Category: Uncategorized

  • ৮দফা দাবি নিয়ে মাহে রমজান উপলক্ষে স্বাগত মিছিল আয়োজন করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দর

    ৮দফা দাবি নিয়ে মাহে রমজান উপলক্ষে স্বাগত মিছিল আয়োজন করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দর

    মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন আরমানঃ- প্রতিনিধি টেকনাফ উপজেলা,

    মাহে রমজানে খাদ্যে ভেজাল রোধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, পুঁজিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়ক মেরামত সহ ৮দফা আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি রবিউল হাসান মামুন।

    আজ ৩ এপ্রিল ২০২২ রবিবার বিকেলে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের স্টেশন চত্ত্বরে রমজানকে আহ্বান জানিয়ে স্বাগত মিছিলে এ আহ্বান জানান তিনি।

    তিনি বলেন, একটি চক্র রমজান মাসে ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত মুসলিমদের জুলুমের শিকার বানায়, তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অস্থিরতা তৈরি করে। পবিত্র মাসে অশ্লীলতা ছড়িয়ে শৃঙ্খলিত মুমিনদের অপবিত্র করে। এ কারণে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের প্রতিরোধ করতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

    ১. আল-কুরআনুল কারীম পড়ুন, অনুধাবন করুন। এর আলোকে জীবন ও সমাজ গঠনে শিক্ষার সর্বস্তরে আল-কুরআনের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

    ২. খাদ্যে ভেজাল রোধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। পুঁজিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে।

    ৩. দিনের বেলায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখুন।
    প্রয়োজনে বিধর্মী ভাইদের জন্য নির্দিষ্ট
    (প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি ধারা) স্হানের ব্যবস্হা করুন।

    ৪.ইসলামে হারামকৃত সকল পাপের রাজ মদ-কে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

    ৫. টেকনাফ থেকে নিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়কের অতিদ্রুত মেরামত করতে হবে।
    ৬/ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রমজান উপলক্ষে সল্প-লভ্যে পূণ্যের নিয়তে পণ্য সরবরাহ করুন।
    ৭/ গান-বাজনা সহ সকল অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখুন।
    ৮/ রমজানে গাড়িভাড়া সীমিত করুন।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন খলিল -এর সঞ্চালনায় মিছিলে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার সদ্য সাবেক সভাপতি ইয়াছিন আরফাত,সহ-সভাপতি ইমরান খান,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক নেজামী স্যার,সাবেক ছাত্র নেতা মাওলানা আবু বকর সিদ্দীকসহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

    সাবেক ছাত্রনেতা হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দীন (দাঃ)’র মোনাজাতের মধ্যদিয়ে স্বাগত মিছিল সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।

