Blog

  • ভালো থেকো প্রিয় তফু

    ভালো থেকো প্রিয় তফু

    ওমর ফারুক,

    প্রিয়,
    খুব অবাক লাগছে না? ইন্টারনেটের যুগে চিঠি লিখতে বসেছি। সত্যি বলতে কি জানো, এমন অনেক কথা থাকে যেগুলো মেসেজে কিংবা ফোনে বলা যায় না। যদিও মানুষটা ফোনের অপরপাশে থাকে, তাকে দেখা যায় না তবুও অনেক সংকোচ লাগে। আবার সেই কথাগুলোই অনাসয়ে বলা যায় চিঠিতে। তার থেকেও বড় কথা চিঠির পাতায় সেই মানুষটার গন্ধ, ছোঁয়া লেগে থাকে। শুনেছি চিঠির গন্ধ আর প্রিয় মানুষটার ছোঁয়া ভালবাসা বাড়িয়ে দেয়।

    যাই হোক, তোমাকে আজ একটা গল্প শোনাই। পূর্ণিমার রাত সেদিন ছিলনা। কিন্তু ছিল আকাশ ভরা তারা। সেদিন আকাশ যেন আর তারাদের জায়গা দিতে পারছে না। দূর থেকে মনে হচ্ছিল, একটি তারা আর একটি তারার সাথে লেপ্টে আছে। হ্যাঁ, আকাশ সেদিন সব তারাকে জায়গা দিতে পারেনি। একটি তারা খসে পরেছিল পৃথিবীর বুকে। আর সেই তারাটা থেকেই আমার জন্ম। নিতান্তই অবহেলায় ঈশ্বর আমাকে সৃষ্টি করেছেন। শুধু অবহেলিতদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই আমার জন্ম।

    আমি খুব সুন্দর করে লিখতে পারিনা।মিলিয়ে মিলিয়ে দুরূহ ছন্দও লিখতে পারি না।খুব সাধারণ মেয়ে আমি।আমি বোধ হয় পুকুরপাড়ে ভেসে যাওয়া কলমিশাক কিংবা নদীতে ভেসে যাওয়া কচুরিপানা। সকালে ভোরের শিশির ঘাসের উপর যে সৌন্দর্য রাখে আমার তাও নেই।আমার সম্বল কেবল আমার দুঃখ। আর আমার দুঃখের সবচেয়ে বড় অধ্যায় তুমি।আমার এ সম্বলহীন, শিকড়হীন জীবনে তোমাকে পেয়েছি,আর এই তোমাকে নিয়েই হাজার বছর বাঁচার আকুতি আমার।

    এবার বলি,তোমাকে কেন দুঃখ বললাম……

    যে তারাটি আকাশ থেকে খসে পরেছিল।সেই তারাটি আমাকে জন্ম দিল ঠিকিই কিন্তু ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়।সে পৃথিবী ত্যাগ করল আর আমাকে দিয়ে গেল এক পৃথিবী দুঃখ।তাই আমি জানি,আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত যদি কিছুই না থাকে তবুও শুধু দুঃখই থাকবে।তাই তো আমার দেওয়া তোমার নাম দুঃখ। তোমাকে সুখ হিসাবে না পেলেও দুঃখ হয়েই আজন্ম তোমাকে চাই।

    জানো আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী ছিলাম না।কিন্তু এখন কারণে-অকারণে ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে।এই যে,আমার জীবনে এলে,আমার সারাটা দিনের ভাবনা হলে,আমার দু-চোখের স্বপ্ন হলে,আমার ভবিষ্যৎ হলে— এটাকে আমি ভাগ্য হিসাবে নিয়েছি।আমি গত জন্মের বিশ্বাসীও নই।কিন্তু গত জন্মের কোন এক পূর্ণতার ফলে তোমাকে যে পেয়েছি সেটা অস্বীকার করার উপায়ও আমার নাই।

    কিছু দিন আগেও তোমাকে চিনতাম না।তোমার প্রতি অধিকার বোধ ও ছিল না।তখন আমার বদ্ধ জীবন।আর আমার বদ্ধ জীবনে তুমি এলে আলোর ঝিলিক হয়ে।গভীর জলে ডুব দিয়ে থাকতে আমি তখন অনেকটা অভ্যস্থ।আমার বাধ্য জীবনে অবাধ্য হয়ে এলে তুমি।আর আমার নিরুপায় জীবনের মুক্তির অন্বেষণে দীর্ঘশ্বাসের শূন্যস্থান পূরণ করে সর্তক প্রহরীর দায়িত্ব নিলে তুমি।

    এরপর তোমাকে ভালবাসা ছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না।তোমার ভালোবাসার পাগলামী,আমার প্রতি তোমার প্রেম, আমাকে অস্থির করে তুলতো।সেদিন তোমাকে ভালবাসি না বল্লে হয়ত দম আটকে আমি মরেই যেতাম।

    তুমি আমাকে উড়তে শিখেছো।বাতাসে যে গন্ধ আছে,মুক্ত গন্ধ…….আমি তাও জানতাম না,তুমি পরিচয় করে দিয়েছিলে।নীল খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে দু’হাত উজার করে বুক ভরে শ্বাস নিতে তুমি শিখিয়েছিলে।নদীর তীরে কাশবনের পাশে হাতে হাত ধরে হেঁটে চলা কিংবা মাঝনদীতে পাল তোলা নৌকায় তোমার কোলে মাথা রেখে আকাশকে দেখে আকাশকে ছোঁয়ার স্বপ্ন তুমিই দেখিয়েছিলে।তখন আমার চোখ দু’টোকে পাখির চোখ মনে হয়েছিল।যেন আমি দেখেছি,পাখির চোখে বিশ্ব।

    আমরা একে অপরকে ভালোবেসেছি ঠিকই কিন্তু এই সমাজ আমাদের কতটা মেনে নিবে, আদৌও মেনে নিবে কিনা আমরা সেটা ভুলেই গেছি।আমরা সমাজের মানুষ। আমাদেরকেই নিয়ে নাকি সমাজ।আবার ভালোবাসলেই আমরাই সমাজে বয়কট।

    আচ্ছা ভালোবাসা কি জাত-ধর্ম বিবেচনা করে হয়?ভালোবাসা কি সেজেগুজে, পরিপাটিরূপে আসে?নাকি নোটিশ দিয়ে আসে?আমার ভালোবাসা ঢাক-ঢোল, বাদ্যযন্ত্র পিটিয়ে আসেনি তো…আমার ভালোবাসা হয়ে গিয়িছিল।তোমার দৈহিক সৌন্দর্য আমাকে টানেনি এটা যেমন সত্য তেমনি এটাই সত্য তোমার সুন্দর মন-ই আমাকে আকৃষ্ট করেছে।

    কিন্তু সমাজের নির্মম নিয়ম,আমাদেরকে স্বীকৃতি দেয়নি তবে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে,ভালোবেসে আমরা কতটা অসহায়।

    গত পরশু,দিনের প্রথম আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারলাম সকাল দশটায় আমাকে দূরে পাঠানো হচ্ছে, তোমার থেকে দূরে-বহুদূরে।একদম বিনা নোটিশে এ যাত্রা আমার।তোমাকে শেষবার দেখতে চেয়েছি,তারজন্য আমার হাতে থাকে সময়ের একটা মিনিটও আমি চেষ্টার ত্রুটি করিনি।তোমার সেল নম্বরটি বন্ধ ছিল।চার দেওয়ালে আটকে থেকে যতটুকু চেষ্টা করা যায়,বিশ্বাস কর তার এতটুকু কমতি রাখিনি আমি।

    কিন্তু ঈশ্বর জিতিয়ে দিলেন-এ সমাজ, এ সমাজের ধর্ম,দাম্ভিকতাকে।আজ পথের দূরত্ব অনেকটা কিন্তু আমার অনুভবে আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছে তোমার অবস্থান।

    সব খারাপের মাঝে এটাই ভালো হয়েছে-তোমাকে না পাওয়াটাই হয়ত ভালো হয়েছে।শুনেছি ভালোবাসার পর ভালোবাসাকে পেলে নাকি ভালোবাসা কমে যায়।আর না পেলে কাছের মানুষটা নাকি বহুগুন বেশি ভালোবাসে।সেদিক থেকে খারাপ কি বল…………..

