Blog

  • বাংলাদেশ কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা

    বাংলাদেশ কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা

    সাংবাদিক জিহাদ, ০১৩১৪১২৪৮২২

    গতকাল (১৫) জুন গাছ লাগান- পরিবেশ বাঁচান স্লোগানে,আষাঢ় – শ্রাবণ – ভাদ্র তিন (৩) মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা সভা করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগ।

    উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এম,পি,মাননীয় মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয় ও সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিশেষ অতিথি এ্যাড, জাহাঙ্গীর কবির নানক সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জনাব ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ এম,পি, মাননীয় মন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জনাব ফরিদুন্নাহার লাইলী কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জনাব দেলোয়ার হোসেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

    সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র সভাপতি বাংলাদেশ কৃষক লীগ, সঞ্চালনায় এ্যাড ইম্মে কুলসুম স্মৃতি এম,পি,সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ।

    আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা কৃষক লীগ ( উত্তর) সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মহসিন কবির,যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড আল- মামুন ব্যপারি,যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব আহসান হাবীব, সদস্য সচিব আর কে মুক্তা,সদস্য জি,এস লিটন ভান্ডারী,এবং আয়নার সরদার সহ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, কৃষি মন্ত্রী হিসাবে আমি সর্বদা কৃষক লীগের পাশে থাকবো, এবং আরো বলেন বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে তৃতীয় মতো।

  • টেকনাফে ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ নারী-পুরুষ দুই মাদক কারবারি আটক

    টেকনাফে ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ নারী-পুরুষ দুই মাদক কারবারি আটক

    ইব্রাহীম মাহমুদ টেকনাফপ্রতিনিধি

    টেকনাফে র‌্যাব—১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ নারী—পুরুষ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে। জব্দকৃত নগদ টাকা ও ইয়াবাসহ আটক নারী—পুরুষকে সংশ্লিষ্ট আইনের মামলায় টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।

    র‌্যাব—১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান, মাদকদ্রব্য বহনের গোপন সংবাদ পেয়ে ১৫ জুন (মঙ্গলবার) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে র‌্যাব—১৫ এর চৌকষ একটি আভিযানিক দল টেকনাফ সদরের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের মাঠপাড়া মোড়ে জাহিদ হোছনের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযানে যায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় করে নাইট্যংপাড়ার মোঃ হাফেজ আহমদের পুত্র মোঃ ফয়েজুল ইসলাম (২৬) এবং উত্তর গোদারবিলের শাহ নেওয়াজের স্ত্রী জামালিদা আক্তারকে (২৫) একটি শপিং ব্যাগসহ আটক করে।

    স্থানীয় সূত্রে জানান, মাদককারবারী টেকনাফ সাংবাদিক ফোরামের অন্যতম সদস্য। তাকে শপিং ব্যাগটি তল্লাশী করে ২০ হাজার ১০ পিস ইয়াবা, কিছু নগদ টাকা ও আইডি কার্ড পাওয়া যায়।

  • চরম দুর্ভোগে কক্সবাজার শহর বাসী

    চরম দুর্ভোগে কক্সবাজার শহর বাসী

     

