Blog

  • কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে বদলে যাচ্ছে টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নের মেঠোপথ

    কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে বদলে যাচ্ছে টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নের মেঠোপথ

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজার টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নে চলতি ২০২০-২১ইং অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী ১ম পর্যায়ে ৩৮০জন শ্রমিক এবং ৩০লাখ ৬০হাজার টাকার বিনিময়ে প্রত্যন্ত এলাকায় ১০টি সড়ক সংস্কার এবং নতুন করে নির্মাণের ফলে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পের টাকায় অনিয়ম-দূর্নীতি না হলে দুঃসময়ে দরিদ্র মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হয় তেমনি গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নও ঘটে। আগামীতে এই ব্যাপারে আরো সর্তক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    জানা যায়, চলতি ২০২০-২১ইং অর্থ বছরের কর্মসৃজন প্রকল্প ১ম পর্যায়ে ৪০দিনের কাজে হ্নীলা ইউনিয়নে ৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে মরিচ্যাঘোনা আব্দুল জাব্বার সিকদার রোড হতে পশ্চিমে দপ্তরী কবিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। স্থানীয় ইউপি মেম্বার বশির আহমদ ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন।
    এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা দপ্তরী কবির,আব্দু রহিম,আলমূল মোস্তফা,শাহ আলম,হাসিনা বেগম জানান, এই রাস্তাটি নির্মাণ হওয়ার ফলে আমরা সহজে প্রয়োজনীয় পণ্যাদি নিয়ে যাতায়াত করতে পারব এবং ছেলে-মেয়েরা বর্ষাকালে স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারবে। এইজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
    নাইক্ষ্যংখালী মুসলিম পাড়া ব্রীজ হতে নবনির্মিত আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে পূর্বদিকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। ফরিদুল আলম মেম্বার ৪০জন শ্রমিক এবং ৩লাখ ২০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় উপকারভোগী হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, কালাইয়া, ছৈয়দ আলম, জাহেদা বলেন এই প্রকল্প লুটপাট প্রকল্প নামে পরিচিত থাকলেও আমাদের এলাকায় এইবার চোখে পড়ার মতো কাজ হয়েছে।

    মাষ্টার সাবেকুন নাহারের বাড়ি হতে পূর্বদিকে চৌধুরী বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ এবং প্রধান সড়ক হতে ঊলুচামরী কোনার পাড়া ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা পূনঃ নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাসরিন পারভীন ৯৫জন শ্রমিক এবং ৭লাখ ৬০হাজার বিনিময়ে এই প্রকল্প ২টি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন, জাফর, সফিক, ছৈয়দুল আমিন, আতিক, স্কুল কর্মচারী সাইফুল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ২টি একটি গ্রামের মানুষের চলাফেরার ভেঅগান্তি দূর করেছে আরেকটি হ্নীলা ফুলের ডেইল এবং গুহাফার মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে দিয়েছে।

    পশ্চিম পানখালী উত্তর পাড়া বেলালের বাড়ি হতে উত্তর-পশ্চিম দিকে আবুল বশরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। হোছাইন আহমদ মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল, মোঃ আলম, খলিল আহমদ, মৌঃ শব্বির, জহর আলী বলেন, বর্ষাকালে ভাঙ্গা পুকুরের পাড় দিয়ে চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর ছিল। এই রাস্তাটি সংস্কারের ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে।

    লেচুয়াপ্রাং মত্তিকাটা (ইসলাম মিয়ার বাড়ি হতে লেচুয়াপ্রাং কবর স্থান পর্যন্ত) রাস্তা পূনঃ নির্মাণ। প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোছন মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় ইসলাম মিয়া, ফরিদ, সলিম, রহিম উল্লাহ বলেন, আমরা কৃষি কাজ ও পাহাড়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কারের ফলে আমাদের ক্ষেতে উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সহজতর হয়েছে।

    লেদা পুছিঙ্গা পাড়া (এইচকে আনোয়ারের প্রজেক্টের রাস্তা হতে দক্ষিণে লেদা খাল পর্যন্ত) পুনঃ রাস্তা নির্মাণ। নুরুল হুদা মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয় আবুল কালাম, তৈয়ম গোলাল, নাগু মিয়া, জসিম বলেন, এই রাস্তাটি নির্মাণের ফলে আমাদের চলাফেরা সহজ হয়েছে।

