Blog

  • ভোলার বোরহানউদ্দিনে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায়: আহত-১২

    ভোলার বোরহানউদ্দিনে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায়: আহত-১২

    সাদিকুর রহমান, ভোলা জেলা প্রতিনিধি

     

    ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। রবিবার বিকালে বোরহানউদ্দিন পৌর ৩ নং ওয়ার্ডের বোরহানউদ্দিন হেলিপ্যাড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে ।
    প্রত্যক্ষদর্শী বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র তাওসিন জানায়, ঘটনার সময় পার্শ্ববর্তী মাঠে তারা খেলা করছিল। হঠাৎ ভোলা থেকে চরফ্যাশনে গামী যাত্রীবাহী বাস জুয়েল নাজমুল ঢাকা মেট্রো জ-১১-২৬৭৫ হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পূর্ব পাশে খাদে পড়ে যায় । পার্শ্ববর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করেন। আহতরা হলেন শাহিন, জসিম, জাহাঙ্গীর, তাসলিমা, রাসেল, রাকিব,মমতাজ, রোজিনা ,কালিমুল্লাহ, অভি, সুবর্ণা ও ফেরদৌস
    বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিস এর লিডার শাহাবুদ্দিন জানান, ৮/১০ জন আহত হয়েছে। সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে।
    বোরহানউদ্দিন হাসপাতাল সূত্রে ১২ জন আহতের সংবাদ পাওয়া যায়।
    ওই বাসের লালমোহন এলাকার এক যাত্রী জানায়, আমার সাথে আমার ছেলে ছিল। ওকে উদ্ধার করার পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
    বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান জানান, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরে যায়। ১২ জন আহত হয়েছে। ১১ জন বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। একজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া টেকনাফ উপজেলার ছাত্রলীগের ৪ বারে সাধারন সম্পাদক

    রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া টেকনাফ উপজেলার ছাত্রলীগের ৪ বারে সাধারন সম্পাদক

    ওসমান আল হুমাম,,কক্সবাজার প্রতিনিধি

    জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের একটি গরুত্ব পূর্ণ ইউনিট টেকনাফ উপজেলা, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল গত ৫ বছর আগে দায়িত্ব দেয়া হয়, সুলতান এবং সাইফুল কে, এ কমিটি মেয়াদোক্তীর্ণ হওয়াই নবগঠিত কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সংগঠন কে গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন করার জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাঝে টেকনাফে তৃনমূল ছাত্রলীগ কর্মীরা উচ্ছাসিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের প্রতি শুকরিয়াহ জ্ঞাপন করতে দেখা গেছে।

    তার মাঝে বাহারছড়া ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান এর একটি ফেসবুক পোষ্ট আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো,
    ” তবুও রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া পার হলো এক যোগ, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ বারের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না, স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার সাথে বৈইমানি করেও শাস্তি হয়নি, এখন সভাপতি হবেন নাকি! আপনাদের জন্য তো সংগঠন এর গঠনতন্ত্র আপনাদের নিয়মেই চলে, এক যোগ ধরে করে আসা রাজত্ব সহজে কি কেউ ছাড়ে! ৪ বার সাধারন সম্পাদক সামনে এক যোগ পার হলেও হয়তো এ রাজত্ব থেকে যাবে, বড় কষ্ট নিয়ে বলতে চাই গত উপজেলা নির্বাচনে আমি যখন ছাত্রলীগ কর্মী হয়ে নৌকার জন্য কাজ করেছি ১৭ দিনের মধ্যে আমার কমিটি ভেঙ্গে দিছেন, এরকম তৃনমূল এর বহু কর্মীকে ছাত্রলীগ হয়ে নৌকার জন্য কাজ করার অপরাধে শাস্তি ভোগ করতে হয়ছে,এবং হচ্ছে, শত শত ইয়াবা ব্যবসায়ী কে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়ে সংগঠন এর ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন প্রতিনিয়ত অ দয়াল এ ভাবে আর চলবে কত কাল! এবং তিনি আরো জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/ সম্পাদক এর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন,এবার অন্ততো তৃনমূল কর্মীদের রক্ষা করেন, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ কে নৌকা বিরোধী, গঠনতন্ত্র বিরোধীদের হাত থেকে উদ্ধার করেন, আপনাদের সুন্দর সঠিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় টেকনাফের শত শত তৃনমূল এর ছাত্রলীগ কর্মীরা।

  • সাতকানিয়া-লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন ড.আবু রেজা নদভী এমপি