    আমার জীবনের সুখের সীমা-পরিসীমা তুমি জানো।তাই জন্যেই তোমার নাম দিয়েছিলাম দুঃখ। ভালোবাসার সংজ্ঞা না জেনেই, দুইবার না ভেবেই তোমাকে ভালোবাসা, এতটা আপন করে নেওয়া আমার কাছে অহেতুক নয়।বলেছিলাম গতজন্মের অবিশ্বাসী নই।গতজন্মের পূর্ণতায় এজন্মে তোমায় ক্ষণিকের জন্য পেয়ে আমি লোভী হয়ে গেছি।তোমার প্রতি আমার ভীষণ লোভ।তাই পরের জন্মে এ জন্মের দূরত্বের প্রাচীর টপকাতেই ঈশ্বরের কাছে দরখাস্ত লিখতে একটু আগেই চলে যাচ্ছি। পরের জন্মে একই ধর্মে,একই গোত্রে,সু-সমাজ ব্যবস্থায় ঈশ্বর যেন আমাদের পাঠান। দরখাস্ত মঞ্জুর হলে আবার আমরা ফিরে আসবো।

    আমি সমাজের কাছে হেরে গেলাম তবে ভালোবাসার কাছে নিশ্চয়ই নয়।

    আজ আর নয়, জানিনা চিঠিটা পাবে কিনা। পেলে আকাশে একটা পাখি উড়িয়ে দিও। সেই পাখির চোখেই আমি তোমাকে দেখব।

    ভালো থেকো…এই সমাজে…

    ইতি,

    তোমার আমি

    লেখক ও গণমাধ্যম কর্মী,
    ওমর ফারুক
    কক্সবাজার (উখিয়া)

  • বিরামপুরে হয়রানি বন্ধে হিজরাদের সাথে ওসির মতবিনিময়

    বিরামপুরে হয়রানি বন্ধে হিজরাদের সাথে ওসির মতবিনিময়

    এস এম মাসুদ রানাঃবিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে হিজরা সম্প্রদায়ের হাত থেকে জনসাধারণের হয়রানি বন্ধে হিজরাদের সাথে আলোচনা সভা করেছে ওসি সুমন কুমার মহন্ত।

    উল্লেখ্যে যে, উপজেলার বিভিন্ন মোড়, রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, হাট বাজার, রাস্তাঘাট, গ্রামগঞ্জের বাসাবাড়িতে সদ্যজাত সন্তান জন্মগ্রহণ ও বিবাহ আয়োজনের সংবাদ পেয়ে জোরপূর্বক অধিক পরিমাণে টাকা আদায়সহ দীর্ঘদিন ধরে পথচারী ও যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কৌশল হিসাবে হয়রানী করে আসছে হিজরা সম্প্রদায়।অনেক ক্ষেত্রে এই সব হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের চাহিদামত টাকা না পাওয়ায় নিজেরা নানা অঙ্গভঙ্গিসহ নিজেদের পরিধানের কাপড় চোপর খুলে পথচারী, যাত্রী ও বাসাবাড়িতে মারাত্বকভাবে অপমান অপদস্থ করে বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

    পথচারী, যাত্রী ও ভুক্তভোগীদের মতে, হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা সুযোগ বুঝে বেশি টাকা দাবি করে। সদ্যজাত সন্তান জন্মগ্রহণ ও বিবাহ আয়োজনের সংবাদ পেলে তাদের বাসাবাড়িতে গিয়ে পুরুষদের সামানে মা, বোন, স্ত্রী-কন্যা কিংবা ছেলে থাকলে এই চক্রটি তাদেরকে বেশি অপদস্থ করে। তাদের মতে, পুরুষরা উপায়ান্তর না পেয়ে সম্মান বাচাতে হিজরাদের চাহিদা পুরণে বাধ্য হন।

    আলোচনা সভায় হিজরা নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, আমাদের কর্মের কোন সন্ধান নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তর আমাদেরকে নানাভাবে আশ্বাস দেই। তবে আজো কোন আশ্বাস পুরণ হয়নি। তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে আর জোর জবরদস্তি চাঁদা তুলবে না এবং জন বিরক্তিকর কাজ করবে না বলে জানায়।

    থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, হিজরাদের অত্যাচার, হয়রানী, অপদস্থের বিষয়টি নানাভাবে জেনে বুধবার রাতে হিজরাদের সাথে থানায় আলোচনা সভা করা হয়েছে। এ সময় হিজরাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে হয়রানী এবং তাদেরকে অপদস্থ করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তোমরা বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটে মানুষদেরকে এভাবে হয়রানী করবে না। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তোমাদের জন্য একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • বাঁশখালীতে কিশোর গ্যাং দ্বারা খাদিজাতুল কুবরা মহিলা মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে

    বাঁশখালীতে কিশোর গ্যাং দ্বারা খাদিজাতুল কুবরা মহিলা মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্রগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামে অবস্থিত খাদিজাতুল কুবরা(রাখা.) মহিলা মাদ্রাসায়,স্থানিও জনপ্রতিনিধির মদদে আহমদ কবিরের পুত্র জাহাঙ্গীর(৩৫) এর নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে এলাকার বকাটে কিশোর গ্যাং কতৃক প্রতিনিয়ত মাদ্রাসায় হামলা চালায় বলে জানা যায়।

    এবিষয়ে ছাত্রীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন আমাদেরকে পড়ালেখা না করে বাসায় চলে যেতে বলে জহাংঙ্গীর এবং আমরা ঘুমালে তারা ৫/৭জন ছেলে পেলে এসে ইট,এবং লাঠিসোটা দিয়ে বারী মারে তারা জুরেসুরে চিল্লাই যাতে আমরা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতে না পারি।গতকাল পুলিশ এসে বলে যাওয়ার পর আবারও একই অবস্থা বিরাজমান রয়েছে বলে জানান ছাত্রীরা তারা।

    বলেন আমরা সুন্দরভাবে আমাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সাংবাদিক,পুলিশ,এবং সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এবিষয়ে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির আই সি আবু জাফর এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা ঘটনাস্থলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং সকলের উদ্দেশ্য বলে দিয়েছি পড়ালেখায় ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য, তারপর ও যদি করে থাকে আমরা আনগত ব্যবস্থা নিব।

  • বাঁশখালীতে এবার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে ইউএনও’র গাড়ী

    বাঁশখালীতে এবার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে ইউএনও’র গাড়ী

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো সাইদুজ্জামান চৌধুরী পুকুরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় একটি সড়কের কাজ দেখে সদরে ফেরার পথে,
    আজ ০৯ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় পুকুরিয়ার ঝিঝি ফকির মাজার এলাকায় গাড়িসহ দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন । তবে তিনি অক্ষত আছেন। গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

    জানা যায়, ইটবাহী একটি ড্রাম ট্রাক প্রথমে সিএনজি অটোরিকশাকে পরে ইউএনও’র গাড়িটিতে আঘাত করে। পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে। গাড়ির চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশার ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন।

    উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীতে ঘনঘন সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক , পরিবহন নৈরাজ্য, অদক্ষ ও বেপরোয়া চালকদের দৌরাত্ম্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাঁশখালীর মানুষ প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। তারা এর প্রতিকারে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছে।

  • আর নয় অসম প্রতিযোগিতা, চাই নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা

    আর নয় অসম প্রতিযোগিতা, চাই নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা

    মোঃ শাহীন আলম:- ফেনী সোনাগাজী প্রতিনিধি,

    আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে উদ্যোক্তা সংগঠন ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলা নারী টিম। চকবাজারের বাংলালুক কনফারেন্স হলে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকালে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিল আনজুম আরা।

    ফেরদৌস আরার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও নারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আফরোজা সুলতানা পুর্নিমা, বাংলালুক কনফারেন্স হলের স্বত্বাধিকারী ফরহাদ ইসলাম, জাহিদ ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের মডারেটর বিএইচ সোনিয়া।

    অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ভলানটিয়ার ও নারী উদ্যোক্তা উম্মে কুলসুম কেয়াকে সম্মাননা দেয়া হয়। যিনি পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে দুইটা বাচ্চা মেয়ে নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরো পরিবারের দায়িত্ব নিজেই পালন করে যাচ্ছেন। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তাকে আসতে হয়েছে সফলতার দ্বার প্রান্তে।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘আগামীতে এমন আরো হাজারো নারী তাদের পরিচয় ও গল্প বলবে। অনেক সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে নিজের গল্প বলবে। আমরা নারী, আমরাও পারি।

    সংবাদ প্রেরক
    মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ
    মোবাইল: ০১৭১১-০১১৮৬৩।

  • কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল ৩ শতাধিক ঘর, এক শিশুর মৃত্যু

    কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল ৩ শতাধিক ঘর, এক শিশুর মৃত্যু

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের উখিয়া ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও শতাধিক বসতি।

    মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়া ৫ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুর মৃত্যু হলেও দিনেরবেলা অগ্নিকাণ্ড হওয়ায় তেমন হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার ডা. শামসুদ্দৌজা নয়ন।

    তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জেনেছি। বাতাস থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এক শিশু মারা গেছে বলে জানা গেলেও তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এখনো জানা যায়নি।’

    ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘উখিয়ার ৫ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। অন্য এলাকার টিম এসে কাজে যোগ দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’

    ১৪ এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে চেষ্টা চলছে।

    এরআগে গত ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরে এক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যায়। ওই ঘটনায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় হারান।

    গত ২ জানুয়ারি উখিয়া বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পের জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালের জেনারেটর থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যান ১৫ জন রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

  • গাবতলি মডেল থানা পুলিশ ৩ মাদকসেবীকে গ্রেফতার করেছে

    গাবতলি মডেল থানা পুলিশ ৩ মাদকসেবীকে গ্রেফতার করেছে

    রাকিব মাহমুদ ডাবলুঃ- স্টাফ রিপোর্টার,

    বগুড়ার গাবতলি মডেল থানা পুলিশ ইংরেজি ৮ মাচ বিকেল সাড়ে ৫টায় অভিযান চালিয়ে গাবতলী পৌরসভার গোড়দহ মধ্যপাড়া মাঠের মধ্যে মকবুলের শ্যালো মেশিনের ঘর থেকে আসামি ১) মিলন সরদার (৩৫) পিতা মৃত শায়েদ আলী ২) সুমন (৩৩) পিতা টুকু প্রামানিক (৩) আইনুর (৪০) পিতা মৃত আবুল হোসেন সর্ব শাকিন: গোড়দহ উত্তরপাড়াদের ১৬২ নেশাজাতীয় লোপেন্টা ট্যাবলেট, নগদ ৪২০ টাকা, তিনটি মোবাইল ও মাদক সেবনের বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। আসামিরা জানায় এলাকার কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী র নিকট থেকে প্রতিটি ট্যাবলেট ৮০ টাকা করিয়া ক্রয় করে ও বিভিন্ন মাদকসেবীর নিকট বিক্রয় করে।

    আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

  • চট্টগ্রামে মাদ্রাসার পেছন থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার

    চট্টগ্রামে মাদ্রাসার পেছন থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের মুরাদপুর আলী বিন আবী তালিব মাদরাসার পেছন থেকে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
    আজ মঙ্গলবার (০৮ মার্চ২২)সকাল ১০টার দিকে ওই মাদরাসার পেছন থেকে আমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

    পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
    ময়নাতদন্তের জন্য আরমানের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আরমান (১৪); তার বাবার নাম আব্বাস উদ্দিন। মুরাদপুর ডানকান হিল পিলখানা এলাকার ‘আলী বিন আবী তালিব’ মাদ্রাসায় পড়তেন তিনি।

    এর আগে গত শনিবার চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার আল্লামা শাহ ছুফি অছিয়র রহমান মাদ্রাসা ও হেফজখানা থেকে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

  • কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও স্কুল পরিদর্শন সম্পন্ন

    কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও স্কুল পরিদর্শন সম্পন্ন

    এইচ এম শাহাব উদ্দিন তাওহীদ, প্রকাশক।

    পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু গর্জনবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষে অদ্য ৮ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকার দিকে কেয়ার বাংলাদেশ, GRAUS ও সেইভ দ্যা চিল্ড্রেন কর্তৃক আয়োজিত ২দিন ব্যাপী কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের দুর্যোগ প্রস্তুতি, জেন্ডার বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও স্কুল পরিদর্শন সম্পন্ন করা হয়।

    উক্ত কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের দুর্যোগ প্রস্তুতি, জেন্ডার বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী দিন ও স্কুল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব ত্রিরতন চাকমা, এনজিও সেইভ দ্যা চিল্ড্রেন প্রকল্প কর্মকর্তা দুর্যোগ ও জরুরি শিক্ষা কার্যক্রম অফিসার জনাব মোঃ ফারুক হোসাইন, সেইভ দ্যা চিল্ড্রেন প্রকল্প কর্মকর্তা- ইঞ্জিনিয়ার
    জনাব রেদওয়ান আহমাদ, এনজিও GRAUS ফিল্ড সুপারভাইজার জনাবা জান্নাতুল ফেরদৌস, জনাবা, মেহেরুন্নেছা,

    অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেজু গর্জনবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক ও UkhiyaVoice24.Com এর সম্পাদক জনাব মোঃ ছৈয়দ হামজা, সিরাজুল হক, পারভীন আক্তার, উকচাইন চাকমা প্রমুখ সহ স্কুল সভাপতি ও স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • স্বাধীনতা পরবর্তী উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বর্ষায় সাঁতরে-গ্রীষ্মে জঙ্গল কেটে চলছে টেকনাফের তুলাতলী বাসিন্দারা

    স্বাধীনতা পরবর্তী উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বর্ষায় সাঁতরে-গ্রীষ্মে জঙ্গল কেটে চলছে টেকনাফের তুলাতলী বাসিন্দারা

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ কক্সবাজার প্রতিনিধি,

    স্বাধীনতার ৪ যুগ পেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি টেকনাফ উপজেলার সাগর উপকুলীয় জনবহুল সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকার একটি রাস্তার। বর্ষা মৌসুমে ওই রাস্তায় পানি জমে কোমর ও হাঁটু পর্যন্ত, হয়ে যায় গর্ত। ভরপুর বর্ষায় সাঁতার কেটেই চলতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে। এতে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই এলাকার হাজারো বাসিন্দা।

    এ দশা টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের তুলাতলীর জনবহুল একটি সড়কের। যার অবস্থান কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়ক পর্যন্ত প্রায় ১:৫০ কিলোমিটারের রাস্তা।
    ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী উন্নয়নের কাংখিত ছোঁয়া লাগেনি এই রাস্তায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগে রাস্তাটি সংস্কার পূর্বক পাকা করে দেওয়ার বারংবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা প্রতিশ্রুতিই রয়ে যায়।
    এই রাস্তাটি বেহাল হওয়ার কারণে প্রতিদিনই কয়েক গ্রামের হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
    সরেজমিনে দেখাযায়, দেড় কিলোমিটারের ওই রাস্তায় লোকজন স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছে না।

    পায়ে হেঁটে যাওয়াও হয়ে উঠেছে কষ্টকর। এতে চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে সাগরে আহরিত মাছ ও উৎপাদিত কৃষী পণ্য বাজারজাত করনে।
    বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের ছাত্র জাহেদ উল্লাহ জানান, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আমাদের এ রাস্তায় কাংখিত উন্নয়ন চোখে পড়েনি। আমাদের প্রতিনিয়ত চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি, এ কাঁচা সড়কটি যাতে অতি দ্রুত সংস্কার করে পাকা রাস্তায় উন্নিত করা হয়।
    কৃষিরানী রহিমা আক্তার বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে হয়। তবে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। সে সময় পায়ে হেঁটেই যাওয়ায় কষ্টকর হয়।
    স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা নুর হোছাইন ও আহমদ হোছাইন জানান, কোনো রোগী বা গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে ও মৃতদের দাফন কাফনে কবরস্থানে নিয়ে যেতে চাইলে বিপদে পড়তে হয়। এলাকায় কেই মৃত্যু বরণ করলে কয়েক ঘন্টা লোকজন নিয়ে ঝোপজঙ্গল পরিস্কার করতে হয়।
    স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায়, জনসংখ্যার দিকে ওই গ্রামের প্রায় ১/২ হাজার লোকের চলাচলের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের যাওয়ার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। প্রতিদিন জেলেরা আসা যাওয়া করে এই সড়ক দিয়ে। অথচ টেকনাফ সদরের তুলাতলি গ্রামের এই সড়কটিতে উন্নয়নে কোন ছোঁয়া লাগেনি। দেখলে মনে হয় অভিভাবকহীন এ সড়ক। অন্যান্য গ্রামের সড়কের চাইতে এ সড়কটি অতিগুরুত্বপূর্ণ। জন চলাচলের এরাস্তাটির বেহাল অবস্থা হওয়ায় এলাকার জনসাধারনের নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত।স্বাধীরতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। পূর্ব পশ্চিম এ রাস্তাটি হচ্ছে স্থানীয় আজল নামের দোকান হতে মৃত মাওঃ আদুল মজিদের বাড়ির সামনে থেকে সমুদ্র সৈকত তথা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ পর্যন্ত রাস্তাটির এমন নাজুক অবস্থা। প্রায় দেড় কিলোমিটারের বেশী রাস্তাটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী উঠেছে সাধারন এলাকাবাসীর মধ্যে। তাই রাস্তাটি উন্নয়ন ও সংস্কার করে বর্ষা মৌসুমে জনদূর্ভোগ কমাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা। যদি এই মৌসুমে রাস্তাটি উন্নয়ন করা না হয় তাহলে বর্ষা মৌসুমে মানুষের চলাচলে দূর্দশা চরমে পৌছবে বলে আশংকা করছে এলাকাবাসী। রাস্তাটি উন্নয়ন ও সংস্কার হলে সমুদ্রে মৎস আহরন, কৃষকদের যাতায়তে সহজতর হবে। ফলে মানুষের প্রয়াজনীয় ক্ষেত খামারের তরি তরকারী ও মৎস্য সহজেই বাজারজাত করনে বাঁধা গ্রস্ত হচ্ছে। এতে মানুষের আয় বাড়ার পাশাপাশি সরকারের বাড়বে রাজস্ব আয়। সদরের সবক‘টি গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলে ও দীঘ বছর ধরে এ গ্রামটি উন্নয়নের আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার মাটি দিয়ে কিছুটা সংস্কারের চেষ্টা করলেও বর্ষার মৌসুমে ফের মাঠি সরে যাওয়ায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় রাস্তাটি। বর্ষা মৌসুমে ঐ রাস্তাদিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের বিপদজনক অবস্থায় যাতায়াত করতে হয়।
    ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নুরুল কবির জানান, বহু যুগ থেকে স্থানীয়দের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ছিল এটি। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে কোন রকম হাঁটা চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে অতি কষ্টে গ্রামবাসীর চলাফেরা করতে হয়।
    তুলাতলী গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি জামে মসজি ও ফোরকানিয়া, নূরানী মাদরাসাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাস্তা সংস্কার না হওয়ার কারণে মুসল্লী ও শিক্ষার্থীরা রয়েছেন বিপাকে।
    এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে স্থানীয় মুরব্বীরা জানান, রাস্তাটির সংস্কার হলে প্রচুর রাজস্ব আয় ও জনসাধারনের কষ্ট অনেকটাই লাগব হতো। বর্তমানে রাস্তাটি বালুমাটি দ্বারা এবং অনেকাংশ ঝোপ জঙ্গলে পরিনত হওয়ায় দিনের বেলায়ও ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলে ভীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে টিলা ও বৃষ্ঠির পানি ঐ রাস্তাদিয়ে চলাচলের কারনে হাঁটু, কোমর পরিমাণ পর্যন্ত পানি জমে যায়। ফলে জনসাধরনকে পড়তে দূর্ভোগে। বিশেষ করে মহিলাদের কষ্ট বেড়ে যায়। এজন্য স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
    স্থানীয় সমাজ সেবক মোস্তাক আহমদ জানান, বর্ষায় পানি চলাচল ও শুকনা মৌসুম ঝোপড়ি থাকায় অনেক কষ্ট হয়। রাস্তাটি সংস্কার না করায় এলাকার মানুষ খুব কষ্টে রয়েছেন। বর্ষার সময় বৃষ্টির পানি জমে চলাচলে একদম অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কটি সংস্কার করা খুবই জরুরি। এজন্য এলাকার সব য়সের লোকেরা স্থানীয় র্বতমান সাংসদ শাহিন আকতার ও সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম এর দৃষ্টি কামনা করেছেন।।
    স্থানীয় মেম্বার শাহ আলম জানান, সড়কটি উন্নয়নের জন্য বড় বাজেট প্রয়াজন। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।
    ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ জানান, আমি কয়েক মাস হলো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বপালন করছি। ইতি মধ্যে সদরের জমিদারী কাঁড়িসহ বেশ কয়েকটি রাস্তায় উন্নয়ন কাজ চলছে। শীঘ্রই তুলাতলীর রাস্তার কাজও শুরু হবে।