Blog

  • আল্লামা মামুনুল হক সাহেব এর ইতিহাস হয়ে থাকবে আত্মবিশ্বাস

    আল্লামা মামুনুল হক সাহেব এর ইতিহাস হয়ে থাকবে আত্মবিশ্বাস

    আইন আদালত

    আল্লামা মামুনুল হক আমি আদালতের কাছে আবেদন জানাই, আমাকে যেন এবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হয়’

    বিচারকের সামনে আজ এটাই ছিলো আপনার মূল কথা। অসংখ্য মামলার বোঝা আর রিমান্ডের নিশ্চিত ঝুঁকি চোখের সামনে দেখার পরেও যার আকুতি থাকে কেবল এবাদতের সুযোগ চেয়ে। সফলতা তাকে ছেড়ে আর কার পদচুম্বন করবে? প্রকৃত ঈমানদার এমনই হয়।

    বিশ বছর আগে ২০০১ সালে আল্লাহর একান্ত প্রিয় কিছু বান্দাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে কিউবায় অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হয়। দিনের পর দিন বন্দি থাকার কারণে তাদের পক্ষে দিন, তারিখ, সময় এবং কেবলা নির্ধারণ করার উপায় ছিলো না। তারা সেখানে পৌঁছার পর কারারক্ষীদের নিকট সরবপ্রথম জানতে চেয়েছিলেন- ‘এখন কোন সময়? কেবলা কোনদিকে?’
    সর্বপ্রথম অনুরোধ জানিয়েছিলেন- ‘আমাদেরকে একটু নামাজের সুযোগ দাও!

    প্রিয় শায়েখ! আজ আদালতে ওঠার পর বিচারকের কাছে আপনার আরজি প্রমাণ করে দেয় যে, আপনি দ্বীনের পথে আত্মোৎসর্গী, আপোষহীন সেইসব মহামানুষদের কাতারেই রয়েছেন। ইতিহাস হয়ে থাকবে আপনার আত্মবিশ্বাস। শতশত পুলিশ বেষ্টনীর ভেতরে থেকেও আপনার প্রত্যয়দীপ্ত মুচকি হাসি ইসলামপ্রেমীদের প্রেরণা যোগাবে।

  • আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে-পীর সাহেব চরমোনাই

    আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে-পীর সাহেব চরমোনাই

    এইচ এম আলমগীর ইসলামবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের নিরীহ নিরাপরাধ আলেম ওলামাদের গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে সরকারের চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, যে মুহুর্তে মহামারি প্রকট আকার ধারণ করছে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠছে এবং সর্বত্র মানুষ আতঙ্কিত; এহেন পরিস্থিতিতে আলেম ওলামাদের অযথা হয়রানী নির্যাতন কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

    তিনি বলেন, দেশে মাদরাসা শিক্ষকসহ আলেম-ওলামাদের গণহারে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই। পবিত্র রমাযানের শুরুতেই দেশের আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষকদের সরকার গণহারে গ্রেফতার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের এই আচরণ অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গত কয়েক দিনে সারাদেশে শত শত নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্র গ্রেফতার করা হয়েছে। যেকোনো ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবাদ করা দেশের আলেম-ওলামার নৈতিক দায়িত্ব। তাদের এই নৈতিক দায়িত্ব পালনে বাধাদান ও তাদেরকে গ্রেফতার মেনে নেয়া যায় না। তিনি আলেম ও মাদরাসা শিক্ষকদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের কোনো শ্রেণিপেশার মানুষই আজ নিরাপদ নয়। বাঁশখালীতে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং পবিত্র রমজানের ইফতার, সাহরি ও তারাবিহ ঠিক রেখে কর্মঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকরা। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলি চালাতে হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে। পবিত্র রমজানে এমন হতাহতের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    পীর সাহেব চরমোনাই নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ও আহতদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

  • গন্ডামারা ট্রাজেডির পেছনে আলোচনায় লেয়াকত আলীর নাম!”যত লাশ, তত লাভ”

    গন্ডামারা ট্রাজেডির পেছনে আলোচনায় লেয়াকত আলীর নাম!”যত লাশ, তত লাভ”

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক অসন্তোষ, দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন, পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক নিহত এবং অর্ধ শত শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীকে দায়ী করছে অনেকেই। তারা বলছে, লেয়াকত আলীর ইন্দনেই শ্রমিক আন্দোলন এবং পরবর্তিতে সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। যত লাশ পড়ে তত লাভবান হয় লেয়াকত আলী। লাশ নিয়ে তার রাজনীতির শেষ নেই। লাশের উপর ভর করেই তার রাজনীতি। অবশ্যই লেয়াকত আলী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। শ্রমিক আন্দোলনের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

    এদিকে খোদ কয়লা প্রকল্পের কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন অভিযোগ করেছেন, কয়লা প্রকল্পে শ্রমিক সরবরাহের কাজ লেয়াকত আলীর কাছ থেকে প্রত্যাহার করে চায়না কোম্পানীকে দেয়ায় তিনি ক্ষীপ্ত হয়েছেন। তাছাড়া গন্ডামারায় তার ইশারা ও নির্দেশের বাইরে এত বড় ঘটনা সম্ভব নয়। এদিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রশিদুল হক শনিবার বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে গন্ডামারা ট্রাজেডির পিছনে ইন্দনদাতা ও উস্কানীদাতাদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, উস্কানীদাতা ও ইন্দনদাতাদের খুজে বের করা হবে। জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানও বলেছেন, যারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করতে চায়, সরকারের ভাল কাজ যাদের পছন্দ হয়না তারাই উস্কানী দিয়ে গন্ডামারায় এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে শুধু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সেটাই নয়; প্রকল্পে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক।

    এর আগে লেয়াকত আলীর নেতৃত্বে গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশের গুলিতে ৪ জন মারা যান। পরে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে মারা যায় আরো ১ জন। সে সময় লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তদন্ত রিপোর্টে একমাত্র লেয়াকত আলীকে ঘটনার নেপথ্য নায়ক হিসেবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু লেয়াকত আলী রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এস আলম কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সাথে সমঝোতা করে সে যাত্রায় বেঁচে যায় লেয়াকত আলী। দীর্ঘ ৫ বছর পর আবারো গন্ডামারা রক্তাক্ত হল। মারা গেল আরো ৫ জন। এনিয়ে গন্ডামারা কয়লা প্রকল্পে ১০ জন মানুষ প্রাণ হারায়।

    ৫ বছর আগে লেয়াকত আলী আন্দোলন গড়ে তুলে এবং প্রশাসন ও এসআলমের সাথে সমঝোতা করে বেঁচে গেলেও এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে গন্ডামারায় শত শত র্যাব পুলিশের উপস্থিতি, পুরো এলাকা আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেয়া বলে দেয় লেয়াকত আলীর আগের সেই আন্দোলন এখন আর হবে না। তাছাড়া জনগনও এখন আর আগের মত তার বক্তব্যে মতোয়ারা হবে না। কারণ এই লেয়াকত এক সময় বলেছিল, “১০ হাজার মানুষ মারা গেলেও গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে দেয়া হবে না”
    তিনি কয়লা বিদ্যুতের কুফল নিয়ে এলাকায় জনমত তৈরি করেন।

    কিন্তু অভিযোগ আছে, পরবর্তিতে এই লেয়াকত আলী মোটা অংকের টাকা এবং প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে পরসেন্টিজের বিনিময়ে প্রকল্পের পক্ষে হয়ে যায়। কিন্তু হলে কি হবে? ঘটনা আর খুনি খুনি না হলে গন্ডামারা শান্ত থাকলে লেয়াকত আলীর যে কাজ নেই!

    তাই তিনি আবারো উস্কানী দিয়ে গন্ডামারাকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করেন। এতে লেয়াকত আলীর “যত লাশ, তত লাভ” লাশ পড়লে, ঘটনা ঘটলে লেয়াকত আলী লাভবান হবে। লাভবান হবে স্থানীয় আরো কিছু নেতা ও দালাল।
    ফলে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল মনে করেন, লেয়াকত আলীর উস্কানী ইন্দনেই গন্ডামারায় আবারো সংঘাত এবং খুনাখুনির ঘটনা ঘটেছে। সচেতন মহল বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার ইন্দনদাতা-উস্কানীদাতাদের খুঁজে বের করতে দাবী জানিয়েছে।

  • ঘুমধুমে ৩৬৬০ পিছ ইয়াবাসহ ওমর ফারুক আটক

    ঘুমধুমে ৩৬৬০ পিছ ইয়াবাসহ ওমর ফারুক আটক

    এমডি জসিম উদ্দীন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

    বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার দিক নির্দেশনায় এবং ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক/নিঃ দেলোয়ার হোসেন এর সার্বিক তত্বাবধায়নে ১৮/০৪/২০২১খ্রিঃ তারিখ নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীণ ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই/নিঃ মুখলেছুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘুমধুম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৩.১৫ ঘটিকার সময় আসামী ওমর ফারুক এর হেফাজত হইতে ৩৬৬০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।এ বিষয়ে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • আলেমদের গ্রেফতার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না : চরমোনাই পীর

    আলেমদের গ্রেফতার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না : চরমোনাই পী

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আলেমদের গ্রেফতার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না : চরমোনাই পীর
    দেশে আলেমদের গ্রেফতারে চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

    রোববার (১৮ এপ্রিল ২১) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক গ্রেফতারের পরই এই বিবৃতি আসে।
    বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশের নিরীহ নিরাপরাধ আলেমদের গ্রেফতার ও হয়রানির কারণে সরকারের চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে। যখন মহামারি প্রকট আকার ধারণ করছে,
    সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, তখন আলেমদের অযথা হয়রানি-নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
    সরকারের আচরণ অমানবিক ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে মাদরাসা শিক্ষকসহ আলেমদের গণহারে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই। পবিত্র রমজানের শুরুতেই দেশের আলেম ও মাদরাসা শিক্ষকদের সরকার গণহারে গ্রেফতার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।’
    যেকোনো ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবাদ করা দেশের আলেমদের নৈতিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, তাদের এই দায়িত্ব পালনে বাধা দান ও গ্রেফতার মেনে নেয়া যায় না।’

    উল্লেখ্য, রোববার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেফতার পর তাকে প্রথমে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে কিছু সময় রাখার পর তেজগাঁও থানায় নেয়া হয়।

    তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মাদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

  • নিরস্ত্র শ্রমিকের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো চরম অমানবিক- ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নেতৃবৃন্দ

    নিরস্ত্র শ্রমিকের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো চরম অমানবিক- ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নেতৃবৃন্দ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলাধীন গন্ডামারা ইউনিয়নে কয়লা বিদ্যুৎ শ্রমিকের উপর নির্বিচারে পুলিশের গুলি চালানোকে অমানবিক দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা।আজ সংগঠনের সভাপতি মাওলানা ছগির আহমদ চৌধুরী এবং সেক্রেটারি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদার এক যৌথ বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।নেতৃবৃন্দ বলেন,পবিত্র রমজান মাসে শ্রমিকরা ইফতার ও নামাজের জন্য সময় বরাদ্দ এবং বেতন ভাতা আদায়ের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট স্বারকলিপি পেশ করেন।তাতে কোন সমাধান না পাওয়ায় আজ শ্রমিকরা দাবি আদায়ে প্রতিবাদ সভা করেন।সেই প্রতিবাদ সভায় পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে যা সংবিধান পরিপন্থী।

    দেশের সংবিধান মানুষের কথা বলার অধিকার দিয়েছে।অথচ শ্রমিকরা দাবি আদায়ে মাঠে নামার কারণে তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো চরম অমানবিক।পবিত্র রমজানে শ্রমিকের রক্তে লাল আজ বাঁশখালীর মাটি।নিরস্ত্র শ্রমিকের উপর এভাবে গুলি চালানো বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী কি বৈধ? কেন নীরহ শ্রমিকের উপর গুলি চালাবেন? ইতোমধ্যে ৬ জন মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।নেতৃবৃন্দ নিহত পরিবার গুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা খরচ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে তাদের আইনের আওয়াতার আনার জোর দাবি করেন তারা।মানবাধিকার সংগঠন গুলোকে সোচ্চার হওয়ারও আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

  • বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত-৫, আহত শতাধিক

    বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত-৫, আহত শতাধিক

    নির্বাহী সম্পাদক

    বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় এস আলম কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের জের ধরে এই হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- শুভ (২৩), হাফেজ মো. রাহাত (২৪), আহমদ রেজা মিয়াখান (১৯) ও রনি হোসেন (২২)। গুলিবিদ্ধ আরেক শ্রমিক হাবিবুল্লাহ (২৫)কে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক শ্রমিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ (১৭ এপ্রিল) শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম রেন্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার রশিদুল হকসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় আবারো ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে ২০১৬ সালে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ গ্রামবাসী নিহত হয়েছিল। তাছাড়া কয়লা প্রকল্পের জমি অধিগ্রহন নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে এসআলম গ্রুপ এবং কয়লা প্রকল্পের লোকজনের সাথে বিরোধ, দাঙ্গা হাঙ্গামা অনেকটা লেগেই আছে। স্থানীয় একটি চক্র বার বার প্রকল্পের সাথে স্থানীয়দের বিরোধ লাগিয়ে দিতে কলকাঠি নাড়ছে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।

    আহত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনায় ছিল চীনা নাগরিকরা। দীর্ঘদিন ধরে চীনাদের সঙ্গে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে মতবিরোধ ও অসন্তোষ চলে আসছিল। শ্রমিকরা মুলত: রমজান মাসে কর্ম ঘন্টা ৮ ঘন্টা করা, ইফতারের জন্য সময় বরাদ্দ দেয়া, কর্মী ছাঁটায়ের ১মাস পূর্বে জানিয়ে দেয়া এবং সাথে সাথে সম্পূর্ণ বেতন পরিশোধ করা, বেতন বৃদ্ধির করা এং শুক্রবার এক বেলা কাজ করার দাবী জানিয়ে আসছিল। এ নিয়ে শুক্রবার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। আজ শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এসময় শ্রমিকদের নিবৃত্ত করতে পুলিশ টিয়ার শেষ ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এসময় গুলিতে ঘটনাস্থলে ৪ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো একজনসহ ৫ শ্রমিক নিহত হয়। সংঘর্ষ ও গুলিতে শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতদের বাঁশখালী সরকারী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হাসপাকালে নেয়ার পথে হাবিবউল্লাহ নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
    বাঁশখালী থানার ওসি সফিউল কবির জানান, বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। ওই সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে পুলিশ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।

