Category: Uncategorized

  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    মুজাহিদ ওসমান আল হুমাম,কক্সবাজার প্রতিনিধ।

    গত ৩রা অক্টোবর ২০২০ উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের জরুরী বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা আমার বক্তব্যের একটি অংশকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে স্বার্থন্মেষী একটি মহল যে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠার চেষ্টা করছে তা দেখে আমি সত্যিই মর্মাহত।
    দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমার বক্তব্যে বা জীবনাচারে কখনোই কাউকে যেমন হেয় করার চেষ্টা করিনি তেমনি সবসময় চেষ্টা করেছি সততার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে।

    আপনারা জানেন, উখিয়া আওয়ামী লীগের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ধরে প্রথম সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে আমি নিস্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ এবং পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়া আওয়ামী লীগের একটি চিহ্নিত গ্রুপ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সাবেক কেবিনেট সচিবের ভাই জনাব শাহ আলমের প্রত‍্যক্ষ মদদে ব‍্যক্তিগতভাবে আমার প্রতি ঈষান্মৃত হয়ে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে, কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সুস্পষ্ট লিখিত নির্দেশনা অমান্য করে আমার প্রানপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের ইমেজ ক্ষুণ্নের চেষ্টা করছে।

    প্রকৃতপক্ষে আমার সেদিনের সামগ্রিক বক্তব্যে ছিল – সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল পরিচালনায় এগিয়ে আসার বারবার আহবান জানানোর পরও যারা গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ‍্যে গ্রুপিংয়ে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে।

    আর এই গ্রুপিংয়ে প্রধান মদদ দাতা হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিতর্কিত হিসেবে পরিচিত জনাব শাহ আলম কথায় কথায় তার শহীদ ভাই এটিএম জাফর আলমের নাম ব‍্যবহার করে যে ন‍্যাক্কারজনক ভুমিকা পালন করছে তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি বলেছিলাম – স্থানীয়ভাবে অপরিচিত জনাব শহীদ এটিএম জাফর আলমের নাম ব‍্যবহার করে ভুমি দখল, বাজার দখলসহ অসংখ্য যে অনিয়ম করছে তা আওয়ামী লীগের ইমেজ যেমন ক্ষুণ্ন করছে তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার অঞ্চলকে পাক হানাদার মুক্ত করায় যেসব স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা অসামান্য অবদান রেখেছেন তাদের স্মৃতি রক্ষায় কোন ধরনের উদ্যোগ না নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শুধুমাত্র একজন শহীদ এর স্মৃতি রক্ষায় অসংখ্য প্রতিস্টানের নামকরণ করে যেভাবে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবজ্ঞা করা হয়েছে তার বহিঃপ্রকাশ।
    প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার সামগ্রিক বক্তব্যের একটি অংশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা দেখে আমি সত্যিই বাকরুদ্ব।

    দুঃখ ভারাক্রান্ত হ্নদয় নিয়ে আমাকে বলতে হচ্ছে –

    আমি হামিদুল হক চৌধুরী সেই পরিবার এবং সেই মহান ব‍্যক্তির সুযোগ্য সন্তান। যার মহান পিতা তৎকালীন সময়ে উখিয়ার মতো দেশের প্রত‍্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে নিজে স্বল্প প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পেলেও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যেমন নিজের দশ পুত্র এবং তিন কন‍্যা সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে নিজ পরিবারকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুটিকয়েক অনন্য পরিবারের একটি হিসেবে পরিচিত করে তুলেন তেমনি প্রতিকুল সময়ে আওয়ামী লীগের পতাকা বহন করে কক্সবাজার অঞ্চলে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন‍্যতম সংগঠকদের একজন হিসেবে দ্বিধাবিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিভেদ ঘুচিয়ে রনাঙ্গনে পাকবাহিনীকে প্রতিরোধে অসাধারণ ভুমিকা রাখেন।

    একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এ অঞ্চলের অন‍্যতম একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে মরহুম জনাব বদিউর রহমান চৌধুরী যেমন সমস্ত অন‍্যায় অনিয়ম এবং অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তেমনি আমি অধ‍্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী মহান পিতার পদাংক অনুসরণ করে অনিয়ম অনাচার এবং স্বার্থসিদ্বিতে লিপ্ত ব‍্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করে এসেছি। বর্তমানে সময়ে সমাজে সাহসী হয়ে সত‍্য কথা বলা লোকজনকে যেভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয় এক্ষেত্রেও আমাকে ঘায়েল করার জন্য তাই করা হচ্ছে বলে মনে করি।যার প্রমাণ হচ্ছে উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল হক আমিন, ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা জনাব জামালউদ্দিন, উখিয়ার বিশিষ্ট সাহসী সাংবাদিক জসিম আজাদ, কক্সবাজারের অনলাইন মিডিয়া কক্স টিভির উখিয়া প্রতিনিধি শাহীনকে সাইবার /প্রযুক্তি মামলায় আসামি করে জেলে পাঠায় ও দীর্ঘদিন হয়রানি করে।তাদের অপরাধ ছিল শুধুমাত্র সচিব পরিবার ও চেয়ারম্যান শাহ আলমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা ও প্রতিবাদ স্বরুপ মামলা করা।একই সাথে চেয়ারম্যান শাহ আলমের প্রতিবেশী ও তারই পরিষদের সদস্য জনাব রফিক মেম্বারকেও ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলায় আসামী করে জেল খাটায়।বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচারও বিকৃত পদক্ষেপ জাহাংগীর শাহ আলমদের অশুভ ষড়যন্ত্র ও চরিত্র হননের অপপ্রয়াস মাত্র।

    তবু আমার সেদিনের বক্তব্যে অনাকাঙ্খিতভাবে কাউকে বা কোন গোস্ঠী অসম্মান করা হয়ে থাকলে আমি নিদ্বিধায় দুঃখ প্রকাশ করছি।

    বিনীত
    অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী
    চেয়ারম্যান
    উখিয়া উপজেলা পরিষদ

    সভাপতি
    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

  • উখিয়া থানার নতুন ওসি আহম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ= উখিয়া ভয়েস24ডটকম

    উখিয়া থানার নতুন ওসি আহম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ= উখিয়া ভয়েস24ডটকম

    মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, রিপোর্টার

     

    উখিয়া থানার বদলীকৃত ওসি মর্জিনা আকতার মর্জু,র স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সুনামগঞ্জ থেকে আসা ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ।

    তিনি উখিয়া থানার নবাগত ওসি হিসেবে যোগদান করছেন।

    ককক্সবাজার জেলা পুলিশ মোঃ হাসানুজ্জামান ২৫ সেপ্টেম্বর উখিয়া থানার ওসি হিসেবে আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদকে নিয়োগ প্রদান করে আদেশ দেন। এর আগে তিনি সিলেটের ছাতক থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

    উল্লেখ্য, আহম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ ২০১৪ সনে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানায় উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছাতক থেকে ওসি (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে যোগদান করেছিলেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায়। অত্যন্ত চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুনামগঞ্জ সদরবাসীর তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। এরপর তাকে প্রথম বারের মতো (ওসি) হিসেবে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় বদলী করা হয়। সেখানে মাত্র ২ মাস ১০ দিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শাল্লায় যোগদানের পর চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ অপরাধ দমনে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করেন। সমাজের অপরাধে জড়িতদের সু-পরামর্শ দিয়ে অন্যায় পেশা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি তাদের সন্তানদের লেখা পড়ার জন্য তিনি বই খাতা ও কলম তুলে দিয়েছিলেন।

    সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় থাকা ওসি মোরশেদের সুকৌশলী ভমিকায় বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক মামলার আসামীরা তার কাছে আত্মসমর্পন করেছিল। ওসি মোরশেদের প্রসংশনীয় ভুমিকায় মুগ্ধ ছিলো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। ছাতকে ওসি হিসেবে যোগদানের পর তিনি এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক,জুয়া ও নৌপথে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন।

  • অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অতিথি ও স্টাফদের ক্রেস্ট প্রদান সম্পন্ন

    অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অতিথি ও স্টাফদের ক্রেস্ট প্রদান সম্পন্ন

     

     

    সাইফুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি।

     

    চট্টগ্রামের দক্ষিণ কক্সবাজারের একমাত্র সেবামূলক ২০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অরিজিন হাসপাতাল ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে উখিয়ার প্রাণ কেন্দ্র কোর্টবাজার তৌফাইল মাতেমা শপিং কমপ্লেক্সের ২য় তলায়।

