Blog

  • বিরামপুরে নারী কোটা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

    বিরামপুরে নারী কোটা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করার দাবিতে সুইস হেলভেটাস ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এবং ডেমক্রেসিওয়াচ অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিরামপুর উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম মানববন্ধন করেছে।

    বিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সোমবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১০টায় মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম রাজু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি উম্মে কুলছুম বানু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জামিল উদ্দিন, একাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু হেনা মোঃ মোস্তফা কামাল, সহ-দপ্তর সম্পাদক এহছানুল হক, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম নূরা, ডেমক্রেসিওয়াচ এর বিরামপুর উপজেলা সমন্বয়কারী আরিফা খাতুন ও বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত ও নির্বাচনে আগ্রহী নারী প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

  • বিরামপুরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় যুব দিবস পালিত

    বিরামপুরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় যুব দিবস পালিত

    এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে “দক্ষ যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে সোমবার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে।

    দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় শুরু হওয়া আলোচনা সভা, যুব ঋণের চেক বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম রাজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মেজবাউল ইসলাম মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম বানু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শ‍্যামল কুমার রায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, সফল আত্মকর্মী মনোহর বাদশা, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম প্রমূখ।

    আলোচনা সভা শেষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ১০জনকে যুব ঋণের চেক বিতরণ ও একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়।

  • চট্টগ্রাম নগরির বেহাল সড়কগুলোে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঝকঝকে রূপে দেখতে চাই-সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

    চট্টগ্রাম নগরির বেহাল সড়কগুলোে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঝকঝকে রূপে দেখতে চাই-সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    নগরীর বেহাল সড়কগুলোকে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঝকঝকে রূপে দেখতে চাই।

    এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রকৌশল বিভাগকে রাত-দিন সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত ও সক্রিয় রাখা হয়েছে।
    শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জাইকার অর্থায়নে অ্যাসপল্ট প্লান্টের মাধ্যমে মাঝির ঘাট রোড, স্ট্রান্ড রোড এবং পিসি রোডের কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে।

    আইস ফ্যাক্টরি রোডে নালার রিটেনিং ওয়ালের কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছিল। তবে এখন আর সেখানে সমস্যা নাই। রোডটিতেও কার্পেটিং কাজ চলছে। এই কাজগুলো ডিসেম্বরে শেষ হবে।

    মেহেদীবাগ রোড, হালিশহর আনন্দ বাজার রোড, আবদুল লতিফ রোড, কে বি আমান আলী রোডের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে। অন্যান্য সড়কেও প্যাঁচওয়ার্ক কাজ চলামান রয়েছে।

    এসব কাজ তদারকী ও মান যাচাইয়ের জন্য কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অতি বৃষ্টি ও একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নষ্ট হয়েছে।

    এসব সড়ক যান ও সাধারণ মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক উপযোগিতা হারিয়েছে। সড়কগুলোতে আপাতত খানা-খন্দক ভরাট করে কিছুটা যান চলাচল উপযোগী করা হলেও বর্ষার কারণে এতদিন স্থায়ী সমাধানে বাস্তব কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

    শুষ্ক মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই সুযোগ এসেছে বর্ষণসহ নানাবিধ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও বেহাল সড়কগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার। তাই আমরা আমাদের প্রকৌশল বিভাগকে রাত-দিন সার্বক্ষণিকভাবে এ কাজে নিয়োজিত রেখেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ও বেহাল সড়কের কারণে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে। সেটা অস্বীকার করার উপায় নাই। সড়কের বেহাল দশার জন্য মানুষের মূল্যবান সময় অপচয় ও স্বাভাবিক নাগরিক জীবন-যাপন ব্যাহত হয়েছে।

    পরিস্থিতি উত্তোরণে সাময়িক সংস্কার করা হলেও অতি বর্ষণের কারণে স্থায়ী সমাধান দেয়া সম্ভব ছিল না। তবে নানা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বেহাল সড়ক সংস্কার, মেরামত ও স্বাভাবিক স্তরে উন্নীতকরণে স্থায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এবং সেই ভাবেই সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। যার সুফল আগামী ডিসেম্বর মাসেই পাওয়া যাবে।

  • Untitled post 3762

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি হাসপাতালের আইসিইউ বেডে এখন নড়াচড়া করছেন।

    রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকিবের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান। তিনি বলেন, শক্ত কিছুর আঘাতে আকিবের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল।

    অস্ত্রোপচার করে সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখনও তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকিবের বাবা গোলাম ফারুক বলেন, আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন, যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

    মেডিকেলের ছাত্রদের আমি বলবো, তারা যেন রাজনীতির নামে নিজেরা মারামারি না করে। এর আগে চিকিৎসাধীন আকিবের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

    ওই ছবিতে আকিবের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায় এবং ওই ব্যান্ডেজের ওপর লেখা- ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’

  • চট্টগ্রাম তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্সে নবনির্মিত জামে মসজিদ পরিদর্শনে-দুদক পরিচালক সৈয়দ মোঃ ইকবাল হোসেন

    চট্টগ্রাম তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্সে নবনির্মিত জামে মসজিদ পরিদর্শনে-দুদক পরিচালক সৈয়দ মোঃ ইকবাল হোসেন

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    গতকাল 30 -10- 2021 ইং নগরীর তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত খুলশী থানায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদরাসায় নবনির্মিত তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স জামে মসজিদ পরিদর্শনে এসেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার পরিচালক সৈয়দ মোঃ ইকবাল হোসেন ।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম এর অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান।

    অতিথিদ্বয় তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব সাহেব এর সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে নবনির্মিত জামে মসজিদ এবং মাদরাসার পড়ালেখার পরিবেশ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে শত শত হাফেজে কুরআন শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁরা পবিত্র এশার নামাজ আদায় করেন।

    এশার নামাজ শেষে উপস্থিত মুসল্লিগণ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে সংক্ষিপ্ত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্থতা ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করে দোয়া-মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয় ।

    বিশেষত; দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্যারের আম্মার মৃত্যুতে কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং তাঁর মরহুমা আম্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করে সূরা ফাতিহা পাঠ, সুরা ইখলাছ পাঠ করে বিশেষ দোয়া-মুনাজাত করা হয়।

    মুনাজাতের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অতিথিদ্বয় বলেন, বহুমুখী দ্বীনি খেদমতে নিরলস অবদান রেখে চলেছেন ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম।

    তাঁরা কমপ্লেক্সের দ্বীনি খেদমত সমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মহোদয় কে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান । ভবিষ্যতে ও কমপ্লেক্সের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকার অভিপ্রায় ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    পরিশেষে, তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান ও সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব সাহেবের দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।

  • বিত্তবান সমাজের নিকট রোমানার আবেদন সে বাঁচতে চায়

    বিত্তবান সমাজের নিকট রোমানার আবেদন সে বাঁচতে চায়

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর), 

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বেলখুরিয়া গ্রামের রমজান আলী ও হোসনে আরার মেয়ে রোমানা খাতুন (১৩) থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। মিতা-মাতা অর্থভাবে তার অপারেশন করাতে না
    পারায় ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে রোমানা।

    বিরামপুর হাসপাতালের বেডে অসুস্থ্য রোমানা এই সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চায়; সে জানিয়েছে বাঁচার আকুতি।রোমানার পিতা-মাতা জানান, জন্মের কয়েক বছর পর থেকে সে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। এতে তাদির সংসারের সব অর্থ কড়ি খরচ করে ফেলেছেন। সর্বশান্ত পরিবার নরুপায় হয়ে আত্মীয় স্বজনদের নিকট ধার-দেনা করেও চিকিৎসা করিয়েছেন।

    তাতেও সুফল মিলেনি। অবশেষে চিকিৎসকরা রোমানার বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের বাইরে এই অপারেশন করাতে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।

    বিরামপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আলী হোসেন বলেন, বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া রোমানার সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। যতদিন অপারেশন করা হবেনা ততদিন প্রতিমাসে বাহির থেকে
    রোমানার শরীরে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আবার বেশিদিন ধরের্ ক্ত দিতে পেলে তার লিভারের সমস্যা হতে পারে।এই বহুমূখী সমস্যায় সর্বশান্ত রোমানার পিতা-মাতা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মেয়ের জীবন বাঁচাতে তাঁরা সর্বস্তরের
    মানুষের নিকট অর্থ সাহায্য চেয়ে মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : বিকাশ-
    ০১৭৮১৮১৫৯৩৩, সঞ্চয়ী হিসাব নং
    ৩৫২৬৩১,রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ডাঙ্গাপাড়া শাখা, দিনাজপুর।

  • চবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াত পত্র ও পরীক্ষা উপকরণ বিতরণ

    চবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মাঝে ইশা ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াত পত্র ও পরীক্ষা উপকরণ বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক ১ম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষা উপকরণ ও দাওয়াত পত্র বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়।

    এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এ হাসিব গোলদার, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ মিছবাহ প্রমূখ।

  • জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে নিজ হাতে তৈরি করা নৌকা উপহার দিলেন ৮ ওয়ার্ডের মাহবুব

    জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে নিজ হাতে তৈরি করা নৌকা উপহার দিলেন ৮ ওয়ার্ডের মাহবুব

    নিজস্ব প্রতিনিধি

    উখিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য ১১ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার আসন্ন সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জনগণের মনোনীত (বর্তমান সফল চেয়ারম্যান) উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুব আলম, যিনি তাঁর নিজ প্রচেষ্টায় অনেক কষ্ট করে একটি নৌকা তৈরী করেন, এবং সে নৌকাটি সুন্দর করে সাঁজিয়ে গুছিয়ে উপহার দিতে যান উখিয়ার দিন মজুরী খেঁটে খাওয়া ও গরীব অসহায় মানুষের পরম বন্ধু রাজাপালং ইউনিয়নের উন্নয়নের রুপকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতীক নৌকা নিয়ে যিনি বর্তমানে নৌকার মাঝি হিসেবে প্রসিদ্ধ জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে।

    সাথে ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহাজান মুন্সী প্রমুখসহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • শেডের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব চিত্রাংকন প্রদর্শনী

    শেডের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব চিত্রাংকন প্রদর্শনী

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর উদ্যোগে এবং কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগীতায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে
    অদ্য ৩১ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য চিত্রাংকন প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।
    চিত্রাংকনের বিষয় ছিল “জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব এবং সামাজিক সম্প্রীতি”।
    উক্ত বিষয়ের আলোকে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অঙ্কিত চিত্রের মধ্য থেকে বাছাইকৃত চিত্রের সমন্বয়ে এই প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়, রহমতের বিল দাখিল মাদ্রাসা, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আবুল কাশেম নুরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাজাপালং শাহ জাব্বারিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এই চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
    এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীর সভাপতিত্ব করেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার জনাব মোঃ ইমামুল হক, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আতিকুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, কেয়ার বাংলাদেশ এবং জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, শেড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শেড ও কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তাবৃন্দ, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধি এবং ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
    উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী বলেন “জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বব্যপী আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের কারণে আমরা দিন দিন আমাদের ঋতু বৈচিত্র হারাচ্ছি। আমাদের একটুখানি সচেতনাতাই পারে আমাদের প্রকৃতিকে তার ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে। এছাড়াও সামাজিক বৈষম্য দূর করে সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলতে পারলে আমাদের দেশ ধাপে ধাপে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌছাতে সক্ষম হবে। এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস”।
    কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টিম লিডার জনাব মোঃ ইমামুল হক বলেন “আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই চিত্রাংকন প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণই বলে দেয় যে তারা তাদের মেধার বিকাশের জন্য এই ধরণের অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী। আমরা ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও অনেক অনুষ্ঠান আয়োজন করার চেষ্টা করব যেখানে এই শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবে।”


    পরিশেষে কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আতিকুর রহমান এবং সিনিয়র টিম লিডার মোঃ ইমামুল হক অনুষ্ঠানে উপস্হিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী, উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সেমিনারে ড. আবু রেজা নদভী এমপি

    নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সেমিনারে ড. আবু রেজা নদভী এমপি

    আলমগীর ইসলামাবাদী (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)

    “নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র জ্ঞানের দ্যূতি উপমহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের দিক-দিগন্ত আলোকিত করেছে”।

    ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌ’র প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’তে অধ্যয়নকারী বাংলাদেশী প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে Towards roting the Islamic vision of education শীর্ষক এক সেমিনার ৩০ অক্টোবর শনিবার সকাল নয়টায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এর চেয়ারম্যান, নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
    দুই অধিবেশনে অনুষ্ঠিত সকাল ৯ টার প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বায়তুশ শরফের পীর ও নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌর সাবেক কৃতি ছাত্র আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী।

    বেলা পৌণে বারটায় দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশের নদভী অঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি আল্লামা সুলতান যওক নদভী।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ওবাইদুর রহমান খান নসীম নদভী, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ শফীউর রহমান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মছরুরুল মাওলা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. দ্বীন মুহাম্মদ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির, আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন।

    বক্তব্য রাখেন সেমিনার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. আতাউর রহমান নদভী, প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, প্রফেসর ড. নাজমুল হক নদভী, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও মাওলানা মুহাম্মদ আমিন নদভী।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এর চেয়ারম্যান, নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র জ্ঞানের দ্যূতি উপমহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আরব, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দিক-দিগন্ত বর্ণোজ্জ্বল করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারন ও সুনাম-সুখ্যতির সাথে জড়িত রয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য মুসলিম মনীষা আল্লামা শিবলী নোমানী, আল্লামা মুহাম্মদ আলী মুঙ্গেরী, আল্লামা সৈয়দ সোলাইমান নদভী, আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) প্রমুখের নাম।

    গত শতাব্দীতে যার বদৌলতে নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ’র পরিচিতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তিনি হচ্ছেন আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.)। নিজ দেশ ভারত থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের সরকার প্রধান ও সুধী মহলে তাঁর গ্রহনযোগ্যতা ছিল আকাশচুম্বি।

    তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তক, সমাজ সংস্কারক ও আধ্যাত্মিক রাহবার, মুসলিম উম্মাহর দিব্যপ্রাণ- দরদি ভাষ্যকার। বিদ্বান ও বিদগ্ধজনের কাছে তাঁর পরিচয় নতুন নয়। বাজপেয়ীসহ ভারতের অনেক সরকার প্রধান তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন এবং তাঁর নিয়মিত খবরাখবর রাখতেন।

    ড. আবু রেজা নদভী এমপি আল্লামা সুলতান যওক নদভীকে বাংলাদেশের নদভী অঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি আখ্যায়িত করে বলেন, আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) অন্যতম শীর্ষ এই মনীষীর বদান্যতায় নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌতে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌতে অধ্যয়নেকালে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

    নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌর অপর কৃতিছাত্র, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ওবাইদুর রহমান খান নসীম নদভী বলেন, নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌর অন্যতম প্রাণপুরুষ আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) গোটা মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তিনি এতই দেশপ্রেমিক ছিলেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে নিজ দেশ ভারতেই জীবনের শেষ সময় অতিবাহিত করেন। তিনি বলেন, আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) বাংলাদেশকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং বাংলাদেশী ছাত্রদের বিশেষ সুযোগ- সুবিধা প্রদানে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং প্রতিবারই চট্টগ্রাম সফরে আসেন। অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এই মহান ব্যক্তি বলেছিলেন, বাংলাদেশ অন্য যে কোন সূচকে পিছিয়ে থাকতে পারে কিন্তু মেধার দিক দিয়ে কোনভাবে পিছিয়ে থাকতে পারে না। তিনি চাইতেন বাংলা ভাষায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো অনূদিত হোক। এ বিষয়ে তিনি খোঁজ খবরও রাখতেন। তিনি হৃদয় বিগলিত দরদ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে বাংলা ভাষার বাগডোর অন্যদের হাতে ছেড়ে দেবেন না। আপনারা চিরকাল পাঠক হবেন, আর অন্যরা লেখক হবে- এটা কাম্য নয়; শোভনীয় নয়। বাংলা ভাষাচর্চায় শিথিলতা আলেমদের বাংলাদেশে অপাঙক্তেয় করে দেবে। সময়ের ব্যবধানে আল্লামা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী (রাহ.) এর সেই ভবিষ্যত বাণী আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ইসলামি জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় আধুনিক প্রযুক্তির সব উপকরনই ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশী নদভী স্কলারদের সুসংগঠিত করে একটি চমৎকার সেমিনারের আয়োজন করায় প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

    অনুষ্ঠানের আন্তর্জাতিক ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ আসাদের পরিবেশনায় তেলাওয়াতে কালামে পাক ও কলরব শিল্পী আবিদ তারানায়ে নদওয়াতুল ওলামা পরিবেশন করেন।
    সেমিনারে বাংলাদেশের