Category: Uncategorized

  • টেকনাফ আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে জেলা ছাত্রলীগের প্রতি খোলা চিঠি

    টেকনাফ আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে জেলা ছাত্রলীগের প্রতি খোলা চিঠি

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

     

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ সবাইকে দু’আ এবং শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
    অত্যাসন্ন ২৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে জেলা কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের থানা সম্মেলন।

    আলোচিত সমালোচিত সাইফুল ইসলাম মুন্না টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের বিগত চার শেষনের সাধারণ সম্পাদক।
    তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গসহ অভিযোগ অনুযোগের অন্ত নেই।

    দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদধারী হওয়ার পরেও তিনি বার বার নৌকা বিরোধীদের নাগালে আটকে যান। যার দরুন বাবরবার তিনি নৌকার ভোট ব্যাংকে আঘাত হেনেছে।

    তার বিগত দিনের রহস্যজনক ভূমিকা দেখে তৃণমূল বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা পূর্ণ নিশ্চিত যে, তিনি দায়িত্ব ভাগিয়ে নিয়ে ধানের শীষে সার যুগিয়ে দিতে মারিয়া। নচেৎ সাইফুল মুন্না দলের দায়িত্বশীল পরিচয় দিয়ে বারংবার গণমানুষের প্রতীক নৌকার বিরোধীতা করে কেন? নৌকার ভরাডুবির জন্য টাকা উড়ান কেন?
    এটি এখন গণ মানুষের প্রশ্ন।
    আসন্ন থানা সম্মেলনকে সামনে রেখে একটি চক্র সক্রিয়, অবৈধ কালোটাকা উড়িয়ে পদ পদবীর তদবিরে মহা ব্যস্ত।

    দেশের সর্বশেষ দক্ষিণে সীমান্তের নাফ নদীর কূলঘেষা কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের আসন্ন ২৫ ফেব্রুয়ারি’২১ কাউন্সিলে নবাগত নতুন কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্বদানে সক্ষম
    এমন একজন ছাত্রলীগের সভাপতি চাই যিনি দক্ষতা, সততায় সচ্চরিত্রে দেবতুল্য ভালো হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তৃণমূলের আস্থাভাজন হবে।

    যিনি তৃণমূলের সুখে দুঃখে টেকনাফবাসীর পাশে থাকবে। মুজিবীয় চেতনা লালন করবে।
    ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা যাকে প্রত্যাখান করেছে। তাকে আর আমরা চাই না।
    যিনি দলীয় গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। নৌকার বিরোধিতা করেছেন, তা টেকনাফবাসী বারবার লক্ষ্য করেছে।
    আমরা তার অনৈতিক হস্তক্ষেপের অবসান চাই।

    আমরা নৌকা বিজয়ের জন্য সর্ব শক্তি দিয়ে স্বধীনতা প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব।
    জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
    জয় হোক
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ

     

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নবগঠিত মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির ৩১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এ কমিটির অনুমোদন করেন। শুক্রবার স্বাক্ষর করে এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
    মহিপুর থানা কমিটিতে মো. জলিল হাওলাদার আহবায়ক ও এ্যাড, শাহজাহান পারভেজকে সদস্য সচিব ও কুয়াকাটা পৌরসভায় আ. আজিজ মুসুল্লী আহবায়ক ও মো. জসিম উদ্দিন বাবুল ভুইয়াকে সদস্য সচিব করা হয় এবং এতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি অনুমোদকারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কুয়াকাটা পৌর এলাকা, মহিপুর , ডাবলুগঞ্জ , ধুলাসার , লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকা কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে।

  • শনিবার বাঁশখালী চাম্বল মাদরাসার বার্ষিক সভা

    শনিবার বাঁশখালী চাম্বল মাদরাসার বার্ষিক সভা

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

    আমাগী ৩০ জানুয়ারি ২১ ইং শনিবার সারা দিন ব্যাপী চট্টগ্রামের অন্তর্গত
    বাঁশখালী চাম্বল দারুল উলুম আইনুল ইসলাম মাদরাসার ৬৭ তম বার্ষিক সভা অনুষ্টিত হবে। ঐত্যিহ্যবাহি এই মাদরাসায় দেশবরেণ্য আলেম ওলামা বয়ান করার কথা রয়েছে।বাঁশখালীতে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম বেশ সুনাম রয়েছে।চাম্বল ইউনিয়নে অবস্থিত এই মাহফিলকে ঘিরে প্রতি বছর ঈদের অামেজ বিরাজ করে।চাম্বল অালেম ওলামা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এখানে মাদরাসার সভাকে ঘিরে অালেম ওলামাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

    মাদরাসার বর্তমান পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন অালহাজ্ব আল্লামা শাহ্ আবদুল জলিল সাহেব দাঃ বাঃ।তিনি একজন নির্মোহ ও বুজুর্গ অালেম।যার বয়ানে বহু মানুষ পাপাচার থেকে ফিরে এসেছে।প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও মাহফিল সফলভাবে সম্পন্ন হবে অাশাবাদী।সভা উপলক্ষ্যে দূর- দূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার অাগমন ঘটে।সভায় দেশের বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মত।মোহতামিম সাহেবের পক্ষ থেকে সর্বস্থরের জনতাকে সভার দাওয়াত করা হয়েছে।

  • মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম নগর ভবনকে দুর্নীতি মুক্ত করব-মেয়ের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম

    মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম নগর ভবনকে দুর্নীতি মুক্ত করব-মেয়ের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বায়েজিদ থানায় হাতপাখার পক্ষে জান্নাতুল ইসলামের ব্যাপক গণসংযোগ।

    আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম তার প্রতীক হাতপাখার পক্ষে বায়েজিদ থানায় ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

    আজ বুধবার (২০ জানুয়ারী২০২১) বেলা ২ টায় টেক্সটাইল মোড় চন্দ্রনগর থেকে প্রচারণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়া।

    এ সময় বাংলাবাজার পথসভায় মেয়রপ্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম বলেন,
    আমি নিজেও দুর্নীতি করবো না; কাউকে করতেও দিবো না।
    বাজেটের শতভাগ টাকা উন্নয়নের কাজেই ব্যবহার করবো।আমি বিশ্বাস করি বাজেটের শতভাগ টাকা দিয়ে উন্নয়নের কাজ করলে বর্তমান সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ উন্নয়ন করা সম্ভব।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল কাসেম মাতব্বর, সেক্রেটারি আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল, মিডিয়া সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, পোলিং এজেন্ট সমন্বয়ক আবু সুফিয়ান ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক প্রচার সম্পাদকঃ মাও,গিয়াস উদ্দিন আল মাহমুদ,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক সহকারী অর্থ সম্পাদকঃ মিডিয়া কর্মি আলমগীর ইসলামাবাদী ও ইসলামী আন্দোলন বায়েজিদ থানার নেতৃবৃন্দ।

  • খুলনায় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের নগর ও জেলার যৌথ সভা

    খুলনায় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের নগর ও জেলার যৌথ সভা

    শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি

     

    গত ১২ ই জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী গোলামুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া এর পরিচালনায় রেলওয়ে মসজিদে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রচলিত জেনারেল শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক না থাকার কারণে বর্তমান প্রজন্মের বোদ-বিশ্বাসে প্রগতিশীলতা ও পশ্চিমারা সাংস্কৃতিক প্রভাব প্রকট আকারে ধারণ করেছে, যার কারণে জিনা-ব্যাবিচার, ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এধরনের গর্হিত অন্যায় বৃদ্ধির জন্য আমাদেরকে দূর্বল ও ভঙ্গুর বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসন দায়ী।

    সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ।

    উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মুফতী আব্দুর রহিম, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মুফতী আলী আহমাদ, মুফতী ইমরান হুসাইন, মুফতী আব্দুর শাকুর, মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজি, মুফতী ফখরুল হাসান কাসেমী, মুফতী জাকির হুসাইন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতী আনোয়ারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাদের, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, মুফতী আব্দুল্লাহ মুফতার, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, মাওলানা ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।

  • আলেম-ওলামারা ঐক্যবদ্ধ হলে মুসলিম সমাজও এক হয়ে যাবে এবং সমাজে শান্তি আসবে।আল্লামা আবদুল হাই নদভী পীর সাহেব বইতুশ শরফ

    আলেম-ওলামারা ঐক্যবদ্ধ হলে মুসলিম সমাজও এক হয়ে যাবে এবং সমাজে শান্তি আসবে।আল্লামা আবদুল হাই নদভী পীর সাহেব বইতুশ শরফ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক ও লেখক, রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মোহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ) বলেন, আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়ার ওপর ভিত্তি করে শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আলেম – ওলামাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, ঐক্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আলেম-ওলামারা ঐক্যবদ্ধ হলে বহুধাবিভক্ত মুসলিম সমাজও এক হয়ে যাবে এবং সমাজে শান্তি ফিরে আসবে। তিনি বলেন, আলেমরা হলেন নবী-রসুলদের উত্তরসূরি।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)। সুতরাং নবী-রাসুলদের জীবনচিত্র সম্পূর্ণটুকু প্রতিফলিত হতে হবে আলেমদের মাঝে। তাদের কথা-কাজ, আচার-ব্যবহারে এক ধরনের জান্নাতি শোভা বিরাজ করতে হবে। কোনো ধরনের লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ তাদের আত্মায় স্থান পাবে না। এমনকি তাঁরা চরম অত্যাচারীর চোখ রাঙানোকেও ভয় করবেন না। ভয় পাবেন না মিথ্যার সামনে অবলীলায় সত্য তুলে ধরতে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ আলেম সমাজের মাঝে ঠিক উল্টো চিত্রই আমরা দেখতে পাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, যাদের মাঝে নববী চরিত্রের সমাহার ঘটবে কেবল তারাই নবীর উত্তরসূরি হতে পারবেন।
    ঐক্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা এবং অন্যের কথা শোনার মতো মানসিকতা তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখতে হবে। তাহলেই হতে পারে আলেম সমাজের ঐক্য। তিনি আরো বলেন, মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু ইসলামের মৌলিক বিষয়ে আনুগত্য ও আস্থাশীল থাকলে ক্ষুদ্র মতপার্থক্য ঐক্যের পথে বাধার প্রাচীর হতে পারেনা। তাই সময়ের দাবি হচ্ছে, রাজনীতির উর্ধে থেকে সব হক্কানি ওলামা-পীর-মাশায়েখের ঐক্যবদ্ধ হওয়া। এই লক্ষ্য ও উদ্দশ্যকে সামনে রেখে ১৯৯৬ সালে বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার আল্লামা শাহসুফি আবদুল জব্বার (রাহঃ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশ।

    রাহবারে বায়তুশ ও মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আবদুল হাই নদভী আজ ৯ জানুয়ারী শনিবার সকাল ১০টায় মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয়, চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ২০২১-এ সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    সম্মানিত অতিথি বক্তব্যে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ বায়তুশ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমান আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে যুগে যুগে আলেম-ওলামাদের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, উপমহাদেশের আযাদী আন্দোলনে এ দেশের আলেম সমাজের ভূমিকা শুধু যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয় তাই নয়, বরং অবিস্মরণীয়। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের গোলামির শৃঙ্খল থেকে স্বদেশকে মুক্ত করার জন্য আলেম সমাজের অসাধারণ ত্যাগ ও কোরবানি, কঠোর সংগ্রাম এ উপমহাদেশের ইতিহাসের এক চিরস্মরণীয় অধ্যায়। আলেম সমাজের এমন গৌরবদ্বীপ্ত ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে নেয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল পারস্পরিক মহব্বত, শ্রদ্ধাবোধ, সহানুভূতি ও শিষ্টাচার। তিনি বলেন, ইসলাম প্রিয় সাধারণ মানুষ ওলামায়ে কেরামের মাঝে আবারও সেই সোনালী অতীতের ধারাবাহিকতা দেখতে চায় এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য এবং ভিন্নমত সহকারে আলেমরা উম্মাহ ও দ্বীনের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যমত গড়ে তুলতে পারলে সোনালীে অতীত ফিরে পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

