Blog

  • বিরামপুরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা

    বিরামপুরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিরামপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা। এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খেটে খাওয়া দিনমুজুর পরিবারের গৃহবধূ, কিশোরীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরী হতো গ্রামীণ কাঁথা। এই কাঁথায় তাদের হাতের ছোয়ায় ফুটিয়ে তোলা হতো নানা নকশা। ঐতিহ্য গ্রামীণ কাঁথা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে।

    লেপ, কম্বল ও দামি চাদরের কারণে চরাঞ্চল বা গ্রামের দারিদ্র পরিবারের সংসারের গ্রামীণ কাঁথা সেলাইয়ের বাড়তি আয়ের উৎস্য এখন আর নেই। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যে মিশে আছে গ্রাচীন শিল্পকলার নিদর্শন এই সুচ শিল্প। সেই সাথে এ শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে গ্রামের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড। সুচের ফোঁড়ে স্বপ্ন বুনন পল্লী নারীদের উপার্জন প্রাচীন ঐতিহ্য গ্রামীণ কাঁথা আধুনিকতার স্পর্শে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

    গ্রামের বিয়েতে কন্যার শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হতো কিংবা শীত নিবারণের জন্য কাঁথা সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতো গ্রামাঞ্চলের কিশোরী ও মহিলারা। গ্রামের নারীদের আড্ডা আর খোস গল্পের ছলে কাঁথা সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে সচারচর আর চোখে পড়ে না। পুরাতন শাড়ি, লুঙ্গি বা ওড়না কাপড়ে রং-বেরঙ্গের সুতা দিয়ে সুনিপুণ হাতে তৈরি করা হয় এ কাঁথা।

    গ্রামের নারীরা মনের মাধুরী মেশানো অনুভুতিতে নান্দনিক রূপ বর্ণ-বৈচিত্রে এই গ্রামীণ কাঁথা বুনন করতেন। নারীদের সুক্ষম হাতে সুচ আর লাল, নীল, সবুজ, বেগুনি, হলুদসহ কয়েক রংয়ের সুতায় নান্দনিকতার বৈচিত্রে সেলাই করা হয়ে থাকে কাঁথা। বিরামপুরেএই সুই-সুতার এফোঁড়-ওফোঁড় করার মাধ্যমে ফুল-ফল, গাছ-লতাপাতা, জিরা গাঁথুনি, চেইন গাঁথুনি, মরিচ লাইট গাঁথুনিসহ বিভিন্ন নকশা ফুটিয়ে তোলা যায় এই কাঁথায়।

    এছাড়া আপন মনের ইচ্ছায় দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র কাঁথায় ফুটিয়ে তোলেন কাঁথা শিল্পীরা। তারা নিজেরাই এর শিল্পী, রূপকার এবং কারিগর। এ শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে গ্রামের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড। বর্তমান সময়ের ব্যবধানে নতুনত্বের ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে হাতের সেলাইয়ে গড়া এই কাঁথার ঐতিহ্য। হাতে তৈরি নানা রকমের ফুল-ফল, পশু-পাখি, গাছ-পালা এবং প্রকৃতির নকশায় সজ্জিত হয়ে উঠত কাঁথা।

    বড় বড় কারখানায় তৈরিকৃত দেশি-বিদেশি রং-বেরঙ্গের রেডিমেট লেপ-কম্বলের চাপায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় গ্রামীণ শিল্পটি। কালের বিবর্তনে আজকাল আর চোখে পড়ে না গ্রামীণ এ কাথাঁ সেলাই এর দৃশ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভাবী নারীরা সংসারের সব কাজ শেষে অবসরে কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করতেন। জায়গা ভেদে একটি কাঁথা সেলাই করতে ১০ দিন হতে এক মাস সময় লাগে। আর মজুরি হিসেবে মেলে ৫শ’ হতে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।