    খন্ডার কাটা আমির আলীর বাড়ি হতে উত্তর দিকে নুর নবীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ফরিদা বেগম ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয় গৃহবধু মুন্নী, বৃদ্ধা সলেমা, কৃষক ছৈয়দ নুর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে কষ্টে ছিলান। গাড়ি চলতে না পারায় কোন রোগী পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হত। এখন ইনশল্লাহ আমাদের জন্য ভাল হয়েছে।

    মধ্যম দমদমিয়া সোনা মিয়ার বাড়ি হতে জাফরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। মোহাম্মদ আলী মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। সোনা মিয়া, নুর কবির, নুর নাহার বলেন, এই রাস্তাটি সংস্কারের ফলে ক্ষেত-খামার এবং স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে ছেলে-মেয়ে ও লোকজনকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা।

    লেদা বিওপি ক্যাম্পের পেছনে নুর মোহাম্মদের বাড়ি হতে উত্তর দিকে নাজির হোছনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মর্জিনা আক্তার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নবী হোছন, মোবারক, জাফর, ঈমান হোছন বলেন এই সড়কটি নির্মাণের ফলে দুই গ্রামের মধ্যে যাতায়াত সহজ হল।

    এই ব্যাপারে ২ নং হ্নীলা ইউপি সচিব শেখ ফরিদুল আলম জানান, এসব প্রকল্প সমুহ অনিয়ম-দূর্নীতির উর্ধ্বে উঠে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএওর নির্দেশনায় এবং চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর তত্ত্বাধানে ১ম পর্যায়ে ৪০দিনব্যাপী এই কর্মসংস্থান কর্মসূচীর মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন ঘটেছে। আমি মনে করি এই প্রকল্প এই ইউনিয়নে সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
    হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন,আমি জনগণের সেবার জন্য বাবার স্বপ্ন নিয়ে জনসেবায় এসেছি। তাই সরকারী বরাদ্ধ সমুহ সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য সচেষ্ট রয়েছি বলে আজ এই প্রকল্প সরেজমিনে তদারকির মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

  • ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

    ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হামলা, কেন্দ্রে ভোটার ও এজেন্টে প্রবেশ করতে না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানের কাছে নির্বাচন বর্জন ও পুনঃনির্বাচনের দাবিপত্র জমা দেন।

    বুধবার (২৭ জানুয়ারি ২১) বিকেল ৩টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনের এই ঘোষণা দেন তিনি ।

    বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম সকাল ৯টার দিকে পাহাড়তলী রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সরকার সমর্থকদের হামলার শিকার হন। এরপর নগরের ২৫, ৩৯, ২৮, ২৯, ১৩, ১৪, ১২ নং ওয়ার্ডসহ সিটির সব কেন্দ্র থেকে হাত পাখার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। শুধু তাদের বের করে দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন তাদের ভোট দিতেও দেয়া হয়নি।
    এ অবস্থায় ভোট কারচুপি ও নেতাকর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ও পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান।

  • শনিবার বাঁশখালী চাম্বল মাদরাসার বার্ষিক সভা

    শনিবার বাঁশখালী চাম্বল মাদরাসার বার্ষিক সভা

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

    আমাগী ৩০ জানুয়ারি ২১ ইং শনিবার সারা দিন ব্যাপী চট্টগ্রামের অন্তর্গত
    বাঁশখালী চাম্বল দারুল উলুম আইনুল ইসলাম মাদরাসার ৬৭ তম বার্ষিক সভা অনুষ্টিত হবে। ঐত্যিহ্যবাহি এই মাদরাসায় দেশবরেণ্য আলেম ওলামা বয়ান করার কথা রয়েছে।বাঁশখালীতে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম বেশ সুনাম রয়েছে।চাম্বল ইউনিয়নে অবস্থিত এই মাহফিলকে ঘিরে প্রতি বছর ঈদের অামেজ বিরাজ করে।চাম্বল অালেম ওলামা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এখানে মাদরাসার সভাকে ঘিরে অালেম ওলামাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

    মাদরাসার বর্তমান পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন অালহাজ্ব আল্লামা শাহ্ আবদুল জলিল সাহেব দাঃ বাঃ।তিনি একজন নির্মোহ ও বুজুর্গ অালেম।যার বয়ানে বহু মানুষ পাপাচার থেকে ফিরে এসেছে।প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও মাহফিল সফলভাবে সম্পন্ন হবে অাশাবাদী।সভা উপলক্ষ্যে দূর- দূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার অাগমন ঘটে।সভায় দেশের বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মত।মোহতামিম সাহেবের পক্ষ থেকে সর্বস্থরের জনতাকে সভার দাওয়াত করা হয়েছে।