  • উখিয়ায় নারী এনজিও কর্মীদের গলায় ছুরি ধরে লংড্রাইভে যান তারা

    উখিয়ায় নারী এনজিও কর্মীদের গলায় ছুরি ধরে লংড্রাইভে যান তারা

    নিজস্ব প্রতিবেদক,

    সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রীরা হঠাৎ ছুরি হাতে। বলছেন আওয়াজ করলে ছুরি চালিয়ে দিবেন। তারপর হাত-মুখ বেঁধে ফেলা হলো। মেরিনড্রাইভ ধরে ইনানী, পাটুয়ারকে ও কক্সবাজার শহর ঘুরিয়ে আবারো নেয়া হলো মরিচ্যা-কোটবাজার। দীর্ঘ ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ভ্রমনের পর মুক্তিপন আদায়ের এমন লোমহর্ষক বর্ণনা নাবিদা নিঝু নামে এক এনজিও কর্মীর।
    স¤প্রতি কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া, কোটবাজারে যাত্রী এবং চালকের বেশে ছিনতাই করে আসা একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পে নিয়োজিত নারী এনজিও কর্মীদের টার্গেট করে চলছে এমন অপরাধ কর্মকান্ড। গেল এক মাসে তিনটি ঘটনার অভিযোগ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। যার ছায়া তদন্তও শুরু হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশ পৃথক পৃথকভাবে এসব অভিযোগের তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
    পুলিশ ও নাবিদার ফেসবুকে দেয়া বর্ণনা থেকে জানা গেছে- গেল ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রথম অভিযোগ আসে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে। নাবিদা নিযু নামে এক এনজিও কর্মী এমন অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলেন। তার বর্ণনায় তিনি লিখেছেন, কাজের প্রয়োজনে প্রায় ১ বছর যাবত আমি উখিয়াতে আছি। পরদিন শুক্রবার। উখিয়াতে সময় কাটাতে দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই বন্ধু এলিজাবেথের আব্দারে আর ‘না’ করিনি।
    # দায়সারা জবাব উখিয়া থানা ওসির
    # সুযোগ বুঝে বেঁধে ফেলা হয় হাত-মুখ
    # চক্রের অধিকাংশ সদস্যের বয়স ১৯-২০ বছর
    # মুক্তিপণের টাকা নেয়া হয় এটিএম বুথ ও বিকাশ এজেন্ট থেকে
    তার সাথে ছুটি কাটাতে অফিসের পরেই কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বের হলাম। বিকেল তখন প্রায় ৫টা । সিএনজি স্টেশনে যেতেই একটা লোকাল সিএনজি আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। ভিতরে দুজন আছে দেখে আশ্বস্ত হলাম। যাত্রী তোলার আর ঝামেলা নাই, তারাতাড়িই পৌছানো যাবে।
    সাধারণত লোকাল সিএনজি গুলো মেরিন ড্রাইভ ধরে যায় না। তারা সরাসরি রামু হয়ে চলে যায়। কিন্তু এই সিএনজি হঠাৎ মেরিন ড্রাইভের দিকে যাওয়া শুরু করল। কিছুটা খটকা লাগলেও ভাবলাম হয়তো ট্রাফিক জ্যাম এড়ানোর জন্যই যাচ্ছে। তাই কিছু বললাম না। রেজুখাল ব্রীজের মুখে প্রায়ই একটু ট্রাফিক জ্যাম হয়, ব্রীজে একবারে দু’পাশ দিয়ে গাড়ি যেতে পারে না বলে। ব্রীজের মুখে হঠাৎ সিএনজি ইউ টার্ন নিতে চাইলে বাঁধা দিলাম। এখন ইউটার্ন নিলে আবার অনেক দূর ঘুরতে হবে। আবার সন্ধ্যাও নেমে আসছে। রেজুখাল ব্রীজ পার হওয়ার পর বিজিবি চেক পয়েন্ট। সেটাও পার হল। হিমছড়ি পার হবার পর পাশের যাত্রীর গলার আওয়াজে ঘুরে তাকাতেই বুঝলাম আমার গলায় ছুরি ধরা হয়েছে সাথে ধমকী, একটা শব্দ হলেই গলা কেটে ফেলে দিব। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরেকজন আমার মুখে কিছু একটা চেপে ধরল সজরে। মুহূর্তে চারপাশ যেন অন্ধকার হয়ে আসলো। হঠাৎ কিছুটা সময়ের জন্য ভয়, আতংকে বোধহীন হয়ে গেলাম। হাত মুখ প্রচন্ড চেপে ধরে রেখেছে। সিএনজির এক সাইডে ছিলাম। তুমুল জোড় চলছে মাঝখানে টেনে নেয়ার। প্রাণপনে নিজের জায়গায় চেপে বসে আছি। গলায় আমার নিজের ওড়না দিয়ে ঢেকে ছুরি স্পর্শ করে আছে। সিএনজি ছুটে চলছে। চিৎকার করতে গিয়ে মুখ দিয়ে গোঙ্গানির মতো শব্দ বের হচ্ছে। পাশ দিয়ে অনেক গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ আমাকে দেখতে পারছে না। কি অসহায় অবস্থা!
    মুখে গামছা ঢুকিয়ে দিয়েছিলো। যা আমার গলায় গিয়ে লাগছিলো। চাপের কারণে দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে মুখ ভরে যাচ্ছিলো। তাদেরকে ইঙ্গিতে বোঝাতে হয়েছে, তাদের আমি সাহায্য করবো। সিএনজি ড্রাইভারও এখানে জড়িতো ছিলো।
    ওই নারী এনজিও কর্মী আরও লিখেন, এমনকি তাদের কাছে দড়িও ছিলো আমাকে বাধার জন্য। আমার কাছে পর্যাপ্ত ক্যাশ টাকা না পেয়ে ড্রাইভারের সাথে একজনের ঝগড়া লেগে গেলো। একজন চাচ্ছে আমাকে আহত করে মেরিন ড্রাইভে ফেলে যেতে আর অন্যরা চাচ্ছে আমাকে নিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে। অত:পর তারা সিদ্ধান্ত নিলো এটিএম বুথেই যাবে। তাদের দাবি ছিলো ১ লাখ টাকার। প্রয়োজনে মুক্তিপণ দাবি করবে, এমন পরিকল্পনাও ছিলো।
    তারপরের ঘটনা সংক্ষেপে, প্রায় তিন ঘন্টা এই সিএনজি আমাকে নিয়ে কলাতলী ডলফিন স্কয়ার হয়ে লিংক রোড অত:পর উখিয়ার একটু আগে হিজলিয়া পর্যন্ত ঘুরেছে। বিভিন্ন বুথ থেকে আমার ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বিকাশ মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা তারা তুলতে পেরেছে। এর মাঝে আমাকে নিয়ে ইনানী বিচের দিকেও যেতে চেয়েছে, ঐদিকে নাকি এটিএম বুথ আছে। আমার জানামতে হিমছড়ি থেকে ইনানী যেতে কোনো এটিএম বুথ নাই। হয়তো ওদের অন্য কোন পরিকল্পনা ছিলো। অনবরত কথা বলে, অনুনয়-বিনয় করে ওদের শহরের দিকে নিতে রাজি করাই। শেষ পযন্ত রাত সাড়ে আটটার দিকে মুক্তি পাই। তারাই হিজলিয়া থেকে আরেক সিএনজিতে উঠিয়ে দেয় কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য। এই তিন ঘন্টা এতটা সহজ ছিলো না। একটা সময় মনে হয়েছিলো, আমার হয়তো আর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কারও সাথে দেখা হবে না। আম্মু সমানে ফোন দিয়ে যাচ্ছিলো। ছিনতাইকারীরা কেটে দিচ্ছিলো। ফোনের ওপাশেই আম্মু। কিন্তু কল্পনাও করতে পারছে না, আমি তখন কোন অবস্থায় আছি। ফোন না ধরাতে এলিজাবেথও কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলো এবং ৯৯৯ এ কল ও করতে যাচ্ছিল।
    ক্যাম্প নিয়োজিত ফেন্ডশীপ এনজিওর প্রজেক্ট ম্যানেজার পারসা সানজানা নামে একজন উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, গেল ২৯ মার্চ কোটবাজার থেকে লিংকরোড হয়ে আসবে কক্সবাজারে। স্টেশন থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় উঠেন। যেখানে আগে থেকে সামনে ও পেছনে দুইজন করে চারজন বসা ছিল। তিনি উঠার পর মরিচ্যা বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার পর হঠাৎ পেছনে আরেকটি সিএনজিতে আসা ৫ জনসহ ৯ যুবক এই নারীর মূখ চেপে ধরে হাত-মূখ বেঁধে ফেলে। উল্টো দিকে গাড়ী ঘুরিয়ে মরিচ্যার একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের থেকে প্রথমে ১০ হাজার তোলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কোটবাজার থেকে অপর একটি বুথ থেকে ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে। পরবর্তীতে ওই এনজিও কর্মীর পিতা থেকে মুক্তিপণ হিসেবে বিকাশে ২৫ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে চারদিকে ঘুরিয়ে উখিয়ার হিজলিয়া নামক স্থানে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
    অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জুর মোর্শেদ দায় সাড়া জবাব দিয়েছেন প্রতিবেদকের কাছে। ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেই পরে আলাপের পরামর্শ তার।
    বিষয়টিকে কেন গুরুত্ব দিচ্ছে না পুলিশ এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন তিনি।
    তবে বিষয়েগুলো নিযে ছায়া তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছে র‌্যাব। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক এএসপি নিত্যনন্দ দাশ প্রতিবেদককে বলেন, স¤প্রতি ঘটে যাওয়া এমন দুইটি ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশকিছু আলামতও মিলেছে। শীঘ্রই আসামীদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে। তারপরই গ্রেপ্তারে অভিযান।
  • এক্মপ্রো ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রজেন্ট প্রেজেন্টার প্রশিক্ষণ

    এক্মপ্রো ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রজেন্ট প্রেজেন্টার প্রশিক্ষণ

    মোঃ সেলিম হাসানঃ- ক্যাম্পাস প্রতিনিধি,

     

    বগুড়ায় “ভূত দ্যা রেস্টুরেন্টে
    এক্সপ্রো ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে “প্রজেক্ট প্রেজেন্টার” এর জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়
    প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উক্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আহসানুজ্জামান। পাশাপাশি আরো বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইউসুফ আলী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মোতাছিম বিল্লাহ,মোঃ নূর ইসলাম,মোঃ আব্দুল মোত্তালিব,মোঃ আতাউর রহমান।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ মোফাজ্জল হোসেন,মোঃ আরিফুল ইসলাম,মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ফাতেমাতুন নূর।
    উক্ত সেশনে সকল ‘প্রজেক্ট প্রেজেন্টার’ গণ ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে নিতে সকলে একসাথে কাজ করতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

  • উখিয়ায় নুরুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাটে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    উখিয়ায় নুরুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাটে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়ায় নুরুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাটে, দক্ষিণ ফলিয়া পাড়া ভাই ভাই যুব একতা সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্ট ফাইনাল।

    ১ এপ্রিল২০২২, শুক্রবার বিকেলে উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডে, দক্ষিণ ফলিয়া পাড়া নুরুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ ফাইনাল খেলা।

    উক্ত ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কন্ট্রাকটর ফরিদুল আলম। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল হক রিয়াজ। উখিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল হক, ইউপি সদস্য মোঃ সালাহ উদ্দিন, ইউপি সদস্য ইকবাল বাহার। বিমিষ্ট ব্যবসায়ী কন্ট্রাক্টর মফিজ উদ্দিন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলোয়াড় অনুর্ধ্ব ১৯, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের শাহেদা আক্তার রিফা।

    আজ ফাইনাল খেলায় অংশ নিয়েছেন উখিয়া জামতলী ক্রীড়া একাদশ বনাম উখিয়া সদর কাটবাজার ফুটবল একাদশ। ৯০ মিঃ খেলায় কোন গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে জামতলী ক্রীড়া একাদশকে ০১গোলে হারিয়ে বিজয়ী হলেন উখিয়া সদর কাটবাজার ফুটবল একাদশ। পরে অতিথিদের ক্রেস্ট ও ফুলদিয়ে সম্মাননা জানান দক্ষিণ ফলিয়া পাড়া ভাই ভাই যুব একতা সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

    খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি ট্রপি রানার্সআপ প্রাইজমানি ট্রপি সহ খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেন অতিথি বৃন্দরা। দক্ষিণ ফলিয়া পাড়া ভাই ভাই যুব একতা সংগঠনের নেতৃত্বে পুরো খেলাটি পরিচালনা করা হয়।

  • কর্মজীবনের অবসরে বরেণ্য শিক্ষক মিলন কুমার বড়ুয়া

    কর্মজীবনের অবসরে বরেণ্য শিক্ষক মিলন কুমার বড়ুয়া

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    শিক্ষকদের বলা হয় ‘মানুষ গড়ার কারিগর’। তাঁরাই জাতির মেরুদন্ড। তাঁদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয় হাজার হাজার পড়ুয়া। পিতা-মাতার পর শিক্ষকই একমাত্র ব্যক্তি যাকে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

    শুধু তাই নয়, জীবনের প্রতিটি মোড়ে শিক্ষকরা আমাদের চলার পথ সহজ করে দেন। আর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে যে বন্ধন, তা কোনো মূল্যেই বিচার করা যায় না।

    মিলন কুমার বড়ুয়া। কক্সবাজারের উখিয়ায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১৯৭৮ সালে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮১ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর) ডিগ্রী অর্জনের পূর্বে ১-৯-১৯৮৩ সালে উক্ত বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