    সাইফুল ইসলাম
    কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি

    টানা কয়েকঘন্টার বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয় শহরজুড়ে। এসময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ব্যবসায়ী, নিচু এলাকায় বসবাসকারী লোকজন, যানবাহন চালক, পথচারীদের। মঙ্গলবার সকালের কয়েকঘন্টার ভারী বর্ষণে এমনই চিত্র ফুটে উঠে কক্সবাজার শহরের।
    কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জানা যায়, বর্ষা মৌসুম আসলেই আতংকিত হয়ে উঠেন কক্সবাজার শহরবাসী। এসময় বৃষ্টি যেন অভিশাপে রূপ নেয়। দীর্ঘ বছর ধরে চলা শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজেও সমাধান মিলেনি। তাই আষাঢ়ের ভারী বর্ষণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। প্রতিটি সড়ক-উপসড়কের নাজুকতা, ড্রেইন দখল ও ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে আসায় জলাবদ্ধতায় পৌরবাসীর কষ্টের মাত্রা বেড়েছে সীমাহীন।
    এদিকে বৃষ্টি হলেই শহরের বাজারঘাটা, বড় বাজার, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, বাহারছড়া বাজার এলাকা, সমিতি পাড়া, নুরপাড়া,বাচা মিয়া পাড়া টেকপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
    কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই বার্মিজ মার্কেট এলাকায় যেভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, সেখানে ব্যবসা করাতো দূরের কথা, নিজেরা পর্যন্ত ঠিকমত চলাফেরা করতে পারি না। অন্যদিকে একই সুরে কথা বললেন বড় বাজারের সবজি’র আতৎদার রাখাল বাবু। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা দোকানে সামনে দিয়ে চলাচল করায় নিজেদের অনেক সবজিও নষ্ট হয়ে যায়।

  • অবৈধ অস্ত্রসহ এক রোহিঙ্গা ব্যবসায়ী আটক

    অবৈধ অস্ত্রসহ এক রোহিঙ্গা ব্যবসায়ী আটক

    অবৈধ অস্ত্রসহ এক রোহিঙ্গা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫ সদস্যরা। অদ্য ১৫ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নুরালীপাড়া এলাকা থেকে এই রোহিঙ্গা অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়েছে।

    কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন নুরালীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি ওয়ানশুটারগান ও ০১ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ ০১ জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

    কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ মিডিয়া কর্মকর্তা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, র‍্যাবের অভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় টেকনাফের ২৬ নং ক্যাম্পের ব্লক আই/৯ এর রোহিঙ্গা মোস্তফা কামালের ছেলে নুর হাসান প্রকাশ বাইন্নাকে আটক করা হয়।
    পরবর্তীতে উপস্হিত লোকজনের সম্মুখে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে ১ টি দেশীয় ওয়ানশুটারগান ও ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আটক রোহিঙ্গা অস্ত্র ব্যবসায়ীকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

  • জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান

    ডেস্ক রিপোর্ট

    মানবিক বিবেচনায় কওমী মাদরাসা খুলে দিন।
    সকল প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিন।
    ইমাম, মুয়াজ্জিনদের চাকুরীবিধি ও বেতন কাঠামো ঠিক করুন।
    কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করুন।

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে মানবিক বিবেচনায় দেশের সকল কওমী মাদরাসা অবিলম্বে খুলে দেওয়া, মুসলমান সন্তানদের পবিত্র কুরআন এবং ফরজ জ্ঞান শিক্ষার জন্যে সকল প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং দেশের প্রায় ৩ লাখ মসজিদের ১০ লাখ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের চাকুরী বিধি ও বেতন কাঠামো ঠিক করার দাবী জানানো হয়েছে।
    আজ বেলা ১০ টায় ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শায়খুল হাদীস মাওলানা হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মুফতি আশরাফ আলী নূরী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা মোরতুজা কাসেমী, মুফতি আক্তারুজ্জামান, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা রফিকুন্নবী হক্কানী, মাওলানা শাহজাহান হাবিবি, মাওলানা বাসির মাহমুদ প্রমূখ।
    লিখিত বক্তব্যে আল্লামা ফয়েজী বলেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বাংলাদেশের সকল ধারার ওলামায়ে কেরামের সম্মিলিত মঞ্চ। ইসলামী ইতিহাসের চিরন্তন ধারা ও ঐতিহ্য অনুসারে উম্মাহর কল্যাণকামীতা, পথপ্রদর্শন ও জনমানুষের হয়ে শাসক শ্রেণীর সাথে ভারসাম্য রক্ষা করার উদ্দেশ্যে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ গঠিত হয়েছে। আধুনিক পরিভাষায় বললে, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ একটি “সিভিল সোসাইটি” বা নাগরিক সংঘ। যারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থেকে জনতার কন্ঠ হিসেবে কাজ করে।
    তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসা আর সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে চরিত্রগত মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। কওমি মাদ্রাসা- শিক্ষা প্রদানের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। ফলে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে অবদান রাখে। করোনার এই দুঃসময়ে যখন মানুষের খাদ্য সংকট চরমে; এমনি মুহূর্তে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর খাদ্য ও আবাসন ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা অমানবিক।
    তিনি বলেন, সরকার এতিমখানা চালু রাখার নির্দেশনা জারি করেছে। এটা ইতিবাচক। এই নির্দেশনার আওতায় সকল কওমি মাদরাসাও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ, প্রতিটি কওমি মাদ্রাসায় এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-এর ব্যবস্থা আছে। তা সত্বেও কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে হাজার হাজার এতিম ও অসহায় শিক্ষার্থীদের খাদ্যঝুকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। এটা সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি করছে।
    এসকল মানবিক ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে দেশের সকল কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ শিক্ষার্থী, এতিম ও অসহায় মানুষের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
    তিনি আরো বলেন, শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করার মূল লক্ষ্যই হলো, সকল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পাবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্য ধারাগুলো এই লক্ষ্য থেকে অনেকটাই বিচ্যুত।
    প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট ব্যবস্থার দৌরাত্ম্য শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বজন বিদিত ব্যাধি। অপরদিকে কওমি মাদ্রাসা এখনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আদর্শ মান ধরে রেখেছে। একমাত্র কওমী মাদ্রাসাতেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়। এখানে কোন প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট বাণিজ্য হয় না। শিক্ষকগণ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ করেন এবং তাদের আয় উপার্জনও সম্পুর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান প্রদেয় বেতন-ভাতার উপর নির্ভর করে।
    বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে তাদের আয়-উপার্জন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে আছে। উপার্জনের জন্য বারোয়ারি ধান্দা না করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় একনিষ্ঠতার এই শুদ্ধবাদীতাই যেন কওমি শিক্ষকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, নির্ভেজাল শিক্ষানিষ্ঠ শিক্ষকদের শিক্ষানুরাগকে সম্মান করে এবং তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে সকল কওমি মাদ্রাসা খুলে দিন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পর্যায়ক্রমে স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।
    মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রজেক্টকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এমন একটি মহৎ কাজের জন্য বর্তমান সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। একইসাথে মডেল মসজিদগুলোকে সব দিক থেকে মডেল মসজিদে রূপান্তর করা এবং সামাজিক সুফল নিশ্চিত করতে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা পেশ করছি।
     মডেল মসজিদের জনবল নিয়োগে ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করতে হবে। যাতে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন এবং কোনরকম দুর্নীতি ছাড়াই যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করা যায়।
     মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের জন্য যে বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে; তা রীতিমতো অসম্মানজনক ও বৈষম্যমূলক। ইমাম পদের যোগ্যতা হিসেবে হাফেজ, দাওরা/ কামিল, মুফতি, মুহাদ্দিস চাওয়া হয়েছে।
    মাস্টার্স ও উচ্চতর ডিগ্রির বিপরীতে যে বেতন-কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে, তা কিছুতেই সুবিবেচনা প্রসূত নয়। মডেল মসজিদের ইমাম-খতিবদের জন্য প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের মর্যাদা ও বেতন-ভাতা, মুয়াজ্জিনদের জন্য ২য় শ্রেণী এবং খাদেমদের জন্য ৩য় শ্রেণীর মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবী জানাচ্ছি।
     ৫৬০ টি মডেল মসজিদের বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য ওলামাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ মসজিদ নির্মাণে ইতোমধ্যেই দুর্নীতির কথা শোনা যাচ্ছে। যা দুঃখজনক।
     এখানে প্রসঙ্গত: মসজিদ আল্লাহর ঘর। আমরা আশা করতে চাই, এই মসজিদ কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে। সেজন্য আমরা আশা করব, এই মসজিদকে দলীয় রাজনৈতিক প্রচারণার উপাদান বানানো হবে না। যদি ইখলাস থাকে, তাহলে হাজার বছর পরেও মানুষ এর নির্মাতা কে মনে রাখবে। আর রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি থাকলে, মসজিদ এ ‘যেরারের’ ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চাই।
    কুরবানীর চামড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
    এ দেশ মুসলমানপ্রধান হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার সময় প্রচুর গরু, ছাগল কুরবানি হয়। এছাড়া সারা বছরই এসব পশুর গোশত ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। ফলে দেশে চামড়ার উৎপাদন ও সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। ১৯৯০-পরবর্তী সময়ে ওয়েট ব্লু উৎপাদনের সীমিত পরিসর পেরিয়ে ক্রাস্ড ও ফিনিস্ড লেদার, জুতা, ব্যাগ ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে চামড়া খাতের রপ্তানিতে পণ্য বৈচিত্র এসেছে। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বিদেশেও পরিচিতি পায় এবং দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি পণ্য হিসাবে পরিগণিত হয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের ভুল নীতি ও সিদ্ধান্তহীনতায় রপ্তানি আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থান হারিয়ে চামড়া খাত তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠির ওপরে এবং কওমী মাদ্রাসার ওপরে। কুরবানীর চামড়া গরীবের হক। দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর আয়ের বড় একটি খাত এই কুরবানীর চামড়া।
    আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে চামড়া খাতের অব্যবস্থাপনা, সিদ্ধান্তহীনতা দূর করে, চামড়া শিল্পকে শক্তিশালী করুন।
    আর এবারের জরুরী অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কাঁচা চামড়া রপ্তানীর অনুমোদন দিন। একই সাথে কাঁচা চামড়া নিয়ে অবৈধ কারসাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে যাতে ট্যানারীগুলো চামড়া ক্রয় করে, তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
    ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ও চাকুরী বিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
    ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ মানুষের ধর্মীয় অপরিহার্য বিধান আঞ্জাম দেন। অথচ তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে নৈরাজ্যের চূড়ান্ত হয়। কোন নিয়ম নীতি ছাড়া খামখেয়ালি ভাবে তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়। দেশের প্রায় ৩ লাখ মসজিদে কমবেশি ১০ লাখ মানুষের কর্মক্ষেত্র। তাদের বেতন-ভাতা ও পেনশন এমন বিশৃংখল হওয়া দায়িত্বশীল রাষ্ট্র ধারণার খেলাফ। সেজন্য ওলামাদের সমন্বয়ে দেশের সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য অবিলম্বে চাকুরী বিধি ও জাতীয় বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
    আলেমদের মুক্তি প্রসঙ্গে আল্লামা ফয়েজী বলেন, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আটককৃত সকল নিরপরাধ আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি করছে।
    ধর্মীয় ফরজ শিক্ষার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকল মুসলমানদের জন্য কুরআন ও প্রয়োজনীয় মাসআলা শেখা ফরজ। রাষ্ট্রের উচিত নাগরিকদের বিশ্বাসমতে সকল অপরিহার্য বিষয়াবলীর আয়োজন করা। সেই বিবেচনাতে দেশের সকল প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কোরআন ও ফরয ইলম শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে শিক্ষার সকলস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

  • ভোলার বোরহানউদ্দিনে গৃহবধূকে রাতভর গনধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ

    ভোলার বোরহানউদ্দিনে গৃহবধূকে রাতভর গনধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ

    বিশেষ প্রতিনিধি।।

    ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে রাতের আঁধারে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে পালাক্রমে গনধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

    গত(১৩ জুন ২০২১)ইং রবিবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো.সেলিমের গৃহবধু রাজিয়া বেগমকে (৩৫) বাড়ি ফেরার পথে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় মাদক কারবারি ও বখাটে তিন সাহেদ,সুমন এবং ইউসুফ সহ অজ্ঞাত কয়েকজন। এবং একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় রেখে স্থান ত্যাগ করে বলে জানায় ধর্ষিতা ও তার পরিবার।

    এদিকে গভীর রাতে তাহার পরিবার স্বামী ও সন্তানেরা খোজাখুজির পর উদ্ধার করে অচেতন ও মুমূর্ষু অবস্থায় তাহাকে বোরহানউদ্দিন মেডিকেল ভর্তি করে।তবে তার শারিরীক নির্যাতনের অবস্থার অবনতি দেখে বোরহানউদ্দিন মেডিকেলের চিকিৎসা রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করে বলে জানায় মেডিকেল কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    বর্তমানে ধর্ষিতা ঐ নারী ভোলা সদর হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    এসময় রাজিয়া বেগম তার ঘটনার এক বর্ননায় সাংবাদিকদের জানান, তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলার পরিবার উন্নয়ন সংস্থা কতৃক একটি ক্ষুদ্র ঋনের ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় ধর্ষক বখাটে সাহেদ ও সুমন এবং তাহাকে জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে রাতভর শারিরীক নির্যাতন করে। অপর অভিযুক্ত ইউসুফের সহোযোগিতায় পালাক্রমে ধর্ষণ করে।এবং ধর্ষণের শেষে তার কাছে থাকা নগদ ১০হাজার টাকা এবং পরনে সোনার নাক ও কানের দুল নিয়ে স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায় অভিযোগ তার।

    এবিষয়ে ধর্ষিতার স্বামী মো.সেলিম বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।এবং পরিবারের পক্ষহতে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্যে ভোলা ২ আসনের সাংসদ সদস্যের ও আইনের ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

    এবিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মাজহারুল আমিন জানান,অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার রুজু করা হয়েছে। এবং পুলিশের পক্ষহতে সকল আসামিদের অতি দ্রুতই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান তিনি।

  • ভোলায় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা

    ভোলায় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা

    ভোলা জেলা প্রতিনিধি।

    “Give blood and keep the world beating” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ভোলায় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা করছে সামাজিক সংগঠন ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘ।

    সোমবার (১৪ জুন) সকাল ১০টা ভোলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘ ব্যানারে এই সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের করা হয়।শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

    শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জজ কোর্টের এডিশনাল পি.পি. ও ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সোহেব হোসেন মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নেয়ামত উল্যাহ, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এস এম বাহাউদ্দিন, ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘের উপদেষ্টা মীর মোস্তাফিজু রহমান রনি,ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, চর টগবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসা কালিমুল্লাহ, ভোলা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি এম. আনোয়ার হোসেন।

    এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন,ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘের আহ্বায়ক ইয়ারুল আলম হেলাল,যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আরিয়ান আরিফ, রাকিবুলহাসান, সদস্য সচিব মোঃ নূরনবী, উপদেষ্টা মোঃ জাকির
    ,জামাল উদ্দিন জামান,জুয়েল রানা,ধনিয়া ইউনিয়নের দলনেতা আর জে শান্ত, আলীনগর ইউনিয়নের দলনেতা ফকরুল বকসি, শিবপুর ইউনিয়নের দলনেতা মোঃ মহিন, ইলিশা ইউনিয়নের দলনেতা রাকিব হাওলাদার, বাপ্তা ইউনিয়নের দলনেতা জাফর ইসলাম প্রমুখ।

    উল্লেখ, ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।

  • ভোলার মনপুরায় দুইশত পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নারী ব্যবসায়ী আটক ১

    ভোলার মনপুরায় দুইশত পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নারী ব্যবসায়ী আটক ১

    ভোলা প্রতিনিধি।

    অফিসার ইনচার্জ, মনপুরা থানা ভোলার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ ইব্রাহিম হোসেন নয়ন ও সংগীয় অফিসার ফোর্স মনপুরা থানা ভোলা ০১নং মনপুরা ইউনিয়নের তুলাতলী বাজার এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে মাদক ব্যবসায়ী আসামী ১। মোসাঃ আসমা আক্তার মিতু (৩৫), স্বামী-মোঃ শাহআলম, সাং- চরফৈজুদ্দিন ০৮নং ওয়ার্ড, পোস্ট হাজিরহাট, ০২নং হাজিরহাট ইউনিয়ন, থানা- মনপুরা, জেলা-ভোলাকে ২০০ (দুই শত) পিছ মাদক দ্রব্য ইয়াবা সহ গ্রেফতার করা হয়।

    এ বিষয়ে মাদকের প্রচলিত আইনে মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • বালুটিলায় চাদাঁ দাবি করতে এসে গনধোলাই খেয়ে হাজতে ৪ যুবক

    বালুটিলায় চাদাঁ দাবি করতে এসে গনধোলাই খেয়ে হাজতে ৪ যুবক

    স্টাফ রিপোর্টার

    ফটিকছড়ির দাতঁমারা ইউনিয়নের বালুটিলা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে চাদাঁ না পেয়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মীরশ্বরাই উপজেলার করেরহাট ইউপির ৪ যুবককে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।এ ব্যাপারে ভূজপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মামলা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকাল ৩ টায় বালুটিলা বাজারে অবস্হিত বিএসসি ইন্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স মক্কা টের্ডাসে একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে হঠাৎ ৫ যুবক উপস্হিত হয়ে জাহিদকে খুজতে থাকে। ফোন পেয়ে জাহিদ বাসা থেকে দোকানে আসা মাত্রই যুবকরা লোহার রড দিয়ে তাকে পিঠাতে থাকে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে জাহিদকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যেতে চাইলে জাহিদের শোর চিৎকারে বালুটিলা বাজারের ব্যবসায়ী এবং আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে গনধোলাই দেয়।খবর পেয়ে দাতঁমারা তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্হলে উপস্হিত হয়ে করেরহাট ইউপির ঘেড়ামারা এলাকার রবিউল হোসেন,জসিম উদ্দিন,সাইদুল ইসলাম এবং বদ্দ ভবানি এলাকার রাজুকে আটক করে নিয়ে যায়।বাকী আসামীরা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

    জাহিদ এ ঘটনায় মারাত্নক আহত হয়ে ফেনী সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলার ১১ নং ওয়ার্ডে ৪১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন থাকায় তার বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাতে ভূজপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

  • লালমোহনে খাস পুকুর লিজ নিয়ে ভূমিদস্যুর ভয়ে এসিল্যান্ডের সহায়তায় পোনা অবমুক্তকরণ

    লালমোহনে খাস পুকুর লিজ নিয়ে ভূমিদস্যুর ভয়ে এসিল্যান্ডের সহায়তায় পোনা অবমুক্তকরণ

    বিশেষ প্রতিনিধি (ভোলা)

    ভোলার লালমোহনে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ শাহাবুদ্দিন মুন্সি বাড়ির দরজায় জামে মসজিদের সামনে সরকারি খাস পুকুর লিজ পেয়েছেন মসজিদ কমিটি।

    স্থানীয় একদল ভূমিদস্যু জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করলে মসজিদ কমিটি বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম কে জানান। তিনি সত্যতা যাচাই নিজে উপস্থিত থেকে ৪৬ কেজি পোনা অবমুক্তকরণ করেন।

    এব্যপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম জানান, এঘটনার খবর পেয়ে মসজিদ কমিটিকে পোনা সংগ্রহ করার কথা বলে আমি উপস্থিত থেকে পোনা অবমুক্তকরণে অংশগ্রহণ করি।সরকারি নিয়মানুযায়ী সকল সহায়তা করা হবে।ভূমিদস্যুদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শাহাবুদ্দিন মুন্সি বাড়ির দরজায় জামে মসজিদের সভাপতি, শাহাজান বাবুল মাস্টার, সাহিদুর রহমান ( সাহিদ মুন্সি), সাগর মুন্সি, রায়হান মুন্সি, মহিউদ্দিন মুন্সি, হাজী সোলায়মান হাং,মোসলেহ উদ্দিন হাং,আলমগীর হাং,লোকমান হাং মেম্বার সহ এলাকার উক্ত এলাকার মুসল্লীগণ ও সাংবাদিক বৃন্দ।