Blog

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর উত্তীর্ণ ৭২জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সনদ ও ক্রেস্টসহ পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়

    বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর উত্তীর্ণ ৭২জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সনদ ও ক্রেস্টসহ পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়

    কাজল আইচ, উখিয়া প্রতিনিধি

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ ৭২জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সনদ ও ক্রেস্টসহ পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    অদ্য ২৩ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ সোমবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকার দিকে উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হল রুমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ ইং, এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজীব। এসময় তিনি বলেন, উখিয়ার শিক্ষা প্রসারে মেধাভিত্তিক এই বৃত্তি পরীক্ষা ভূমিকা রাখবে।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর আয়োজিত অনুষ্ঠানের
    উদ্বোধন ঘোষণা করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি কক্সবাজার সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফজলুল করিম। নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার পৃষ্টপোষক কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী, এবং উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    এছাড়াও সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নুরুল হুদা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কন্ট্রাক্টর ফরিদ আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব কবির আহমদ সওদাগর, উখিয়া স্টেশন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি একরামুল হক, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌলভী হারুন অর রশিদ, মাস্টার কামাল উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সালাহউদ্দিন মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক এটিএম রশিদ, ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, উখিয়া অনলাইন ক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ, উখিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, প্রধান শিক্ষক মাস্টার আশিষ বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক বদিউর রহমান, প্রধান শিক্ষক হাসান জামাল রাজু, প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, অভিভাবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃ বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন পোষ্ট মাস্টার এসএম জসিম।এসময় উত্তীর্ণ উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদ ও এককলীন বৃত্তির অর্থ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত নুরুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি ফাউন্ডেশন ২০০৪ সাল থেকে এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে আসছে, যার মাধ্যমে গত ১৭ বছর ধরে উখিয়া উপজেলার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি লাভ করেছে।

  • জামিয়া পটিয়ায় যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিত্তেই মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়- ড. মাহমুদুল হাসান আল-আযহারী

    জামিয়া পটিয়ায় যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিত্তেই মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়- ড. মাহমুদুল হাসান আল-আযহারী

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    এই দোয়াটা আমাদের করে যেতে হবে আল্লাহ পাক যেন জামিয়ার যে ঐতিহ্য, সেটাকে আমাদের প্রচেষ্টার সবটুকু দিয়ে রক্ষা করার তাওফিক দেন। হযরত মুফতি আযীযুল হক সাহেব রহ. কখনোই নিজের কোনো সন্তানকে দায়িত্বে বসান নি। পটিয়া মাদরাসার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে তিনি খুঁজে এনেছেন সেই হাটহাজারির ইছাপুর থেকে হযরত হাজী ইউনুস সাহেব রহ.-কে।

    হাজী সাহেব হুজুর এ দায়িত্বে অনেকদিন ছিলেন। পটিয়াকে অনেক বড় করে তোলার জন্য মেহনত অব্যাহত রেখেছেন। এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেবামূলক কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় খ্রিষ্টান মিশনারী তৎপরতা রোধে নানামুখী দাওয়াতী কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এত সুন্দর মেহমানখানা তখন কোথাও ছিলোনা, পটিয়াতে তিনি চমৎকার কলেবরে একটি মেহমানখানা নির্মাণ করেছেন।

    তারপর যখন দায়িত্বের একদম শেষলগ্নে পৌঁছে গিয়েছেন, খুঁজে এনেছেন আরেকজন মহারত্ন-কে। দায়িত্বের আসনে বসিয়েছেন হযরত হারুন ইসলামাবাদী রহ.-কে। তিনি চাইলে নিজের ছেলের জন্য এ চেয়ারটি বরাদ্দ দিতে পারতেন, তা করেননি। বরং জামিয়ার কল্যাণের কথা ভেবে, উম্মতের উপকারের কথা মাথায় রেখে, যাকে এখানে বসানো উপযুক্ত মনে করেছেন, তাকেই এনে বসিয়েছেন। হযরত হারুন ইসলামাবাদী রহ. তো অনেক অল্পসময় পেয়েছেন এই জামিয়ায়। একদম অকস্মাৎ তিনি আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন আল্লাহর কাছে।

    তারপরও দায়িত্ব অর্পণে তিনি এত সতর্ক ছিলেন যে, যখন অসুস্থ হয়ে পড়লেন, চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে যাচ্ছেন, তিনি বললেন—’আমার অবর্তমানে তিনজন মিলে মাদরাসা পরিচালনা করবে। গাজী সাহেব হুজুর, কদীম সাহেব হুজুর এবং বুখারী সাহেব হুজুর রহ.।

