Blog

  • কি বলা আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ – ৪৬ ধারায়

    কি বলা আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ – ৪৬ ধারায়

    সাংবাদিক আবির আহমেদ হামিদঃ- রংপুর,

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে,-

    (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, বা

    (খ) রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণু করিবার, বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন,

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 499 এ বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ, সম্প্রচার, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধ ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি Official Secrets Act, 1923 (Act No. XIX of 1923 এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ব্যাখ্যা।— এই ধারায় ‘‘হ্যাকিং’’ অর্থ—

    (ক) কম্পিউটার তথ্য ভাণ্ডারের কোনো তথ্য বিনাশ, বাতিল, পরিবর্তন বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাসকরণ বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিসাধন; বা

    (খ) নিজ মালিকানা বা দখলবিহীন কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে উহার ক্ষতিসাধন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি-

    (ক) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হইতে কোনো উপাত্ত, উপাত্ত-ভাণ্ডার, তথ্য বা উহার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন, বা স্থানান্তরযোগ্য জমাকৃত তথ্য-উপাত্তসহ উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোনো উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন, বা

    (খ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো ধরনের সংক্রামক, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন, বা

    (গ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত বা কম্পিউটারের উপাত্ত-ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করেন, বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা উক্ত কম্পিউটার, সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোনো প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করিবার চেষ্টা করেন, বা

    (ঘ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোনো বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোনো উপায়ে প্রবেশ করিতে বাধা সৃষ্টি করেন বা বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, বা

    (ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত, কোনো পণ্য বা সেবা বিপণনের উদ্দেশ্যে, স্পাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন, বা

    (চ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করিয়া কোনো ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বা ধার্যকৃত চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করেন বা করিবার চেষ্টা করেন,

    তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা বা প্রচারণার দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা চালান বা উহাতে মদদ প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা ৩(তিন) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, কোনো ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করিয়া-

    (ক) প্রতারণা করিবার বা ঠকাইবার উদ্দেশ্যে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচয় ধারণ করেন বা অন্য কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত কোনো তথ্য নিজের বলিয়া প্রদর্শন করেন, বা

    (খ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো জীবিত বা মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে নিজের বলিয়া ধারণ করেন,-

    (অ) নিজের বা অপর কোনো ব্যক্তির সুবিধা লাভ করা বা করাইয়া দেওয়া,

    (আ) কোনো সম্পত্তি বা সম্পত্তির স্বার্থ প্রাপ্তি,

    (ই) অপর কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার রূপ ধারণ করিয়া কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার ক্ষতিসাধন,

    তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

  • সিএমপির হালিশহর থানার অভিযানঃ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে হত্যা, রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার

    সিএমপির হালিশহর থানার অভিযানঃ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে হত্যা, রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    গত ১০/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ নগরীর হালিশহর থানাধীন রোজ উড হোটেলের ৮০২ নং কক্ষে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে নগরীর হালিশহর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

    মামলাটি তদন্তকালে রোজ উড হোটেলের রেজিষ্টার, আসামী কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ, হোটেল রুমে প্রাপ্ত আলামত পর্যালোচনা করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতা আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন (২৬)কে শনাক্ত করা হয়।

    পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) জনাব মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ এর নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) জনাব পংকজ দত্ত এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শরীফ উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ
    ১৩ ফেব্রুয়ারী২২ রাত০২.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা হতে আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন কে গ্রেফতার করে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন মামলার ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। জানায় যে, সে মা বাবার সাথে উত্তরায় নিজ বাড়ীতে বসবাস করে এবং উত্তরা ল্যাবএইড হাসপাতালে রিপোর্ট ডেলিভারী সেকশনে চাকুরি করে। ভিকটিম তার গ্রামের বাড়ীর প্রতিবেশী। ভিকটিম তার স্বামী ও ০৩ সন্তানের সাথে বন্দর থানা এলাকার কলসী দিঘীর পাড়ে বসবাস করত। ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমকে বিভিন্ন কারণে সন্দেহ করায় ভিকটিমের সাথে তার স্বামীর দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং ভিকটিম গত ০১ বছর যাবৎ তার ০৩ সন্তান নিয়ে হালিশহর বাবার বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। একই এলাকার সুবাদে ভিকটিমের সাথে তার পরিচয় হয় এবং গত দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ভিকটিমের সাথে অন্য কোন ব্যক্তির সম্পর্ক তৈরী হয়েছে মর্মে সে ভিকটিমকে সন্দেহ করত।

    ভিকটিমের সাথে তার মনোমালিন্যের কারণে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং সে ভিকটিমকে খুন করার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ঘটনার দিন সকালে রোজ উড হোটেলে উপস্থিত হয়। বিকালে সে ভিকটিমকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুমে নেয় এবং ভিকটিমকে ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানীয় পান করতে দেয়। ভিকটিম ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানীয় পান করার ফলে কিছুটা অচেতন হওয়ার পরপরই ছুরি দিয়ে গলা ও পেটে আঘাত করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে।

    নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সূত্রে উল্লেখিত কু-লেস মামলাটির রহস্য উদঘাটন, অভিযুক্ত ও ভিকটিমের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং গ্রেফতার সম্ভব হয়। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে।

  • নব্য ইউপি সদস্যকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জি,ডি

    নব্য ইউপি সদস্যকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জি,ডি

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নব্য ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জান ও মালের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। জি.ডি নংঃ-৬৪৪। মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে নিজেই ১২ ফেব্রয়ারী রাত আটটার দিকে মিঠাপুকুর থানায় উপস্থিত হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযুক্তরা হলেন, ১.শাহিন মিয়া (৪৫) পিতা মৃত- সেকেন্দার আলী,২. ইলিয়াস আলী (৬৫) পিতা মৃত- আব্দুস সোবহান, ৩.শ্রী নিতাই চন্দ্র (৩৫) পিতা- শ্রী ভবেন চন্দ্র সবাই থানার ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদ খোর্দ্দ কাশিনাথপুর মিঠাপুকুর রংপুর।

    অভিযোগ কারি মতিয়ার রহমান সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সাংবাদিকদের কে বলেন, গত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে সারাদেশে সপ্তম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে মিঠাপুকুর উপজেলার ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছি।

    আমার প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্যরা যারা নির্বাচনে হেরে গেছে। তারা ভোট শেষে গণনা করার সময়, গণনা ভুল হয়েছে বলে একে একে তিনবার গণনা করিয়েছিল। কিন্ত পরেও গণনা ঠিক ছিল। জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছে। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা যারা হেরে গেছে তারাই আমাকে হুমকি, ধামকি দিচ্ছে। আমার জান-মালের ক্ষতি করবেন, আমার পরিবারকে সুখে-শান্তিতে থাকতে দিবেন না মিথ্যা মামলা করবেন বলে, দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে জনগণের সামনে এ হুমকি দিচ্ছে।
    এবিষয়ে জানার জন্য মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, থানায় জি. ডি হয়েছে।

    সত্যতা পাওয়া গেলে। অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ভালোবাসা দিবসের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন যুবলীগ নেতা বশির আহম্মদ

    ভালোবাসা দিবসের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন যুবলীগ নেতা বশির আহম্মদ

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    আজ ভালোলাগার মানুষকে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সান্নিধ্যে শ্রদ্ধাশীল ভালোবাসায় শিক্ত হলেন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দরা।

    ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সোমবারে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে উখিয়া একটি রেষ্টুরেন্টে প্রিয়নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সাথে পুষ্পিত অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গুরু বশির আহম্মদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল হোছাইন আবু, রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি হানিফ ছিদ্দিকী ও অপরাপর উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক তহিদুল আলম তহিদ।

    আজ পহেললা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন, অতীতের দুঃখ, দুর্দশা,অপ্রাপ্তি, হতাশা, অক্ষমতা, না পাওয়ার বেদনা, রোগ, শোক, দৈন্যতা, অতিমারীর ভয়াবহতাকে পেছনে ফেলে নতুন কিছুর প্রাপ্তীর প্রত্যয়ে বর্ণিল সাজে আজ থেকে বদলে যাবে প্রকৃতির সাথে আত্মপ্রত্যয়ী মানুষের চিন্তা চেতনা, ধ্যান ধারনা। আর কবির ভাষায় জানান দেবে ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’ সকলের প্রতি ফাল্গুনের শুভেচ্ছা এই শুভেচ্ছাবাণী।

  • বিরামপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    বিরামপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকারের সভায় উপস্থিত থেকে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ মোহতিরিমা সিফাত, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিনারা বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শিবেশ চন্দ্র কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, ৭ ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় হুমায়ুন কবির বাদশা, আব্দুর রাজ্জাক, ইউনুস আলী মন্ডল, আবুল কালাম আজাদ, রহমত আলী, চিত্ত রঞ্জন পাহান, আঃ মালেক মন্ডল প্রমুখ।

    বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিরামপুর মহিলা কলেজে উপধ্যাক্ষ মেজবাউল হক, সমাজ সেবা অফিসার রাজুল ইসলাম, যুব অফিসার জামিল মুন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতাবৃন্দ,২০ ও ২৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) ক্যাম্প কমান্ডারবৃন্দসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

    আইন-শৃঙ্খলা কমিটির ব্যাপক আলোচনা সভা শেষে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিসভায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়।

  • রাজাপালং এগ্রিগেশন এন্ড সেলস সেন্টারের কমিটির ১৪ সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন সামগ্রিক বিতরণ

    রাজাপালং এগ্রিগেশন এন্ড সেলস সেন্টারের কমিটির ১৪ সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন সামগ্রিক বিতরণ

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব সিকদারবিল, গরু বাজার এলাকার ওয়াল্ড ফুড অর্থায়নে ও রিক বাস্তবায়নে এগ্রিগেশন এন্ড সেলস সেন্টারের কমিটির ১৪ সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন সামগ্রিক বিতরণ কার্যক্রমে মধ্যে রয়েছেন টমমট ২টি, স্মার্ট ফোন ২টি, ফ্যান ২টি, ওয়াটার পাম্প ২টি, ডিমের ক্যাইজ ও চেয়ার ১০টি বিতরণ করা হয়েছে।

    ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পূর্ব সিকদারবিল, গরু বাজার এলাকার এগ্রিগেশন এন্ড সেলস সেন্টারের কমিটির ১৪ সদস্যদের মধ্যে এসব সামগ্রিক বিতরণ করা হয়। ডাব্লিও এফপি প্রতিনিধি মিঃ আলবার্ডটো ও বাংলাদেশী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, রিক প্রকল্প সমন্বয়কারি রুহুল কুদ্দুস এর উপস্থিতিতে
    বিতরণ কালে উপস্থিতি সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেঞ্জিত তালুকদার।
    উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবী। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা এম ইউপি সদস্যা খুরশিদা বেগম।

  • অসহায় অসুস্থ রহিম ড্রাইভারের পাশে মানবিক সেবায় সহযোগিতায় নুর মোহাম্মদ সিকদার ও রিয়াজুল হক

    অসহায় অসুস্থ রহিম ড্রাইভারের পাশে মানবিক সেবায় সহযোগিতায় নুর মোহাম্মদ সিকদার ও রিয়াজুল হক

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন মৃত মোহাম্মদ আলমের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম ড্রাইভার বেশ কিছুদিন পূর্বে স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে বিছনায় পড়ে আছেন নিজ বাড়িতে অসহায় রহিম ড্রাইভার। দিন দিন চিকিৎসাহীন অনাহারে পরিবারটি অসহায়ত্ব হয়ে পরে আছেন বাড়িতে।

    অন্যদিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রাইভেট ট্রিটমেন্টও চলছে অসহায় অসুস্থ রহিম ড্রাইভারের।

    কিন্তু পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের পক্ষে এতো ব্যয় বহুল চিকিৎসার সহ বিভিন্ন খরচ বহন করার মতো সামর্থ না থাকায় সমাজের বৃত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন অসহায় রহিম ড্রাইভার। টাকার ব্যবস্থা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর ব্যবস্থা নেওয়া হত, আর যে কদিন বেঁচে থাকবে অন্তত ডাল ভাত আর ঔষুধ কিনার মতো কিছুটা সহায়ক হতো রহিম ড্রাইভারের।

    সমাজের বিত্তবানদের প্রতি নিবেদন, আপনারা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী একটু সহানুভূতিই বদলে দিতে পারে এই সব অসহায় চিকিৎসা বহ্নিত মানুষের ভাগ্য, তাই বলছি যে যার অবস্থান থেকে আগিয়ে আসুন।

    বিঃদ্রঃ অসুস্থ অসহায় রহিম ড্রাইভারের পাশে থেকে বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সংগ্রহের সহযোগিতার করে আসছেন সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার ও আওয়ামীলীগ নেতা রিয়াজুল হক রিয়াজ। আজ তাঁরই ধারাবাহিকতায় রিয়াজ ও সিকদারের মানবিক নেতৃত্বে আমাদের উখিয়ার কৃতি সন্তান কুমিল্লা লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব ১০,০০০ টাকা দিয়েছেন, উখিয়ার কুতুপালং লাইন সি এন জি সমিতি কর্তৃক সাহাব উদ্দিন ও ফজর আলীর নেতৃত্বে ৮৬০০ টাকা দিয়েছেন, এবং অপরাপর অনেকেই অসুস্থ রহিম ড্রাইভারকে মানবিক আর্থিক সহায়তা করে আসছেন।

  • বিরামপুরে পাথর বোঝাই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যান চালকের মৃত্যু

    বিরামপুরে পাথর বোঝাই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যান চালকের মৃত্যু

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে মোহাম্মদ আলী (৬৫) নামে এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছে।
    রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বিরামপুর উপজেলার দিনাজপুর- গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুরস্থ টিএনটি অফিসের সামনে গোবিন্দগঞ্জমুখী পাথর বোঝাই একটি ট্রাক (কুষ্টিয়া-ট-১১-২৪৭৪) চাকায় পিষ্ট হয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত ভ্যানচালক মোহাম্মদ আলী (৬৫) দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বলিভদ্রপুর গ্রামের মৃত কাইছা মুদ্দিনের ছেলে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ভ্যানচালক ভ্যান চালিয়ে বিরামপুর কলেজ বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এসময় পিছন দিক থেকে গোবিন্দগঞ্জমুখী পাথর বোঝাই ট্রাক (কুষ্টিয়া-ট-১১-২৪৭৪) ভ্যানটিতে ধাক্কা দিলে ভ্যানচালক ট্রাকের নীচে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত হয়।

    বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত মোহাম্মদ আলী (৬৫) লাশ উদ্ধারপূর্বক, পাথর বোঝাই ট্রাকসহ চাকলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

  • ডিগলিয়াপালং রহমানিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার নব নির্মিত নূরানী ভবন শুভ উদ্বোধন

    ডিগলিয়াপালং রহমানিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার নব নির্মিত নূরানী ভবন শুভ উদ্বোধন

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    উখিয়া উপজেলার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান ডিগলিয়া পালং রহমানিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার
    নব নির্মিত নূরানী ভবন শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সভায় ডিগলিয়া পালং রহমানিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা আলহাজ্ব হযরত মওলানা আমির হামজা সাহেবের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্টান সভা দোয়া মুনাজাতের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়।

    ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়া উপজেলার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান ডিগলিয়াপালং রহমানিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার নব নির্মিত নূরানী ভবন শুভ উদ্বোধনী সভায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় বারের মত জনগণের বিপুল ভোটে নব নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব আলী হোসাইন খান, ডিগলিয়াপালং রহমানিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক
    মোওলানা আব্দুল খালেক সাহেব,
    রাজাপালং ৪নং ওয়ার্ডের এম ইউপি সদস্য মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিদুল আলম মুহিত, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেদ ফরহাদ, প্রধান শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেদ, দফাদার আব্দুল হক, সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও বিশিষ্ট আলেম উলামায়ে কেরাম ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে ১৬ কলেজে সবাই পাস,দুইটিতে পাস করেনি কেউ

    চট্টগ্রামে ১৬ কলেজে সবাই পাস,দুইটিতে পাস করেনি কেউ

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এ বছর এইচ এসসি ও সমমানের পরিক্ষায় শতভাগ পাস১৬ টি কলেজে। আর একজনও পাস করেনি এমন কলেজের সংখ্যা দু’টি।
    আজ ১৩ ফেবু্রুয়ারী২২, রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরিক্ষা নিন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্রনাথ এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন ২৬৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়। মহলছড়ির বৌদ্ধ শিশুঘর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে চারজন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে করে কেউ পাস করেনি। এছাড়া চট্টগ্রাম আইডিয়াল কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, কিন্তু পাস করতে পারেনি।

    তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে শতভাগ পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যা ১৬টি। চট্টগ্রাম কলেজ, ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হালিশহর ক্যাটনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যাটনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, সেন্ট প্লাসিড’স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কাপ্তাই, লামার কোয়ান্টাম কলেজ, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, সেন্ট স্কলাসটিকা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কক্সবাজারের বিয়াম ল্যাবরেটরি ( ইংরেজি মাধ্যম) স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেরন সান কলেজ, পশ্চিম কদুরখীল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরি কলেজে শতভাগ পাস করেছে।

    ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর অটোপাস থাকায় শতভাগ পাস ছিল।

    এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৫০ জন আর ছাত্রী ৭ হাজার ৬৭০ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ১৪৩ জন।