  • ভোটারদের আস্থা ফেরাতে না পারলেমেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনকে জনরোষ থেকে সরকারও রক্ষা করতে পারবে না

    ভোটারদের আস্থা ফেরাতে না পারলেমেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনকে জনরোষ থেকে সরকারও রক্ষা করতে পারবে না

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ভোটাররা নির্বাচন থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বারবার ভোটের নামে তামাশা করতে থাকলে জনরোষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরকারও বাচাতে পারবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চসিক নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।

    (25 জানুয়ারি ২১) বিকাল ৩ টায় নগরীর কোতোয়ালি মোড়ে নির্বাচনী প্রচারণাকালে পথসভায় দেয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নতুল ইসলাম।

    এসময় তিনি আরো বলেন, ভয়-তীতি আর হুমকির মধ্যেও আমরা দলের মেসেজ ও আদর্শ জনগনের কাছে পৌছে দেবার লক্ষ্যে নির্বাচনী করে যাচ্ছি। কিন্তু যাদের কাছেই যাচ্ছি তারা নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাচ্ছিল্যভরে হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
    প্রচারণাকালে ভোটারদের একটাই প্রশ্ন তারা কি আদৌ ভোট দিয়ে পারবে না আগের রাতে গায়েবি ভোট হয়ে যাবে।

    তিনি বলেন, এভাবে যদি নির্বাচনের নামে জনগনের সাথে ধারাবাহিক তামাশা করা হয় একদিন গণরোষ সৃষ্টি হবে। সে সময় তাবেদার নির্বাচন কমিশনকে সরকারও রক্ষা করতে পারবে না।

    এছাড়াও প্রচারণার বহর নিউ মার্কেট, কোতোয়ালী ও ফিরিঙ্গীবাজার এলাকাসমূহে গেলে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি ব্যবসায়ী-চাকরিজীবিসহ নানা পেশার মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল কাসেম মাতব্বর, সেক্রেটারি আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল, গণসংযোগ সমন্বয়ক ডাক্তার রেজাউল করীম, প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, মাওলানা শেখ আমজাদ, মাওলানা ইব্রাহীম, আব্দুল করীম, পোলিং এজেন্ট সমন্বয়ক আবু সুফিয়ান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহকারী অর্থ সম্পাদক মিডিয়া কর্মি আলমগীর ইসলামাবাদী, নওয়াব আলী,শামসুল আলম, ইশা ছাত্র আন্দোলন সভাপতি ছাত্র নেতা নাজিম উদ্দীন, ছাত্র নেতা মোহাম্মদ জুনাইদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্পটে হাতপাখার গণসংযোগঃদুর্নীতি রোধ করে জনগণের সেবা বাড়াবো -মেয়র প্রার্থী আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম

    চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্পটে হাতপাখার গণসংযোগঃদুর্নীতি রোধ করে জনগণের সেবা বাড়াবো -মেয়র প্রার্থী আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ আবুল খায়ের মুহাম্মদ ইসহাক (সাহেবজাদা মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, চট্টগ্রামকে নিরাপদ ও শান্তির নগরীতে পরিণত করতে হাতপাখা মার্কায় ভোট দিয়ে সৎ যোগ্য ও খোদাভীরু প্রার্থী আলহাজ জান্নাতুল ইসলামকে জয়যুক্ত করুন।

    ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জয়ী হলে চট্টগ্রাম হবে শান্তির নগরী; ইসলামী আন্দোলনের শাসনে নারী-শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, যুবকদের চরিত্র সংশোধন ও মাদক প্রতিরোধ করা হবে এবং সংখ্যালঘুরা পাবে তাদের পরিপূর্ণ মর্যাদা ও অধিকার।

    আজ শুক্রবার (২২ জানুয়ারি ২১) বিকাল ২ টা হইতে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলহাজ জান্নাতুল ইসলামের সমর্থনে নগরীর ইপিজেড, জিইসি, দেওয়ানহাট ও আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্পটে গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী জননেতা আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম বলেছেন, দেশের উন্নয়নে বরাদ্দের অধিকাংশ টাকা খোড়খুড়ি, অপরিকল্পিত ব্যয়, অপচয় ও অপব্যয়ে বরবাদ হয়ে যায়। মেয়র নির্বাচিত হলে দুর্নীতি মূলোৎপাটন করবো এবং যাবতীয় অপব্যয় ও অপচয় রোধ করে জনগণের সেবা ও সেবার মান বাড়িয়ে দেবো ইনশাআল্লাহ।