    সাতকানিয়া-লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন ড.আবু রেজা নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    মুজিববর্ষে স্বাস্থ্যখাত, এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে
    অজ (০৭ ফেব্রুয়ারী২১) রবিবার সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া – লোহাগাড়ায়ও পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, দেশে টিকা আসার পর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল অনেকের মনে।

    নেতিবাচক কিছু রাজনৈতিক প্রচারও তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখা গেছে নানা কথা। চিকিৎসকরা অভয় দেওয়ার পরও অনেকের মাঝে ভীতি আর শঙ্কা থেকে যায়। অথচ ইতিমধ্যে যারা টিকা নিয়েছেন তারা কোনো সমস্যা বোধ করেননি। অন্যান্য টিকার ন্যায় সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকাটা স্বাভাবিক। তিনি করোনা মহামারী থেকে সুরক্ষা পেতে সবাইকে নির্ভয়ে-নির্দিদ্বায় কোভিড-১৯ টিকা গ্রহনের জন্য আহবান জানান।

    সকাল ১০ টায় সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মজিদ ওসমানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তাহের এলএমজি, সাতকানিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন হাসান চৌধুী, ডাক্তার মনজুর মোর্শেদ, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ন.ম সেলিম চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক হারেজ মুহাম্মদ, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান, স্থানীয় সাংসদ সহকারী একান্ত সচিব এসএম শাহাদাৎ হোসেন সাহেদ, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বেলাল, মোহাম্মদ আলমগীর, সাতকানিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের আহবায়ক মুহাম্মদ ইদ্রিছ, সাতকানিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম প্রমূখ।

    সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শোভন, স্বাস্থ্য কর্মী মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিলন কুমার ভট্টাচার্য, নার্স আলো দাশের টিকা গ্রহনের মাধ্যম কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

    দুপুর বারটায় লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ হানিফের সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবীব জিতু। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকের হোসাইন মাহমুদ, লোহাগাড়া ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর স্নেহাংশু বিকাশ সরকার, জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সদস্য, লোহাগাড়া উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ আরমান বাবু রোমেল, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন মিনহাজসহ হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা।

    লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ হানিফের ভ্যাকসিন টিকা গ্রহণের মধ্যদিয়েই টিকা গ্রহন কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবীব জিতু, ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ টিকা গ্রহন করেন।

  • বাঁশখালী প্রধান সড়ক এখন কাঁচাবাজারের দখলে

    বাঁশখালী প্রধান সড়ক এখন কাঁচাবাজারের দখলে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম শহরের সাথে বাঁশখালীর যোগাযোগের একমাত্র বিকল্প রোড় দীর্ঘ ৬৫ কিলোমিটারের ব্যস্ততম বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কের দুই পার্শ্বের ফুটপাত অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট ও কাঁচাবাজারের দখলে থাকায় নিত্য যানযটে ভোগছে সাধারন পথচারীরা। সড়কের ফুটপাত দখল করে কাঁচাবাজার বসায় নিত্যদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারন জনগণ কে। বিশেষ করে গুনাগরী ,বৈলছড়ী কেবি বাজার শীলকূপ টাইমবাজার ও চাম্বল সহ পুরো প্রধান সড়কের ফুটপাত কাঁচাবাজারের দখলে থাকায় বাজার বারে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। এতে সড়ক পথেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। যথা সময়ে সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবিরা পৌঁছাতে পারছেনা তাদের কর্মস্থলে। এমনকি এ কারণে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। যান চলাচলে ঘটছে ব্যাঘাত, ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে থাকছে জট।

    সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁনপুর বাজার , গুনাগরি,রামদাশ মুন্সিরহাট, বৈলছড়ি কেবি বাজার, জলদী মিয়ার বাজার ও উপজেলা সদর থেকে শীলকূপ টাইমবাজার, চাম্বল বাজার, নাপোড়া বাজার, পুইঁছড়ি প্রেমবাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের ফুটপাত কাঁচাবাজার ও অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাটের দখলে। বিশেষ করে এ সব বাজারে নিত্য যানযটের শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও পথচারিরা। প্রধান সড়ক কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা কাঁচাবাজার গুলো ফুটপাত ও রাস্তা দখলে চলে গেছে। সেখানে বসেছে শতাধিক শাকসবজি, ফলমূল, তরিতরকারি ও মাছের দোকান। ফুটপাত এত সরব হয়ে গেছে যে হেঁটে চলাও যাচ্ছে না। ফুটপাত দখল করে অনেক দোকান বসছেন স্থায়ীভাবেই। আর যারা ফুটপাতে জায়গা পাচ্ছেন না, তারা মালামাল নিয়ে বসে পড়েছেন রাস্তার ওপরই। এমনকি রাস্তার ওপরেও রাখা আছে ফলের ঝুড়ি, সবজির বস্তা প্রভৃতি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলতে হচ্ছে মূল সড়কে নেমে মাঝপথ বরাবর।

    বাঁশখালী প্রধান সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী এস.আলম বাস সার্ভিস, সানলাইন সহ চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা কার্গো সার্ভিস সহ বড় বড় ট্রাক গুলো একটা আরেকটাকে ক্রস করে যেতেও হিমশিম খাচ্ছে। ফুটপাত দখল করার কারণে দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে বাঁশখালী-চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগের একমাত্র বিকল্প সড়ক বাঁশখালী প্রধান সড়কটি। তাছাড়া বে-আইনিভাবে প্রধান সড়কে থমকে দাঁড়িয়ে আছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। প্রশাসনের নজরে দৃষ্টিগোচর করার পরেও সরছে না খুঁটি গুলো। এতে নিত্য দূর্ঘটার শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। সড়ক দখল করেই সিএনজি-অটোরিকশার পার্কিং যেন দেখার কেউ নাই।

    বাঁশখালী হাসপাতালের এ্যামুলেন্স চালক মোঃ আলমগীর বলেন, বাঁশখালী প্রধান সড়কে র্বতমানে যে হারে যানজট লেগে থাকে তাতে সাধারন রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একেক যানজটে ২-৩ ঘন্টা লেগে যায়। অনেক সময় ডেলিভারী সহ অতি মুমূর্ষ রোগী নিয়ে কঠিন পরিস্তিতির মুখোমুখি হতে হয়। যার কারণে তীব্র যানজটে অতিষ্ট হয়ে পড়ে রোগীরা। যেই হারে বড় বড় গাড়ি বেড়েছে,
    সেই তুলনায় আমাদের বাঁশখালী সড়কটি অতি ছোট,২ টি এস আলম সার্ভিস একসাথে ক্রস করতে পারে না। যার কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
    রাস্তাটি আরো বড় করা উচিত।

    চাম্বল এলাকার এক বেসরকারী
    চাকুরীজিবী মোঃ বেলাল উদ্দীন বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার বসার কারণে সড়ক জুড়ে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের মতো সাধারন জনগন ও চট্টগ্রাাম শহরগামী সাধারণ মানুষ সহ চাকরিজীবীদের।’ এস.আলম, সানলাইন, স্পেশাল, সুপার সার্ভিস ও সিএনজি অটোরিকশার বেশ কয়েকজন চালক বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার এইটা কোন দেশের আইন আমাদের বুঝে আসেনা। কেউ কিছু বলেও না। রাস্তা হয়েছে গাড়ি চলানোর জন্য কিন্তু তারা কাঁচাবাজার ও দোকানপাট বসিয়ে অবৈধভাবে ফুটপাত গিলে খেয়েছে। এরকম যানজটের কারণে আমরা বাঁচি না।’

    চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজিবী এডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এই পথেই আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাতের পুরো অংশেই বাজার বসে গেছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশখালীতে পৌঁছতে দেড়-দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে অনেক সময় তিন-সাড়ে তিন ঘন্টারও বেশী সময় লাগে। দীর্ঘ জ্যামে আটকা পড়ে যায় যানবাহনগুলো। হেঁটে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সওজ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি থাকলে এরকম জনদূভোগের কিছুটা লাগব হতো।’

    ক্যাপশনঃ বাঁশখালী প্রধান সড়কের ফুটপাত দখল করে বসেছে শিলকুপ টাইমবাজার।

  • মার্চ-এপ্রিলে খুলে দেয়া হবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু

    মার্চ-এপ্রিলে খুলে দেয়া হবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু

     

    এইচ এম সাইফুল নূর কলাপাড়া, প্রতিনিধিঃ-

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের আন্ধারমানিক নদীর উপর নির্মান সম্পন্ন হওয়ার পথে বালিয়াতলী বাজার সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পরিদর্শন করলেন এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান।

    শনিবার দুপুরে সেতু পরিদর্শন কালে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর রহমান মহিব, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দীন, মো. আলী আখতার হোসেন, মো. ওয়হিদুর রহমান, মো. মোখলেসুর রহমান, মন্মথ রঞ্জন হাওলাদারসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা তার সাথে ছিলেন। এসময় সেতুর কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। আগামি মার্চ-এপ্রিল মাসে সেতুটি জনগণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন তিনি।

