Blog

  • আনোয়ারাতে ইয়াবাসহ ৪ যুবক গ্রেফতার

    আনোয়ারাতে ইয়াবাসহ ৪ যুবক গ্রেফতার

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের রাস্তার মাথা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে

    আজ শনিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের দেহ তল্লাশী করে ১০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হল খুলনা জেলার খানজাহান আলী থানার আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের পুত্র মোঃ মাসুদ রানা (২৮), তার ভাই মোঃ রিয়াজ হাওলাদার (২৩), একই জেলার মৃত বাবুল মোল্লার পুত্র সাজু মোল্লা (২৪) ও মোঃ বাবুল হোসেনের পুত্র মোঃ মেহেদী হাসান (২৩)। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় গ্রেপ্তারকৃতরা স্থানীয় কোন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ইয়াবাগুলো ক্রয় করে চট্টগ্রাম শহরে বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছে।

  • ১২০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু ১০বছরে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক ভোলার নুরুল ইসলাম

    ১২০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু ১০বছরে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক ভোলার নুরুল ইসলাম

    বিশেষ প্রতিনিধি ভোলা।

    টেকনাফ বন্দরে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ১২০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিল নুরুল ইসলাম। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১০ বছরে চাকরি করে অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন ৪৬০ কোটি টাকা। এসব অর্থ তিনি বন্দরে অবৈধভাবে পণ্য খালাস করে কামিয়েছেন।

    এই অর্থ দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ৩৭টি বাড়ি ও জমি কিনেছেন। এছাড়া ঢাকার সাভার, টেকনাফসহ বিভিন্ন জায়গায় কিনেছেন সম্পত্তি।

    র‍্যাবের একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

    মঙ্গলবার ভোররাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে র‍্যাবের একটি দল তাকে আটক করে। এসময় বিপুল বিদেশি মুদ্রা, ইয়াবা ও জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

    র‍্যাব জানায়, একসময় টেকনাফ বন্দরে ১২০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন নুরুল ইসলাম। বন্দরের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করলেও অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। পরবর্তীতে তার পদে অন্য আরেকজনকে চাকরি দেন। আর অবৈধ উপায়ে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অঢেল সম্পত্তি কেনেন।

    মোহাম্মদপুরের হাজি দীন মোহাম্মদ রোডে তার সাড়ে চার কাঠা জমির উপর সাততলা ভবন রয়েছে। এছাড়া নবোদয় হাউজিংয়ে সাত কাঠা জমির উপর সাততলা বাড়ি, ঢাকা উদ্যানে নয় কাঠা জমি ও ১৭টি দোকান রয়েছে। যার মুল্য ১৫ কোটি টাকা। মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যানে চার কাঠা জমি ও দুইতলা ভবন, একতা হাউজিংয়ে চার কাঠা জমি, হাজী দিল সড়কে ১১ কাঠা ও দুই তলা সাতটি দোকান, নবোদয় হাউজিংয়ে চার কাঠা জমি ও বাড়ি রয়েছে। এমন অনেক সম্পদের খোঁজ র‍্যাব পেয়েছে। সব মিলিয়ে নুরুল ইসলামের ৩৭টি জায়গা ও বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে।

    এছাড়া নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নুরুল ইসলামের অনেক অর্থের সন্ধান মিলেছে।

  • ভোলায় নানা আয়োজনে দৈনিক আমাদের সংগ্রাম এর ১ম “বর্ষপূর্তি পালন

    ভোলায় নানা আয়োজনে দৈনিক আমাদের সংগ্রাম এর ১ম “বর্ষপূর্তি পালন

    বিশেষ প্রতিনিধি(ভোলা)।

    দেশের জনপ্রিয় দৈনিক আমাদের সংগ্রামের সাফল্যের একবছর এবং ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভোলায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়েছে।

    সোমবার(১৩সেপ্টেম্বর ২০২০)ইং তারিখে রোজ বিকেল ৪:০০ ঘটিকার সময় ভোলার নতুন বাজার সমবায় মার্কেটের (৩য় তলায়) অনুষ্ঠিত র‍্যালী আলোচনা সভা ও জন্মদিনের কেককাটা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে যথাযথ ভাবে ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়।

    দৈনিক আমাদের সংগ্রাম এর প্রধান উপদেষ্টা, মাহমুদুল হাসান ফাহাদ এর সঞ্চালনায় এবং যায় যায় দিন পত্রিকার প্রতিনিধি, ভোলার দৌলতখান উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক মো. গজণবী স্যারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব- মো. সফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক জেলা প্রেসক্লাবের মোকাম্মেল হোসেন মিলন,শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন বিপ্লব তালুকদার, ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবে ও স্বদেস বানী অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক প্রকাশক তুহিন খন্দকার,ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন অমি, দৈনিক আমাদের সংগ্রাম ভোলার সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ জয়,নির্বাহী মো. সোহাগ হোসেন,জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের ভোলার আইন উপদেষ্টা ও দৈনিক আমাদের সংগ্রাম আইন সম্পাদক এডভোকেট গোলাম কাদের মনসুর প্রমুখ।

    এসময় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগন সাংবাদিকদের দেশের বস্তনিষ্ঠ সংবাদ প্রেরণ করতে দেশের তরুন সাংবাদকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। বক্তারা বলেন সাংবাদিকদের ঐক্য বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিয়ে সংবাদপত্র কাজ করার প্রতিও আহব্বান জানান। দৈনিক আমাদের সংগ্রাম পত্রিকার ১ম বর্ষপূর্তিতে সফলতা সামনে এগিয়ে যাবে সেই দৃড় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় হাফেজ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ দৈনিক আমাদের সংগ্রামের পক্ষহতে ভোলা- ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী জননেতা তোফায়েল আহমেদের শারীরিক সুস্থতা কামনায় করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

    পরে সল্প পরিসরে র‍্যলী সহ ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে দিবসটি যথাযথ ভাবে উদযাপন করেন।
    এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সত্য সংবাদের প্রতিনিধি অর্জুন দেবনাথ, দৌলতখানের চ্যানেল এস এর মো. হাসনাইন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা সত্য সংবাদের মো. রিয়াজ উদ্দিন,আমাদের সংগ্রামের স্টাফ রিপোর্ট সাংবাদিক মোর্সেদ আলম ভোলার ক্রাইম আপডেট অনলাইন নিউজের সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ইমন, দৈনিক মানবাধিকার ক্রাইম বার্তার স্টাফ রিপোর্ট সাহিদুর রহমান প্রমূখ।

  • কক্সবাজারে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। UkhiyaVoice24.Com

    কক্সবাজারে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। UkhiyaVoice24.Com

    ইসলামি ডেস্ক:

    তৃতীয় লিঙ্গ তথা হিজড়া সম্প্রদায় কে মানবসমাজের মূলস্রোতধারায় নিয়ে আসা এবং তাদের মাঝে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কক্সবাজারে উদ্বোধন করা হল দাওয়াতুল কোরআন মাদ্রাসা। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও পাঠদান অনুষ্ঠান কক্সবাজার সদর উপজেলা মিলনায়তনে হিজড়া সংঘ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাহি হিজড়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব মিলটন রায়.।উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজারকুল আজিজুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহসিন শরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা সহ সারা দেশে হিজড়াদের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোগতা মুফতি আব্দুর রহমান আজাদ, কক্সবাজার লাইট হাউজ দারুলউলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ আলী, কক্সবাজার দোকানমালিক ফেডারেশনের সেক্রেটারী মাওলানা ওমর ফারুক প্রমুখ।পরে হিজড়াদের কোরআনের শিক্ষা প্রদান উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাঠ দান করেন মাওলানা মুহাম্মদ আলী এবং মাওলানা মুহসিন শরিফ এর মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।

  • ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    কায়েস ও নাবিল ছোটকাল থেকেই বন্ধু।লেংটাকালে তারা একই সাথে গ্রামের মক্তবে লেখা-পড়া করেছে। পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুলে যেতো। প্রাইমারি লেভেল শেষ করার পর একজন চলে যায় সুদূর হাটহাজারি মাদরাসায় আর নাবিল পাশের গ্রামের একটি দাখিল মাদরাসায় ভর্তি হয়। উভয়ে লেখা-পড়ায় খুব ভালো। নাবিল দাখিল পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে। তাই চিন্তাভাবনা করে আলিমে ভর্তি না হয়ে কলেজে ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হলো।

    হঠাৎ একদিন নাবিলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পারিবারের সম্পদ বলতে শুধু একটি গরু ছিলো। বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে গরুটি বিক্রি করে দিতে হলো। তবুও বাঁচানো গেলো না। চলে গেলো তাঁর প্রভূর সান্নিধ্যে।

    এখন পরিবারের হাল তাকেই ধরতে হচ্ছে। কারণ পরিবারে সেই বড়। তাছাড়া ছোট একটি বোন আছে। ছোট বোনের লেখা-পড়ার খরচ এবং নিজের লেখা-পড়ার খরচ কিভাবে যোগাবে! তাই নিরূপায় হয়ে বহু চেষ্টার মাধ্যমে একটি ব্যবসার হাল ধরলো। সুদূর সিলেট থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে গ্রামের এবং পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেয়। এভাবেই চলছিলো তার দিনকাল।

    একদিন পথিমধ্যে তার ছোটকালের বন্ধু কায়েসের সাথে দেখা হয়ে গেলো। সাথে সাথে কায়েস সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরলো নাবিলকে। তারপর পথে দাঁড়িয়েই অনেক্ষণ কথা হলো। কথাচ্ছলে নাবিল কায়েসকে বললো- বন্ধু! কী করি বলতো, পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে কী ব্যবসা একটা ধরলাম। কিন্তু পদে পদে লস খাচ্ছি।
    -তার আগে বল, তোর লেখা-পড়ার কী অবস্থা? কেমন চলছে?
    -ধুর বেড়া, তোকে বললাম ব্যবসায় লসের কথা, আর তুই চলে গেলি লেখা-পড়ায়।
    – তো কি, লেখা-পড়া বাদ দিয়ে দিবি?
    – হ্যাঁ, এতো লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো! অনেকেই তো মাস্টার্স শেষ করেও চাকরি না পেয়ে ভবঘুরে হয়ে গেছে। তাই লেখা-পড়া ইচ্ছা আর নেই।
    – না, আমি বলবো তুই লেখা-পড়া কর। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।তুই না মাদরাসায় পড়েছিস? তোর জানার কথা। সূরা যুমার এর ৫৩ নং আয়াতে আছে- “ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।” আমাদেরকে সবসময় তাঁর রহমতের আশা রাখতে হবে।লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো? এই চিন্তা বাদ দে।তুই লেখা-পড়া চালিয়ে যা। সাথে ব্যবসাটা কর।লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে হবে। দেখবি, আল্লাহ রহম করে এমন একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন, যা তুই কোনদিন কল্পনা্ও করিসনি।

    – তুই আশার কথা শোনালি বন্ধু! আমি যে একদিন মাদরাসার ছাত্র ছিলাম, তাও ভুলে গেছি। যাক তোর কথা মানবো। আল্লাহর রহমতের আশা রাখবো।তিনি একদিন চোখ তুলে তাকাবেন। কিন্তু বন্ধু! ব্যবসাটা যে আর ভালো লাগে না।

    – তুই যেন কী ব্যবসা করিস? ও হ্যাঁ! দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়ানো। তাই না?

