Blog

  • আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা মামুনুল হক সহঃআসামী ৩৬ জন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আল্লামা শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে মামলা : আসামী ৩৬ জন
    হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আমির, বাংলাদেশের সর্বপ্রভাবের আলেম, হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহ. কে হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীসহ প্রায় ৩৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০) সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর শ্যালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
    বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
    মামলায় বিশেষভাবে আসামী রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্বশীল। এর মধ্যে রয়েছেন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ সহ আরও অনেকে। আসামীদের সবার তালিকা এখনও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
    তবে মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফিকে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা মাইনুদ্দীন রুহী।

    তারা দাবি করে বলেন, ‘হুজুরের জীবদ্দশায় হাটহাজারী মাদরাসায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়। হুজুরের ওপর নির্যাতন করা হয়। গৃহবন্দী করে উনার খাবার-ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে উনাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে বাধা দেওয়া হয়। এভাবে নির্যাতন করে আহমদ শফী হুজুরকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

    সেই সেমিনারে বক্তারা আল্লামা শফী রহ. এর হত্যা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে রুহী বলেন, ‘আহমদ শফী হুজুরকে হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব। তদন্ত হোক, অসুবিধা কি? তদন্ত হলে কাদের এত ভয় ! সমস্যাটা কোথায়?’

    এ সেমিনারে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীপূত্র মাওলানা আনাস মাদানীসহ আল্লামা শফী রহ. এর অনুসারীদের মধ্যে আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

    দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সহ সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫(সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য,প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
    তিনি বলেন, “১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করে নেয়া বাঙালি আর রাজপথ ছাড়েনি। পাকিস্তানি অপশাসনে নিপীড়িত, অত্যাচারিত এদেশের আপামর মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অবশেষে ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    তিনি আরো বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ১৯৭১ সনের ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানের জনসমাবেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাকে হৃদয়ে ধারণ করে দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এ জাতি।

    ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চের কাল রাত্রি থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি তথা স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে। আজ এই মহান বিজয়ের দিনে আমি সশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুইলক্ষাধিক সম্রম হারানো মা-বোনকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের।

  • আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী স্মরনে নেজামে ইসলাম পার্টির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী স্মরনে নেজামে ইসলাম পার্টির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী স্মরনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির উদ্যোগে আজ এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত এবং দরাজাত বুলন্দী কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার।

    সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে বাংলাদেশের ইসলামী অঙ্গনের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হবার নয়। আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশ জাতির অধিকার এবং ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় যে অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সহকারী মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, পার্টির সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দপ্তর সচিব মুফতি দীনে আলম হারুনী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী প্রচার সম্পাদক মুফতি এবিএম শরীফুল্লাহ, হেফাজত নেতা মাওলানা মাহবুব বিন আনাস, পার্টির মহানগর নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতী মুহিউদ্দীন, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব ইহতিশামুল হক পাখি, ছাত্র নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।

  • আসন্ন চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীর সাথে ইশা নেতৃবৃন্দের বিশেষ বৈঠক

    আসন্ন চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থীর সাথে ইশা নেতৃবৃন্দের বিশেষ বৈঠক

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্থগিত থাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি’২১ অনুষ্ঠিত হবে বলে আজ (১৪ ডিসেম্বর-২০২০) ঘোষিত হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী হাতপাখার মেয়র প্রার্থী এবং নগর আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলাম এর সাথে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের একটি প্রতিনিধি দল রাত ৮ টায় বিশেষ বৈঠকে মিলিত হয়।

    উক্ত বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সারগর্ভ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি রিদওয়ানুল হক শামসীর নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মুহা. তানভীর হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মুহা. নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. জিল্লুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহা. আব্দুর রহমান রবিন, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুহাম্মাদ এমদাদ।

    মেয়র প্রার্থী এসময় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    বার্তা প্রেরক
    মুহা. ইব্রাহিম খলিল
    প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর।

  • আনোয়ারা হাজীগাঁও কটন মিলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা হাজীগাঁও কটন মিলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম আনোয়ারা উত্তর হাজীগাঁও কটন মিলের পশ্চিমে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রদ্বিঃ) স্মৃতি সংসদের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উপলক্ষে আজিমুশ শান মিলাদ মাহফিল ১৩ই ডিসেম্বর (রবিবার) বারখাইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য জনাব আলী আজগর মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মাহফিলে মেহমানে আ’লা হিসাবে তশরিফ আনেন,ওষখাইন আলী নগর দরবার শরীফ আনোয়ারা চট্টগ্রামের পীরে ত্বরিকত হাফেজ ক্বারী মৌলানা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ছিদ্দিকী ওষখাইনগিরি (ম.জি.আ)

    প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,আল আমিন বারীয়া দরবার শরীফের নায়েবে শাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ মোকারম বারী ছাহেব।

    এতে শত শত আশেকান ও নবী (ﷺ) প্রেমিক ওলী-আউলিয়া প্রেমিক গণের উপস্থিতিতে মিলাদ কিয়াম মুনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল সমাপ্তি হয়।

  • সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পরৈকোড়া জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য

    সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পরৈকোড়া জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য

    আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নটি ছিল একসময় উপজেলার সবদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই ইউনিয়নে এককালে ছিলেন ৯ জন বড় বড় জমিদার। তাদের মধ্যে যোগেস চন্দ্র রায় বাহাদুর ও প্রসন্ন কুমার ছিলেন অন্যতম। পুরো চট্টগ্রামে ছিল তাদের জমিদারির বিস্ততি। একসময় যখন দেশের কোথাও বিদ্যুৎ ছিলনা তখন এই পরৈকোড়াতেই জমিদার প্রসন্ন কুমারের বাড়িতে জেনারেটরের সাহায্যে জ্বলত বৈদ্যুতিক বাতি। প্রজাবৎসল হিসেবে এসব জমিদারের ছিল সুখ্যাতি। প্রজাদের সুবিধার্তে এ ইউনিয়নে খনন করেছিলেন তারা অসংখ্য দিঘী, নির্মাণ করেছিলেন হাট-বাজার, ব্রিজ- কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যালয়সহ অনেক কিছু। আজ সেইসব স্থাপনা আর কীর্তি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরোপুরি হারিয়ে যেতে বসেছে।

    জানা যায়, বৈদ্য বংশের প্রখ্যাত জমিদার যোগেশ চন্দ্র রায়ের পূর্ব পুরুষ ছিলেন দেওয়ান বৈদ্য নাথ। ১৬শ শতকে  এদের জমিদারির গোড়াপত্তন। তার দুইটি জমিদারি, বহু হাট-বাজার, দিঘী আজো কীর্তি হয়ে আছে। চট্টগ্রামের দেওয়ান বাজার, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, দেওয়ান হাট আজো তার নামের সাক্ষী বহন করে। তার পুত্র জমিদার হরচন্দ্র রায়ের দত্তক পুত্র ছিলেন গিরিশ চন্দ্র রায়। মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি মারা গেলে তার স্ত্রী নয়নতারা রাউজান উপজেলার কৈলাশচন্দ্র চৌধুরীর ৮ বছরের পুত্র যোড়সাকে দত্তক নিয়ে তার নাম রাখেন যোগেষ চন্দ্র রায়। ১৮৯০ সালের ১৪ জুলাই নয়নতারা মৃত্যুবরণ করলে জমিদারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন শিক্ষানুরাগী, প্রজা বৎসল এক জমিদার। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে পরৈকোড়া ইউনিয়নে তিনি যাতায়াতের সুবিধার্তে মুরালি খালের উপর নির্মাণ করেন একটি প্রশস্ত ব্রিজ। প্রতিষ্ঠা করেন লালানগর বাজার। মানুষের চিঠিপত্র আদান প্রদানের জন্য নির্মাণ করেন পোষ্ট অফিসও। তাছাড়া এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বহু পাকা সড়ক এবং নির্মাণ করেন একটি হাসপাতাল।

    জানা গেছে, ব্রিটিশ সরকারের সময় স্থাপিত বর্তমান আনোয়ারা থানাও তৎকালীন সরকার এই পরৈকোড়াতেই স্থাপন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জমিদার যোগেশ চন্দ্র  ‘থানার ধারে কানাও ঘেঁষেনা’ এই কথা বলে তা ফিরিয়ে দেন।

    শিক্ষানুরাগী এ জমিদার এ অঞ্চলের মানুষের লেখাপড়ার উন্নয়নে ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি পরৈকোড়া ইংরেজী স্কুলকে নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তর করেন।
    অন্যদিকে এ ইউনিয়নের আরেক প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন প্রসন্ন কুমার রায় বাহাদুর। সংস্কৃতিমনা এ জমিদারের সুখ্যাতি ছিল দুর দুরান্ত পর্যন্ত। চট্টগ্রাম শহরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও মহেশখালীতে ছিল তার বিরাট জমিদারি। তিনি একাধারে সংস্কৃতিমনা, শিক্ষানুরাগী, প্রজাবৎসল এবং বহু গুণের অধিকারী ছিলেন। বিশেষ করে তার সংস্কৃতিমনা গুণের কথা সর্বজনবিদিত। তার জমিদারির সময় সুদুর কলকাতা থেকে আসতেন শিল্পীরা। মাসব্যাপী চলত নানারকম সাংস্কৃতিক আয়োজন। প্রজাদের যাতায়াতের সুবিধার্তে তিনি চট্টগ্রাম শহর থেকে পটিয়ার কালারপুল হয়ে আনোয়ারার চানখালী পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করেন। বুড়া ঠাকুর  দীঘির দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ের জমিটি তিনিই নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে দান করেছিলেন। ১৩৫০ বাংলা সনের ১২ মাঘ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার বংশধররা দীর্ঘদিন নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে পরিচালনা করেন। এক কথায় এসব প্রজাবৎসল জমিদারদের নানারকম জনহিতকর কাজ- কর্মের কারণে তৎকালে পরৈকোড়া ইউনিয়ন ছিল শিক্ষা দীক্ষা, যোগাযোগ, খেলাধুলা আর সাংস্কৃতিতে অন্যান্য অঞ্চলের চাইতে শতগুন এগিয়ে। কিন্তু এসব জমিদারের মৃত্যুর পর সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ না থাকায়  তাদের কীর্তিও রেখে যাওয়া সম্পদ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

