Category: Uncategorized

  • বিত্তবান সমাজের নিকট রোমানার আবেদন সে বাঁচতে চায়

    বিত্তবান সমাজের নিকট রোমানার আবেদন সে বাঁচতে চায়

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর), 

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বেলখুরিয়া গ্রামের রমজান আলী ও হোসনে আরার মেয়ে রোমানা খাতুন (১৩) থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। মিতা-মাতা অর্থভাবে তার অপারেশন করাতে না
    পারায় ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে রোমানা।

    বিরামপুর হাসপাতালের বেডে অসুস্থ্য রোমানা এই সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চায়; সে জানিয়েছে বাঁচার আকুতি।রোমানার পিতা-মাতা জানান, জন্মের কয়েক বছর পর থেকে সে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। এতে তাদির সংসারের সব অর্থ কড়ি খরচ করে ফেলেছেন। সর্বশান্ত পরিবার নরুপায় হয়ে আত্মীয় স্বজনদের নিকট ধার-দেনা করেও চিকিৎসা করিয়েছেন।

    তাতেও সুফল মিলেনি। অবশেষে চিকিৎসকরা রোমানার বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের বাইরে এই অপারেশন করাতে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।

    বিরামপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আলী হোসেন বলেন, বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া রোমানার সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। যতদিন অপারেশন করা হবেনা ততদিন প্রতিমাসে বাহির থেকে
    রোমানার শরীরে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আবার বেশিদিন ধরের্ ক্ত দিতে পেলে তার লিভারের সমস্যা হতে পারে।এই বহুমূখী সমস্যায় সর্বশান্ত রোমানার পিতা-মাতা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মেয়ের জীবন বাঁচাতে তাঁরা সর্বস্তরের
    মানুষের নিকট অর্থ সাহায্য চেয়ে মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : বিকাশ-
    ০১৭৮১৮১৫৯৩৩, সঞ্চয়ী হিসাব নং
    ৩৫২৬৩১,রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ডাঙ্গাপাড়া শাখা, দিনাজপুর।

  • নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সেমিনারে ড. আবু রেজা নদভী এমপি

    নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সেমিনারে ড. আবু রেজা নদভী এমপি

    আলমগীর ইসলামাবাদী (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    “নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র জ্ঞানের দ্যূতি উপমহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের দিক-দিগন্ত আলোকিত করেছে”।

    ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌ’র প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’তে অধ্যয়নকারী বাংলাদেশী প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে Towards roting the Islamic vision of education শীর্ষক এক সেমিনার ৩০ অক্টোবর শনিবার সকাল নয়টায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এর চেয়ারম্যান, নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
    দুই অধিবেশনে অনুষ্ঠিত সকাল ৯ টার প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বায়তুশ শরফের পীর ও নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌর সাবেক কৃতি ছাত্র আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী।

    বেলা পৌণে বারটায় দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশের নদভী অঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি আল্লামা সুলতান যওক নদভী।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ওবাইদুর রহমান খান নসীম নদভী, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ শফীউর রহমান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মছরুরুল মাওলা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. দ্বীন মুহাম্মদ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির, আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন।

    বক্তব্য রাখেন সেমিনার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. আতাউর রহমান নদভী, প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, প্রফেসর ড. নাজমুল হক নদভী, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও মাওলানা মুহাম্মদ আমিন নদভী।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এর চেয়ারম্যান, নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র জ্ঞানের দ্যূতি উপমহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আরব, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দিক-দিগন্ত বর্ণোজ্জ্বল করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারন ও সুনাম-সুখ্যতির সাথে জড়িত রয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য মুসলিম মনীষা আল্লামা শিবলী নোমানী, আল্লামা মুহাম্মদ আলী মুঙ্গেরী, আল্লামা সৈয়দ সোলাইমান নদভী, আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) প্রমুখের নাম।

    গত শতাব্দীতে যার বদৌলতে নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র পরিচিতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তিনি হচ্ছেন আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.)। নিজ দেশ ভারত থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের সরকার প্রধান ও সুধী মহলে তাঁর গ্রহনযোগ্যতা ছিল আকাশচুম্বি।

    তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তক, সমাজ সংস্কারক ও আধ্যাত্মিক রাহবার, মুসলিম উম্মাহর দিব্যপ্রাণ- দরদি ভাষ্যকার। বিদ্বান ও বিদগ্ধজনের কাছে তাঁর পরিচয় নতুন নয়। বাজপেয়ীসহ ভারতের অনেক সরকার প্রধান তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন এবং তাঁর নিয়মিত খবরাখবর রাখতেন।

    ড. আবু রেজা নদভী এমপি আল্লামা সুলতান যওক নদভীকে বাংলাদেশের নদভী অঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি আখ্যায়িত করে বলেন, আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) অন্যতম শীর্ষ এই মনীষীর বদান্যতায় নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌতে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌতে অধ্যয়নেকালে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

    নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌর অপর কৃতিছাত্র, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ওবাইদুর রহমান খান নসীম নদভী বলেন, নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌর অন্যতম প্রাণপুরুষ আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) গোটা মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তিনি এতই দেশপ্রেমিক ছিলেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে নিজ দেশ ভারতেই জীবনের শেষ সময় অতিবাহিত করেন। তিনি বলেন, আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) বাংলাদেশকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং বাংলাদেশী ছাত্রদের বিশেষ সুযোগ- সুবিধা প্রদানে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং প্রতিবারই চট্টগ্রাম সফরে আসেন। অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এই মহান ব্যক্তি বলেছিলেন, বাংলাদেশ অন্য যে কোন সূচকে পিছিয়ে থাকতে পারে কিন্তু মেধার দিক দিয়ে কোনভাবে পিছিয়ে থাকতে পারে না। তিনি চাইতেন বাংলা ভাষায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো অনূদিত হোক। এ বিষয়ে তিনি খোঁজ খবরও রাখতেন। তিনি হৃদয় বিগলিত দরদ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে বাংলা ভাষার বাগডোর অন্যদের হাতে ছেড়ে দেবেন না। আপনারা চিরকাল পাঠক হবেন, আর অন্যরা লেখক হবে- এটা কাম্য নয়; শোভনীয় নয়। বাংলা ভাষাচর্চায় শিথিলতা আলেমদের বাংলাদেশে অপাঙক্তেয় করে দেবে। সময়ের ব্যবধানে আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) এর সেই ভবিষ্যত বাণী আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ইসলামি জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় আধুনিক প্রযুক্তির সব উপকরনই ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশী নদভী স্কলারদের সুসংগঠিত করে একটি চমৎকার সেমিনারের আয়োজন করায় প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

    অনুষ্ঠানের আন্তর্জাতিক ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ আসাদের পরিবেশনায় তেলাওয়াতে কালামে পাক ও কলরব শিল্পী আবিদ তারানায়ে নদওয়াতুল ওলামা পরিবেশন করেন।
    সেমিনারে বাংলাদেশের

  • গাবতলীতে সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    গাবতলীতে সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    রাকিব মাহমুদ ডাবলুঃ- গাবতলী (বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

    ৩০ অক্টোবর বগুড়া গাবতলী সুখানপুকুর ইউনিয়নের নিজ কাকঁড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিকাল ৩ ঘটিকায় সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খবিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন,বগুড়া জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা টি.এম.মুসা পেস্তা। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আ’লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন।

    প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন, নেপালতলী ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম লতিফুল বারী মিন্টু,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপ¯ি’ত ছিলেন,গাবতলী উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা আব্দুর রাজ্জাক মিলু,গাবতলী উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি বাবু ধন্য গোপাল সিংহ, বগুড়া জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক মুন্জুরুল হক মুন্জু ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সাত্তার, সুখানপুকুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নিলাদ্রী শেখর বিটু সিংহ,সহ-সভাপতি শাখোয়াত হোসেন শিমু,সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রানা,যুগ্নসাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম উজ্জল,অশোক কুমার সাহা,সাবেক শিক্ষক আব্দুর রহমান মাষ্টার,সাবেক ইউপি সদস্য সাহাজ্জল হোসেন, গাবতলী পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোনির হোসেন পিপুল, সুখানপুকুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শ্রী পলাশ রায় পলান,যুগ্নআহবায়ক আব্দুল মালেক,আজিজুল হাকিম, ইউপি সদস্য আমজাদ,ইয়াছমিন,সুখানপুকুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নিবির আ’লীগ নেতা,উদয় কুমার,বিমল মাষ্টার,ফুল্লু,পতিত,দুলু,রাঙ্গা,মামুন মুনসী,মমিরুল ইসলাম,খোরছেদ,সুখানপুকুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আল-মোমিন,কুদ্দুস,আতিক,আবু বক্কর সিদ্দিক, মহিলা মেম্বর প্রার্থী ববিতা বেগম সহ ইউনিয়ন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনক বিভিন্ন নেতাকর্মী ও হাজার হাজার জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন।

  • বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ ও র্যালী

    বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ ও র্যালী

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকল ধর্মের প্রতিনিধি এবং সব শ্রেণী পেশার মানুষদের নিয়ে এক সম্প্রীতি সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী। উপজেলা সদরে র্যালী শেষে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ হলরুমে সমাবেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি।

    বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী, বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা আক্তার কাজমী, চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আনম শাহাদাত আলম, চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান বদরুল হক, জিল্লুল করিম শরিফী, এডভোকেট তোফায়েল বিন হোসাইন, পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক হামিদ উল্লাহ হামিদ, সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, ডাক্তার আশিষ শীল, প্রদীপ গুহ, মাওলানা মুফতি সাঈদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলন

    রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলন

    ওমর ফারুক (উখিয়া),

    অদ্য ৩০অক্টিবর ২০২১ইং নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা, সমর্থকদের প্রান নাশের হুমকির প্রতিবাদে রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী (ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে) নুরুল কবির চৌধুরীর উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন উখিয়া প্রেস ক্লাবের হল রুমে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, রত্না পালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর শাসন আমলে রত্না পালং ইউনিয়নে রেকর্ড পরিমাণ ১৪ জন খুন হয়েছে। স্বাধীনতার পর যা ইতিহাস।

    তার বিচার ব্যবস্থার দূর্বলতার ও অদক্ষতা এবং পক্ষপাতিত্বের কারনে এসব খুনের ঘটনা ঘটেছে,বিভিন্ন কৌশলে খাইরুল আলম চৌধুরী সব সময় ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে ১,২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের জনগনের উপর হিটলারের শাসন কায়েম করেছেন। খাইরুল আলম চৌধুরী এবং তার সন্ত্রাসীর বাহিনীর কাছে অসংখ্য বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র রয়েছে।

    নির্বচনের পূর্বে এগুলো উদ্ধার করা না হলে রত্না পালং ইউনিয়নের কোনভাবেই সুষ্ঠু ভাবে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব হবে না, তিনি ইতিমধ্যে প্রভাব খাটিয়ে আমতলী ও তেলীপাড়ায় আমার নির্বাচনী অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।

    আমার সমর্থক ও কর্মীদের উপর হামলা করেছে, খাইরুল আলম চৌধুরী নিজে এবার প্রার্থী হয়নি, অথচ চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদার পক্ষ নিয়ে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা দেখিয়ে মাঠে ময়দানে প্রকাশ্যে রাম রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

    তার সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদকে নৌকা প্রতীকের অফিস হিসাবে ব্যবহার করতেছেন এবং সরকারি সাহায্য গুলো প্রদান করতেছে। নুরুল হুদা ও সরকারের পক্ষ থেকে ত্রানের দেওয়া হবে বলে ভোটারদের কাজ থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করে নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ফেলতেছেন।

    যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সম্পুর্ণ লংঘন,একজন ব্যক্তি বর্তমান চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বে থেকে কিভাবে অন্য একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়ক বা কর্মী হিসাবে কাজ করেন? নির্বাচনের পূর্বে তাকে খাইরুল আলম চৌধুরীক এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা সরকারীভাবে দেওয়া না হলে, তিনি এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন।

    সুষ্ঠু নির্বাচন, এলাকার সাধারণ জনগনের নিরাপত্তা, সকল প্রার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অধিক ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র ১,২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার মতো আইপি ক্যামরা স্থাপন, পর্যাপ্ত বিজিবি ও র্র্যাব মোতায়েন, নির্বাহী ম্যাজিস্টেট্র নিয়োগ এবং সার্বক্ষণিক সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ টীম থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান।

    অপর এক প্রশ্নে নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, আমি কেন বৌদ্ধ মন্দির হামলার আসামি হবো? খাইরুল আলম চৌধুরীর সমর্থিত প্রার্থী নুরুল হুদাই কোটবাজার বৌদ্ধ মন্দির হামলার নাটেরগুরু, স্থানীয় তার প্রতিপক্ষদের মামলায় আসামি করে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তিনি উক্ত ঘৃণিত হামলার ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন।

    অথচ কোটবাজার বৌদ্ধ মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাঁকেই তৎকালীন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দাযিত্ব দেওয়া হয়ে ছিলো।

    নুরুল হুদার নিজের এলাকা ছাড়া রত্না পালং ইউনিয়নের অন্য কোন এলাকায় তো বৌদ্ধ মন্দির ভাংচুর হয়নি, এর থেকে কি প্রমাণ হয়? নুরুল হুদা নিজের এলাকার বৌদ্ধ সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন নি।।

    চেয়ারম্যার প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী আরো বলেন,চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী ও নৌকা মার্কার প্রার্থী নুরুল হুদা ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা করেছেন, ৫ নভেম্বর তারিখে পর আমাকে, আমার কর্মী ও সমর্থকদের ঘর থেকে বের হতে দিবে না।

    রত্না পালং ইউনিয়নের কোন জায়গায় আমার কোন পোস্টার ও ব্যানার থাকতে দেবে না, সব ছিঁড়ে ফেলবে এবং প্রচার প্রচারণা চালাতে দিবে না।

    তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও রিটানিং অফিসারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • বাঁশখালীতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২১ উদযাপন

    বাঁশখালীতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২১ উদযাপন

    বাঁশলমগীর ইসলামাবাদী:-

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    “মুজিববর্ষের পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি” এই প্রতিপদ্যকে সামনে রেখে বাঁশখালীতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২১ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা বাঁশখালী জলদি (পৌরসভা) গ্রীণপার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি। বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে

    অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,

    উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মোঃ হুমায়ূন কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সাইদুজ্জামান চৌধুরী, ওসি তদন্ত আজিজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আনম শাহাদাত আলম, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী,ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ চৌধুরী, জিল্লুল করিম শরিফী, এডভোকেট তোফায়েল বিন হোসাইন, পৌরসভা যুবলীগের আহবায়ক হামিদ উল্লাহ হামিদসহ প্রমুখ।

  • চমেক নাছির-নওফেল গ্রুপের অনুসারীরা মুখোমুখি সংঘর্ষ, রক্তাক্ত ৩

    চমেক নাছির-নওফেল গ্রুপের অনুসারীরা মুখোমুখি সংঘর্ষ, রক্তাক্ত ৩

    আলমগীর ইসলামাবাদী:-

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ছাত্রলীগের দুগ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন আহতও হয়েছেন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মুখোমুখি অবস্থানে থাকা এই দুই পক্ষের একটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারীরা অন্য পক্ষে আছে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।

    জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারীরা আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় দুজন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়। তারা হলেন চমেকের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) ও ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০)। রাতের ঘটনায় আহত দুজনই আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।

    রাতের ঘটনার জের ধরে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের একজন আকব হোসেন (২০) কে একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।

    এর পরপরই শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পরে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। দুপুর ১ টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশ পাহাড়ায় সেখান থেকে বের হয়ে আসে নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।

    এদিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতাল, কলেজ ক্যাম্পাস এবং প্রধান ছাত্র হোস্টেলজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ বিষয়ে পরে কথা বলা হবে।

  • বিরামপুরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভায়- ইউ এন ও পরিমল কুমার সরকার

    বিরামপুরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভায়- ইউ এন ও পরিমল কুমার সরকার

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

     

    আগস্ট মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রতি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের বিরামপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনু্ষ্টিত হয়েছে।

    (৩০ অক্টোবর) শনিবার সকাল ১০টায় সময়
    বিরামপুর থানা চত্তরে এ কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্টান অনু্ষ্টিত হয়।

    বিরামপুর থানা পুলিশ আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠানে পুলিশ পরিদর্শক মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার একেএম ওহিদুন্নবী,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী।

    এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মন্ডল,১নং প্যালেন মেয়র আব্দুল আজাদ মন্ডল, বিরামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন,বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার সরকার, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ডক্টর নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মশিহুর রহমান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হবিবর রহমান, দিনাজপুর জেলার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের সভাপতি আকরাম হোসেন,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ বিরামপুর (এপি) ম্যানেজার নরেশ ম্যারান্ডি,সাব-ইন্সেপ্টর এরশাদ মিয়া প্রমুখ।

    সভায় বক্তারা বলেন, এলাকায় মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশনকে সহযোগীতা করবে এলাকার সচেতন জনগন তবেই অপরাধ নির্মূল হবে।

  • উজানটিয়া ইউনিয়নে সেবক হয়ে থাকতে চাই শহিদুল ইসলাম চৌধুরী

    উজানটিয়া ইউনিয়নে সেবক হয়ে থাকতে চাই শহিদুল ইসলাম চৌধুরী

    মোঃ সাইফুল ইসলাম পেকুয়া (কক্সবাজার)

    কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা উজানটিয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন উজানটিয়ার ঐতিহ্য পরিবারের কৃতি সন্তান সফল দুই বার চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

    গত শুক্রবার (২৯অক্টোবর) বিকেল ঢাকা থেকে নিজ ইউনিয়ন উজানটিয়া ফেরার পথে পহরচাদা এলাকায় তাকে ফুলের শুভেচ্ছায় বরণ করেছেন হাজারো নেতাকর্মী ও ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ।

    পরে নৌকার প্রার্থীকে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মোটরসাইকেল ও বিশাল গাড়ির বহর নিয়ে পহরচাদা থেকে ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় রাস্তার দুইপাশে অসংখ্য নারী পুরুষ তাকে স্বাগত জানায়। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাধারণ মানুষকে দুই হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।

    পরে উজানটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক সংবর্ধনা সমাবেশে মিলিত হন তিনি। পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী। উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জিয়াবুল হক জিকু এবং ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী তারেকুল ইসলাম প্রমুখ।এছাড়াও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

    সমাবেশে সর্বস্তরের জনসাধারণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত নৌকার মাঝি এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়ে যে সম্মানিত করেছে তারজন্য দলের মনোনয়ন বোর্ড ও সকল নেতৃবৃন্দ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

    বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এলাকার উন্নয়ন এবং মানুষের সেবা করার জন্য দ্বিতীয় বারের মতো আমাকে দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি ভোগের জন্য নির্বাচন করছিনা, আমি জনগণের মাঝে ত্যাগের উদ্দেশ্যেই নির্বাচন করছি।

    সবসময় এই জনপদের মানুষের সাথে মিশে ছিলাম আছি এবং আমৃত্যু থাকবো।
    একটি ইউনিয়নকে সাজাতে ও উন্নয়ন করতে হলে সরকারের প্রতিনিধি ছাড়া কখনও সম্ভব না। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য সবার কাছে দোয়া ও সমর্থন চাই।

    তিনি আরও বলেন, আমার জীবনের যত ঝুঁকি ও ঝড় আসুক আমি তা মোকাবেলা করে আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত প্রাণপ্রিয় উজানটিয়াবাসীর সেবক হয়ে থাকতে চাই।

    বিগত সময়ে যেভাবে উজানটিয়াবাসীর সুখে দুঃখে ছিলাম সেভাবে আগামী দিনেও আপনাদের সন্তান হিসেবে আমাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে উন্নয়নের প্রতীক নৌকার মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের মাঝে পাঠিয়েছেন তার স্বীকৃতিস্বরূপ ২৮ নভেম্বর সারাদিন নৌকা প্রতীকে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

  • কালির ছড়া শিয়া পাড়ায় মাল্টা চাষাবাদে স্বাবলম্বীর পথে ঈদগাঁওর শাহ আলম

    কালির ছড়া শিয়া পাড়ায় মাল্টা চাষাবাদে স্বাবলম্বীর পথে ঈদগাঁওর শাহ আলম

    ইমরান তাওহীদ রানাঃ-

    বার্তা সম্পাদক, 

    গ্রামীন জনপদে মাল্টা চাষাবাদেই স্বাবলম্বীর পথে ঈদগাঁওর এক যুবক।

    জানা যায়,দীর্ঘ তিন বছর ধরে ঈদগাঁও ইউনিয়ন
    কালির ছড়ার শাহ আলম শিয়াপাড়া নামক স্থানে
    ১৫ কানি জমিতে চাষাবাদ করে যাচ্ছে। সেখান তিনি মাল্টার পাশাপাশি লিচু,আম,পেয়ারা, লেবু চাষ করে যাচ্ছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতার সহযোগিতায় তিনি মাল্টা চাষাবাদ শুরু করেন।

    ২৯ অক্টোবর শিয়া পাড়া নামক এলাকায় মাল্টা বাগান পরিদর্শন কালে এমনি দৃশ্য চোখে পড়ে কক্সবাজার প্রতিদিনের এ প্রতিবেদকের। বেশ চমৎকার বটেও। প্রতিটি গাছে গাছে মাল্টা ঝুলে আছে। বিশাল এ মাল্টা বাগানটি এলাকার কদর বাড়িয়ে দিয়েছেন সবখানে।

    মাল্টা চাষী শাহ আলম হাস্যেজ্জল কন্ঠে জানান, কৃষি কর্মকতা শাখাওয়াতের সহযোগিতায় কয় বছর ধরে মাল্টা চাষাবাদে সফলতা লাভ করি। কেজি দুই শত টাকা হিসেবে এক মণ মাল্টাও বিক্রি করেছি।

    উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা শাখাওয়াত হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,ঈদগাঁওর শিয়া পাড়ায় দুয়েকজন এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। ফলনের গুনগত মান ভাল করার স্বার্থে তাদের কে যাবতীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছি।