Blog

  • সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সজল দাসের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

    সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সজল দাসের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

     

    সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সজল দাস ২৩ এপ্রিল শুক্রবার জুম্মা’র নামাজের পর সোবহানীঘাট নোয়াব আলী জামে মসজিদে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
    সজল তালুকদার থেকে এখন নতুন নাম মোঃ ইশরাক আহমদ রাখা হয়েছে।
    উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলী হজরত আব্দুল লতিফ ফুলতলী (র.) সাহেবজাদা মাওলানা কমর উদ্দীন চৌধুরীর মাধ্যমে শুক্রবার জুম্মা’র নামাজের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন সজল।


    ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় তার মুসলমান শুভাকাঙ্খীরা তাকে শান্তির ধর্ম ইসলামে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
    সিলেট মহানগর তাঁতী লিগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন “আলহামদুলিল্লাহ!!!
    শান্তির ধর্ম,পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার ধর্ম-ইসলামে তোমাকে স্বাগতম প্রিয় ভাই আমার,ব্যক্তিগত পরিচয় নেই,ফেইসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম।
    সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সজল তালুকদার আজকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সজল দাস থেকে এখন নতুন নাম মোঃ ইশরাক আহমদ রাখা হয়েছে।ফুলতলী শাহেবজাদা মাওলানা কমর উদ্দীন চৌধুরী সাহেবের মাধ্যমে আজ জুমার নামাজের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ভাই আমার। আল্লাহ পাক যেন স্নেহের ভাইকে ইসলাম ধর্মের একজন খাদেম হিসেবে কবুল করেন। আমিন”

  • চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।।গাজী আতাউর রহমান

    চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।।গাজী আতাউর রহমান

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কিছুদিন ধরে একটি অনাকাঙ্খিত বিষয় লক্ষ করছি; একটি বিশেষ মহল সংঘবদ্ধভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এর শীর্ষ নেতৃত্ত্ব- পীর সাহেব চরমোনাই, শায়খে চরমোনাই এমনকি মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর বিরুদ্ধেও নগ্নভাবে ঝাপিয়ে পড়েছে।
    এমনকি তাদের জঘন্ন আক্রমন থেকে বাদ যাচ্ছেন না পীর সাহেবের অন্যান্য ভাইগণও।
    বিশেষ এই মহলটি এমন এমন মিথ্যাচারও ছড়াচ্ছে, যা কোন মুসলমানতো দূরের কথা সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না।
    কোন একটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা হতেই পারে। রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনাও দোষনীয় নয়। আমরা যে কোন গঠনমূলক সমালোচনাকে অবশ্যই শ্রদ্ধা এবং মূল্যায়ন করি। একটি রাজনৈতিক দল গতিশীল এবং ইফেক্টিভ হয় গঠনমূলক সমালোচনার মধ্যদিয়ে।
    কোন রাজনৈতিক দলের এবং কোন জাতীয় নেতার সমালোচনা না হলে, বুঝতে হবে, জনগণের মধ্য থেকে তারা হারিয়ে গেছে।
    অতএব, আমরা প্রত্যাশাই করি, আমাদের দল এবং আমাদের নেতৃত্বের বেশি বেশি গঠনমূলক সমালোচনা হোক। কিন্তু সম্প্রতি একটি শ্রেণী অনলাইনে চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যা খুবই দূঃখজনক।
    তারা কেন, কী উদ্দেশ্যে এহেন মিথ্যাচার ছড়িয়ে অনলাইনে উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

    আমরা আরো একটি আপত্তিকর বিষয় লক্ষ্য করেছি, মহল বিশেষের মিথ্যাচার এবং পরিকল্পিত উস্কানির জবাব দিতে গিয়ে অনেকেই আমাদের হীতাকাঙ্খী বা অনুসারী সেজে, বিভিন্ন রকম আপত্তিকর ও উত্তেজনাকর শব্দ প্রয়োগ করছে।
    আবার কেউ কেউ কোন ব্যাক্তির আক্রমনাত্ত্বক ও উস্কানীমূলক বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে, কোন বিশেষ সংগঠনের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
    এসব অভদ্রতা ও অসৌজন্যতা কোন সংগঠনের জন্যেই কল্যাণকর নয়। ভোগবাদী সেক্যুলার দলগুলোর কথা বাদ দিলে সকল ইসলামী সংগঠনেই ভদ্রতা ও সৌজন্যতাবোধ শিক্ষা দেয়া হয়।
    অতএব, সকল পক্ষের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, কোন ইসলামী সংগঠনের বা ব্যাক্তির সত্যিকারের হীতাকাঙ্খী কেউ মিথ্যাচার, অভদ্রতা ও অসৌজন্যতা প্রকাশ করবেন না। ব্যক্তির উস্কানীর দায় কোন সংগঠনকে দিবেন না।

    আরো একটি বেদনাদায়ক বিষয় আজকে উল্লেখ করছি; কারো নাম বা উপাধী বিকৃত করা ইসলামী শরিয়তে গুনাহের কাজ। দূঃখজনক বিষয় হলো, এই গুনাহের কাজে অনেক ইসলামী সংগঠনের কর্মী সমর্থক এমনকি কিছু অবিবেচক আলেমও ব্যাপকভাবে লিপ্ত হয়ে গেছেন।
    চরমোনাই একটি জায়গার নাম হলেও এটি বিগত পৌনে একশত বছর যাবৎ ‘পীর সাহেব চরমোনাই’ নামে শুধু বাংলা দেশে নয়, বিশ্বময় একটি পবিত্র উপাধী হিসাবে কোটি কোটি মানুষের অন্তরে শ্রদ্ধা এবং ভক্তির জায়গা দখল করে আছে।
    কারো কাছে চরমোনাই ভালো নাও লাগতে পারে; তাই বলে চরমোনাইকে বিকৃত করে উপহাস করার অধিকার কারো নেই।
    কিন্তু আমরা বহুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, কিছু বিকৃত মানসিকতার নিচু শ্রেণীর মানুষ অনলাইনে ‘চরমোনাই’ শব্দটিকে বিকৃত করে নোংরা আনন্দ অনুভব করে।
    এই অভদ্র মানুষগুলোকে বোঝা উচিৎ, তাদের বিকৃত উল্লাশে লাখো মানুষের অন্তরে রক্তক্ষরণ হয়।
    অতএব, যারা চরমোনাইকে বিকৃতভাবে উপস্হাপন করে এতোদিন গুনাহের কাজ করেছেন, আশা করি তারা তওবা করে এহেন অন্যায় কাজ থেকে ফিরে আসবেন।
    পরিশেষে সবাইকে বলবো, আমরা সকলের কল্যাণ চাই।
    দলের ভিন্নতা, মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু
    আমরা সবাই দেশটাকে ভালবাসি। একজন মুসলমান হিসাবে আমরা ইসলামের আদর্শের আলোকে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে চাই। মানুষের মুক্তির জন্যে সত্যিকারের ইসলামী ঔক্য ইসলামী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় আকাঙ্খার বিষয়। সেই কাঙ্খিত ঐক্যের জন্যেই ইসলামী আন্দোন বাংলাদেশ বিগত ৩৪ বছর ধরে প্রহর গুণছে।

    যুগ্ম-মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • চাঁদা না দেয়ায় ঘুমধম ৮নং ওয়ার্ডের স্হানীয় বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী মোঃ রুবেল ও তার বাবা কে মারধর

    চাঁদা না দেয়ায় ঘুমধম ৮নং ওয়ার্ডের স্হানীয় বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী মোঃ রুবেল ও তার বাবা কে মারধর

    কফিল উদ্দিন জয়, নাইক্ষ্যংছড়ি রিপোর্টার

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু গর্জনবনিয়া ০৮ নং ওয়ার্ড এর চাইঙ্গাপ্রু চাকমা এর ছেলে সনজীব তংচংগ্যা(প্রকাশ)কান্ডালী কতৃক চাঁদা না দেয়ায় অত্র ওয়ার্ডের স্হানীয় বাসিন্দা ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী মো রোবেল ও তার বাবা কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

    ★★রোবেল এর বাবা অভিযোগ করে বলেন,তারা খেটে খাওয়া মানুষ সে কারণে গত ২১-০৪-২১ সকাল ০৮ টার দিকে নুরুল কবীর চৌধুরীর মালিকানাধীন পাহাড়ে কাজ করতে যাই রোবেলের বাবা সহ ১৫ জন মানুষ।তখন উপরে উল্লেখিত সনজীব চাকমা প্রকাশ কান্ডালী চাকমা গিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবী করে।তখন কিসের টাকা, কি জন্য কারন জানতে চাইলে কান্ডালী চাকমা জাফর আলম কে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে।খবর পেয়ে ঘটনা স্হলে রোবেল পৌঁছে কান্ডালী চাকমার কাছে টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কোন কথা ছাড়াই রোবেল কে ঐ একই লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারলে অন্যান্যরা এসে রোবেল নিয়ে সবাই ০৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কে অবিহিত করে।এলাকার মুরুব্বিদের সাথে কথা বলে জানা যায়,অভিযুক্ত কান্ডালী চাকমা সন্ত্রাসী টাইপের লোক।তার বিরুদ্ধে এলাকার মান্য গণ্য মানুষদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে।উখিয়ার রত্বাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবীর চৌধুরী বলেন,অভিযুক্ত কান্ডালী চাকমা নুরুল কবীর চৌধুরীর কাছেও চাঁদা চেয়ে তিনার গাড়িতে হামলা করেছিলেন।উক্ত বিষয়ে রোবেল বাদি হয়ে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গেছে।
    আমি ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী হিসাবে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ শ্রদ্ধেয় জনাব আলমগীর হোসেন স্যারের কাছে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশ রাখছি।

  • তালিকা দিন, সবাইকে নিয়ে জেলে যাব।। আল্লামা বাবুনগরী

    তালিকা দিন, সবাইকে নিয়ে জেলে যাব।। আল্লামা বাবুনগরী

    আল্লামা বাবুনগরীর আহ্বান

    লকডাউন তুলে দিয়ে দেশের নিম্ন আয়ের গরিব মানুষকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    তিনি বলেন, গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম ওলামাদের গ্রেফতারের জন্য লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে সরকার সমগ্র দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে। দেশের নিম্নআয়ের গরিব মানুষকে আর হয়রানি ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো; একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না। এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন। লকডাউনের অজুহাতে জোর, জবরদস্তি করে যে সকল মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কুরআন-হাদীসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, ওগুলো খুলে দিন। যাতে কুরআন-হাদীসের ব্যাপক চর্চার বরকতে দেশের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়।

    বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

    রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার আহবান জানিয়ে ওই বিবৃতি দেন হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ গৃহে বন্দি জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন জুলুম চলছে মসজিদ, মাদরাসা, হিফজখানা ও এসব প্রতিষ্ঠানের হেফাজতকারীদের ওপর।

    সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে হেফাজত আমির বলেন, এই রমজান মাসে রিমান্ডে নেয়া আলেম ওলামাদেরকে বিধর্মী এবং অবিশ্বাসীদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করাবেন না। তারা এই সকল হযরতদের সাথে খুবই নিষ্ঠুর ও অপমানজনক আচরণ করছে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এসব বরদাস্ত করবেন না।

    হেফাজত আমির বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মাহে রমজান হল সাহায্য সহানুভূতির মাস। বাকি এগারো মাসের তুলনায় রমজান মাসে সকল ধরনের ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অনেক গুণ বেশি। অথচ এই মাসেই বাংলাদেশে শত শত হেফাজত নেতাকর্মী, আলেম ওলামা, ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর জুলুম, গ্রেফতার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, রমজানের এই পবিত্র মাসে ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদেরকে দেয়, তখন সরকার ইসলাম প্রচারকদের বন্দি করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে। আমার এই সকল সহকর্মী হযরতগণ হাজতের নোংরা পরিবেশে সাচ্ছন্দ্যে গোসল করতে, অজু করতে, নামাজ আদায় করতে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে, সেহরী-ইফতারও করতে পারছেন না। এসব জুলুম, বর্বরতা, মানবতার অপমান দেখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাখোশ হবেন।

    দেশবাসীর উদ্দেশে বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলন সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষতেও তাই থাকবে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো সরকারই জনগণের এই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাণ্ডব ও ভাঙচুর’-এর অভিযোগে সারা দেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এই সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দি সকল আলেম ওলামাদেরকে মুক্তি দিন

  • রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করুন।। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করুন।। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    হেফাজত ডেস্ক

    হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছেন, সারা বছরের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য আমল করার সেরা সময়। আল্লাহর কাছে আনুগত্য ও গোলামী প্রকাশ করা এবং নেকি বৃদ্ধির জন্য গুনাহগার বান্দার আপন সত্ত্বা ও অহং বিলীন করার মাস এই মাহে রমজান।
    .
    হেফাজত আমির বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মাহে রমজান হল সাহায্য সহানুভূতির মাস। বাকী এগারো মাসের তুলনায় রমজান মাসে সকল ধরনের ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অনেক গুণ বেশি। অথচ এই মাসেই বাংলাদেশে জুলুম, গ্রেফতার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে শত শত হেফাজত নেতাকর্মী, আলেম ওলামা, ছাত্র ও তৌহিদী জনতার উপর।
    .
    তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ গৃহে বন্দি জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন জুলুম চলছে মসজিদ, মাদরাসা, হিফজখানা ও এসব প্রতিষ্ঠানের হেফাজতকারীদের উপর। রমজানের এই পবিত্র মাসে ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদেরকে দেয়, তখন সরকার ইসলাম প্রচারকদের বন্দি করে রিমাণ্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে। আমার এই সকল সহকর্মী হযরতগণ হাজতের নোংরা পরিবেশে স্বাচ্ছন্দে গোসল করতে, অজু করতে, নামাজ আদায় করতে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে, সেহরী খেতে ও ইফতার করতে পারছেন না। এসব জুলুম, বর্বরতা, মানবতার অপমান দেখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাখোশ হবেন।
    .
    গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম ওলামাদের গ্রেফতারের জন্য লকডাউন আরো এক সাপ্তাহ বাড়িয়ে সরকার সমগ্র দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে, এই তথ্য প্রকাশ করে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, দেশের নিম্নআয়ের গরীব মানুষকে আর হয়রানী ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো; একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না। এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন। লকডাউনের অজুহাতে জোর, জবরদস্তি করে যে সকল মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কুরআন-হাদীসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, ওগুলো খুলে দিন। যাতে কুরআন-হাদীসের ব্যাপক চর্চার বরকতে দেশের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়।
    .
    দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলন সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষতেও তাই থাকবে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোন সরকারই জনগণের এই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাণ্ডব ও ভাঙচুর’-এর অভিযোগে সারাদেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এই সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দী সকল আলেম ওলামাদেরকে মুক্তি দিন।
    .
    সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে হেফাজত আমীর বলেন, এই রমজান মাসে রিমাণ্ডে নেয়া আলেম ওলামাদেরকে বিধর্মী এবং অবিশ্বাসীদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করাবেন না। তারা এই সকল হযরতদের সাথে খুবই নিষ্ঠুর ও অপমানজনক আচরণ করছে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এসব বরদাস্ত করবেন না।
  • অহন আমাগোরে ভাত কাপড় দে।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    অহন আমাগোরে ভাত কাপড় দে।। উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    লালমোহন প্রতিনিধি :

    আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, অহন আমগোরে ভাত কাপড় দে। উক্তিটি জেলে থাকা এক রিক্সাচালকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী পাখি বেগমের। আখি বেগম লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামের রিক্সাচালক বাশারের স্ত্রী । কিছুদিন পূর্বে একই এলাকার প্রভাবশালী আহাদ মাস্টারের ভাই শহীদের করা মামলায় রিক্সাচালক বাশারকে ধরে নিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ।

    পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।

    ঘটনাসূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামে এক টুকরো জমি কিনে সেখানেই দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন রিক্সাচালক বাশার। তার বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ মিথ্যে মামলায় জেল খাটছে বাশার, তাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পাখি বেগম বলছেন, একদিকে করোনা আর লকডাউন। অন্যদিকে স্থানীয় ফয়শালায় না বসে বারবার আমাদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে কখনো ঘরে আগুন দেয়া, কখনো ভাঙচুর করে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন। আবার মিথ্যে মামলা দিয়ে আমার স্বামী কে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনটা সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি।

    আর এ সুযোগে পাখিকে ঘরছাড়া করতে গত ১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন পাখি, তার সন্তান ও বসতঘরে হামলা চালিয়েছিল, এমন অভিযোগে তার চাচাতো ভাই বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার সংবাদ পেয়ে প্রতিনিয়ত পাখি বেগম কে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন।

    এ বিষয়ে আহাদ মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার ভাই শহীদ কে দেখলেই পাখি বেগম বলে, “আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, আমাগোরে ভাত কাপড় দে”।

    অভিযোগ রয়েছে শুধু পাখি বেগমই নয়, এ এলাকার অনেকের জমিই নিজের দাবি করে একের এক মামলা দিয়ে এলাকার মানুষ কে হয়রানী করছেন আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ গংরা। আহাদ মাস্টার ও তার ভাইদের কারণে জায়গা জমি থাকতেও পরের ঘরে থাকতে হচ্ছে এলাকার শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার কে। জমি কিনেও নিজ জমিতে ঘর করতে পারেনি আহাদ মাস্টারের হুমকি ধমকি আর মিথ্যে মামলার ভয়ে। ফলে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।

    লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, পাখি বেগমের ঘর ভাঙচুরের অভিযোগে তার চাচাতো ভাই দুলাল বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

  • পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা আহত ১।। UkhiyaVoice24.Com

    পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা আহত ১।। UkhiyaVoice24.Com

    ভোলা প্রতিনিধিঃ

    দ্বীপ জেলা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ৩ নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক নারীর উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা।

    বুধবার রাত (২১ শে এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১০ টায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

    এতে শাহনাজ(২২) নামের এক গৃহবধু আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

    এই বিষয়ে শাহনাজের স্বামী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করার জন্য বাজারে যায়।এবং বাজার থেকে ফেরার পথে ফোন করে আমার জন্য আগানোর কথা বলি। বাড়ির কাছাকাছি আসলে দেখি আমার স্ত্রী মাটিতে পড়ে আছে আহত অবস্থায়।আমি তাৎক্ষণিক আমার সেলোক কে ফোন দেই এবং অটো যোগে বোরহানউদ্দিন হাসতাপালে ভর্তি করি।

    এই বিষয়ে শাহানাজ বলেন – আমার স্বামী ফোন করে তাকে আগানোর জন্য আমি বাসা থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর আমার সাথে সালাউদ্দিন (২৮) তার বড় ভাই আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যায় আর গালমন্দ করে আমি প্রতি উওর করলে পিছন থেকে আমাকে পিঠের উপর বাড়ি মারে, একপর্যায় আমার সাথে হাতাহাতি হয়, আমাকে টানাহেঁচড়া করে মাথা বরাবর আঘাত করলে আমি মাটিতে পরে যাই। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে যায়।

    বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন – হাসপাতালে আনার পর তার পিঠে বাড়ির চিহ্ন ও জখম দেখা যায় এবং প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে রাখি।

    পুরো ঘটনা নিয়ে আহত শাহানাজের স্বামী মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান – আমরা আইনের আশ্রয় নিব।

  • ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা।

    ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা।

    ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা

    আলমগীর ইসলামাবাদী

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী কর্মকাণ্ডকে মোটাদাগে চারভাগে ভাগ করা যায়।
    ১. দাওয়াহ
    ২. তালিম
    ৩. তাজকিয়া
    ৪. ই’লায়ে কালিমাতিল্লাহ। এটাকে চলতি ভাষায় বললে ইসলামী রাজনীতি।

    এই চারটি কাজই সমান্তরাল গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলো কাজ একই সাথে চলমান থাকা জরুরী। এর কোন একটা কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে দীর্ঘমেয়াদে ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

    তবে সবগুলো কাজ একই ব্যক্তি বা একই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে যথাযথভাবে আঞ্জাম দেয়া সম্ভব না।

    কারণ প্রত্যেকটা কাজেরই ধরন, কৌশল আলাদা। জটিল সমাজ ব্যবস্থায় প্রত্যেকটা কাজেরই বিস্তৃতি অনেক বেশি। এবং আপাতদৃষ্টিতে প্রত্যেকটা কাজের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যও আলাদা। (যদিও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এক)।

    এই বাস্তবতার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পরেই কাজগুলো ভিন্নভিন্ন ব্যক্তি ও ভিন্নভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালিত হয়েছে।

    খোদ খোলাফায়ে রাশেদার আমলেই রাজনীতি ও ইলিম চর্চার কাজ আলাদাভাবে চর্চিত হয়েছে। এরপরে দিন যত গিয়েছে ততবেশি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান দাড়িয়েছে। রাজনীতি, ইলিম, তাসাউফ ও দাওয়াহ এর জন্য আলাদা আলাদা ইমাম ও প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকে যার যার ক্ষেত্রে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছে। তবে অন্য ধারাগুলোর সাথে সহযোগিতা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় ছিলো সর্বদাই।

    ইসলামী কাজের ক্ষেত্র বিশেষায়িত হওয়ার মাত্রা এতটা ব্যাপক ছিলো যে, খোদ ইলম চর্চার শাখাই বহুভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করতো। যারা হাদিস নিয়ে কাজ করতেন তারা ফিকাহ নিয়ে সেই অর্থে কাজ করতেন না। এভাবে ফিকাহ, হাদিস, ইলমে কালামসহ ইলম চর্চারই অনেকগুলো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিলো যারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে কাজ করতেন।

    উলামায়ে কেরাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রাজ্য পরিচালনার কাজে অংশ নিতেন না। রাষ্ট্রীয় কাজের মধ্যে সর্বোচ্চ তারা বিচারক হিসেবে কাজ করতেন। এর বাইরে কেউ কেউ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করলেও সামগ্রিক অর্থে উলামায়ে কেরাম রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম থেকে দুরে থাকতেন। এই দুরে থাকাটা এতোদুর পর্যন্ত গিয়েছে যে, শাসকদের এড়িয়ে চলা ও উপেক্ষা করার শত শত ঘটনা কিংবদন্তী আকারে মুখে মুখে ফেরে এখনো।

    রাষ্ট্র চালাতেন যুদ্ধ ও শাসন ক্ষমতায় দক্ষ ব্যক্তিবর্গ। হ্যা! তাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভালো আলেম ছিলেন। কিন্তু সেটা তাদের ব্যক্তি যোগ্যতা। উলামা শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব তারা করতেন না।

    ইসলামের ইতিহাসে এই কর্মবিভাজন দিবালোকের ন্যায় সত্য এক ইতিহাস। হ্যা! কিছু ব্যতিক্রম হয়তো পাওয়া যাবে। কিন্তু সামগ্রিক অর্থে এই কর্মবিভাজন সার্বজনীন ছিলো।

