Blog

  • চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা।।উখিয়াভয়েস২৪ ডটকম

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা।।উখিয়াভয়েস২৪ ডটকম

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৪র্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে ভোট গ্রহণ। এতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণায় দোয়াত কলম প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম।

    ৫ জুন (বুধবার) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয় বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের সার্বিক তৎপরতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত যথারীতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে উপজেলা প্রশাসন হলরুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।ঘোষণাকৃত ফলাফলে (দোয়াত কলম) প্রতীকে ৬১ হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন খোরশেদ আলম।

    তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরানুল হক (আনারস) প্রতীক পেয়েছে ২১ হাজার ৯৭৯ ভোট, শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী (ঘোড়া) প্রতীকে পেয়েছে ১২শ, ৬৯ ভোট, জাহেদুল হক চৌধুরী মার্শাল (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছে ৩৭৬ভোট।অপরদিকে মোহাম্মদ হুসাইন (বই) প্রতীকে ২১ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী

    মোঃ আক্তার হোসেন (তালা প্রতীকে পেয়েছে ১৬ হাজার ২৬৭ ভোট, আরিফুজ্জমান (চশমা) প্রতীকে পেয়েছে ১৬ হাজার ১৮৩ ভোট, এম. এ মালেক মানিক (উড়োজাহাজ) প্রতীকে পেয়েছে ৫,০২৯ ভোট, আরিফুর রহমান সুজন (টিয়া পাখি) প্রতীকে পেয়েছে৮,১৮৮ ভোট, মোঃ ওসমান গণী (মাইক) প্রতীকে পেয়েছে ১০ হাজার ২৭০ ভোট, ইমরুল হক চৌধুরী ফাহিম টিউবওয়েল প্রতীক পেয়েছে ৬০৭৯ ভোট।

    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে
    নুরীমন (ফুটবল) প্রতীকে ৪৫ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন,
    তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রেহেনা আক্তার কাজেমী (কলস) প্রতীকে পেয়েছে ১৯ হাজার ৫৬০ ভোট, ইয়ামুন নাহার (প্রজাপতি) প্রতীকে পেয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৮ ভোট।বাঁশখালী ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৭৬ হাজার ৯০৪জন। তন্মধ্যে সর্বমোট রেকর্ড হয়েছে ৮৭ হাজার ২০৬ ভোট।

    ফলাফল ঘোষণা করেন, উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জেসমিন আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভুমি আব্দুল খালেক পাটোয়ারী, কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক,সমবায় কর্মকর্তা গাজী ওমর ফারুক, প্রকল্প বাস্তবায়ন উপ-সহকারী প্রকৌশল লিফটন সহ বিভিন্ন প্রিন্টস এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রশ্ন প্রচলিত জমি বন্দক জায়েজ হবে?- মাওলানা হাফেজ দিদার বিন হাসান সাহেব।

    প্রশ্ন প্রচলিত জমি বন্দক জায়েজ হবে?- মাওলানা হাফেজ দিদার বিন হাসান সাহেব।

    দিদার বিন হাসান,খতিব ফলিয়াপাড়া জামে মসজিদ।

    উত্তর

    وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

    بسم الله الرحمن الرحيم

    উক্ত চুক্তিটি জায়েজ হবার দু’টি সূরত রয়েছে। এ দু’টি সূরত অনুসরণ করলে এ চুক্তি জায়েজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

    ১ম সূরত

    যিনি জমীন নিবেন তিনি এ হিসেবে চুক্তি করবেন যে, তিনি জমিটি ভাড়া নিচ্ছেন। নামমাত্র কিছু মূল্য মাসিক ভাড়া হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিবে। যেমন ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা। আর অগ্রিম ভাড়া হিসেবে প্রদান করবে ১/২ লাখ টাকা।

    তারপর যেদিন জমিনটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন আগের নির্ধারণকৃত নামমাত্র ভাড়ার টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দেবে জমিনটি ভোগদখলকারী তথা জমির ভাড়াটিয়াকে।

    যেমন-

    আব্দুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আব্দুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আব্দুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

    এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে ভাড়া দিবে। মাসিক ভাড়া নির্দিষ্ট করে নিল কথার কথা ৫০ টাকা। যতদিন আব্দুর রহমান জমিটি রাখবে ততদিন মাসিক ৫০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করবে। মাসিক ভাড়া অগ্রিম হিসেবে আব্দুর রহমান ৫ লাখ আব্দুল্লাহকে দিয়ে দিবে। ফলে জমিটির ভাড়াটিয়া হিসেবে আব্দুর রহমান ভোগদখল করতে থাকবে। আর আব্দুল্লাহ টাকাটি খরচ করতে পারবে।

    তারপর যেদিন আব্দুল্লাহ তার জমিটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন বিগত দিনের মাসিক ভাড়া বাদ দিয়ে বাকি টাকা প্রদান করে জমিটি ফেরত নিয়ে নেবে। কথার কথা যদি ৫ মাস পর ফেরত নিতে চায়, তাহলে ৫ মাসের ভাড়া ২৫০ টাকা রেখে বাকি এক লাখ নিরান্নব্বই হাজার সাতশত পঞ্চাশ টাকা প্রদান করে আব্দুল্লাহ সাহেব তার জমিটি ফেরত নিয়ে নিবেন। {জাদীদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/১৪৭-১৪৮, মালে হারাম আওর উসকে মাসারেফ ওয়া আহকাম-৮৫}

    وَأَمَّا زَكَاةُ الْأُجْرَةِ الْمُعَجَّلَةِ عَنْ سِنِينَ فِي الْإِجَارَةِ الطَّوِيلَةِ الَّتِي يَفْعَلُهَا بَعْضُ النَّاسِ عُقُودًا وَيَشْتَرِطُونَ الْخِيَارَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي رَأْسِ كُلِّ شَهْرٍ فَتَجِبُ عَلَى الْآجِرِ لِأَنَّهُ مَلَكَهَا بِالْقَبْضِ وَعِنْدَ الِانْفِسَاخِ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ رَدُّ عَيْنِ الْمَقْبُوضِ بَلْ قَدْرُهُ فَكَانَ كَدَيْنٍ لَحِقَهُ بَعْدَ الْحَوْلِ (فتح القدير- كتاب الزكاة، 2/174)

    ২য় সূরত

    দু’টি চুক্তি সম্পাদন করবে। প্রথমে ক্রয় বিক্রয় চুক্তি। তারপর আলাদা আরেকটি চুক্তি নামায় যেদিন টাকা পরিশোধ করতে পারবে সেদিন জমিটি প্রথম জমির মালিক ক্রয় নিয়ে নিয়ে যাবে আর বর্তমান মালিক তা বিক্রি করে দিবে মর্মে চুক্তি সম্পাদিত করবে।

    যেমন-

    আব্দুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আব্দুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আব্দুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

    এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ তার জমিটি ৫ লাখ টাকায় আব্দুর রহমানের কাছে বিক্রি করে টাকা গ্রহণ করে নিবে। এভাবে আব্দুল্লাহ টাকার মালিক ও আব্দুর রহমান জমিটির ভোগ দখলের মালিক হয়ে যাবে।

    তারপর ভিন্ন আরেকটি চুক্তি সম্পাদন করবে। যাতে লিখবে যে, যেদিন আব্দুল্লাহ ৫ লাখ টাকা দিতে পারবে, সেদিন আব্দুর রহমান জমিটি আব্দুল্লাহের কাছে ৫ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিবে।

    এভাবে ভিন্ন দু’টি চুক্তি সম্পাদিত করলে টাকা খরচ করা এবং জমিটি ভোগ দখলের মাঝে অবৈধতার কোন কিছুই বাকি থাকবে না।

    لو ذكرا البيع بلا شرط ثم ذكرا الشرط على وجه العقد جاز البيع ولزم الوفاء بالوعد، إذ المواعيد قد تكون لازمة فيجعل لازما لحاجة الناس تبايعا بلا ذكر شرط الوفاء ثم شرطاه يكون بيع الوفاء؛ (رد المحتار، كتاب البيوع، مطلب فى البيع بشرط فاسد-7/281، 547، البحر الرائق، كتاب البيوع، باب خيار الشرط-6/8)

     

    والله اعلم بالصواب

  • বাঁশখালীর শেখেরখীলে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই

    বাঁশখালীর শেখেরখীলে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয় দোকান পুড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষাধিক বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ৩টার দিকে উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের শেখেরখীল সরকার বাজার আশরাফ আলী মার্কেটে (তাহারু বাপের মার্কেট) এ অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- ফজল কাদেরের মুদির দোকান, ইসমাইলের মুদির দোকান, নুর হোসেন’র হোমিওপ্যাথিকের দোকান, নুরুল কবিরের চায়ের দোকান, মহি উদ্দিনের ফার্মেসি ও একটি সেলুনের দোকান।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডা. মাহাবুব এলাহী বলেন, গত রাত তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়টি দোকানের সবকিছুই পুড়ে যায়।

    বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধাঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ইসমাইলের মুদির দোকানে কয়েলের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার নুরুল বাশার বলেন, ‘শেখেরখীল সরকার বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছি। আধাঘণ্টার মধ্যে পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এতে ছয়টি দোকান পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

  • আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই- আবুল মনছুর চৌধুরী।

    আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই- আবুল মনছুর চৌধুরী।

    প্রিয় উখিয়া উপজেলাবাসী, আসসালামু আলাইকুম।

    আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ছাত্রাবস্থা থেকে আমি রাজনীতিতে জড়িয়েছিলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে। ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ে বড় দায়িত্বে ছিলাম। এরপর আমার নিজ উপজেলায় আওয়ামীলীগের কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছি সততার সাথে। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ক্যারিয়ারে আমি শপথ করে বলতে পারবো, আমি আমার জনগণের; নাগরিকের; গরীব-দুঃখী মেহনতী মানুষের হক নষ্ট করিনি। জুলুম করিনি। অন্যায় করিনি। আমি আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি সারাজীবন শ্রদ্ধা পোষণ করে এসেছি। কিন্তু উখিয়া উপজেলার রাজনীতি একটা নিদিষ্ট পরিবারের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে। তাদের এই প্রভাব বলয়ের ভিতরে অন্য কোন নেতাকর্মীদের জায়গা হয় না। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়েছে ওই একটা পরিবার। ক্ষমতার লোভ মানুষকে কতটা অন্ধ করে দিতে পারে এটা আপনারা সবাই বিগত ১৫ বছর ধরে দেখে আসছেন। নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি আপনাদের এইটুকু আশ্বাস দিতে পারি; আমি আপনাদের জন্য কাজ করবো। আপনাদের হয়েই কথা বলবো। যেমনটা আগেও করে আসছি। আমি শপথ করে বলতে পারবো, জীবনে হারাম, অবৈধ কোন আয়-উপার্জন করিনি। আমার ছেলে-মেয়েদেরও এই শিক্ষা দিয়েই বড় করেছি। আপনাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কিছু করতে চাই না। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে মোটরসাইকেল মার্কায় আপনাদের মুল্যবান ভোট টি প্রদান করে আমাকে জয়যুক্ত করুন। আমাকে জয়যুক্ত করা মানেই আপনারাই জয়ী হওয়া। আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।

    বিনীত নিবেদক: আবুল মনসুর চৌধুরীউ, খিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

  • জিয়ারতে মদীনা- মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    জিয়ারতে মদীনা- মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    জিয়ারতে মদীনা।

    ————————————————————–

    প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজ হাতে গড়া মদিনার অন্যতম স্থাপনা মসজিদে নববি। এ মসজিদের মর্যাদা ও জিয়ারতে রয়েছে অনেক ফজিলত। তবে যে কোনো জিনিসের মর্যাদা ও ফজিলতের জন্য নিয়তের পরিশুদ্ধতা আবশ্যক। মসজিদে নববির জিয়ারতে ফজিলত লাভের ক্ষেত্রেও নিয়তের আবশ্যকতা অপরিহার্য।

    হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও (সাওয়াবের আশায়) সফর করাই বৈধ নয়। আর তাহলো-
    মসজিদুল হারাম তথা পবিত্র মক্কা নগরির কাবা শরিফ।
    আমার এ মসজিদ তথা মদিনার মসজিদে নববি এবং
    মসজিদুল আকসা তথা মুসলমানদের প্রথম কেবলা ও অসংখ্য আম্বিয়া কেরামের পদধূলিতে ধন্য বাইতুল মুকাদ্দাস।

    মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
    ‘অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার ওপর, প্রথম দিন থেকে তার বেশি হকদার যে, তুমি সেখানে সালাত কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’(সুরা তওবা : আয়াত ১০৮)

    অন্য দিকে মদিনার মসজিদে নববির জিয়ারত ও ফজিলত লাভের ব্যাপারে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে আমার এ মসজিদে শুধুমাত্র কোনো কল্যাণ শেখার জন্য কিংবা শেখানোর জন্য আসবে, তার মর্যাদা হবে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।
    আর যে অন্য কোনো উদ্দেশে আসবে, তার অবস্থা হবে ওই ব্যক্তির মতো, যে অন্যের মাল-সামগ্রীর প্রতি তাকায়। (ইবনে মাজাহ)

    সুতরাং মদিনার মসজিদে নববির জিয়ারাতের নিয়তে থাকতে হবে পরিশুদ্ধতা। উদ্দেশ্য থাকবে শুধু কল্যাণ লাভ করা। যার সুসংবাদ দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

    হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করনে, ‘যে ব্যক্তি শুধুমাত্র কল্যাণ শেখা বা শেখানোর উদ্দেশে মসজিদে (নববিতে) আসবে, তার জন্য পূর্ণ এক হজের সওয়াব লেখা হবে।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘আমার ঘর (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘর) ও তার মিম্বরের মাঝখানের জায়গা টুকুকে (রওজাতুম মিন রিয়াজিল জান্নাহ) জান্নাতের অন্যতম উদ্যান বলা হয়। (বুখারি ও মুসলিম)

    আর এ কারণেই মদিনার মসজিদে নববি মর্যাদা এতবেশি। আর এ মসজিদে ইবাদাত বন্দেগিতে রয়েছে অনেক ফজিলত। যা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (বুখারি ও মুসলিম)

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এতে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়লে এক হাজার নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়।’

    সুতরাং হাদিসের তথ্য অনুযায়ী মসজিদে নববিতে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা অন্য মসজিদে ৬ মাস ২০ দিন নামাজ পড়ার সমতুল্য।

    তবে এ জন্য শর্ত হলো মসজিদে নববির জিয়ারত ও ফজিলত লাভে নিজেদের নিয়তকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। লোক দেখানো কিংবা খ্যাতি ছড়ানোর কোনো মানসিকতা না থাকাই শ্রেয়। তবেই সম্ভব হবে সফলতা লাভ করা।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হৃদয়ের সর্বোচ্চ আবেগ ও অনুভূতির সঙ্গে পবিত্র এ স্থান জিয়ারতের তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • জেলে বন্দি ছেলের মুখ দেখা হলো না মায়ের, অঝোরে কাদলেন জসিম

    জেলে বন্দি ছেলের মুখ দেখা হলো না মায়ের, অঝোরে কাদলেন জসিম

    চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।

    বৃদ্ধা রোকেয়া বেগমের একমাত্র সম্বল ছেলে মোঃ লিটন জেলেবন্দি। তার স্বামী মোঃ সফি মারা গেছেন প্রায় ৩ বছর আগে। প্রতিবেশীদের ভাষ্য, মায়ের নয়নের মণি ছিল লিটন। মাকে রেখে লিটন কোথাও গিয়ে রাত কাটাতেন না। অথচ পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী দুর্নীতি দমন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ মৃত্যুতে তার স্ত্রীর করা মামলায় সেই ছেলে মায়ের চোখের আড়াল ৯৮ দিন। এ কারণে সারাক্ষণ বৃদ্ধা মায়ের চোখের কোণে জল জমে থাকত। হাউমাউ করে কান্না করতেন দুই নাতিকে জড়িয়ে ধরে। ছেলেকে শেষবারের মতো একবার দেখার আকুতি ছিল তাঁর। তবে তা অপূর্ণই থাকল। ছেলেকে দেখতে না পারার হতাশায় স্ট্রোক করে রবিবার সকালে মারা গেছেন তাঁর মা। লিটনের বাড়ি চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায়।

    লিটনের ছোট ভাই হান্নান বলেন, ইদানিং মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। ছেলে জেলে থাকায় সব সময় চিন্তা করতেন। ছেলের কথা ভেবে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্ট্রোকে মায়ের মৃত্যু হয়।

    লিটনের ছোট বোন শাহানাজ আক্তার সেতু জানান, এ মামলায় আমার ভাইকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। মৃত্যুর আগে এক নজর ছেলের মুখটা দেখার আকুতি ছিল তাঁর মায়ের। কিন্তু তাঁর সে আশা পূরণ হলো না।

    উক্ত মামলার সাত নম্বর আসামী জানাযা শেষে কান্না জড়িত কন্ঠে মোহাম্মদ জসিম বলেন, লিটনের মায়ের মতো আমার পরিবারও আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে। আমার অবুঝ শিশু সন্তানরা গভীর রাতে অঝোরে কাঁদছেন। জানিনা আমি ও আমার পরিবারের ভাগ্যে কি আছে।

    তিনি আরও বলেন, শহীদুল্লাহর সাথে আমার কখনোই পরিচয় ছিল না, অথচ মিথ্যা মামলায় আসামী হয়েছি। আমি কেন জায়গার পাওয়ার নিলাম, কেন গরিব মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি- এটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাতে নগরের এক কিলোমিটার এলাকায় বাসার কাছে রাস্তা থেকে একটি সিআর মামলায় দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক সৈয়দ মো. শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। থানায় পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হলে পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মৃত শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করলে থানায় মামলা রেকর্ড করার আদেশ দেন।

  • শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়

    শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ এর রিপোর্ট।

    ঐক্যবদ্ধ মিম্বার আলোকিত সমাজ এই স্লোগান বুকে ধরন করে শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অদ্য ১৮ মে-২০২৪ খ্রিঃ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে উখিয়া উপজেলার ব্যস্ততম শহর কোর্টবাজার স্টেশন এর পশ্চিম দিকে সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ভবন তামিম ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল উখিয়া উপজেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি হাফেজ মাওলানা সানা উল্লাহ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ। শুরুতে পবিত্র কালামে মজীদ থেকে তেলাওয়াত করলেন কোটবাজার ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ জাহিদুল ইসলাম।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শাকের উদ্দিন ইউনুছী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    প্রধান আলোচকঃ কবি মাওলানা হাফেজ রিয়াদ হায়দার সাহেব, শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত জয়েন্ট সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা এডভোকেট রিদওয়ানুল কবীর সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    বিশেষ আলোচনা পেশ করেন কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত সদস্য মাওলানা হাফেজ ইউনুছ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ, সভাপতিঃ হাফেজ মাওলানা সানা উল্লাহ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ। সহ-সভাপতিঃ মাওলানা জিয়াউর রহমান, মাওলানা আলী মোর্তজা সাহেব,

    সেক্রেটারিঃ মাওলানা মিজানুর রহমান, সহ সেক্রেটারিঃ মাওলানা আলী আহমদ, মাওলানা শফিউল কাদের আজিজী সাহেব, সাংগঠনিক সম্পাদকঃ রফিক উল্লাহ সাহেব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মাওলানা নজির আহমদ সাহেব, মাওলানা আব্দুল বারী সাহেব, অর্থ সম্পাদকঃ মাওলানা আবদুল মান্নান সাহেব, সহ অর্থ সম্পাদকঃ মাওলানা রুহুল কাদের সাহেব,

    প্রচার সম্পাদকঃ সাংবাদিক এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকা কক্সবাজার উখিয়া প্রতিনিধি। সহ প্রচার সম্পাদকঃ অলি উল্লাহ সাহেব,

    আইন সুরক্ষা সম্পাদকঃ মাওলানা নুরুল ইসলাম সাহেব, সহ- আইন সুরক্ষা সম্পাদকঃ মাওলানা নুরুল আবছার সাহেব, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পাদকঃ মাওলানা আলিম উদ্দিন সাহেব। সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ মাওলানা তাফহীম সাহেব, কর্ম সংস্থান সম্পাদকঃ মাওলানা ওমর ফারুক রহমানী সাহেব, সহ কর্ম সংস্থান সম্পাদকঃ মাওলানা সোলাইমান সাহেব।

    সঞ্চালনায় ছিলেন শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল উখিয়া উপজেলা শাখার সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল দেশব্যাপী সুদ-ঘুষ, অন্যায়-অবিচার, জুলুম, হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, রাহাজানি, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, মাদক-চোরাচালানের বিরুদ্ধে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি সহ অন্যায়ের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলার সর্ব বৃহৎ প্লাটফর্ম।

    কেন্দ্র, বিভাগ, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন সহ দেশের আনাচে-কানাচে প্রত্যেক মসজিদ-মাদ্রাসা, হিফজখানা, এতিমখানা সহ সকল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্টানের ঈমাম, শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সোচ্চার বাংলাদেশ শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল।

    শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ২৫ বিশিষ্ট দায়িত্বশীলদের নিয়ে গঠন করা হলো। সর্বশেষ শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি হাফেজ মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহর নির্দেশে মাওলানা ওমর ফারুক রহমানীর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    #নিউজ ডেস্ক উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

  • উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া’র ৪ পদে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন

    উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া’র ৪ পদে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন

    নিউজ ডেস্কঃ

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া’র কার্যকরী পরিষদের ৪টি শূণ্য পদে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। জুমাবার (১৭ ই মে) উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া’র কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
    দুপুর ০৩ ঘটিকা থেকে বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত ৪ পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে ২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
    নির্বাচন শেষে ভোট গণনা সম্পন্ন করার পর বিকাল ৫.৩০ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল আমিন (তানভীর শাহরিয়ার) ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার চ্যানেল উখিয়া’ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদ এবং সহকারী কমিশনার নুরুল বশর ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে সহ- সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে দৈনিক খোলা কাগজের উখিয়া প্রতিনিধ মুসলিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে সাপ্তাহিক সোনাইছড়ি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক জাহেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন “বার্তা ১০” এর উখিয়া প্রতিনিধি ইমরান জাহেদ ও অর্থ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে উখিয়া নিউজ টুডে’ এর সহ- সম্পাদক ইকবাল বাহার চৌধুরী।

    ক্লাবের অন্যান্য কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা হলেন, বর্তমান সফল সভাপতি এম,আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল আজিজি, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাশেদ নুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম উদ্দিন বাপ্পি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন জয়, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তারেকুর রহমান, কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহিম, নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম।

    উল্লেখ্য ক্লাবের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাবেক সহ-সভাপতি এম আর আয়াজ রবি, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম বশর চৌধুরী, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মুফিজুল ইসলাম ও সাবেক অর্থ সম্পাদক হেলাল উদ্দিনকে স্থায়ী বহিষ্কার করায় পদ শূণ্য হলে তাদের স্থানে শূন্য পদে এ উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • দারল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠার অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সফলতার সাথে সম্পন্ন।

    দারল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠার অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সফলতার সাথে সম্পন্ন।

    নিউজ ডেস্কঃ

    দারল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠার অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সফলতার সাথে সম্পন্ন।

    অদ্য ১৬ মে-২০২৪ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব অঞ্চলের সুপরিচিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসার অভিভাবক সমাবেশ ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে হেফজ বিভাগের হলরুমে শুরু হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, জনাব আমির কাশেম চৌধুরী, অত্র দ্বীনি বাগানের খাদেম ও প্রতিষ্ঠাতা, তরুণ মুফাচ্ছির, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা হাফেজ মুফতি রিদওয়ানুল কাদির সাহেব, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, এলাকাবাসী এবং সর্বস্তরের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকের অভিভাবক সমাবেশ শতভাগ সফল হয়েছেন বলে জানান মাদ্রাসা পরিচালক মুহতামিম।

    মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদের মাদ্রাসাকে কবুল করে নেন। মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম বিনিময় দান করেন। আমীন।

    সর্বশেষ অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা হাফেজ মুফতি রিদওয়ানুল কাদির সাহেব এর মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

  • ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ শাহীনের( রহ.) আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

    ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ শাহীনের( রহ.) আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

    নিউজ ডেস্কঃ

    জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ শাহীনের( রহ.) আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল, উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাতব্বর পরিবারের সুযোগ্য উত্তরসূরী জনাব, এস এম জসিম উদ্দিন মাতব্বর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের জালিয়া পালং ইউনিয়ন নির্বাচিত সর্ব প্রথম চেয়ারম্যান প্রয়াত আবদুল হক মিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র জনাব এমদাদুল হক চৌধুরী, গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন ইনানীর বিশিষ্ট আলেমদ্বীন জনাব হজরত মাওলানা আজিজুল হক সাহেব,ও মাওলানা আসাদ আলমগীর সাহেব, উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, জনাব শফি আলম সাহেব ( শাহীনের আব্বাজান) উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে শেষ মোনাজাতটুকু করেন ইনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সম্মানিত খতিব, রাহবারে ঐক্য পরিষদ,জনাব হাফেজ মাওলানা ক্বারী হারুন সাহেব, উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সাঈদ সাহেব, এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন হাসিমুখ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিবৃন্দ, দৃপ্ত জাগরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিবৃন্দ,ইনানী স্টুডেন্ট ইউনিট সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ সহ অনেকেই, সর্বোপরি এই যারা এই প্রোগ্রাম সফল করার জন্য সহযোগিতা করছেন সকলকে প্রতি কৃতজ্ঞতা।