    – হ্যাঁ, এই রকমই। চা পাতা বিক্রি করি। সকালে বের হয়ে দোকানে দোকানে চা পাতা দিয়ে আসি। আর সন্ধ্যায় গিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসি। অনেকে আবার “কাল দেবো, পরশু দেবো” বলে সময় ক্ষেপণ করে, যা আমার নিজেরও লজ্জা লাগে।
    – আচ্ছা, এক কাজ কর, তোর কাছে এখন টাকা আছে?
    – পকেট শূন্য।
    – আরে ভাই, পকেটের কথা বলিনি। জমানো কত আছে?
    – নাই।
    – মিথ্যা বলছিস কেন? এতদিন তো ব্যবসা করলি। জমানো থাকবে না, এটা অবিশ্বাস্য।
    – হ্যাঁ, অল্প কিছু্ আছে।
    – তাহলে প্রথমে মিথ্যা বললি কেন? জানিস না মিথ্যা বলাটা মোনাফেকি অভ্যাস? তুই তো মাদরাসায়ও পড়েছিস!
    – তুই এতো সিরিয়াসলি নিবি ভাবিনি।
    – সিরিয়াস নিতে হবে। কারণ, মিথ্যা বলা অভ্যাসটা দুষ্টুমিচ্ছলেই হয়। আমার বন্ধুর পরিচয় মোনাফেক হোক, তা আমি চাই না।
    – ধন্যবাদ বন্ধু! তুই সবসময় আমার ভালোটাই দেখিস। এখন বল, কেন টাকার কথা জিজ্ঞেস করছিস? ভালো কোন বুদ্ধি বা আইডিয়া দিবি নাকি?
    – হ্যাঁ, বুদ্ধি বা আইডিয়া, দুনোটাই বলতে পারিস। তুই তো ডিজাইনের টুকটাক কাজ জানিস, কয়েকমাস সময় দিয়ে গ্রাফিক্সের একটা কোর্স কর। ডিজাইনের এখন অনেক দাম। তুই যেহেতু মাদরাসায় পড়েছিস, ইংরেজী অবশ্যই জানিস। Fiver, Freelancer.com এরকম কিছু সাইট আছে, যেখানে প্রচুর ডিজাইনের কাস্টমার আছে। দেখবি, ভলো ইনকাম হচ্ছে। আর ফেসবুকে এরকম কিছু গ্রুপ আছে, যেখানে ডিজাইনের কাস্টমার লাইন ধরে থাকে।
    – তুই এত জানিস কিভাবে? আমি তো মনে করতাম কওমীরা কুরআন-হদীস ছাড়া কিছুই বুঝে না।
    – তোর ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। বর্তমানে অনলাইন, বিশেষকরে রেডিও, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যানসিং অর্থাৎ এমন কোন জগৎ নেই যেখানে কওমী আলেমদের পদচারণা নেই। যাক, এসব বিষয় আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। এ রাস্তায় দাঁড়িয়ে এতক্ষণ কথা বলা যায় না। কী বলেছি মনে আছে তো? তাড়াতাড়ি গ্রাফিক্সের কোর্সে ভর্তি হয়ে যা। তার আগে দোকানে চল।
    – ও…. বুঝতে পেরেছি। তোর পানের টক উঠেছে। আচ্ছা, বলতো- তোরা কওমীরা এতো পান পান করিস কেন?
    – হা হা হা…. উর্দূ একটি প্রবাদ আছে “হাত ম্যায় লঠি মুহ ম্যায় পান, ইয়ে উলামায়ে দেওবন্দ কা শান।”

    (রচনাকাল- ১২/০৯/২০২১)

  • ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক দায়িত্বশীলদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক দায়িত্বশীলদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “স্বচ্ছ, দক্ষ ও জবাদিহিপূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর গৌরবময় পথচলার ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে
    অদ্য ৩রা সেপ্টেম্বর’২১ রোজ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম বার কোয়ার্টার আইএবি মিলনায়তনে নগর সভাপতি মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর সঞ্চালনায় সাবেক নগর দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সফল সভাপতি নূরুল বশর আজিজী। তিনি বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সেই ১৯৮১ সালের পর থেকে আজ ৩০ বৎসরে পদার্পণ করলো। জিহাদ ও রুহানিয়াতকে সামনে নিয়ে এই আদর্শিক কাফেলা এদেশে ইসলামী হুকুম কায়েমের পথে চলছে দুর্বার গতিতে। এই দীর্ঘ পথচলায় সংগঠনটির গায়ে কোন কালেমা লেপন হয়নি। তবে এদেশে ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিকদের অযৌক্তিক অপব্যাখ্যার বিপরীতে ইশা ছাত্র আন্দোলন ইসলামের সুমহান আদর্শগুলো সমুচ্চয়ে দাঁড় করিয়েছে। এটি ইসলামী বিপ্লবের পথে একটি অবিস্মরণীয় অবদান। ইশা ছাত্র আন্দোলন পৌঁছে গেছে দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিটি করেছে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে। যা ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় উত্তম একটি ক্ষেত্র। তবু আমাদের পথ অনেক দীর্ঘ, গন্তব্য বহুদূর, পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী। আমাদের থেমে গেলে চলবে না। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে আমাদের মেধা দিয়ে স্থান দখল করতে হবে।

    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এইচ. এম. জামশেদ।
    তিনি বলেন, বিচার থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই দুর্নীতিতে সয়লাভ। করোনার অতিমারিতে বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতের সাগর চুরি জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমলা-কামলা সবাই সরকারের মদদে লুটপাট করে পার পেয়ে যায়। পরোক্ষভাবে সরকারই তাদের লালনপালন করছে। তাই দেশের সকল খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে ছাত্রসমাজকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। ইনশাআল্লাহ, নৈতিকতার সাথে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ছাত্র আন্দোলন পৌঁছে যাবে দেশের নীতিনির্ধারণী পর্যায়। দেশের মেধার বিকাশ বজায় রাখতে ও ছাত্রদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধনে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের অবদান আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। আমাদেরকে হতে হবে জাতির কান্ডারী। আমাদেরকেই এই সকল সমস্যা মোকাবেলায় হতে হবে অগ্রসেনানী।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সভাপতি- মুহা. ইব্রাহীম খলীল, ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাক আহমেদ, মুহা. তাজুল ইসলাম শাহীন, মুফতি রিদওয়ানুল হক শামসী, সাবেক সহ-সভাপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমূখ।
    এছাড়াও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ তানভীর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল সহ অন্যান্য নগর সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বশীল এবং নগর শূরা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • রাজাপালং ইউনিয়নের অতিদরিদ্র পরিবারের ও টমটম চালকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

    রাজাপালং ইউনিয়নের অতিদরিদ্র পরিবারের ও টমটম চালকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন, জাতীয় সংস্থা (ডাব্লিও এফ পি Wpf এর) অর্থায়নে, ওয়াল্ড ফুড ও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন (রিক) এর সহযোগিতায় রাজাপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে (১৬৫) জনকে নগদ অর্থ বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

    অদ্য ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার বেলা ১১,৩০ ঘটিকার দিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের মাঠে ১নং ওয়ার্ডের (১৬৫) জন অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ২৫০০ নগদ অর্থ
    বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন
    উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ মহোদয় , আরো উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সোহেল বিএ, সাবেক ছাত্রনেতা ওমর খান, কন্ট্রাকটর মুফিজ মিয়াসহ সংশ্লিস্ট এনজিও প্রতিনিধিরা।

    বিতরণ কার্যক্রমের পূর্বে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয় বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণাকৃত কক্সবাজার জেলার (এক লক্ষ) হতদরিদ্র মানুষকে নগদ অর্থ দেওয়া হবে, তাঁরই অংশ বিশেষ হিসেবে আজ একটি জাতীয় সংস্থার এনজিও ডাব্লিও এফপি Wpf এর অর্থায়নে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় উখিয়া উপজেলায় (সাত হাজার) হতদরিদ্র মানুষের মাঝে এই নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
    এর মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়ন (দুই হাজার) হতদরিদ্র মানুষ, তাঁর মধ্যে আজ ১নং ওয়ার্ডের (১৬৫) জন হতদরিদ্র মানুষকে দেওয়া হয়েছে।

  • দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে সহায়তা করেন স্বপ্নের সোনার বাংলা

    দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে সহায়তা করেন স্বপ্নের সোনার বাংলা

