Blog

  • রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

    রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

    নিউজ ডেস্ক:

    উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তানবির হোসেন, সভাপতিত্ব করেন রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব নুরুল হুদা।

    নিউজ ডেস্ক: UkhiyaVoice24.Com

  • চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ৪ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ৪ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম মূলহোতাসহ ০৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে দেশীয় অস্ত্র সহ কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    ১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়াল ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ, কিশোর গ্যাং ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ২। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ধাউনখালি এবং কলাতলীর মেরিন ইকো রিসোর্ট থেকে অবৈধ বিদেশি অস্ত্র চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি মডিফাইড .৩০৩ রাইফেল এবং এ্যামুনেশন’সহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়াও গত এপ্রিল মাসেও চকরিয়ার মাছের ঘেরে ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট চারজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরবর্তীতে তাদের দেয় তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বেশ কয়েকটি গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারে র‌্যাব। বর্ণিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র‌্যাব কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

    ৩। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সারা বছর মৌসুমে লবণ চাষ এবং বাকি মাসগুলোতে চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে। মূলত লবণ চাষের মৌসুম শেষে চিংড়ি চাষের প্রস্তুতি শুরু হলেই একদল সন্ত্রাসী ঘের মালিকদের নিকট চাঁদা দাবি করে। তাছাড়া অস্ত্রের মহড়ার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে ঘের এলাকা দখল করে। এছাড়া প্রায়ঃশই সশস্ত্র ডাকাত দল মাছের ঘেরে লুটপাট ও অন্যান্য নাশকতা সৃষ্টি করে। এর ফলে বছরজুড়ে অত্র এলাকায় অস্থিরতা চলমান থাকে। বিভিন্ন সময়ে র‌্যাবের অভিযানের মাধ্যমে এ সকল ডাকাত দল নির্মূলের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। তবে এ সকল ডাকাত ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম সাময়িক সময়ের জন্য রোধ করা গেলেও দেশি-বিদেশি অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বারংবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের চকরিয়ার বিলুপ্তপ্রায় সুন্দরবন তথা চিংড়ি জোনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব ও লুটপাটের কয়েকটি ঘটনা ঘটে। গত ১৯ জুন ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ মৌজার গোলদিয়ায় ১০ একর বিশিষ্ট সাতটি ঘেরে (৭০ একর) হানা দেয় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা অন্তত শতাধিক ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। অস্ত্রের মুখে ঘের কর্মচারীদের জিম্মি ও হাত-পা বেঁধে ফেলে করা হয় মারধর ও বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন। এরপর একে একে ঘেরগুলো দখলে নেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব।

    ৪। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের চকরিয়া থানার কোরালখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের প্রধান ১। বেলাল হোসেন (৪৫), পিতা-আকবার আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ২। কামাল আহম্মেদ (৪২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৩। আব্দুল মালেক (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার ও তাদের সহযোগী ৪। নুরুল আমিন (৩৫), পিতা-মৃত জহির আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার’দেরকে গ্রেফতার করে। উক্ত অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ বোর ৪০ রাউন্ড, ৭.৬২ মিঃ মিঃ ১০ রাউন্ড এবং ৭.৬৫ মিঃ মিঃ ২ রাউন্ড। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি, চিংড়ি ঘের দখল ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

    ৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। গ্রেফতারকৃত বেলাল, কামাল এবং মালেক আপন তিন ভাই। তারা অস্ত্রধারী ডাকাতদের নিয়ে “বেলাল বাহিনী” গড়ে তুলে মাছের ঘের দখল, লুটতরাজ, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। এই বাহিনীর সশস্ত্র ডাকাত সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ জন। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, লবণের মাঠ ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাত এবং এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করতো।

    ৬। জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আধিপত্য বিস্তার ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে ভাড়া করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাদের দলের শক্তি বৃদ্ধি করে। গ্রেফতারকৃতরা মৌসুমের পর মৌসুম মাছের ঘের মালিকদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করতো। ঘের মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে ডাকাতি করে নিয়ে যেতো ঘেরের মাছ ও মাছ চাষের নানা উপকরণ। এছাড়াও মাছের ঘের তাদের দখলে নিয়ে নিতো এবং কর্মচারীদের মারধর করে তাড়িয়ে দিতো। এমনকি ঘের মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ করেও নিয়ে যেতো এবং মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতারকৃতরা মহেশখালীসহ কক্সবাজারের অন্যান্য এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ভাড়া করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী/ডাকাত দলের সদস্যদের সে চকরিয়াতে নিয়ে আসতো। বিভিন্ন অপরাধ সংঘঠিত করার উদ্দেশ্যে তারা সবসময় সশস্ত্র অবস্থায় প্রস্তুত থাকতো। গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে মাছের ঘের ও লবণের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি, গুলি বর্ষন, মারামারি, ডাকাতি, লুট-পাট ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতো। বিভিন্ন অপরাধ ও মাছের ঘের দখলের উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন মাধ্যম হতে অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এ সকল অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করতো এবং কার্যশেষে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখত বলে জানা যায়।

    ৭। গ্রেফতারকৃত বেলাল একজন দুর্ধর্ষ ও চিহ্নিত অস্ত্রধারী ডাকাত। সে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘের দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০২টি হত্যা ও ০১টি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ০৯টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ৮। গ্রেফতারকৃত কামাল পেশায় একজন কৃষক এবং পাশাপাশি ডাকাত চক্রের সদস্য। গ্রেফতারকৃত বেলালের আপন ভাই এবং তার অন্যতম সহযোগী। গ্রেফতারকৃত কামাল গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০১টি পুলিশ এ্যাসল্ট ও ০১টি অপহরণসহ মোট ০৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ৯। গ্রেফতারকৃত মালেক পেশায় একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী। সে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি করতো বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত বেলালের অন্যতম সহযোগী। গ্রেফতারকৃত মালেক গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ১০। গ্রেফতারকৃত নুরুল পেশায় একজন কৃষক এবং পাশাপাশি ডাকাত চক্রের সদস্য। সে গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় ডাকাতি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মারামারির ০১টির মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ১১। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    মহেশখালী প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য।

    চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ এই প্রতিপাদ্যে অদ্য ২৭ জুন ২০২৪ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’ প্রদান করেন। এতে শিক্ষাকেন্দ্রীক ক্রিড়া সাংস্কৃতিক এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কন (বালক) ইভেন্টে প্রথম হয়ে দেশসেরার পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী কৌশিক দে বাপ্পি।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

    এসময় ১৮ ক্যাটাগরিতে ১২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ১৫ ব্যক্তি ও তিনটি সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হয়।

    কৌশিক মহেশখালী গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফেন্সি রাণী দে ও রামু পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার কানুরাম দে’র প্রথম পুত্র। কৌশিকের এমন সাফল্যে তাঁর পরিবার, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠীরা বেশ আনন্দিত হয়।

  • ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    নিউজ ডেস্ক: Ukhiyavoice24.Com

    কক্সবাজার জেলার ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত প্রথম সাধারণ সভা অদ্য-২৫ জুন- ২০২৪ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকার দিকে উপজেলা হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি।

    উখিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র সভাপতিত্বে, উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার জনাব তানভীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী, নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাবা শাহীনা আক্তারসহ উপজেলার ৫ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ও উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

  • শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল টেকনাফ উপজেলা শাখা’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা।

    শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল টেকনাফ উপজেলা শাখা’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা।

    নিউজ ডেস্ক:

    ২২ জুন-২০২৪ খ্রিঃ শনিবার বাদে যোহুর শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন উপলক্ষে টেকনাফ আলো শপিং কমপ্লেক্স হল রুমে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়,

    উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন
    শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও কক্সবাজার জেলার সভাপতি জনাব মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী, আরো উপস্থিত ছিলেন শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল বাংলাদেশের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাকের উদ্দীন ইউনুছী, উপস্থিত ছিলেন শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ছৈয়দ নূর ফারুকী, উপস্থিত ছিলেন লেঙ্গুর বড় মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা তৈয়ুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন তানযিমুল আফনান টেকনাফের প্রিন্সিপাল মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাইফি,সহ টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ইমাম,খতীব, খাদেম ও প্রতিষ্ঠান প্রধান। দীর্ঘ আলোচনার পর উপস্থিতি সকলের পরামর্শ ক্রমে শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়,

    উক্ত কমিটিতে
    সভাপতিঃ হাফেজ মাওলানা এনাম উল্লাহ
    সিঃ সহ-সভাপতিঃ মাওলানা তয়ুবুর রহমান
    সহ-সভাপতিঃ মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাইফি
    সহ-সভাপতিঃ মাওলানা জামাল উদ্দিন

    সেক্রেটারি জেনারেলঃ হাফেজ মাওলানা তাহের
    জয়েন্ট সেক্রেটারিঃ মুফতি হাসান গালীব
    সহ-সেক্রেটারিঃ মাওলানা এজাহারুল হক

    সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মাওলানা আবুল বশর সুলতানি
    সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মাওলানা কলিম উল্লাহ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মুফতি ইয়াকুব

    অর্থ সম্পাদকঃ মাওলানা মুফতী জাফর আহমদ
    সহ অর্থ সম্পাদকঃ হাফেজ ইউসুফ জাফর

    প্রচার সম্পাদকঃ হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া কলিম
    সহ-প্রচার সম্পাদকঃ মাওলানা আব্দুর রহমান জামী, দপ্তর সম্পাদকঃ হাফেজ মাওলানা ইউনুস, সহ-দফতর সম্পাদকঃ মাওলানা তয়্যুব

    আইন সুরক্ষা সম্পাদকঃ ক্বারি নুরুল হুদা
    সহ-আইন সুরক্ষা সম্পাদকঃ মাওলানা ছৈয়দ হোসাইন, শিক্ষা ও সাহিত্যিক সম্পাদকঃ মাওলানা আব্দুর রহিম

    সহ- শিক্ষা ও সাহিত্যিক সম্পাদকঃ হাফেজ মুহাম্মদ হোসাইন, মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদকঃ মাওলানা আবু ছৈয়দ

    সংস্কৃতি সম্পাদকঃ হাফেজ আব্দুল মালেক, প্রশিক্ষণ সম্পাদকঃ হাফেজ মাওলানা মুফিজ উদ্দীন দাওয়া সম্পাদকঃ মুফতি জসিম উদ্দিন প্রমূখ

  • আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা সমূহের মুহতামিম ও ওলামায়েকেরামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা সমূহের মুহতামিম ও ওলামায়েকেরামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ এর রিপোর্টে বিস্তারিত।

    আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা সমূহের মুহতামিম ও ওলামায়েকেরামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    অদ্য ২২ জুন-২০২৪ খ্রিঃ শনিবার বিকাল ০২ ঘটিকার দিকে মাদ্রাসাতুন নুর উখিয়া মিলনায়তনে ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব শায়খ আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহসিন শরিফ, কক্সবাজার জামিয়া ইমাম মুসলিম (রহ.) ইসলামিক সেন্টারের মুহতামিম মাওলানা সালাহুল ইসলাম, কক্সবাজার রহমানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি সোলাইমান কাসেমী, হ্নীলা জামিয়া দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আফছার উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার দারুল উলুম লাইট হাউস মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ আলী, নাজির, থাইংখালী দারুত তাহযীব মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুস সাত্তার, হলদিয়াপালং দাওয়াতুল হক আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ আবদুল গফুর, টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাওলানা মুজিবুর রহমান, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া টেকনাফের প্রতিনিধি মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ, জামিয়া দারুচ্ছুন্নাহ হ্নীলার মুহাদ্দিস মুফতি আজিজুর রহমান, জামিয়া আশরাফিয়া কাসেমুল উলুম কোটবাজারের মুহতামিম মুফতি ওবাইদুল্লাহ রফিক প্রমূখ।

    উপস্থিত ছিলেন, উখিয়ার প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা কাজী মোহাম্মদ হারুন, মুফতি বোরহান উদ্দিন, ডিগলিয়াপালং রহমানিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল খালেক, চাইল্লাতলী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ, মরিচ্যা পালং সুলতানিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার নির্বাহী পপরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমান, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল খালেক কাউসার, কোটবাজার আনোয়ারুল হারামাইন মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ফরিদ আহমদ তাওহিদী, রামু জামিয়াতুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উখিয়া উপজেলার সর্বস্তরের মাদ্রাসা সমূহের মুহতামিমসহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • ঈদগাঁও‌ র ইসলামাবা‌দে দ‌রিদ্র কৃষকের উপর বখা‌টে আমজা‌দের হামলা

    ঈদগাঁও‌ র ইসলামাবা‌দে দ‌রিদ্র কৃষকের উপর বখা‌টে আমজা‌দের হামলা

    ঈদগাঁও প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউছুপেরখীল গ্রা‌মে উন্মুক্ত ফসলি জমি থেকে গৃহপা‌লিত গরু`র ক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দ‌রিদ্র কৃষক জাফর আলমের উপর লা‌ঠি-‌সোটা ও ক্রিকেট ব‌্যাট দি‌য়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় একই গ্রা‌মের আমজাদ না‌মের এক বখা‌টে যুবক। আমজাদ গ্রা‌মের একজন চি‌হ্নিত বখা‌টে হি‌সে‌বে প‌রি‌চিত। হামলায় আহত হওয়া কৃষক জাফর আলম ইউ‌নিয়‌নের ৬নং ওয়া‌র্ড কৃষকলী‌গের সভাপ‌তি।

    ১৮ জুন (মঙ্গলবার) সন্ধ‌্যায় ইউছু‌পেরখীল গ্রা‌মের বাইল্লা ঘোনা নামক এলাকায় উ‌দ্যেশ‌্যপ্রণো‌দিত এ হামলার ঘটনা‌টি ঘ‌টে।

    গুরুতর আহত হওয়া কৃষক জাফর আলম‌কে ঘটনাস্থল থে‌কে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার ক‌রে প্রথ‌মে ঈদগাঁও`র এক‌টি বেসরকা‌রি হাসপাতা‌লে নি‌য়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তা‌কে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতা‌লে উন্নত চি‌কিৎসার জ‌ন্যে রেফার করা হয়।
    বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক ব‌লে জানা যায়। রি‌পোর্ট লিখা পর্যন্ত সে কক্সবাজার সদর হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় আ‌ছে। চি‌হ্নিত বখা‌টে আমজা‌দের বি‌রো‌দ্ধে খুব শীঘ্রই ঈদগাঁও থানায় এজাহার দা‌য়ের কর‌া হ‌বে জানায় ভুক্ত‌ভোগী জাফর আল‌মের প‌রিবার।

    এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানায় আমজাদ এলাকার একজন চি‌হ্নিত বখা‌টে। বখা‌টে আমজাদ প্রতিনিয়ত পে‌শিশ‌ক্তি ও কি‌শোর গ‌্যাং‌দের মাধ‌্যমে গ্রা‌মের নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন করে। নির্যাত‌নের পর জা‌নে মে‌রে পেলারও হুম‌কি ধম‌কি দি‌য়ে থা‌কে। আমজাদ এলাকার কি‌শোর গ‌্যাং লিডার ও বখা‌টে হওয়ায় নানান অপরাধ ক‌রেও পার পে‌য়ে যায় বারবার।

    ভুক্ত‌ভোগী প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা উক্ত ঘটনা ও তার বখা‌টে কার্যক্রমের সুষ্ঠু তদন্ত করে, তার বিরুদ্ধে প্রচ‌লিত আই‌নে ব্যবস্থা গ্রহ‌নের জন্যে সং‌শ্লিষ্ট প্রশাস‌নের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

  • পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ রিপোর্ট।

    পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَ مَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ * إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ * لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ পশু কুরবানী করার পূর্বে দোয়াটি পাঠ করে পশুর ঘাড়ের নিকটতম বাহুর উপর নিজের ডান পা রেখে

    اللَّهُمَّ لَكَ وَ مِنْكَ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُ أَكْبَر
    দিয়ে দ্রুত জবেহ করুন। কুরবানী যদি নিজের পক্ষ থেকে হয় তাহলে জবেহ করার পর এই দোয়া পাঠ করুন।

    اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ وَخَلِيْلِكَ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ
    وَحَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم

    আর যদি অন্য কারো পক্ষ থেকে পশু কুরবানী করা হয় তবে জবেহকারী বক্তি তাঁর শব্দের স্থলে ওর বলে যার কুরবানী তার নাম উচ্চারণ করবেন।

  • কোরবানির ইতিহাস ও ঈব্রাহিম (আ:) এর স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ মহান রবের সন্তুষ্ট লাভ করা

    কোরবানির ইতিহাস ও ঈব্রাহিম (আ:) এর স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ মহান রবের সন্তুষ্ট লাভ করা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ কক্সবাজার।

    কোরবানির ইতিহাস ও কোরবানি ইবাদত হিসেবে স্বীকৃত হওয়া যদিও হজরত আদম (আ.) এর যুগ থেকেই সাব্যস্ত। কিন্তু এর বিশেষ তাৎপর্য হজরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আ.) এর ঘটনা থেকে শুরু হয়েছে। প্রভু প্রেমের বিরল এ ঘটনার স্মরণার্থেই শরীয়তে মুহাম্মদিয়ায় কোরবানিকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করা হয়েছে।
    পৃথিবীর ইতিহাসে এ ঘটনা নজিরবিহীন ও শিক্ষণীয়। পবিত্র কোরআনে সূরা সাফ্ফাতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে কোরবানির বিষয়টি বোঝার একমাত্র উপায় শিক্ষণীয় ঘটনা হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর ঘটনা। কোরআন ও নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েত দ্বারা ঐতিহাসিক এ ঘটনার যতটুকু অংশ সাব্যস্ত তা বর্ণনা করা হচ্ছে।

    #হকের দাওয়াত:

    নবীদের পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন নবিওয়ালা দায়িত্ব ও হকের দাওয়াত শুরু করলেন তখন সর্ব প্রথম স্বীয় পিতা আযরকে অত্যন্ত আদবের সঙ্গে মূর্তি পূজা বর্জনের দাওয়াত দিলেন। কিন্তু তিনি এতো বেশিই ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন যে, অকথ্য নির্যাতন করা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরিশেষে ফলাফল এই দাড়াঁয় নিজের পূর্ব পুরুষের প্রতিমা পূজা ছেড়ে দেয়া এবং এক অদ্বিতীয় মহান আল্লাহর পথে আহ্বান করার কারণে আপন পিতাসহ সম্প্রদায়ের সবাই হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর বিরোধিতা করা শুরু করলো।

    #স্বজাতির শত্রুতা ও আগুনে নিক্ষেপ করা:

    জালেমরা এই মহান ব্যক্তিকে আগুনে নিক্ষেপ করে জালানোর জন্য এক হয়ে যায়। তারা যখন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করছিল তখন হজরত জিবরাঈল আমিন আসলেন এবং বললেন যে, আমার সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমি উপস্থিত তখন ইব্রাহিম (আ.) বললেন সাহায্য যদি আপনার পক্ষ থেকে হয় তাহলে প্রয়োজন নেই। যেই মহান সত্তার জন্য আমার এই অবস্থা হচ্ছে তিনি ‘আলিম, খাবির’। তিনি আমাকে দেখছেন তিনি আমার জন্য যা কিছু করবেন তাতে আমি সন্তুষ্ট আছি।

    #ইরাক থেকে হিজরত:

    আল্লাহ তায়ালা আগুনকে بردا وسلاما (অর্থাৎ ঠান্ডা ও আরামদায়ক) হওয়ার নির্দেশ দিলেন। মুহূর্তে আকাশচুম্বি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য বাগানে পরিণত হলো।

    হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর প্রকাশ্য মুজিযা দেখে ঈমান আনার পরিবর্তে শত্রুতা আরো প্রকট হলো। মা-বাবা, বংশ এবং মাতৃভূমি আল্লাহ তায়ালা থেকে বিমুখ হওয়ার কারণে সব কিছুকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তখন তিনি বললেন انى ذاهب الى ربى سيهدين (আমি আমার রবের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল তিনি আমাকে তাঁর প্রিয় জায়গার পথ দেখাবেন)। উদ্দেশ্য হলো আমি এমন এক জায়গায় যাব যেখানে প্রতিপালকের আহকাম সমূহ নির্দ্বিধায় পালন করা যাবে।

    হজরত লূত (আ.) যিনি তাঁর ওপর ঈমান এনেছেন তাকে নিয়ে স্বীয় মাতৃভূমি ইরাক ত্যাগ করলেন এবং ফিলিস্তিনের কেনয়ানে অবস্থান করলেন। ছিয়াশি বৎসর বয়সে নিজের মাতৃভূমি, মা-বাবা পরিবার-পরিজন সবাইকে আল্লাহ তায়ালার জন্য ছেড়ে দিয়ে অপরিচিত জায়গায় বন্ধু-বান্ধব ও সাহায্যকারী ছাড়া বসবাস করতে লাগলেন।

    #সন্তানের জন্য প্রার্থনা:

    সন্তান মহান আল্লাহর সেরা নেয়ামত। সন্তানের মাধ্যমেই বংশ পরম্পরা যুগ যুগ জিইয়ে থাকে পৃথিবীর বুকে। ধরণীর মাঝে আল্লাহর একাত্ম কায়েম রাখার মাধ্যমও বটে। হজরত ইব্রাহিম (আ.) এ দুরবস্থার সময় মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া করলেন,

    رب هب لى من الصالحين
    বঙ্গানুবাদ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নেককার সন্তান দান করুন।’ মহান আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন।

    ইসমাঈল (আ.) এর জন্মের সুসংবাদ:
    মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে সন্তানের সুসংবাদ এই শব্দের মাধ্যমে দেন,

    فبشرناه بغلم حليم
    বঙ্গানুবাদ : ‘আমি ইব্রাহিমকে সহনশীল সন্তানের সুসংবাদ দিলাম।’

    কোরআনের ইশারা ও হাদিসের দিক নির্দেশনা তার সাক্ষী যে غلم حليم দ্বারা হজরত ইসমাঈল (আ.) উদ্দেশ্য। হজরত ইসমাঈল (আ.) এর ব্যাপারে غلم حليم বলে তার বিশেষ গুণের দিকে ইশারা করা হয়েছে, কোরবানির সময় যার যথার্থতা প্রকাশ পেয়েছে। কেননা حليم অর্থ সহনশীল। যে কঠিন মসিবতের সময় বিচলিত হয় না।

    আহলে কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী ছিয়াশি বৎসর বয়সে হজরত ইসমাঈল (আ.) এর জন্ম হয়। আর এ সময় হজরত ইসমাঈল (আ.)-ই হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর প্রথম ও একমাত্র সন্তান ছিলেন। আহলে কিতাবের জবাইয়ের বর্ণনায় এসেছে, যে সন্তানকে জবাইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল সে একক ছিল। তাহলে তিনি শুধু মাত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-ই। আহলে কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ীই নিরানব্বই বৎসর বয়সে দ্বিতীয় সন্তান হজরত ইসহাক (আ.) এর জন্ম হয়।

    #ভালবাসার নির্মম পরীক্ষা:

    হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর বৃদ্ধ বয়সে অনেক দোয়া ও আকাক্সক্ষার পরে জন্ম নেয়া এক মাত্র সন্তান হজরত ইসমাঈল (আ.)। কে জানত! বহু সাধনা ও আকাক্সক্ষার পর জন্ম নেয়া এ সন্তান হজরত ইব্রাহিম (আ:) এর জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষার কারণ হবে?

    প্রথম পরীক্ষা এই ছিল, মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)-কে হুকুম দিলেন, আদরের সন্তান ও সম্মানিত স্ত্রী হাজেরা (আ.)-কে নিয়ে শাম থেকে হিজরত করে হিজাযের মধ্যবর্তি স্থান যা বালুময় ছিল যেখানে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোনো মানুষ, প্রাণী এমনকি গাছপালাও ছিল না সেখানে তাদের আবাস বানানোর। মহান আল্লাহর প্রিয় বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) বিন্দু মাত্র ভাবনা-চিন্তা ছাড়াই মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন করলেন। প্রিয় সন্তান ও প্রেয়সী হজরত হাজেরা (আ.)-কে ধ্বংসাত্মক মরুস্থানে রেখে যান। যা এক সময় তাদের মাধ্যমে ‘মক্কা মুকারমা’ ও ‘উম্মুল কোরা’ হিসেবে আবাদ হয়।

    শুধু এটুকুই নয়। এবার হুকুম আসল আরো কঠিন মা ও ছেলেকে এখানে রেখে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে শাম দেশে চলে যাওয়ার। মহান আল্লাহর বন্ধু ইব্রাহিম (আ.) এর ত্যাগ লক্ষ্য করুন, যে স্থানে এ হুকুম পান সে স্থান থেকেই শাম দেশে রওয়ানা শুরু করেন। এতটুকু সময়ও নষ্ট করেননি যে, হজরত হাজেরা (আ.) এর পাশে বসে একটু সান্তনা দেবেন। এ কথা বলে যাবেন যে, মহান আল্লাহর হুকুমেই এ বিচ্ছেদ।

    যখন হজরত হাজেরা (আ.) দেখলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.) ক্রমে দূরে চলে যাচ্ছেন, তখন তিনি সজোরে চিৎকার দিয়ে বললেন, আমাদেরকে এ ভয়ঙ্কর জঙ্গলে একা রেখে কোথায় চলে যাচ্ছেন? এ কথা শুনেও মহান আল্লাহর অকৃত্রিম বন্ধু ফিরে তাকাননি এক মুহূর্তের জন্য।

    অত:পর হজরত হাজেরা (আ.) এর মনে হলো, এ মহান ব্যক্তি মহান আল্লাহর হুকুম ছাড়া আমাদেরকে এ জঙ্গলে একা ফেলে চলে যেতে পারেন না। এবার হজরত হাজেরা (আ.) প্রশ্ন করলেন: মহান আল্লাহ কি আপনাকে এখান থেকে চলে যাওয়ার হুকুম দিয়েছেন?

    মহান আল্লাহর রাহে স্ববর্স বিলিয়ে দেয়া বন্ধু জবাব দিলেন,
    : হ্যাঁ।

    একথা শুনে মহিয়সী নারী হজরত হাজেরা (আ.) বললেন, যদি মহান আল্লাহর হুকুমে চলে যান তাহলে মহান রব আমাদের কোনো ক্ষতি করবেন না।

    এখন এ নির্জন মরু প্রান্তর যেখানে খাবার- পানি বলতে কিছুই নেই। প্রচন্ড গরমের উত্তাপ। সব ধরনের কষ্টের উপকরণ এখানে কিন্তু কে জানত, এ মরু প্রান্তর এক সময় পৃথিবীর সবচেয়ে দামী স্থানে পরিণত হবে? এ ঘটনা অনেক দীর্ঘ। কিভাবে হজরত হাজেরা (আ.) ও তার সন্তান এ নির্জন প্রান্তরে জীবন বাঁচায়? এ আলোচনায় না গিয়ে আমরা কোরবানির বিষয়ে আলোচনা শুরু করছি।

    যখন বালক ইসমাঈল বাবার সঙ্গে চলা-ফেরা করার ও বাবাকে সাহায্য করার উপযুক্ত হলো তখন ইব্রাহিম (আ.) তার ছেলেকে বলেন, হে আমার প্রিয় ছেলে! আমি স্বপ্নে দেখেছি, আমি তোমাকে জবাই করছি। এখন বলো, এ বিষয়ে তোমার কি মত? এ কথার উদ্দেশ্য ছিল যে, নবীদের স্বপ্নও ওহির মতো হয়। সুতরাং স্বপ্নে জবাই করা দেখা জবাইয়ের হুকুমের মতোই। এখন তুমি বলো, মহান আল্লাহর এ হুকুম পালনে তুমি কি প্রস্তুত?

    মহান আল্লাহর বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য মহান আল্লাহর নির্দেশের পর কারো সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন ছিল না। মহান আল্লাহর হুকুম পরামর্শের ওপর মওকুফও না কিন্তু এখানে ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো,

    প্রথমত: ছেলের ইচ্ছাশক্তি ও মহান আল্লাহর আনুগত্যের পরীক্ষা হয়ে যাবে।

    দ্বিতীয়ত: যদি সে আনুগত্য বেছে নেয় তাহলে সে সওয়াবের হকদার হবে। কেননা সওয়াবের ভিত্তি ইচ্ছা ও নিয়তের ওপর।

    তৃতীয়ত: জবাই করার সময় মানবিক ও পিতৃ স্নেহের দাবী হলো দুর্ভাবনার আশঙ্কা কোনোভাবে যেন সান্তনা হয়ে যায়।

    #রুহুল বয়ান
    উপর্যুক্ত আয়াতে এ শব্দগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যখন সে বাবার সঙ্গে চলার উপযুক্ত হলো। এ আয়াতে এ দিকে ইশারা পাওয়া যায় যে, এই সন্তান যাকে জবাই করার হুকুম দেয়া হচ্ছে, এমন নয় যে সে অবুঝ বরং সে চলাফেরা করতে পারে। বাবার কাজে সাহায্য-সহযোগিতাও করতে পারে। ঐতিহাসিক রেওয়াতের বর্ণনায় পাওয়া যায়, এ সময় হজরত ইসমাঈল (আ.) এর বয়স হয়েছিল নয় বছর।

    #রুহুল বয়ান
    ওই প্রেক্ষাপটে হজরত ইসমাঈল (আ.) কী পরিমাণ ধৈর্য ধারণ করেছিলেন, তা চিন্তা করাও দুস্কর।
    সম্মানিত বাবা মহান আল্লাহর বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। ছেলে বাবার স্বপ্ন শুনে বলেন, হে আমার বাবা! আপনাকে যে কাজের আদেশ দেয়া হয়েছে আপনি সে কাজ করেন। ইনশাল্লাহ! আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।

    এ ঘটনায় যেমনিভাবে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য বয়োবৃদ্ধে জন্ম নেয়া সন্তান কোরবানির মতো মারাত্মক পরীক্ষা অন্যদিকে ছেলে মহান আল্লাহর আনুগত্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করাও ছোট কোনো বিষয় নয় বরং মহান আল্লাহ এ পুরো পরিবারকে তাঁর অগণন পরীক্ষার জন্য বানিয়েছিলেন। এসব ঘটনাই এর প্রমাণ।

    এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, হজরত ইসমাঈল (আ.) এর আনুগত্য তো ঈর্ষণীয় পাশাপাশি হজরত ইসমাঈল (আ.) এর শব্দচয়ন শিক্ষণীয়। তিনি নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর ভরসা করেননি বরং মহান আল্লাহর ওপর ন্যস্ত করেছেন নিজের সর্বস্ব। হজরত ইসমাঈল (আ.) মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করার সময় বলেন, ইনশাআল্লাহ! তিনি এটাও বলেননি আমি ধৈর্যধারণ করবো বরং তিনি বলেছেন, আমাকে ধৈর্যশীলদের মাঝে পাবেন যা বিনয়ের সর্বোচ্চ চূড়া।

    ধৈর্য ও ধীরতার গুণ শুধু মাত্র আমার পূর্ণতা নয় বরং মহান আল্লাহর অগণন বান্দা ধৈর্যধারণকারী ছিলেন। আমিও তাদের অন্তর্গত। নিজেকে এমন সমর্পণ ও বিনয়ের বরকতে হিমালয়ের মতো মহা বিপদের ধাপগুলো পার হয়েছেন অত্যন্ত নিরাপদে।

  • দেশের কোনো কোনো এলাকায় কুরবানীর গোশত বণ্টনের একটি সমাজপ্রথা চালু আছে- হাফেজ মাওলানা দিদার বিন হাসান।

    দেশের কোনো কোনো এলাকায় কুরবানীর গোশত বণ্টনের একটি সমাজপ্রথা চালু আছে- হাফেজ মাওলানা দিদার বিন হাসান।

    কুরবানির মাসআলা।

    প্রশ্ন:
    দেশের কোনো কোনো এলাকায় কুরবানীর গোশত বণ্টনের একটি সমাজপ্রথা চালু আছে। এই সমাজের নিয়ম ‎হল, এলাকার যারা কুরবানী করেন, তাদের কুরবানীর গোশতের তিন ভাগের একভাগ বাধ্যতামূলকভাবে সমাজে জমা ‎করতে হয়। পরবতীর্তে এই গোশত নির্দিষ্ট সমাজভুক্ত সকল ব্যক্তিবর্গ, যারা কুরবানী করেছেন এবং যারা কুরবানী ‎করেননি সবার মধ্যে বণ্টন করা হয়। এরূপ বণ্টন কি শরীয়মসম্মত? এক্ষেত্রে করণীয় কী?‎

    #উত্তর: কুরবানীর গোশত বণ্টনের প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিটি আমাদের দেশের কোনো কোনো এলাকায় প্রচলিত একটি সমাজপ্রথা। ‎সাধারণ দৃষ্টিতে এটি একটি ভালো উদ্যোগ মনে হতে পারে; কিন্তু কোনো সামাজিক প্রথা বা রীতি পালন করার জন্য তা ‎শরীয়তের দৃষ্টিতে শুদ্ধ ও আমলযোগ্য কি না— তাও নিশ্চিত হতে হয়। ভালো নিয়ত থাকলেও শরীয়ত সমর্থন করে না ‎অথবা ইসলামের নীতির সাথে মানানসই নয় এমন কোনো কাজ করা বা এমন কোনো রীতি অনুসরণ করার সুযোগ ‎নেই।

    প্রশ্নোক্ত সমাজপ্রথাটিতে উদ্দেশ্য ভালো হলেও যে পদ্ধতিতে তা করা হয় এতে শরীয়তের দৃষ্টিতে মৌলিক কিছু আপত্তি ‎রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, সামাজিক এ প্রথার কারণে সকলেই তার কুরবানীর এক তৃতীয়াংশ গোশত সমাজের ‎লোকদের হাতে দিতে বাধ্য থাকে। এবং এর বিলি-বণ্টন ও গ্রহিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শুধু সমাজপতিদেরই হাত থাকে। ‎গোশত বণ্টনের ক্ষেত্রে এ বাধ্যবাধকতা শরীয়তসম্মত নয়। কেননা শরীয়তে কুরবানী ও গোশত বণ্টন একান্তই ‎কুরবানীদাতার নিজস্ব কাজ।
    ঈদের দিন সম্মিলিতভাবে জামাতে নামায আদায় করতে বলা হলেও কুরবানীর জন্য কত মূল্যের পশু কিনবে, সে পশু ‎কোথায় জবাই করবে, গোশত কীভাবে বণ্টন করবে-এ বিষয়গুলো কুরবানীদাতার ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ‎শরীয়তে কুরবানীর কিছু গোশত সদকা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরীব-দুঃখীদের কুরবানীর ‎গোশত দিতে তাকিদও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা কুরবানীদাতার উপর অপরিহার্য করা হয়নি। বরং কুরবানীদাতা কী ‎পরিমাণ গোশত নিজে রাখবে, কী পরিমাণ সদকা করবে এবং কাকে কাকে বিলি করবে আর কী পরিমাণ আগামীর ‎জন্য সংরক্ষণ করবে— এগুলো কুরবানীদাতার একান্তই নিজস্ব ব্যাপার এবং ব্যক্তিগতভাবে করার কাজ। এটিকে ‎সামাজিক নিয়মে নিয়ে আসা ঠিক নয়।

    তাই শরীয়তের মাসআলা জানা না থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গোশত বণ্টনের প্রশ্নোক্ত যে পদ্ধতি প্রচলিত ‎হয়েছে, তা পরিহারযোগ্য। নিম্নে সংক্ষেপে প্রশ্নোক্ত প্রথাটির কিছু ক্ষতির দিক উল্লেখ করা হল-
    ১. অনেক কুরবানীদাতার পরিবারের সদস্য-সংখ্যা বেশি হওয়ায় অথবা অন্য কোনো যৌক্তিক কারণে নিজ পরিবারের ‎জন্য বেশি গোশত রাখার প্রয়োজন হয়; ফলে সে পরিবারের জন্য বেশি গোশত রাখতে চায়। আবার অনেকে তার ‎কোনো দরিদ্র আত্মীয়কে কুরবানীর গোশত দিতে চায়। কিন্তু সামাজিক এই বাধ্যবাধকতার কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‎সামাজিক রীতি অনুযায়ী কুরবানীর এক তৃতীয়াংশ গোশত সমাজে দিতে বাধ্য হয়। অথচ হাদীস শরীফে ইরশাদ ‎হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    إِنَّهُ لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ‎.‎
    কোনো মুসলমানের সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল নয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৬৯৫)‎
    ২. প্রশ্নোক্ত প্রথায় গোশতদাতা তার দানের অংশটি কাকে দেবে সে স্বাধীনতা হারায়। হয়তো সে তার নিকটাত্মীয় অথবা ‎পরিচিত কাউকে একটু বেশি পরিমাণে দিত, কিন্তু এক্ষেত্রে তার জন্য এমনটি করার সুযোগ থাকে না।
    ৩. অনেক মানুষ এমন আছেন, যারা প্রত্যেকের হাদিয়া বা সদকা গ্রহণ করতে চান না। আর শরীয়তও কাউকে সকলের ‎হাদিয়া বা সদকা গ্রহণ করতে বাধ্য করেনি। কিন্তু সামাজিক এই রীতির কারণে গোশত গ্রহণকারী প্রত্যেকেই অন্য ‎সকলের হাদিয়া বা সদকা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। বলাবাহুল্য এ ধরনের ঐচ্ছিক বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা ‎মোটেই উচিত নয়।
    ৪. এ ধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপের আরেকটি ক্ষতির দিক হল, সমাজের কিছু মানুষ এমন থাকে, যাদের আয় ‎রোজগার হারাম পন্থায় হয়। সেক্ষেত্রে জেনে বুঝে তাদের কুরবানীর গোশত সমাজের সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া ‎হয়। অথচ হারাম উপার্জনের মাধ্যমে কুরবানীকৃত পশুর গোশত খাওয়া জায়েয নয়।
    মোটকথা, শরীয়তের শিক্ষা মোতাবেক প্রত্যেককে তার কুরবানীর অংশ দান করার বিষয়ে স্বাধীন রাখতে হবে। প্রশ্নোক্ত ‎পদ্ধতিতে বা অন্য কোনোভাবে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যাবে না। কুরবানীদাতা নিজ দায়িত্ব ও বিবেচনা মতো যাকে ‎যে পরিমাণ হাদিয়া করতে চায় করবে এবং গরীব-মিসকীনকে যে পরিমাণ সদকা করতে চায় করবে। রাসূলুল্লাহ ‎সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় থেকে শত শত বছর যাবৎ এ পদ্ধতিই চলমান আছে। এই পদ্ধতিই অবলম্বন ‎করা জরুরি। শরীয়ত যা চালু করতে বলেনি এমন কোনো প্রথা চালু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

    সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭২; জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫১০; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ‎৬/৪৮২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৭৩; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৭৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০; রদ্দুল মুহতার ‎৬/৩২৮