Blog

  • পটিয়া ৪২ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় রহমাতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীর প্রথম পুরস্কার অর্জন

    পটিয়া ৪২ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় রহমাতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীর প্রথম পুরস্কার অর্জন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ১৩-১৪- তারিখ রবি-সোমবার পরিক্ষা শেষ হয়ে ১৫ ফেবু্রুয়ারি২২-মঙ্গলবার বিকাল ০৩.৩০মিনিটের সময় আল -জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার শিক্ষা ভবনের ৩য় তলার হল রুমে, জামিয়া পটিয়ার সম্মানিত মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি আবদুল হালিম (বোখারী) সাহেব দাঃবাঃ হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন,
    দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম এর মেধাবী ছাত্র ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহকারী প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি,আজকের দেশ বাংলা,আমার জমিন,দেশ বাংলা বার্তা,আওয়ার কক্সবাজার২৪.কম ও উখিয়া ভয়েস২৪.কম এর চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদীর বড় ছেলে মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীর বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থা, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার ব্যবস্তাপনায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় ২য় গ্রুপে ১ম বিভাগে উত্তির্ন হয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার ও সনদ অর্জন করেছেন।

    রহমাতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীর এই সম্মানজনক পুরস্কার পাওয়ার সব চাইতে যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম, পিতাঃ আলমগীর ইসলামাবাদী, মাতাঃ মোছাম্মৎ উম্মে সালমা (রুমী) দাদা-দাদি, নানী,নানাঃ পীরে কামেল আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ ওমর ফারুকী (রহ.) এর রুহানি ফয়জিয়ত ও নিকট আত্মীয় সজনের দোয়া,প্রাতিষ্টানিকভাবে যাদের মেহেনত, দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা ক্বারি আবুল হাসান সাহেব,স্বেনহের ছোট ভাই হাফেজ মাওলানা শাকের উল্লাহ,হাফেজ মাওলানা জোনায়েদ ও হাফেজ মাওলানা হোসাইনসহ সকল শিক্ষক বৃন্দ।

    সকল উস্তাদ, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে বাবা হিসেবে আলমগীর ইসলামাবাদী ছেলের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য দোয়া চাই,
    আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে ভালো বা-আমল হাফেজ, আলেম, মুফতি, মুহাদ্দিস ও জগত বিক্ষাত ইসলামের দায়ী হয়ে দ্বীনের ক্ষেদমত করতে পারে।

  • সুভা দি আর বিকাশ দার প্রেমের কাহিনীর সূত্রপাত হয় আমাদের হাত ধরে

    সুভা দি আর বিকাশ দার প্রেমের কাহিনীর সূত্রপাত হয় আমাদের হাত ধরে

    ওমর ফারুকঃ- উখিয়া,

    আমাদের বলতে আমি, টুকু,পদ্মা আর লতা।আমাদেরকে বিকাশদা পড়াতেন।আর গ্রামে সবথেকে বড় ঘর প্রভা দিদিদের।যার কারণে আমরা চারজন প্রভাদীর বাড়িতে গিয়ে পড়তাম আর বিকাশ দা ও সেখানে আসতেন।
    আর তাদের প্রেমে ডাকপিয়নও ছিলাম আমরা চারজন।প্রভা দি আমাদের স্কুলে পড়তো।স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রভার দিকে টুক করে বিকাশ দার দেয়া চিঠি হাতে গুঁজে দিতাম আর দৌড় দিতাম। রক্ত শপথ করে আমরা বিকাশ দা আর প্রভাদি দিকে প্রমিস করেছি,এই কথা আমাদের চারজনের বাইরে কেউ জানবেনা।

    রক্ত শপথ ছিলো এরকম,সুই দিয়ে কুট করে একটু ফুটো করতে হয় আঙুল।সেখান থেকে এক ফোঁটা রক্ত নিয়ে একটা পেরেক বসানো কাঠে লাগাতে হয়।লাগিয়ে তা মাটিতে পুঁতে দিতে হয়।আমরা কথা ভাঙ্গলে কাঠের পেরেক বড় হতে থাকবে।সেই পেরেক নড়তে পারে।যে কথা ভাঙ্গবে তার পেট ফুটো করে দিবে পেরেকটা।আমরা চারজনে তাই নিজেদের সাথেও বিকাশ দার প্রেম কাহিনী আলাপ করিনা।

    বিকাশ দার চিঠির সাথে চারটে চকলেটও দিতেন।চকলেট গুলো আমাদের জন্য।আর চিঠি প্রভাদিদির জন্য ।কিন্তু আমাদের সুখের দিন শেষ হয়ে গেলো একদিন।বিকাশদা কলেজে পড়ার জন্য শহরে পাড়ি জমায়।সেদিন প্রভাদির সাথে আমরাও কেঁদেছিলাম জামতলায় বসে বসে।প্রভাদি কেঁদেছে বিকাশদা দূরে চলে যাচ্ছে তাই। আর আমরা কেঁদেছি চকলেট পাবো না আর,তাই!
    কয়দিন পর সত্যিকারের ডাকপিয়ন আসে।আমরা তখন স্কুল থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম।ভাগ্য ভালো বলতে হবে!পথেই চিঠি নিয়ে নিলাম আমরা।বাড়িতে গেলে কেলেঙ্কারি হয়ে যেতো।তারপর থেকে আমরা চিঠি আসার দিনে স্কুল থেকে ফেরার পথে জামতলায় দাঁড়াতাম।

    পিয়ন এসে চিঠি বাড়িতে দিতে পারতো না আর।আমরা পথেই নিয়ে নিতাম।
    এরকম করতে করতে ফাইনাল পরীক্ষা চলে এলো।এবং আমরা পড়লাম বিপদে।বিপদের সূচনা এভাবে,
    চিঠি যেদিন আসবে সেদিন টুকু জামতলায় দাঁড়ানোর কথা ছিলো।কিন্তু টুকুর বাবা বাজার থেকে আসার সময় তাকে জামতলায় দেখে কান ধরে বাড়িতে নিয়ে এসে পড়তে বসিয়ে দিলো।আর চিঠি নিয়ে পিয়ন সোজা আমাদের বাড়িতে চলে এলো।চিঠিটা পড়লো মায়ের হাতে।বাবার হাতে পড়লে রক্ষে ছিলো।

    কিন্তু আমার মা সাক্ষাত দারোগা।মাকে সবাই ভয় পায়।আর মা যখন চিঠি পড়লো তখন মহা বিপদের ঘন্টি বাজলো কোথায় যেনো।তারপর দেখলাম ঘন্টি না।আসলে আমার কানে মায়ের হাতের থাবড় লেগেছে।
    মা ভেবেছে কোন ছেলে আমাকে চিঠি লিখেছে।মাত্র সিক্সে পড়ুয়া মেয়ের কাছে কারো চিঠি!এরকম ভাবাটা আসলে অন্যায় না।কারণ চিঠিতে প্রভা দিকে বিকাশদা ময়না পাখি বলে সম্বোধন করেছে আর বিকাশদা নিজের নামের জায়গায় লিখে,”তোমার প্রাণপ্রিয় স্বামী!”
    আমাকে বেধড়ক পেটানোর পর চিঠিটা ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হয়।তবে আমার পেট থেকে কথা বের করতে পারেনি মা।
    তারপরের বিপদটা হয় সাংঘাতিক!পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমরা সবাই নানীবাড়ি যাই।টুকু গ্রামে ছিলো আমাদের চারজনের মধ্যে।টুকুর বাবার হাতে পড়ে চিঠি।টুকুকে পিটিয়ে কথা বের করে নেয় তার বাবা।আর তারপরের ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক।

    প্রভা দিকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় এক সপ্তাহের মধ্যে।বিকাশদা খবর পায় বিয়ের পরেরদিন।ছুটে আসে গ্রামে কিন্তু প্রভাদি তখন শ্বশুরবাড়িতে।এবার বিকাশদার সাথে আমরা চারজন খুব কাঁদি।বিকাশদা প্রভাদির জন্য আর আমরা দুজনের জন্য কাঁদতে থাকি।
    এরপর বিকাশদা শহরে চলে যায়।আর সবাই প্রভাদির কথা বেমালুম ভুলে যাই।প্রভাদি যখন গ্রামে আসে তখন প্রতিবারই তার চোখ মুখ শুকনা লাগে।মুখে আগের মতো হাসি নেই।শুধু আমাদেরকে দেখলে একটু হাসে।
    একদিন আমরা স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার সময় প্রভাদির বাড়িতে খুব চিৎকার শুনতে পাই।প্রভাদির বর চিৎকার করে কি কি যেন বলছে।পরে শুনলাম প্রভাদি নাকি পালিয়েছে।গ্রামের সবাই বিকাশদাকে খবর দেয়।বিকাশদা অবাক হয়।

