Blog

  • বিরামপুর থানা পুলিশে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ

    বিরামপুর থানা পুলিশে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    অমর ২১ শে মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিরামপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি পুষ্প মাল্য ও শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে৷ একুশের প্রথম প্রহরে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, এ কে এম ওহিদুন্নবী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল ও সুমন কুমার মহন্ত অফিসার্স ইনচার্জ ৷এসময় থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন |

  • ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব-আলমগীর-আলমগীর ইসলামাবাদী

    ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব-আলমগীর-আলমগীর ইসলামাবাদী

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ইসলামে মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশপ্রেম যেমন ঈমানের অংশ। ঠিক তেমনই মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা থাকাও ঈমানের অপরিহার্য বিষয়। মহাজগতে যা কিছু আছে তা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কুদরত। তেমনি ভাষাও এর ব্যতিক্রম নয়। ইসলাম সব ভাষাকে সম্মান করতে শেখায়।

    পবিত্র কুরআনে আল্লাহতাআলা ইরশাদ করেন: ‘আর আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার জাতির ভাষাতেই ওহিসহ পাঠিয়েছি যাতে করে সে স্পষ্টভাবে আমার কথা তাদের বুঝিয়ে দিতে পারে।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪) হাদিসে উল্লেখ রয়েছে হজরত আবু যর (রা.) থকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রত্যেক নবিকে তার স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)। হজরত মূসা (আ.) এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইবরানি তাই সে ভাষায় তাওরাত কিতাব নাজিল করা হয়েছে। হজরত দাউদ (আ.) এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইউনানি তাই যাবুর সে ভাষায় নাজিল করা হয়েছে।

    হজরত ঈসা (আ.) এর উম্মতের ভাষা ছিল সুরিয়ানি তাই এ ভাষায় ইঞ্জিল কিতাব নাজিল করা হয়েছে। বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর উম্মতের মাতৃভাষা ছিল আরবি তাই কোরআন তার মাতৃভাষা আরবিতে নাজিল করা হয়েছে। ইসলাম মাতৃভাষা নিয়ে গর্ব অবৈধ মনে করে না। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়ের ভাষায় কথা বলতে গর্ববোধ করতেন। তিনি বলতেন, ‘আরবদের মধ্যে আমার ভাষা সর্বাধিক সুফলিত। তোমাদের চাইতেও আমার ভাষা অধিকতর মার্জিত ও সুফলিত। (ইবনুল ‘আরাবী, আল-মু’জাম, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ৩৫৫, হাদিস নম্বর-২৩৪৫)। আমাদের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি শহীদদের অবদান এবং মহানবীর (সা.) মাতৃভাষা প্রীতির অজস্র দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে।

    তাই ভাষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো সচতেন হতে হবে আর নিজ মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

  • আমাদের নারী- কাজী নজরুল ইসলাম

    আমাদের নারী- কাজী নজরুল ইসলাম

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    গুনে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়।

    রূপে লাবন্যে মাধুরী ও শ্রীতে হুরী পরী লাজ পায়।।

    নর নহে, নারী ইসলাম পরে প্রথম আনে ঈমান,

    আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব-প্রথম মুসলমান,

    পুরুষের সব গৌরবস্নান এক এই মহিমায়।।

    নবী নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী নারীদের রাণী,

    যাঁর ত্যাগ সেবা স্নেহ ছিল মরূভুমে কওসর পানি,

    যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি নর-নারী আজো গায়।।

    রহিমার মত মহিমা কাহার, তাঁর সম সতী কেবা,

    নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি সেবা

    মোদের খাওয়ালা জগতের আলা বীরত্বে গরিমায়।।

    রাজ্য শাসনের রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয়,

    শৌর্যে সাহসে চাঁদ সুলতানা বিশ্বের বিস্ময়।

    জেবুন্নেসার তুলনায় কোথায় জ্ঞানের তাপস্যার।।

    বারো বছরের বালিকা লায়লা ওহাবীব দলপতি

    মোদের সাকিনা জাহানারা যেন ধৈর্য মূর্তিমতী,

    সে গৌরবের গোর হয়ে গেছে আঁধারের বোরকায়।।

    আঁধার হেরেমে বন্দিনী হলো সহসা আলোর মেয়ে,

    সেই দিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে

    লক্ষ খালিদা আসিবে, যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।

  • বিরামপুরে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত

    বিরামপুরে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে মহান একুশে ফের্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা

    বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় এ উপলক্ষে চিত্রাংকন
    প্রতিযোগিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা ও পুরস্কার
    বিতরণী করাহয়। ইউনও পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য
    রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী,
    সহকারী পুলিশ সুপার এস এম অহিদুন নবী ও বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি
    আকরাম হোসেন।

  • বিরামপুরে ২১ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

    বিরামপুরে ২১ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে ২১ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গতকাল সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠ প্রাঙ্গণে এ অনুৃষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    বিরামপুর পৌরসভার সার্বিক সহযোগিতায় ও
    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম এর সঞ্চলনায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু ও পৌর মেয়র আককাস আলী, বিরামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বিরামপুর সার্কেল একেএম ওহিদুন্নবী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু, সহকারী কমিশনার ভূমি মুহসিয়া তাবাসসুম, থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনতিয়াজ আহমেদ কামাল প্রমুখ।

    এসময় যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা জামিলুন ইসলাম মন্ডল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন স্কুলের প্রধানগণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী শেষে অতিথিবৃন্দদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী অমর একুশে বই মেলার ৩০টি স্টলে শুভ উদ্বোধন করা হয়।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে মুজিব বর্ষের গৃহ নির্মানের জায়গা পরিদর্শন করেন ইউএনও

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে মুজিব বর্ষের গৃহ নির্মানের জায়গা পরিদর্শন করেন ইউএনও

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    উখিয়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নির্ধারিত জায়গার পাশাপাশি হচ্ছে মুজিববর্ষের ঘর।
    পরিদর্শন শেষে চুড়ান্ত পর্যায়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ মহোদয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ। উখিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি মো: তাজ উদ্দিন। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সোমবার বিকাল ৩ টায় কক্সবজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পার্শ্ববর্তী টিএন্ডটি লম্বাঘোনা গ্রামে মুজিববর্ষের গৃহ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমি পরিদর্শন করতে আসেন। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজ উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ি কন্ট্রাকটর মুফিজ উদ্দিন ও ইঞ্জিনিয়ার সহ ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন …..

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করে ইউনএনও মহোদয় বলেন, দেশের একজন মানুষও মুজিববর্ষে গৃহহীন থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজাপালং ইউনিয়নের মুজিববর্ষ গৃহ নির্মানের জন্য এ জায়গাটি পরিদর্শনে এসে দেখতে পাই ঘরের জন্য এই জায়গাটি খুবেই সুন্দর হবে। আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ আবেগের জায়গা হলো আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো। ঘরের কাজের
    গুণগতমান ও টেকসইয়ের জন্য গুরুত্ব দিতে কাজে নিয়োজিতদের নির্দেশনা দেন তিনি।

    এবং ঘরের কাজে কোন অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য সবসময় কাজগুলো তদারকি করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে জানান।

  • রংপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

    রংপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    আজ থেকে ৭০ বছর আগে মাতৃভাষার আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙ্গালী জাতির সূর্যসন্তানেরা অঙ্গীকারে জীবন উৎসর্গঃ করেছিলেন।এদেশের দামাল ছেলেরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসের পথ ধরে আজ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।অপমানে সারাদেশ জ্বলে উঠেছিলো সেদিন।বর্নমালা সেইদিন থেকে শুরু সেইসাথে শুরু হয়েছে দিন বদলের পালা।

    বাংলাদেশের মানুষ প্রথম ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মাতৃভাষার রক্ষার আন্দোলনে।১৯৫২ সালের ঐক্যের ভিত্তিমূল ছিল অধিকার রক্ষা। ঐ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারী তদানীন্তন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে আত্মত্যাগের নজির সৃষ্টি করেছিলো বাংলাদেশ।মাতৃভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার রাজপথে মিছিল নামে ছাত্র জনতার।সেই মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন সালাম জব্বার, রফিক,বরকত, শফিউল্লাসহ বীর সন্তানেরা।এ অমর বীরত্বগাধা শুধু এ ভূখন্ডে সীমাবদ্ধ নেই। বাঙ্গালীর আত্মত্যাগের স্মরণে একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভায়ায় অভিবিক্ত।তাইতো এই গৌরবময় ২১ শে ফেব্রুয়ারী আমাদের অহংকার। একুশের আত্মত্যাগের মাধ্যমে উম্মেষ ঘটে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের।সেই জাতীয়তাবাদী চেতনার পথ ধরে ১৯৭১ সালের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।সারাদেশের ন্যায় বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।২১/০২/ ২১ ইং সকালে শ্রদ্ধা জানায় বাংলেদশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলা ও মহানগর,মানবতায় মানুষ রংপুর,রংপুর মেট্রোপলিট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রংপুর জেলা, রংপুর পদাতিক নাট্য সংসদ,রংপুর রিপোটার্স ইউনিটি,রংপুর সিটি প্রেসক্লাব,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,বিভাগীয় লেখক পরিষদ রংপুর,লায়ন্স ক্লাব রংপুর মহানগর।

  • মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষে যা বললেন -বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

    মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষে যা বললেন -বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

    সাংবাদিক আবির আহমেদ হামিদ,

    মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বায়ান্ন’র ২১ ফেব্রুয়ারির সকল শহিদদের। রক্তস্নাত ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এটি ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার অভয়বার্তা।

    মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে রাজপথে বুক চিতিয়ে নেমে এসে পুলিশের গুলিকে পরোয়া না করে নিজের দাবিতে সোচ্চার থাকে। নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে তারা মাতৃভাষার মহিমা প্রতিষ্ঠায় যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম পর্যায়। বায়ান্ন সালের ২১’শের পথ ধরেই এদেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়ে অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, আমরা পাই স্বাধীনতার স্বাদ। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সরকারী স্বীকৃতি না দিয়ে তৎকালীন পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এদেশের উপর নিজেদের সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল-এদেশকে স্থায়ীভাবে পরাধীন রাখার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তা প্রতিরোধ করে।

    দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এদেশের উপর সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে নানা কারসাজী চালিয়ে যাচ্ছে। ভিন্ন কায়দায় আমাদের ভাষা সংস্কৃতির ওপর বিদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য। যাতে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারি।

    আর এইজন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারো একদলীয় দু:শাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রকে আরও কঠিনভাবে লৌহ শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতেই মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে এদেশের বারবার বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুক্তির দিশারী বেগম খালেদা জিয়াকে। একদলীয় নির্দয় অপশাসনে উৎপীড়িত জনগণকে অন্ধকার খাঁচায় চিরদিনের জন্য আটকে রাখতে বাক, ব্যক্তি, লিখন, চিন্তার স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এই অপহরণকারিদের পরাজিত করতে হবে। অবিরাম সংগ্রামের মাধ্যমে দল, মত নির্বিশেষে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাই এ মূহুর্তে আমাদের প্রধান কর্তব্য দেশনেত্রীর পূর্ণাঙ্গ মুক্তির জন্য সর্বব্যাপী সংগ্রাম গড়ে তোলা।

    ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে। মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদ ভাষা সৈনিকদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি সমবেদনা। পাশাপাশি ভাষা সৈনিকদের জানাই শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন।

    তাঁদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি।

  • রংপুরে শহীদদের প্রতি তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার শ্রদ্ধা নিবেদন

    রংপুরে শহীদদের প্রতি তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার শ্রদ্ধা নিবেদন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

    “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি” ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা জীবন বাজী রেখে জীবনের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছে তাদের স্বরণে রংপরে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি ও মা সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সোমবার প্রথম প্রহরে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন নারী উদ্যোক্তা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মা সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাহমিনা আহমেদ বিউটি , এস এ জি ডি এফ’র রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ হিল কাফি, তৃনমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির সদস্য তাসমিনা আহমেদ তমা, পুতুল, শরিফা বেগম শিউলী, অফিস সহকারী শাহনাজ বেগম সান্তনাসহ অনেকে।

    উল্লেখ্যঃ একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ১৯৫২সালের একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।

    মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জববার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও শাসকগোষ্ঠির প্রভূসুলভ মনোভাবের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং ভাষার ভিত্তিতে বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।

  • বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী

    বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ, সর্বত্র বাংলা ভাষা চালু, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে শোক আর গর্বের অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। একুশের প্রথম প্রহরে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। ফুলে ফুলে ভরে যায় বাঁশখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

    একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি সহ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ। এরপর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোঃ গালিব সাদলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ওমর ফারুক,বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র এড. তোফাইল বিন হোসাইন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা উম্মুল ফারা বেগম তাজকিরা, উপজেলা কৃষি অফিসার আবু ছালেক, স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার,
    সরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রশিদ আহমদ চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী সহ আওয়ামীলীগ,
    যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগ সহ পৌরসভা আওয়ামীলীগ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ।