Blog

  • অসুস্থ আমীরে হেফাজতের পাশে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক

    অসুস্থ আমীরে হেফাজতের পাশে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী’র শারীরিক খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে উপস্থিত হোন। দেশের সর্ববৃহৎ দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা ইয়াহইয়া হাফিজাহুল্লাহ।

    আজ ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ফটিকছড়িস্থ নাজিরহাট সেবা ক্লিনিকে তিনি আমীরে হেফাজতের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

    চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করে সন্তোষ প্রকাশ করে আল্লামা ইয়াহইখয়া সাহেব বলেন, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হচ্ছেন এজাতির জন্য আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমত। তিনি কর্মবীর ও আপোষহীন সিপাহসালার। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে হযরতের উপস্থিতি আমাদের জন্য অতীব জরুরি। আমি দেশবাসীর প্রতি বিশেষ আহবান জানাই, হযরতের দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘ নেক হায়াতের জন্য সকলে বিশেষভাবে দুয়া করবেন।

    হাটহাজারীর মাদরাসার মহাপরিচালককে দেখে আমিরে হেফাজত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, আল্লাহর বিশেষ রহমতে ও আপনাদের দুআয় আগের চেয়ে সুস্থতা অনুভব করছি। দেশবাসীকে আমার জন্য দুআ করতে বলবেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে ইসলামের খেদমত করতে পারি।

    পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে এক বিশেষ দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।দোয়াতে আল্লামা ইয়াহইয়া সাহেব মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সুস্থতা, কারাবন্দি হেফাজত নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি ও মজলুম বিশ্ব-মুসলিমের কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করেন।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, নাজিরহাট বড় মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা ইসমাইল, সাবেক হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ বিন ইয়াহইয়া, মাওলানা কামরুল কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা আজিজুল্লাহ ও মাওলানা মুহাম্মদ বিন হাবিব প্রমুখ।

  • বাঁশখালীতে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা; ৩ মামলায় আসামি ১ হাজার, গ্রেফতার ৩৫

    বাঁশখালীতে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা; ৩ মামলায় আসামি ১ হাজার, গ্রেফতার ৩৫

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দূর্গা পূজা চলাকালীন মণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৬২ জন জ্ঞাত এবং ৯৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মন্দিরের পক্ষে থেকে ২টি এবং পুলিশের পক্ষে থেকে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এই সব মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

    এরই মধ্যে তিন মামলায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ আসামি গ্রেফতার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

    এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দীন জানান, বাঁশখালীতে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের করা ৩টি মামলায় জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা বাঁশখালীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছি।

    এই সব মামলায় সিসিটিভির ফুটেজসহ যথাযথ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাকী আসামিদের ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

  • সাবরাং দক্ষিণ নয়াপাড়া বাজার কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন

    সাবরাং দক্ষিণ নয়াপাড়া বাজার কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ প্রতিনিধি।

    ২৪ অক্টোবর (রবিবার) সাবরাং দক্ষিণ নয়াপাড়া বাজার কমিটির ব্যবসায়ীদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ শরিফ, প্রকাশ শরীফ বলি।

    তিনি বাজার কমিটির নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৬৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন।
    ৩১৩ ভোটের মধ্যে পেয়েছেন ১৬৫ টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মৌলভী নুর মোহাম্মদ পেয়েছেন ১৩১ ভোট।

    অন্যদিকে ১৬৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মেহেদী হাসান পেয়েছেন ১৩০ ভোট।

    ২০২ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মৌলভী কলিম উল্লাহ । অপরদিকে মোহাম্মদ আমিন পেয়েছেন ৯৪ ভোট।

    সাধারণ সদস্য পদে প্রথম স্থানে নির্বাচিত হয়েছেন ইমাম হোসেন ২০৯ ভোট পেয়ে।
    এবং দ্বিতীয় স্থানে নির্বাচিত হয়েছেন হাফেজ উল্লাহ ১৮৩ ভোট পেয়ে, এবং তৃতীয় স্থানে নির্বাচিত হয়েছেন ইমাম শরীফ ১৭৪ ভোট পেয়ে, সাধারণ সদস্যদের মধ্যে আমান উল্লাহ ১৩৯ ভোট পেয়েছেন।

    এদিকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোটাররা। তারা মনে করেন ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করবে নির্বাচিত কমিটি।
    এক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ শরীফ বলি বলেন, আমাকে ৩য় বারের মত সভাপতি নির্বাচিত করায় আমি সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার উপর যে আস্থা এবং বিশ্বাস রেখেছেন আমি কখনো বাজার কমিটির সকল সদস্যদের অমর্যাদা করবোনা।
    উল্লেখ্য,এই কমিটি আগামী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবে। এরপর যথারীতি নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

  • হাফেজ মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমানের ইন্তেকালে-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলার শোক প্রকাশ

    হাফেজ মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমানের ইন্তেকালে-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলার শোক প্রকাশ

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান জলদী হোসাইনিয়া কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসার সাবেক সফল অধ্যক্ষ এবং মাদ্রাসার বর্তমান গভর্ণিং বডির সম্মানিত সহসভাপতি
    বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন,
    বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র আলহাজ্ব কামরুল ইসলাম হোসাইনীর শ্রদ্ধেয় আব্বাজান
    হোসাইনিয়া পরিবারের অভিভাবক আলহাজ হাফেজ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান যিনি জলদী হোসাইনয়া কামিল মাদ্রাসাকে কামিল স্তর পর্যন্ত উন্নীত করার অন্যতম ত্যাগ স্বীকারকারী হাজারো আলেমের উস্তাদ
    অত্র দ্বীনি কাননের জন্য যিনি নিজের সর্বস্ব বিলীন করে দিয়েছেন অকাতরে
    অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে তিলে-তিলে অত্র প্রতিষ্ঠানকে যিনি শূন্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে তুলে এনেছেন।
    আত্মপ্রচারবিমুখ নিভৃত্যচারী এই আল্লাহর ওলীর ইন্তেকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী ও সেক্রেচারী মাওলানা জসিম উদ্দীন মিছবাহসহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেন। এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
    আল্লাহ এই গুণী ব্যাক্তিকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান বানিয়ে দিন আমিন।

  • ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে”পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ”এর ম্যাগাজিন” স্বপ্নতরু” প্রদান

    ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে”পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ”এর ম্যাগাজিন” স্বপ্নতরু” প্রদান

    সাহিদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি(ভোলা)।।

    “পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ”এর চলতি ম্যাগাজিন” স্বপ্নতরু” ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ প্রফেসর গোলাম জাকারিয়া স্যারকে প্রদান করা হয়।

    ২৪ অক্টোবর ২০২১ ইং রবিবার ম্যাগাজিনটি প্রদান করেন, “পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ”এর ভোলা জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ।

    এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ ভোলা জেলা শাখার আহব্বায়ক জনাব জামাল উদ্দিন, পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ ভোলা জেলা শাখার সদস্য-সচিব ইলিয়াছ তালুকদার, পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশ ভোলা জেলা শাখার যুগ্ম আহব্বায়ক মো:হৃদয়।
    এছাড়াও সদস্য রবিন শর্মা, জয়ন্ত চন্দ্র সমাদ্দার,ইলিয়াছ, আল-আমিন, তানিয়া আকতার শিমু সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • ওসি আব্দুল হাই এর মানবিক উদ্যোগে বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পেল ১টি সংসার

    ওসি আব্দুল হাই এর মানবিক উদ্যোগে বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পেল ১টি সংসার

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি)::

    কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই এর মানবিক উদ্যোগে বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পেল ১টি সংসার।

    সহযোগিতায় ছিলেন- মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবাল, এস আই মফিজ, এ এস আই নুরুন্নবী টিপু, এ এস আই আকবর।

    সার্ভিক সহযোগীতায়র ছিলেন- বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার হাবিবুল্লাহ, মহেশখালী প্রেসক্লাবের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, মহেশখালী অনলাইন পপ্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার মহেশখালী উপজেলা প্রতিনিধি মিছবাহ উদ্দীন আরজু।

    মহেশখালী উপজেলা বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মাওলানা আনসুর আলী পাড়ায় দীর্ঘ দিনের স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক বিরোধ মিমাংশায় স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদের কাচা কাচি ১টি সংসার, স্বামীর কাছে স্ত্রীকে তুলে দিলেন- মহেশখালী থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই।

    উল্লেখ্য যে সময়ে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক বিরোধ’কে কেন্দ্র করে কতিপয় নেতাদের বিচারের নামে দেন দরবার ভালই জমে উঠেছিল।

    পরিশেষে ২৪ অক্টোবর (রবিবার) রাতে মহেশখালী থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই এর মধ্যস্থায় স্বামী স্ত্রী পূনারায় ফিরিয়ে পেলেন তাদের সংসার, তাদের সংসারে ফুটফোটে দুইটি ছেলে ও দুইটি কন্যা সন্তান ছিল, ছেলে-মেয়ে পেল পিতার আদর স্নেহ, স্ত্রী পেল স্বামীর অধিকার।

