Blog

  • চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার চায় আইনজীবী সমিতি

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার চায় আইনজীবী সমিতি

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণকারী, বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী ও মিথ্যাচারী জেলা প্রশাসক দাবি করে চট্টগ্রাম থেকে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।

    বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন জঘন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মান-মর্যাদা, সম্মান ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যা সত্যিই অপমানজনক, মানহানিকর, দুঃখজনক এবং পাশাপাশি উদ্দেশ্যমূলকও বটে।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘জেলা প্রশাসক সিডিএ-র সচিব এবং প্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডারের মাধ্যমে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে সমিতির ভবনসমূহ অনুমোদিত নয় মর্মে সিডিএ থেকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে অব্যাহতভাবে চাপ প্রদান করে আসছে। এতে ব্যর্থ হয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে একটি এক তরফা প্রতিবেদন নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। তাই চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণকারী, বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী ও মিথ্যাচারী জেলা প্রশাসককে চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসনের সাথে বিচার বিভাগের অতীতের মতো সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি আমরা আস্থাশীল বিধায় জেলা প্রশাসকের অবৈধ কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় আইনি পথে হেঁটেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসক এই আইনি মোকাবিলাকে দুর্বলতা মনে করেছে, যা ভাবার সুযোগ নেই।’

    সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান কর্তৃক আইনজীবী সমিতির ভবন, আদালত ভবন সংক্রান্তে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, ঐতিহ্যবাহী পুরাতন আদালত ভবনের সামনে পার্কিং নির্মাণ করে চলাচলের পথ সংকীর্ণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন সমিতির নেতারা।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলা প্রশাসক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের নাম ব্যবহার করে জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ‘‘পরীর পাহাড়’’ লিপিকৃত ছাপানো পুরাতন ফেস্টুন ও ব্যানার অপসারণ না করে এখনো তা পুরাতন আদালত ভবনে ঝুলিয়ে রেখেছে। যা আদালত অবমাননার সামিল।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি চট্টগ্রাম পুরাতন আদালত ভবনের সামনে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে চলাচলের একমুখী রাস্তার অংশে এবং ভবনের পূর্বপাশের সামনের খোলা জায়গায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাতের অন্ধকারে বাগান নির্মাণ, ফুলের টব স্থাপনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী জনগণ, বিজ্ঞ বিচারক, বিজ্ঞ আইনজীবীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী আদালত অঙ্গনে আসা-যাওয়া করেন। যার কারণে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা হয় এবং অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক সৌন্দর্যবর্ধনের নামে রাস্তা সরু করে প্রতিবন্ধকতা তৈরির কারণে আদালতে আসা সকল পেশা-শ্রেণির মানুষ হাঁটাচলা, গাড়ি চলাচলে বিঘ্নসৃষ্টি, যানজট সৃষ্টিসহ নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে। কিন্তু ডিসি পুলের গাড়িগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে পুরাতন আদালত ভবনের সামনে রেখে যানজট তৈরি করা হচ্ছে।’

    লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আইনজীবী সমিতির পুরাতন পানির সংযোগ সংস্কারকালে জেলা প্রশাসক সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে কাজ বন্ধ করার জন্য লোকজন পাঠিয়ে বাধা প্রদান করেন এবং ওয়াসার চেয়ারম্যান ও এমডিকে ফোন করে পুরাতন পানির লাইনে কাজ না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।এছাড়া আদালত ভবন এলাকায় আনসার ব্যাটেলিয়নের সদস্য এনে নিরাপত্তার নামে বরিশালের মতো ঘটনা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘জেলা প্রশাসকের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আইনজীবী সমিতির আইনি অবস্থান উল্লেখপূর্বক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সমিতির কোনো বক্তব্য না শুনে, সমিতি জায়গার দলিলাদি ও ভবনের অনুমোদন পত্রসমূহ যাচাইবাছাই না করে মিথ্যা পরিদর্শনের নাটক সাজিয়ে মনগড়া একটি তদন্ত প্রতিবেদন হাসিল করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।’

    সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এল এ শাখাসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট। জনগণের ভোগান্তি দূর করতে কোনো প্রকার পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেননি। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিগ্রস্ত শাখা সমূহের অনিয়মসমূহ তদন্ত করা উচিত।’