    পরবর্তীতে হযরত বুখারী সাহেব হুজুরের উপর সে দায়িত্ব এককভাবে আসে। তেমনিভাবে হযরত বুখারী সাহেব হুজুরও যখন একদম জীবনের শেষ সময়গুলো পার করছিলেন, তিনি অনেক ইস্তিখারা এবং চিন্তাভাবনা শেষে একজন যোগ্য এবং জামিয়ার জন্য উপযোগী একজন কর্ণধারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। নিজ সন্তানদেরকে সামনে আনেননি। এটাই হচ্ছে কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য, স্বকীয়তা এবং বৈশিষ্ট্য।

    অন্যান্য সব জায়গায় কমবেশি স্বজনপ্রীতি হয়ে থাকে। কিন্তু পটিয়া মাদরাসা এটা প্রমাণ করেছে, যেমনি আল্লাহর রাসূল খিলাফত প্রদানের সময় ‘আমার পর আবু বকর হক্ব’ বলে প্রমাণ করেছিলেন ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। পটিয়া মাদরাসাও এ শিক্ষাকে ধারণ করে সবসময়ই উম্মতের কল্যাণচিন্তাকে অগ্রে রেখে দৃষ্টান্ত রেখেছে এবং রাখছে।

    সেইসাথে এ বিশ্বাসও আমাদের আছে, এগুলো সবই আমাদের আকাবিরের ইলহামী সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশ। পটিয়ার সকল মুরব্বিদের উপর আমাদের সে আস্থা আছে। আমরা আশা করবো, এমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের জামিয়াতে ঘটবেনা, যেটা আমাদের সোনালী ইতিহাসকে ধুয়েমুছে বিলীন করে দেয়। আমাদের মর্যাদাময় অতীতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

    তাই আমাদের উচিত তাদের জন্য দুআ করা। আল্লাহ আমাদেরকে সু-পরামর্শ প্রদানের তাওফিক দান করেন। জাতিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করার তাওফিক দান করেন। তাঁদের হাত ধরে যেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ জামিয়া পৌঁছে যেতে পারে। ইখলাসের মাধ্যমে, চোখের পানির মাধ্যমে এ জামিয়া ইনশা আল্লাহ অনেক দূর পৌঁছে যেতে সক্ষম হবে।

    পরিশেষে আমি আরও একটি দুআ আল্লাহর দরবারে করতে চাই, আল্লাহ যেন আমাদের মুরব্বীদের ছায়া আমাদের উপর আরও দীর্ঘায়িত করেন। জামিয়ার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইখলাসের উপর অবিচল থেকে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জামিয়াকে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যেতে ভরপুর সাহায্য করেন। আমিন।

    পূর্ণ বক্তব্যটি নিম্নের লিঙ্ক থেকে পড়তে পারেন–

  • ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই

    ইসলামি রাজনৈতিক

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার
    তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই। ৩ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারেরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ করার সময় হয়ে গেছে, দেশ ও জাতীর সাথে প্রতারণার কুফল তাকে ভোগ করতেই হবে। ভোটের সংস্কৃতি নির্মূল, উন্নয়নের নামে দেশের সম্পদ লুট করা, সন্ত্রাস ও অর্থ পাচার করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার কারণে এই সরকার এখন গণধিকৃত ও কোনঠাষা হয়ে পড়েছে। সরকারের লোকজনের বেফাঁস কথাবার্তা শুনেই বোঝা যায় দেশি বিদেশী চাপে তারা বেসামাল হয়ে গেছে। সমাবেশে ৩ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ ও ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

    আজ শুক্রবার ২০ অক্টোবর বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম দক্ষিণ গেটে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী যুব আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সঞ্চালনায় সমাবেশের উদ্বোধক ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
    ছাত্র যুব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতী রেজাউল করীম আবরার।

    ছাত্রযুব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মদ জুয়েল রাশেদ ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ মারুফ, মুফতী রহমতুল্লাহ বিন হাবিব, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী, মুফতী আব্দুজজাহের আরেফী, মুফতী কাওছার বাঙ্গালী, মুফতী আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ডাকাত যতই শক্তিশালি হোক, বাড়ির মালিক একটু হুমকি দিলেই সে ভয় পায়। সুতরাং ভোট ডাকাতদেরকে রুখে দাঁড়ালেই তারা তল্পিতল্পা নিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল জনগণের ভোটাধীকার সংরক্ষণ, মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু আওয়ামী সরকার জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে। সরকারের সকল দুর্নীতির হিসাব এদেশের মাটিতে পাই পাই করে দিতে হবে।
    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, সরকার দূর্নীতির টাকায় খেয়েদেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে নিজেদেরেকে বাঘ মনে করছে, কিন্তু তারা জানে না শিকারেরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমন করে বাঘও তখন পরাজিত হয়।

    প্রিন্সিপ্যাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে কিন্তু এখনো তাদের শুভবুদ্দির উদয় হয়নি। ভাল চাইলে জাতীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় হন, নচেৎ টেনেহিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আজকে শুধু ছাত্র আর যুবকদের শক্তিমত্তার ধারণা দেয়া হল, এতেই সরকারের ভিতর কম্পন শুরু হয়ে যাবে।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, শেখ হাসিনা নাকি বোঝেন না দেশের মানুষ তাকে কেন চায় না। তিনি জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন, ছয় শতাধিক লোককে গুম করেছেন, বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণে অসংখ্য লোককে

    দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় শতশত মায়ের বুক খালি করেছেন, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দূর্নীতি করেছেন, এজন্য দেশার জনগণ তাকে চায় না। সরকারের পতন অনিবার্য। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নের কথা বলে, অথচ তারা ওয়ান ডে ডেমোক্রেসি বা একদিনের ভোটের সংস্কৃতিটা পর্যন্ত নষ্ট করে দিয়ছে। এই সরকার স্বৈরাচারি শাসন কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটের ফলে এখন দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশের মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, শেখ হাসিনা মূলত এদেশের উন্নয়নের জন্য আসেনি, সে এসেছে তার পরিবারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু সে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আপোস করে নিরিহ জনগনকে হত্যা করে এর ঝাঁঝ মেটাচ্ছে। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তাই তার চরিত্র প্রমান করে। অতএব, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে দেশের জনগণ যা যা করা দরকার করবে ইনশাআল্লাহ।
    মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতায় নিহত ফিলিস্তিনের হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষ নিহত হওয়ায় তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, হিংস্র হায়েনারা ফিলিস্তিনের স্বাধীন ভুমি দখল করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তিনিছাত্র ও যব সমাজকে আদর্শিকভাবে গড়ে উঠে জালিম শক্তির বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।
    অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, সরকার মানুষের অধিকার হরণ করেছে। দেশের অর্থ দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার ভারত ও চীনের সহযোগিতায় ক্ষমতায় যেতে চায়। সরকারের সে খায়েশ পুরণ হবে না। সরকারের ২৫২জন বিভিন্ন আমলা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করছে। আমেরিকা আবার এগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি বিস্ফোরণযোগ্য আগ্নেয়গিরিতে রুপান্তরিত হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে এটা বিস্ফোরিত হবে। ওবায়দুল কাদের সাহেব শুধু বলেন, খেলা হবে খেলা হবে, আমরা বলি ফাইনাল খেলা হবে নভেম্বরে ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন দেশপ্রেম ধারন করে জনগণের সাথে আছে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, দেশ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। আওয়ামী দুঃসাশনে দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। ত্রিশ লক্ষ স্বাধীনতাকামী মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছিলাম, শাসকগোষ্ঠী তা বিকিয়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী এই সরকারকে এজেদের জনগণ আর টলারেড করবে না। বায়ান্ন, উনসত্তর ও একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের যুব ও ছাত্র সমাজ গর্জে ওঠেছে। আজকের এই লাখো জনতার প্রতিবাদী হুংকারে যদি গণভবনের গতি না ফিরে তাহলে গতি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা আমরাই করব ইনশাআল্লাহ।

  • মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের মজলুমদের পক্ষে এগিয়ে আসতে এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদের আহবান

    মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের মজলুমদের পক্ষে এগিয়ে আসতে এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদের আহবান

     

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

    স্বরনার্থী ইজরায়েল সন্ত্রাসী বাহিনী ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মজলুম ও শিশু শিক্ষার্থীসহ সকলের উপর নির্মম গণহত্যা, এম্বুলেন্স এবং হাসপাতালেও বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে, পচ্চিমারা ইজরায়েলকে সার্বিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সহযোগিতা করে মুসলিম দেশ গুলো ধ্বংস করতে চাই।

    আমি একজন মুসলিম হিসেবে আমার দায়িত্ব, এসব নির্যাতন ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

  • সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন- পীর সাহেব চরমোনাই

    সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্ক

    সরকারের একতরফা নির্বাচনের আয়োজন
    দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে- মিরপুর ঈদগাঁহ মাঠে বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    আগামী ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ, অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশের ইউনিয়ন সমূহে সদস্য সম্মেলন ঘোষণা ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারের একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটা দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে। এই ভয়াবহ সংঘাত থেকে দেশ রক্ষা করতে পারে কেবল জাতীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফের ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বাধীনতা হুমকিতে পরবে। ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস হবে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তি এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। ইসলামী শিক্ষা ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে। পীর সাহেব চরমোনাই সংঘাত থেকে দেশকে রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, দেশ ভয়াবহ সংঘাতের মুখে নিপতিত। তফসিল ঘোষণার পূর্বেই জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করলে নির্বাচন কমিশনকে চরম খেষারত দিতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
    সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ এবং অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশে ইউনিয়ন ইউনিয়নে সদস্য সম্মেলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর মিরপুর-১ ঈদগাঁহ মাঠে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতির প্রবর্তন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবহেলা ও চরম অব্যবস্থাপনা নিরসন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ।

    নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে নগর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দীন, ছাত্রনেতা শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, নগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ্ব হাসমত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী সিরাজুল, ইসলাম, মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে এর বিকল্প নেই। জনগণ যেভাবে ফুঁসে উঠছে, তাতে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।

    তিনি বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ওয়াদা দিয়েছিলেন যে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, তিনি জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে নিজেদের ক্ষমকার চেয়ার পাকাপোক্ত করেছে। আজকে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাঁবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। পীর সাহেব বলেন, সরকার প্রধান যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণা সরকারের জন্য লজ্জাজনক। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ ভেবেছিলেন বাইডেনের সঙ্গে ছবি তুলে সব সুরাহা করা যাবে। ভিসা নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, জনগণের ভোট ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির জন্য সম্মানজনক নয়।

    মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, প্রশাসনের লোকেরা জনগণের কর্মচারী। আপনারা জনগণের অধিকার নষ্ট করবেন না। সংবিধান স্বীকৃত সভা সমাবেশ করতে বাধা দেবেন না। সব ধরনের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ করুন, তবেই জনগণ আপনাদের ভালোবাসবে। তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের নাগালে রাখার দাবি জানান। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের উপর চেপে বসেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতি করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশ দেউলিয়ার পথে। যে কোন সময় দেশ অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পরবে। এমতাবস্থায় সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। জনগণ রাজপথে নেমে আসছে সরকারের আখের রক্ষা হবে না। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার দুই মেয়র কথার ফুলঝুড়িতে আছে, কোন কাজে নেই। মেয়রদ্বয় চরমভাবে ব্যর্থ। দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করছি। নগরবাসীকে এরা ডেঙ্গু ফেলে দিয়ে এরা নিজেরা বাঁচতে বিদেশে পাড়ি দেয়। এরা জনগণের মেয়র নয়। এরা বুর্জোয়া, নগরবাসী এদেরকে আর মেয়রের আসনে দেখতে চায় না।

  • ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ইমাম সম্মেলন ১২ অক্টোবর

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ইমাম সম্মেলন ১২ অক্টোবর

    নিউজ ডেস্ক

    আগামী ১২ অক্টোবর-২০২৩ খ্রিঃ জুমাবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত সকল ইমামদের নিয়ে ইমাম সম্মেলনের আয়োজন।

    উক্ত ইমাম সম্মেলন সফল করতে
    ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জনাব এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও আলোচনা করেন উখিয়া উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিসার জনাব মাওলানা আমিনুল ইসলাম হেলালী সাহেব।

  • উখিয়া উপজেলা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করা হয়

    উখিয়া উপজেলা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করা হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, কক্সবাজার।

    অদ্য ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ শনিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজিব এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার জনাব মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিনের সঞ্চালনার মধ্য দিয়ে উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    উক্ত শুভ উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্রগাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস আলী, বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, জেলা নির্বাচন অফিসার এস এম শাহাদাত হোসেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নুরুল হুদা, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জনাব নুরুল হক খানসহ এছাড়াও ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিস কম্পিউটার এডিটর ও কর্মচারি বৃন্দ।

  • সাবরাংয়ে ৫০ বছরের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা

    সাবরাংয়ে ৫০ বছরের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা

    বিশেষ প্রতিবেদক ::

    কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ২নং ওয়ার্ড কোয়াইছড়ি পাড়া এলাকায় সাবরাং মৌজার ৩১১নং খতিয়ানের দীর্ঘ ৫০বছরের ভোগ দখলীয় জমি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল কাগজপত্র নিয়ে জোরপূর্বক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে
    একই ইউনিয়নের মৃত্যু আব্দুস সালামের পুত্র
    নুরুল ইসলাম কালু,হোছাইন আহমদ,
    লাইলা বেগম,শাহা জাহান বেগমের বিরুদ্ধে।
    উক্ত জমির ওয়ারিশ শামশুল আলম সাবেক ইউপি সদস্য জানান,আমার মরহুম আব্বা ১একর ৭৩ শতক জমি আমার বড় ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রিকৃত করে দেয়।সে ১৯৭৩ সাল থেকে আজ অবদী দীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আমরা ভোগ দখল করে আসছি,
    আমাদের সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।
    কিন্তু একটি কুচক্রী মহল ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে আমাদের এই পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান,সাবরাং মৌজার ৩১১
    নং খতিয়ানের
    ২৩৪১৫/২৩৪১৬/২৩৪১৭/২৩৪১৮/২৩৪৮১
    নং দাগের ১একর ৭৩ শতক জমি রয়েছে।
    এতে নাল জমি,বসত ভিটা,পানের বরজ ও ঘরবাড়ি রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ জমি পৈত্রিক ওয়ারিশ হিসেবে আমরা ভোগ দখল করে আসছি।বিগত কয়েক বছর থেকে একটি দালাল চক্র অন‍্য মৌজার লোকের নাম মিল আছে বলে প্রভাব খাটিয়ে
    জাল কাগজপত্র সৃজন করে আমাদের এই জমি অবৈধভাবে বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
    তাদের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকার পরও কি কারণে এই জমি দখল করতে আসে আমাদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী,ডিসি,স্থানীয় সকল প্রশাসন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,এসি ল‍্যান্ড
    সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে ন‍্যায় বিচার দাবী জানান এই অসহায় সকল ওয়ারিশগণ।

  • রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডিবির প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডিবির প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    নিউজ ডেস্ক

    কক্সবাজার জেলার রামুর সর্ববৃহৎ বালিকা বিদ্যালয় রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক( এডিবি) প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেন।
    বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই পরিদর্শক দল রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছান।
    পরিদর্শক টিম বিদ্যালয়ে পৌঁছালে স্কুলের ছাত্রীগণ গানের তালে তালে পরিদর্শক টিমদের বরণ করে নেন।
    স্কুলের ছাত্রীরা এসময় বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন।
    পরে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ ঘুরে দেখেন ও বিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন। এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজনীন সরওয়ার কাবেরি বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পাওয়ার অনুরোধ জানান।
    পরিদর্শনকালে মাউশির অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাটি সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেন।
    প্রধান শিক্ষক এম জয়নাল আবেদীন ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজনীন স্যারের কাবেরী বিগত অর্থ বছরের এডিবি বরাদ্দকৃত বাজেটের তদারকি করেন।

    মাউশির অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকে বিদ্যালয়ে এসে, বিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখে বেশ ভাল লেগেছে। স্কুলের যেসব সমস্যা রয়েছে তা ক্রমান্নয়ে সমাধান করা হবে।
    এবং এই স্কুল থেকে যে সকল শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

    এসময় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের মিশন লিডার শামসুল আরেফিন,মাউশি অর্থ ও ক্রয় বিভাগের পরিচালক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম খান, যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক ডঃ শামসুন নাহার উপপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপ পরিচালক ডঃ মোঃ আতাউর রহমান, মাধ্যমিক স্কুলের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক গোলাম গাজী মওলা, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানুরাগী সদস্য তানভির সরওয়ার রানা, দাতা সদস্য ইউনুস রানা, সাংবাদিক মোঃ নেজাম উদ্দিন,ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষা উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।

  • জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়

    জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ রবিবার হইতে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন ব্যাপী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ দিন দিন ব্যাপী সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজিব, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব নুরুল হুদা, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব মৃনাল বড়ুয়া, ইউপি সদস্য জনাব ইন্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, রাজাপালং ইউপি উদ্যোক্তা ওসমান সরওয়ার, গ্রাম পুলিশ জনাব নুর মোহাম্মদ, ইউপি দফদার আব্দুল হক আকাশ, ইউপি সচিব সহকারী জনাব আনোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ হোছাইন, ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মনজুর আলম, ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলম খাঁন, ৪নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব ছৈয়দুল্লাহ, ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সদস্যা বৃন্দসহ উপজেলার আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    সেবা ও উন্নতির দক্ষ রুপকার উন্নয়নে উদ্ভাবনে জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস ” উন্নয়ন মেলা-২০২৩ সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ১ম স্থানের পুরুষ্কার পেলেন এলজিইডি, ২য় স্থান পুরুষ্কার পেলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল উপজেলা, ৩য় স্থান অধিকার লাভ ও পুরুষ্কার পেলেন উখিয়া সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ।