Blog

  • ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।

    ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি, ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ তৈরির সকল পথ বন্ধ করতে হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, যে রক্তের মাধ্যমে জনগণ এ বিজয় পেয়েছে, তা হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার এ মাটিতে আর আসতে পারবে না। এর মানে এই নয় যে নতুন করে ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না। এ জন্য এমন এক ব্যবস্থা আমাদের করে যেতে হবে, যাতে নতুন করে এ দেশে ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়। এ জন্যই সার্বিক বিবেচনায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর বিকল্প নেই। এ নির্বাচন পদ্ধতিতেই দেশকে জালিমমুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া জাতীয় সরকার ব্যবস্থা গঠন করবেন বলে বিএনপি বলে বেড়াচ্ছেন, জাতীয় সরকার কেবল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্ভব। কাজেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থা মেনে নিয়ে কাজ করুন।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, চট্টগ্রামে ইসকনের কর্মকান্ড দেখলে মনে হবে না যে, এটা বাংলাদেশ। ইসকন এত সাহস কোথা থেকে পেল। ইসকনের অত্যাচারে চট্টগ্রামে মুসলমানরা অতিষ্ঠ। শোনা যাচ্ছে ইসকন নেতা চিন্ময়কে কোর্টে তোলার পর উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীরা কোর্ট প্রাঙ্গণে তান্ডব চালায়। পুলিশের গাড়ির চাকা পাংচার করে, ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং একজন মুসলমানকে হত্যা করার খবর শোণা যাচ্ছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। তাদের নেতাকে গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে অরাজকতা সৃষ্টি করা কোনভাবেই মেনে নেয়ার যায় না। উগ্রবাদীদের তান্ডব আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। আসলে ইসকন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বিদেশের হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করছে। তিনি উগ্রবাদী ইসকনসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কঠোরহস্তে দমনের আহ্বান জানান।

    আজ পুরানা পল্টনস্থ দলের কার্যালয়ে চরমোনাই মাহফিল প্রস্তুতি নিয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।

    ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, কৃষি ফসলের লাভজনক দাম, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা, গ্রাম-শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, অবিলম্বে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা সময়ের দাবি।

  • ১৪ ডিসেম্বর শানে সাহাবার নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন। চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে জেলা নেতৃবৃন্দের বৈঠক

    ১৪ ডিসেম্বর শানে সাহাবার নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন। চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে জেলা নেতৃবৃন্দের বৈঠক

     

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আগামী ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার বার্ষিক সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
    স্থান : গ্রীন গার্ডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। অদ্য সকালে এ উপলক্ষে শানে সাহাবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শানে সাহাবার বিভাগীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক মুফতি শহীদুল ইসলাম বাউফলী ও সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন আজাদী।

    আজকের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুগ্ম আহবায়কদের মধ্যে যথাক্রমে মুফতি আশরাফ আলী, মুফতি এহসানুল হক, মুফতি হাসনাইন, যুগ্ম সদস্য সচিবদের মধ্যে যথাক্রমে মুফতি কাওসার বিন ইউসুফ, মাওলানা মুসতাকিম বিল্লাহ সাদী, মুফতি নাজমুল হাসান সাইফী, মুফতি ফেরদৌস ফরায়েজী, মাওলানা কারীমুল ইসলাম ও মুফতি সফিউল্লাহ নূরী।

  • জমিয়তের সভাপতি মাও: মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে পীর সাহেব চরমোনাইর শোক।

    জমিয়তের সভাপতি মাও: মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে পীর সাহেব চরমোনাইর শোক।

     

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (একাংশ) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা শায়খ মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    এক শোকবাণীতে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, মরহুম মনসুরুল হাসান রহ. ইসলামের প্রচার ও ইসলামী রাজনীতিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ফেরাকে বাতিলাসহ ইসলামবিরোধী শক্তির মোকাবেলায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তার ইন্তেকালে ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পুরণ হবার নয়।

    পীর সাহেব চরমোনাই তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সময় বেদনা জানান সেইসাথে পরিবার পরিজন, ভক্ত অনুরক্ত, রাজনৈতিক সহকর্মীদের সবর করার তৌফিক কামনা করেন।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা গতকাল ২২ নভেম্বর (জুমাবার) রাত ৯টায়, পশ্চিম ডিগলিয়াপালং ইসলামিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইউনিয়ন শাখার উপদেষ্টা মাওঃ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে ও আহবায়ক হাফেজ নজির আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওঃ মুহাম্মদ আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সেক্রেটারী মাওঃ এম. জাহাঙ্গীর রফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচীব মাওঃ হাফেজ মির কাশেম, উপদেষ্টা মাওঃ নুর আহমদ, মাওঃ হাফেজ হারুনুর রশিদ, মাওঃ জামাল উদ্দিন প্রমূখ।

  • সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌

    সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌

     

    আপত্তি নিরসন।

    অভিযোগ: ১
    বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌ মাদ্রাসাটি দীর্ঘ ১০০ শত বছর ধরে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মকতবের নিয়মে পাঠদান করে আসছিল। গত ১৩-১৪ বছর আগে মাঃ জামাল উদ্দিন মাদ্রাসাটিকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এলাকার কিছু লোকজনকে তার কব্জায় করে উচ্চতর শিক্ষা পাঠদানের আশ্বাস দিয়ে দখলে নেয়।

    জবাব: ১
    নিঃসন্দেহে যে মাদ্রাসার প্রাণ কেন্দ্রে বসে আপনারা কথাগুলো শুনছেন, তা একসময় কেবল মকতবেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতের বদৌলতে মকতব থেকে কোরআন, সুন্নাহ সমন্বিত একটি দ্বীনি দরসেগাহে রূপায়ন হয় আমি অধমের হাত ধরে। তারা আপত্তি করেছে মকতব থেকে‌ নাকি মাদ্রাসা হবার পেছনে আমার স্বার্থসিদ্ধি ছিল, এবং মুষ্টিমেয় মানুষের সহযোগিতায় আমি তা হাসিল করতে পেরেছি। নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহর পানাহ চাই। যদি তাই হয়ে থাকে, সূচনালগ্নে তাদের নিঃস্বার্থ বৃহৎ জামাত কয় ছিল? এবং সঙ্গবদ্ধভাবে কেন বাধা দেয়নি আমার উদ্যেশ্যে হাসিল পথে? তাদের ভাষ্যমতে হয়তো আমার সাথে মুষ্টিমেয় কিছুজন ছিল, বাকি তাদের বিরাট দল কেন প্রতিরোধ করেনি আমাই?
    মাদ্রাসা হয়ে এলাকার কি বেশিই ক্ষতি হয়ে গেল? মকতব থেকে হেফজ বিভাগ হয়ে এলাকার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেরা কোরানের হাফেজ হয়ে মা বাবার মুখে হাসি ফুটালো। গায়ে জুব্বা পরিধান করলো। চারিত্রিক সৌন্দর্যে এগিয়ে গেল। পরে মাদ্রাসা কারিকুলাম চালু হয়ে হাফেজ হবার সাথে সাথে কোরআন হাদিসের বিস্তর ইলম হাসিল করতে সক্ষম হলো। এবং তাদের মধ্যে বর্তমান অনেকেই দেশের বাছাই আলেম হলো, এ ছোট্ট টিনের ছাউনি থেকে শিখে বড় বড় দালানে আহরিত ইলম পাঠদানে শক্তি অর্জন করলো, সব কি আমার মতলবি উদ্যেশ্যে ছিল? উত্তরটুকু আপনাদের‌ কাছে জমা দিলাম। সবমিলিয়ে ছোট মানুষ হয়ে বড় স্বপ্ন হয়তো দেখেছি, তবে অভিযুক্ত অপরাধের মতো হীন উদ্যেশ্য আমার মধ্যে কিঞ্চিৎ ছিল না, ওয়াল্লাহী।

    অভিযোগ: ২
    দীর্ঘ সময় ধরে তার মন মতো একটি সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালিয়ে আসছিল। যদিও কওমি মাদ্রাসা পরিচালনার আইন কানুন থাকলেও নিয়ম-কানুন কোনোটাই মানা হয়নি। কমিটির সদস্যদের শত ভাগের ধর্মীয় জ্ঞান নাই যা আইনের বাহিরে।

    জবাব: ২
    মন মতো সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালানোর অর্থ আমি বুঝিনি। কারণ, এলাকার মান্যবর কোন সভ্য ব্যক্তি বাদ গেছে যার উত্তম পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজের মতো মনগড়া সিন্ধান্ত নিয়েছি? মাদ্রাসা পরিচালনার কানুন কী, তা হয়তো তাদের কাছে শিখা দরকার! কারণ প্রতি বছরই তো হেড অফিস থেকে যাচাইকরণের জন্য কিছু মেহমান আসেন। সম্পূর্ণ অবস্থা দেখেই ফিরেন তারা। অভিযোগ থাকলে তারাই করতো, একাকি সিন্ধান্ত নিয়ে মাদ্রাসা অধপতনের ঘৃণ্য মানসিকতা থাকলে, তারাই ধরিয়ে দিতো! কয়, কার কাছে অভিযোগ করে গেছে তারা? এমন তো হয়নি কখনোই। তাদের আপত্তি হলো, কমিটির সদস্যদের ধর্মীয় জ্ঞান নেই। তা সঠিক। কারণ, এমন কিছু মাদ্রাসার একনিষ্ঠ শুভাকাংখী যারা সর্বাত্বক মাদ্রাসার কল্যাণ চায়; এবং বয়সের দিক থেকে মুরব্বি হিশেবে সর্বোচ্চ আসনে আসীন হবার অধিকার রাখেন। তারা কমিটিতে থাকা কোনোদিনও অযৌক্তিক হতে পারে না। বড় বড় মাদ্রাসার দিকে আপনি লক্ষ্য করলেও এমনটা দেখতে পাবেন, যারা মকতবেও পড়ানোর সক্ষমতা রাখেন না, তবে সর্বোচ্চ শুরা আসনে তাদের রাখা হয়েছে মাদ্রাসার উন্নতিলাভের আশায়। এটি দোষ নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক।

    অভিযোগ: ৩
    ভেতর ভেতরে দেখা যায় তার সম্পদের পাহাড় খবরটি প্রকাশ হলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি ১৪-১৫ হাজার টাকার বেতনধারী কর্মকর্তা হয়ে তার রয়েছে চট্টগ্রামে ভিআইপি প্লাট ও বিভিন্ন এলাকায় জায়গাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও বিলাসিতা জীবন জাপন, নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠজন বলেন বাজার করতে গেলে বাজারের সব থেকে বড় মাছটি তার ঘরে চলে আসে, এবং তার ৩ জন পড়োয়া ছেলে মেয়ের জন্য প্রতি মাসে খরচ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত; এটা কিভাবে সম্ভব? এত টাকা আসে কোথা থেকে?

    জবাব: ৩
    আমার নাকি সম্পদের পাহাড় জমা আছে। যার ফলে এলাকায় বিশৃংখলা দেখা যাচ্ছে। কতটা মিথ্যুক হলে এমন অন্ধ মন্তব্য করা যায় আপনারাই বলুন। আমার ধবধবে সাদা জুব্বা দেখে যদি আপনার মনে হয় আমি বিশাল সম্পদের পাহাড় জমিয়ে রেখেছি, তবে আপনার চোখ দুটো আর কলবটা জুব্বার মতো সাদা করুন। আপনি হিংসা বশীভূত হয়ে আমাকে রঙিন দেখছেন। জুব্বায় একাধিক পকেট দেখে বিরাট টাকাওয়ালা ধরে বসে আছেন। ওয়াল্লাহী যার বাস্তবতা আমার ভেতর নেই। চট্টগ্রামে দামি প্লট আছে বলেও আপত্তি করেছে তারা। প্লট তো অনেক দূরের, কিঞ্চিৎ পরিমাণ যদি অথবা এক হাত বরাবর আমার নামে আমার পরিবারের নামে অথবা আমার মালিকানায় সস্তা থেকে সস্তা জায়গাও থাকে, আল্লাহর কসম করে বলছি— এ সুন্নাতি লেবাস নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াব না। কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে বলে তারা মিথ্যে অপবাদ রটিয়ে দিচ্ছে; ভাবা যায়? শাহপরীর দ্বীপের ইয়াহিয়া সাহেবের কাছেও অত সম্পত্তি আছে কি না সন্দেহ। বাজারের বড় মাছ নাকি আমি কেনার সামর্থ রাখি না। যাই কিনেছি, তা নাকি সব প্রতিষ্ঠানের টাকা। একজন রিক্সাওয়ালাও তো পরিবারের চাহিদা পূরণে সক্ষম। তার বাড়িতেও বাজার হয়। নিত্যদিন বাজার একজন অল্প আয়ের নাগরিকও করেন। আপত্তি সব নাকি আমার বেলায়? আমার বেতন কত, আর বিদেশ সফরে গেলে বেতন কত হয়, আর আত্মীয়দের নেক দৃষ্টি সব মিলিয়ে ছোট্ট পরিবারটা চালাতে পারলে যদি এহেন অভিযোগ গায়ে এসে পৌঁছয়; তবে তা মিথ্যে বৈ কিছু্ নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বাইরে ছেলেদের পড়াশোনা কীভাবে সম্ভব? আমি তো আর ছেলে মেয়ে ভার্সিটিতে পড়াই না। কওমি মাদ্রাসায় পড়াই। আপনার ছেলে মেয়ে এ প্রতিষ্ঠানে পড়তে যত খরচ, ঠিক সেইম খরচ ওখানেও। শুধু জায়গার দূরত্বে গাড়ি ভাড়া ভিন্ন। ভেতরের আর্তনাদ কে শুনে? এমনও অনেক সময় অতিবাহিত হয়; যখন তাদের পকেট শুন্য হয়ে খরচ তলবে টাকার কথা জানান দেয়। আর নাজুক পরিস্থিতি লুকিয়ে ধার নিয়ে যে কতবার তাদের হাজত পূরণ করা হয়েছে সে খবর তো আর ষড়যন্ত্রকারীরা রাখে না।অভিযোগ: ৪

    মাঃ জামালের অপসারণ চাই তো চাই!

    জবাব:৩
    দেখুন অপসারণযোগ্য অভিযোগ থাকলে প্রমাণাদি নিয়ে আপনারা আসুন, চাইতে হবে না; আমি অধম যদি অপসারণযোগ্য কিছুই করে থাকি নিজে নিজেই তো নিজের সম্মান বাঁচাব। তা না করে আপনারা যেসব বিকল্প পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত মানহানিকর এবং হিংসা বশীভূত আচরণ।

  • উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।

    উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের উখিয়ায় ৪ দিন টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ী ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৩০/ ৩৫ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, গ্রামীণ সড়ক লন্ড ভন্ড কালভার্ট বিধ্বস্ত গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

    সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া,খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃ কাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৩৫ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনগণের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে।

    জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া,লম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ শিকদার জানান ৪ দিন ধরে প্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মাটির রাস্তা গুলো লন্ডভন্ড এবং কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

    এছাড়াও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।