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সমিতির জায়গা, স্থাপনা ইত্যাদি সম্পর্কে জেলা প্রশাসন থেকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়সহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে সত্য গোপন করে গোপন প্রতিবেদনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’

    এ সময় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেমসহ সমিতির বর্তমান ও সাবেক নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় ভাম্যমান আদালতে একজনের অর্থদণ্ড

    স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় ভাম্যমান আদালতে একজনের অর্থদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় নবাবগঞ্জ উপজেলার গোপালগঞ্জ ইউনিয়নের দাদুরিয়া গ্রামের শ্রী সুকারু বর্মনের ছেলে অভিযুক্ত চিরঞ্জিত বর্মন (২০)কে ১০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর অনুমান ১২.৪৫ ঘটিকার সময় নবাবগঞ্জ থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুজ্জামান সরকার এ দণ্ড দেন।

    অভিযুক্ত চিরঞ্জিত বর্মন গ্রামের প্রবীর সরকার এর মেয়ে মিথিলা সরকার (১৬)কে স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতে।আজ দুপুর অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় অভিযুক্ত শ্রী চিরঞ্জিত বর্মন(২০) ভিকটিম মিথিলা সরকারকে উত্ত্যক্ত করার সময় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ জরুরী সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হয়। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ এর নির্দেশক্রমে পুলিশ উপ-পরিদর্শক বিভূতিভূষণ ব্রতী রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত চিরঞ্জিত বর্মন কে আটক করেন।

    এ সময় নবাবগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামান সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এবং অভিযুক্ত চিরঞ্জিত বর্মন তার দোষ স্বীকার করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার দায়ে দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে তাকে ১০(দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।

  • মিতু হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন

    মিতু হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় পিবিআই দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করা হয়েছে ।

    আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি২২) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিমের আদালতে নারাজি আবেদনটি করেন বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।বাদীর আইনজীবী আহসানুল হক জানান, পিবিআই বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করেনি। বাবুলের দুই সন্তানের একজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তার সঙ্গে কথা না বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এসব কারণসহ নানা ত্রুটি তুলে ধরে পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তে পাঠানোর জন্য আদালতে নারাজি আবেদন দেওয়া হয়েছে। আদালত মামলার সিডিসহ (নথি) শুনানির জন্য আগামী ৬ মার্চ তারিখ ধার্য করেছেন।

    গত ২৫ জানুয়ারি পিবিআই মোশাররফের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

  • উখিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা সম্পন্ন

    উখিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা সম্পন্ন

    এইচ এম শাহাব উদ্দিন তাওহীদ,

    অদ্য ২২ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকল ১১ ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মাসিক সাধারন সভায় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া-টেকনাফের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাবা শাহীন আক্তার এমপি ও উখিয়া-টেকনাফের গরিব অসহায় মানুষের প্রিয়মানুষ সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি।

    উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও
    রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

  • ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় জড়ো হন দুদেশের মানুষ

    ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় জড়ো হন দুদেশের মানুষ

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

     

    এক পাশে বাংলাদেশ আর অন্যপাশে ভারত। সীমান্তের শূন্যরেখায় নেই কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার। দুই দেশের মানুষকে কাঁটাতারের বেড়া পৃথক করলেও ভাষার মাসে ভাষার প্রতি ভালোবাসা যেন তাদের এক করে দেয়। তাইতো এদিন ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সীমান্তের শূন্যরেখায় জড়ো হন দুদেশের মানুষ।

    দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের কথা। প্রতিবছর এদিন ওই সীমান্তের শূন্যরেখায় দুদেশের মানুষের মিলনমেলা হলেও করোনা অতিমারির কারণে এ বছর তা সীমিত পরিসরে করা হয়েছে। এ বছর ভারত ও বাংলাদেশের মানুষেরা সীমিত পরিসরে সীমান্তের ওই এলাকায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছেন।

    সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেইটের ২৮৫নং মেইন পিলারের ১১নং সাব পিলার সংলগ্ন শূন্যরেখায় দিবসটি পালন করা হয়। ভারতের তিওড় উজ্জীবিন সোসাইটি এবং বাংলাদেশের হাকিমপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিবসটি পালনের আয়োজন করে ৷
    এসময় সেখানে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে দুই দেশের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আগতরা।