    তাঁর হাত ধরেই আজ কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, আবার কেউ তাঁর আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেই শিক্ষকতা পেশায় এসেছেন।

    স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের মধ্যে একটি অনন্য সম্পর্ক সবসময় বিরাজমান থাকে।

    তবে, প্রতিটি বিদ্যালয়ে এমন কিছু শিক্ষক থাকেন যাঁরা শুধু শিক্ষার্থী নয়, পাশাপাশি প্রত্যেকের খুব প্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁদের কর্মদক্ষতা এবং নিজস্বতায়। কিন্তু, সেই শিক্ষকই যখন বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেন স্বাভাবিকভাবেই তা মন খারাপের কারণ হয় সকলের।

    উল্লেখ্য, তিনি বিগত ৩৯ বছর যাবৎ পূর্ণ নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিদ্যালয়কে আসীন করেছেন উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের মর্যাদায়।

    আজ সেই গুনীজন কর্মস্থল থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। এতে প্রাক্তন ছাত্র ও বিভিন্ন সূধীসমাজ তাঁকে বেদনাবিধুর বার্তা পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

  • উখিয়ায় বঙ্গবন্ধু অলিম্পিকবার গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

    উখিয়ায় বঙ্গবন্ধু অলিম্পিকবার গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচ:- উখিয়া কক্সবাজার,

    বঙ্গবন্ধু অলিম্পিকবার গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্ট ২০২২ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ মার্চ, বুধবার বিকেলে উখিয়ায় কুতুপালং এলাকার একটি মাঠে কুতুপালং যুব ক্রীড়া সংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এ ফাইনাল খেলা।

    উক্ত ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
    খেলায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলোয়াড় অনুর্ধ্ব ১৯, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের শাহেদা আক্তার রিফা। উক্ত ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক খান। মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্মলীগে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমান উল্লাহ মৌল্লা। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ। বিশিষ্ট সমাজ সেবক বোরহান উদ্দিন প্রমূখ।

    আজ ফাইনাল খেলায় অংশ নিয়েছেন ঘুমধুমের তুমব্রু ক্রীড়া পরিষদ বনাম কুতুপালং ওয়েস্টাম ফুটবল একাদশ। ৯০ মিঃ খেলায় কোন গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে তুমব্রু ক্রীড়া পরিষদকে ০১গোলে হারিয়ে বিজয়ী হল কুতুপালং ওয়েস্টাম ফুটবল একাদশ।

    খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি ট্রপিসহ ৫০০০০ হাজার টাকা ও রানার্সআপ প্রাইজমানি সহ ২০০০০ টাকা খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেন অতিথি বৃন্দরা। উক্ত
    খেলা পরিচালনা কমিটি ও কুতুপালং যুব ক্রীড়া সংঘের সভাপতি জানে আলম ও সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ মিজানের নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ফাইনাল খেলাটি উপহার দিয়েছেন।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে টিসিবির কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে টিসিবির কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচ:- উখিয়া কক্সবাজার,

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র পন্য শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    উপকারভোগী ১৬ হাজার ৪৪৭জন
    উখিয়ার ১৬ হাজার ৪শ৪৭জন উপকারভোগী পাচ্ছে টিসিবির পণ্য। এর মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদে ৩ ওয়ার্ডের ১৫০০ কার্ডধারী পরিবার পাচ্ছে ২লিটার সয়াবিন তেল, ২কেজি মশুরের ডাল ও ২কেজি চিনি। কার্ডধারীরা দুইবার সুযোগ পাবেন। পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে টিসিবি’র পণ্য বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

    বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টায় উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলার ভর্তুকি মূল্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা সূচনা করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে উদ্বোধন করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    টিসিবি’র পণ্য বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধনের সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন। (পজিপ) কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃণাল বড়ুয়া ও ইউপি সদস্য আব্দুল হক, ইউপি সদস্য ইকবাল বাহার, ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান শেষে টিসিবি’র পণ্য হিসেবে চিনি,মশুর ডাল,সয়াবিন তেল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃণাল বড়ুয়া।

    উল্লেখ্য রাজাপালং ইউনিয়নে ৩০ মার্চ বুধবার, ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ১৫০০ পরিবারের মাঝে নায্যমূল্যের টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হয়।

  • উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা সম্পন্ন

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা সম্পন্ন

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়া আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৯ মার্চ ২০২২ ইং, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জালিয়াপালং ডেইলপাড়া, শাহ আলম চৌধুরী রাজা’র বাস ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মেয়র।
    বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাংগঠনিক টিম প্রধান শাহ আলম রাজা। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক টিম উপ-প্রধান এডভোকেট রনজিত দাশ।

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক টিম সদস্য সচিব এইচ,এম,ইউনুছ বাঙালী। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাংগঠনিক টিম সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি। জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাপস রক্ষিত। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাংগঠনিক টিম সদস্য কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরী। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাংগঠনিক টিম সদস্য বদরুল হাসান মিল্কি। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাংগঠনিক টিম সদস্য মিজানুর রহমান।

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    সভায় আগামী এপ্রিলের মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটিকে সম্মেলন কমিটি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    সভা অনুষ্টানে আরো সাংগঠনিক বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও ৫ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা।

  • উখিয়া কলেজ পরিবারের মধ্যে বনভোজন,পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

    উখিয়া কলেজ পরিবারের মধ্যে বনভোজন,পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচ:- উখিয়া কক্সবাজার,

    উখিয়া কলেজ পরিবারের আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৭ মার্চ ২০২২ ইং, রবিবার দুপুরে উখিয়া কলেজ মাঠে কলেজ পরিবার কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন,পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) বাবু অজিত দাশ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উখিয়া কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    উক্ত অনুষ্টানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ। উখিয়া কলেজ বিদ্যোৎসাহী সদস্য অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার। উখিয়া কলেজ গভর্নিং বডির হিতৈষী সদস্য অধ্যক্ষ মিলন বড়ুয়া। উখিয়া কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ ফজলুল করিম। উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ ও উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদুল আমিন টিপু ও উখিয়া কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ সকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথি বৃন্দরা এবং পুরে অনুষ্টান সঞ্চালনা করেছেন উখিয়া কলেজ ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক তহিদুল আলম তহিদ।

  • ২৫ মার্চ কাল রাতে সিআইসি রবিন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে স্থানীয় ছমুদাকে গুম করার অভিযোগ

    ২৫ মার্চ কাল রাতে সিআইসি রবিন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে স্থানীয় ছমুদাকে গুম করার অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক,

    উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১২ নাম্বার ক্যাম্পে নতুন করে শেড নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় স্থানীয় এক নারীকে ৩দিন ধরে অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ঠ ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি)’র বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে নিজ বসতঘরের আঙ্গিনায় রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করে দেয় পালংখালী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকার হতদরিদ্র ফরিদ আলমের স্ত্রী ছমুদা খাতুন (৪০)। সম্প্রতি অবশিষ্ঠ জায়গায় রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন শেড নির্মাণ কাজ শুরু করে ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) রবিন্দ্র চাকমা। এতে সে বাঁধা দিতে গেলে গত ২৫ মার্চ সকাল ৯টায় তাকে ক্যাম্প পুলিশ আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

    পালংখালীর ইউনিয়নের বাসিন্দা গণমাধ্যমকর্মী নুরুল বশর বলেন, আমরা অনেক মানবিকতা নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এখন আমাদের উপর নির্যাতন শুরু করেছে। বিশেষ করে ক্যাম্পে নিয়োজিত প্রশাসন রোহিঙ্গাদের পক্ষে নিয়ে স্থানীয় লোকজনকে হয়রানী করছে। ছমুদা খাতুনকে গত ৩দিন ধরে আটকিয়ে রেখে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে সিআইসি রবিন্দ্র চাকমা। দ্রুত তাকে ছেড়ে দেওয়া না হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে স্থানীয়রা কি অপরাধ করেছে? কারণ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, এক নিরহ নারীকে গত ৩দিন ধরে আটকিয়ে রেখেছে ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) রবিন্দ্র চাকমা। এনিয়ে তাদের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করার পরেও তাকে ছেড়ে দেয়নি। তিনি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।

    এই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিআইসি ও ক্যাম্প পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।