Blog

  • জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান

    ডেস্ক রিপোর্ট

    মানবিক বিবেচনায় কওমী মাদরাসা খুলে দিন।
    সকল প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিন।
    ইমাম, মুয়াজ্জিনদের চাকুরীবিধি ও বেতন কাঠামো ঠিক করুন।
    কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করুন।

    জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে মানবিক বিবেচনায় দেশের সকল কওমী মাদরাসা অবিলম্বে খুলে দেওয়া, মুসলমান সন্তানদের পবিত্র কুরআন এবং ফরজ জ্ঞান শিক্ষার জন্যে সকল প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং দেশের প্রায় ৩ লাখ মসজিদের ১০ লাখ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের চাকুরী বিধি ও বেতন কাঠামো ঠিক করার দাবী জানানো হয়েছে।
    আজ বেলা ১০ টায় ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শায়খুল হাদীস মাওলানা হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মুফতি আশরাফ আলী নূরী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা মোরতুজা কাসেমী, মুফতি আক্তারুজ্জামান, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা রফিকুন্নবী হক্কানী, মাওলানা শাহজাহান হাবিবি, মাওলানা বাসির মাহমুদ প্রমূখ।
    লিখিত বক্তব্যে আল্লামা ফয়েজী বলেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বাংলাদেশের সকল ধারার ওলামায়ে কেরামের সম্মিলিত মঞ্চ। ইসলামী ইতিহাসের চিরন্তন ধারা ও ঐতিহ্য অনুসারে উম্মাহর কল্যাণকামীতা, পথপ্রদর্শন ও জনমানুষের হয়ে শাসক শ্রেণীর সাথে ভারসাম্য রক্ষা করার উদ্দেশ্যে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ গঠিত হয়েছে। আধুনিক পরিভাষায় বললে, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ একটি “সিভিল সোসাইটি” বা নাগরিক সংঘ। যারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থেকে জনতার কন্ঠ হিসেবে কাজ করে।
    তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসা আর সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে চরিত্রগত মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। কওমি মাদ্রাসা- শিক্ষা প্রদানের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। ফলে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে অবদান রাখে। করোনার এই দুঃসময়ে যখন মানুষের খাদ্য সংকট চরমে; এমনি মুহূর্তে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর খাদ্য ও আবাসন ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা অমানবিক।
    তিনি বলেন, সরকার এতিমখানা চালু রাখার নির্দেশনা জারি করেছে। এটা ইতিবাচক। এই নির্দেশনার আওতায় সকল কওমি মাদরাসাও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। কারণ, প্রতিটি কওমি মাদ্রাসায় এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-এর ব্যবস্থা আছে। তা সত্বেও কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে হাজার হাজার এতিম ও অসহায় শিক্ষার্থীদের খাদ্যঝুকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। এটা সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি করছে।
    এসকল মানবিক ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে দেশের সকল কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ শিক্ষার্থী, এতিম ও অসহায় মানুষের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
    তিনি আরো বলেন, শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করার মূল লক্ষ্যই হলো, সকল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পাবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্য ধারাগুলো এই লক্ষ্য থেকে অনেকটাই বিচ্যুত।
    প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট ব্যবস্থার দৌরাত্ম্য শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বজন বিদিত ব্যাধি। অপরদিকে কওমি মাদ্রাসা এখনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আদর্শ মান ধরে রেখেছে। একমাত্র কওমী মাদ্রাসাতেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়। এখানে কোন প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও নোট বাণিজ্য হয় না। শিক্ষকগণ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ করেন এবং তাদের আয় উপার্জনও সম্পুর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান প্রদেয় বেতন-ভাতার উপর নির্ভর করে।
    বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে তাদের আয়-উপার্জন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে আছে। উপার্জনের জন্য বারোয়ারি ধান্দা না করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় একনিষ্ঠতার এই শুদ্ধবাদীতাই যেন কওমি শিক্ষকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, নির্ভেজাল শিক্ষানিষ্ঠ শিক্ষকদের শিক্ষানুরাগকে সম্মান করে এবং তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে সকল কওমি মাদ্রাসা খুলে দিন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পর্যায়ক্রমে স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।
    মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রজেক্টকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এমন একটি মহৎ কাজের জন্য বর্তমান সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। একইসাথে মডেল মসজিদগুলোকে সব দিক থেকে মডেল মসজিদে রূপান্তর করা এবং সামাজিক সুফল নিশ্চিত করতে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা পেশ করছি।
     মডেল মসজিদের জনবল নিয়োগে ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করতে হবে। যাতে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন এবং কোনরকম দুর্নীতি ছাড়াই যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করা যায়।
     মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের জন্য যে বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে; তা রীতিমতো অসম্মানজনক ও বৈষম্যমূলক। ইমাম পদের যোগ্যতা হিসেবে হাফেজ, দাওরা/ কামিল, মুফতি, মুহাদ্দিস চাওয়া হয়েছে।
    মাস্টার্স ও উচ্চতর ডিগ্রির বিপরীতে যে বেতন-কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে, তা কিছুতেই সুবিবেচনা প্রসূত নয়। মডেল মসজিদের ইমাম-খতিবদের জন্য প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের মর্যাদা ও বেতন-ভাতা, মুয়াজ্জিনদের জন্য ২য় শ্রেণী এবং খাদেমদের জন্য ৩য় শ্রেণীর মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবী জানাচ্ছি।
     ৫৬০ টি মডেল মসজিদের বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য ওলামাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ মসজিদ নির্মাণে ইতোমধ্যেই দুর্নীতির কথা শোনা যাচ্ছে। যা দুঃখজনক।
     এখানে প্রসঙ্গত: মসজিদ আল্লাহর ঘর। আমরা আশা করতে চাই, এই মসজিদ কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে। সেজন্য আমরা আশা করব, এই মসজিদকে দলীয় রাজনৈতিক প্রচারণার উপাদান বানানো হবে না। যদি ইখলাস থাকে, তাহলে হাজার বছর পরেও মানুষ এর নির্মাতা কে মনে রাখবে। আর রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি থাকলে, মসজিদ এ ‘যেরারের’ ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চাই।
    কুরবানীর চামড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
    এ দেশ মুসলমানপ্রধান হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার সময় প্রচুর গরু, ছাগল কুরবানি হয়। এছাড়া সারা বছরই এসব পশুর গোশত ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। ফলে দেশে চামড়ার উৎপাদন ও সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। ১৯৯০-পরবর্তী সময়ে ওয়েট ব্লু উৎপাদনের সীমিত পরিসর পেরিয়ে ক্রাস্ড ও ফিনিস্ড লেদার, জুতা, ব্যাগ ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে চামড়া খাতের রপ্তানিতে পণ্য বৈচিত্র এসেছে। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বিদেশেও পরিচিতি পায় এবং দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি পণ্য হিসাবে পরিগণিত হয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারের ভুল নীতি ও সিদ্ধান্তহীনতায় রপ্তানি আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থান হারিয়ে চামড়া খাত তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠির ওপরে এবং কওমী মাদ্রাসার ওপরে। কুরবানীর চামড়া গরীবের হক। দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর আয়ের বড় একটি খাত এই কুরবানীর চামড়া।
    আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে চামড়া খাতের অব্যবস্থাপনা, সিদ্ধান্তহীনতা দূর করে, চামড়া শিল্পকে শক্তিশালী করুন।
    আর এবারের জরুরী অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কাঁচা চামড়া রপ্তানীর অনুমোদন দিন। একই সাথে কাঁচা চামড়া নিয়ে অবৈধ কারসাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে যাতে ট্যানারীগুলো চামড়া ক্রয় করে, তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
    ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ও চাকুরী বিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
    ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ মানুষের ধর্মীয় অপরিহার্য বিধান আঞ্জাম দেন। অথচ তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে নৈরাজ্যের চূড়ান্ত হয়। কোন নিয়ম নীতি ছাড়া খামখেয়ালি ভাবে তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়। দেশের প্রায় ৩ লাখ মসজিদে কমবেশি ১০ লাখ মানুষের কর্মক্ষেত্র। তাদের বেতন-ভাতা ও পেনশন এমন বিশৃংখল হওয়া দায়িত্বশীল রাষ্ট্র ধারণার খেলাফ। সেজন্য ওলামাদের সমন্বয়ে দেশের সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য অবিলম্বে চাকুরী বিধি ও জাতীয় বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
    আলেমদের মুক্তি প্রসঙ্গে আল্লামা ফয়েজী বলেন, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আটককৃত সকল নিরপরাধ আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি করছে।
    ধর্মীয় ফরজ শিক্ষার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকল মুসলমানদের জন্য কুরআন ও প্রয়োজনীয় মাসআলা শেখা ফরজ। রাষ্ট্রের উচিত নাগরিকদের বিশ্বাসমতে সকল অপরিহার্য বিষয়াবলীর আয়োজন করা। সেই বিবেচনাতে দেশের সকল প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কোরআন ও ফরয ইলম শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে শিক্ষার সকলস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

  • ভোলার বোরহানউদ্দিনে গৃহবধূকে রাতভর গনধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ

    ভোলার বোরহানউদ্দিনে গৃহবধূকে রাতভর গনধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ

    বিশেষ প্রতিনিধি।।

    ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে রাতের আঁধারে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে পালাক্রমে গনধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

    গত(১৩ জুন ২০২১)ইং রবিবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো.সেলিমের গৃহবধু রাজিয়া বেগমকে (৩৫) বাড়ি ফেরার পথে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় মাদক কারবারি ও বখাটে তিন সাহেদ,সুমন এবং ইউসুফ সহ অজ্ঞাত কয়েকজন। এবং একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় রেখে স্থান ত্যাগ করে বলে জানায় ধর্ষিতা ও তার পরিবার।

    এদিকে গভীর রাতে তাহার পরিবার স্বামী ও সন্তানেরা খোজাখুজির পর উদ্ধার করে অচেতন ও মুমূর্ষু অবস্থায় তাহাকে বোরহানউদ্দিন মেডিকেল ভর্তি করে।তবে তার শারিরীক নির্যাতনের অবস্থার অবনতি দেখে বোরহানউদ্দিন মেডিকেলের চিকিৎসা রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করে বলে জানায় মেডিকেল কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    বর্তমানে ধর্ষিতা ঐ নারী ভোলা সদর হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    এসময় রাজিয়া বেগম তার ঘটনার এক বর্ননায় সাংবাদিকদের জানান, তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলার পরিবার উন্নয়ন সংস্থা কতৃক একটি ক্ষুদ্র ঋনের ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় ধর্ষক বখাটে সাহেদ ও সুমন এবং তাহাকে জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে রাতভর শারিরীক নির্যাতন করে। অপর অভিযুক্ত ইউসুফের সহোযোগিতায় পালাক্রমে ধর্ষণ করে।এবং ধর্ষণের শেষে তার কাছে থাকা নগদ ১০হাজার টাকা এবং পরনে সোনার নাক ও কানের দুল নিয়ে স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায় অভিযোগ তার।

    এবিষয়ে ধর্ষিতার স্বামী মো.সেলিম বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।এবং পরিবারের পক্ষহতে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্যে ভোলা ২ আসনের সাংসদ সদস্যের ও আইনের ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

    এবিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মাজহারুল আমিন জানান,অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার রুজু করা হয়েছে। এবং পুলিশের পক্ষহতে সকল আসামিদের অতি দ্রুতই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান তিনি।

  • ভোলায় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা

    ভোলায় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা

    ভোলা জেলা প্রতিনিধি।

    “Give blood and keep the world beating” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ভোলায় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা করছে সামাজিক সংগঠন ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘ।

    সোমবার (১৪ জুন) সকাল ১০টা ভোলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘ ব্যানারে এই সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের করা হয়।শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

    শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জজ কোর্টের এডিশনাল পি.পি. ও ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সোহেব হোসেন মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নেয়ামত উল্যাহ, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এস এম বাহাউদ্দিন, ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘের উপদেষ্টা মীর মোস্তাফিজু রহমান রনি,ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, চর টগবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসা কালিমুল্লাহ, ভোলা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি এম. আনোয়ার হোসেন।

    এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন,ভোলা মানব কল্যাণ যুব সংঘের আহ্বায়ক ইয়ারুল আলম হেলাল,যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আরিয়ান আরিফ, রাকিবুলহাসান, সদস্য সচিব মোঃ নূরনবী, উপদেষ্টা মোঃ জাকির
    ,জামাল উদ্দিন জামান,জুয়েল রানা,ধনিয়া ইউনিয়নের দলনেতা আর জে শান্ত, আলীনগর ইউনিয়নের দলনেতা ফকরুল বকসি, শিবপুর ইউনিয়নের দলনেতা মোঃ মহিন, ইলিশা ইউনিয়নের দলনেতা রাকিব হাওলাদার, বাপ্তা ইউনিয়নের দলনেতা জাফর ইসলাম প্রমুখ।

    উল্লেখ, ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।

  • ভোলার মনপুরায় দুইশত পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নারী ব্যবসায়ী আটক ১

    ভোলার মনপুরায় দুইশত পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নারী ব্যবসায়ী আটক ১

    ভোলা প্রতিনিধি।

    অফিসার ইনচার্জ, মনপুরা থানা ভোলার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ ইব্রাহিম হোসেন নয়ন ও সংগীয় অফিসার ফোর্স মনপুরা থানা ভোলা ০১নং মনপুরা ইউনিয়নের তুলাতলী বাজার এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে মাদক ব্যবসায়ী আসামী ১। মোসাঃ আসমা আক্তার মিতু (৩৫), স্বামী-মোঃ শাহআলম, সাং- চরফৈজুদ্দিন ০৮নং ওয়ার্ড, পোস্ট হাজিরহাট, ০২নং হাজিরহাট ইউনিয়ন, থানা- মনপুরা, জেলা-ভোলাকে ২০০ (দুই শত) পিছ মাদক দ্রব্য ইয়াবা সহ গ্রেফতার করা হয়।

    এ বিষয়ে মাদকের প্রচলিত আইনে মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • বালুটিলায় চাদাঁ দাবি করতে এসে গনধোলাই খেয়ে হাজতে ৪ যুবক

    বালুটিলায় চাদাঁ দাবি করতে এসে গনধোলাই খেয়ে হাজতে ৪ যুবক

    স্টাফ রিপোর্টার

    ফটিকছড়ির দাতঁমারা ইউনিয়নের বালুটিলা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে চাদাঁ না পেয়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মীরশ্বরাই উপজেলার করেরহাট ইউপির ৪ যুবককে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।এ ব্যাপারে ভূজপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মামলা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকাল ৩ টায় বালুটিলা বাজারে অবস্হিত বিএসসি ইন্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স মক্কা টের্ডাসে একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে হঠাৎ ৫ যুবক উপস্হিত হয়ে জাহিদকে খুজতে থাকে। ফোন পেয়ে জাহিদ বাসা থেকে দোকানে আসা মাত্রই যুবকরা লোহার রড দিয়ে তাকে পিঠাতে থাকে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে জাহিদকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যেতে চাইলে জাহিদের শোর চিৎকারে বালুটিলা বাজারের ব্যবসায়ী এবং আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে গনধোলাই দেয়।খবর পেয়ে দাতঁমারা তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্হলে উপস্হিত হয়ে করেরহাট ইউপির ঘেড়ামারা এলাকার রবিউল হোসেন,জসিম উদ্দিন,সাইদুল ইসলাম এবং বদ্দ ভবানি এলাকার রাজুকে আটক করে নিয়ে যায়।বাকী আসামীরা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

    জাহিদ এ ঘটনায় মারাত্নক আহত হয়ে ফেনী সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলার ১১ নং ওয়ার্ডে ৪১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন থাকায় তার বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাতে ভূজপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

  • লালমোহনে খাস পুকুর লিজ নিয়ে ভূমিদস্যুর ভয়ে এসিল্যান্ডের সহায়তায় পোনা অবমুক্তকরণ

    লালমোহনে খাস পুকুর লিজ নিয়ে ভূমিদস্যুর ভয়ে এসিল্যান্ডের সহায়তায় পোনা অবমুক্তকরণ

    বিশেষ প্রতিনিধি (ভোলা)

    ভোলার লালমোহনে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ শাহাবুদ্দিন মুন্সি বাড়ির দরজায় জামে মসজিদের সামনে সরকারি খাস পুকুর লিজ পেয়েছেন মসজিদ কমিটি।

    স্থানীয় একদল ভূমিদস্যু জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করলে মসজিদ কমিটি বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম কে জানান। তিনি সত্যতা যাচাই নিজে উপস্থিত থেকে ৪৬ কেজি পোনা অবমুক্তকরণ করেন।

    এব্যপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম জানান, এঘটনার খবর পেয়ে মসজিদ কমিটিকে পোনা সংগ্রহ করার কথা বলে আমি উপস্থিত থেকে পোনা অবমুক্তকরণে অংশগ্রহণ করি।সরকারি নিয়মানুযায়ী সকল সহায়তা করা হবে।ভূমিদস্যুদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শাহাবুদ্দিন মুন্সি বাড়ির দরজায় জামে মসজিদের সভাপতি, শাহাজান বাবুল মাস্টার, সাহিদুর রহমান ( সাহিদ মুন্সি), সাগর মুন্সি, রায়হান মুন্সি, মহিউদ্দিন মুন্সি, হাজী সোলায়মান হাং,মোসলেহ উদ্দিন হাং,আলমগীর হাং,লোকমান হাং মেম্বার সহ এলাকার উক্ত এলাকার মুসল্লীগণ ও সাংবাদিক বৃন্দ।

  • কক্সবাজার প্রেস ক্লাবকে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিল পৌরসভা

    কক্সবাজার প্রেস ক্লাবকে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিল পৌরসভা

    সাইফুল ইসলাম আজাদ,কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কক্সবাজার পৌরসভা ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলামের হাতে অনুদানের এ চেক তুলে দেন।
    এ সময় পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ এবং পৌরসভার উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
    প্রেস ক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করায় মেয়র মুজিবুর রহমানের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজ কে ।

  • ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ ইসলামের প্রতি সরকারের গভীর মমত্ববোধের পরিচয়ক-ড. আবু রেজা নদভী এমপি

    ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ ইসলামের প্রতি সরকারের গভীর মমত্ববোধের পরিচয়ক-ড. আবু রেজা নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেছেন, ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রতি জেলা ও উপজেলা সদরে একটি করে মোট ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের ইসলামের প্রতি গভীর মমত্ববোধের পরিচয় বহন করে। একসাথে এত সংখ্যক আধুনিক মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ মুসলিম বিশ্বে এই প্রথম। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাটা যেন মানুষ পায় এবং ইসলামী সংস্কৃতি মানুষ যেন ভালভাবে রপ্ত ও চর্চা করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। ড. নদভী এমপি বলেন, মডেল মসজিদ শুধুমাত্র মসজিদই হবে না সেগুলো ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এসব মসজিদে নারী পুরুষের জন্য আলাদা অজু এবং নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। মক্তব, গ্রন্থাগার, গবেষণা কক্ষ, কনফারেন্স রুম, ইমাম ও হাজীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। তিনি বলেন, মডেল মসিজদ থেকে জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা হবে। সেই সাথে মাদক, যৌতুক, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধ বক্তব্য প্রচার করা হবে।
    আজ (১০ জুন ২১) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লোহাগাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সে নির্মিত মডেল মসজিদসহ দেশের ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন শেষে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মসজিদ কমপ্লেক্স আয়োজিত সুধী সমাবেশে ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম কবির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও লোহাগাড়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুচ্ছাফা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিবাস দাশ সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নাজমুল হাসান মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক তৈয়বুল হক বেদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম গনি সম্রাট, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান, লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সদস্য নুরুল আলম জিকু, আমিরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান এসএম ইউনুচ, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, বড়হাতিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চৌধুরী, চরম্বা ইউপির চেয়ারম্যান মাস্টার মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, আধুনগর ইউপির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফজলে এলাহী আরজু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান,উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক নুনু, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আলী আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, স্থানীয় সাংসদের সহকারী একান্ত সচিব এসএম শাহাদাৎ হোসাইন শাহেদ, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফুর রহমান চৌধুরী, বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হারুন সায়দী প্রমূখ।

  • আল্লামা হাফেজ কাসেমের ইন্তেকালে আমীরে হেফাজতের শোক প্রকাশ

    আল্লামা হাফেজ কাসেমের ইন্তেকালে আমীরে হেফাজতের শোক প্রকাশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক সহকারী পরিচালক,শিক্ষাসচিব ও মুহাদ্দিস, ফটিকছড়ি তালীমুদ্দীন মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা হাফেজ কাসেম রহ. ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আমীরে হেফাজত, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    আজ (১০ ই জুন ২১) বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক শোক বার্তায় আমীরে হেফাজত বলেন,হাফেজ কাসেম রহ. দেশের শীর্ষ স্থানীয় একজন আলেম ও মুরুব্বি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী পরিচালক ও শিক্ষা সচিবের গুরু দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি একজন বিজ্ঞ আলেম ছিলেন। অত্যন্ত সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে হাটহাজারী মাদরাসায় হাদীসের খেদমত করেছেন। হাফেজ কাসেম রহ. এর ইন্তেকালে ইলমি ময়দানে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কভু পূরণ হবার নয়। তাঁর ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত।

    আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হাফেজ কাসেম (রহ.) আমার শ্রদ্ধাভাজন চাচা। আমার দাদা নাজিরহাট মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল আহমদ রহ. ছিলেন বিখ্যাত আলেম। হাফেজ কাসেম রহ. স্বীয় পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেকে একজন যোগ্য আলেমে দ্বীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি নাজিরহাট মাদরাসার মজলিশে শূরার অন্যতম সদস্য ছিলেন। আমরণ তিনি দরস-তাদরীস সহ দ্বীনের বহুমুখী খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন।

    আমীরে হেফাজত বলেন, হাফেজ কাসেম রহ. জীবদ্দশায় নিজ সন্তানদেরকে যোগ্য আলেম বানিয়েছেন। মাওলানা ওসমান সহ তাঁর সন্তানরা পিতার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছেন।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন,মহান প্রভুর দরবারে আমি দুআ করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন, তাঁর পরিচালিত তালীমুদ্দীন মাদরাসাকে কিয়ামত পর্যন্ত জারি রাখুন এবং তাঁর সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন,আমিন।

  • সাংবাদিকঃশফকত হোসাইন চাটগামীর রোগমুক্তির দোয়া কামনা করেছেন,সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী

    সাংবাদিকঃশফকত হোসাইন চাটগামীর রোগমুক্তির দোয়া কামনা করেছেন,সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী

    বার্তা সম্পাদক

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক ছাত্র নেতা ও সাবেক সফল সংগ্রামী সভাপতি, বাঁশখালী জলদী দারুল কারীম মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক সাংবাদিকঃ শফকত হোসাইন চাটগামীর রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন,
    আওয়ার বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর বার্তা সম্পাদক, আওয়ার বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর বিশেষ প্রতিনিধি,Bplus24 tv.com এর স্টাফ রিপোর্টার,আওয়ার টাইমস২৪.কম এর চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক বর্তমান খবর পত্রিকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,ঢাকা সমাচার পত্রিকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,উখিয়া ভয়েস২৪.কম চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি,ভয়েস ৭১ বিডি২৪.কম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক মদিনা কন্ঠ পত্রিকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহকারী প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অভিবক্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সাবেক সফল সংগ্রামী সভাপতি, দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ, দৈনিক বাশখালীর খবর পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সাংবাদিক আলহাজ্ব মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামী Safkat Chatgami সাহেব মোটরসাইকেল এক্সিডিন্ট করে দুই হাতে ও দুই পায়ে প্রচন্ড আগাত লাগছে পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে।

    আল্লাহ তায়ালা এই বীর চট্টলার গৌরব সহযোদ্ধা Shafkat catgami কে দ্রুত পরিপূর্ণ সুস্থতার নেয়ামত দান করুক,আমিন।