Blog

  • কক্সবাজারে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। UkhiyaVoice24.Com

    কক্সবাজারে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। UkhiyaVoice24.Com

    ইসলামি ডেস্ক:

    তৃতীয় লিঙ্গ তথা হিজড়া সম্প্রদায় কে মানবসমাজের মূলস্রোতধারায় নিয়ে আসা এবং তাদের মাঝে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কক্সবাজারে উদ্বোধন করা হল দাওয়াতুল কোরআন মাদ্রাসা। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও পাঠদান অনুষ্ঠান কক্সবাজার সদর উপজেলা মিলনায়তনে হিজড়া সংঘ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাহি হিজড়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব মিলটন রায়.।উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজারকুল আজিজুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহসিন শরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা সহ সারা দেশে হিজড়াদের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোগতা মুফতি আব্দুর রহমান আজাদ, কক্সবাজার লাইট হাউজ দারুলউলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ আলী, কক্সবাজার দোকানমালিক ফেডারেশনের সেক্রেটারী মাওলানা ওমর ফারুক প্রমুখ।পরে হিজড়াদের কোরআনের শিক্ষা প্রদান উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাঠ দান করেন মাওলানা মুহাম্মদ আলী এবং মাওলানা মুহসিন শরিফ এর মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।

  • ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    ছোট গল্প, ভালো বুদ্ধি- রচনায়- মু. আমীর কাসেম, উখিয়া

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    কায়েস ও নাবিল ছোটকাল থেকেই বন্ধু।লেংটাকালে তারা একই সাথে গ্রামের মক্তবে লেখা-পড়া করেছে। পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুলে যেতো। প্রাইমারি লেভেল শেষ করার পর একজন চলে যায় সুদূর হাটহাজারি মাদরাসায় আর নাবিল পাশের গ্রামের একটি দাখিল মাদরাসায় ভর্তি হয়। উভয়ে লেখা-পড়ায় খুব ভালো। নাবিল দাখিল পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে। তাই চিন্তাভাবনা করে আলিমে ভর্তি না হয়ে কলেজে ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হলো।

    হঠাৎ একদিন নাবিলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পারিবারের সম্পদ বলতে শুধু একটি গরু ছিলো। বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে গরুটি বিক্রি করে দিতে হলো। তবুও বাঁচানো গেলো না। চলে গেলো তাঁর প্রভূর সান্নিধ্যে।

    এখন পরিবারের হাল তাকেই ধরতে হচ্ছে। কারণ পরিবারে সেই বড়। তাছাড়া ছোট একটি বোন আছে। ছোট বোনের লেখা-পড়ার খরচ এবং নিজের লেখা-পড়ার খরচ কিভাবে যোগাবে! তাই নিরূপায় হয়ে বহু চেষ্টার মাধ্যমে একটি ব্যবসার হাল ধরলো। সুদূর সিলেট থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে গ্রামের এবং পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেয়। এভাবেই চলছিলো তার দিনকাল।

    একদিন পথিমধ্যে তার ছোটকালের বন্ধু কায়েসের সাথে দেখা হয়ে গেলো। সাথে সাথে কায়েস সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরলো নাবিলকে। তারপর পথে দাঁড়িয়েই অনেক্ষণ কথা হলো। কথাচ্ছলে নাবিল কায়েসকে বললো- বন্ধু! কী করি বলতো, পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে কী ব্যবসা একটা ধরলাম। কিন্তু পদে পদে লস খাচ্ছি।
    -তার আগে বল, তোর লেখা-পড়ার কী অবস্থা? কেমন চলছে?
    -ধুর বেড়া, তোকে বললাম ব্যবসায় লসের কথা, আর তুই চলে গেলি লেখা-পড়ায়।
    – তো কি, লেখা-পড়া বাদ দিয়ে দিবি?
    – হ্যাঁ, এতো লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো! অনেকেই তো মাস্টার্স শেষ করেও চাকরি না পেয়ে ভবঘুরে হয়ে গেছে। তাই লেখা-পড়া ইচ্ছা আর নেই।
    – না, আমি বলবো তুই লেখা-পড়া কর। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।তুই না মাদরাসায় পড়েছিস? তোর জানার কথা। সূরা যুমার এর ৫৩ নং আয়াতে আছে- “ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।” আমাদেরকে সবসময় তাঁর রহমতের আশা রাখতে হবে।লেখা-পড়া দিয়ে কী করবো? এই চিন্তা বাদ দে।তুই লেখা-পড়া চালিয়ে যা। সাথে ব্যবসাটা কর।লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে হবে। দেখবি, আল্লাহ রহম করে এমন একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন, যা তুই কোনদিন কল্পনা্ও করিসনি।

    – তুই আশার কথা শোনালি বন্ধু! আমি যে একদিন মাদরাসার ছাত্র ছিলাম, তাও ভুলে গেছি। যাক তোর কথা মানবো। আল্লাহর রহমতের আশা রাখবো।তিনি একদিন চোখ তুলে তাকাবেন। কিন্তু বন্ধু! ব্যবসাটা যে আর ভালো লাগে না।

    – তুই যেন কী ব্যবসা করিস? ও হ্যাঁ! দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়ানো। তাই না?

    – হ্যাঁ, এই রকমই। চা পাতা বিক্রি করি। সকালে বের হয়ে দোকানে দোকানে চা পাতা দিয়ে আসি। আর সন্ধ্যায় গিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসি। অনেকে আবার “কাল দেবো, পরশু দেবো” বলে সময় ক্ষেপণ করে, যা আমার নিজেরও লজ্জা লাগে।
    – আচ্ছা, এক কাজ কর, তোর কাছে এখন টাকা আছে?
    – পকেট শূন্য।
    – আরে ভাই, পকেটের কথা বলিনি। জমানো কত আছে?
    – নাই।
    – মিথ্যা বলছিস কেন? এতদিন তো ব্যবসা করলি। জমানো থাকবে না, এটা অবিশ্বাস্য।
    – হ্যাঁ, অল্প কিছু্ আছে।
    – তাহলে প্রথমে মিথ্যা বললি কেন? জানিস না মিথ্যা বলাটা মোনাফেকি অভ্যাস? তুই তো মাদরাসায়ও পড়েছিস!
    – তুই এতো সিরিয়াসলি নিবি ভাবিনি।
    – সিরিয়াস নিতে হবে। কারণ, মিথ্যা বলা অভ্যাসটা দুষ্টুমিচ্ছলেই হয়। আমার বন্ধুর পরিচয় মোনাফেক হোক, তা আমি চাই না।
    – ধন্যবাদ বন্ধু! তুই সবসময় আমার ভালোটাই দেখিস। এখন বল, কেন টাকার কথা জিজ্ঞেস করছিস? ভালো কোন বুদ্ধি বা আইডিয়া দিবি নাকি?
    – হ্যাঁ, বুদ্ধি বা আইডিয়া, দুনোটাই বলতে পারিস। তুই তো ডিজাইনের টুকটাক কাজ জানিস, কয়েকমাস সময় দিয়ে গ্রাফিক্সের একটা কোর্স কর। ডিজাইনের এখন অনেক দাম। তুই যেহেতু মাদরাসায় পড়েছিস, ইংরেজী অবশ্যই জানিস। Fiver, Freelancer.com এরকম কিছু সাইট আছে, যেখানে প্রচুর ডিজাইনের কাস্টমার আছে। দেখবি, ভলো ইনকাম হচ্ছে। আর ফেসবুকে এরকম কিছু গ্রুপ আছে, যেখানে ডিজাইনের কাস্টমার লাইন ধরে থাকে।
    – তুই এত জানিস কিভাবে? আমি তো মনে করতাম কওমীরা কুরআন-হদীস ছাড়া কিছুই বুঝে না।
    – তোর ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। বর্তমানে অনলাইন, বিশেষকরে রেডিও, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যানসিং অর্থাৎ এমন কোন জগৎ নেই যেখানে কওমী আলেমদের পদচারণা নেই। যাক, এসব বিষয় আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। এ রাস্তায় দাঁড়িয়ে এতক্ষণ কথা বলা যায় না। কী বলেছি মনে আছে তো? তাড়াতাড়ি গ্রাফিক্সের কোর্সে ভর্তি হয়ে যা। তার আগে দোকানে চল।
    – ও…. বুঝতে পেরেছি। তোর পানের টক উঠেছে। আচ্ছা, বলতো- তোরা কওমীরা এতো পান পান করিস কেন?
    – হা হা হা…. উর্দূ একটি প্রবাদ আছে “হাত ম্যায় লঠি মুহ ম্যায় পান, ইয়ে উলামায়ে দেওবন্দ কা শান।”

    (রচনাকাল- ১২/০৯/২০২১)

  • ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক দায়িত্বশীলদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক দায়িত্বশীলদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “স্বচ্ছ, দক্ষ ও জবাদিহিপূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর গৌরবময় পথচলার ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে
    অদ্য ৩রা সেপ্টেম্বর’২১ রোজ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম বার কোয়ার্টার আইএবি মিলনায়তনে নগর সভাপতি মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর সঞ্চালনায় সাবেক নগর দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সফল সভাপতি নূরুল বশর আজিজী। তিনি বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সেই ১৯৮১ সালের পর থেকে আজ ৩০ বৎসরে পদার্পণ করলো। জিহাদ ও রুহানিয়াতকে সামনে নিয়ে এই আদর্শিক কাফেলা এদেশে ইসলামী হুকুম কায়েমের পথে চলছে দুর্বার গতিতে। এই দীর্ঘ পথচলায় সংগঠনটির গায়ে কোন কালেমা লেপন হয়নি। তবে এদেশে ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিকদের অযৌক্তিক অপব্যাখ্যার বিপরীতে ইশা ছাত্র আন্দোলন ইসলামের সুমহান আদর্শগুলো সমুচ্চয়ে দাঁড় করিয়েছে। এটি ইসলামী বিপ্লবের পথে একটি অবিস্মরণীয় অবদান। ইশা ছাত্র আন্দোলন পৌঁছে গেছে দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিটি করেছে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে। যা ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় উত্তম একটি ক্ষেত্র। তবু আমাদের পথ অনেক দীর্ঘ, গন্তব্য বহুদূর, পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী। আমাদের থেমে গেলে চলবে না। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে আমাদের মেধা দিয়ে স্থান দখল করতে হবে।

    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এইচ. এম. জামশেদ।
    তিনি বলেন, বিচার থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই দুর্নীতিতে সয়লাভ। করোনার অতিমারিতে বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতের সাগর চুরি জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমলা-কামলা সবাই সরকারের মদদে লুটপাট করে পার পেয়ে যায়। পরোক্ষভাবে সরকারই তাদের লালনপালন করছে। তাই দেশের সকল খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে ছাত্রসমাজকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। ইনশাআল্লাহ, নৈতিকতার সাথে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ছাত্র আন্দোলন পৌঁছে যাবে দেশের নীতিনির্ধারণী পর্যায়। দেশের মেধার বিকাশ বজায় রাখতে ও ছাত্রদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধনে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের অবদান আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। আমাদেরকে হতে হবে জাতির কান্ডারী। আমাদেরকেই এই সকল সমস্যা মোকাবেলায় হতে হবে অগ্রসেনানী।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সভাপতি- মুহা. ইব্রাহীম খলীল, ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাক আহমেদ, মুহা. তাজুল ইসলাম শাহীন, মুফতি রিদওয়ানুল হক শামসী, সাবেক সহ-সভাপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমূখ।
    এছাড়াও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ তানভীর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল সহ অন্যান্য নগর সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বশীল এবং নগর শূরা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • রাজাপালং ইউনিয়নের অতিদরিদ্র পরিবারের ও টমটম চালকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

    রাজাপালং ইউনিয়নের অতিদরিদ্র পরিবারের ও টমটম চালকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন, জাতীয় সংস্থা (ডাব্লিও এফ পি Wpf এর) অর্থায়নে, ওয়াল্ড ফুড ও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন (রিক) এর সহযোগিতায় রাজাপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে (১৬৫) জনকে নগদ অর্থ বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

    অদ্য ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার বেলা ১১,৩০ ঘটিকার দিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের মাঠে ১নং ওয়ার্ডের (১৬৫) জন অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ২৫০০ নগদ অর্থ
    বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন
    উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ মহোদয় , আরো উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সোহেল বিএ, সাবেক ছাত্রনেতা ওমর খান, কন্ট্রাকটর মুফিজ মিয়াসহ সংশ্লিস্ট এনজিও প্রতিনিধিরা।

    বিতরণ কার্যক্রমের পূর্বে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয় বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণাকৃত কক্সবাজার জেলার (এক লক্ষ) হতদরিদ্র মানুষকে নগদ অর্থ দেওয়া হবে, তাঁরই অংশ বিশেষ হিসেবে আজ একটি জাতীয় সংস্থার এনজিও ডাব্লিও এফপি Wpf এর অর্থায়নে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় উখিয়া উপজেলায় (সাত হাজার) হতদরিদ্র মানুষের মাঝে এই নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
    এর মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়ন (দুই হাজার) হতদরিদ্র মানুষ, তাঁর মধ্যে আজ ১নং ওয়ার্ডের (১৬৫) জন হতদরিদ্র মানুষকে দেওয়া হয়েছে।

  • দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে সহায়তা করেন স্বপ্নের সোনার বাংলা

    দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপে সহায়তা করেন স্বপ্নের সোনার বাংলা

    এম.এম. সাইফুল্লাহ আল মনির, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি

    চলতি এইচ এস সি পরিক্ষার জন‍্য অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করতে অভিভাবকদের পরতে হয় নানা ধরনের সমস্যায়। ঠিক এমন কিছু পরিবারের পাশে বিভিন্ন সহায়তার জন‍্য হাত বারিয়েছেন একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নের সোনার বাংলা।

    গত ২৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ইং দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের জন্য এক জরুরী ভার্চুয়াল মিটিং করেন সংগঠনের দায়িত্বশীল বৃন্ধ। এতে তারা সিদ্ধান্ত নেন পরিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ প্রদান ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে স্বপ্নের সোনার বাংলা নামের এই অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

    গত ২৩ই আগষ্ট কিছু শিক্ষার্থী সংগঠনের কাছে শিক্ষাখাতে সাহায্যের জন্য লেখিত দরখাস্ত পেশ করেন।তার ভিতর একজন শিক্ষার্থী বলেন, তারা চার ভাইবোন লেখাপড়া করে। তার বাবা দিনমজুর। বর্তমানে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পরায় লেখাপড়ার খরচ ও সাংসারিক খরচ চালাতে অক্ষম হয়ে পড়ে। তাই সে ফরম ফিলাপ করতে পারতেছেনা।
    অতঃপর সকল দায়িত্বশীলের পরামর্শে তাকে ফরম ফিলাপের জন‍্য পুরো টাকা নগদ অর্থ দেন ওই সংগঠন।

    সংগঠনের সভাপতি এম. এম. সাইফুল্লাহ আল মনির বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ই জানুয়ারী ২০২১ইং। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সংগঠনটি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে। এবং নিরলসভাবে সমাজের সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজে ভূমিকা রাখছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও সংগঠনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

    সভাপতি সাহেব এলাকার বিত্তবানদেরকে সংগঠনকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। এবং সর্বাবস্থায় সংগঠনের পাশে থাকার অনুরোধ করেন।

    সংগঠনর অর্থ ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহ আজ এক প্রেশ বিজ্ঞপ্তি ই তথ‍্য নিশ্চিত করেন।

  • জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

    জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেছেন, ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। করোনার কারণে নয় বরং জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।তিনি বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেধাহীন করার চক্রান্ত চলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাটবাজার, কলকারখানা, গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? তিনি অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।

    আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর ২১) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী চত্বরে সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে

    বক্তব্য রাখেন জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী, মাওলানা আবদুল আলিম,জেলা আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আরিফ উদ্দিন,
    জেলা সহকারী প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী,মাওলানা এস এম ফয়জুল্লাহ সহ-সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা,মোহাম্মদ মারুফুর রহমান সহ-সভাপতি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক কবি নুর আহমেদ সিদ্দিকী, মাওলানা মোহাম্মদ আব্বাসউদ্দীনসহ প্রমুখ।

    মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাকী বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সে দেশগুলোতেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। তিনি বলেন, দেশের অভিভাবকগণও আমাদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। এখন দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে পর্যায়ক্রমে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী বলেন, করোনায় যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন সরকার জোর করে দেশ চালানোর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়, ভোট ডাকাতি ও রাতের আধারে ভোট চুরির সরকার। তিনি জাতিকে ধ্বংসের হাত থলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মানবসম্পদ ধ্বংস করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দাবি জানান।

    জেলা সেক্রেটারি এইচ এম রুহুল্লাহ তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যে বুঝা যায়, সরকার করোনার জন্য নয়, বরং আন্দোলনের ভয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। সরকার ক্ষমতার স্বার্থে যা করার তাই করছে।

  • শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমুলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা ২০২১

    শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমুলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা ২০২১

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়া ধারার প্রবর্তক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭২তম জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রি. সোমবার হোটেল লা মেরিডিয়ানের স্কাইবল-রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং বিদেশী পুরস্কার প্রাপ্তদের ভার্চুয়ালি পুরস্কার প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান দাবা কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) ও সাইফ পাওয়াটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি জনাব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম এবং এশিয়ান দাবা ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক মিঃ আবুন্দ কাসটো। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি কে এম শহিদউল্যা, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক দিপু, কার্যকরি সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান পলাশ, কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ আলাউদ্দিন সাজু, জাকির আহমেদ, আন্তর্জাতিক অর্গানাইজার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি, সজল মাহমুদ।

    প্রতিযোগিতায় চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার লি ডি অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ৯ খেলায় ৮ পয়েন্ট পেয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ান হন শিরোপা জয় করেন। সাড়ে সাত পয়েন্ট নিয়ে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার অভিমান্যু পৌরনিক রানার-আপ হয়েছেন।

    সাড়ে ছয় পয়েন্ট করে অর্জন করেন ৫ জন খেলোয়াড়, টাইব্রেকিং পদ্ধতিতে ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার কার্তিক ভেঙ্কাটারামান তৃতীয়, ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার আমিন তাবাতাবেই চতুর্থ, বেলেরুশের গ্র্যান্ড মাস্টার ভাদিশ্লাভ কোভলেভ পঞ্চম, ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার শ্যাম সুন্দর ষষ্ঠ ও ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার মাকসুদলো পারহাম সপ্তম হন। ছয় পয়েন্ট করে নিয়ে টাইব্রেকিংয়ে অষ্টম হতে একাদশ লাভ করেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার আলী মোহাম্মদ লুতফি, রাশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার মুরজিন ভোলোদার, চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার ঝু ইয়াংলুন, ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক মাস্টার গার্সিয়া জেন ইমানুয়েল।

    বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার, সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব দ্বিতীয় ও আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান তৃতীয় হয়েছেন। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান চতুর্থ এবং পাঁচ পয়েন্ট করে নিয়ে ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া পঞ্চম ও শওকত হোসেন পল্লব ষষ্ঠ স্থান লাভ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পুরস্কার লাভ করেন।

    বিশেষ বালক পুরস্কার লাভ করেন সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ ও বিশেষ বালিকা পুরস্কার লাভ করেন মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম।

    চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ড মাস্টার লি ডি দুই হাজার মার্কিন ডলার, রানার-আপ গ্র্যান্ড মাস্টার অভিমান্যু পৌরনিক পনেরো শত ডলার, তৃতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার কার্তিক ভেঙ্কাটারামান এক হাজার মার্কিন ডলার, চতুর্থ গ্র্যান্ড মাস্টার গ্র্যান্ড মাস্টার আমিন তাবাতাবেই ছয় শত মার্কিন ডলার, পঞ্চম- বেলেরুশের গ্র্যান্ড মাস্টার ভাদিশ্লাভ কোভলেভ পাঁচ শত শত মার্কিন ডলার, ষষ্ঠ- ভারতের গ্র্যান্ড মাস্টার শ্যাম সুন্দর চার শত শত মার্কিন ডলার, সপ্তম গ্র্যান্ড মাস্টার মাকসুদলো পারহাম চার শত শত মার্কিন ডলার, অষ্টম হতে দশম পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার আলী মোহাম্মদ লুতফি, আন্তর্জাতিক মাস্টার মুরজিন ভোলোদার ও চিনের গ্র্যান্ড মাস্টার ঝু ইয়াংলুন প্রত্যেকে তিন শত মার্কিন ডলার করে, একাদশ ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক মাস্টার গার্সিয়া জেন ইমানুয়েল দুই শত মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার পান। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের প্রথম হয়েছেন গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার আ্ট শত মার্কিন ডলার, প্রথম, গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ছয় শত শত মার্কিন ডলার, তৃতীয় আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান চার শত মার্কিন ডলার, চতুর্থ গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান তিন শত মার্কিন ডলার , পঞ্চম ক্যান্ডিডেট মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও ষষ্ঠ শওকত হোসেন পল্লব প্রত্যেকে দুই শত শত মার্কিন ডলার করে এবং বিশেষ পুরস্কার হিসেবে স্কালাইন মোস্তফা সাজিদ ও মহিলা ফিদে মাস্টার দশ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার পান।

    তিন দিন ব্যাপী ৯ রাউন্ড সুইস-লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে ১৫ টি দেশের ২১ জন গ্র্যান্ড মাস্টার ও ১৩ জন আন্তর্জাতিক মাস্টারসহ মোট ৮০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মোট নগদ দশ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।

  • ১ লাখ ৭০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ মাদক কারবারী আটক

    ১ লাখ ৭০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ মাদক কারবারী আটক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়া রত্নাপালং করইবনিয়া এলাকা হইতে অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ্য ৭০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি রেজুআমতলী বিওপির সদস্যরা। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

    আটককৃত মাদক কারবারি হলেন উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের করইবনিয়া এলাকার বসবাসকারী বার্মায়া আলী হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক উদ্দিন রফিক (৩৫)।

    ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ সোমবার পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩০ আগস্ট সোমবার সকাল১০,৩০ ঘটিকার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া ৪নং রাজাপালং ইউপি’র গোলডেবার পাহাড় নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে পিঠে লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ৭০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে রেজুআমতলী বিওপি’র সদস্যগণ।

    পরে আটককৃত মাদক কারবারিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন বিকাল ৪,৩০ ঘটিকার দিকে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় উখিয়ার ডেইলপাড়া এলাকার সৈয়দ নুরের ছেলে মোঃ শাজাহান (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।

    তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    রফিক উদ্দিন আটক হলেও
    ইকবাল, তার ছোট ভাই ভোট্টো, আরফাত, হাকিম আলী, শাহ জাহান ধরাছোঁয়ার বাইরে।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি গত ০১ জানুয়ারি ২০২১ হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫১৭ পিছ ইয়াবাসহ ১৬৩ জন আসামী আটক করে।

  • “শেষ রক্ষা হলো না” মর্মন্তুুদ শিশু হত্যা মামলার আসামী সৎ পিতা এবং মা

    “শেষ রক্ষা হলো না” মর্মন্তুুদ শিশু হত্যা মামলার আসামী সৎ পিতা এবং মা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান।

    সুমাইয়া আক্তার মীম সুমা আক্তার চার বছরের একটি মেয়ে শিশু। শিশুটি তার মা বুলবুল আক্তার (২৫) এবং সৎ পিতা নুরুল হক (৩৫) এর সাথে উখিয়া উপজেলার ৩নং হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব মরিচ্যা কাঠালিয়া সাকিনে জনৈক মোস্তফা জাবেদ এর টিনের কলোনিতে ছোট্ট একটা রুমে ভাড়া থাকতো। নুরুল হক (৩৫) শিশুটির সৎ পিতা হলেও ছোট্ট সুমাইয়া তাকে আব্বু বলেই ডাকতো। তাদের সাথে আশপাশের প্রতিবেশী কারো কোন সখ্যতা গড়ে উঠেনি।

    প্রায় দুইমাস এই কলোনিতে ভাড়া থাকা অবস্থায় ঘাতক নুরুল হক তার স্ত্রী বুলবুল আক্তারের সহযোগীতায় শিশুটিকে বিভিন্ন সময়ে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে। কখনো প্লাস্টিকের রশি দিয়ে ঘরের চালের তীরের সাথে উলটো করে ঝুলিয়ে, কখনো মাথায় আঘাত করে, কখনো গালে কামড় বসিয়ে আবার কখনোবা পেটে পীঠে ঘুষি মেরে চলতে থাকে অমানবিক পৈশাচিক নির্যাতন। এই অসহনীয় ব্যাথায় শিশুটি চিৎকার করে আর্তি জানাতো “আব্বু আমাকে আর মারিও না, আমি তোমার সব কথা শুনবো”। তথাপিও ঘাতক সৎপিতা নুরুল হকের হৃদয় গলেনি কিংবা স্বামীর নেশায় মত্ত থাকা মা বুলবুল আক্তারের মন গলেনি।

    গত ১৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ মাহে রমজানের ২য় দিন সকাল থেকে শিশু সুমাইয়া(৪) কে না খাইয়ে রাখে।
    এমনকি পানি পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি৷ একই দিন বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে শিশুটির উপর শুরু অমানবিক নির্যাতন। প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেই সাথে ঘাতক নুরুল হক এর ঘুষির আঘাত। অতিরিক্ত ব্যাথায় নির্বোধ সুমাইয়া কান্না করার শক্তিও হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পরে৷ মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মেয়েটির গলা টিপেও ধরা হয়। একই তারিখ দিবাগত রাত আনুমান ৯ ঘটিকার দিকে শিশুটি মৃত্যু বরণ করে। শিশু সুমাইয়ার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটিকে ঘরের মেঝে পাটির উপর শুইয়ে কম্বল চাপা দিয়ে ঘর তালাবদ্ধ করে ঘাতক সৎপিতা নুরুল হক এবং মা বুলবুল আক্তার সেহেরীর পর রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। পরদিন সকাল ১০ ঘটিকার দিকে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া জনৈক রোজিনা আক্তার সুমাইয়াদের ঘরে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজা তালাবদ্ধ দেখে পাশের রুম থেকে পার্টিশন বেড়ার উপর দিয়ে দেখে শিশু সুমাইয়ার নিথর দেহ কম্বল চাপা অবস্থায় বিছানার উপর পড়ে আছে৷ এই দৃশ্য দেখে রোজিনা হাউমাউ করে চিৎকার দিয়ে উঠে। রোজিনার চিৎকার শুনে পাশের দোকানের মতি মিয়া দৌড়ে আসে। ততক্ষণে আশপাশের আরো অনেক মানুষ এসে ভিড় জমায়৷ রোজিনার কথা শুনে সবাই দরজা ভেঙে দেখে ঘরের মেঝে পাটির উপর কম্বল চাপা অবস্থায় শিশু সুমাইয়ার নিথর মৃতদেহ পরে আছে। এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত উখিয়া থানা পুলিশকে জানায়। সংবাদ পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। আশপাশের মানুষদেরকে ভিকটিমের পিতা মাতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে কেহ কোন তথ্য দিতে পারেনি৷ বাড়ি ওয়ালা ভাড়াটিয়ার তথ্য সংরক্ষণ করে রাখেনি। ময়না তদন্ত শেষে স্থানীয় জনগণ শিশুটির দাফন কাফন সম্পন্ন করে। ঘটনার চারদিনপর উখিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামির কথা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। দ্বিতীয়দিন পুনরায় ঘটনাস্থলটি পুংখানু পুংখভাবে পরিদর্শন কালে ঘরে একটি সিম কভার খুজে পাওয়া যায়৷ উক্ত কভারের ভেতর থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে আসামীদের পরিচয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। আসামীদের বাড়ি ভিন্ন এলাকা, ভাসমান অবস্থায় ঘোরাঘুরি এবং ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করার কারণে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব ছিল না। ঘটনার ৪ মাস পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সুমাইয়ার মামার সন্ধান পাওয়া গেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করিয়া উখিয়া থানার একটি চৌকস টিম রামু থানাধীন গর্জনিয়া এলাকায় গিয়ে কৌশল অবলম্বন করে আসামীদের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর আসামীরা গর্জনিয়া বাজারে পৌছামাত্র তাদেরকে ধৃত করতে সমর্থ হয়। কয়েক দফা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে শিশু সুমাইয়া আক্তার মীম @ সুমা আক্তার (৪) কে নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠে। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীরা সুমাইয়া (৪) হত্যা করার কথা স্বীকার করে। তাদের নিজেদের দায় স্বীকার করে গত ৩০ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনার পর থেকে তারা কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চকরিয়া, লোহাগড়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকে।
    কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, পুলিশের তৎপরতায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা এখন বিজ্ঞ আদালত হয়ে জেলখানায়।

  • আল্লামা বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

    আল্লামা বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    উপমহাদেশের বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ, আমিরে হেফাজত, শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী (রহঃ) এর জীবন ও কর্মশীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
    অদ্য ২৯ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ রবিবার জামেয়া রাহমানিয়া মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত হয়, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব জামেয়া রাহমানিয়া মৌলভীবাজার এর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা জামিল আহমদ আনসারীর সভাপতিেত্ব ও জমিয়ত নেতা মাওলানা মুফতী হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা জমিয়ত এর মুহতারাম সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল ইসলাম সাহেব, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল আলী মিটিপুরী, জেলা জমিয়ত সহসভাপতি মাওলানা রমিজ উদদীন, জেলা যুব জমিয়তের আহবায়ক মাওলানা বদরুল ইসলাম শামসী, সদস্য সচিব মাওলানা হাফেজ ইয়াহিয়া মাহমুদ, সচেতন নাগরিক ফরম মৌলভীবাজার এর সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুকসহ অন্যন্য নেত্রীবৃন্দ।

    উপস্থিত ছিলেন, মওলানা সায়ীদ বিন জামিল, মাওলানা জামিল ক্বাসেমী কাঞ্চনপুরী হাফেজ সাজেল আহমদ, মুহাম্মদ মাইদুল ইসলাম,মোঃ আরব আলী সহ প্রমুখ।

    দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ.) কে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করেন, আমিন