    এর আগে শনিবার সকালে কুয়াকাটায় এলজিইডি’র পরিদর্শন বাংলো কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। বহুতল এ পরিদর্শন বাংলোটির আপাতত তিন তলা পর্যন্ত করা হচ্ছে। সাত কোটি টাকা ব্যায়ে এ ভবনটি নির্মিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

  • প্রয়াত অধ্যাপক মু. আলী স্যারের কনিষ্ঠ সন্তান তারেক রনি কে মূল্যায়ন করার জন্য তৃণমূলের দাবী

    প্রয়াত অধ্যাপক মু. আলী স্যারের কনিষ্ঠ সন্তান তারেক রনি কে মূল্যায়ন করার জন্য তৃণমূলের দাবী

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    রাজনীতিকে বিদ্যায়তনিক রুপ লাভ দিতে এ ধরাধামে কিছুকিছু মানুষের আবির্ভাব ঘটে সবরে অবরে। ইতিহাসের খেরোখাতায় সে মানুষগুলো সমুজ্জ্বল প্রদীপের মতোন থেকে যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। আমি দক্ষিণ চট্টলার রাজনীতির শুদ্ধতম পুরুষ সদ্য প্রয়াত সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কথা বলছি। তিনি তাঁর ষাট বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ঝাণ্ডা হাতে চষে বেড়িয়েছেন কক্সবাজার তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের অলিগলিতে। তাঁর জন্মজনপদ টেকনাফে আওয়ামী রাজনীতির আজ যে একটি শক্তপোক্ত অবস্থান, তার ভিতটা মূলত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর হাত ধরে গড়া। তাঁর আদর্শের পাঠশালায় লালিত হয়ে বহু উত্তরসূরি আজ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে উঠেছেন বহু জায়গায় বহুভাবে। তদুপরি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর রেখে যাওয়া তিন বুকের ধনও আওয়ামী রাজনীতি তথা পিতার দেখানো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পাহারাদার হয়ে টেকনাফ তথা কক্সবাজারের রাজনীতিতে সবসময় প্রাসঙ্গিক হয়ে আছে। বড় ছেলে মাহাবুব মোর্শেদ টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মেঝো ছেলে রাশেদ মাহমুদ আলী হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ছোট ছেলে তারেক মাহমুদ রনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আদর্শিক রাজনীতির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী পরিবারের রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে বিএনপি জামাত অধ্যুষিত টেকনাফে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সদা জাগ্রত রাখতে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে। কোনো সিন্ডিকেটের কবলে যেনো আওয়ামী আদর্শের রাজনীতি ছিনতাই না হয়ে যায়, তার কারণে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী পরিবারকে টেকনাফের রাজনীতিতে বাঁচিয়ে রাখতে হবে দলের স্বার্থে, দশের স্বার্থে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কনিষ্ঠ সন্তান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ রনি মূল্যায়িত হবে এটি আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি।

  • ড. আবু রেজা নদভী এমপি বাংলাদেশ-সৌদি সংসদীয় মৈত্রি গ্রুপের সদস্য নির্বাচিত

    ড. আবু রেজা নদভী এমপি বাংলাদেশ-সৌদি সংসদীয় মৈত্রি গ্রুপের সদস্য নির্বাচিত

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, কক্সবাজার।

     

    চট্টগ্রাম- ১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের দুইবাের মাননীয় সংসদ সদস্য, প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বাংলাদেশ – সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রি গ্রুপের সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে। ময়মনসিংহ-৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীকে সভাপতি করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট এই বাংলাদেশ – সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রি গ্রুপ গঠন করা হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক এ.জে.এম মুজাহিদ আল মঞ্জুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানানো হয়।
    কমিটির অপরাপর মাননীয় সংসদ সদস্যরা হলেন, ময়মনসিংহ- ৬ মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, গাইবান্ধা- ৪ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ঝালকাঠি-১ আসনের সদস্য জনাব বজলুল হক হারুন, কক্সবাজার- ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, চট্টগ্রাম- ২ আসনের সংসদ সদস্য জনাব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, রংপুর- ৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব রাহগির আলমাহি এরশাদ, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য বেগম উম্মে ফাতেমা নাজমা ও বেগম নার্গিছ রহমান।

    বার্তা প্রেরক
    (স্বাক্ষরিত)
    অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
    প্রেস সচিব, মাননীয় সাংসদ।

  • চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন

    চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর ২ টার সময় পশ্চিম কামরিয়ার বিল খেলার মাঠে হাসি মুখ ফাউন্ডেশনে সহযোগিতায় চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

    কর্মসূচিতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার সভাপতি রফিক আহাম্মদ।

    কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কামরিয়ার বিলের সমাজ সেবক আলহাজ্ব আবছার সওদাগর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা শাহ নেওয়াজ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন রানা।

    এতে আরও বক্তব্য রাখেন চিরতরে বন্ধু সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার যুগ্ম তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রফিক উদ্দিন। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার সহ সভাপতি হামিদ হোছন। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সিকদার। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম ।
    হাসি মুখ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব কায়ছার। কামারিয়ার বিল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর সম্মানিত খতিব মাওলানা আতাউল হক বিন মুছা৷ রাজাপালং ইউনিয়নের উপদেষ্টা হাফেজ আহাম্মদ হোসন তরুন সমাজ রফিক আলম।

    কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ হোসন সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান সহ প্রমুখ ।

  • IAB) চট্টগ্রাম মহানগরীর 2021-22 সেশন এ আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম সভাপতি ও আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইকবাল সেক্রেটারি পুনরায় নির্বাচিত

    IAB) চট্টগ্রাম মহানগরীর 2021-22 সেশন এ আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম সভাপতি ও আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইকবাল সেক্রেটারি পুনরায় নির্বাচিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

    আজ 29 শে জানুয়ারি 2021 জুমাবার, বিকাল তিন ঘটিকায় নগরীর দেওয়ানহাটস্থ আইএবি মিলনায়তনে নগর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সদ্যসমাপ্ত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একটি তামাশার নির্বাচন, এতে জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটেনি। এ নির্বাচন দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। সরকারকে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।

    নগর কাউন্সিলে, নগরীর 15 টি থানার সভাপতি সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদক এর প্রত্যক্ষ ভোটে আলহাজ্ব মোহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ আল-ইকবাল সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরীর সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বিএসসি, আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতাব্বর, শ্রমিকনেতা ওয়াইজ হোসেন ভূঁইয়া, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসেন, শিক্ষক ফোরামের নেতা মাওলানা দিদারুল মাওলা, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারি ডাক্তার রেজাউল করিম রেজা, নগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, যুব নেতা তাজুল ইসলাম শাহীন, ছাত্রনেতা রিদওয়ানুল হক শামীম প্রমুখ।

  • কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে বদলে যাচ্ছে টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নের মেঠোপথ

    কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে বদলে যাচ্ছে টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নের মেঠোপথ

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজার টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নে চলতি ২০২০-২১ইং অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী ১ম পর্যায়ে ৩৮০জন শ্রমিক এবং ৩০লাখ ৬০হাজার টাকার বিনিময়ে প্রত্যন্ত এলাকায় ১০টি সড়ক সংস্কার এবং নতুন করে নির্মাণের ফলে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পের টাকায় অনিয়ম-দূর্নীতি না হলে দুঃসময়ে দরিদ্র মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হয় তেমনি গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নও ঘটে। আগামীতে এই ব্যাপারে আরো সর্তক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    জানা যায়, চলতি ২০২০-২১ইং অর্থ বছরের কর্মসৃজন প্রকল্প ১ম পর্যায়ে ৪০দিনের কাজে হ্নীলা ইউনিয়নে ৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে মরিচ্যাঘোনা আব্দুল জাব্বার সিকদার রোড হতে পশ্চিমে দপ্তরী কবিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। স্থানীয় ইউপি মেম্বার বশির আহমদ ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন।
    এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা দপ্তরী কবির,আব্দু রহিম,আলমূল মোস্তফা,শাহ আলম,হাসিনা বেগম জানান, এই রাস্তাটি নির্মাণ হওয়ার ফলে আমরা সহজে প্রয়োজনীয় পণ্যাদি নিয়ে যাতায়াত করতে পারব এবং ছেলে-মেয়েরা বর্ষাকালে স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারবে। এইজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
    নাইক্ষ্যংখালী মুসলিম পাড়া ব্রীজ হতে নবনির্মিত আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে পূর্বদিকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। ফরিদুল আলম মেম্বার ৪০জন শ্রমিক এবং ৩লাখ ২০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় উপকারভোগী হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, কালাইয়া, ছৈয়দ আলম, জাহেদা বলেন এই প্রকল্প লুটপাট প্রকল্প নামে পরিচিত থাকলেও আমাদের এলাকায় এইবার চোখে পড়ার মতো কাজ হয়েছে।

    মাষ্টার সাবেকুন নাহারের বাড়ি হতে পূর্বদিকে চৌধুরী বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ এবং প্রধান সড়ক হতে ঊলুচামরী কোনার পাড়া ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা পূনঃ নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাসরিন পারভীন ৯৫জন শ্রমিক এবং ৭লাখ ৬০হাজার বিনিময়ে এই প্রকল্প ২টি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন, জাফর, সফিক, ছৈয়দুল আমিন, আতিক, স্কুল কর্মচারী সাইফুল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ২টি একটি গ্রামের মানুষের চলাফেরার ভেঅগান্তি দূর করেছে আরেকটি হ্নীলা ফুলের ডেইল এবং গুহাফার মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে দিয়েছে।

    পশ্চিম পানখালী উত্তর পাড়া বেলালের বাড়ি হতে উত্তর-পশ্চিম দিকে আবুল বশরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। হোছাইন আহমদ মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল, মোঃ আলম, খলিল আহমদ, মৌঃ শব্বির, জহর আলী বলেন, বর্ষাকালে ভাঙ্গা পুকুরের পাড় দিয়ে চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর ছিল। এই রাস্তাটি সংস্কারের ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে।

    লেচুয়াপ্রাং মত্তিকাটা (ইসলাম মিয়ার বাড়ি হতে লেচুয়াপ্রাং কবর স্থান পর্যন্ত) রাস্তা পূনঃ নির্মাণ। প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোছন মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় ইসলাম মিয়া, ফরিদ, সলিম, রহিম উল্লাহ বলেন, আমরা কৃষি কাজ ও পাহাড়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কারের ফলে আমাদের ক্ষেতে উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সহজতর হয়েছে।

    লেদা পুছিঙ্গা পাড়া (এইচকে আনোয়ারের প্রজেক্টের রাস্তা হতে দক্ষিণে লেদা খাল পর্যন্ত) পুনঃ রাস্তা নির্মাণ। নুরুল হুদা মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয় আবুল কালাম, তৈয়ম গোলাল, নাগু মিয়া, জসিম বলেন, এই রাস্তাটি নির্মাণের ফলে আমাদের চলাফেরা সহজ হয়েছে।

    খন্ডার কাটা আমির আলীর বাড়ি হতে উত্তর দিকে নুর নবীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ফরিদা বেগম ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয় গৃহবধু মুন্নী, বৃদ্ধা সলেমা, কৃষক ছৈয়দ নুর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে কষ্টে ছিলান। গাড়ি চলতে না পারায় কোন রোগী পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হত। এখন ইনশল্লাহ আমাদের জন্য ভাল হয়েছে।

    মধ্যম দমদমিয়া সোনা মিয়ার বাড়ি হতে জাফরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। মোহাম্মদ আলী মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। সোনা মিয়া, নুর কবির, নুর নাহার বলেন, এই রাস্তাটি সংস্কারের ফলে ক্ষেত-খামার এবং স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে ছেলে-মেয়ে ও লোকজনকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা।

    লেদা বিওপি ক্যাম্পের পেছনে নুর মোহাম্মদের বাড়ি হতে উত্তর দিকে নাজির হোছনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মর্জিনা আক্তার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নবী হোছন, মোবারক, জাফর, ঈমান হোছন বলেন এই সড়কটি নির্মাণের ফলে দুই গ্রামের মধ্যে যাতায়াত সহজ হল।

    এই ব্যাপারে ২ নং হ্নীলা ইউপি সচিব শেখ ফরিদুল আলম জানান, এসব প্রকল্প সমুহ অনিয়ম-দূর্নীতির উর্ধ্বে উঠে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএওর নির্দেশনায় এবং চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর তত্ত্বাধানে ১ম পর্যায়ে ৪০দিনব্যাপী এই কর্মসংস্থান কর্মসূচীর মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন ঘটেছে। আমি মনে করি এই প্রকল্প এই ইউনিয়নে সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
    হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন,আমি জনগণের সেবার জন্য বাবার স্বপ্ন নিয়ে জনসেবায় এসেছি। তাই সরকারী বরাদ্ধ সমুহ সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য সচেষ্ট রয়েছি বলে আজ এই প্রকল্প সরেজমিনে তদারকির মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।