    এদিকে ঘটনার পর পরই পুলিশ এবং প্রকল্প কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এরিয়ায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধরা। এতে কয়লা প্রকল্পের বহু স্থাপনা পুড়ে গেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অপরদিকে শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে গতকাল শুক্রবার ১৫ জন এবং আজ শনিবার ঘটনার পর আরো বেশ কিছু লোককে আটক করা হয়েছে।

  • রোহিঙ্গা যুবক মো.জাকির হোসেনের পেট কেটে বের করলো ইয়াবা

    রোহিঙ্গা যুবক মো.জাকির হোসেনের পেট কেটে বের করলো ইয়াবা

    উখিয়া প্রতিনিধি।

    কক্সবাজারের শরনার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা যুবক মো.জাকির হোসেন। বয়স-২২।

    শুক্রবার দুপুরে প্রচন্ড পেট ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয় কক্সবাজারের মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালের ১৪০৭ নাম্বার রুমে।

    রোগির প্রচন্ড রকমের পেট ব্যাথা লক্ষণ দেখা দেয়ায় তার অপারেশনের ব্যবস্থা করেন চিকিৎসক দল।

    এসময় চিকিৎসক দল অপারেশনের (পেট কাটা হয়)পর তার পেট থেকে কালো কসটেপ মোড়ানো ৩৯টি ছোট ছোট প্যাকেট বের করে আনে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়া খবর দেয় চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে।

    পরে চকরিয়া থানার এসআই মো.কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতালে যায়।এসময় প্যাকেটগুলো থেকে এক এক করে ১৯’শ ৫০ পিস ইয়াবা বড়ি বের করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

    ১৬ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। পেট কেটে ইয়াবা উদ্ধার করা যুবক কক্সবাজারের উখিয়াস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প -০২ এর ব্লক-০১ এর মো.ইলিয়াসের ছেলে।

    চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মো.যুবায়ের বলেন, শুক্রবার দুপুরে জাকির হোসেন নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের পেট অপারেশন করে কালো কসটেপ মোড়ানো বেশ কিছু প্যাকেট বের করা হয়েছে বলে খবর দেয় মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা.স্টিফেন কেলী।

    পরে থানার এসআই মো.কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এসময় পেট কেটে বের করা ৩৯টি প্যাকেটের ভিতর থেকে প্রতি প্যাকেটে ৫০ পিস করে মোট ১৯’শ ৫০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা যুবক জাকির হোসেনকে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে

  • খুলনায় সর্বনিম্ন ফিতরা ৬০ টাকা।। খুলনা প্রতিনিধি

    খুলনায় সর্বনিম্ন ফিতরা ৬০ টাকা।। খুলনা প্রতিনিধি

    খুলনায় এবার সর্বনিম্ন ফিতরা ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজার দর বিশ্লেষণ করে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ এ ফিতরা নির্ধারণ করেছে। আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) খুলনা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওঃ গোলাম কিবরিয়া মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জেলা ইমাম পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    এদিকে জেলা ইমাম পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলায় হয়, খুলনা অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য এবার ৬০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কারো কাছে সমস্ত ব্যয়ভার বাদ দিয়ে ৬০ হাজার টাকা পূর্ণ এক বছর থাকলে তার ওপর যাকাত আদায় করা ফরজ বলেও জানানো হয়। সদকাতুল ফিতর ও যাকাতের নিসাব পরিমাণ নির্ধারণ করে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইমাম পরিষদের পক্ষ থেকে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে উক্ত সদকাতুল ফিতর ও নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে সঠিকভাবে যাকাত আদায় করার আহ্বান জানানো হয়।

  • বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত শতাধিক

    বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত শতাধিক

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল ২১) দুপুর ১২ টার দিকে
    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেতন ভাতার দাবিতে বিক্ষোভে গন্ডামারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন।

    স্থানীয়রা জানান, বেতনভাতার দাবিও পবিত্র রমজানে নামাজ ও রোজা রাখতে বাধা সৃষ্টি করায় গতকাল থেকে বিদ্যুতকেন্দ্রে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। এর জের ধরে সকালেও বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এসময় তাদের সরিয়ে দিতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    এর আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে প্রাণ যায় ৪ জনের। বেসরকারি উদ্যোগে বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে এসআলম পাওয়ার।