    এম.এম. সাইফুল্লাহ আল মনির, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি

    চলতি এইচ এস সি পরিক্ষার জন‍্য অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করতে অভিভাবকদের পরতে হয় নানা ধরনের সমস্যায়। ঠিক এমন কিছু পরিবারের পাশে বিভিন্ন সহায়তার জন‍্য হাত বারিয়েছেন একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নের সোনার বাংলা।

    গত ২৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ইং দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের জন্য এক জরুরী ভার্চুয়াল মিটিং করেন সংগঠনের দায়িত্বশীল বৃন্ধ। এতে তারা সিদ্ধান্ত নেন পরিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে স্বপ্নের সোনার বাংলা নামের এই অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

    গত ২৩ই আগষ্ট কিছু শিক্ষার্থী সংগঠনের কাছে শিক্ষাখাতে সাহায্যের জন্য লেখিত দরখাস্ত পেশ করেন।তার ভিতর একজন শিক্ষার্থী বলেন, তারা চার ভাইবোন লেখাপড়া করে। তার বাবা দিনমজুর। বর্তমানে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পরায় লেখাপড়ার খরচ ও সাংসারিক খরচ চালাতে অক্ষম হয়ে পড়ে। তাই সে ফরম ফিলাপ করতে পারতেছেনা।
    অতঃপর সকল দায়িত্বশীলের পরামর্শে তাকে ফরম ফিলাপের জন‍্য পুরো টাকা নগদ অর্থ দেন ওই সংগঠন।

    সংগঠনের সভাপতি এম. এম. সাইফুল্লাহ আল মনির বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ই জানুয়ারী ২০২১ইং। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সংগঠনটি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে। এবং নিরলসভাবে সমাজের সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজে ভূমিকা রাখছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও সংগঠনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

    সভাপতি সাহেব এলাকার বিত্তবানদেরকে সংগঠনকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। এবং সর্বাবস্থায় সংগঠনের পাশে থাকার অনুরোধ করেন।

    সংগঠনর অর্থ ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহ আজ এক প্রেশ বিজ্ঞপ্তি ই তথ‍্য নিশ্চিত করেন।

  • জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

    জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেছেন, ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। করোনার কারণে নয় বরং জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।তিনি বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেধাহীন করার চক্রান্ত চলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাটবাজার, কলকারখানা, গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? তিনি অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।

    আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর ২১) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী চত্বরে সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে

    বক্তব্য রাখেন জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী, মাওলানা আবদুল আলিম,জেলা আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আরিফ উদ্দিন,
    জেলা সহকারী প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী,মাওলানা এস এম ফয়জুল্লাহ সহ-সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা,মোহাম্মদ মারুফুর রহমান সহ-সভাপতি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক কবি নুর আহমেদ সিদ্দিকী, মাওলানা মোহাম্মদ আব্বাসউদ্দীনসহ প্রমুখ।

    মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাকী বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সে দেশগুলোতেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। তিনি বলেন, দেশের অভিভাবকগণও আমাদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। এখন দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে পর্যায়ক্রমে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী বলেন, করোনায় যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন সরকার জোর করে দেশ চালানোর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়, ভোট ডাকাতি ও রাতের আধারে ভোট চুরির সরকার। তিনি জাতিকে ধ্বংসের হাত থলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মানবসম্পদ ধ্বংস করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দাবি জানান।

    জেলা সেক্রেটারি এইচ এম রুহুল্লাহ তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যে বুঝা যায়, সরকার করোনার জন্য নয়, বরং আন্দোলনের ভয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। সরকার ক্ষমতার স্বার্থে যা করার তাই করছে।

  • শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমুলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা ২০২১

    শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমুলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা ২০২১

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়া ধারার প্রবর্তক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭২তম জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রি. সোমবার হোটেল লা মেরিডিয়ানের স্কাইবল-রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং বিদেশী পুরস্কার প্রাপ্তদের ভার্চুয়ালি পুরস্কার প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান দাবা কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) ও সাইফ পাওয়াটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি জনাব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম এবং এশিয়ান দাবা ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক মিঃ আবুন্দ কাসটো। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি কে এম শহিদউল্যা, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক দিপু, কার্যকরি সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান পলাশ, কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ আলাউদ্দিন সাজু, জাকির আহমেদ, আন্তর্জাতিক অর্গানাইজার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি, সজল মাহমুদ।