    অভিষেক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ নূরী। বায়তুশ শরফের সামগ্রিক কর্মকান্ড তুলে ধরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আনজুমনে ইত্তেহাদের সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক পুটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইদ্রিছ মিয়া। আল্লামা শাহসুফি আবদুল জব্বার (রাহঃ) কর্তৃক মজলিসুল ওলামা প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন তদানীন্তন সংগঠনের সক্রিয় সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মাওলানা আবুল হায়াত মুহাম্মদ তারেক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মজলিসুল ওলামার যুগ্ম মহাসচিব পতেঙ্গা ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ।
    অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাজী মাওলানা জাফর ছাদেক।

    অনুষ্ঠান শেষে মজলিসুল ওলামার নবগঠিত কেন্দ্রীয়, চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাহবারে বায়তুশ শরফ ও মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ)।

  • পাল্টা কমিটি করে কেন্দ্রের নোটিশ পেলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৩ নেতা

    পাল্টা কমিটি করে কেন্দ্রের নোটিশ পেলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৩ নেতা

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    সংবাদ সম্মেলন ডেকে পাল্টা কমিটি গঠন, সিনিয়র নেতাদের সম্পর্কে কুৎসা রটানো ও দলের অভ্যন্তরে বিশৃংখলার অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৩ বিদ্রোহী নেতাকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটি।
    বুধবার (৬ জানুয়ারি ২১) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এ কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।

    নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও সদস্য লিয়াকত আলী।
    কেন্দ্রের পাঠানো এ নোটিশে বলা হয়- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক, সদস্য সচিব কর্তৃক ঘোষিত বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটির বিরুদ্ধে আপনারা অসৎ উদ্দেশ্যপ্রেণোদিতভাবে পাল্টা কমিটি দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া আপনাদের বিরুদ্ধে দলের সিনিয়র নেতাদের সম্পর্কে কুৎসা রটানোসহ সংগঠন বিরোধী নানান কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পস্ট অভিযোগ রয়েছে।
    সুতারাং কেন আপনাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ দর্শিয়ে আগামী ৭২ (বাহাত্তর) ঘন্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব নয়াপল্টন কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হল।

    উল্লেখ্য, গত ৩১ডিসেম্বর বিভিন্ন ইউনিটের ৯টি কমিটি ঘোষণা করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। এসব ইউনিটের কমিটি গঠন নিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে একপেশে কমিটি গঠনের অভিযোগ তুলে ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আলী আব্বাসের নেতৃত্বে দলের একাংশ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার পাল্টা কমিটি ঘোষণা করে।

  • বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ইসলাম শরীয়াহ কি বলে?

    বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ইসলাম শরীয়াহ কি বলে?

    হাফেজ মাওলানা আয়াজ উদ্দিন

    আমরা মনে করি, থার্টিফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠানের নামে ঢাকা, কক্সবাজারসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রতি বছর যে চিত্র দেখা যায়, তা সত্যিই লজ্জা ও বেদনাদায়ক। এসব অনুষ্ঠান নতুন বছরের সু-কামনা, বাসনা আর প্রত্যাশার মূলেই কুঠারাঘাত করা হয়।