    কারণ প্রভা দি তার কাছে যায়নি।বিকাশ কে প্রভাদির বর হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়।তার পরদিন হিজিলিয়া খালে প্রভাদির লাশ ভেসে উঠে।আর বিকাশদা একটা দা নিয়ে প্রভা দির বরের গলা কেটে দিলো।বিকাশদাকে পুলিশে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা চারজন আবার কাঁদলাম।
    প্রভাদির পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আসে,অনেক অত্যাচার করে মেরে গঙ্গায় ফেলে দেয়া হয়েছিলো তাকে।প্রভাদির শ্বশুরবাড়ির লোক পরে স্বীকার করে পুরোটা।প্রভাদি নাকি খুব চুপচাপ চলতো।বারবার তার বর তাকে বিকাশদার কথা বলে বলে মারতো।প্রভাদি চুপ করে থাকতো।কখনো টুঁ শব্দ করেনি।শেষদিন মারের চোটে মরেই যায় প্রভাদি।

    তারপর কেটে যায় ১৪ বছর।বিকাশদা যাবতজীবন কারাদন্ড থেকে মুক্তি পায়।আর গ্রামে সবাই বিকাশ পাগলা বলে চিনতে থাকে।ছোট বাচ্চারা দুষ্টুমি করলে বাবা মা ভয় দেখায়,”বিকাশ পাগলার কাছে দিয়ে আসবো একদম!”
    বাচ্চারা ভয় পেয়ে সিঁটিয়ে যায়।আর আমরা চারজন এখনো মাঝে মাঝে জামতলায় বিকাশদার সাথে বসে বসে কাঁদি।

    লেখক
    ওমর ফারুক
    শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
    আলোকিত ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব কক্সবাজার( উখিয়া)
    মোবাইলঃ- 01857-621831

  • সাতকানিয়ায় নৌকার পক্ষে কাজ করায় এক ব্যক্তির উপর হামলা, থানায় অভিযোগ

    সাতকানিয়ায় নৌকার পক্ষে কাজ করায় এক ব্যক্তির উপর হামলা, থানায় অভিযোগ

    (বিশেষ প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে কাজ করায় মোঃ কামাল হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোঃ কামাল হোসেন (৪৫) ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দাইমারখীল পাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্যু সুলতান আহমদের পুত্র।

    এ ব্যাপারে মোঃ কামাল হোসেন (৪৫) বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাদুরো বাড়ী একালার বাসিন্দা মোঃ কামালের পুত্র মোঃ হিরু (২৫), মোঃ জামালের পুত্র মোঃ রকি (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে ১০ ফেব্রুয়ারী”২০২২ইং তারিখে সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৭ই ফেব্রুয়ারী”২২ইং ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এই ইউপি নির্বাচনে মোঃ কামাল হোসেন ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ছিলেন। ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ রিদুওয়ান ছিলেন। ৯ ফেব্রুয়ারী তারিখে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান ডেকেছে বলে মোঃ কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিবাদীদ্বয় মোটরসাইকেল যোগে কামাল হোসেনকে বোর্ড অফিস সংলগ্ন মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। পরে মোঃ জাহাঙ্গীর (৪৫) এর CNG গাড়িতে তোলে ঢেমশা ইউনিয়ন সংলগ্ন থ্রি.এস.বি ব্রিকফিল্ডের ভিতর হইতে রেলের রাস্তায় নিয়ে যায়। বাদী নিয়ে আসার কারণ জিজ্ঞেসা করলে বিবাদীরা উত্তরে বলে নৌকার পক্ষে কেন ভোট চাইলি,? নৌকার পক্ষে কেন কাজ করছিস বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ১ ও ২নং বিবাদী শরীরর বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি লাথি, খিল, ঘুষি দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ব্রিকফিল্ডের পাশে একটা পানির গর্তে ফেলে দেয়। দীর্ঘ সময় কামাল হোসেন বাড়িতে না ফেরার কারণে তার মা, স্ত্রী ও সন্তান খোঁজা খোজি করে। পরে এক পর্যায়ে একটি পানির গর্তে দেখতে পাই। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার করার সময় বিবাদীগণ উক্ত ঘটনা কাউকে বললে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এমনকি বিভিন্ন ধরনের মামলায় জড়ানো হবেও বলেন বিবাদীরা।

    বর্তমানে মোঃ কামাল হোসেন ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগদেছে। যেকোন সময় তার ওপর হামলা করতে পারে বলেও জানান তিনি।