    এমন আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের তিওড় উজ্জীবিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সূরুজ দাস বলেন, এপার বাংলা, ওপার বাংলার দুই দেশের মানুষের মেলবন্ধনে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছি। সারা বিশ্বে বাংলা ভাষা ছড়িয়ে পড়ুক এই বার্তা দেবার জন্য এবং সম্প্রীতি, ঐক্য ও মিলনের বার্তা দেবার জন্য আমাদের এই প্রয়াস।আয়োজক কমিটির সদস্য ‘আলোকিত সীমান্ত হাকিমপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’ নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, দুই বাংলার মানুষেরা শূন্যরেখায় অস্থায়ী বেদিতে ফুলদিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। এখানে আমাদের ও ভারতের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আমরা বিজিবি ও বিএসএফের অনুমতি নিয়ে শূন্যরেখায় এই আয়োজন করেছি।

    তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা শহীদ দিবসে এই আয়োজন করে আসছি। তবে করোনার কারণে এ বছর সীমিত আকারে করা হয়েছভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক, সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।

    ভারতের পক্ষে ছিলেন- তিওড় উজ্জীবিন সোসাইটির সম্পাদক সূরুজ দাস, হিলি তুরা জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস, হিলি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নারবু শেরপা ও নবদিগন্তের কর্ণধার অমিত সাহা।

  • বিএনপি নেতা কক্সবাজার জেলার কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    বিএনপি নেতা কক্সবাজার জেলার কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

    টেকনাফ প্রতিনিধি,

    আমি স্থানীয় পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছি। ব্যক্তিজীবনে বিএনপিই ছিল ভালোবাসা। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে বর্তমান পর্যায়ে এসেছি। চরম দুঃসময়ে ও আমি বিএনপিকে ছেড়ে যাইনি।

    বিএনপি’র সুসময়ে যারা হালুয়া রুটি খেয়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তারা সবাই পালিয়ে গেল। ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত কোন বিএনপি নেতা পাওয়া গেল না। দলীয় সিদ্ধান্তে সেই বোঝা আমার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হল। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে আমি নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুত করলাম। আমার তথা বিএনপি’র বিজয় সুনিশ্চিত বুঝতে পেরে চারদলীয় ঐক্যজোটের অংশীদার কে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করানো হলো। ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারিয়ে দেয়া হলো। এর পরের ইতিহাস আপনাদের জানা। আমি সব হারিয়েছি।

    ২০১৫ সালের উপজেলা নির্বাচনে ও একই ঘটনা ঘটলো। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও কথিত বিএনপি দের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির জীবনবাজ কর্মীরাই টেকনাফে বিএনপির সংগঠনটি টিকিয়ে রেখেছিল। তারা বিভিন্ন মামলার আসামী হয়েছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ তাদেরকে বাদ দিয়ে পলাতকদের কে নিয়ে বিএনপি’র এক একটি কমিটি গঠন হতে লাগলো। বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীরা এতে বিক্ষুব্ধ হয়েছে। তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেউই এগিয়ে আসেনি। তারা আমার দুঃসময়ের বন্ধু, আমার সহকর্মী আমার রাজনৈতিক সতীর্থ। স্বভাবতই আমি তাদের পক্ষে। কিন্তু আমি বিশৃঙ্খলা সমর্থন করি না। দুঃসময়ে পলাতকদের নিয়ে গঠিত কমিটির সদস্যরা তাদের নিজনিজ এলাকায় ও লাঞ্চিত হয়ছে। এটি তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা। অথচ তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা উল্টো আমার বিরুদ্ধেই নানান অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে।

    তারই ধারাবাহিকতায় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ কে কেন্দ্র করে তারা একটি মিথ্যা কাহিনী তৈরি করেছে। সেখানে আমার নাম ও আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম ও জড়িত করেছে। আমি সবেমাত্র রোগমুক্ত হয়েছি। একান্ত প্রয়োজনীয় কাজগুলো সারাই। কাউকে আক্রমণ করার, মারধোর করার মত শক্তি সামর্থ্য আমার নেই। তা আমি সমর্থন ও করি না। কাউকে আক্রমণ করার জন্য আমার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করার মত বোকা আমি নই। আপনারা আমাকে সরকারি দলের এজেন্ট বলে উল্লেখ করেছেন। আমি সবিনয়ে জানতে চাই ২০০৮ , ২০০৯, ২০১৫ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আপনাদের ভূমিকা কি ছিল? আমার সাথে থাকা বিএনপি’র লড়াকু সৈনিক দের বিরুদ্ধে এতগুলো মিথ্যা মামলা হল, আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকদ্দমা না হওয়ার হেকমত টা জানাবেন। আপনারা কোন ঘটনার শিকার হয়ে থাকলে তা দলীয় হাইকমান্ড কে না জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কার স্বার্থে?

    সত্য উদ্ভাসিত হবেই এবং মিথ্যা দূরীভূত। এটা মহান আল্লাহ তায়ালার চ্যালেঞ্জ। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার বিনীত অনুরোধ করছি।

    প্রতিবাদকারী:-
    আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ-কক্সবাজার জেলা বিএনপি।

  • একুশের ভাষা আন্দোলনের হাত ধরেই বাংলাদেশ পেয়েছিল স্বাধীনতা। তাই একুশ আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক

    একুশের ভাষা আন্দোলনের হাত ধরেই বাংলাদেশ পেয়েছিল স্বাধীনতা। তাই একুশ আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক

    বার্তা সম্পাদক

    মহান এ দিবসে সকল ভাষা শহীদের প্রতি জানাই
    বন্ধন মানবসেবা সংঘ পরিবারের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

    মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল ভাষা শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায়
    বন্ধন মানবসেবা সংঘ পরিবারের পক্ষ থেকে ।
    (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ ঘটিকায়।

    সোনারগাঁ থানা জামপুর ইউনিয়নে
    পাকুন্দা ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায়
    কোরআন এর পাখিদের মাঝে কোরআন শরীফ বিতরন
    সুরা ফাতেহা পাঠ, কোরআন শরীফ তেলাওয়াত,
    দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছে।

    এ সময় উপস্থিতি ছিলেন সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ হৃদয় আহসান মাসুম সহ সংঘঠন এর সকল সদস্যবৃন্দ

  • মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে অবশ্যই জ্ঞান চর্চা করতে হবেঃ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

    মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে অবশ্যই জ্ঞান চর্চা করতে হবেঃ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অবশ্যই মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ, লিখতে, বলতে জ্ঞান চর্চা করতে হবে।

    আজ ২১ ফেব্রুয়ারি”২০২২ইং সোমবার বিকেলের দিকে বান্দরবান বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: আব্দুর রহিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মো: ইসলাম বেবী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক উজ্জল কান্তি দাশ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমুখ।

    এসময় মন্ত্রী বলেন, বিদেশিরাও শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলায় স্কুল কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলা ভাষাকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃভাষার শিক্ষার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫টি সম্প্রদায়ের ভাষার বই ছাপিয়ে দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ভাষার বই ছাপিয়ে দেওয়া হবে। নিজের মাতৃভাষাকে ধারণ করতে হবে, মনে রাখতে হবে। নিজের মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষারও চর্চা করতে হবে। তবে সবার আগে নিজের মাতৃভাষা।

    মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। ভাষা রক্ষায় সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। আমাদের সঠিক ইতিহাস পড়তে হবে, জানতে হবে এবং বলতে হবে। মায়ের ভাষা সম্পর্কে জানতে হবে। শুদ্ধ উচ্চারণ জানতে হবে।

    এ সময় জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশ বলতে বিশ্ব এখন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে চিনেঃ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

    বাংলাদেশ বলতে বিশ্ব এখন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে চিনেঃ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ বলতে বিশ্ব এখন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে চিনে। ভাঙা ও তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে আজ মধ্যবিত্তের দেশ বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বন্দুক দিয়ে নয়, আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যায়। পাহাড়ে কেউ শান্তিতে ও নিরাপত্তায় ছিলনা।

    পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই যুগের বেশি সময় ধরে বয়ে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাধান করেছেন বৈঠকের মাধ্যমে। বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম উপজেলা বান্দরবানের থানচির মত পশ্চাৎপদ এলাকা আজ উন্নয়নের মূলধারায় সংযুক্ত হয়েছে। উন্নয়ন মানে শেখ হাসিনা। ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনা চেয়ে যোগ্য কোন নেতা নাই’।

    রবিবার ২০ ফেব্রুয়ারী”২০২২ইং সকাল ১১টায় লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে এইসব কথা বলেন, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বেলা সাড়ে ১১ থেকে হারাগাজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। পার্বত্য মন্ত্রীর আগমনে লামা ও পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা হতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে মতবিনিময় সভায়।

