সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ১৯১ জন. কাটলা হাইস্কুল ৯৪ জন একর হাইস্কুল ২৫১জন সর্বমোট ৭৪১, অনুপস্থিত ১৪ জন, দুই দিনে অনুপস্থিত সর্বমোট ৪২ জন।
    বিরামপুর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট ৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

    এদিকে পরীক্ষার্থীদের হল পরিদর্শনে এসে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দের বছর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর উৎসবমুখর পরিবেশে পরীক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসএসসি দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

    যা দেখে অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের মধ্য আনন্দ উদ্দীপনা কাজ করছে।
    এছাড়াও পরীক্ষার্থীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেই সাথে মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে ব্যাপারে আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।

    এছাড়াও তিনি বিরামপুর উপজেলার সকল এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শুভকামনা জানান।

  • রামু উপজেলা ৯নং খুনিয়াপালং ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার গিয়াস উদ্দিনের শোডাউন

    রামু উপজেলা ৯নং খুনিয়াপালং ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার গিয়াস উদ্দিনের শোডাউন

    সাইফুল ইসলাম আজাদঃ- কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি,

    রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ গিয়াস উদ্দিন। তার এই জয়ে বিশাল জনতার বহর নিয়ে গতকাল তার নির্বাচনী ওয়ার্ডে শোডাউন করেছেন তিনি।

    শনিবার এলাকার লোকজন নিয়ে পুরো ওয়ার্ড চক্কর দেন তিনি। এসময় পূর্ব ধেছুয়াপালং, মাদ্রাসাপাড়া,হাকিম আলী বাপেরপাড়া আবুল বন্দর, চরপাড়া এলাকার হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন গিয়াস উদ্দিন।

    শোডাউন শেষে তিনি বলেন, আমি গণমানুষের মেম্বার। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনকে হেয় করে কথা বলবেন না। যারা এবার ভোট দেয়নি, ইনশাল্লাহ আগামীবার দিবে।

    আমার কারো প্রতি প্রতিহিংসা নেই। সকলের সহযোগিতা নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।
    এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়াস উদ্দিন মেম্বার বলেন, ৪নং ওয়ার্ডের মানুষের এই ঋণ আমি জীবনেও ভূলব না। সুখে, দু:খে আমি সকলের পাশে থাকতে চাই।

    বিজয় মিছিলে এলাকার হাজারো জনতা অংশ নেন।
    প্রসঙ্গতঃ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা অনুষ্টিত নির্বাচনে মোরগ প্রতীক নিয়ে ৮৪২ ভোট পেয়ে মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেসরকারি ভাবে মেম্বার নির্বাচিত হন।

    তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু তাহে ৪৭২ ভোট পান।