    এ ব্যাপারে বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রিদুওয়ান জানান, মোঃ কামাল হোসেন একজন সহজ-সরল ব্যক্তি। তিনি গত ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় তার উপর এ হামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে দোষীদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

    এ ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার এস.আই মাহবুব জানান, মোঃ কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

  • “নদীর পাড়ে একা একা দাড়িয়ে সূর্যের কিনারা দেখি”

    “নদীর পাড়ে একা একা দাড়িয়ে সূর্যের কিনারা দেখি”

    ওমর ফারুকঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    গেল সন্ধ্যায় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছিল। আমাদের বাড়ির পাশের শীতলক্ষ্যা নদ, বৃষ্টি মেয়ের প্রেমে উচ্ছল, ক্ষণে ক্ষণে ঢলে পড়ছে! আমার খুব মন খারাপ, মরে যাওয়ার মতন। আমি নদীর পাড়ে একা বসে আছি। আম্মা থাপড় দিয়ে আমার মুখ ভোঁতা করে দিয়েছে। কিন্তু আমার তো কোনো দোষ ছিল না! রিপনের দাদি, ধবধবে ফরসা বলে যাকে সবাই পরি দাদি ডাকে, আমাকে বলে কি, ‘এই ছুড়ি, তোর তো জীবনে বিয়ে হবে না।

    তুই দেখতে কেমন ময়লা। ময়লা মেয়েদের বিয়ে হয় জাওলাদের (জেলে) সঙ্গে, কিন্তু তোর তাও হবে না, তুই বেশি কালা, নাক বোঁচা।
    এর দিন পাঁচেক আগে সিংহশ্রী ইউনিয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আমি ক্লাস ফাইভ এ ট্যালেন্ট পুলে বৃত্তি পাই। আশপাশের দশ গাঁয়ের মধ্যে আমিই একমাত্র মেয়ে যে এমন একটা পাশ দিয়েছি। চাচা, ফুফুরা খুশিই হয়েছেন। তবে আমার অন্য চাচাতো বোনেরা যাদের সঙ্গে আমি জড়াজড়ি করে বড় হচ্ছি তারা সবাই ভীষণ সুন্দরী। পাড়ার ছেলে-বুড়ো সবাই বলে ওদের খুব ভালো বর হবে, বড় ঘর হবে। আমি যতই দুপাতা বিদ্যা কপচাই না কেন আমাকে শেষমেশ আইবুড়ো হয়ে বাপের ঘরের খুঁটি হয়ে থাকতে হবে।

    কিন্তু আমারতো খুব বিয়ের শখ! বিয়ের কন্যাকে কি সুন্দর করে সাজায়, আমার যদিও সোনা গয়না পছন্দ না, কেমন ছ্যারাব্যারা জবরজং লাগে! তবে পলা দি’র বিয়েতে যেমন মালাবদল হয়েছিল, কি স্নিগ্ধ বেলি ফুলের এত বড় মালা, আমার তেমনি মালা পরে কনে সাজতে কি ভালো লাগে। কিন্তু পরি দাদি যেহেতু বলেছেন, সেদিন কালামের মাও বলেছে আমার বিয়ে হবে না, আমি কালো, অসুন্দর। আমার কি যে টেনশন! কী করতে পারি আমি! বিয়ের চিন্তায় অঙ্ক ভুল হয়, লুকিয়ে লুকিয়ে আম্মার বেগম পত্রিকার গল্প পড়তেও আর আগের মতো আগ্রহ পাই না।
    মিলি-ঝিলি-পলিদের দেখে দীর্ঘশ্বাস আরও বাড়ে! কি যে করি! তখন রেডিওতে হেনলাক্স রং ফরসা করার ক্রিমের বিজ্ঞাপন হয়, তেরো টাকা দাম। টাকা কই পাই? আমাদের তখন নুন আনতে পান্তা ফুরায়, প্রায়ই কাগজ কেনার টাকা থাকে না, কলাপাতায় বল পয়েন্ট কলম দিয়ে রাফ অঙ্ক করি। তেরো টাকা অনেক টাকা! এগারো বছর বয়সী আমি মনমরা হয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াই। জানি সব মানুষ মাটির তৈরি, তবে ভালো মাটি মানেই গায়ের রং ফরসা। আমি ভেবে পাই না কেন আমাকে গোয়াল ঘরের মেঝের মাটি দিয়ে বানাল! বিল্লাল, রাজীব ওরা আমার থেকেও কালো। কিন্তু বুঝতে হবে, ওরা তো ছেলে। আর ছেলে হলো খাঁটি সোনা। ব্যাকা হলেও লাখ টাকা দাম।

    নাহ, এভাবে আর চলে না, বিয়ে না করে আমি থাকতে পারব না। আমার বেলি ফুলের মালা চাই, গন্ধরাজ তেল চাই, পা রাঙানো আলতা চাই, বেণি করার লাল ফিতে চাই ই চাই। বর ছাড়া কে দেয় এত! তা ছাড়া বিয়ে করা ফরজ, আইবুড়ো থাকলে বাপ মায়ের অমঙ্গল। আমার ফরসা হতেই হবে। শিং মাছ, শিমের বিচি, পাকা টমেটোর টক আর শুকনা বরই এর খাট্টা দিয়ে ভরপেট ভাত খেয়ে তিনটা চারটা নাগাদ বাড়ির সবাই ঘুমায়। এই সুযোগ! আম্মা আলমের ১ নম্বর পচা সাবান দিয়ে কাপর কাচে, খুব নাকি সাফ হয়। যাক বাবা, হাতের কাছে এত সুন্দর সমাধান! আর আমি কিনা ভেবে মরি। মনের সুখে সাবান গায়ে মাখি (এমনি গোসল এর সময় লাক্স সাবান মাখি, এখন আরও সাফ হওয়ার জন্য।

    একটু পর আমার বুদ্ধি আরও বাড়ে। আমি ম্যারা পিঠার মতো এক কামড় দিয়ে পচা সাবানের অর্ধেকটা খেয়ে ফেলি। হুহ! ফরসা আমি হবই। তারপর বমি টমিই করে করে যাতা অবস্থা। মরেই যাই আরকি। তার ওপর আম্মার দুম্মুর দুম্মুর কিল। আমি কালো হওয়ার অপরাধে নদীর পাড়ে বসে একা একা কাঁদতেই থাকি।

    লেখক,
    ওমর ফারুক উখিয়া কক্সবাজার
    যোগাযোগঃ- ০১৮৫৭-৬২১৮৩১

  • পুর্ব ভোমরিয়াঘোনা মোহাম্মদিয়া তা’লিমুল কোরআন নুরানী কেজি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’র ৭ম তম বার্ষিক সভা আগামীকাল

    পুর্ব ভোমরিয়াঘোনা মোহাম্মদিয়া তা’লিমুল কোরআন নুরানী কেজি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’র ৭ম তম বার্ষিক সভা আগামীকাল

    ইমরান তাওহীদ রানা:- বার্তা সম্পাদক,

    নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলাধীন ঈদগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত পূর্ব ভোমরিয়া ঘোনা মোহাম্মদিয়া তা’লিমুল কোরআন নুরানী কেজি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’র সপ্তম বারের মত বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল

    এ বার্ষিক সভায় আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরামগনের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন -প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম থেকে আগাত মুফতি হেলাল উদ্দিন, বিশেষ আকর্ষণ ঈদগাঁও’র আব্দুর রহমান আজাদ, অত্র মাদ্রাসা’র প্রধান শিক্ষক জাফর আলম,আহমদ হাছান, রামু থেকে আগাত বজলুর রহমান।

    এই বার্ষিক সভা’র অধিবেশন ভিত্তিক সভাপতিত্ব করবেন ফার্ষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক রামু শাখার ম্যানেজার ফরিদুল আলম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল হাকিম।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম,

    সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক ঈদগাঁও চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, হাজী শফিক ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, ঈদগাঁও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হাকিম,অধ্যাপক ইমাম হোসাইন, সমাজ সেবক নুরুল হক, ঈদগাঁও ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ডা.এহেছানুল হক, সমাজ সেবক মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল খালেক, শিক্ষক খাইরুল বশর,সমাজ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, সমাজ সেবক আবুল কাশেম, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা, প্রবাসী আব্দুল মালেক,ফরিদুল আলম,মুমিনল হক,মোহাম্মদ রশিদ,খোরশেদ আলম,মোহাম্মদ ইলিয়াছ,আবু তাহের চৌধুরী নয়ন,বেলাল উদ্দিন,ফোরকান আহমদ,জয়নাল উদ্দিন, ইমাম হোসেন,সমাজ সেবক হুমায়ুন কবির, প্রবাসী মোবারক হোসেন,আব্দু শুক্কুর,গোলাম মোস্তফা, মোসলেম উদ্দিন, মোহাম্মদ মোস্তফাসহ আরু অনেকে।