  • আসন্ন ইউপি নির্বাচনে (০৯নং)গন্ডামারা-বড়ঘোনায় হাতপাখার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীঃ মাও,নেছার আহমদ

    আসন্ন ইউপি নির্বাচনে (০৯নং)গন্ডামারা-বড়ঘোনায় হাতপাখার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীঃ মাও,নেছার আহমদ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার (০৯নং) গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সুখ -দুঃখ ভাগ করে নেওয়া মানবিক জননেতা মানবতার ফেরিওয়ালা সৎ নিষ্ঠাবান বিশিষ্ট সমাজসেবক,শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট আলেম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার সিনিয়র উপদেষ্টা ও বড়ঘোনা হিলফুল ফুজুল সংঘের উপদেষ্টা জনাব মাওলানা নেছার আহমদকে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দেখতে চায় এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

    নিঃস্বার্থ সেবা দিয়ে গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়ন বাসির মনে যায়গা করে নেওয়া এই তরুন সমাজসেবক ও সাবেক ছাত্র নেতা এগিয়ে যাবে এখন গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নের চায়ের আড্ডাতে এমন কথা অহর অহর শুনা যাচ্ছে, গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নে এবার মাওলানা নেছার আহমদকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে এমনটি আস্তার সাথে বলা যায় কারণ মাওলানা নেছার আহমদ এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী,জনগণের একটাই কথা এবার আর কেহ নয় মাওলানা নেছার আহমদকে চেয়ারম্যান হিসাবে পেতে চায়।

    (০৯নং)গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারমান পদপ্রার্থী মাওলানা নেছার আহমদ বলেন,বারবার শুধু নেতা আর ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু দুখি,মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সবাই জনসেবার কথা বলে ক্ষমতায় এসে রাতারাতি জনগনের হক নষ্ট করে আঙ্গল ফুলে গলা গাছ হয়। দুখি ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। আর এ উন্নয়ন এ রকম চোর বাটপারদের দ্বারা সম্ভব না। সাম্রাজ্যবাদী ও জাহিলি এ সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই আসুন আমরা গন্ডামারা-বড়ঘোনা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে সততা ও আস্থা ফিরিয়ে আনি। দুখি ও মেহনতি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনি।

    মাওলানা নেছার আহমদ আরও বলেন, সাম্য-মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার আজ সমাজে নেই বললেই চলে। অথচ স্বাধীনতার ইস্তেহারে স্পষ্ট ঘোষণা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্যই এ দেশ স্বাধীন করা দরকার। যার কারণে আমার আবাল,বৃদ্ধা,বণিতা ও বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেন। কিন্তু আজ সমাজের সর্বস্তরে ঘুষ,দুর্নীতি,ধর্ষণ,হত্যা,,মামলা,খুন ও নেশার সয়লাভ। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে গন্ডামারা-বড়ঘোনাবাসী মাওলানা নেছার আহমদ নির্বাচন করবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

  • লালমোহনে ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ বিচার চেয়ে দুই মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

    লালমোহনে ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ বিচার চেয়ে দুই মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

    জেলা প্রতিনিধি

     

    ভোলার লালমোহনে টাকা দাবী করে না পেয়ে আবুল কালাম নামে একজনকে মারধর করে আটকে রাখেন ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ। পরে তার ছেলে কামরুজ্জামান জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে বাবাকে পুলিশের সহায়তায় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে উদ্ধার করে। গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিচার না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে লালমোহন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্যাতিত আবুল কালামের দুই মেয়ে।