    প্রতিবছর বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে মানবিক দিক বিবেচনা করে অসহায়, গরিব, হতদরিদ্র, সু-চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফ্রি রোগী দেখছেন অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ১০ জন ডাক্তার।

     

    ডা: রবিউর রহমান রবি, ডা:আদনান ওয়ালিদ,
    ডা: মেরাজ হোসেন চয়ন, ডা:এহসান উল্লাহ সিকদার, ডা: তৌহিদুজ্জামান, ডা: আরিফা মেহের রুমি, ডা:মাসুমা নাসরিন শিফা, ডা: ফারজানা সুলতানা, ডা: সাবরীনা মাহামুদ, ডা:ফারহানা রহমান। এই দিন সকল পরীক্ষা- নিরীক্ষায় ৩৫% ছাড় দেওয়া হয়েছে । এই তথ্য নিশ্চিত করেন অরিজিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।

    প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল করিম জানান,গতকাল এই ফ্রি ক্যাম্পে হাজারো অধিক রোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়েছেন। এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা সহ মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দোয়ার আয়োজন করাও হয়। সকল ধর্ম,বর্ণ ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে সেবা নেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

     

    অরিজিন হাসপাতালের ৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা ও হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি।

     

  • বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে চট্টগ্রাম অচলের হুমকি।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে চট্টগ্রাম অচলের হুমকি।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    Ukhiya Voice24.Com 

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে চট্টগ্রাম অচলের হুমকি
    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সাংবাদিকদের উপর নগ্ন হামলার ইন্ধনদাতা বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমানকে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমাসহ সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করতে হবে। শুধু তাই নয়, এমপির নির্দেশে মৌলভী সৈয়দ পরিবারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় বীর চট্টলার জনগণ রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক এসব কথা বলেন।
    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাংসদ হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি এমন মন্তব্য করতে পারে না। স্বাধীনতা স্বপক্ষের দল ক্ষমতায় থাকায় অবস্থায় একজন সাংসদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে আমাদেরকে হতভাগ করেছে। তাই ইতিহাস বিকৃতকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আগামীতে মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদ মুক্তিযোদ্ধাদের সকল অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মোস্তাফিজ মুক্তিযুদ্ধ দেখে নাই। তিনি বীর বাঙালির বাঘের গর্জন শুনেন নাই। তাই তিনি প্রেসক্লাবের মত একটি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নগ্ন হামলা করেছে। আমি তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
    কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মুনসুর বলেন, জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবো। ততদিন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কথা বলে যাবো। জাতীয় পার্টি থেকে এসে এমপি হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে পার পেয়ে যাবে তা হবে না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নেওয়া না হলে চট্টলার মানুষ আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দেবে।
    সংগঠনের সভাপতি আকরাম হোসেন সবুজের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত স্বপনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্যে রাখেন মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ নাথ দেবু, আবুল হোসেন আবু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, এড.জিন্নাত সোহানা, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ছামদানী জনী, নগর সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এমকে আলম বাসেদ। প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, সাবেক সাংসদ ইসহাক মিয়ার কন্যা আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদা বেগম পপি, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন বেলাল, শাখাওয়াত হোসেন সাকু, কাজল প্রিয় বড়ুয়া, মো. সরওয়ার খান, আতিক উল্লাহ, নগর সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, মো. আলী চৌধুরী, জয়নুদ্দিন আহমেদ জয়, আরফাতুল মান্নান ঝিনুক, শহীদ মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদের ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে আবু তৈয়ব, মো. মহিউদ্দিন মেজবাহ উদ্দিন মাঈনু, ইঞ্জিনিয়ার তৈয়ব হোসেন রুবেল, জেবুন্নাহার, জহিরুল ইসলাম, জয় শংকর, সাইফুল করিম, মো. আফছার, দিদারুল আলম প্রধান, মহানগর ছ্ত্রালীগের সোহেল, রেজাউল করিম রিটন, ফাতেমা নাসরীন প্রিমা, সরওয়ার আলম টিটু, এমএ রুবেল, আবুল কালাম, রিফাতুল ইসলাম খোকন, সবুজ, কবির, মিঠু দাশ প্রমূখ

  • হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ৫০০ শত পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ০১।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ৫০০ শত পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ০১।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ৫০০ (পাঁচশত) পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ০১
    হাটহাজারী মডেল থানার মামলা নং-৪০, তারিখ- ২৫/০৮/২০২০খ্রি: ধারা- ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ১০ (ক) মূলে এসআই মোঃ আকরামুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ২৫/০৮/২০২০খ্রি: রাত ০৮.১০ টায় হাটহাজারী মডেল থানাধীন উত্তর মেখল রহিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০০ (পাঁচশত) পিস ইয়াবাসহ আসামী মোঃ আবু সৈয়দ(৩৮), পিতা-মৃত শামসুল আলম, মাতা-নুর জাহান বেগম, সাং-উত্তর মেখল, ০১নং ওয়ার্ড, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলাঃবাঁশখালীর এমপির এপিএসসহ আটক ৪।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলাঃবাঁশখালীর এমপির এপিএসসহ আটক ৪।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলা: বাঁশখালীর সাংসদের এপিএসসহ আটক ৪
    চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস মোস্তাফিজুর রহমান রাসেলসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার মামলায় তাদের আটক করা হয়। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    আটক অপর তিনজন হলেন, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের পিএস আবুল কালাম, ১২ নম্বর ইউনিয়ন শেখেরখীলের মিজানুর রহমান তালুকদার ও এনামুল হক। মামলায় আরও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন: জিল্লুল করিম শরীফ, মৌলভী আক্তার হোসেন, ফজলুল করিম ফজু, আবুল কালাম চৌধুরী, আবু ছালেহ, মাহবুবুর রহমান, হারুনুর রশিদ, মিজানুর রহমান, সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদুল আলম, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মনজুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, এনামুল হক, আবুল মোমেন, মো. সেলিম, মো. হেলাল, নাসির উদ্দিন, দীপেস চক্রবর্তী, মোজাম্মেল, সৈয়দুল ইসলাম, মোরশেদুর রহমান নাদিম ও মনির উদ্দিন বাবু। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    এর আগে আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বাঁশখালীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলায় আহত হন মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন। হামলার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারীদের দায়ী করেন।

    সাংবাদিকদের ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল ও বাঁশখালী পৌর মেয়র সেলিমুল হকের যৌথ নেতৃত্বে একটি মিছিল কর্মসূচি শুরুর পর অবস্থান কর্মসূচির দিকে এগিয়ে আসে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলের লোকজন লাঠি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালায়। এতে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

    এর আগে সকালে চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী সৈয়দের বড় ভাই ডা. আলী আশরাফকে মৃত্যুর পর সম্মাননা না জানানো, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের কটূক্তির প্রতিবাদ, বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। কর্মসূচিতে সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

  • মেজর সিনহার সহকর্মী শিপ্রার মালামাল র‍্যাবকে হস্তান্তর করতে আদালতের আদেশ।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    মেজর সিনহার সহকর্মী শিপ্রার মালামাল র‍্যাবকে হস্তান্তর করতে আদালতের আদেশ।।। উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    শিপ্রা দেবনাথের কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ সকল প্রকার মালামাল ২৯টি সামগ্রী তদন্ত সংস্থা র‍্যাব-১৫ আইও-র কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
    তবে গত (১৭ আগস্ট) সোমবার রাতে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ প্রেসব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তাগণ তদন্তের সহায়ক হিসেবে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যম উক্ত সরঞ্জামাদি র‌্যাব হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে কম্পিউটার ও ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে সহায়ক হবে বলে আশা করছি।

    র‌্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ আদালত আজ
    সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নম্বর-১) রামু’র এর বিজ্ঞ বিচারক হেলাল উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার (২০আগস্ট) বিকাল তিনটার দিকে র‌্যাবের আবেদনের শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এ নির্দেশ দেন।
    গত ৩১ আগস্ট মেজর (অবঃ) সিনহা মু. রাশেদ খানকে হত্যা করার পর মেরিন ড্রাইভ রোডের হিমছড়ি নীলিমা রিসোর্ট থেকে স্টামফোর্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা রানী দেবনাথ কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে রামু থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দিয়ে চালান দেয়। জিআর-৩১১/২০২০ (রামু)।
    মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ সকল প্রকার মালামাল ২৯টি সামগ্রী রামু থানার পুলিশ নিয়ে যায়।