    ইসলাম কেবল কিছু আচার-অনুষ্ঠানের সমষ্টি নয়, বরং তা মানুষের গোটা জীবনকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুযায়ী বিন্যস্ত ও সজ্জিত করতে উদ্যোগী হয়।
    তাই একজন মুমিনের জীবনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইবাদাত-বন্দেগি, যেমনটি কুরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা দিচ্ছেন, ‘আমি জ্বিন ও মানুষকে আমার ইবাদত করা ছাড়া অন্য কোনো কারণে সৃষ্টি করিনি। ’ -সূরা আয যারিয়াত: ৫৬ দিনরাতের পর সপ্তাহ, সপ্তাহের পর মাস, মাসের পর বছর, এগুলো কার ঈশারায় হয়? নিশ্চয়ই এর একজন কারিগর আছেন! কে তিনি? তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, লালনকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা। আল্লাহপাক আল কোরআনে ইরশাদ করেন- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম’। বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। তাই এ দেশের সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে আমাদের রাষ্ট্রধর্ম “ইসলাম’’। কথা হচ্ছে ইসলামে কোনপ্রকার কুকালচার বা বিজাতীয় কৃষ্টি কিংবা অপসংস্কৃতি উদযাপনের অনুমোদন আছে কি? ইসলামের কথা না হয় পরে বলি, সচেতন বাঙালিদের বিবেকে প্রশ্ন রাখছি- থার্টি ফাস্ট নাইট কি আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে আছে? যদি না থাকে তবে কেন ৩০ লাখ শহীদের পবিত্র খুনে রঙিত সবুজ এই জমিনে থার্টি ফার্স্ট এবং নববর্ষের নামে নষ্টামির নির্লজ্জ প্রদর্শনীর আয়োজন? আমাদের তো স্বকীয় সন আছে, বাংলা ক্যালেন্ডার আছে, তবে কেন সেই ব্রিটিশদের ইংরেজি সন নিয়ে এতো মাতামাতি? থার্টিনষ্টিসহ ইসলামবিরোধী কোন কাজ ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে ডাকঢোল পিটিয়ে হতে পারে কি?
    এখানে ইসলামের নির্দেশনা বর্ণনার আগে ইতিহাসের আলোকে বিভিন্ন জাতির সূত্রানুযায়ী ইংরেজি নববর্ষ এবং ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ কালচারের শেকড়ের কথা উদ্ধৃতির দাবি রাখে। খ্রিস্টপূর্ব ’৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করেন। তারপরও ১ জানুয়ারি নববর্ষ পালনের ইতিহাসের সাথে ইসলামের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। সূত্রমতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে ইংরেজি সনের বিস্তৃতি। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার [খৃস্টানদের তথাকথিত ধর্মযাজক, (যার বিবাহ বহির্ভূত একটি সন্তান ছিল) পোপ গ্রেগরীর নামানুসারে যে ক্যালেন্ডার] অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হয়! সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নববর্ষ বা নওরোজের প্রবর্তন করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্যে আছে, এবং ইরানে নওরোজ (নতুন দিন) ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়। ইরানে নববর্ষ বা নওরোজ শুরু হয় পুরনো বছরের শেষ বুধবার এবং উৎসব চলতে থাকে নতুন বছরের ১৩ তারিখ পর্যন্ত। ইরান হতেই ইহা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। মেসোপটেমিয়ায় এই নববর্ষ শুরু হতো নতুন চাঁদের সঙ্গে। ব্যাবিলনিয়ায় নববর্ষ শুরু হতো ২০ মার্চ, মহাবিষুবের দিনে। অ্যাসিরিয়ায় শুরু হতো ২১ সেপ্টেম্বর, জলবিষুবের দিনে। মিসর, ফিনিসিয়া ও পারসিকদের নতুন বছর শুরু হতো ২১ সেপ্টেম্বর। গ্রীকদের নববর্ষ শুরু হতো খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত ২১ ডিসেম্বর। রোমান প্রজাতন্ত্রের পঞ্জিকা অনুযায়ী নববর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ এবং খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩-এর পরে ১ জানুয়ারিতে। ইয়াহুদিদের নববর্ষ বা রোশ হাসানা শুরু হয় তিসরি মাসের প্রথম দিন, কতিপয় ইয়াহুদিদের মতে সেই মাসের দ্বিতীয় দিন। মোটামুটিভাবে তিসরি মাস হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর। মধ্যযুগে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে নববর্ষ শুরু হতো ২৫ মার্চ, তারা ধারণা করতো এদিন দেবদূত গ্যাব্রিয়েল যিশুমাতা মেরির কাছে যিশু খ্রিস্টের জন্মবার্তা জ্ঞাপন করে। অ্যাংলো-স্যাকসন ইংল্যান্ডে নববর্ষের দিন ছিল ২৫ ডিসেম্বর। পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে। বাদশাহ আকবরের ফরমান অনুযায়ী আমীর ফতেহ উল্লাহ্ শিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সাল চালু হয় ১০ মার্চ ১৫৬৩ সালে। ইংরেজ আমলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হলেও রাজস্ব আদায়ে ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলা সাল তথা ফসলী সন বেশি ব্যবহার করা হতো। বর্ষবরণের সাথে ধর্মীয় অনুভূতির যোগ শুরু থেকেই ছিল বা বর্ষবরণকারীরা ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকেই তা করত। তবে, সেটা আল্লাহ প্রদত্ত কোন নবী-রাসূল আনিত ইসলামে অনুমোদিত হয়নি! মুসলিম সংস্কৃতির মধ্যে প্রবেশ করতে পারেনি। মজুসী বা অগ্নি উপাসকরা এখনো বর্ষবরণকে সরকারি ছত্রছায়ায় ব্যাপক জাঁকজমকভাবে পালন করে থাকে। একে তারা তাদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ মনে করে এবং একে নওরোজ বা নতুন দিন বলে অভিহিত করে। ফসলী সনের নববর্ষ হিন্দুদের খাছ ধর্মীয় উৎসবের দিন। এর আগের দিন তাদের চৈত্র সংক্রান্তি, আর পহেলা বৈশাখ হলো ঘট পূজার দিন। [সূত্র- থার্টি ফাস্ট নাইট : একটু ভাবুন! (গ্রন্থ) সবুজ বাংলা ও সামহিয়্যারইন (ব্লগ)]
    পরিশেষ
    পরিশেষে বলব, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ইসলামি শরীআতের সাথে সাংঘর্ষিক একটি অনুষ্ঠান। অথচ মুমিন জীবন এলাহী বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। রাসূলুল্লাহ [সা.]-এর যুগে পালনীয় ছিল না, এমন কিছু এ যুগেও পালনীয় হ’তে পারে না। কাজ করার আগেই জবাবদিহিতার চিন্তা করতে হবে। যদি ভুল করে ফেলে, তবে সে তওবা করবে। বর্ষবরণের এই অপসংস্কৃতির থাবায় পড়ে কত তরুণ-তরুণী যে জীবনের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে, তা দেখার কেউ নেই। সচেতন মুমিনদের উচিত বর্ষবরণের মতো এমন বেলেল্লাপূর্ণ এবং অর্থ ও সময়ের অপচয় সর্বস্ব অনুষ্ঠান হতে বিরত থাকা এবং সর্বস্তরের মুসলমানদের এই অপসংস্কৃতি থেকে মুক্ত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন- আমীন!
    লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট

  • আসন্ন চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীর সাথে ইশা নেতৃবৃন্দের বিশেষ বৈঠক

    আসন্ন চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীর সাথে ইশা নেতৃবৃন্দের বিশেষ বৈঠক

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্থগিত থাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি’২১ অনুষ্ঠিত হবে বলে আজ (১৪ ডিসেম্বর-২০২০) ঘোষিত হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী হাতপাখার মেয়র প্রার্থী এবং নগর আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলাম এর সাথে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের একটি প্রতিনিধি দল রাত ৮ টায় বিশেষ বৈঠকে মিলিত হয়।

    উক্ত বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সারগর্ভ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি রিদওয়ানুল হক শামসীর নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মুহা. তানভীর হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মুহা. নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. জিল্লুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহা. আব্দুর রহমান রবিন, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুহাম্মাদ এমদাদ।

    মেয়র প্রার্থী এসময় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    বার্তা প্রেরক
    মুহা. ইব্রাহিম খলিল
    প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর।

  • আনোয়ারা হাজীগাঁও কটন মিলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা হাজীগাঁও কটন মিলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম আনোয়ারা উত্তর হাজীগাঁও কটন মিলের পশ্চিমে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রদ্বিঃ) স্মৃতি সংসদের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উপলক্ষে আজিমুশ শান মিলাদ মাহফিল ১৩ই ডিসেম্বর (রবিবার) বারখাইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য জনাব আলী আজগর মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মাহফিলে মেহমানে আ’লা হিসাবে তশরিফ আনেন,ওষখাইন আলী নগর দরবার শরীফ আনোয়ারা চট্টগ্রামের পীরে ত্বরিকত হাফেজ ক্বারী মৌলানা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ছিদ্দিকী ওষখাইনগিরি (ম.জি.আ)

    প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,আল আমিন বারীয়া দরবার শরীফের নায়েবে শাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ মোকারম বারী ছাহেব।

    এতে শত শত আশেকান ও নবী (ﷺ) প্রেমিক ওলী-আউলিয়া প্রেমিক গণের উপস্থিতিতে মিলাদ কিয়াম মুনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল সমাপ্তি হয়।