Blog

  • জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসায় গভীর রাতে ভাংচুর ও সন্ত্রাসী হামলাসহ মুহতামিমকে জোরপূর্বক ইস্তফা নামায় স্বাক্ষর করালেন আব্দুর রহিম গ্রেফতার

    জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসায় গভীর রাতে ভাংচুর ও সন্ত্রাসী হামলাসহ মুহতামিমকে জোরপূর্বক ইস্তফা নামায় স্বাক্ষর করালেন আব্দুর রহিম গ্রেফতার

    ছগির চৌধুরীর প্রতিবেদন।

    মূল নায়ক: আবদুর রহীম ওরফে রাজন ওরফে জ.ঙ্গি আবদুর রহীম ও ভূমিদস্যু রাজন। পটিয়ার বিভিন্ন গভীর পাহাড়ে ট্রেডিং পরিচালনা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অভিযোগে অতীতে গ্রেফতারও হয়েছিল। পরবর্তীতে নিজের জ.ঙ্গিপনা লোকাতে স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে এবং নিজস্ব একটা বলয় গড়ে তুলে।

    তার রয়েছে নিজস্ব বাহিনী, যার অত্যাচারে এলাকাবাসী ভীষণ ক্ষুব্ধ। কবরস্থান, মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তি ও দুর্বল মানুষের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করে। এজন্য এলাকাবাসী তাকে ভূমিদস্যু হিসেবে চেনে। মানহাজী ও সন্ত্রাসীদের সাথে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আর দ্বিচরিত্রের মানহাজীরাও তাদের ভাষায় কাগজে কলমে তা.গু.তি হিসেবে ধর্তব্য ব্যক্তিরই সাহায্য নিয়ে পটিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

    কিন্তু তারা ভুল জায়গায় হাত দিয়েছে। এটা একটা সুশৃঙ্খলা, আদব ও আখলাকের প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনো উশৃঙ্খল, বেয়াদব ও বদমায়েশের স্থান নেই। গতকালের আবনায়ে জামেয়ার সভায় সবাই একবাক্যে বলেছেন যে, মানহাজিদের কবর রচনা হবে পটিয়া মাদরাসা থেকেই। ইনশাআল্লাহ। এটাই শেষ ঘটনা, তাদের এমন সাজা দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত না করতে পারে। সারাদেশের ওলামায়ে কেরাম এটাকে সন্ত্রাসী কলাপ আখ্যায়িত করেছেন। সুতরাং এরা সন্ত্রাসী।

  • চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের সাথে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সৌজন্যে সাক্ষাৎ

    চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের সাথে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সৌজন্যে সাক্ষাৎ

    নিউজ ডেস্ক

    বে-টার্মিনাল এবং ওয়াসার প্রকল্পসহ চট্টগ্রামে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে আলোচনা করেছে বিশ্বব্যাংকের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক (Abdoulaye Seck), অপারেশনস ম্যানেজার গেইল মার্টিন (Gayle Martin), প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনের দিলসাদ দোসসানি (Dilshad Dossan), সিনিয়র ট্রান্সেপোর্ট স্পেশালিস্ট চেইক ডিয়াল্লো (Cheick Diallo)। সভায় মেয়র মোঃ রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন। ইতোমধ্যে কর্ণফুলী তলদেশের টানেল চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউনে’ পরিণত করবে।

    বে-টার্মিনাল সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে লজিস্টিক্স খাতে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে যার জন্য বে-টার্মিনাল প্রকল্পকে সফলভাবে সমাপ্ত করতে হবে। বে-টার্মিনাল চালু হলে শুধু বাংলাদেশ নয় বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাব। তবে, বে-টার্মিনাল হলে শহরে যে গাড়ির চাপ বাড়বে সে ব্যাপারেও প্রস্তুতি প্রয়োজন। জবাবে মেয়র রেজাউল বলেন, টানেল ও বে-টার্মিনালের গাড়ির চাপের বিষয়টি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পুরো শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছেন। চট্টগ্রামের অবকাঠামো খাতের ব্যাপক বিনিয়োগ শিল্পায়ন বাড়াবে, সমৃদ্ধ করবে বৈদেশিক মুদ্রার আয়, কমাবে বেকারত্ব।
    এসময় বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলটি ওয়াসার সুপেয় পানি ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে গৃহিত প্রকল্পে চসিকের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। চট্টগ্রামের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে পরিকল্পনাসহ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও সভায় আলোচনা হয়।

    সভায় অংশ নেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান (০১.১১.২০২৩)।

  • জামিয়া পটিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রামুতে আঞ্চলিক ইত্তেহাদুল মাদারিসের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

    জামিয়া পটিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রামুতে আঞ্চলিক ইত্তেহাদুল মাদারিসের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি- ২৯ অক্টোবর-২০২৩ ইং

    দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র আল-জামিয়া আল- ইসলামিয়া পটিয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা পরিচালিত ধ্বংসযজ্ঞ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছে ইত্তেহাদুল মাদারিস ঈদগাঁও, রামু-কক্সবাজার সদর (কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আঞ্চলিক শাখা)। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আয়োজিত সংগঠনের জরুরি সভা থেকে এ নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।
    রবিবার (২৯ অক্টোবর ) বাদ আছর রামু চাকমারকুল জামিয়া দারুল উলুম অফিস কক্ষে জামিয়া দারুল উলুম চাকমারকুল এর মুহতামিম ও আঞ্চলিক বোর্ডের সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম ও ইত্তেহাদুল মাদারিস ঈদগাঁও, রামু- কক্সবাজার সদর এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ মোহছেন শরীফ।

    সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে মুখোশধারী সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র আল-জামিয়া আল- ইসলামিয়া পটিয়ায় মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও চরম নিন্দনীয়। প্রখ্যাত বুযুর্গ মনীষী আল্লামা মুফতি আজিজুল হক সাহেব রহ. এর তাকওয়া ও ইখলাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত উপমহাদেশের এই বহুল সমাদৃত দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্রে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এভাবে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা জামিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন এবং আমাদের আকাবির ও আসলাফের সম্পূর্ণ নীতি ও আদর্শ বিরোধী । এতে করে মাকবূল ও স্বনামধন্য এ মারকাযী দ্বীনি শিক্ষাঙ্গনের সুনাম ও মর্যাদা চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে । যা এদারার ফাজেলানসহ লক্ষ লক্ষ শুভাকাঙ্ক্ষীদের হৃদয়কে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
    আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি জামেয়ার সুযোগ্য মুহতামিম, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল, তাহফিজুল কুরআন সংস্থা বাংলাদেশের মাহাসচিব মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বৈধ শুরা কর্তৃক তাঁর ওপর অর্পিত জামিয়া পরিচালনার দায়িত্বকে সবধরনের ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা মুক্ত করণে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ওলামায়ে কেরামের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন, ধাউনখালী মাদ্রাসার মুহতামিম ও জেলার প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা মোহাম্মদ মুসলিম, হ্নীলা জামিয়া দারুচ্ছুন্নাহর পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী, জামিয়া এমদাদিয়া আজিজুল উলুম পোকখালীর মুহতামিম মাওলানা আজিজ উদ্দিন, কক্সবাজার রহমানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি সোলাইমান কাসেমী, রামু মাজহারুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ হারুন, খুরুশকুল তালিমুদ্দিন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা এমদাদুল্লাহ, ঈদগাঁও বোয়ালখালী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নুরুল হাকিম, লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচাালক মাওলানা মুহাম্মদ আলী , রামু জামেয়াতুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ শামসুল হক , ধলিরছড়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শাহেদ নুর কুতুবি, নাইক্ষ্যংছড়ি মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

    এছাড়াও মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক, মাওলানা আব্দুচ সত্তার, মাওলানা রিদওয়ানুল কাদির, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ দেলাওয়ার হোছাইন, মাওলানা ছৈয়দ নুর, মাওলানা নুর মুহাম্মদ, মাওলানা ইকবাল তাওহীদি, মাওলানা কফিল উদ্দিনসহ সদর রামু, ঈদগাঁও, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • উখিয়া ব্লাড ডোনেশন ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত ৬৪ জেলা স্বেচ্ছাসেবীদের ৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও মিলন মেলা

    উখিয়া ব্লাড ডোনেশন ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত ৬৪ জেলা স্বেচ্ছাসেবীদের ৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও মিলন মেলা

    কজল আইচ, উখিয়া।

    রক্তদানে বাঁচবে প্রাণ করবো মোরা রক্ত দান, এই স্লোগান বুকে ধরন করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ব্লাড ডোনেশন ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের ৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও ৬৪ জেলা স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    অদ্য শনিবার ২৮ অক্টোবর- ২০২৩ খ্রিঃ সকালে উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে উখিয়া উপজেলায় ব্লাড ডোনেশন ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের ৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও ৬৪ জেলা স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা শুভ উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র সংগঠনের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। এর পূর্বে অনুষ্ঠান সভা হতে দক্ষিণ ষ্টেশন র‍্যালীতে প্রদর্শন করেছেন নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একঝাঁক ব্লাড ডোনেশন ইউনিট টিম স্বেচ্ছাসেবী।

    উক্ত আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মাদ আনোয়ার, উখিয়া থানা এস আই বরকত, ডা. কৃরণ, উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ব্লাড ডোনেশন ইউনিট উপদেষ্টা মন্ডলি সরওয়ার কামাল পাশা, আব্দুল খালেদ, সরওয়ার আলম আলম শাহীন, মীর কাশেম, ওবায়দুল হক চৌধুরী সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

    শেষে অতিথিবৃন্দদের মাঝে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করে ক্রেস্ট প্রদান করেন অত্র ব্লাড ডোনেশন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

  • চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। উদ্বোধন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। অদ্য শনিবারববেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে গর্বের এই স্থাপনার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টানেল দিয়ে কর্ণফুলী উপজেলার কেইপিজেড মাঠে গিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান মন্ত্রীর গাড়ি বহর টানেল পার হন এবং প্রথম টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্ৰীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক বলয়ের আরেক স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করলেন। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম হয়ে মহেশখালী, টেকনাফ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এক অর্থনৈতিক বলয় গড়ে তুলছে।

    জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর দুই তীর সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেলটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

    নির্মাণের আগে করা সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানেল চালুর পর এর ভেতর দিয়ে বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারবে। সে হিসাবে দিনে চলতে পারবে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি। ২০২৫ সাল নাগাদ টানেল দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। যার মধ্যে অর্ধেক থাকবে পণ্যবাহী পরিবহন। ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সাল নাগাদ এক লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে।

    টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে চার হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে চীন সরকার। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ হারে ২০ বছর মেয়াদি এ ঋণ দিয়েছে। চীনের কমিউনিকেশন ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) টানেল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

  • বান্দরবানে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন টানেল শুভ উদ্বোধন করেন- বীর বাহাদুর উশৈসিং

    বান্দরবানে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন টানেল শুভ উদ্বোধন করেন- বীর বাহাদুর উশৈসিং

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর বান্দরবানের বর্তমান বাসস্ট্যান্ড হয়ে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হাফেজঘোনা যাওয়ার পথে পাহাড়ি সড়কে নির্মিত ৫০০ ফুট আধুনিক বাস টার্মিনাল টানেলের উদ্বোধন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

    ২৭অক্টোবর-২০২৩ খ্রিঃ সকালে বান্দরবান বাসস্টেশন এলাকায় টানেলের উদ্বোধন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, বান্দরবান ইউনিটের বাস্তবায়নে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই টানেলটি। টানেলের উদ্বোধনের ফলে বর্তমান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজট কমে আসবে এবং কাটা পাহাড় এলাকাটিতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধের শঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।

    এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাসস্টেশনের এই সড়কের দুই পাশেই পাহাড়। প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড় ধসে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। এই পাহাড় ধসের কারণে সাইড ওয়াল দিতে গিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণের ফলে চারপাশ থেকে যেমন পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে পাশাপাশি পর্যটন নগরী বান্দরবানে আগত পর্যটকদের যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে। এছাড়া এটি দর্শনীয় স্থান হবে। আগামীতে টানেলের অভ্যন্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ওয়াল পেইন্টিং করার পরিকল্পনার কথাও জানান মন্ত্রী।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন সময়ের পাহাড় ধসের কারণে টানেলটি নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। তবে নানা কৌশল অবলম্বন করে পাহাড় ধস ঠেকিয়ে অবশেষে টানেলটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলের পর এটিই বাংলাদেশে সড়কপথের অন্যতম টানেল, যা এলাকার পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল করবে।

    এর আগে মন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে রুমা বাসস্টেশনের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পে ৮ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিএইচডিসি স্পোর্টস সেন্টার নির্মাণ, ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ রেস্টহাউস জামে মসজিদের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ, ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান পৌর এলাকার উজানী পাড়া ৫নং ওয়ার্ডের বায়তুন নূর জামে মসজিদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ, ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান সদর ইউনিয়নের লেমুঝিড়ি জ্ঞান দর্শন আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনাকেন্দ্র নির্মাণ, ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান ঠিকাদারকল্যাণ সমিতির ভবন নির্মাণ, ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান কারাতে ক্লাব নির্মাণ, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেঘলা জুনিয়র হাই স্কুল নির্মাণ, ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ রাস্তা হতে কমিউনিটি সেন্টার সংযোগ সড়কে ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ, ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চত্বরে একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ, ১ কোটি টাকা ব্যয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শুভ উদ্বোধন করেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মী পদ দাশ, পৌরসভার মেয়র সামসুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।

  • অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন,আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম

    অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন,আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    আন্দরকিল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
    বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থার প্রর্বতনের দাবিতে আজ ২৭ অক্টোবর ২০২৩ (শুক্রবার) বাদ জুমা, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলমের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী আলহাজ¦ আল মুহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সদস্য, আলহাজ¦ আবুল কাশেম মাতাব্বর, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল বারী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতী ইমদাদুল্লাহ কাবীর ভূঁইয়া, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, নগর কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল আলম চৌধুরী শরীফ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারী মাওলানা মাসুদ আল হাবিবী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের জনগণ স্বধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং মৌলিক অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করার কারণে জাতি আজ স্বাধীনতার সুফল থেকে চরমভাবে বঞ্চিত। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি, শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতি, অধিকার হরণ ও চরম জুুলুম-অত্যাচারে মানুষ আজ দিশেহারা, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটারাধিকার থেকে বঞ্চিত। বিগত জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনেও এ অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার যা করেছে, তাতে স্বাধীনতার মর্ম বিচ্যুত হয়েছে। তাই, চট্টগ্রামবাসী ভোটাধিকার আদায়ের সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের মতো আগামী ০৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মানুষের ভোটারাধিকার আদায়ের সমাবেশ সফল করার আহব্বান জানান।

  • নতুন কৌশলে শীর্ষ বালি কেখো উখিয়ার হরিণমারা এলাকার শীর্ষ চিহ্নত বালি কেখো তাকিয়ার নেতৃত্বে বালি উত্তোলন অব্যাহত

    নতুন কৌশলে শীর্ষ বালি কেখো উখিয়ার হরিণমারা এলাকার শীর্ষ চিহ্নত বালি কেখো তাকিয়ার নেতৃত্বে বালি উত্তোলন অব্যাহত

    নিউজ ডেস্ক

    নতুন কৌশলে শীর্ষ বালি কেখো উখিয়ার হরিণমারা এলাকার শীর্ষ চিহ্নত বালি কেখো তাকিয়ার নেতৃত্বে বালি উত্তোলন অব্যাহত।

    উখিয়া বন রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের দক্ষিণ হরিণ মারা এলাকার সরকারি বনাঞ্চল থেকে খালকাছা পাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে এলাকার চিহ্নিত বালি কেখো তাকিয়া স্থানীয় বন বিভাগকে বৃদ্ধঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে দিবারাত্রি সরকারি বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে ডাম্পার যোগে পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ রহস্য জনক কারনে রয়েছে নিরব ভূমিকায়।

    স্থানীয় পরিবেশ বিদরা বলেন, চিহ্নিত বালি কেখো তাকিয়া স্থানীয় দোছড়ি বনবিট অফিসকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে সরকারি বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য। লাভবান হচ্ছে বন কর্মকর্তারা।

    দোছড়ি বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, সরকারি বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত তাকিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

    সূত্রঃ উখিয়া ক্রাইম টিভি।

  • বাংলাদেশের দিকে ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। সমুদ্র বন্দর গুলোকে ৪ নম্বর হুশিয়ার সংকেত জারি করেছে বিএমডি

    বাংলাদেশের দিকে ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। সমুদ্র বন্দর গুলোকে ৪ নম্বর হুশিয়ার সংকেত জারি করেছে বিএমডি

    তালহা চৌধুরী রুদ্র।চট্টগ্রাম।

    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে অতি স্বল্প সময়ের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
    সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়ার ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্ন চাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

    এটি আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

    এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

  • ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাথে ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী ও উলামায়েকেরামসহ সৌজন্যে সাক্ষাৎ

    ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাথে ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী ও উলামায়েকেরামসহ সৌজন্যে সাক্ষাৎ

    নিউজ ডেস্ক

    সহানুভূতি ও সহমর্মিতা জানাতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাথে ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী এমপি’র নেতৃত্বে আলেম-ওলামাদের সাক্ষাৎ

    দখলদার ইসরায়েলের হাতে নির্যাতিত-নিপীড়িত ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা এবং দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি একাত্মতা জানাতে ২৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর নেতৃত্বে বিভিন্ন মাদ্রাসার মোহতামিমসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা ঢাকাস্থ ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা কূটনীতিক কোরের ডীন মি. ইউসুফ এস.ওয়াই রামাদানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ইসরায়েলিদের নারকীয় তাণ্ডবে যারা নিহত হয়েছেন তাদের শাহাদাত কবুল এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া ও মোনাজাত করেন। সেইসাথে ফিলিস্তিনি সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।