    শিপ্রা রানী দেবনাথকে গ্রেপ্তারের সময় তার কক্ষ থেকে উদ্ধার করা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সমুহ মামলার জব্দ তালিকায় আনা হয়নি। পরে রামু থানা কর্তৃপক্ষ ভিন্ন একটি জব্দ তালিকা ও জিডি মূলে শিপ্রার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ ও অন্যান্য মালামাল রামু থানার উল্লেখিত মামলার আইও এসআই শফিকুল ইসলাম এর হেফাজতে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।

    তবে আদালত শিপ্রা দেবনাথের কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ সকল প্রকার মালামাল ২৯টি সামগ্রী তদন্ত সংস্থা র‍্যাব-১৫ আইও-র কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
    তবে আদালতের আদেশ রামু থানায় পৌঁছালেই মালামাল সমূহ গ্রহণ করতে রামু থানায় যাবেন বলে জানিয়েছেন- মামলার বর্তমান আইও র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার।

    গত মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ শিপ্রা রানী দেবনাথের মামলা রুজু না করে তাকে রামু থানা অথবা আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পরামর্শ দেন। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকা ভৌগোলিকভাবে রামু থানা এলাকায় হওয়ায় সদর মডেল থানা কর্তৃপক্ষ শিপ্রা রানী দেবনাথের মামলা নেয়নি। তবে শিপ্রা রামু থানায় আজও মামলা দায়ের করেননি।

    সর্বশেষ বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ প্রত্যেক আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • উখিয়া উপজেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি সাইফুল্লাহ চৌধুরী মামার ইন্তেকালে জেলা শাখার শোক

    উখিয়া উপজেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি সাইফুল্লাহ চৌধুরী মামার ইন্তেকালে জেলা শাখার শোক

    উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

     

     

    ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার উখিয়া উপজেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি সাইফুল্লাহ চৌধুরীর শ্রদ্ধেয় মামা, উখিয়া উপজেলার ৩নং হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি, আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ, (প্রকাশ গুরামিয়া) মেম্বার গত ৭ তারিখ ব্রেইন স্ট্রোক করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। আজ ১৫ আগস্ট রাত ৮.৪০ মিনিটে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
    (ইন্নালিল­াহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
    আগামীকাল রবিবার (১৬ আগষ্ট) পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে

    মরহুমের ইন্তেকালে ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মুফতি ওসমান আল হুমাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা আবু বকর, উখিয়া উপজেলা যুব আন্দোলন শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

  • ওসি প্রদীপ পালানোর গুঞ্জন চারিদিকে ৯ জনের বিরুদ্ধে নিজ থানাতেই গ্রেফতারী পরোয়ানা।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    ওসি প্রদীপ পালানোর গুঞ্জন চারিদিকে ৯ জনের বিরুদ্ধে নিজ থানাতেই গ্রেফতারী পরোয়ানা।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

     

     

     

    ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা হত্যা মামলার আসামী টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস পালিয়ে গেছে! তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওসি প্রদীপ কোথায় আছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য কক্সবাজার পুলিশের কাছে নেই! ওসি প্রদীপ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় খোদ পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নানা গুঞ্জন, গুজব ডালপালা ছড়াচ্ছে।
    আদালতের নির্দেশে বুধবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা রুজু করা হয়। মামলা নম্বর সিআর : ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)। দন্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ায় সকল আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

    ওসি প্রদীপ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগেভাগে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে গেলেও বাকি আসামীরা কক্সবাজার পুলিশ লাইনেই রয়েছে।
    ওসি প্রদীপ পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গতকাল সকালে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে থানা থেকে বের হয়ে যান।

    টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে একি থানার ওসি (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহা গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল থেকে একই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অফিসার ইনচার্জ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
    ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার নিজেকে অসুস্থ হিসাবে উল্লেখ করে ছুটির আবেদন করলে তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করে এ.বি.এম.এস দোহাকে ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এ তথ্য জানিয়েছেন।
    ২০১৮ সালে টেকনাফ থানায় যোগ দিয়েছিলেন প্রদীপ কুমার দাস। উপ-পরিদর্শক বা এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন ১৯৯৫ সালে।
    প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    এখন সবার প্রশ্ন , ওসি প্রদীপ কুমার দাস অসুস্থতার ডায়েরি লিখে কোন হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে আত্মগোপনে কেন? তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এমন তথ্য কী আগেই জেনে গিয়েছিল ওসি খ্যাত প্রদীপ কুমার দাস।

  • সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী রহ. এর নামাজে জানাযা সম্পন্ন।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী রহ. এর নামাজে জানাযা সম্পন্ন।।। উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

    উখিয়া ভয়েস 24 ডটকম

     

     

    শোক বার্তা

     

    কক্সবাজারের আলোকিত মানুষ, প্রখ্যাত মুবাল্লিগ, বিদগ্ধ আলেমেদ্বীন, জেলা তাবলীগ জামাতের আমীর ও রামুর অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম, রামু ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী রহ. এর নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে।
    ৩ আগষ্ট ( সোমবার) সকাল ১১ টায় রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মরহুমের নামাজে জানাযায় শরিক হন বিপুল সংখ্যক শোকার্ত তৌহিদী জনতা।
    বিশাল নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন, মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী রহ. এর একমাত্র ছেলে মাওলানা হাফেজ তারেক।
    জানাযার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মুফতি ও মুহাদ্দিস এবং তাবলীগ জামাতের চট্টগ্রাম জেলা আমীর মুফতি জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জামিয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়ার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, রামু জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা হাফেজ আবদুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি কক্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, মরহুমের ছোট ভাই, রামু চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোহছেন শরীফ, কাকরাইল মসজিদের প্রতিনিধি মাওলানা বেলায়ত হোসাইন, রামু ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস. মোহাম্মদ হোসেন।
    সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ পর্ব সঞ্চালনায় ছিলেন, রামু এমদাদিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি মাওলানা আ. হ. ম নুরুল কবির হিলালী, ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।
    নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হয়।

    উল্লেখ্য, মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী ২ আগষ্ট ( রবিবার) বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সিপাহীরপাড়া গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।

    তিনি রামুর ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বিশিষ্ট জমিদার ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিত্ব মরহুম সুলতান আহমদ সওদাগর ( সাব সুলতান) এর ৭ম ছেলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ মেয়ে, ১ ছেলে এবং অসংখ্য ভক্ত, গুণগ্রাহী রেখে যান। বরেণ্য এ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে সর্বত্র শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
    মাওলানা মুফতি মুর্শিদুল আলম চৌধুরী রহ. ছিলেন, তাবলীগ জামাতের জাতীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা আমীর ( জিম্মাদার)। তিনি দীর্ঘদিন রামুর ঐতিহ্যবাহী ফতেখাঁরকুল অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ মাদ্রাসা জামে মসজিদেই তিনি মৃত্যুর আগেরদিন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আযহা এবং এর আগের দিন পবিত্র জুমার নামাজে ইমামতি করেন। তিনি রামু ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি অনেক ধর্মীয়, সেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন।
    তিনি ছিলেন, একজন বিজ্ঞ আলিম, প্রাজ্ঞ মুফতি ও বিদগ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি বিশ্বসমাদৃত ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র ভারতের দারুল দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। এর পরে তিনি অতিরিক্ত ৪ বছর ইসলামী ফিকাহ বিষয়ে গবেষণা করেন ৷ ইতঃপূর্বে দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে অধ্যয়ন শেষ করে ইংরেজি, আরবি,ফার্সী ও উর্দু নিয়ে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ৷
    দাওয়াতে তাবলীগে সম্পৃক্ততা জড়িত এবং মুবাল্লিগ হিসাবে ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর করার সুবাদে বাংলা ছাড়াও আরবি ,ইংরেজি, উর্দু,ফার্সী ও তুর্কি ভাষায় তিনি বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তাঁর হাত ধরে দেশে-বিদেশে অনেক অমুসলিম ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন ৷ তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ইসলামী স্কলার হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
    শিরক–বিদআতসহ যাবতীয় কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন একেবারেই আপসহীন ও বলিষ্ঠ প্রতিবাদী। দ্বীনি দাওয়াত ও ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তাঁর কীর্তিময় অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।