    লিখিত বক্তব্যে নির্যাতিত আবুল কালামের মেয়ে সিমা আক্তার ও রাজিয়া সুলতানা মুন্নি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দখলীয় জমিতে একই এলাকার মো. মুসা নামের এক ব্যক্তি জোরপূর্বক দখল করে। তিনি দাইমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি থেকে ওই জমি ক্রয় করেন বলে জানান। দাইমুদ্দিনের জমি দখল না করে আমাদের জমি দখল করার কারণে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে অভিযোগ করলে তিনি দুইবার ফয়সালায় বসেন। পরে তিনি আগামী ২৬ জানুয়ারী জমি মেপে দিবেন বলে তারিখ দেন। তবে ১৯ জানুয়ারি রাতে চেয়ারম্যান মুরাদ ও তার ভাই মামুন ডেকে নিয়ে এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা তাদের কাছে জমা দিতে বলেন। জমি পেতে হলে তাদের কাছে টাকা রাখতে হবে বলে জানান চেয়ারম্যান ও তার ভাই। তখন তার বাবা আবুল কালাম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরের দিন সকাল ১১ টায় আমার বাবাকে আবার চৌকিদার পাঠিয়ে ডেকে নেন। এসময় আবারও টাকা দাবী করে চেয়ারম্যান ওই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার বাবাকে চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ প্রকাশ্যে মারধর করে আটকে রাখেন।
    তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, পরে আমাদের ভাই কামরুজ্জামান জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে বাবাকে পুলিশের সহায়তায় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাদের কোনো অভিযোগ নেয়নি। এ ঘটনার পর থেকে পুরো পরিবার চেয়ারম্যানের হুমকি ধামকি ও দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবী করছেন তারা।
    এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১২ সালে আবুল কালাম একই এলাকার মোস্তফার কাছে জমি বিক্রির কথা বলে এক লক্ষ ৬০ হাজার নেন। পরে মোস্তফাকে টাকা ফিরৎ না দিয়ে ওই্ জমি অন্যত্র বিক্রি দেয়। স্থানীয়দের ফয়সালার মাধ্যমে মোস্তফাকে ৯৫ হাজার টাকা ফিরৎ দিলেও বাকি টাকা ফেরৎ দেয়নি। ওই টাকা ফেরৎ দিবে বলে আমার থেকেও আবুল কালাম কয়েকবার সময় নেয়। সেজন্য তাকে ডাকাই। তার কাছ থেকে টাকা চাইলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, যার জন্য তাকে কয়েকটা চর থাপ্পর মেরেছি।

  • বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সভাপতিঃ এড: শামসুল আলম, সম্পাদকঃ এড:দিদার নির্বাচিত

    বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সভাপতিঃ এড: শামসুল আলম, সম্পাদকঃ এড:দিদার নির্বাচিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সভাপতিঃ এড.শামসুল আলম, সম্পাদকঃএড.দিদার নির্বাচিত।

    চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা আইনজীবি সমিতির ২০২০-২১ সেশনের নির্বাচনে এডভোকেট আলহাজ্ব শামসুল আলম সভাপতি এবং এডভোকেট মোহা: দিদারুল আলম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

    (২০ জানুয়ারী’২১ ইং) বুধবার দুপুর
    ০১ টায় ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে নির্বাচনী শিডিউল অনুযায়ী বিকাল ৪ টায় ভোট গ্রহন শেষ হয়।

    নির্বাচনে ৪৮ ভোটের মধ্যে ২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট শামসুল আলম চৌধুরী, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এডভোকেট বাবু দিলিপ দাশ পেয়েছেন ২০ ভোট। ২৩ ভোট পেয়ে সহ: সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এড: রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এড: ফজল আকবর জয়নুল আবেদীন বেলাল চৌধুরী পেয়েছেন ২০ ভোট।

    সাধারন সম্পাদক পদে তরুন আইনজীবি এড: মোহা: দিদারুল আলম ২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এড: অসীমা দেবী পেয়েছেন ২০ ভোট। কোন প্রতিদ্বন্ধি না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, সহ:সাধারন সম্পাদক এড: মোহাম্মদ নাছের, দপ্তর সম্পাদক এড: সাইফুদ্দিন, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক এডভোকেট শহিদুল হক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড: বাবু লিংকন তালুকদার।

    নির্বাচনী পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর, শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থিদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল নজরকাড়া ও দৃষ্টান্তমুলক। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন,এডভোকেট আব্দুল খালেক, সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে এড: শওকত ইকবাল চৌধুরী ও এড: নাজমুল আলম চৌধুরী।

    ফলাফল ঘোষনার সাথে সাথে নব নির্বাচিত সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সহ বিজয়ী সকলকে আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানান প্রতিদ্বন্ধি পরাজিত প্রার্থীরা, যে দৃশ্য ছিল বিরল ও নজিরবিহীন।

  • মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম নগর ভবনকে দুর্নীতি মুক্ত করব-মেয়ের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম

    মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম নগর ভবনকে দুর্নীতি মুক্ত করব-মেয়ের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    বায়েজিদ থানায় হাতপাখার পক্ষে জান্নাতুল ইসলামের ব্যাপক গণসংযোগ।

    আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম তার প্রতীক হাতপাখার পক্ষে বায়েজিদ থানায় ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

    আজ বুধবার (২০ জানুয়ারী২০২১) বেলা ২ টায় টেক্সটাইল মোড় চন্দ্রনগর থেকে প্রচারণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়া।

    এ সময় বাংলাবাজার পথসভায় মেয়রপ্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম বলেন,
    আমি নিজেও দুর্নীতি করবো না; কাউকে করতেও দিবো না।
    বাজেটের শতভাগ টাকা উন্নয়নের কাজেই ব্যবহার করবো।আমি বিশ্বাস করি বাজেটের শতভাগ টাকা দিয়ে উন্নয়নের কাজ করলে বর্তমান সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ উন্নয়ন করা সম্ভব।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল কাসেম মাতব্বর, সেক্রেটারি আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল, মিডিয়া সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, পোলিং এজেন্ট সমন্বয়ক আবু সুফিয়ান ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক প্রচার সম্পাদকঃ মাও,গিয়াস উদ্দিন আল মাহমুদ,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক সহকারী অর্থ সম্পাদকঃ মিডিয়া কর্মি আলমগীর ইসলামাবাদী ও ইসলামী আন্দোলন বায়েজিদ থানার নেতৃবৃন্দ।

  • বায়তুশ শরফ আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।” মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

    বায়তুশ শরফ আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।” মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম.পি বলেন, দরবার কেন্দ্রিক প্রচলিত পীর মুরিদীর আবহে পরিবেষ্ট না থেকে বায়তুশ শরফের পীর মুর্শিদরা ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণে নিবেদিত থেকে যেভাবে দেশে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন তা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ঢাকা বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক এই প্রতিষ্ঠানের সাথে অনেক পূর্ব থেকে পরিচয় এবং যাতায়াতের কথা তুলে ধরে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহানবী (সাঃ) যেভাবে সেবা ও দয়ার মাধ্যমে ইসলামের সুমহান বাণী বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বায়তুশ শরফ তারই বাস্তব উদাহরণ। তিনি বলেন, বায়তুশ মসজিদ ভিত্তিক একটি আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান হলেও মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র, এতিমখানার পাশাপাশি, স্কুল, কারিগরি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের মাধ্যমে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বায়তুশ শরফ পরিচালিত স্কুল ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ছেলের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে অসাম্প্রদায়িকতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে তা বিরল ঘটনা। কারণ, অন্যান্য পীরদের দরবারে সচরাচর এমনটি দেখা যায়না। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান পীর সাহেব আল্লামা শায়খ আবদুল হাই নদভীর এবং তাঁর মরহুম পিতার আল্লামা আবদুল জব্বার (রাহঃ) রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করে নিজের অনভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বায়তুশ শরফকে আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (২০ জানুয়ারী ২০২১) বুধবার সকাল ১১টায় কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পরিদর্শন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের আওতাধীন বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী ক্যাম্পাসে শাহ আবদুল জব্বার মিলনায়তন এর ভিত্তি ফলক উম্মোচন ও নব নির্মিত কারিগরি শিক্ষা ভবনের উদ্বোধন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়ালিকা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সভাপতি ও পীর সাহেব আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, কুতুবদিয়া মহেশখালী আসনের এমপি রফিকুল্লাহ আশেক, সংরক্ষিত মহিলা এমপি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, চট্টগ্রাম জোনের ডিআইজি মো.আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌর সভার মেয়র মুজিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম. এম. সিরাজুল ইসলাম।

    শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আনজুমনে ইত্তেহাদের সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিছ মিয়া। উপস্থিত ছিলেন এস আলম গ্রুপের ডাইরেক্টর রাশেদুল আলম খোরশেদ, আনজুমনে ইত্তেহাদের সহ সভাপতি মর্তুজা ছিদ্দিক, অধ্যাপক শফিউর রহমান, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, কবির গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন শেঠ, ঢাকা বায়তুশ শরফের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম আজাদ,অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক একরামুল হক আজাদসহ কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১২টায় একই মঞ্চে বায়তুশ শরফ আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার শাখার শপথ গ্রহন ও অভিষেক অনুষ্ঠান এবং কক্সবাজার জেলার বায়তুশ শরফের বিভিন্ন শাখার দায়িত্বশীলদের সাথে আগামী ৪, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য আখতারাবাদের (কুমিরাঘোনা) পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব ২০২১ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার শাখার সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আবুল কালাম।