    বীর বাহাদুর বলেন, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৩৫ বছর যাবৎ বিএনপির চেয়ারম্যান ছিল। তাই এই ইউনিয়নে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। এমপি একা নয় চেয়ারম্যানরাও কাজ করতে হবে। সবাইকে একসাথে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। চেয়ারম্যান মেম্বাররা কাজ করলে অভিনন্দন না করলে সালাম। যারা উন্নয়ন করে জনগণ তাদের পক্ষে। বর্তমানে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা উন্নয়ন কাজ চলছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে। সামান্য একটি ভবনে হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয় চলবেনা। আমি স্কুলটি পুর্নাঙ্গ ভবন করে দিব। আওয়ামী লীগের মত কোন রাজনীতি দল শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবেনি।

    আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তফাৎ আমরা উন্নয়ন করি, তারা করেনা। এই ইউনিয়নের এলজিইডি’র তত্ত¡াবধানে আরো ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা উন্নয়ন কাঝ চলমান। শীঘ্রই ৪টি সড়কের কাজ শুরু হবে এবং আগামী ৩ মাসের মধ্যে ১০৯ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা কাজ শুরু হবে। উন্নয়ন করতে না পারলে বীর বাহাদুর আর এই এলাকায় আসবেনা। আমরা সবাই মিলে বান্দরবানকে ৬৪ জেলার মধ্যেএক নম্বর জেলা করবো।

    তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের এখন ১৪টি কলেজ রয়েছে। বান্দরবানে প্রতিটি করে বিদ্যুৎ যাবে। যেখানে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব না সেখানে সোলার দেয়া হবে। আপনারা (বিএনপি) কি করেছেন মানুষ খুন করেছেন, শেখ হাসিনাকেও অসংখ্যবার খুন করতে চেয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশে খাদ্য, বিদ্যুৎতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। আমরা উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ধানের জমি থাকলে সেচ ড্রেন, ধানের মেশিন, পাওয়ার টিলার ও কৃষি সরঞ্জাম দেয়া হবে। প্রতিটি মানুষকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। সবাইকে পরিশ্রমী হয়ে কাজ করতে হবে।

    শিক্ষকদের উপর আমাদের দেশের ভবিষ্যত। আপনারা যতœবান না হলে আমাদের জাতি অন্ধকারে। এলাকায় কোন ভূমিদস্যুতা মেনে নিবনা। কাউকে ছাড় দিবনা। আওয়ামী লীগ নেতারা ভূমিদস্যুর পক্ষে কথা বলবেন না, তাহলে ছাড় দেয়া হবেনা। থানা গুলোতে কোন দালাল থাকবেনা। ইউএনও ওসিকে ক্ষমতাধররা প্রবাহিত করবেন না। সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবেন। সবাই টিকা নিবেন।

    মতবিনিময় সভায় ও উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন, বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ফাতেমা পারুল, শেখ মাহাবুবুর রহমান, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, এলজিইডি বান্দরবানের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জামাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, ছাচিংপ্রæ মার্মা, মোঃ জসিম উদ্দিন সহ আরও অনেকেই।

  • উখিয়ায়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন,ও দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

    উখিয়ায়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন,ও দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

    উখিয়া প্রতিনিধি,

    বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ উখিয়া উপজেলা শাখার,পক্ষ থেকে, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু দোয়া মাহফিল।

    মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০২২ পালন কমিটির আহ্বায়ক তারেক হাসানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোঃ জসিম উদ্দিন সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ সাদেক। সভার সভাপতি তারেখ হোচাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাঙালি জাতিসত্তার অনুপ্রেরণা ১৯৫২-এর একুশ ফেব্রুয়ারি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ- সবকিছুই একুশের অনুপ্রেরণায় পাওয়া। আমাদের এই শক্তিকে ভুলে গেলে চলবে না। একুশের চেতনা আমাদের চলার পথের পাথেয়। নতুন প্রজন্মকেই এই চেতনা বুকের মাঝে লালন ও পালন করতে হবে’। তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
    আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফারুক (যুগ্ন আহবায়ক) মোঃ জালাল উদ্দিন ( যুগ্ন সদস্য সচিব)
    মনজুর আলম( যুগ্ম সদস্য সচিব)মোঃ নুরুল আমিন মো আব্দুল গফুর লোমান শফিকুল ইসলাম মহান ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ও মুনাজাত দোয়া পরিচালিত হয়।