    এখানে বলে রাখা ভালো যে, এই কর্মবিভাজন থাকলেও এগুলো একে অপরের ভারসাম্য রক্ষা করতো। যেমন সুফিদের কাজ ইলিম দ্বারা বৈধতা পেতে হতো, আলেমদের কাজ তার আধ্যাত্মিকতা দ্বারা সমাদৃত হতো এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ সর্বদাই উলামাদের দ্বারা সমর্থিত হতে হতো। উলামাদের সমর্থন ছাড়া কোন শাসকের ক্ষমতাই আইনত বৈধতা পেতো না। Separation of power এর চমৎকার এক উদহারন রচিত হয়েছিলো এই কর্মবিভাজনের মধ্যে দিয়ে।

    এবং এই কর্মবিভাজনের কারণেই ইসলামের ইতিহাসের রাজনৈতিক অংশের অনেক পালাবদল হলেও ইলিম চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে।

    এর সবচেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত হলো,
    উমাইয়া ও আব্বাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ইতিহাস। উমাইয়াদের পরে যখন আব্বাসীরা আসলো তখন উমাইয়াদের প্রায় নিঃশেষ করে দেয়া হয়। কিন্তু এই দুই আমলের ইলিম চর্চার ধারাবাহিকতা দেখলে দেখবেন যে, উমাইয়া আমলের জ্ঞানের ধারা আব্বাসী আমলে ব্যহত তো হয়-ই নাই বরং আরো বিকশিত হয়েছে।

    রাজনীতি আর ইলিম একত্রে বা একই প্রতিষ্ঠান থেকে চর্চিত হলে উমাইয়া আমলের সব জ্ঞান আব্বাসী আমলে ধ্বংশ হয়ে যেতো। কিন্তু বাস্তবে ধ্বংস না হয়ে আরো বিকশিত হওয়ার মুল কারন, এই কর্মবিভাজন। ইলিম ও জ্ঞান চর্চা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হওয়া।

    এই কর্মবিভাজনের আরেকটি কারণ ছিলো, ক্ষমতার পালাবদল হয়। ক্ষমতার জয়-পরাজয় আছে। কিন্তু ইলিম চর্চাকে জয়-পরাজয় ও পালাবদলের সাথে সম্পৃক্ত করে ফেললে কেয়ামত পর্যন্ত ইসলামী জ্ঞানের প্রবাহ নিশ্চিত করা যাবে না। এই কারণেই ইলিম চর্চা রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যার ফলে ইসলামের দীর্ঘ ইতিহাসে শত শত রাজনৈতিক পালাবদল হলেও ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় নাই।

    ইসলামের এই ইতিহাস ও এর অন্তর্নিহিত কৌশল অনুধাবন করে আধুনিক রাষ্ট্রগুলোতেও ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রগুলোকে রাজনীতি থেকে আলাদা করা উচিৎ।

    ইলমি ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব আলাদা হওয়া উচিৎ। ইলমি মার্কাজ ও আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্র আলাদা হওয়া উচিৎ। কোন মাদ্রাসার মুহতামিম বা গুরুত্বপূর্ণ ইলমি ব্যক্তিত্ব সরাসরি রাজনীতি না করা উচিৎ। কোন আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা কোন মাদ্রাসা থেকে না হওয়া উচিৎ।

    আরো স্পষ্ট করে বললে,
    জামেয়া হাটহাজারী, পটিয়া, লালখানবাজার, জামেয়া রহমানিয়া, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, বারিধারা, ফরিদাবাদ মাদ্রাসা, চরমোনাই মাদ্রাসাসহ সকল মাদ্রাসাকে সরাসরি রাজনীতিমুক্ত রাখা উচিৎ। কোন মাদ্রাসা থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের মিছিল শুরু না করা উচিৎ। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কোন মাদ্রাসায় অবস্থান না করা উচিৎ। হাইয়াতুল উলয়া ও বেফাকুল মাদারিসকে সম্পুর্ন রাজনীতিমুক্ত করা উচিৎ।

    তবে অবশ্যই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে রাজনৈতিক চিন্তা ও দর্শনের চর্চা থাকতে হবে, উলামায়ে কেরামকেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে হবে। তবে দৃশ্যত সব হতে হবে মাদ্রাসার বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কহীনভাবে। যাতে রাজনীতি বা আন্দোলন-সংগ্রামের কোন প্রতিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের ওপরে না পড়ে।

    কারণটা খু্বই স্পষ্ট।
    রাজনীতিতে উত্থান-পতন আছে। জয়-পরাজয় আছে, ধরপাকড় আছে। ইলমি মার্কাজগুলো এই জয়-পরাজয় ও উত্থান-পতনের চক্করে পড়ে গেলে ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে। যা দীর্ঘমেয়াদে ইসলামের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।

    এক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দ একটি ভালো উদাহরণ। এই মাদ্রাসাটা প্রতিষ্ঠাই হয়েছে ইংরেজদের প্রতিহত করার জন্য। এখান থেকে ইংরেজ ও বস্তুবাদ বিরোধী সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর নেতৃত্ব চুড়ান্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সংঘাতকে এড়িয়ে গেছেন। এখনো ভারতের মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী শাসনের মধ্যেও তারা রাষ্ট্রের সাথে সকল ধরনের সংঘাত এড়িয়ে চলছে। ভারতে অনেক বড় বড় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে যেগুলো মুসলিমরা কচুকাটা হয়েছে তারপরেও দারুল উলুম দেওবন্দ ও নদওয়াতুল উলামার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কোন দাঙ্গায় অংশ নেয় নি। (দুই একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে)।

    পাকিস্তানেও প্রধান জামেয়া ও মাদ্রাসাগুলো সরাসরি রাজনীতির কেন্দ্র না। আন্দোলন সংগ্রামের সূচনা বিন্দু না। (ব্যতিক্রম আছে এবং ভারতের তুলনায় সেই ব্যতিক্রমের হারও বেশি)

    বাংলাদেশেও এই ধারা বজায় ছিলো। আমাদের প্রধান ইলমি কেন্দ্রগুলো রাজনীতির বাইরে ছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একক পরিচয়ে রাজনৈতিক স্বত্বা হিসেবে সামনে আসছে। যা মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রের ও বিভিন্ন শক্তির মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিচ্ছে। ২০১৩ সালে এর প্রকট উদহারন স্থাপিত হয়েছে এবং গত ২৬-২৮ মার্চে যার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।

    মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একক পরিচয়ে রাজনৈতিক স্বত্বা হিসেবে সরকার ও বিভিন্ন শক্তির মুখোমুখি দাড়িয়ে যাওয়া ইসলামের দীর্ঘ দেড় হাজার বছর ধরে চর্চিত ইসলামী কর্মকাণ্ডের কর্মবিভাজন নীতির খেলাফ। এবং এর পরিনতি খুবই ভয়ংকর হতে পারে। ইংরেজ আমলে সিপাহী বিপ্লবের পরে যেমন গোটা ভারত উপমহাদেশে ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়ার বাস্তবতা তৈরি হয়েছিলো আধুনিক বাংলাদেশেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ইলম চর্চার নিরবচ্ছিন্ন ধারা ব্যহত হতে পারে। যার আলামত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

    ইসলামী কার্যক্রমের কর্মবিভাজন নীতির খেলাফ করে ইলমি মার্কাজগুলোকে রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রে পরিনত করলে অদূর ভবিষ্যতে উম্মাহকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। ইলিম শূণ্যতা দেখা দেবে।

    আর উম্মাহের মধ্যে ইলিম শূণ্যতার চেয়ে ভয়ংকর কিছু আর হতে পারে না।

    অতএব,
    এখনই ইলমি মার্কাজগুলোকে রাজনীতি ও আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে হলেও ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।

    আপাতদৃষ্টিতে এই প্রস্তাব পিছুহটা, আপোষকামী ও ভীরুতা জনিত প্রস্তাব মনে হলেও ইসলামের ইতিহাস বলে, এই কর্মবিভাজন নীতিতেই উম্মাহ এতোদুর এগিয়েছে।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষণিকের আবেগ মুক্ত হয়ে কাজ করার তৌফিক দান করুন।

    লেখকঃশেখ ফজলুল করিম মারুফ,গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক

  • পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক মাস কুরআন নাযিলের মাসে হিফজ বিভাগ অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবী চরমোনাই পীর

    পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক মাস কুরআন নাযিলের মাসে হিফজ বিভাগ অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবী চরমোনাই পীর

    সারাদেশ

    এই মাস পবিত্র মাস কুরআন নাযিলের মাসে হিফজ বিভাগ অবিলম্বে খুলে দিন: চরমোনাই পীর

    কুরআন নাযিলের মহান এ মাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজুল কুরআন মাদরাসা ও মকতবগুলোকে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম।

    মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।

    চরমোনাই পীর বলেন, রমাযান মাস কুরআন নাযিলের মাস। কুরআন নাযিলের এ মাসে বাচ্চারা যেন কুরআন চর্চা করতে পারে সে জন্য হাফিজিয়া মাদরাসা ও মকতবগুলো খুলে দেওয়া জরুরি। বাচ্চারা কুরআন পড়ে দেশ, ইসলাম ও মানবতার জন্য বিশেষ দুআ করবে। মহান রব্বুল আলামিন যেন কুরআনের উসিলায় আমাদের দেশসহ বিশ্ববাসীকে মহামারি থেকে রক্ষা করেন।