    নিজেদের সংসারে স্বচ্ছলতার পাশাপাশি সন্তানদের বায়না পূরণ, লেখাপড়ার খরচ মেটাতে বেশ ভূমিকা রাখত হাতে তৈরি এই কাঁথা।
    বিরামপুর পৌর শহরের চাঁদপুর মহল্লায় এলাকার কাঁথা সেলাইকারী কুলসুম বেগম, তসলিমা বেগম জানান, আগে আমরা সবসময় নতুন বা পুরাতন কাপড় দিয়ে কাঁথা সেলাই করতাম। এখন দেশি বিদেশি কম্বল, লেপ আসায় এসব হারিয়ে গেছে। সংসারের কাজের ফাঁকে কাঁথা সেলাই করে আয় রোজগার হতো, এখন তা আর হয় না।

    এখন মানুষ কাঁথা সেলাই করে নিতে চায় না, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজে একটা কাঁথা নিয়ে এসে সেলাই করি ৫ থেকে ৮শ’ টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারি না। নিজের কাপড় কিনতে পারি না। পাশাপাশি পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারি। কিন্তু এখন এর চাহিদা নেই। একই এলাকার শিক্ষার্থী মারুফা খাতুন জানান, পড়াশুনার পাশাপাশি কাঁথা সেলাইয়ের কাজ পেলে তা করি। সেই টাকা দিয়ে পড়াশুনার কাজে লাগাই।

    এ ব্যাপারে সমাজ সেবক মোতাহার চৌধুরী জানান, দারিদ্র পরিবারের মহিলাদের সংসারের বাড়তি আয় ছিল গ্রামীণ এ কাঁথা। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঁথা। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি ও নতুন কর্ম-সংস্থান তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে এই খাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসলে হারানো ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

    তবে এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ঋণ সহায়তার পাশাপাশি বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

  • রংপুরে চাকুরী সরকারি করনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    রংপুরে চাকুরী সরকারি করনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    শরিফা বেগম শিউলীঃ- স্টাফ রিপোর্টার রংপুর,

    রংপুরে সরকারি কলেজে বেসরকারি ভাবে কর্মরত কর্মচারীদের চাকুরী সরকারি করনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে
    বেসরকারি ভাবে কর্মরত ৩২ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর চাকুরী সরকারি করনের দাবিতে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে রংপুরে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মচারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কারমাইকেল কলেজের ভুক্তভোগী কর্মচারী রশিদুল ইসলাম বাবু।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে কর্মরত মাস্টারোল কর্মচারীগণ ২০১৩ এবং ২০১৭ সালের দুইদফা লিখিত পরিক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তির্ন হয়ে ২০১৭ সালের মৌখিক পরীক্ষাতেও উত্তির্ন হন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের চাকুরী সরকারিকরণ করা হয়নি। তারা বর্তমানে ৪০০০ থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত সামান্য বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

    বয়স বেশি হওয়ায় অন্যত্র চাকুরী করার সুযোগ আর নেই, তাই মানবিক বিবেচনায় এই অসহায় কর্মচারীদের চাকুরী সরকারিকরণ করে পরিবার গুলোকে বাঁচানোর লক্ষে কার্যকর ব্যাবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজু আহমেদ, রেজাউল করিম, রবিউজ্জামান, ওমর, রফিকুল ইসলাম, নাসির আলী, রওশন আলী, নুরুল হুদা, জাকির হোসেন, রওশন, ইব্রাহিম, সোহরাব, শহিদুল, রাজু সরদার প্রমূখ।

  • সাতকানিয়ায় ১৬টি ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন

    সাতকানিয়ায় ১৬টি ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুইজনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। সাতকানিয়া উপজেলার ১৬টি ইউপির মধ্যে ৪টিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও ১২টিতে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। এতে আওয়ামী- লীগের প্রার্থী ৮টিতে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪টিতে জয় পেয়েছেন।

    ০৭ ফেব্রুয়ারী”২০২২ইং সোমবার সকাল ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পরথেকে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, দুই পক্ষের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বাজালিয়া ও নলুয়া ইউনিয়নে দুইজন নিহত হয়। পরে রাতে ভোট গনণা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

    চার ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- কেঁওচিয়ায় ইউনিয়নে মো. ওসমান আলী, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, পুরানগড় ইউনিয়নে আ ফ ম মাহাবুবুল হক সিকদার ও মাদার্শা ইউনিয়নে আবু নঈম মোহাম্মদ সেলিম।

    এদিকে নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন- চরতী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী, নলুয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মো. লেয়াকত আলী, কাঞ্চনা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী রমজান আলী, খাগরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মো. আকতার হোসেন, কালিয়াইশ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাফেজ আহমদ, ধর্মপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নাছির উদ্দিন টিপু, বাজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী তাপস কান্তি দত্ত এবং সোনাকানিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন জয় পেয়েছেন।

    অন্যদিকে ৪টি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আমিলাইষ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ঢেমশা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা আসলাম সরওয়ার রিমন, পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন, ছদাহা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোরশেদুর রহমান জয় লাভ করেছেন।

  • চকরিয়ার মালুমঘাটে পিকআপের চাপায় প্রাণ গেল আপন ৪ ভাইয়ের

    চকরিয়ার মালুমঘাটে পিকআপের চাপায় প্রাণ গেল আপন ৪ ভাইয়ের

    চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি,

    কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা মালুমঘাট এলাকায় দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যানের চাপায় পুজো দিয়ে ফেরার পথে একই পরিবারের ৪ চার ভাই নিহত হয়েছেন।

    অদ্য ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালের কাছাকাছি এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোর ৫ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালের কাছাকাছি এই ঘটনা ঘটে।
    কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ইনচার্জ পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন জানান, ভোর ৫ ঘটিকার দিকে চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সগীরশাহ কাটা গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র শীলের ৭ ছেলে ও ২ মেয়েসহ পরিবারের ৯ সদস্য পারিবারিক পূজো দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কক্সবাজারমুখী একটি দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যান ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন অনুপম শীল (৪৭), নিরুপম শীল (৪৫), দীপক শীল (৪০) ও চম্পক শীল (৩০)। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    পুলিশ জানিয়েছে, পিকআপটি জব্দ ও চালককে আটক করার চেষ্টা চলছে।

    ডুলহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম আদর জানান, নিহত ৪ সহোদরের সৎকার করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

  • টেকনাফের শাহ্পরীরদ্বীপে সমাজ কল্যাণ যুব সংগঠনের উদ্যোগে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে

    টেকনাফের শাহ্পরীরদ্বীপে সমাজ কল্যাণ যুব সংগঠনের উদ্যোগে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ,

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের ৪নং সাবরাং ইউনিয়ন শাহ্পরীর দ্বীপের কোরআনে হাফেজদের প্রতিভা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিকাশের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে টেকনাফ উপজেলার ৪নং সাবরাং ইউনিয়নের অন্যতম দ্বীনি সংগঠন শাহ্ পরীর দ্বীপ উত্তর পাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংগঠন।

    আগামী ২২ ও ২৩শে ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতা ও ইসলামী মহা সম্মেলন। হিফজুল কোরআন প্রতিযোগীতায় পুরষ্কার হিসেবে থাকছে নগদ ৩০হাজার টাকা, সনদ, ক্রেস্ট, এছাড়া ১০ম স্থানে থাকছে বিশেষ পুরষ্কার,
    এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী হাফেজদের জন্য থাকছে শান্তনা পুরষ্কার।
    সংগঠনের সভাপতি কামাল হোসেন রানা বলেন ,শাহ্ পরীর দ্বীপের প্রায় ১০টি মাদ্রাসার ৪০জন হাফেজে কোরআন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এবং ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জনকারীদের জন্য রয়েছে নগদ টাকা পুরষ্কার।
    সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মৌ: রহমত উল্লাহ এই আয়োজনের উদ্দেশ্যে বলেন, পুরো শাহ্ পরীর দ্বীপে ছড়িয়ে থাকা মেধাবী কোরআনে হাফেজদের খুঁজে বের করতেই তাদের এই আয়োজন।
    এছাড়া, ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন
    আল্লামা হোসাইন আহমদ সাহেব,সাবেক মুহাদ্দিস জামেয়া দারুস সুন্নাহ হ্নীলা টেকনাফ, কক্সবাজার,
    প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন
    মুফতী রিজুয়ান রফিকী সাহেব ঢাকা,
    এই ইসলামী মহাসম্মেলনে আরো উপস্থিত থাকবেন,
    মাওলানা মাসুম বিল্লাহ ইলিয়াছ সাহেব ঢাকা, মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ সাহেব, ইমাম ও খতিব উত্তর পাড়া জামে মসজিদ, সাবরাং, টেকনাফ, কক্সবাজার।

  • বাঁশখালীর সরলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই শিশু পুড়ে অঙ্গার

    বাঁশখালীর সরলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই শিশু পুড়ে অঙ্গার

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এক বসতঘর ও ২ শিশু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় মুহাম্মদ মিনহাজ (১২) নামে এক স্কুল ছাত্র , ৩ বছরের এক কন্যা শিশু (রুহি মনি) পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

    সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারী২২) রাত ৯.৪০ মিনিটের সময় উপজেলার ৭ নং সরল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার পশ্চিম কাহারঘোনা আশিঘর পাড়া আবদুস ছমদ মাঝির বাড়ীতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

    এ ঘটনায় ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের পুত্র মুহাম্মদ ইদ্রিসের বসতঘরসহ তার দুই শিশু আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে ঘরের ভিতরে থাকা ইদ্রিসের এক ছেলে ও এক কন্যা শিশু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন টিম লিডার নুরুল বশর বলেন, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।
    অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌছান। আমাদের ফায়ার টিম ও এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষণে বসতঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক ছেলে ও এক কন্যা শিশু পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।

  • চট্টগ্রামের ১৬ ইউপি’র ১৪ নৌকা ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়

    চট্টগ্রামের ১৬ ইউপি’র ১৪ নৌকা ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার দুই ইউপিতে নৌকাকে হটিয়ে স্বতন্ত্রের জয় সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিত সাতকানিয়ার ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে চারটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় নৌকার প্রার্থীরা। এছাড়া বাকি দুটিতে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

    বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন— চরতি ইউনিয়নে মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী (নৌকা), আমিলাইশ বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হক চৌধুরী, নলুয়ায় মো. লেয়াকত আলী (নৌকা), কাঞ্চনায় রমজান আলী (নৌকা), খাগরিয়ায় মো. আকতার হোসেন (নৌকা), কালিয়াইশে হাফেজ আহমদ (নৌকা), ঢেমশায় মির্জা আসলাম সরওয়ার রিমন (স্বতন্ত্র), ধর্মপুরে নাছির উদ্দিন টিপু (নৌকা), বাজালিয়ায় তাপস কান্তি দত্ত (নৌকা), পশ্চিম ঢেমশায় রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন (বিদ্রুহী)। এরআগে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় কেওঁচিয়া ইউনিয়নে ওচমান আলী (নৌকা), পুরানগড়ে আ.ফ.ম. মাহবুবুল হক সিকদার (নৌকা), মাদার্শায় আবু নঈম মোহাম্মদ সেলিম (নৌকা) ও সাতকানিয়া সদরে মোহাম্মদ সেলিম (নৌকা) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    এরআগে ভোটের আগের রাত থেকেই বিছিন্নভাবে সাতকানিয়ার ইউপি নির্বাচনের উত্তাপ ছড়ায়। সেই উত্তাপ আরও বাড়ে সকালে ভোট শুরুর পর। সহিংসতার তীব্রতা এতোই বেশি ভয়ানক ছিল যে, ভোটে মাঠে প্রাণ গেছে শিশুসহ দুজনের।

    এভাবেই দফায় দফায় সংঘর্ষ আর দুজনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সাতকানিয়ার ১৬ ইউপির ভোট গ্রহণ। সকাল থেকে প্রায় সব ইউপিতে থেমে থেমে দুপক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে।

    ভোটের শুরুতেই খাগরিয়ার গণিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি ঘটনা ঘটে। এরপরই ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় প্রিজাইডিং অফিসার।

    এরপর দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অতর্কিতে প্রতিপক্ষের সমর্থক মনে করে তাসিব (১৩) নামে এক শিশুকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

    এছাড়া বাজালিয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী তাপস কান্তি দত্তের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী শহীদুল্লাহ চৌধুরীর সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আব্দুর শুক্কুর নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।

    অন্যদিকে সকাল থেকে কালিয়াইশ, সোনাকানিয়া, কাঞ্চনাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। উত্তর কাঞ্চনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর দফায় দফায় সংর্ঘষের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে প্রশাসন।

    এদিকে সোনাকানিয়া ইউনিয়নে সকালে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম উদ্দিন চৌধুরী। এই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরার অভিযোগ উঠে পোলিং অফিসারদের বিরুদ্ধে।

    এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে পুরানগড়, কেঁওচিয়া, সাতকানিয়া সদর ও মাদার্শা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যান্য ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৩৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের ৬৭১ বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৩ জন ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৫০৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৮ জন।

  • বিরামপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালেন, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী

    বিরামপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালেন, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে নব-নির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    বিজয়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে পৌর মেয়র বলেন, বিরামপুর প্রেসক্লাবের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। নব-নির্বাচিত কমিটি বিরামপুরের উন্নয়ন,অগ্রগতি ও অসহায় মানুষের জন্য লেখনিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন। তিনি সংগঠনটির উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করেন ও সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

    শুভেচ্ছা বিনিময়কালে নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি আকরাম হোসেন,সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক হাফিজ উদ্দিন সরকার, সহ-সভাপতি এসএম মাসুদ রানা,সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মুসা,কার্যকারী সদস্যবৃন্দ আঃ রশীদ, মাহাবুব রহমান, রায়হান কবির চপল, মিজানুর রহমান, আঃ রউফ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২,আহত অনেক

    সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২,আহত অনেক

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় এক কিশোরসহ দু’জন নিহত করছেন, পৃথক দুই ইউনিয়নে আলাদা ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

    সবশেষ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুর শুক্কুর (৩৫)। তার আগে নিহত কিশোরের নাম তাসিফ (১২)।
    আজ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি২২) দুপুরে সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুর শুক্কুর নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে স্থানীয় কেরানীহাট মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শুক্কুর নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তাপস কান্তি দত্তের অনুসারী ছিলেন।

    চট্টগ্রাম প্রতিনিধিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, বাজালিয়ার নির্বাচনী সহিংসতায় একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম আছে।

    কেরানীহাট মা ও শিশু হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাকিব উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিনিধিকে বলেন, বাজালিয়া থেকে নির্বাচনী সহিংসতায় শুক্কুর নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

    এর আগে উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী সহিংসতায় এক কিশোর নিহত হয়। নিহত কিশোরের নাম তাসিফ।

    নিহত তাসিফ মরফলা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে মরফলা আর এনএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মারফলা বোর্ড অফিসে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছিল। দুপুরের দিকে কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কিত হয়ে মানুষজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। তখন তাসিফও দৌড় দেয়। এরই একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে খুন করে। এরপর কেন্দ্রটির বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে বলেও জানা গেছে।

    ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মিজানুর রহমান অভিযোগ করেছেন, নিহত তাসিফ তার নিকটাত্মীয়। তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে বহিরাগতরা।

    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক চট্টগ্রাম প্রতিনিধিকে বলেন, নলুয়ায় একজন মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

  • বিরামপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

    বিরামপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফ্রান্সিস মার্ডি (৫৬) কে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

    থানা সুত্রে জানা যায়, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্তের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই মাহবুবুর রহমান নের্তৃত্ব সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মাদক মামলার দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফ্রান্সিস মার্ডি (৫৬) কে তাঁর নিজ প্রয়োজনে থেকে গ্রেপ্তার করেন।

    গ্রেপ্তারকৃত মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত ফ্রান্সিস মার্ডি উপজেলার ১নং মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পলিখাঁপুর গ্রামের মৃত ভূষন মার্ডির ছেলে।

    বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৭ আগষ্ট/০৫ সালে বিরামপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় ১৬ সেপ্টেম্বর/২০ সালে আদালত মামলার অন্যতম আসামি ফ্রান্সিস মার্ডিকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রায়ের পর থেকে সে পলাতক ছিল।
    তিনি আরো বলেন, ধৃত আসামীকে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।