    উক্ত সভায় সকল মুসলিমদের প্রতি দ্বীনি দাওয়াত জানিয়েছে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি।

  • বিরামপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন উদ্বোধন

    বিরামপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন উদ্বোধন

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    বিরামপুর উপজেলার তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবনেরউদ্বোধন করেছেন, দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলীসাদিক।মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রæ:) দুপুরে গঙ্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জাইকারঅর্থায়নে নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে স্কুল

    পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদকগোলজার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,
    দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। বিশেষ অতিথিছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাসআলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার, উপজেলাআওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নাড়– গোপাল কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টার, মুকুন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুলকালাম আজাদ প্রমূখ।

    এর আগে অতিথিবৃন্দ বিরামপুর শালবাগানবালিকা দাখিল মাদ্রাসার নতুন ভবন ও শালবাগান এতিমখানা মাদ্রাসারভবনের উদ্বোধন করেন।

  • এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে পৌর পরিষদ ও পৌর মেয়র কে পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এর ফুলেল শুভেচ্ছা

    এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে পৌর পরিষদ ও পৌর মেয়র কে পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এর ফুলেল শুভেচ্ছা

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    গতবছর ১৪ ফেব্রুয়ারী ২১ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন-পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী। গতকাল সোমবার পৌর মেয়র আককাস আলীর দায়িত্ব গ্রহণের সাফল্যের এক বছর পূর্তি হলো।

    এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিরামপুর পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন পৌর পরিষদ ও পৌর মেয়র কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এ সময় প্রধান অথিতী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বিশেষ অথীতি হিসাবে ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খাইরুল আলম রাজু ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার ,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মহন্ত ,আওয়ামীলিগের সহ সভাপতি নারু গোপাল কুন্ডু , শিবেশ চন্দ্র কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন , উপাধক্ষ্য মেসবাউল হক I অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন
    পৌর সচিব সেরাফুল ইসলাম আরোও বক্তব্য রাখেন নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম , উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু সোয়েব মোঃ সজল ,হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ,উপ সহকারী প্রকৌশলী বিপাশা রায়

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২য় ধাপের বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি’ ২১ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর করোনা মহামারির মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিরামপুর পৌরসভার উন্নয়ন ও জনমুখী পৌরসভা গঠনে অনন্য উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এক বছর অতিবাহিত করলেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী।

    দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথমেই তিনি পৌরসভার নাগরিকদের সরাসরি সাক্ষাত উম্মুক্ত করে দিয়েছেন। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতনভাতা রেগুলার রেখেছেন।বিরামপুর পৌরসভাকে নান্দনিক ও সুশোজ্জিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আককাস আলী। অতি অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে পৌরবাসীর কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি এক বছরের মধ্যে বিরামপুর পৌরসভা চিত্র পাল্টে দিয়েছে। এক বছর সময়ে মধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় রাস্তা-ঘাট পাকা করণ, ড্রেনেস ব্যবস্থার উন্নয়ন,আরসিসি ড্রেণ নির্মাণ, মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিমখানার ব্যাপক উন্নয়ন করেন তিনি। এছাড়াও শহরের শোভা বৃদ্ধির জন্য তাঁর পরিকল্পনায় শহরে মহাসড়কের উপর রোড ডিভাইডারের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই গাছগুলো ফুল ও লতাপাতায় ভরে উঠেছে। শহরের রাস্তায় চলাচল কারীগণ উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক মুগ্ধতা। মেয়রের এই সফল পরিকল্পনাকে সাধুবাদ ও অভিন্দন জানাচ্ছেন পথচারিরা।

    বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের পেয়ে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েই পৌরসভার উন্নয়নের পরিকল্পনা ও নানা ভোগান্তি থেকে বিরামপুর পৌরবাসীকে মুক্তি দিতে দিনরাত নিরালস ভাবে ছুঁটে চলেছেন তিনি। পৌর পরিষদের কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত তদারকি করছেন প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লার উন্নয়ন মূলক কাজ।

    বিরামপুর পৌরসভা বিগত দিনের ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে পৌর এলাকা তৈরী হয়েছে পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে এক নতুন শহর। ড্রেনেজ সমস্য সমাধানের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নয়ন,পৌর শহরের রাস্তাঘাটের সংস্কার, মাছ বাজার, কাঁচা বাজার ও ঐতিহ্যবাহী পশুহাট পাকাকরণ, মহাসড়কের ডিভাইডারের মাঝে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের চারা রোপন ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটছে। প্রমাণ মিলছে উন্নয়ন ও জনকল্যাণে তার আন্তরিকতার।

