Blog

  • অহন আমাগোরে ভাত কাপড় দে।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    অহন আমাগোরে ভাত কাপড় দে।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    লালমোহন প্রতিনিধি :

    আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, অহন আমগোরে ভাত কাপড় দে। উক্তিটি জেলে থাকা এক রিক্সাচালকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী পাখি বেগমের। আখি বেগম লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামের রিক্সাচালক বাশারের স্ত্রী । কিছুদিন পূর্বে একই এলাকার প্রভাবশালী আহাদ মাস্টারের ভাই শহীদের করা মামলায় রিক্সাচালক বাশারকে ধরে নিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ।

    পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।

    ঘটনাসূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামে এক টুকরো জমি কিনে সেখানেই দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন রিক্সাচালক বাশার। তার বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ মিথ্যে মামলায় জেল খাটছে বাশার, তাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পাখি বেগম বলছেন, একদিকে করোনা আর লকডাউন। অন্যদিকে স্থানীয় ফয়শালায় না বসে বারবার আমাদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে কখনো ঘরে আগুন দেয়া, কখনো ভাঙচুর করে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন। আবার মিথ্যে মামলা দিয়ে আমার স্বামী কে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনটা সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি।

    আর এ সুযোগে পাখিকে ঘরছাড়া করতে গত ১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন পাখি, তার সন্তান ও বসতঘরে হামলা চালিয়েছিল, এমন অভিযোগে তার চাচাতো ভাই বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার সংবাদ পেয়ে প্রতিনিয়ত পাখি বেগম কে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন।

    এ বিষয়ে আহাদ মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার ভাই শহীদ কে দেখলেই পাখি বেগম বলে, “আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, আমাগোরে ভাত কাপড় দে”।

    অভিযোগ রয়েছে শুধু পাখি বেগমই নয়, এ এলাকার অনেকের জমিই নিজের দাবি করে একের এক মামলা দিয়ে এলাকার মানুষ কে হয়রানী করছেন আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ গংরা। আহাদ মাস্টার ও তার ভাইদের কারণে জায়গা জমি থাকতেও পরের ঘরে থাকতে হচ্ছে এলাকার শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার কে। জমি কিনেও নিজ জমিতে ঘর করতে পারেনি আহাদ মাস্টারের হুমকি ধমকি আর মিথ্যে মামলার ভয়ে। ফলে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।

    লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, পাখি বেগমের ঘর ভাঙচুরের অভিযোগে তার চাচাতো ভাই দুলাল বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

  • পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা আহত ১।। UkhiyaVoice24.Com

    পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা আহত ১।। UkhiyaVoice24.Com

    ভোলা প্রতিনিধিঃ

    দ্বীপ জেলা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ৩ নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক নারীর উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা।

    বুধবার রাত (২১ শে এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১০ টায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

    এতে শাহনাজ(২২) নামের এক গৃহবধু আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

    এই বিষয়ে শাহনাজের স্বামী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করার জন্য বাজারে যায়।এবং বাজার থেকে ফেরার পথে ফোন করে আমার জন্য আগানোর কথা বলি। বাড়ির কাছাকাছি আসলে দেখি আমার স্ত্রী মাটিতে পড়ে আছে আহত অবস্থায়।আমি তাৎক্ষণিক আমার সেলোক কে ফোন দেই এবং অটো যোগে বোরহানউদ্দিন হাসতাপালে ভর্তি করি।

    এই বিষয়ে শাহানাজ বলেন – আমার স্বামী ফোন করে তাকে আগানোর জন্য আমি বাসা থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর আমার সাথে সালাউদ্দিন (২৮) তার বড় ভাই আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যায় আর গালমন্দ করে আমি প্রতি উওর করলে পিছন থেকে আমাকে পিঠের উপর বাড়ি মারে, একপর্যায় আমার সাথে হাতাহাতি হয়, আমাকে টানাহেঁচড়া করে মাথা বরাবর আঘাত করলে আমি মাটিতে পরে যাই। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে যায়।

    বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন – হাসপাতালে আনার পর তার পিঠে বাড়ির চিহ্ন ও জখম দেখা যায় এবং প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে রাখি।

    পুরো ঘটনা নিয়ে আহত শাহানাজের স্বামী মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান – আমরা আইনের আশ্রয় নিব।

  • ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা।

    ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা।

    ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা

    আলমগীর ইসলামাবাদী

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী কর্মকাণ্ডকে মোটাদাগে চারভাগে ভাগ করা যায়।
    ১. দাওয়াহ
    ২. তালিম
    ৩. তাজকিয়া
    ৪. ই’লায়ে কালিমাতিল্লাহ। এটাকে চলতি ভাষায় বললে ইসলামী রাজনীতি।

    এই চারটি কাজই সমান্তরাল গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলো কাজ একই সাথে চলমান থাকা জরুরী। এর কোন একটা কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে দীর্ঘমেয়াদে ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

    তবে সবগুলো কাজ একই ব্যক্তি বা একই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে যথাযথভাবে আঞ্জাম দেয়া সম্ভব না।

    কারণ প্রত্যেকটা কাজেরই ধরন, কৌশল আলাদা। জটিল সমাজ ব্যবস্থায় প্রত্যেকটা কাজেরই বিস্তৃতি অনেক বেশি। এবং আপাতদৃষ্টিতে প্রত্যেকটা কাজের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যও আলাদা। (যদিও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এক)।

    এই বাস্তবতার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পরেই কাজগুলো ভিন্নভিন্ন ব্যক্তি ও ভিন্নভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালিত হয়েছে।

    খোদ খোলাফায়ে রাশেদার আমলেই রাজনীতি ও ইলিম চর্চার কাজ আলাদাভাবে চর্চিত হয়েছে। এরপরে দিন যত গিয়েছে ততবেশি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান দাড়িয়েছে। রাজনীতি, ইলিম, তাসাউফ ও দাওয়াহ এর জন্য আলাদা আলাদা ইমাম ও প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকে যার যার ক্ষেত্রে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছে। তবে অন্য ধারাগুলোর সাথে সহযোগিতা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় ছিলো সর্বদাই।

    ইসলামী কাজের ক্ষেত্র বিশেষায়িত হওয়ার মাত্রা এতটা ব্যাপক ছিলো যে, খোদ ইলম চর্চার শাখাই বহুভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করতো। যারা হাদিস নিয়ে কাজ করতেন তারা ফিকাহ নিয়ে সেই অর্থে কাজ করতেন না। এভাবে ফিকাহ, হাদিস, ইলমে কালামসহ ইলম চর্চারই অনেকগুলো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিলো যারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে কাজ করতেন।

    উলামায়ে কেরাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রাজ্য পরিচালনার কাজে অংশ নিতেন না। রাষ্ট্রীয় কাজের মধ্যে সর্বোচ্চ তারা বিচারক হিসেবে কাজ করতেন। এর বাইরে কেউ কেউ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করলেও সামগ্রিক অর্থে উলামায়ে কেরাম রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম থেকে দুরে থাকতেন। এই দুরে থাকাটা এতোদুর পর্যন্ত গিয়েছে যে, শাসকদের এড়িয়ে চলা ও উপেক্ষা করার শত শত ঘটনা কিংবদন্তী আকারে মুখে মুখে ফেরে এখনো।

    রাষ্ট্র চালাতেন যুদ্ধ ও শাসন ক্ষমতায় দক্ষ ব্যক্তিবর্গ। হ্যা! তাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভালো আলেম ছিলেন। কিন্তু সেটা তাদের ব্যক্তি যোগ্যতা। উলামা শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব তারা করতেন না।

    ইসলামের ইতিহাসে এই কর্মবিভাজন দিবালোকের ন্যায় সত্য এক ইতিহাস। হ্যা! কিছু ব্যতিক্রম হয়তো পাওয়া যাবে। কিন্তু সামগ্রিক অর্থে এই কর্মবিভাজন সার্বজনীন ছিলো।

    এখানে বলে রাখা ভালো যে, এই কর্মবিভাজন থাকলেও এগুলো একে অপরের ভারসাম্য রক্ষা করতো। যেমন সুফিদের কাজ ইলিম দ্বারা বৈধতা পেতে হতো, আলেমদের কাজ তার আধ্যাত্মিকতা দ্বারা সমাদৃত হতো এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ সর্বদাই উলামাদের দ্বারা সমর্থিত হতে হতো। উলামাদের সমর্থন ছাড়া কোন শাসকের ক্ষমতাই আইনত বৈধতা পেতো না। Separation of power এর চমৎকার এক উদহারন রচিত হয়েছিলো এই কর্মবিভাজনের মধ্যে দিয়ে।

    এবং এই কর্মবিভাজনের কারণেই ইসলামের ইতিহাসের রাজনৈতিক অংশের অনেক পালাবদল হলেও ইলিম চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে।

    এর সবচেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত হলো,
    উমাইয়া ও আব্বাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ইতিহাস। উমাইয়াদের পরে যখন আব্বাসীরা আসলো তখন উমাইয়াদের প্রায় নিঃশেষ করে দেয়া হয়। কিন্তু এই দুই আমলের ইলিম চর্চার ধারাবাহিকতা দেখলে দেখবেন যে, উমাইয়া আমলের জ্ঞানের ধারা আব্বাসী আমলে ব্যহত তো হয়-ই নাই বরং আরো বিকশিত হয়েছে।

    রাজনীতি আর ইলিম একত্রে বা একই প্রতিষ্ঠান থেকে চর্চিত হলে উমাইয়া আমলের সব জ্ঞান আব্বাসী আমলে ধ্বংশ হয়ে যেতো। কিন্তু বাস্তবে ধ্বংস না হয়ে আরো বিকশিত হওয়ার মুল কারন, এই কর্মবিভাজন। ইলিম ও জ্ঞান চর্চা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হওয়া।

    এই কর্মবিভাজনের আরেকটি কারণ ছিলো, ক্ষমতার পালাবদল হয়। ক্ষমতার জয়-পরাজয় আছে। কিন্তু ইলিম চর্চাকে জয়-পরাজয় ও পালাবদলের সাথে সম্পৃক্ত করে ফেললে কেয়ামত পর্যন্ত ইসলামী জ্ঞানের প্রবাহ নিশ্চিত করা যাবে না। এই কারণেই ইলিম চর্চা রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যার ফলে ইসলামের দীর্ঘ ইতিহাসে শত শত রাজনৈতিক পালাবদল হলেও ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় নাই।

    ইসলামের এই ইতিহাস ও এর অন্তর্নিহিত কৌশল অনুধাবন করে আধুনিক রাষ্ট্রগুলোতেও ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রগুলোকে রাজনীতি থেকে আলাদা করা উচিৎ।

    ইলমি ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব আলাদা হওয়া উচিৎ। ইলমি মার্কাজ ও আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্র আলাদা হওয়া উচিৎ। কোন মাদ্রাসার মুহতামিম বা গুরুত্বপূর্ণ ইলমি ব্যক্তিত্ব সরাসরি রাজনীতি না করা উচিৎ। কোন আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা কোন মাদ্রাসা থেকে না হওয়া উচিৎ।

    আরো স্পষ্ট করে বললে,
    জামেয়া হাটহাজারী, পটিয়া, লালখানবাজার, জামেয়া রহমানিয়া, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, বারিধারা, ফরিদাবাদ মাদ্রাসা, চরমোনাই মাদ্রাসাসহ সকল মাদ্রাসাকে সরাসরি রাজনীতিমুক্ত রাখা উচিৎ। কোন মাদ্রাসা থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের মিছিল শুরু না করা উচিৎ। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কোন মাদ্রাসায় অবস্থান না করা উচিৎ। হাইয়াতুল উলয়া ও বেফাকুল মাদারিসকে সম্পুর্ন রাজনীতিমুক্ত করা উচিৎ।

    তবে অবশ্যই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে রাজনৈতিক চিন্তা ও দর্শনের চর্চা থাকতে হবে, উলামায়ে কেরামকেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে হবে। তবে দৃশ্যত সব হতে হবে মাদ্রাসার বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কহীনভাবে। যাতে রাজনীতি বা আন্দোলন-সংগ্রামের কোন প্রতিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের ওপরে না পড়ে।

    কারণটা খু্বই স্পষ্ট।
    রাজনীতিতে উত্থান-পতন আছে। জয়-পরাজয় আছে, ধরপাকড় আছে। ইলমি মার্কাজগুলো এই জয়-পরাজয় ও উত্থান-পতনের চক্করে পড়ে গেলে ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে। যা দীর্ঘমেয়াদে ইসলামের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।

    এক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দ একটি ভালো উদাহরণ। এই মাদ্রাসাটা প্রতিষ্ঠাই হয়েছে ইংরেজদের প্রতিহত করার জন্য। এখান থেকে ইংরেজ ও বস্তুবাদ বিরোধী সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর নেতৃত্ব চুড়ান্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সংঘাতকে এড়িয়ে গেছেন। এখনো ভারতের মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী শাসনের মধ্যেও তারা রাষ্ট্রের সাথে সকল ধরনের সংঘাত এড়িয়ে চলছে। ভারতে অনেক বড় বড় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে যেগুলো মুসলিমরা কচুকাটা হয়েছে তারপরেও দারুল উলুম দেওবন্দ ও নদওয়াতুল উলামার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কোন দাঙ্গায় অংশ নেয় নি। (দুই একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে)।

    পাকিস্তানেও প্রধান জামেয়া ও মাদ্রাসাগুলো সরাসরি রাজনীতির কেন্দ্র না। আন্দোলন সংগ্রামের সূচনা বিন্দু না। (ব্যতিক্রম আছে এবং ভারতের তুলনায় সেই ব্যতিক্রমের হারও বেশি)

    বাংলাদেশেও এই ধারা বজায় ছিলো। আমাদের প্রধান ইলমি কেন্দ্রগুলো রাজনীতির বাইরে ছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একক পরিচয়ে রাজনৈতিক স্বত্বা হিসেবে সামনে আসছে। যা মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রের ও বিভিন্ন শক্তির মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিচ্ছে। ২০১৩ সালে এর প্রকট উদহারন স্থাপিত হয়েছে এবং গত ২৬-২৮ মার্চে যার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।

    মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একক পরিচয়ে রাজনৈতিক স্বত্বা হিসেবে সরকার ও বিভিন্ন শক্তির মুখোমুখি দাড়িয়ে যাওয়া ইসলামের দীর্ঘ দেড় হাজার বছর ধরে চর্চিত ইসলামী কর্মকাণ্ডের কর্মবিভাজন নীতির খেলাফ। এবং এর পরিনতি খুবই ভয়ংকর হতে পারে। ইংরেজ আমলে সিপাহী বিপ্লবের পরে যেমন গোটা ভারত উপমহাদেশে ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়ার বাস্তবতা তৈরি হয়েছিলো আধুনিক বাংলাদেশেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ইলম চর্চার নিরবচ্ছিন্ন ধারা ব্যহত হতে পারে। যার আলামত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

    ইসলামী কার্যক্রমের কর্মবিভাজন নীতির খেলাফ করে ইলমি মার্কাজগুলোকে রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রে পরিনত করলে অদূর ভবিষ্যতে উম্মাহকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। ইলিম শূণ্যতা দেখা দেবে।

    আর উম্মাহের মধ্যে ইলিম শূণ্যতার চেয়ে ভয়ংকর কিছু আর হতে পারে না।

    অতএব,
    এখনই ইলমি মার্কাজগুলোকে রাজনীতি ও আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে হলেও ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।

    আপাতদৃষ্টিতে এই প্রস্তাব পিছুহটা, আপোষকামী ও ভীরুতা জনিত প্রস্তাব মনে হলেও ইসলামের ইতিহাস বলে, এই কর্মবিভাজন নীতিতেই উম্মাহ এতোদুর এগিয়েছে।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষণিকের আবেগ মুক্ত হয়ে কাজ করার তৌফিক দান করুন।

    লেখকঃশেখ ফজলুল করিম মারুফ,গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক

  • পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক মাস কুরআন নাযিলের মাসে হিফজ বিভাগ অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবী চরমোনাই পীর

    পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক মাস কুরআন নাযিলের মাসে হিফজ বিভাগ অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবী চরমোনাই পীর

    সারাদেশ

    এই মাস পবিত্র মাস কুরআন নাযিলের মাসে হিফজ বিভাগ অবিলম্বে খুলে দিন: চরমোনাই পীর

    কুরআন নাযিলের মহান এ মাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজুল কুরআন মাদরাসা ও মকতবগুলোকে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম।

    মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।

    চরমোনাই পীর বলেন, রমাযান মাস কুরআন নাযিলের মাস। কুরআন নাযিলের এ মাসে বাচ্চারা যেন কুরআন চর্চা করতে পারে সে জন্য হাফিজিয়া মাদরাসা ও মকতবগুলো খুলে দেওয়া জরুরি। বাচ্চারা কুরআন পড়ে দেশ, ইসলাম ও মানবতার জন্য বিশেষ দুআ করবে। মহান রব্বুল আলামিন যেন কুরআনের উসিলায় আমাদের দেশসহ বিশ্ববাসীকে মহামারি থেকে রক্ষা করেন।

    মুফতী রেজাউল করীম বলেন, বিগতদিনগুলোতে মাদরাসার হিফজ বিভাগ ও মকতব বিভাগ খুলে দেয়া হয়েছিলো। ফলে কুরআনের উসিলায় আমাদের এ দেশ অন্য দেশ থেকে অনেক ভালো ছিল। এখনও যদি কুরআন চর্চার জন্য কুরআন নাযিলের মাসে কুরআনী মাদরাসাগুলোকে খুলে দেওয়া হয়, তাহলে কুরআনের উসিলায় আমাদের দেশে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে, ইনশাআল্লাহ। এতে কোন সন্দেহ নেই।

    তিনি অবিলম্বে ধর্মমন্ত্রণালয়কে হাফিজিয়া মাদারাসা ও মকতবগুলোকে খুলে দেওয়ার কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

  • বাঁশখালীতে কয়লা প্রকল্পের মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করার অভিযোগ

    বাঁশখালীতে কয়লা প্রকল্পের মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করার অভিযোগ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালীতে গত শনিবার এস আলম কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে সংঘটিত শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহত ও অর্ধ শতাধিক লোক আহত হওয়ার জের ধরে কয়লা প্রকল্পের পক্ষে দায়ের করা মামলায় যে ২২ জনকে এজহার নামীয় আসামী করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে নিরীহ লোকদের আসামী করে প্রকৃত ইন্দনদাতাদের আড়াল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। তাছাড়া মামলার আসামীদের কয়েকজন ছাড়া প্রায় সকলে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হয়তো কোন কুচক্রি মহলের ইন্দনে মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করে মামলার মোটিভ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। যিনি মামলার বাদী ফারুক আহমদ তিনি স্থানীয় কেউ নয়। যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের তিনি চিনেন বলেও মনে হয়না। এপযর্ন্ত দায়ের করা দুটি মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলাটিতে কারো নাম নেই।

    সেখানের সবাই অজ্ঞাতনামা। আর কয়লা প্রকল্পের পক্ষে করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে বাকীদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে দেখানো হয়েছে। দুটি মামলার আসামী প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। মামলার পর গ্রেফতার আতংকে বর্তমানে গন্ডামারা বড়ঘোনা পুরুষ শুন্য। লোকজন যে যার।মত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, মামলা হলেও নিরীহ কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। ভিডিও ফুটেজ এবং তথ্য প্রমাণের ভিক্তিতেই কেবল গ্রেফতার করা হবে।

    স্থানীয় লোকজন জানান, মামলাটি এস আলম কর্তৃপক্ষের পক্ষে করা হলেও এখানে লেয়াকত আলীর প্রতিপক্ষ লোকগুলোকেই কেবল এজহার নামীয় আসামী করা হয়েছে। হয়তো তার ইশারাতেই এসব করা হয়েছে বলে সন্দেহ এলাকাবাসীর। সুত্র জানায়, শুধুই লেয়াকত বিরোধী হওয়ায় গন্ডামারা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলী হায়দার আসিফকে আসামী করা হয়েছে। তিনি লেয়াকত বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেন সিকদার আবুকেও করা হয়েছে সরাসরি আসামী। তিনিও লেয়াকত বিরোধী এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা। যাকে মুলহোতা বলে এজহার নামীয় ১নং আসামী করা হয়েছে সেই আবদুর রশিদ একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আবদুর রশিদকেও বানানো হচ্ছে জামাত নেতা হিসেবে। এই বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আলী হায়দার আসিফ জানান, আমরা কয়লা প্রকল্পের জন্য জমি দিলাম, পক্ষে ভূমিকা রাখলাম। এখন যারা এই প্রকল্পের বিরোধী তাদের বিরাগভাজন হয়ে মামলার আসামী হলাম। তিনি চ্যালেন্জ দিয়ে বলেন, কোন ভিডিও চিত্র কিংবা শ্রমিক আন্দোলনে আমার কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে যে কোন শাস্তি।মাথা পেতে নেব। আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসাইন সিকদার আবু বলেন, আমরা লেয়াকত বিরোধী হওয়ায় আমাদের এই মামলায় ফাসানো হয়েছে। তিনি তদন্ত পুর্বক প্রকৃত ইন্দনদাতাকে খুজে বের করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

    গন্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী জানান, হয়তো বড় রাগব বোয়ালদের আড়াল করতে এই মামলায় নিরীহ লোকদের জড়ানো হয়েছে। মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করার ঘটনা দুঃখজনক। এমনকি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়াও অমানবিক। যারা গুলি খেল, যারা মারা গেল দিন শেষে তারাই আসামী। বর্তমানে শ্রমিকরা গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও জানান তিনি।
    বাঁশখালী থানার ওসি সফিউল কবির জানান, গন্ডামারার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আলামত ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে। তিনি জানান, কোন অবস্থাতেই নিরীহ কাউকেই গ্রেফতার করা হবে না।

  • আল্লামা মামুনুল হক সাহেব এর ইতিহাস হয়ে থাকবে আত্মবিশ্বাস

    আল্লামা মামুনুল হক সাহেব এর ইতিহাস হয়ে থাকবে আত্মবিশ্বাস

    আইন আদালত

    আল্লামা মামুনুল হক আমি আদালতের কাছে আবেদন জানাই, আমাকে যেন এবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হয়’

    বিচারকের সামনে আজ এটাই ছিলো আপনার মূল কথা। অসংখ্য মামলার বোঝা আর রিমান্ডের নিশ্চিত ঝুঁকি চোখের সামনে দেখার পরেও যার আকুতি থাকে কেবল এবাদতের সুযোগ চেয়ে। সফলতা তাকে ছেড়ে আর কার পদচুম্বন করবে? প্রকৃত ঈমানদার এমনই হয়।

    বিশ বছর আগে ২০০১ সালে আল্লাহর একান্ত প্রিয় কিছু বান্দাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে কিউবায় অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হয়। দিনের পর দিন বন্দি থাকার কারণে তাদের পক্ষে দিন, তারিখ, সময় এবং কেবলা নির্ধারণ করার উপায় ছিলো না। তারা সেখানে পৌঁছার পর কারারক্ষীদের নিকট সরবপ্রথম জানতে চেয়েছিলেন- ‘এখন কোন সময়? কেবলা কোনদিকে?’
    সর্বপ্রথম অনুরোধ জানিয়েছিলেন- ‘আমাদেরকে একটু নামাজের সুযোগ দাও!

    প্রিয় শায়েখ! আজ আদালতে ওঠার পর বিচারকের কাছে আপনার আরজি প্রমাণ করে দেয় যে, আপনি দ্বীনের পথে আত্মোৎসর্গী, আপোষহীন সেইসব মহামানুষদের কাতারেই রয়েছেন। ইতিহাস হয়ে থাকবে আপনার আত্মবিশ্বাস। শতশত পুলিশ বেষ্টনীর ভেতরে থেকেও আপনার প্রত্যয়দীপ্ত মুচকি হাসি ইসলামপ্রেমীদের প্রেরণা যোগাবে।

  • আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে-পীর সাহেব চরমোনাই

    আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে-পীর সাহেব চরমোনাই

    এইচ এম আলমগীর ইসলামবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের নিরীহ নিরাপরাধ আলেম ওলামাদের গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে সরকারের চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, যে মুহুর্তে মহামারি প্রকট আকার ধারণ করছে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠছে এবং সর্বত্র মানুষ আতঙ্কিত; এহেন পরিস্থিতিতে আলেম ওলামাদের অযথা হয়রানী নির্যাতন কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

    তিনি বলেন, দেশে মাদরাসা শিক্ষকসহ আলেম-ওলামাদের গণহারে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই। পবিত্র রমাযানের শুরুতেই দেশের আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষকদের সরকার গণহারে গ্রেফতার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের এই আচরণ অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গত কয়েক দিনে সারাদেশে শত শত নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্র গ্রেফতার করা হয়েছে। যেকোনো ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবাদ করা দেশের আলেম-ওলামার নৈতিক দায়িত্ব। তাদের এই নৈতিক দায়িত্ব পালনে বাধাদান ও তাদেরকে গ্রেফতার মেনে নেয়া যায় না। তিনি আলেম ও মাদরাসা শিক্ষকদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের কোনো শ্রেণিপেশার মানুষই আজ নিরাপদ নয়। বাঁশখালীতে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং পবিত্র রমজানের ইফতার, সাহরি ও তারাবিহ ঠিক রেখে কর্মঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকরা। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলি চালাতে হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে। পবিত্র রমজানে এমন হতাহতের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    পীর সাহেব চরমোনাই নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ও আহতদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

  • গন্ডামারা ট্রাজেডির পেছনে আলোচনায় লেয়াকত আলীর নাম!”যত লাশ, তত লাভ”

    গন্ডামারা ট্রাজেডির পেছনে আলোচনায় লেয়াকত আলীর নাম!”যত লাশ, তত লাভ”

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক অসন্তোষ, দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন, পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক নিহত এবং অর্ধ শত শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীকে দায়ী করছে অনেকেই। তারা বলছে, লেয়াকত আলীর ইন্দনেই শ্রমিক আন্দোলন এবং পরবর্তিতে সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। যত লাশ পড়ে তত লাভবান হয় লেয়াকত আলী। লাশ নিয়ে তার রাজনীতির শেষ নেই। লাশের উপর ভর করেই তার রাজনীতি। অবশ্যই লেয়াকত আলী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। শ্রমিক আন্দোলনের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

    এদিকে খোদ কয়লা প্রকল্পের কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন অভিযোগ করেছেন, কয়লা প্রকল্পে শ্রমিক সরবরাহের কাজ লেয়াকত আলীর কাছ থেকে প্রত্যাহার করে চায়না কোম্পানীকে দেয়ায় তিনি ক্ষীপ্ত হয়েছেন। তাছাড়া গন্ডামারায় তার ইশারা ও নির্দেশের বাইরে এত বড় ঘটনা সম্ভব নয়। এদিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রশিদুল হক শনিবার বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে গন্ডামারা ট্রাজেডির পিছনে ইন্দনদাতা ও উস্কানীদাতাদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, উস্কানীদাতা ও ইন্দনদাতাদের খুজে বের করা হবে। জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানও বলেছেন, যারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করতে চায়, সরকারের ভাল কাজ যাদের পছন্দ হয়না তারাই উস্কানী দিয়ে গন্ডামারায় এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে শুধু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সেটাই নয়; প্রকল্পে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক।

    এর আগে লেয়াকত আলীর নেতৃত্বে গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশের গুলিতে ৪ জন মারা যান। পরে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে মারা যায় আরো ১ জন। সে সময় লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তদন্ত রিপোর্টে একমাত্র লেয়াকত আলীকে ঘটনার নেপথ্য নায়ক হিসেবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু লেয়াকত আলী রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এস আলম কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সাথে সমঝোতা করে সে যাত্রায় বেঁচে যায় লেয়াকত আলী। দীর্ঘ ৫ বছর পর আবারো গন্ডামারা রক্তাক্ত হল। মারা গেল আরো ৫ জন। এনিয়ে গন্ডামারা কয়লা প্রকল্পে ১০ জন মানুষ প্রাণ হারায়।

    ৫ বছর আগে লেয়াকত আলী আন্দোলন গড়ে তুলে এবং প্রশাসন ও এসআলমের সাথে সমঝোতা করে বেঁচে গেলেও এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে গন্ডামারায় শত শত র্যাব পুলিশের উপস্থিতি, পুরো এলাকা আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেয়া বলে দেয় লেয়াকত আলীর আগের সেই আন্দোলন এখন আর হবে না। তাছাড়া জনগনও এখন আর আগের মত তার বক্তব্যে মতোয়ারা হবে না। কারণ এই লেয়াকত এক সময় বলেছিল, “১০ হাজার মানুষ মারা গেলেও গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে দেয়া হবে না”
    তিনি কয়লা বিদ্যুতের কুফল নিয়ে এলাকায় জনমত তৈরি করেন।

    কিন্তু অভিযোগ আছে, পরবর্তিতে এই লেয়াকত আলী মোটা অংকের টাকা এবং প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে পরসেন্টিজের বিনিময়ে প্রকল্পের পক্ষে হয়ে যায়। কিন্তু হলে কি হবে? ঘটনা আর খুনি খুনি না হলে গন্ডামারা শান্ত থাকলে লেয়াকত আলীর যে কাজ নেই!

    তাই তিনি আবারো উস্কানী দিয়ে গন্ডামারাকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করেন। এতে লেয়াকত আলীর “যত লাশ, তত লাভ” লাশ পড়লে, ঘটনা ঘটলে লেয়াকত আলী লাভবান হবে। লাভবান হবে স্থানীয় আরো কিছু নেতা ও দালাল।
    ফলে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল মনে করেন, লেয়াকত আলীর উস্কানী ইন্দনেই গন্ডামারায় আবারো সংঘাত এবং খুনাখুনির ঘটনা ঘটেছে। সচেতন মহল বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার ইন্দনদাতা-উস্কানীদাতাদের খুঁজে বের করতে দাবী জানিয়েছে।

  • ঘুমধুমে ৩৬৬০ পিছ ইয়াবাসহ ওমর ফারুক আটক

    ঘুমধুমে ৩৬৬০ পিছ ইয়াবাসহ ওমর ফারুক আটক

    এমডি জসিম উদ্দীন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

    বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার দিক নির্দেশনায় এবং ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক/নিঃ দেলোয়ার হোসেন এর সার্বিক তত্বাবধায়নে ১৮/০৪/২০২১খ্রিঃ তারিখ নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীণ ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই/নিঃ মুখলেছুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘুমধুম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৩.১৫ ঘটিকার সময় আসামী ওমর ফারুক এর হেফাজত হইতে ৩৬৬০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।এ বিষয়ে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • আলেমদের গ্রেফতার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না : চরমোনাই পীর

    আলেমদের গ্রেফতার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না : চরমোনাই পী

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আলেমদের গ্রেফতার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না : চরমোনাই পীর
    দেশে আলেমদের গ্রেফতারে চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

    রোববার (১৮ এপ্রিল ২১) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক গ্রেফতারের পরই এই বিবৃতি আসে।
    বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশের নিরীহ নিরাপরাধ আলেমদের গ্রেফতার ও হয়রানির কারণে সরকারের চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে। যখন মহামারি প্রকট আকার ধারণ করছে,
    সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, তখন আলেমদের অযথা হয়রানি-নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
    সরকারের আচরণ অমানবিক ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে মাদরাসা শিক্ষকসহ আলেমদের গণহারে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই। পবিত্র রমজানের শুরুতেই দেশের আলেম ও মাদরাসা শিক্ষকদের সরকার গণহারে গ্রেফতার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।’
    যেকোনো ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবাদ করা দেশের আলেমদের নৈতিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, তাদের এই দায়িত্ব পালনে বাধা দান ও গ্রেফতার মেনে নেয়া যায় না।’

    উল্লেখ্য, রোববার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেফতার পর তাকে প্রথমে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে কিছু সময় রাখার পর তেজগাঁও থানায় নেয়া হয়।

    তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মাদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।