    মহেশখালী থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই এর মানবিক উদ্যোগ’কে স্বাগতম জানিয়েছেন- মহেশখালী উপজেলার সচেতন মহল।

  • কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২৪ টি চোরাইকৃত মোবাইল উদ্ধারসহ ১ আসামী গ্রেফতার

    কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২৪ টি চোরাইকৃত মোবাইল উদ্ধারসহ ১ আসামী গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    ১৬ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ তারিখে সকাল অনুমান ১১ ঘটিকার দিকে সেবা টেলিকমের এক বিক্রিয় কর্মীর সরল বিশ্বাসের সুযোগে সিএনজি গাড়ীর পিছনে রাখা ২৪ টি মোবাইল নিয়ে সিএনজি চালক পালিয়ে যায়।
    উক্ত বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা রুজু হলে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকষ টিম সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষন করে সিএনজি গাড়ী শনাক্ত করে সিএনজি গাড়ীটি জব্দ করে ড্রাইভারকে চিহ্নিত করে।

    পরবর্তীতে গত ১৯ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ২০/১০/২১ খ্রিঃ অনুমান ১.৩০ ঘটিকার দিকে চকরিয়া থানা এলাকা থেকে উক্ত পলাতক আসামী (সিএনজি চালক) আমান উল্লাহ ছোটন (৩৫), পিতা- মৃত সাচী মিয়া, সাং- বদরখালী, (২ নং ওয়ার্ড), থানা- চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার
    গ্রেফতারসহ আসামীর হেফাজত হতে চোরাইকৃত ২৪ (চব্বিশ) টি মোবাইল উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে নিহত-২

    বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে নিহত-২

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    থানায় ঢুকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ছাত্রলীগ নেতার!

    বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আবদুল খালেক ও সুলতান মাহমুদ টিপু নামে ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার জের ধরে থানায় ঢুকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাসেল ইকবাল। গত বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী থানার মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে। বিষপানকালে রাসেলকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন বাঁশখালী থানার মূল ফটকে থাকা পুলিশ সদস্যরা।

    জানা গেছে, গত বুধবার (২০ অক্টোবর২১) বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মনছুরিয়া বাজার এলাকায় বসতবাড়ির সীমানায় পানি নিষ্কাশনের পাইপ বসানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আবদুল খালেক (৩০) ও সুলতান মাহমুদ টিপু (২৫) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হন। একই ঘটনায় দুই পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
    সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- এক পক্ষের মঞ্জুর আলম (৪০) ও বাহাদূর (৩২) এবং অপর পক্ষের কামাল হোসেন (৫০)। নিহত আবদুল খালেক ও টিপু সুলতান মাহমুদ গুরুতর আহত কামালের পক্ষের লোক। এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন-বাহাদুর (৩২), মনজুর আলম (৪০), রাসেল (২৯), ছিদ্দিক আহমদ (৫২) ও জাকের হোসেন (৩৮)। এর ছিদ্দিক আহমদ হচ্ছেন থানায় ঢুকে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ইকবালের পিতা।

    বাবাকে আটকের পরপরই সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে থানার উদ্দেশ্যে রওয়া হন রাসেল ইকবাল। গাড়িতে থাকা অবস্থায় ফেসবুক লাইভে আসেন রাসেল। থানায় বিষপানের আগ-মুহুর্ত পর্যন্ত লাইভে যুক্ত ছিলেন তিনি।

    এসময় তাকে লাইভে বলতে শোনা যায়, ‘আমার নাম হচ্ছে রাসেল ইকবাল। আমি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদক। আমার বাড়ি বাঁশখালী। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের মনছুরিয়া বাজার এলাকায়। আমি এর আগে থেকেও অনেকবার, তিনবার আমাকে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমার বাবা নিরপরাধ একজন মানুষ। আমিও কোন অপরাধ করি নাই। আমাদের এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে আজকে। ওখানে একজন মানুষ নাকি মারা গেছে। ওই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, কোন প্রমাণ ছাড়া কালা শুক্কুর ও ডাকাত পাগলা শাহ্ আলমের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম, ওরা বিভিন্নভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে মামলায়। আজকে আমার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে আসছে। এসআই হাবিব। এসআই হাবিব সাহেবের উচিত ছিল ওখানে গিয়ে তদন্ত করা, এলাকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার তথ্য প্রমাণ নেওয়া। কে ঘটনার সাথে ছিল, কে ছিল না সেটা তদন্ত করা। এবং এই ওসি কামাল সাহেব। উনার সাথে কালা শুক্কুরের ভালো সম্পর্ক। কালা শুক্কুর বলছে, সে জন্য এখন আমার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন আমাকেও নাকি পুলিশ খুঁজছে।’

    ‘এখন আমি ভাই, একজন ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে যদি আমার এ অবস্থা হয়, আমার পরিবারের যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে ভালো থাকবে বলেন? এর আগেও আমার বন্ধুর সাথে একটা মেয়ের সম্পর্ক ছিল, এখন আমার বন্ধু আর ঐ মেয়েটা ওরা পালিয়ে বিয়ে করছে। ওই মামলায় কালা শুক্কুর আমাকে ফাঁসায় দিয়েছে। তারপর আমার বন্ধু একজনের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছে, এখন আমি যখন রাজনীতি করি, আমাকে ডাকছে। ঐ ছেলেটাকে ডাকছে। আমি কথা বলছি। এখন আমি নাকি তাকে অপহরণ করেছি বলে, তখন ওসি সালাউদ্দিন হীরা ছিল, তারপর এসআই রফিক ছিল, তদন্ত ওসি শরীফ ছিল। উনারা গিয়ে আমার বাবাকে মারতেছে। তারপর সে বাবদ আমার বাবার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিছে। আজকে আমি বেঁচে থাকার মত কোন ইয়া…..দেখছিনা।’

    ফেসবুক লাইভের এক পর্যায়ে রাসেল ইকবাল বিষের বোতল হাতে নিয়ে বলেন, আজকে আমি থানার সামনে এগুলা (বিষ) খাবো৷ আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে, পুলিশ প্রশাসন। যারা আমার বাবাকে ধরে আনছে ওরা আর এলাকার থানার দালালগুলো। আমার জীবনে আমার বাবাকে কখনো কোন মানুষের সাথে অন্যায় করতে দেখি নাই, খারাপ করতে দেখি নাই। আজকে আমি আসছি থানায়।’

    সিএনজি অটোরিকশা থেকে বাঁশখালী থানার সামনে নেমে ফেসবুক লাইভের এক পর্যায়ে থানার মূল ফটকে গিয়ে তিনি বলেন,’এখন আমি থানায় আসলাম। আজকে আমি মরবো, না হয় আমার বাবাকে…..।’

    ততক্ষণে বিষ মুখে নিয়ে নেন রাসেল ইকবাল। এসময় থানার মূল ফটকে থাকা মহিলা পুলিশ সদস্যরা তাকে থামানোর জন্য চেষ্টা করেন।

    বিষ পান করার পরপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়।

    বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার নাথ বলেন, ‘বিষপান করা রাসেলকে বিকেল ৪টার দিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

    রাসেল ইকবালের সাথে চমেকে অবস্থান করা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামনুর রহমান চৌধুরী জানান, ‘রাসেল ইকবাল ছাত্রলীগের একজন ত্যাগী কর্মী। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সে অনেকবার মামলার শিকার হয়েছে। তার ভাষ্য, তার কারণে মা-বাবা অপমানিত হবে কেন? এই বলে সে বিষপান করে। এখন সে চমেকের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আছে। তার শরীর ওয়াস করা হচ্ছে।’

    বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দীন জানান, ‘শীলকূপে বসতবাড়ির সীমানায় পানি নিষ্কাশনের পাইপ বসানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন মারা যাওয়ার ঘটনায় আটক দুজনের মধ্যে একজনকে নির্দোষ দাবি করে থানা ফটকে বিষপান করেছেন তার ছেলে রাসেল ইকবাল। রাসেল দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। তাকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি আমরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    ছবি ক্যাপশন, (১), বাঁশখালীতে জায়গা জমির বিরোধে সংঘর্ষে নিহত আবদুল খালেকের লাশ। ইনসেটে আবদুল খালেক ও সুলতান মাহমুদ টিপু।

  • ভোলায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পেশাজীবি সংগঠনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    ভোলায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পেশাজীবি সংগঠনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    বিশেষ প্রতিনিধি।।

    ভোলায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্রকরে রংপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদে দেশব্যাপী নানা আয়োজিত কর্মসূচীর অংশবিশেষ হিসেবে ভোলার বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    আজ(১৯অক্টোবর)মজ্ঞলবার বেলা ১২টায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
    ভোলা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোমিন টুলু। জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব,জেলা মুক্তিযুদ্ধ ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজু জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিব ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস,শিক্ষক সমিতির নেতা মনিরুল ইসলাম,এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা বলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা লুটতে কুমিল্লায় হিন্দুদের দূর্গাপুজার মূর্তি পায়ের কাছে পবিত্র আল কুরআন রেখে যারা দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করার জন্যে দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতি আহবান জানান।

    এসময় অন্যন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন,পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি নাজিবুল্লাহ নাজু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাত হোসেন রিপন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম,জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহবায়ক আবু সায়েম,সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আবিদুল আলম, মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন,সাবেক সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ফাহাদ, মাকসুদ রহমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমেল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

  • ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি)::

    মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সাইটমারা মুহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক (৩২) এর বিরুদ্ধে তাঁর ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সুলতানা (২৭) এর করা যৌতুকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সি আর মামলা নং ১২০/২০২১। ওমর ফারুক ছোট মহেশখালী ইউপিস্থ পশ্চিম সিপাহীর পাড়া গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ মোছাদ্দেকুর রহমানের ছেলে।

    জানা যায়, অভিযোগকারীনি নাইমা সোলতানা একজন নিরীহ, শান্তিপ্রিয়, আইনমান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা। পক্ষান্তরে উল্লেখিত আসামী যৌতুকলোভী, নারিলোভী অভ্যাসগত অপরাধী ও হিংস্র প্রকৃতির লোক হয়। আসামী দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে মোঠেও তোয়াক্কা করে না। আসামী অভিযোগকারীনির স্বামী হয়।

    আসামী ওমর ফরুক বিগত ৩০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজি কাপ্তাই উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলা (পার্বত্য), কার্যালয়ে রেজিষ্ট্রিকৃত নিকাহনামা সম্পাদনে ও নিবন্ধনে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য ক্রমে তৎ মধ্যে নগদ ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বকেয়া ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্যক্রমে আসামির সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

    আসামী ব্যবসার অজুহাতে নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে নাইমার উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। আসামি প্রতিনিয়ত যৌতুকের এক লক্ষ টাকা নাইমার পিতামাতার কাছ থেকে আনিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। উক্ত টাকা আনিয়ে না দিলে আসামি অন্য একজন মহিলাকে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। নাইমা যৌতুক দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে এই ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আপোষের চেষ্টা করিয়া সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

    পরবর্তীতে আপোষ মীমাংসার নামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৌখিক নিস্পত্তি হইলেও আসামী বারবার নাইমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং যৌতুকের দাবিতে রীতিমতো অমানুষিকভাবে কষ্ট দিতে থাকে। এবং যৌতুক ছাড়া নাইমাকে তাহার যৌজিয়াতে নিবে না বলিয়া সাফ জবাব দেয়। ঘটনার তারিখ, সময় ও স্থানে তথা বিগত ৫ আগস্ট বিকাল অনুমানিক চার ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল তাঁর বাড়িতে ফরুক নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। নাইমা টাকা দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও সাক্ষীদের জানাইলে তাহারা আসামির বাড়িতে যাইলে, উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গালিগালাজ করিয়া ও নাইমাকে এক থাপ্পড়ে আসামির বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। পরবর্তীতে সংসার করার জন্য আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করিলে সে জানিয়ে দেয়, যৌতুকের দাবিতে টাকা ছাড়া যৌজিয়াতে গ্রহণ করিবে না মর্মে সাফ জবাব দেয়। নাইমা বর্তমানে তাহার গরিব পিতার বাড়িতে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। শেষবারের মতো আসামির সাথে পুনরায় সংসার করার জন্য সাক্ষীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামি নাইমার সাথে আর সংসার করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। নাইমা একজন শান্তিপ্রিয় আইন মান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা হয়। অন্যদিকে আসামি যৌতুক লোভী, নারী লোভী, ধন্য লোভী ও মদ্যপায়ী লোক বিদায় নাইমাকে যৌতুকের দাবিতে শাররীক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে জঘন্যতম শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে।

    নাইমা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তা কর্তৃপক্ষ হুজুর আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিলে হুজুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যা স্বাক্ষীরা স্বাক্ষীর মধ্যমে মামলা প্রমাণ করিয়াছে। এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবি এড. নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ওমর ফারুক জামিনের জন্য আবেদন করিলে, বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।