    গত ৩০ জুন বিরামপুর পৌরসভার উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

    জানতে চাইলে,পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এর দিক- নির্দেশনায় পৌরবাসীর জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা ও তার সুদূর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পরিকল্পিতভাবে পৌর শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতায় আগামীতে আরো সমৃদ্ধি ঘটবে। তিনি আরো বলেন, বিরামপুর বাসী আমাকে সম্মান দিয়েছেন। এ সম্মানের প্রতিদান স্বরূপ বিরামপুর শহরকে ঢেলে সাজাব। যতটুকু বিচক্ষণতা রয়েছে তার সঙ্গে নেতাদের দিকনির্দেশনা আর সুপরামর্শের ভিত্তিতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারব বলেই আমি আশাবাদী। সেই পথচলার প্রথম ধাপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে আমি মেয়র হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিরামপুর পৌরবাসী তাদের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবেন আমাকে।

    জানতে চাইলে পৌরবাসীরা জানান, পৌর মেয়র আককাস আলী দায়িত্ব গ্রহণের পর তার কর্মতৎপরতায় পৌরবাসী বেশ খুশি। পৌর শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পৌর নাগরিকদের যে সেবা দিয়েছেন তাতে শিগগিরই বর্তমান মেয়র এর হাত ধরেই আধুনিক সেবাসমৃদ্ধ ডিজিটাল বিরামপুর পৌরসভা হবে বলে পৌরবাসীদের বিশ্বাস।

  • কি বলা আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ – ৪৬ ধারায়

    কি বলা আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ – ৪৬ ধারায়

    সাংবাদিক আবির আহমেদ হামিদঃ- রংপুর,

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে,-

    (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, বা

    (খ) রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণু করিবার, বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন,

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 499 এ বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ, সম্প্রচার, ইত্যাদি

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধ ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি Official Secrets Act, 1923 (Act No. XIX of 1923 এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ব্যাখ্যা।— এই ধারায় ‘‘হ্যাকিং’’ অর্থ—

    (ক) কম্পিউটার তথ্য ভাণ্ডারের কোনো তথ্য বিনাশ, বাতিল, পরিবর্তন বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাসকরণ বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিসাধন; বা

    (খ) নিজ মালিকানা বা দখলবিহীন কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে উহার ক্ষতিসাধন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন ও দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি-

    (ক) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হইতে কোনো উপাত্ত, উপাত্ত-ভাণ্ডার, তথ্য বা উহার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন, বা স্থানান্তরযোগ্য জমাকৃত তথ্য-উপাত্তসহ উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোনো উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন, বা

    (খ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো ধরনের সংক্রামক, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন, বা

    (গ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত বা কম্পিউটারের উপাত্ত-ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করেন, বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা উক্ত কম্পিউটার, সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোনো প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করিবার চেষ্টা করেন, বা

    (ঘ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোনো বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোনো উপায়ে প্রবেশ করিতে বাধা সৃষ্টি করেন বা বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেন, বা

    (ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত, কোনো পণ্য বা সেবা বিপণনের উদ্দেশ্যে, স্পাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন, বা

    (চ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করিয়া কোনো ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বা ধার্যকৃত চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করেন বা করিবার চেষ্টা করেন,

    তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭(সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা বা প্রচারণার দণ্ড

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা চালান বা উহাতে মদদ প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১(এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে, বা ৩(তিন) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮

    ( ২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন )

    পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ

    (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, কোনো ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করিয়া-

    (ক) প্রতারণা করিবার বা ঠকাইবার উদ্দেশ্যে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচয় ধারণ করেন বা অন্য কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত কোনো তথ্য নিজের বলিয়া প্রদর্শন করেন, বা

    (খ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো জীবিত বা মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে নিজের বলিয়া ধারণ করেন,-

    (অ) নিজের বা অপর কোনো ব্যক্তির সুবিধা লাভ করা বা করাইয়া দেওয়া,

    (আ) কোনো সম্পত্তি বা সম্পত্তির স্বার্থ প্রাপ্তি,

    (ই) অপর কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার রূপ ধারণ করিয়া কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসত্তার ক্ষতিসাধন,

    তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

    (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয়বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

  • সিএমপির হালিশহর থানার অভিযানঃ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে হত্যা, রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার

    সিএমপির হালিশহর থানার অভিযানঃ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে হত্যা, রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    গত ১০/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ নগরীর হালিশহর থানাধীন রোজ উড হোটেলের ৮০২ নং কক্ষে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে নগরীর হালিশহর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

    মামলাটি তদন্তকালে রোজ উড হোটেলের রেজিষ্টার, আসামী কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ, হোটেল রুমে প্রাপ্ত আলামত পর্যালোচনা করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতা আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন (২৬)কে শনাক্ত করা হয়।

    পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) জনাব মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ এর নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) জনাব পংকজ দত্ত এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শরীফ উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ
    ১৩ ফেব্রুয়ারী২২ রাত০২.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা হতে আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন কে গ্রেফতার করে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন মামলার ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। জানায় যে, সে মা বাবার সাথে উত্তরায় নিজ বাড়ীতে বসবাস করে এবং উত্তরা ল্যাবএইড হাসপাতালে রিপোর্ট ডেলিভারী সেকশনে চাকুরি করে। ভিকটিম তার গ্রামের বাড়ীর প্রতিবেশী। ভিকটিম তার স্বামী ও ০৩ সন্তানের সাথে বন্দর থানা এলাকার কলসী দিঘীর পাড়ে বসবাস করত। ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমকে বিভিন্ন কারণে সন্দেহ করায় ভিকটিমের সাথে তার স্বামীর দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং ভিকটিম গত ০১ বছর যাবৎ তার ০৩ সন্তান নিয়ে হালিশহর বাবার বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। একই এলাকার সুবাদে ভিকটিমের সাথে তার পরিচয় হয় এবং গত দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ভিকটিমের সাথে অন্য কোন ব্যক্তির সম্পর্ক তৈরী হয়েছে মর্মে সে ভিকটিমকে সন্দেহ করত।

    ভিকটিমের সাথে তার মনোমালিন্যের কারণে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং সে ভিকটিমকে খুন করার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ঘটনার দিন সকালে রোজ উড হোটেলে উপস্থিত হয়। বিকালে সে ভিকটিমকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুমে নেয় এবং ভিকটিমকে ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানীয় পান করতে দেয়। ভিকটিম ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানীয় পান করার ফলে কিছুটা অচেতন হওয়ার পরপরই ছুরি দিয়ে গলা ও পেটে আঘাত করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে।

    নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সূত্রে উল্লেখিত কু-লেস মামলাটির রহস্য উদঘাটন, অভিযুক্ত ও ভিকটিমের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং গ্রেফতার সম্ভব হয়। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে।

  • নব্য ইউপি সদস্যকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জি,ডি

    নব্য ইউপি সদস্যকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জি,ডি

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নব্য ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জান ও মালের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। জি.ডি নংঃ-৬৪৪। মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে নিজেই ১২ ফেব্রয়ারী রাত আটটার দিকে মিঠাপুকুর থানায় উপস্থিত হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযুক্তরা হলেন, ১.শাহিন মিয়া (৪৫) পিতা মৃত- সেকেন্দার আলী,২. ইলিয়াস আলী (৬৫) পিতা মৃত- আব্দুস সোবহান, ৩.শ্রী নিতাই চন্দ্র (৩৫) পিতা- শ্রী ভবেন চন্দ্র সবাই থানার ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদ খোর্দ্দ কাশিনাথপুর মিঠাপুকুর রংপুর।

    অভিযোগ কারি মতিয়ার রহমান সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সাংবাদিকদের কে বলেন, গত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে সারাদেশে সপ্তম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে মিঠাপুকুর উপজেলার ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছি।

    আমার প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্যরা যারা নির্বাচনে হেরে গেছে। তারা ভোট শেষে গণনা করার সময়, গণনা ভুল হয়েছে বলে একে একে তিনবার গণনা করিয়েছিল। কিন্ত পরেও গণনা ঠিক ছিল। জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছে। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা যারা হেরে গেছে তারাই আমাকে হুমকি, ধামকি দিচ্ছে। আমার জান-মালের ক্ষতি করবেন, আমার পরিবারকে সুখে-শান্তিতে থাকতে দিবেন না মিথ্যা মামলা করবেন বলে, দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে জনগণের সামনে এ হুমকি দিচ্ছে।
    এবিষয়ে জানার জন্য মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, থানায় জি. ডি হয়েছে।

    সত্যতা পাওয়া গেলে। অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।