Blog

  • নুরানীর মাধ্যমে সর্বত্র কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে:আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    নুরানীর মাধ্যমে সর্বত্র কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে:আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

     

    নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন,কচিকাঁচা বাচ্চাদেরকে স্বল্প সময়ে সহজে কুরআন শিক্ষার একটি সফল পদ্ধতি হলো নুরানী।বর্তমান সময়ে এই নুরানী পদ্ধতির মাধ্যমে দেশব্যাপী কুরআনের শিক্ষার বিশাল খিদমাত হচ্ছে। নুরানীর মাধ্যমে আমাদেরকে সর্বত্র কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে।

    গতকাল ৫ ই জানুয়ারি মঙ্গলবার হাটহাজারী পৌরসভাস্থ নুরানী বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে প্রশিক্ষণরত মুয়াল্লিমদেরকে নসিহতকালে এসব কথা বলেন তিনি।

    আল্লামা বাবুনগরী বলেন, নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ হাটহাজারী মাদরাসার অধীনে পরিচালিত একটি আদর্শ ও উন্নত বোর্ড। পড়ালেখার মানোন্নয়ন থাকায় পুরো বাংলাদেশে এর সুনাম সুখ্যাতি রয়েছে। এ বোর্ডের সিলেবাস তথা পাঠ্যসূচির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উম্মুল মাদারিস হাটহাজারীর সাথে সম্পৃক্ত থাকায় এ বোর্ডের অবস্থাও উর্ধ্বে । আপনারা এ বোর্ডের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন এটা আপনাদের জন্য বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার।

    মুয়াল্লিমদের উদ্দেশ্যে নুরানীর চেয়ারম্যান
    আল্লামা বাবুনগরী বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত থাকা পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ তাই এই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নয় কুরআনের খেদমত হিসেবে গ্রহণ করবেন। পিতৃস্নেহে কোমলমতি শিশুদের পড়াবেন। এবং সর্বদা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখার উন্নতি সাধনের জন্য ফিকির করবেন।

    কোন ছাত্র পড়া লেখায় অমনোযোগী হলে তাকে পিতৃসুলভ আচরণে বোঝাবেন। মনে রাখবেন আপনাদের হাত ধরেই আগামী প্রজন্মের উত্থান ঘটবে। নুরানী মাদরাসায় মুসলিম কচিকাচা শিশুদের বিশুদ্ধভাবে কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে আদর্শ ও উন্নত জাতিরূপে গড়ে তোলা সহজ হবে৷

    প্রশিক্ষণ শেষে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে এখলাছ ও নিষ্ঠার সাথে কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত হবেন। বেতন কম বেশির পিছনে না পড়ে কুরআনের খেদমতে লেগে থাকবেন। আপনারা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মেহনত করলে এই নুরানী পদ্ধতির মাধ্যমে সর্বত্র কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ।

    পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতে আদায় করা,সুন্নাতের প্রতি গুরুত্ববান হওয়া সহ আ’মাল আখলাকের প্রতি যত্নবান হতে মোয়াল্লেমদেরকে বিশেষ নসিহত করেন নুরানী বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    প্রশিক্ষণরত মুয়াল্লিমদেরকে নসিহত শেষে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বোর্ডের অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও
    আমানতদারীতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জমিরউদ্দীন,প্রশিক্ষক ও পরিদর্শক মাওলানা মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ,মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদ, মাওলানা মুহাম্মদ মনজুর,মাওলানা আবুল হাসেম,মাওলানা এনাম,মাওলানা হেলালুদ্দীন, মাওলানা আনিছুল ইসলাম মাহমুদ,মাওলানা জামিল আহমদ,মাওলানা মাসুদ প্রমূখ।

  • বোরহানউদ্দিনে ইয়াবা সম্রাট মেম্বার জাকিরের দৌরাত্ম, সাংবাদিক মাসুদ প্রাণনাশের হুমকি

    বোরহানউদ্দিনে ইয়াবা সম্রাট মেম্বার জাকিরের দৌরাত্ম, সাংবাদিক মাসুদ প্রাণনাশের হুমকি

    ভোলা জেলা প্রতিনিধি

     

    ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সংবাদকর্মী মাসুদ রানাকে কাচিয়া ইউনিয়নের সাবেক জাকির মেম্বার ও তার মদদপুষ্ট কতিপয় দুস্কৃতিকারী প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ৫ই জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের কাছে তিনি উল্লেখিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।

    জানা যায়,কাচিয়া এলাকায় কিছু ক্রাইম জগতে অনুপ্রবেশকারী প্রতিনিধি রয়েছে যাদের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। সাংবাদিক মাসুদ রানার কোর্টে একটি মামলা রয়েছে এ চক্রের নাটের গুরুর বিরুদ্ধে। মামলা নম্বর এমপি-৮৬১৯। ২০১৯ সালের ৭ মে মঙ্গলবার আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে
    স্থানীয় কাচিয়া ইউনিয়ন এর ৮নং ওয়ার্ডে দ্বীন ইসলাম মেম্বার বাড়ির দরজায় মাসুদ রানার গাড়ি গতিরোধ করে তাকে ব্যাপক মারধর করে এবং তার গাড়ি নিয়ে যায় ক্যামেরা ল্যাপটপ সহ শাপলা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ৫৮ হাজার টাকার স্মার্টফোন ও একটি ব্ল্যাংক স্টাম্প তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

    তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করাতে তাদের দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে সেই জন্য তারা সাংবাদিক মাসুদ রানার সাথে এই ধরনের কাজ করেছে সাবেক জাকির মেম্বার ও তাদের লোকজন। তার সাথে রয়েছে আরও অনেকেই।তৎকালীন তাদের ক্ষমতার কারণে তিনদিন পর্যন্ত থানায় ঘুরাঘুরি সত্বেও পুলিশ মাসুদ রানার মামলা নেয়নি।

    মাসুদ রানা বলেন, আমার অপরাধ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি এবং সমাজের নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষের পক্ষে লেখালেখি করি।এছাড়া, কথিত জ্বীন ও মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার রয়েছি, হয়তো এটাই আমার অপরাধ!

    তিনি বলেন,করোনা সংকটের শুরুতে আমি উল্লেখিত ইয়াবা সম্রাট জাকিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করি।মামলাটি করোনা মহামারীর কারণে কিছুদিন স্থগিত থাকে। এখন আমার মামলাটি চলতি জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে পুলিশী তদন্ত আসে। এতে মামলার আসামীরা আমার পিছনে উঠে পড়ে লেগেছে।

    সমাজে ভালো কাজ করতে গিয়ে মাদকব্যবসায়ী ও দুস্কৃতিদের বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন রকম চালাকি করে আমাকে মিথ্যা ঘটানায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এদের সাথে রয়েছে কিছু অসাধু লোক। যারা আমার পিছনে ষড়যন্ত্র করছে, আমাকে বিভিন্ন জায়গায় অপমানিত করার জন্য।সমাজের চিহ্নিত এসব দুস্কৃতিকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে কুখ্যাত এ জাকির মেম্বার।

    এদিকে জাকির মেম্বারের মামলা উঠানের জন্য আজ আমাকে সে হত্যার হুমকি দেয়।তার নামে এর আগেও একাধিক নিউজ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইয়াবার মামলা রয়েছে ভোলা ডিবির কাছে। একাধিক মামলা থাকার পরও দুঃসহ দাপটে সে ক্রাইম করছে এলাকা জুড়ে।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির মেম্বারের সাথে সাংবাদিকরা একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

    এদিকে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণ, ইয়াবা সম্রাট জাকির চক্রের কথিত জ্বীন ব্যবসা ও মাদকের আগ্রাসন থেকে এলাকার যুব সমাজকে রক্ষায় কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • বরিশালের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকবৃন্দের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বরিশালের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকবৃন্দের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ

     

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালকে খুবই পছন্দ করেন। তিনি বরিশালের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বরিশাল সহ বিভাগের চেহারা পাল্টে যাবে। বরিশালের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী প্রতিনিধি হিসেবে আন্তরিকভাবে কাজ করার কথা বলেছেন বরিশালের নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

    ৩ জানুয়ারী বরিশালের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারি সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন জসীম উদ্দীন হায়দার।

    বরিশাল জেলা প্রশাসনের হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বরিশালে রেল লাইন স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বরিশালবাসী আগামী দিনগুলোতে এর সুফল ভোগ করবে। পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল হবে দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম উন্নত সমৃদ্ধ শহর। এই উন্নয়ন ঘিরে এখানে শিল্পায়ন হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। ঘুড়ে দাড়াবে দক্ষিনের অর্থনীতি। তিনি সরকারের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

    উক্ত মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস, এনডিসি মো. নাজমুল হুদা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল, সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল ও সাবেক সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, সদ্য নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক কাজী মিরাজ, সাবেক সাধারন সম্পাদক মুরাদ আহমেদ ও পুুলক চ্যাটার্জী, ইলেক্ট্র্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরদাউস সোহাগ ও সহসভাপতি রাহাত খান এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ সহ অন্যান্য সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • আনোয়ারায় জাটকা ইলিশ জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ

    আনোয়ারায় জাটকা ইলিশ জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ

    আনোয়ারা প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারায় রায়পুর ইউনিয়নে গহিরা এলাকায় একটি মাছের আড়তে অভিযান চালিয়ে দুইশত কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।

    সোমবার (৪ জানুয়ারি) রায়পুর ইউনিয়নের ফকির হাট এলাকায় উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার রাশিদুল হক অভিযান চালিয়ে এই জাটকাগুলো জব্দ করেন।জব্দকৃত জাটকা সমূহ স্থানীয় আটটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শেখ জুবায়ের আহমেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব জামিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব ফেরদৌস হোসেন ও চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইয়াছিন হিরু।

  • টেকনাফ ইসলামী আন্দোলন নেতা আলহাজ্ব নজির আহমদ এর ইন্তেকাল, জানাজা সম্পন্ন

    টেকনাফ ইসলামী আন্দোলন নেতা আলহাজ্ব নজির আহমদ এর ইন্তেকাল, জানাজা সম্পন্ন

    প্রফেসর রাশেদ আনোয়ার, প্রতিবেদক

     

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলার সম্মানিত উপদেষ্টা, সাবেক উপজেলা সহ-সভাপতি, আন্দোলনের টেকনাফ পৌরসভার সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি টেকনাফ উপজেলার সাবেক সদর জনাব আলহাজ্ব নজির আহমদ আজ রোববার ভোর ৫:৩০ টা সময় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
    মরহুম টেকনাফের আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ’র (প্রকাশ দেওয়াল হাজী) তৃতীয় সন্তান।
    তাহার মৃত্যুতে কক্সবাজারের ইসলামী আন্দোলন পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একান্ত প্রিয় অভিভাবককে হারিয়ে ইসলামী আন্দোলন শোকে আচ্ছন্ন।
    মরহুমের নামাজে জানাযা আজ আসরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাযের পর হাতিয়ার ঘোনা কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হয়। জানাযা নামাযের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব, জামেয়া দারুস সুন্নাহ হ্নীলার সদরে মুহতামিম প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা কারী মুখতার আহমদ।
    জানাজার নামাজে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, বামুকের জেলা নায়েবে সদর আলহাজ্ব বদিউল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কক্সবাজার জেলা সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাক্টর, বামুকের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার দপ্তর সম্পাদক মাওলানা সেলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইসমাইল জাফর, ইসলামী আন্দোলন টেকনাফ উপজেলা সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ নুরুল হুসাইন ফাহিম, বামুক এর উপজেলা-সদর মাওলানা হাফিজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক, ইসলামের যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক জিহাদীসহ ইসলামী আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    এদিকে আলহাজ্ব নজির আহমদের ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী, সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার।
    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন টেকনাফের ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে মরহুম ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। ইসলামী আন্দোলনের জন্য পীর সাহেব চরমোনাই নেতৃত্বে ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার অবদান টেকনাফ তথা সমগ্র দেশবাসী আন্তরিকতার সাথে স্মরণে রাখবে। নেতৃবৃন্দ মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি মহান আল্লাহর দরবারে মরহুমের জন্য জান্নাতের উচ্চ মাকাম প্রার্থনা করেন।
    উল্লেখ্য মৃত্যুকালে ৬৭ বছর বয়সে তিনি স্ত্রী, চার পুত্র, তিন কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

  • জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধিঃ

     

    বাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবিতে আজ জাতীয়   প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পলিটেকনিক ছাত্র পরিষদ এর ব্যানারে মানববন্ধন করে। এসময় ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিল।

    মানববন্ধনে উল্লেখ্য তাদের ৪ দফা দাবিগুলো হলোঃ

    ১. অতিদ্রুত ৮ম পর্বের ভাইবা নিতে হবে এবং চাকুরী নিয়োগে সুযোগ দিতে হবে।
    ২. স্তুগিত ২য়,৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক উত্তীর্ণ (অটোপ্রমোশন) দিয়ে ব্যবহারিক অংশগুলোকে পরবর্তী পর্বের সাথে সংযুক্ত করা হোক।
    ৩.১ম, ৩য়, ৫ম ও ৭ম পর্বের সিলেবাস কমিয়ে এবং অনলাইনে (সম্ভবহলে সরাসরি) ক্লাস করানোর মাধ্যমে দ্রুত পরীক্ষা নেয়া হোক।
    ৪. ২০২১ সালের মধ্যে ডুয়েটসহ চারটি প্রকৌশলী ও অন্যান্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ করা হোক। উক্ত দাবির বিষয়ে কোন বিলম্ব মানিনা, মানবো না।

    উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত ২য়, ৪র্থ, ৬ ষ্ঠ, ও ৮ম পর্বের সমাপনী পরীক্ষা আটকে আছে। এখনও পরীক্ষার বিষয়ে স্পষ্ট কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।

  • পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউপি হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রর্থীদের তালিকা প্রকাশ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউপি হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রর্থীদের তালিকা প্রকাশ

    এম এম সাইফুল্লাহ আল মনির, বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলাধীন ইউনিয়ন সমূহে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন।

    গতো ৩০শে ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কতৃক এক অনুষ্ঠানের ম‍াধ‍্যমে এই প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন,

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলটির সিনিয়র নায়েবে আমীর, শায়খুল হাদীস আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মূফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

    এসময় প্রধান অতিথি প্রার্থীদের হাতপাখা খচিত দলের নাম সম্বলিত ব‍্যাচ পরিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করেন।

    এই জেলায় মোট ইউনিয়ন সংখ্যা ৭৭ টি, তবে নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন ৭৬টি হলেও আপাতত তারা প্রার্থী ঘোষনা করেছেন ৭৪ টি ইউনিয়ন পরিশদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম, এবং দুইটি ইউনিয়নে রয়েছে তাদের একাধিক প্রার্থী।

    পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ইউনিয়ন সংখ্যা ১৪ টি

    ০১.বদরপুর. মাওঃ মোঃ আবুল বাশার জিহাদি
    ০২. মৌকরন-মুহাম্মাদ মামুন আকন
    ০৩. লাউকাঠী-মুহাম্মাদ ইদ্রিস আলী সিপাই
    ০৪. লোহালিয়া- মাও.কাজী গোলাম সরোয়ার
    ০৫. ভূরিয়া-মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান
    ০৬. কমলাপুর -মোঃ শাহজাহান হাওলাদার
    ০৭. জৈনকাঠী- মাও.কাজী সিদ্দিকুর রহমান
    ০৮. কালিকাপুর-আলহাজ্ব হাফেজ কাওছার উল্লাহ্
    ০৯. আউলিয়াপুর- মৌলভী মুহাম্মাদ শাহজাহান
    ১০. মাদারবুনিয়া- স্থগিত
    ১১. মরিচবুনিয়া- মাও.আমিনুল ইসলাম মোশাররফ
    ১২. বড়বিঘাই-মাও.মোঃ জসিম উদ্দিন
    ১৩. ছোটবিঘাই- অধ্যক্ষ মাও.মহিউদ্দিন সিকদার
    ১৪. ইটবাড়িয়া- মাওলানা জাকারিয়া হাওলাদার।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউয়ানের প্রার্থীর নাম : মাওঃ আবুল বাশার জিহাদি, তার পিতার নামঃ মৃত্যু আফসার উদ্দিন।

    তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি ফাযিল(ডিগ্রী) পাশ। তিনি পেশায় একজন ইমাম,ও ইসলামী ওয়ায়েজ।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় :
    তিনি ইসলামী যুব আন্দোলন, পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-অর্থ সম্পাদক,

    * উপজেলার মৌকরন (নবগঠিত) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওলানা মুহাম্মাদ মামুন আকন, তার পিতার নামঃ মোঃ ফজলুল হক আকন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি কামিল ( এম, এ) পাশ। তিনি পেশায় মানব গড়ার কারিগর তথা একজন শিক্ষক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নবগঠিত মৌকরন ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মুহাম্মাদ ইদ্রিস আলী সিপাই, তার পিতার নামঃ মৃত্যু রিয়াজ উদ্দিন সিপাহী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, তিনি এস. এস. সি পাশ, তিনি পেশায় একজন দলিল লেখক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, লাউকাঠী ইউনিয়ন সভাপতি, ও সদস্য, পটুয়াখালী সদর।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : আলহাজ্ব মাও.কাজী গোলাম সরোয়ার, তার পিতার নামঃ মোহাম্মদ শামসুল হক। তিনি কামিল( এম. এ) পাশ। তিনি পেশায় একজন মানুষ গড়ার কারিগর তথা শিক্ষক।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মো.আরিফুর রহমান, তার পিতার নামঃ শামসুদ্দিন আকন। তিনি এস. এস. সি পাশ। তিনি পেশায় একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী যুব আন্দোলন ভুড়িয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।

    *পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : জনাব মো.শাহজাহান হাওলাদার, তার পিতার নামঃ আফপার আলী হাওলাদার। তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,কমলাপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাও.কাজী সিদ্দিকুর রহমান। তিনি কামিল (এম. এ) পাশ, তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ , জৈনকাঠী ইউনিয়ন এর সভাপতি ও
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলারপ্রশিক্ষণ সম্পাদক,

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপু ইউনিয়নের প্রার্থীর নাম : হাফেজ মোঃ কাওছার উল্লাহ

    তার পিতার নামঃ ফোরকান খন্দকার। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তিনি অষ্টম পাশ, তিনি একজন সফলতার সাথে ব‍্যবসা পরিচালনা করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলার সহ-দপ্তর সম্পাদক।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম :মৌলভী মুহাম্মাদ শাহজাহান হাওলাদার, তিনি এস. এস. সি পাশ।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওলানা আমিনুল ইসলাম মোশাররফ, তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি একজন সফল ব‍্যবসায়ী।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাওঃ মুহাম্মাদ জসিম উদ্দিন, তার পিতার নামঃ সিরাজুল হক মাষ্টার। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বড় বিঘাই ইউনিয়ন শাখার সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : অধ্যক্ষ মাও.মহিউদ্দিন শিকদার (সাবেক চেয়ারম্যান)। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি জাতীয় শিক্ষক ফোরাম,পটুয়াখালী জেলার সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,পটুয়াখালী জেলার সদস্য।

    * পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম : মাও. মো. জাকারিয়া হাওলাদার। তিনি কামিল (এম.এ) পাশ, তিনি পেশায় চাকুরী করেন।

    তার সাংগঠনিক পরিচয় : তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের সদস্য।

  • ফটিকছড়িতে মাদরাসায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী

    ফটিকছড়িতে মাদরাসায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়া পশ্চিম নানুপুর দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাংচুর ও তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণের ঘটনার কড়া সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    আজ ৫ ই জানুয়ারি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন,চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাংচুর চালিয়ে এবং তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি। এভাবে দিনদুপুরে তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করার ঘটনা চরম উদ্বেগজনক। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন,
    কওমী মাদরাসা দ্বীন রক্ষার মজবুত দূর্গ। দ্বীন ইসলামের সংরক্ষণে কওমী মাদরাসা ও ওলামায়ে কওমীয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কওমী মাদরাসা অনেক অবদান রয়েছে৷ যারা কওমী মাদরাসায় হামলা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় এদেশের তৌহিদি জনতা তাদের কালো হাত ভেঙে দেবে। এদেশের জনগণ মাদরাসা প্রিয়,আলেমপ্রিয়।

    আমীরে হেফাজত বলেন,উক্ত মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের কোন প্রকারের দোষ না থাকা সত্বেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মাদরাসায় ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কওমী মাদরাসায় এহেন সন্ত্রাসী হামলা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছে তাঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে মাদরাসার নির্মাণ কাজে ভাংচুরের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি একটি শান্তিপ্রিয় থানা উল্লেখ করে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন,চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পূণ্যভূমি। ফটিকছড়ির মানুষ শান্তিপ্রিয়। সম্প্রতি একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কওমী মাদরাসায় হামলা, শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের শানে বিষোদগার করে ফটিকছড়ির শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

  • টেকনাফের হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় শতাধিক হাফেজ আলেমকে পাগড়ী প্রদান

    টেকনাফের হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় শতাধিক হাফেজ আলেমকে পাগড়ী প্রদান

    ওসমান আল-হুমাম কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

     

    গত জুমাবার ও শনিবার কক্সবাজার জেলার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলার অন্তর্গত আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ৯৪ তম বার্ষিক সভা ও দস্তারবন্দী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    জামিয়ার সদর মুহতামিম মাওলানা ক্বারী মোখতার আহমদ সাহেবের উদ্বোধনী আলোচনার মাধ্যমে ২ দিনব্যাপী বার্ষিক সভা শুরু হয়।
    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিয়া পটিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া, জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা নুরুল ইসলাম সাদেকসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ পৃথক পৃথক অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন।

    দ্বিতীয় দিবসের সমাপনী অধিবেশনে জামিয়ার মুহতামিম আল্লামা আফসার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি মাহফুজুল হক ও জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিসগনের উপস্থিতিতে ১৪৪০-৪১ হিজরী ২০১৯-২০ ইংরেজি শিক্ষাবর্ষের
    শিক্ষা সমাপনী দাওরায়ে হাদীসের ৩০ জন আলেম ও ৩৯ জন হাফেজকে ফজিলত প্রদান করা হয়।

    প্রধান অতিথি আল্লামা মাহফুজুল হক বলেন, সমকালীন বিশ্বে দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে নবীজি সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ অনুসরণের বিকল্প নেই। কোরআন সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তি জীবন গঠন ও সমাজের সর্বস্তরে পূর্ণ দ্বীন বাস্তবায়নে নিজেকে নিবেদিত করি।

  • ফটিকছড়িতে কওমি মাদ্রাসায় মাজারপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

    ফটিকছড়িতে কওমি মাদ্রাসায় মাজারপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়ার পশ্চিম নানুপর দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙ্গচুর ও ৬ জন তাউহিদী জনতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়া বাবুনগরের পরিচালক, ইসলামী আইন বাস্তাবায়ন কমিটি ফটিকছড়ি’র পৃষ্ঠপোষক,আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

    আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন,

    আমরা এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই৷ যারা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে যারা অশান্ত করতে চায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আজ ৪ জানোয়ারি রোববার দুপুরে ঘটনাপরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এ কথা বলেন।

    ফটিকছড়িতে মাজারপন্থীদের দ্বারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার যথাযথ বিচার না হলে পুরো দেশজুড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সরকারকে এর দায়ভার বহন করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, দখলের উদ্দেশ্যে দারুচচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের রক্তাক্ত করে চরম দৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।

    মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে আকিদায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলোকে বেরলবী ও মাজার পূজারিদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও রুসূমাতের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশনা মেনে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলনে কখনও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ভাঙচুর হয়নি।কোন হামলা, হত্যা ও হানাহানি হয়নি।

    তিনি আরও বলেন, বেদাতী মাজার পূজারীরা বিনা উসকানিতে কওমি মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্র ও আলেমদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বিশেষ করে আহলে হক তথা হাজারো আওলিয়া আর আলেমদের পদভারে পূণ্যভূমিতে খ্যাত ফটিকছড়ির মাঠিতে দারুচচ্ছালাম মাদ্রাসায় গুটিকয়েক ভন্ডরা মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে কোটি কোটি তাউহিদী জনতার কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

    সুতরাং মাননীয় সরকার বিশেষ করে ফটিকছড়ির এমপি মহোদয়, ইউনো স্যার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রকৃত দোষীদের দ্রুত সময়ে খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। অন্যাতায় ফটিকছড়িতে যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনই দায়ী থাকবে৷