    প্রতিযোগিতায় চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার লি ডি অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ৯ খেলায় ৮ পয়েন্ট পেয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ান হন শিরোপা জয় করেন। সাড়ে সাত পয়েন্ট নিয়ে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার অভিমান্যু পৌরনিক রানার-আপ হয়েছেন।

    সাড়ে ছয় পয়েন্ট করে অর্জন করেন ৫ জন খেলোয়াড়, টাইব্রেকিং পদ্ধতিতে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার কার্তিক ভেঙ্কাটারামান তৃতীয়, ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার আমিন তাবাতাবেই চতুর্থ, বেলেরুশের গ্র্যান্ড মাস্টার ভাদিশ্লাভ কোভলেভ পঞ্চম, ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার শ্যাম সুন্দর ষষ্ঠ ও ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার মাকসুদলো পারহাম সপ্তম হন। ছয় পয়েন্ট করে নিয়ে টাইব্রেকিংয়ে অষ্টম হতে একাদশ লাভ করেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার আলী মোহাম্মদ লুতফি, রাশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার মুরজিন ভোলোদার, চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার ঝু ইয়াংলুন, ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক মাস্টার গার্সিয়া জেন ইমানুয়েল।

    বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার, সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব দ্বিতীয় ও আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান তৃতীয় হয়েছেন। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান চতুর্থ এবং পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া পঞ্চম ও শওকত হোসেন পল্লব ষষ্ঠ স্থান লাভ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পুরস্কার লাভ করেন।

    বিশেষ বালক পুরস্কার লাভ করেন সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ ও বিশেষ বালিকা পুরস্কার লাভ করেন মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম।

    চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ড মাস্টার লি ডি দুই হাজার মার্কিন ডলার, রানার-আপ গ্র্যান্ড মাস্টার অভিমান্যু পৌরনিক পনেরো শত ডলার, তৃতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার কার্তিক ভেঙ্কাটারামান এক হাজার মার্কিন ডলার, চতুর্থ গ্র্যান্ড মাস্টার গ্র্যান্ড মাস্টার আমিন তাবাতাবেই ছয় শত মার্কিন ডলার, পঞ্চম- বেলেরুশের গ্র্যান্ড মাস্টার ভাদিশ্লাভ কোভলেভ পাঁচ শত শত মার্কিন ডলার, ষষ্ঠ- ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার শ্যাম সুন্দর চার শত শত মার্কিন ডলার, সপ্তম গ্র্যান্ড মাস্টার মাকসুদলো পারহাম চার শত শত মার্কিন ডলার, অষ্টম হতে দশম পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার আলী মোহাম্মদ লুতফি, আন্তর্জাতিক মাস্টার মুরজিন ভোলোদার ও চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার ঝু ইয়াংলুন প্রত্যেকে তিন শত মার্কিন ডলার করে, একাদশ ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক মাস্টার গার্সিয়া জেন ইমানুয়েল দুই শত মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার পান। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার আ্ট শত মার্কিন ডলার, প্রথম, গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ছয় শত শত মার্কিন ডলার, তৃতীয় আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান চার শত মার্কিন ডলার, চতুর্থ গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান তিন শত মার্কিন ডলার , পঞ্চম ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও ষষ্ঠ শওকত হোসেন পল্লব প্রত্যেকে দুই শত শত মার্কিন ডলার করে এবং বিশেষ পুরস্কার হিসেবে স্কালাইন মোস্তফা সাজিদ ও মহিলা ফিদে মাস্টার দশ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার পান।

    তিন দিন ব্যাপী ৯ রাউন্ড সুইস-লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে ১৫ টি দেশের ২১ জন গ্র্যান্ড মাস্টার ও ১৩ জন আন্তর্জাতিক মাস্টারসহ মোট ৮০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মোট নগদ দশ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।