    আবু সাঈদ বলেন-যদি ভালভাবে সংরক্ষণ করে জমিদার বাড়িগুলো বসবাস উপযোগী করে তাহলে এখন মানুষ যে হারে এই জমিদার বাড়িগুলোকে দেখার জন্য যায় বা যাচ্ছে তাহলে ভবিষ্যতে এই বাড়িগুলো প্রাচীন নিদর্শন হিসাবে দেখার জন্য অনেক পর্যটক ছুটে আসবেন বলে আমি মনে করি।

  • ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

    ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

     

    মোঃরাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রাণ উজার করা সন্মান ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। ১৯৭১ সাল বাঙালি জাতির মুক্তির বছর। এ বছরের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি শত্রু বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার বুকের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

    ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যার করার ঠিক দুইদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উদয় হয়।

    এই দিবসটি জাতীয় ভাবে ব‍্যাপক আকারে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি অ‍্যাডঃ মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন। তবে এবছর করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।

    কর্মসূচিরগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ইত্যাদি।

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে মাওলানা আনাস মাদানীর শোকপ্রকাশ

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে মাওলানা আনাস মাদানীর শোকপ্রকাশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত পরিচালক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহঃ এর ইন্তেকালে শোকপ্রকাশ করেছেন, আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যা বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মেহেরিয়া মুঈনুল ইসলাম সরফভাটা রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের সম্মানিত মহাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী সাহেব দাঃ বাঃ।

    আজ (১৩ ডিসেম্বর ২০) রবিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশের ইসলামী রাজনীতির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন, কোরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্রের মুকাবিলা করতে তিনি প্রথম সারিতেই থাকতেন।

    তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে আল্লামা কাসেমীর সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। দেশে ইসলামি শিক্ষা বিস্তার এবং দ্বীনি আন্দোলনে প্রায় সময় হযরত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি আমার বাবা মরহুম শাইখুল ইসলাম রহঃ এর আস্থাবান ব্যক্তি ছিলেন।

    তিনি আরো বলেন, এলমে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে হযরতের ভূমিকা কওমি অঙ্গনে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন সংগঠন এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। দেশের এই অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে হযরতের মাগফিরাত কামনা করছি।

    দেশজুড়ে আল্লামা কাসেমীর রুহানি সন্তান, শোকসন্তপ্ত পরিবার,সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    উল্লেখ্য, আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার বেলা ১ টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ হযরতের কবরকে জান্নাতের বাগান করে দিন। (আমিন)

  • আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

    আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

    শোক বার্তা

     

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও জামিআ মাদনিয়া বারিধারা মাদরাসার সম্মানিত পরিচালক ও বিশিষ্ট আলেমে দীন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

    আজ রবিবার দুপুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম এক যৌথ শোকবার্তায় আল্লামা কাসেমীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লামা কাসেমী এদেশের একজন প্রবীন আলেম এবং ইসলামী রাজনীতিতে একজন অভিভাবকতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির মাঝে ইসলামী ও ইলমী অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো; তা কখনো পূরণ হবার নয়। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিন এবং তাঁর কবরকে নূরে রহমত দ্বারা ভরপুর করে দিন। আমীন।

    বার্তা প্রেরক
    কে এম শরীয়াতুল্লাহ
    কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক
    ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

  • ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

    ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

     

    সাহিদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি।

     

    স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ),
    ভোলা জেলাধীন চরফ্যাসন উপজেলায়
    প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কে আহবায়ক,ইয়াহ ইয়া ইসলাম মনির কে যুগ্ন-আহ্বায়ক, মোঃ নূর হোসেন কে যুগ্ন আহ্বায়ক এবং প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম ভূঁইয়া কে সদস্য সচিব করে ৩১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়।

    শনিবার ১২/১২/২০২০ ইং তারিখে জেলা কমিটির আহ্বায়ক সহিদুল ইসলাম শামীম ও সদস্য সচিব মীর মোঃ শরীফ স্বাক্ষরিত এ কমিটি ঘোষণা করেন।