    মুফতী রেজাউল করীম বলেন, বিগতদিনগুলোতে মাদরাসার হিফজ বিভাগ ও মকতব বিভাগ খুলে দেয়া হয়েছিলো। ফলে কুরআনের উসিলায় আমাদের এ দেশ অন্য দেশ থেকে অনেক ভালো ছিল। এখনও যদি কুরআন চর্চার জন্য কুরআন নাযিলের মাসে কুরআনী মাদরাসাগুলোকে খুলে দেওয়া হয়, তাহলে কুরআনের উসিলায় আমাদের দেশে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে, ইনশাআল্লাহ। এতে কোন সন্দেহ নেই।

    তিনি অবিলম্বে ধর্মমন্ত্রণালয়কে হাফিজিয়া মাদারাসা ও মকতবগুলোকে খুলে দেওয়ার কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

  • বাঁশখালীতে কয়লা প্রকল্পের মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করার অভিযোগ

    বাঁশখালীতে কয়লা প্রকল্পের মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করার অভিযোগ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালীতে গত শনিবার এস আলম কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে সংঘটিত শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহত ও অর্ধ শতাধিক লোক আহত হওয়ার জের ধরে কয়লা প্রকল্পের পক্ষে দায়ের করা মামলায় যে ২২ জনকে এজহার নামীয় আসামী করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে নিরীহ লোকদের আসামী করে প্রকৃত ইন্দনদাতাদের আড়াল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। তাছাড়া মামলার আসামীদের কয়েকজন ছাড়া প্রায় সকলে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হয়তো কোন কুচক্রি মহলের ইন্দনে মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করে মামলার মোটিভ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। যিনি মামলার বাদী ফারুক আহমদ তিনি স্থানীয় কেউ নয়। যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের তিনি চিনেন বলেও মনে হয়না। এপযর্ন্ত দায়ের করা দুটি মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলাটিতে কারো নাম নেই।

    সেখানের সবাই অজ্ঞাতনামা। আর কয়লা প্রকল্পের পক্ষে করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে বাকীদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে দেখানো হয়েছে। দুটি মামলার আসামী প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। মামলার পর গ্রেফতার আতংকে বর্তমানে গন্ডামারা বড়ঘোনা পুরুষ শুন্য। লোকজন যে যার।মত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, মামলা হলেও নিরীহ কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। ভিডিও ফুটেজ এবং তথ্য প্রমাণের ভিক্তিতেই কেবল গ্রেফতার করা হবে।

    স্থানীয় লোকজন জানান, মামলাটি এস আলম কর্তৃপক্ষের পক্ষে করা হলেও এখানে লেয়াকত আলীর প্রতিপক্ষ লোকগুলোকেই কেবল এজহার নামীয় আসামী করা হয়েছে। হয়তো তার ইশারাতেই এসব করা হয়েছে বলে সন্দেহ এলাকাবাসীর। সুত্র জানায়, শুধুই লেয়াকত বিরোধী হওয়ায় গন্ডামারা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলী হায়দার আসিফকে আসামী করা হয়েছে। তিনি লেয়াকত বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেন সিকদার আবুকেও করা হয়েছে সরাসরি আসামী। তিনিও লেয়াকত বিরোধী এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা। যাকে মুলহোতা বলে এজহার নামীয় ১নং আসামী করা হয়েছে সেই আবদুর রশিদ একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আবদুর রশিদকেও বানানো হচ্ছে জামাত নেতা হিসেবে। এই বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আলী হায়দার আসিফ জানান, আমরা কয়লা প্রকল্পের জন্য জমি দিলাম, পক্ষে ভূমিকা রাখলাম। এখন যারা এই প্রকল্পের বিরোধী তাদের বিরাগভাজন হয়ে মামলার আসামী হলাম। তিনি চ্যালেন্জ দিয়ে বলেন, কোন ভিডিও চিত্র কিংবা শ্রমিক আন্দোলনে আমার কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে যে কোন শাস্তি।মাথা পেতে নেব। আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসাইন সিকদার আবু বলেন, আমরা লেয়াকত বিরোধী হওয়ায় আমাদের এই মামলায় ফাসানো হয়েছে। তিনি তদন্ত পুর্বক প্রকৃত ইন্দনদাতাকে খুজে বের করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

    গন্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী জানান, হয়তো বড় রাগব বোয়ালদের আড়াল করতে এই মামলায় নিরীহ লোকদের জড়ানো হয়েছে। মামলায় নিরীহ লোকদের আসামী করার ঘটনা দুঃখজনক। এমনকি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়াও অমানবিক। যারা গুলি খেল, যারা মারা গেল দিন শেষে তারাই আসামী। বর্তমানে শ্রমিকরা গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও জানান তিনি।
    বাঁশখালী থানার ওসি সফিউল কবির জানান, গন্ডামারার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আলামত ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে। তিনি জানান, কোন অবস্থাতেই নিরীহ কাউকেই গ্রেফতার করা হবে না।