Blog

  • আসন্ন ইউপি নির্বাচনে (০৯নং)গন্ডামারা-বড়ঘোনায় হাতপাখার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীঃ মাও,নেছার আহমদ

    আসন্ন ইউপি নির্বাচনে (০৯নং)গন্ডামারা-বড়ঘোনায় হাতপাখার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীঃ মাও,নেছার আহমদ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার (০৯নং) গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সুখ -দুঃখ ভাগ করে নেওয়া মানবিক জননেতা মানবতার ফেরিওয়ালা সৎ নিষ্ঠাবান বিশিষ্ট সমাজসেবক,শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট আলেম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার সিনিয়র উপদেষ্টা ও বড়ঘোনা হিলফুল ফুজুল সংঘের উপদেষ্টা জনাব মাওলানা নেছার আহমদকে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দেখতে চায় এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

    নিঃস্বার্থ সেবা দিয়ে গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়ন বাসির মনে যায়গা করে নেওয়া এই তরুন সমাজসেবক ও সাবেক ছাত্র নেতা এগিয়ে যাবে এখন গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নের চায়ের আড্ডাতে এমন কথা অহর অহর শুনা যাচ্ছে, গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নে এবার মাওলানা নেছার আহমদকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে এমনটি আস্তার সাথে বলা যায় কারণ মাওলানা নেছার আহমদ এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী,জনগণের একটাই কথা এবার আর কেহ নয় মাওলানা নেছার আহমদকে চেয়ারম্যান হিসাবে পেতে চায়।

    (০৯নং)গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারমান পদপ্রার্থী মাওলানা নেছার আহমদ বলেন,বারবার শুধু নেতা আর ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু দুখি,মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সবাই জনসেবার কথা বলে ক্ষমতায় এসে রাতারাতি জনগনের হক নষ্ট করে আঙ্গল ফুলে গলা গাছ হয়। দুখি ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। আর এ উন্নয়ন এ রকম চোর বাটপারদের দ্বারা সম্ভব না। সাম্রাজ্যবাদী ও জাহিলি এ সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই আসুন আমরা গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে সততা ও আস্থা ফিরিয়ে আনি। দুখি ও মেহনতি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনি।

    মাওলানা নেছার আহমদ আরও বলেন, সাম্য-মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার আজ সমাজে নেই বললেই চলে। অথচ স্বাধীনতার ইস্তেহারে স্পষ্ট ঘোষণা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্যই এ দেশ স্বাধীন করা দরকার। যার কারণে আমার আবাল,বৃদ্ধা,বণিতা ও বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেন। কিন্তু আজ সমাজের সর্বস্তরে ঘুষ,দুর্নীতি,ধর্ষণ,হত্যা,,মামলা,খুন ও নেশার সয়লাভ। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে গন্ডামারা-বড়ঘোনাবাসী মাওলানা নেছার আহমদ নির্বাচন করবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

  • লালমোহনে ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ বিচার চেয়ে দুই মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

    লালমোহনে ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ বিচার চেয়ে দুই মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

    জেলা প্রতিনিধি

     

    ভোলার লালমোহনে টাকা দাবী করে না পেয়ে আবুল কালাম নামে একজনকে মারধর করে আটকে রাখেন ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ। পরে তার ছেলে কামরুজ্জামান জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে বাবাকে পুলিশের সহায়তায় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে উদ্ধার করে। গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিচার না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে লালমোহন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্যাতিত আবুল কালামের দুই মেয়ে।

    লিখিত বক্তব্যে নির্যাতিত আবুল কালামের মেয়ে সিমা আক্তার ও রাজিয়া সুলতানা মুন্নি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দখলীয় জমিতে একই এলাকার মো. মুসা নামের এক ব্যক্তি জোরপূর্বক দখল করে। তিনি দাইমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি থেকে ওই জমি ক্রয় করেন বলে জানান। দাইমুদ্দিনের জমি দখল না করে আমাদের জমি দখল করার কারণে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে অভিযোগ করলে তিনি দুইবার ফয়সালায় বসেন। পরে তিনি আগামী ২৬ জানুয়ারী জমি মেপে দিবেন বলে তারিখ দেন। তবে ১৯ জানুয়ারি রাতে চেয়ারম্যান মুরাদ ও তার ভাই মামুন ডেকে নিয়ে এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা তাদের কাছে জমা দিতে বলেন। জমি পেতে হলে তাদের কাছে টাকা রাখতে হবে বলে জানান চেয়ারম্যান ও তার ভাই। তখন তার বাবা আবুল কালাম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরের দিন সকাল ১১ টায় আমার বাবাকে আবার চৌকিদার পাঠিয়ে ডেকে নেন। এসময় আবারও টাকা দাবী করে চেয়ারম্যান ওই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার বাবাকে চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ প্রকাশ্যে মারধর করে আটকে রাখেন।
    তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, পরে আমাদের ভাই কামরুজ্জামান জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে বাবাকে পুলিশের সহায়তায় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাদের কোনো অভিযোগ নেয়নি। এ ঘটনার পর থেকে পুরো পরিবার চেয়ারম্যানের হুমকি ধামকি ও দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবী করছেন তারা।
    এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১২ সালে আবুল কালাম একই এলাকার মোস্তফার কাছে জমি বিক্রির কথা বলে এক লক্ষ ৬০ হাজার নেন। পরে মোস্তফাকে টাকা ফিরৎ না দিয়ে ওই্ জমি অন্যত্র বিক্রি দেয়। স্থানীয়দের ফয়সালার মাধ্যমে মোস্তফাকে ৯৫ হাজার টাকা ফিরৎ দিলেও বাকি টাকা ফেরৎ দেয়নি। ওই টাকা ফেরৎ দিবে বলে আমার থেকেও আবুল কালাম কয়েকবার সময় নেয়। সেজন্য তাকে ডাকাই। তার কাছ থেকে টাকা চাইলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, যার জন্য তাকে কয়েকটা চর থাপ্পর মেরেছি।

  • বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সভাপতিঃ এড: শামসুল আলম, সম্পাদকঃ এড:দিদার নির্বাচিত

    বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সভাপতিঃ এড: শামসুল আলম, সম্পাদকঃ এড:দিদার নির্বাচিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সভাপতিঃ এড.শামসুল আলম, সম্পাদকঃএড.দিদার নির্বাচিত।

    চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা আইনজীবি সমিতির ২০২০-২১ সেশনের নির্বাচনে এডভোকেট আলহাজ্ব শামসুল আলম সভাপতি এবং এডভোকেট মোহা: দিদারুল আলম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

    (২০ জানুয়ারী’২১ ইং) বুধবার দুপুর
    ০১ টায় ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে নির্বাচনী শিডিউল অনুযায়ী বিকাল ৪ টায় ভোট গ্রহন শেষ হয়।

    নির্বাচনে ৪৮ ভোটের মধ্যে ২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট শামসুল আলম চৌধুরী, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এডভোকেট বাবু দিলিপ দাশ পেয়েছেন ২০ ভোট। ২৩ ভোট পেয়ে সহ: সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এড: রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এড: ফজল আকবর জয়নুল আবেদীন বেলাল চৌধুরী পেয়েছেন ২০ ভোট।

    সাধারন সম্পাদক পদে তরুন আইনজীবি এড: মোহা: দিদারুল আলম ২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এড: অসীমা দেবী পেয়েছেন ২০ ভোট। কোন প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, সহ:সাধারন সম্পাদক এড: মোহাম্মদ নাছের, দপ্তর সম্পাদক এড: সাইফুদ্দিন, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক এডভোকেট শহিদুল হক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড: বাবু লিংকন তালুকদার।

    নির্বাচনী পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর, শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থিদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল নজরকাড়া ও দৃষ্টান্তমুলক। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন,এডভোকেট আব্দুল খালেক, সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে এড: শওকত ইকবাল চৌধুরী ও এড: নাজমুল আলম চৌধুরী।

    ফলাফল ঘোষনার সাথে সাথে নব নির্বাচিত সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সহ বিজয়ী সকলকে আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানান প্রতিদ্বন্ধি পরাজিত প্রার্থীরা, যে দৃশ্য ছিল বিরল ও নজিরবিহীন।

  • মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম নগর ভবনকে দুর্নীতি মুক্ত করব-মেয়ের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম

    মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম নগর ভবনকে দুর্নীতি মুক্ত করব-মেয়ের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বায়েজিদ থানায় হাতপাখার পক্ষে জান্নাতুল ইসলামের ব্যাপক গণসংযোগ।

    আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম তার প্রতীক হাতপাখার পক্ষে বায়েজিদ থানায় ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

    আজ বুধবার (২০ জানুয়ারী২০২১) বেলা ২ টায় টেক্সটাইল মোড় চন্দ্রনগর থেকে প্রচারণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়া।

    এ সময় বাংলাবাজার পথসভায় মেয়রপ্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম বলেন,
    আমি নিজেও দুর্নীতি করবো না; কাউকে করতেও দিবো না।
    বাজেটের শতভাগ টাকা উন্নয়নের কাজেই ব্যবহার করবো।আমি বিশ্বাস করি বাজেটের শতভাগ টাকা দিয়ে উন্নয়নের কাজ করলে বর্তমান সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ উন্নয়ন করা সম্ভব।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল কাসেম মাতব্বর, সেক্রেটারি আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল, মিডিয়া সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, পোলিং এজেন্ট সমন্বয়ক আবু সুফিয়ান ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক প্রচার সম্পাদকঃ মাও,গিয়াস উদ্দিন আল মাহমুদ,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক সহকারী অর্থ সম্পাদকঃ মিডিয়া কর্মি আলমগীর ইসলামাবাদী ও ইসলামী আন্দোলন বায়েজিদ থানার নেতৃবৃন্দ।

  • বায়তুশ শরফ আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।” মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

    বায়তুশ শরফ আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।” মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম.পি বলেন, দরবার কেন্দ্রিক প্রচলিত পীর মুরিদীর আবহে পরিবেষ্ট না থেকে বায়তুশ শরফের পীর মুর্শিদরা ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণে নিবেদিত থেকে যেভাবে দেশে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন তা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ঢাকা বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক এই প্রতিষ্ঠানের সাথে অনেক পূর্ব থেকে পরিচয় এবং যাতায়াতের কথা তুলে ধরে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহানবী (সাঃ) যেভাবে সেবা ও দয়ার মাধ্যমে ইসলামের সুমহান বাণী বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বায়তুশ শরফ তারই বাস্তব উদাহরণ। তিনি বলেন, বায়তুশ মসজিদ ভিত্তিক একটি আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান হলেও মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র, এতিমখানার পাশাপাশি, স্কুল, কারিগরি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের মাধ্যমে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বায়তুশ শরফ পরিচালিত স্কুল ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ছেলের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে অসাম্প্রদায়িকতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে তা বিরল ঘটনা। কারণ, অন্যান্য পীরদের দরবারে সচরাচর এমনটি দেখা যায়না। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান পীর সাহেব আল্লামা শায়খ আবদুল হাই নদভীর এবং তাঁর মরহুম পিতার আল্লামা আবদুল জব্বার (রাহঃ) রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করে নিজের অনভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বায়তুশ শরফকে আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (২০ জানুয়ারী ২০২১) বুধবার সকাল ১১টায় কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পরিদর্শন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের আওতাধীন বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী ক্যাম্পাসে শাহ আবদুল জব্বার মিলনায়তন এর ভিত্তি ফলক উম্মোচন ও নব নির্মিত কারিগরি শিক্ষা ভবনের উদ্বোধন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়ালিকা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সভাপতি ও পীর সাহেব আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, কুতুবদিয়া মহেশখালী আসনের এমপি রফিকুল্লাহ আশেক, সংরক্ষিত মহিলা এমপি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, চট্টগ্রাম জোনের ডিআইজি মো.আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌর সভার মেয়র মুজিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম. এম. সিরাজুল ইসলাম।

    শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আনজুমনে ইত্তেহাদের সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিছ মিয়া। উপস্থিত ছিলেন এস আলম গ্রুপের ডাইরেক্টর রাশেদুল আলম খোরশেদ, আনজুমনে ইত্তেহাদের সহ সভাপতি মর্তুজা ছিদ্দিক, অধ্যাপক শফিউর রহমান, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, কবির গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন শেঠ, ঢাকা বায়তুশ শরফের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম আজাদ,অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক একরামুল হক আজাদসহ কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১২টায় একই মঞ্চে বায়তুশ শরফ আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার শাখার শপথ গ্রহন ও অভিষেক অনুষ্ঠান এবং কক্সবাজার জেলার বায়তুশ শরফের বিভিন্ন শাখার দায়িত্বশীলদের সাথে আগামী ৪, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য আখতারাবাদের (কুমিরাঘোনা) পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব ২০২১ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার শাখার সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আবুল কালাম।

  • কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ

    কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ

    প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার,প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ।

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম আমীর হযরত পীরসাহেব হুজুর চরমোনাই এর ঘোষণা মতে দেশের সকল ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে দেশে ইসলামী বিপ্লবের শস্যক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সকল প্রকার নেতা-কর্মীও দায়িত্বশীলদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনী মাঠে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে এদেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার পথ রচনা করতে হবে। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্ব সৃষ্টি করে দেশের সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি ধর্ষণের সংস্কৃতি থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশকে ইসলামী বিপ্লবের দিকে ধাবিত করার ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পথচলা একটি মাইল ফলক সৃষ্টি করবে। গণ দাওয়াতের মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের কাছে ইসলামের হুকুমত প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রতিটি নির্বাচনে হক্কানি, দ্বীনদার দেশপ্রেমিক এবং নিষ্কলুষ ব্যক্তি নির্বাচিত করা গেলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব। তাই নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইসলামী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মী ও সদস্যদের এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সর্বাত্মকভাবে ইসলামী বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণের সময় এখনই। দেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দিকে চেয়ে আছে। সুতরাং উপজেলার সকল দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলার সকল ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে। হাতপাখার প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সকলকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত সমগ্র দেশব্যাপী সকল ইউনিয়নে প্রার্থী নির্ধারণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলায় প্রাথমিকভাবে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
    অদ্য 13 জানুয়ারি 2021 কক্সবাজার এর অভিজাত হোটেল মিশুক এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান তদারকি করেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী

    মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব, প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, আলহাজ্ব নুরুল আমিন, আল্বহাজ বদিউল আলম ও মোঃ আব্দুর রহিম।
    সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল হাশেম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম। জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সেলিম উদ্দীন, মাওলানা ফজলুল করিম, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সেক্রেটারী মুহাদ্দিস মাওলানা আমিরুল ইসলাম, ইশা ছাত্র আন্দোলনে জেলা সভাপতি মোরশেদ কারীমি সহ আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার 28 টি ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
    (রাশেদ কক্স)

  • খুলনায় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের নগর ও জেলার যৌথ সভা

    খুলনায় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের নগর ও জেলার যৌথ সভা

    শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি

     

    গত ১২ ই জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী গোলামুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া এর পরিচালনায় রেলওয়ে মসজিদে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রচলিত জেনারেল শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক না থাকার কারণে বর্তমান প্রজন্মের বোদ-বিশ্বাসে প্রগতিশীলতা ও পশ্চিমারা সাংস্কৃতিক প্রভাব প্রকট আকারে ধারণ করেছে, যার কারণে জিনা-ব্যাবিচার, ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এধরনের গর্হিত অন্যায় বৃদ্ধির জন্য আমাদেরকে দূর্বল ও ভঙ্গুর বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসন দায়ী।

    সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ।

    উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মুফতী আব্দুর রহিম, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মুফতী আলী আহমাদ, মুফতী ইমরান হুসাইন, মুফতী আব্দুর শাকুর, মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজি, মুফতী ফখরুল হাসান কাসেমী, মুফতী জাকির হুসাইন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতী আনোয়ারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাদের, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, মুফতী আব্দুল্লাহ মুফতার, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, মাওলানা ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।

  • আনোয়ারায় লটারির মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি

    আনোয়ারায় লটারির মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি

     

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ-

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ি আনোয়ারা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারনের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ উদ্দীপনা পরিবেশে লটারির মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করা হয়।এতে লটারির মাধ্যমে ১৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচিত হয়।এছাড়া ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে অপেক্ষমান রাখা হয়।

    আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফেরদৌস হোসেনসহ আরো অনেকে.

  • নলছিটির কৃতি সন্তান মিজানুর রহমান আর নেই

    নলছিটির কৃতি সন্তান মিজানুর রহমান আর নেই

    মোঃরাকিব,নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধিঃ

     

    নলছিটি উপজেলার কৃতি সন্তান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক জনাব মিজানুর রহমান মহান আল্লাহ্ তায়ালার ডাকে সারা দিয়ে চিরতরে এ পৃথিবীর মায়া ত‍্যাগ করে চলে গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।

    তিনি একাধারে সাংবাদিক, সংবিধান বিশ্লেষক, কলামিস্ট ও সংগঠক ছিলেন। ” নি “তারুণ্যের নলছিটি” নামক সামাজিক সংগঠনের সহ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুতে “তারুণ্যের নলছিটি” গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

  • ভোলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ইউপি সচিবের মারধর ॥ আতঙ্কিত শিক্ষার্থী

    ভোলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ইউপি সচিবের মারধর ॥ আতঙ্কিত শিক্ষার্থী

    ভোলা প্রতিনিধি

     

    ভোলায় পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর ও অর্কত্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে দৌলতখানের ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। রবিবার (১০ জানুয়ারী) বিকালে ভোলা সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজারের নাজিউর রহমান কলেজের পেছনে মীর বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইউপি সচিব কর্তৃক মারধরের শিকার এসএসসি শিক্ষার্থী সোহাগ বর্তমানে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর পরিবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও স্যারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
    সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ সিরাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ সোহাগ প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়ে বাড়ী ফেরার পথে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তার সহপাঠি বন্ধু মিতুলের সাথে কথা বলছিলো। এসময় ওই পথ দিয়ে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন আরও একজন লোকসহ যাচ্ছিলো। শিক্ষার্থী মিতুল সহপাঠি মোঃ সোহাগকে সাইড দিতে বলে। সোহাগ সচিব আলমগীরকে সাইড দেয়। সচিব আলমগীর ও তার সাথে থাকা লোক কিছু দূর চলে যায়। সোহাগ তার সহপাঠি বন্ধু মিতুলের উদ্দেশ্যে বলে মানুষই তো যাইতেছে, গাড়িতো আর যাইতেছে না যে মাইরা দিয়া চলে যাবে। ভয়ের কি আছে। দুই বন্ধুর সাথে চলা এই কথা দুর থেকে শুনতে পেয়ে ইউপি সচিব আলমগীর হোসেন উত্তেজিত হয়ে তেঁড়ে এসে এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগকে মারধর করে। সচিব আলমগীর উত্তেজিত মেজাজে বলে তোর বাড়ি কোথায়, বাপের নাম কি, তোর বাপেরে বাড়ি থেকে এনে তোকে ও বাপকে পিঠাবো। আমাকে চিনিস? এসময় শিক্ষার্থী সোহাগ ও মিতুল সচিব আলমগীর হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বলে আপনাকে তো কিছু বলি নাই। আপনি কেনো এমন করছেন। আলমগীর হোসেন আরও উত্তেজিত হয়ে সোহাগকে অর্কত্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একজন ইউপি সচিবের এমন আচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থী সোহাগ ও মিতুল।
    নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী মোঃ সোহাগের বড় ভাই এম শাহরিয়ার জিলন বলেন, দুই বন্ধুর কথোপকথনকে কেন্দ্র করে ইউপি সচিব আলমগীর হোসেন আমার ভাই সোহাগকে মারধর ও অশোভন আচরণের ঘটনায় আমরা ব্যথিত হয়েছি। একজন ইউপি সচিবের কাছ থেকে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আশা করিনি। আমার ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগ এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আমি এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও স্যারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখছিলো। তারা দুজন কথা বলছিলো, আমি ডাক দিলে কথা না শুনায় সোহাগকে থাপ্পর দিয়েছি।
    বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগকে মারধরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তুচ্ছ কারণে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একজন সরকারী চাকুরীজীবি ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কেউ আশা করে না। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
    উল্লেখ্য, দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেনের আগেও একাধিক লোকের সাথে এমন অশোভন আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে।